Dr. Tushar Abdullah Zahid

17/05/2025

📍 Bandar, Narayanganj

02/01/2025

নিপাহ একটি ভাইরাসজনিত মারাত্মক প্রাণঘাতী রোগ। সাধারণত শীতকালে নিপাহ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। কাঁচা খেজুরের রসে বাদুড়ের বিষ্ঠা বা লালা মিশ্রিত হয় এবং ঐ বিষ্ঠা বা লালাতে নিপাহ ভাইরাসের জীবাণু থাকে। ফলে খেজুরের কাঁচা রস পান করলে মানুষ নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। বর্তমান সময়ে বড়দের পাশাপাশি শিশু-কিশোরেরা নিপাহ ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। খেজুরের কাঁচা রস সংগ্রহ, বিক্রয় ও বিতরণের সাথে সংশ্লিষ্ট গাছীগণকে এবং জনসাধারণকে প্রাণিবাহিত সংক্রামক ব্যাধি রোগ নিপাহ ভাইরাস সম্পর্কে অবহিত করা হলে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এই রোগে মৃত্যুর হার প্রায় ৭০ শতাংশেরও বেশি। ২০২২-২৩ সালে দেশে এ রোগে আক্রান্ত ১৪ জনের মধ্যে ১০ জনই মৃত্যুবরণ করেন। তাই প্রতিরোধই হচ্ছে এই রোগ থেকে বাঁচার উপায়। খেজুরের রস বিক্রেতাদের প্রতি অনুরোধ কেউ কাঁচা রস খেতে চাইলে বিক্রি করবেন না। উল্লেখ্য যে, খেজুরের রস থেকে তৈরি গুড় খেতে কোন বাধা নেই।

26/12/2024

🔖গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ কখন, কেন, কতদিন খাবো 🤔❓

🔰গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সাধারণত খাবারের আগে, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হয়। এগুলো খাবার পর অ্যাসিড উৎপাদন কমায় এবং পেটের অস্বস্তি দূর করে।

☑️কিছু সাধারণ পরিস্থিতি যেখানে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ দরকার হতে পারে:

1. অ্যাসিডিটি বা বুক জ্বালাপোড়া - খাবারের পরে পেটে অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে।

2. গ্যাস্ট্রিক আলসার - পাকস্থলীতে ক্ষত থাকলে ।

3. হজমের সমস্যা - যখন হজমে সমস্যা হয় এবং খাবার ঠিকমতো না হলে।

✅এছাড়াও গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ কিছু নির্দিষ্ট ওষুধের সঙ্গে দেওয়া হয়, যেগুলো পাকস্থলীতে অ্যাসিড বা গ্যাস্ট্রিক সমস্যা তৈরি করতে পারে। যেমন:

1. ব্যথানাশক ওষুধ - যেমন আইবুপ্রোফেন, ডাইক্লোফেনাক, ন্যাপ্রোক্সেন ইত্যাদি, যেগুলো পাকস্থলীতে ক্ষত করতে পারে।

2. স্টেরয়েড - যেমন প্রেডনিসোলন, যা দীর্ঘদিন খেলে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা হতে পারে।

3. অ্যান্টিবায়োটিক - কিছু অ্যান্টিবায়োটিক যেমন ডক্সিসাইক্লিন, ক্লারিথ্রোমাইসিন পেটে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে।

4. হাড়ের ক্ষয়রোধী ওষুধ - যেমন বিসফসফোনেট, এগুলোও পাকস্থলীতে সমস্যা করতে পারে।

❎❎তবে এই ওষুধগুলো দীর্ঘমেয়াদে খাওয়ার আগে ডাক্তারকে পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

10/12/2024

08/12/2024

⛔⛔ অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার;

🚫 চুল পড়ার কারণ সমূহ:

1. পুষ্টির ঘাটতি: আয়রন, জিঙ্ক, বায়োটিন, প্রোটিন, ও ভিটামিন ডি-এর অভাব।

2. হরমোনের পরিবর্তন: পিসিওএস, থাইরয়েড সমস্যা, গর্ভাবস্থা বা মেনোপজ।

3. স্ট্রেস: মানসিক চাপ বা শারীরিক অসুস্থতা।

4. জিনগত প্রভাব: বংশগতভাবে চুল পড়া হতে পারে।

5. অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা: একটি অটোইমিউন রোগ।

6. স্ক্যাল্প সমস্যা: ড্যান্ড্রাফ, ফাংগাল ইনফেকশন বা চর্মরোগ।

7. অতিরিক্ত চুলের যত্ন: কেমিক্যাল প্রোডাক্ট বা হিট স্টাইলিং।

8. ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: ক্যান্সারের চিকিৎসা, স্টেরয়েড বা কিছু ওষুধ।

9. পরিবেশগত কারণ: দূষণ, অতিরিক্ত সূর্যালোক।

✅ চুল পড়া রোধে করণীয়:

1. পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ:
প্রোটিন: ডিম, মাছ, মাংস।
আয়রন: পালং শাক, কলা।
ওমেগা-৩: বাদাম, তেলযুক্ত মাছ।

2. তেল মালিশ:
নারকেল, আমন্ড, বা ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করুন।
সপ্তাহে ২-৩ বার তেল ম্যাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে।

3. স্ক্যাল্প পরিচ্ছন্ন রাখুন:
মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
বেশি দিন চুল অপরিষ্কার রাখবেন না।

4. ঘরোয়া উপায়:
পেঁয়াজ রস: চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরা: স্ক্যাল্পে সরাসরি লাগিয়ে রাখুন।
হেয়ার মাস্ক: ডিম, মধু ও দইয়ের মিশ্রণ ব্যবহার করুন।

5. স্ট্রেস কমান:
মেডিটেশন বা যোগব্যায়াম করুন।
পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন।

6. চিকিৎসকের পরামর্শ নিন:
থাইরয়েড বা হরমোনের সমস্যা থাকলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
ডার্মাটোলজিস্টের কাছে চুল পড়া রোধে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিন।

☑️☑️নিয়মিত পরিচর্যা এবং সঠিক অভ্যাস মেনে চললে চুল পড়া কমানো সম্ভব ।

07/11/2024

📣📣 সাপে কাটলে প্রাথমিকভাবে কিছু জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত:

✅ শান্ত থাকুন ও নড়াচড়া কমান: কাটা স্থানে নড়াচড়া কমাতে হবে, কারণ নড়াচড়ার ফলে বিষ দ্রুত সারা শরীরে ছড়াতে পারে।

✅ কাটা স্থানটি নিচে রাখুন: সাপে কাটা স্থানটি হৃদপিণ্ডের নিচে রাখার চেষ্টা করুন যাতে রক্ত সঞ্চালন ধীর হয় এবং বিষ ছড়ানোর গতি কমে।

✅ কাটা স্থানে কিছু লাগাবেন না: কাটা স্থানে কোনো ঘষা, বাঁধা বা চিরকুট লাগাবেন না। এছাড়া, বাড়িতে কোনো ঘরোয়া ওষুধ বা প্রয়োগ করবেন না।

✅ কাটা স্থানটি পরিষ্কার রাখুন: কাটা স্থানটি হালকা পানি দিয়ে পরিষ্কার করে, সম্ভব হলে ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢেকে রাখুন।

⚠️⚠️ করণীয় নয়:

❎ ক্ষতস্থানে কাপড় বা ফিতা দিয়ে শক্ত করে বাঁধবেন না ।

❎ কাটা স্থানটি চুষে বিষ বের করার চেষ্টা করবেন না।

❎ কাটা স্থানে বরফ দেবেন না।

❎ কোনো প্রকার মদ্যপ পানীয় বা ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় দেবেন না।

☑️☑️ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, সাপে কাটার পরে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছানো, যাতে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সম্ভব হয়।

06/11/2024

🔰🔰 নবজাতকের টিকা দেওয়া খুবই জরুরি। এটা শিশুর রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। জন্মের পর পরই বিসিজি, ওরাল পোলিও এবং হেপাটাইটিস বি-র টিকা দেওয়া হয়। পরে, নিয়মিতভাবে ডিপিথেরিয়া, পারটুসিস, টিটেনাস, হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ বি, হেপাটাইটিস বি, রুবেলা ইত্যাদির টিকা দিতে হয়।

☑️☑️টিকাদানের কিছু সুবিধা হলো:

✅ টিকা শিশুর শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, যা বিভিন্ন মারাত্মক রোগ থেকে রক্ষা করে।

✅ টিকা দেওয়ার মাধ্যমে সমগ্র সমাজে রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা কমে।

✅ শিশুকে নিয়মিত টিকা দিলে ভবিষ্যতে কিছু রোগের গুরুতর জটিলতা এড়ানো সম্ভব।

✅ টিকা দেওয়ার ফলে পরিবার এবং সামাজিক সুরক্ষা বৃদ্ধি পায়।

⚠️⚠️ টিকা না দিলে শিশু কিছু গুরুতর রোগে আক্রান্ত হতে পারে, যেমন ধনুষ্টঙ্কার, হুপিং কাশি, হাম, রুবেলা এবং পোলিও।

এগুলো মারাত্মক এবং কখনও কখনও প্রাণঘাতী হতে পারে।

এছাড়া, টিকা না দিলে শিশু এই রোগগুলো অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থেকে যায়।

তাই, টিকা দেওয়া শিশুর সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

05/11/2024

⚠ প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়, যা মারাত্মক জীবন ঝুঁকি তৈরি করে। তাই জেনে নিন ডেঙ্গু প্রতিরোধ করার উপায় 👇


UNICEF Bangladesh

16/05/2024

গরমে নিন শিশুর বিশেষ যত্ন।

তীব্র গরমে, ঝুঁকির কারণে, থাকতে হবে সাবধানে।
গরম যখন চরমে, সবাই চলি নিয়মে।


UNICEF Bangladesh