11/03/2024
রমজান মাসে ডায়াবেটিস রোগীর চিকিৎসা এবং খাদ্যাভ্যাস কেমন হওয়া উচিৎ?
১. স্বাভাবিক সময়ে সকালে যে ওষুধ খেতেন, রমজান মাসে সেই ওষুধটি ইফতারে খেতে হবে।
২. প্রথম ইফতার থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে, প্রথম সেহেরী থেকে নয়। উদাহরনঃ মনে করেন আগামী কাল থেকে রোজা শুরু। আজ রাতে সেহেরী খেতে হবে, তাহলে আজ রাতের খাবারের সাথে যে ওষুধ খাওয়ার কথা ছিল আপনি সেই ওষুধগুলো কোন ডোজ পরিবর্তন ছাড়াই খাবেন কিন্তু ১ম সেহেরীতে কোন ওষুধ খাবেননা, কারন রাতে খাবারের সাথে যে ওষুধ খেয়েছিলেন সেটা ১ম সেহেরির জন্য যথেষ্ট। রমজানের পুর্বে সকালে যে ওষুধগুলো ছিল সেগুলো ১ম রমজান থেকেই ইফতারের সময় একই ডোজ/মাত্রায় খাবেন। আর সেহেরীর সময় চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনের নির্দেশনা মত ওষুধ খাবেন।
৩. ইফতারে চিনি/গুড় বা অন্যান্য শরবত পরিহার করে স্বাভাবিক পানি/ ডাবের পানি/ দুধ/ টক দই/ মাঠা খেতে পারেন। ওজন এবং গ্যাসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে সকল প্রকার তলেভাঁজা খাবার পরিহার করতে হবে।
৪. ইফতারে সম্ভাব্য যেগুলো খাবার রাখতে পারেন- খেজুর (১-৩ টি), ডিম, দুধ/ টক দই, ডাবের পানি, হালিম, ছোলা, কম মিষ্টি ১-২ টি ফল, ওটস, টক দই, ব্রাউন চিড়া (ধান থেকে তৈরী), কাজু বাদাম, কাঠ বাদাম, ফলের মধ্যে আপেল, পেয়ারা, নাশপাতি, বরই, আমড়া, এ্যভোকাড, ড্রাগন ফল, স্ট্রবেরী, জাম ইত্যাদি থেকে ১-২টি ফল খেতে পারেন। মিষ্টি ফল-খেলে অল্প পরিমাণ খেতে পারেন। কমলা, মাল্টা, আনারস, কলা, তরমুজ খেলে দ্রুত ডায়াবেটিস বেড়ে যাবে, সুতরাং এগুলো খেলে খুব কম পরিমানে খেতে হবে, ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত থাকলে না খাওয়াই ভাল। ইফতারে শুধু শর্করা জাতীয় খাবার না রেখে প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট জাতীয় খাবার রাখার চেষ্টা করবেন, তাহলে ইফতারের পরে রক্তের গ্লুকোজ আস্তে আস্তে রাড়বে।
৫। সেহেরীতে লাল আটার রুটি বা ওটস রাখতে পারেন, পর্যাপ্ত পরিমাণ শাক-সবজি খাবারের তালিকায় রাখতে হবে, অল্প পরিমাণ ভাত খাবার হিসেবে খেতে পারেন। সবজির মধ্যে- আলু, কচু, মিষ্টি কুমড়া কম খাওয়া ভালো। ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত থাকলে না খাওয়াই ভাল। লাল চালের ভাতে ডায়াবেটিস আস্তে আস্তে বাড়ে। দীর্ঘসময় পেটে থাকে এবং আস্তে আস্তে পরিপাক্ব/ মেটাবলিজম হয়। ফলে দীর্ঘ সময় ক্ষুধা লাগেনা।
৬. ইফতারের পর থেকে সেহেরী পর্যন্ত সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাবেন।
৭. বিশ্বের অধিকাংশ আলেমগণের মতে রমজান মাসে রোজা রাখা অবস্থায় ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা যায়, এতে রোজার কোন ক্ষতি হয় না। রোজা শুরুর ৩-৫ দিন পর নিম্নোক্ত সময়ে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করে সাক্ষাৎ করবেন (For Dose Adjustment of Drugs)
1. ইফতারে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা পুর্বে (Target 5-7mmol/L )
2. ইফতারে ২ ঘন্টা পর (Target 7-10 mmol/L)
3. সেহেরীর পুর্বে (Target 5-7 mmol/L)
4. সকাল ১০-১১ টায়, (Target