Lovely Homeo Hall

Lovely Homeo Hall Homeopathic medicine Shop. Expert BHMS & DHMS homeopathic doctors treat here.

এনাল ফিসার , পাইলস , ফিস্টুলা এবং হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাঃমলদ্বারের রোগ সমূহ বিভিন্ন কারনে হয়ে থাকে বিশেষ করে কোষ্ঠ্যকাঠিন্...
14/06/2024

এনাল ফিসার , পাইলস , ফিস্টুলা এবং হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাঃ

মলদ্বারের রোগ সমূহ বিভিন্ন কারনে হয়ে থাকে বিশেষ করে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য প্রধান কারন।
এনাল ফিসার, পাইলস, ফিস্টুলা সহ মলদ্বারের সকল রোগই এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা ব্যাবস্থায় সার্জারি দ্বারা এবং হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সার্জারি ছাড়াই সর্ম্পূন র্নিমূল করা সম্ভব হয়।

★এনাল ফিসারঃ
মলদ্বারের ব্যথায় অনেক লোক ভুগে থাকেন। যে রোগে মলদ্বারে ব্যথা বা জ্বালাপোড়া হয় তার নাম এনাল ফিসার। সাধারণত শক্ত মল হলে বা ঘন ঘন মলত্যাগের কারণে মলদ্বার ফেটে ঘা হয়ে যায়। সমস্যা হল এই যে, এই ঘা শুকাতে চায় না সহজে। আবার কিছু কিছু রোগীর এই ঘা শুকিয়ে গেলেও কিছু দিন পর আবার মল শক্ত হলে একই সমস্যা আবার দেখা দেয়। এই রোগ একজন রোগীর বছরের পরবছর এমনকি ৩০-৪০ বছর থাকতে দেখেছি। এ রোগের উপসর্গেরও বেশ তারতম্য হয়। কোন কোন রোগীর মলত্যাগের পর সামান্য জ্বালা পোড়া হয় এবং তা ৫ থেকে ১৫ মি: পর্যন্ত চলে। আবার কখনও কখনও ব্যথা তীব্র আকার ধারণ করে এবং কয়েক ঘন্টা এমনকি সারাদিন চলতে থাকে। কারো কারো মাথা ধরে যায়। আবার দীর্ঘস্থায়ী এনাল ফিসারে মাঝে মাঝে মোটেই ব্যথা থাকে না। আমার ব্যক্তিগত মতে মলদ্বারের রোগের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বেশি হয়। আমি দেড় মাসের বাচ্চাকে এ রোগ হতে দেখেছি। তবে তরুণ ও যুবকদের বেশী হয়। পুরুষ অথবা নারী উভয়ের এ রোগটি সমান ভাবে হয়ে থাকে।


★পাইলস বা অর্শ্বঃ
পাইলস বা গেজ হলো মলদ্বারের এক ধরনের রোগ যেখানে রক্তনালীগুলো বড় হয়ে গিয়ে ভাসকুলার কুশন তৈরি করে। অর্শ্ব বা পাইলস হলে নিচের সাধারণতঃ যেসব লক্ষণ ও উপসর্গগুলো দেখা দেয়ঃ
মলত্যাগের সময় ব্যথাহীন রক্তপাতপায়ুপথ চুলকানো অথবা অস্বস্তিকর জ্বালাপোড়া ব্যথাপায়ুপথ থেকে বাইরের দিকে ফোলা ও ব্যথা লাগাপায়ুপথের মুখে চাকা অনুভব করা ও ব্যথা লাগাতবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পাইলসের রোগীদের কোনো লক্ষণ থাকে না।

★ফেস্টুলা/ভগন্দরঃ
ফেস্টুলা একটি নালী যা মলদ্বারের ভেতরে শুরু হয়ে মাংসের ভেতর দিয়ে মলদ্বারের পাশে একটি মুখ হয়ে বেরিয়ে আসে এবং মাঝে মাঝে এখান থেকে পুঁজ পড়েও ব্যথা হয়। পেরিএনাল এবসেস বা ফোঁড়া যদি নিজে নিজে ফেটে যায় কিংবা অসম্পূর্ণভাবে অপারেশনের মাধ্যমে পুঁজ বের করা হয় তাহলে এই রোগের উত্পত্তি হয়ে থাকে। এ রোগের দুটি মুখ থাকে। একটি থাকে মলদ্বারের ভেতরে এবং অন্যটি বাইরের স্কিনে। মাঝে মাঝে মলদ্বারের বাইরে ও ভেতরে একাধিক মুখও থাকতে পারে। যাকে আমরা বহুমুখী ফেস্টুলা বলে থাকি। বেশ কিছুদিন স্কিনের মুখটি বন্ধ থাকে এবং ভেতরে পুঁজ ও ময়লা জমতে থাকে। ফলেমুখ ও আশপাশ ফুলে যায় এবং ব্যথা হয়। এক সময় মুখ ফেটে পুঁজ ও ময়লা জাতীয় আঠালো পদার্থ বের হয়ে আসে এবং রোগী সুস্থ অনুভব করে, ভাবে ঘটনাটির পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকে এবং রোগটি জটিলতর হতে থাকে।

★রোগের কারণ এবং কি করে ঘটেঃ
এটি হওয়ার জন্য সাধারণতঃ দায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা মলত্যাগের সময় কুথুনি দেয়া। শক্ত মল বের হওয়ার সময় মলদ্বার ফেটে যায় বলে মনে করা হয়।ঘন ঘন মলত্যাগ বা ডায়রিয়া হলে ফিসারহওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যদিও আঙ্গুল দিয়ে পরীক্ষা করলে মলদ্বার অতিরিক্ত সংকুচিত বলে মনে হয়।গর্ভাবস্থার শেষের দিকে অনেকে ফিসার এর সম্মুখীন হতে পারেন। বাচ্চার গ্রোথ এর সঙ্গে সঙ্গে মলদ্বারে চাপ পরে ফিসার হয়।= পায়ুপথে যৌনমিলনে অভস্ততা ফিসার এর সূত্রপাত ঘটাতে পারে।মলদ্বারের ভিতর সাপোজিটরী জাতীয় ওষুধ দেয়ার সময় অনেকের মলদ্বারে যে ঘা হয় তা থেকেও অনেক রোগীর বিশেষ করে মহিলাদের এ জাতীয় রোগ হতে পারে।

★উপসর্গ ও লক্ষণসমূহঃ
মলদ্বারে ফিসারের প্রধান লক্ষণ হলো ব্যথা, জ্বালাপোড়া ও রক্তক্ষরণ। এ ধরণের ব্যথা সাধারণত মল ত্যাগের অব্যবহিত পরে হয় এবং কয়েক মিনিট থেকে বহু ঘন্টা এমনকি সারাদিনও চলতে পারে। ‘প্রকটালজিয়া ফিউগাঙ্’ নামক এক ধরনের রোগেও মলদ্বারে ব্যথা হয় কিন্তু তা মলত্যাগের অব্যবহিত পরেই হয় না, দিনের যে কোন সময় হতে পারে। পাইলসের জটিলতা যেমন রক্ত জমাট বাধা, আলসার বা গ্যাংগ্রীন হলেও মলদ্বারে প্রচুর ব্যথা হয় কিন্তু তখন রোগী মলদ্বারে বড় একটি মাংসপিন্ড আছে বলে অভিযোগ করেন। মলদ্বারে সংক্রমণ হয়ে ফোড়া হলে, ফিষ্টুলা বা ভগন্দর এবং দুরারোগ্য ক্যান্সারেও ব্যথা হয়। এসব ক্ষেত্রে রোগের ইতিহাস ও রোগীকে ফিজিক্যাল পরীক্ষা করে রোগ সনাক্ত করতে হয়। এই রোগে রক্তক্ষরণের পরিমাণ সাধারণতঃ কম। তবে আমি অনেক রোগী দেখেছি যারা বলেন মুরগী জবাই করলে যেরূপ রক্ত পড়ে তেমন রক্ত যায়। কিছুদিন পূর্বে অল্প বয়সী এক অফিসারকে চিকিত্সা করেছি যার তীব্র রক্ত শূন্যতা হয়েছিল।
দীর্ঘস্থায়ী (ক্রনিক) মলদ্বারের ফিসারের রোগী একটু ভিন্ন ধরনের উপসর্গের কথা বলেন। তাদের অভিযোগের মধ্যে থাকে মলদ্বারে অতিরিক্ত মাংসপিন্ড, পুঁজ পড়া, চুলকানি ইত্যাদি। এসব উপসর্গ একত্রে অথবা আলাদা আলাদাভাবে হতে পারে। এক্ষেত্রে রক্তক্ষরণ থাকতে পারে আবার নাও থাকতে পারে।ব্যথা সাধারণতঃ তীব্র হয় না, আবার অনেক সময় ব্যথা একেবারেই থাকে না।ফিসারের রোগীরা অনেক সময় প্রস্রাবেরসমস্যায় ভোগেন। অনেকে বহুদিন ধরে প্রস্রাব করতে কষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। এ রোগে মহিলারা কখনো কখনো যৌন মিলনে ব্যথা অনুভব করেন। যদিও রোগীরা বুঝতে পারেন যে কোষ্টকাঠিণ্যের কারণে এ সমস্যাটির উদ্ভব হয়েছে তবু ব্যথার ভয়ে রোগীরা টয়লেটে যেতে চান না। এভাবে কোন কোন রোগী ৫-১০ দিন পর একবার টয়লেটে যান।

★তীব্র ব্যথা সম্পন্ন ঘা বা একিউট এনাল ফিসারঃ
এ অবস্থায় রোগীরা ভীষণ ব্যথায় ভোগেন। কয়েক ঘন্টা থেকে বিছানায় শুয়ে ছটফট করতে থাকেন। এসময় মলদ্বার পরীক্ষা করলে দেখা যায় যে, সেটি খুবই সংকুচিত অবস্থায় আছে। তীব্র ব্যথার কারণে ভিতরের ঘা দেখা দু:সাধ্য। কোন যন্ত্রও প্রবেশ করানো যায় না। অনেক রোগী তীব্র ব্যথার জন্য মলদ্বার স্পর্শ করতে দিতে চান না।দীর্ঘস্থায়ী মলদ্বারের ঘা বা ক্রনিকএনাল ফিসারঃ ক্রনিক ফিসার বলা হয় যখন একটি সঠিক ভাবে চিহ্নিত সীমানার মধ্যে ঘা দেখা যায়। এক্ষেত্রে একটি বাড়ন্ত মাংশপিন্ড বা গেজ দেখা যায়। এটিকে বলা হয় ‘সেন্টিনেল পাইলস’।

★প্রতিরোধঃ
কোষ্ঠকাঠিন্য যাতে না হয় সে ব্যবস্থা করা উচিত এবং বেশী শক্তি প্রয়োগে মলত্যাগ করা উচিত নয়। বারে বারে মলত্যাগের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে এবং ডায়রিয়া হলে দ্রুত চিকিৎ্সা করতে হবে।

★কি কি খাবেন!!!
যারা আঁশযুক্ত খাবার খান তাদের এ রোগ কম হয়। আঁশযুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে শাক-সবজি, কাঁচা ফলমূল, আলুর ছোলা, ইসুপগুলের ভূষি ইত্যাদি। এতে থাকা আঁশ মলে পানি ধরে রেখে মলকে নরম করে। ফলে কোষ্টকাঠিন্য এর সম্ভাবনা থাকেনা।ডাল জাতীয় খাবার খান। এক কাপ ডালে ১৫-১৬ গ্রাম আঁশ থাকে। দিনে অন্তত দুই কাপ ডাল খান।খোসাহীন শস্যের চাইতে খোসা যুক্ত শস্য খান। সাদা চাল বা আটা এর বদলে লাল চাল বা আটা খান। খোসা, প্রচুর পরিমানে আশ ও ভিটামিন সরবরাহ করে।নিয়মিত দই খান। এতে থাকা উপকারী ব্যক্টেরিয়া কোষ্টকাঠিন্য রোধে সহায়তা করে।দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি খান।

★কি কি খাবেন না!!!
পাস্তা, ক্র্যাকার, ভাত, বিস্কিট, রুটি ইত্যাদিতে আঁশ অনেক কম। ধরুন আপনি এক বেলার খাবারে নিয়মিত পাস্তা খান বা এক প্যাকেট বিস্কিট খান বা অল্প পরিমান সব্জী দিয়ে বা সব্জী ছাড়া প্রচুর পরিমাণে রুটি বা ভাত খান- এই ধরণের খাদ্যাভাসে অভ্যস্ত থাকলে কিন্তু আপনার শরীরে আঁশ গ্রহণ কম হচ্ছে। ফলে দেখা দিতে পারে কোষ্টকাঠিন্য। মোটকথা কোষ্টকাঠিন্য নিরোধে কার্বোহাইড্রেটে
র সঙ্গে আঁশ এর অনুপাত ঠিক থাকতে হবে।ফ্যাটি ও উচ্চ সুগার যুক্ত খাবার নিয়মিত গ্রহণের অভ্যাস ও কোষ্টকাঠিন্য ঘটাতে পারে। যেমন, গরুর মাংস, চীজ, মাখন, ফ্রাইড খাবার, চকোলেট, আইস্ক্রীম, কোমল পানীয় ইত্যাদি।

★ব্যায়ামঃ
যাদের কোষ্টকাঠিন্য আছে তারা ব্যায়ামের মাধ্যমে কোষ্টকাঠিন্য কমাতে পারেন। ফলে পাইলস হওয়ার সম্ভাবনাও কমে। মাটিতে সোজা শুয়ে পরুন, পা মাটিতে মেশানো থাকবে, পায়েরপাতা ছাদমুখী থাকবে। এবার পেটের পেষী ভিতরে দিকে টেনে ধরে আস্তে আস্তে শ্বাস নিন ও ডান পা টা আস্তে আস্তে দূরে নিন। যতদূর পারেন করুন, এরপর শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পা আগের জায়গায় আনুন। এরপর বাম পা ব্যবহার করে একি ব্যায়াম করুন।

★মলদ্বার এর যত্নঃ
মলদ্বার ও প্বার্শবর্তী অঞ্চল যথাসম্ভব পরিষ্কার রাখুন। সুতী ও ঢিলেঢালা অন্তর্বাস পরিধান করুন। অন্তর্বাসের ভিতরে নরম কোন প্যাড ব্যবহার আপনাকে স্বস্তি দেবে। মাঝে মাঝেই সিজ বাথ (Sitz Bath) নিন, এটির নিয়ম হচ্ছে আধ গামলা লবণ মিশ্রিত গরম পানিতে নিতম্ব ১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে।

★সার্জিক্যাল চিকিৎসাঃ
এ রোগের জন্য অপারেশন করতে হতে পারে একথা শুনলেই রোগীদের আত্মা শুকিয়ে যায়। এমনকি বায়ু বের করতেও কষ্ট হয়। ওষুধে না সারলে অপারেশনই এই ঘা শুকাবার একমাত্র পথ মনে করলেও তা কিন্তু নয়। এটা বারবার ফিরে আসে।

★হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাঃ
মলদ্বারের রোগ সমূহ বিভিন্ন কারনে হয়ে থাকে বিশেষ করে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য প্রধান কারন।
এনাল ফিসার, পাইলস, ফিস্টুলা সহ মলদ্বারের সকল রোগই এ্যালোপ্যাথিক র্সাজারি ছাড়া হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সর্ম্পূন র্নিমূল করা সম্ভব হয়। সার্জারি চিকিৎসায় এক.দুই বছর পর পুনরায় এ রোগ দেখা দেয় কিন্তু হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সম্পূর্ন নির্মূল হয়ে যায় তবে চিকিৎসা নিতে হয় দীর্ঘ দিন যাবত।

এ ধরনের সমস্যায় লক্ষন অনুযায়ী কয়েকটি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ যেমনঃ
১.(Acid nitric)
২. (Nux vom)
৩ (calcaria phos)
৪. (silicea)
৫. (calcaria flour)
৬. (Acid mur)
৭. (Hepar sulphur)
৮. (Sulphur)
৯. (Aesculus hip)
১০. (thuja)

প্রভৃতি।এনাল ফিসার , পাইলস , ফিস্টুলা এবং হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাঃ

মলদ্বারের রোগ সমূহ বিভিন্ন কারনে হয়ে থাকে বিশেষ করে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য প্রধান কারন।
এনাল ফিসার, পাইলস, ফিস্টুলা সহ মলদ্বারের সকল রোগই এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা ব্যাবস্থায় সার্জারি দ্বারা এবং হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সার্জারি ছাড়াই সর্ম্পূন র্নিমূল করা সম্ভব হয়।

★এনাল ফিসারঃ
মলদ্বারের ব্যথায় অনেক লোক ভুগে থাকেন। যে রোগে মলদ্বারে ব্যথা বা জ্বালাপোড়া হয় তার নাম এনাল ফিসার। সাধারণত শক্ত মল হলে বা ঘন ঘন মলত্যাগের কারণে মলদ্বার ফেটে ঘা হয়ে যায়। সমস্যা হল এই যে, এই ঘা শুকাতে চায় না সহজে। আবার কিছু কিছু রোগীর এই ঘা শুকিয়ে গেলেও কিছু দিন পর আবার মল শক্ত হলে একই সমস্যা আবার দেখা দেয়। এই রোগ একজন রোগীর বছরের পরবছর এমনকি ৩০-৪০ বছর থাকতে দেখেছি। এ রোগের উপসর্গেরও বেশ তারতম্য হয়। কোন কোন রোগীর মলত্যাগের পর সামান্য জ্বালা পোড়া হয় এবং তা ৫ থেকে ১৫ মি: পর্যন্ত চলে। আবার কখনও কখনও ব্যথা তীব্র আকার ধারণ করে এবং কয়েক ঘন্টা এমনকি সারাদিন চলতে থাকে। কারো কারো মাথা ধরে যায়। আবার দীর্ঘস্থায়ী এনাল ফিসারে মাঝে মাঝে মোটেই ব্যথা থাকে না। আমার ব্যক্তিগত মতে মলদ্বারের রোগের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বেশি হয়। আমি দেড় মাসের বাচ্চাকে এ রোগ হতে দেখেছি। তবে তরুণ ও যুবকদের বেশী হয়। পুরুষ অথবা নারী উভয়ের এ রোগটি সমান ভাবে হয়ে থাকে।


★পাইলস বা অর্শ্বঃ
পাইলস বা গেজ হলো মলদ্বারের এক ধরনের রোগ যেখানে রক্তনালীগুলো বড় হয়ে গিয়ে ভাসকুলার কুশন তৈরি করে। অর্শ্ব বা পাইলস হলে নিচের সাধারণতঃ যেসব লক্ষণ ও উপসর্গগুলো দেখা দেয়ঃ
মলত্যাগের সময় ব্যথাহীন রক্তপাতপায়ুপথ চুলকানো অথবা অস্বস্তিকর জ্বালাপোড়া ব্যথাপায়ুপথ থেকে বাইরের দিকে ফোলা ও ব্যথা লাগাপায়ুপথের মুখে চাকা অনুভব করা ও ব্যথা লাগাতবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পাইলসের রোগীদের কোনো লক্ষণ থাকে না।

★ফেস্টুলা/ভগন্দরঃ
ফেস্টুলা একটি নালী যা মলদ্বারের ভেতরে শুরু হয়ে মাংসের ভেতর দিয়ে মলদ্বারের পাশে একটি মুখ হয়ে বেরিয়ে আসে এবং মাঝে মাঝে এখান থেকে পুঁজ পড়েও ব্যথা হয়। পেরিএনাল এবসেস বা ফোঁড়া যদি নিজে নিজে ফেটে যায় কিংবা অসম্পূর্ণভাবে অপারেশনের মাধ্যমে পুঁজ বের করা হয় তাহলে এই রোগের উত্পত্তি হয়ে থাকে। এ রোগের দুটি মুখ থাকে। একটি থাকে মলদ্বারের ভেতরে এবং অন্যটি বাইরের স্কিনে। মাঝে মাঝে মলদ্বারের বাইরে ও ভেতরে একাধিক মুখও থাকতে পারে। যাকে আমরা বহুমুখী ফেস্টুলা বলে থাকি। বেশ কিছুদিন স্কিনের মুখটি বন্ধ থাকে এবং ভেতরে পুঁজ ও ময়লা জমতে থাকে। ফলেমুখ ও আশপাশ ফুলে যায় এবং ব্যথা হয়। এক সময় মুখ ফেটে পুঁজ ও ময়লা জাতীয় আঠালো পদার্থ বের হয়ে আসে এবং রোগী সুস্থ অনুভব করে, ভাবে ঘটনাটির পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকে এবং রোগটি জটিলতর হতে থাকে।

★রোগের কারণ এবং কি করে ঘটেঃ
এটি হওয়ার জন্য সাধারণতঃ দায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা মলত্যাগের সময় কুথুনি দেয়া। শক্ত মল বের হওয়ার সময় মলদ্বার ফেটে যায় বলে মনে করা হয়।ঘন ঘন মলত্যাগ বা ডায়রিয়া হলে ফিসারহওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যদিও আঙ্গুল দিয়ে পরীক্ষা করলে মলদ্বার অতিরিক্ত সংকুচিত বলে মনে হয়।গর্ভাবস্থার শেষের দিকে অনেকে ফিসার এর সম্মুখীন হতে পারেন। বাচ্চার গ্রোথ এর সঙ্গে সঙ্গে মলদ্বারে চাপ পরে ফিসার হয়।= পায়ুপথে যৌনমিলনে অভস্ততা ফিসার এর সূত্রপাত ঘটাতে পারে।মলদ্বারের ভিতর সাপোজিটরী জাতীয় ওষুধ দেয়ার সময় অনেকের মলদ্বারে যে ঘা হয় তা থেকেও অনেক রোগীর বিশেষ করে মহিলাদের এ জাতীয় রোগ হতে পারে।

★উপসর্গ ও লক্ষণসমূহঃ
মলদ্বারে ফিসারের প্রধান লক্ষণ হলো ব্যথা, জ্বালাপোড়া ও রক্তক্ষরণ। এ ধরণের ব্যথা সাধারণত মল ত্যাগের অব্যবহিত পরে হয় এবং কয়েক মিনিট থেকে বহু ঘন্টা এমনকি সারাদিনও চলতে পারে। ‘প্রকটালজিয়া ফিউগাঙ্’ নামক এক ধরনের রোগেও মলদ্বারে ব্যথা হয় কিন্তু তা মলত্যাগের অব্যবহিত পরেই হয় না, দিনের যে কোন সময় হতে পারে। পাইলসের জটিলতা যেমন রক্ত জমাট বাধা, আলসার বা গ্যাংগ্রীন হলেও মলদ্বারে প্রচুর ব্যথা হয় কিন্তু তখন রোগী মলদ্বারে বড় একটি মাংসপিন্ড আছে বলে অভিযোগ করেন। মলদ্বারে সংক্রমণ হয়ে ফোড়া হলে, ফিষ্টুলা বা ভগন্দর এবং দুরারোগ্য ক্যান্সারেও ব্যথা হয়। এসব ক্ষেত্রে রোগের ইতিহাস ও রোগীকে ফিজিক্যাল পরীক্ষা করে রোগ সনাক্ত করতে হয়। এই রোগে রক্তক্ষরণের পরিমাণ সাধারণতঃ কম। তবে আমি অনেক রোগী দেখেছি যারা বলেন মুরগী জবাই করলে যেরূপ রক্ত পড়ে তেমন রক্ত যায়। কিছুদিন পূর্বে অল্প বয়সী এক অফিসারকে চিকিত্সা করেছি যার তীব্র রক্ত শূন্যতা হয়েছিল।
দীর্ঘস্থায়ী (ক্রনিক) মলদ্বারের ফিসারের রোগী একটু ভিন্ন ধরনের উপসর্গের কথা বলেন। তাদের অভিযোগের মধ্যে থাকে মলদ্বারে অতিরিক্ত মাংসপিন্ড, পুঁজ পড়া, চুলকানি ইত্যাদি। এসব উপসর্গ একত্রে অথবা আলাদা আলাদাভাবে হতে পারে। এক্ষেত্রে রক্তক্ষরণ থাকতে পারে আবার নাও থাকতে পারে।ব্যথা সাধারণতঃ তীব্র হয় না, আবার অনেক সময় ব্যথা একেবারেই থাকে না।ফিসারের রোগীরা অনেক সময় প্রস্রাবেরসমস্যায় ভোগেন। অনেকে বহুদিন ধরে প্রস্রাব করতে কষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। এ রোগে মহিলারা কখনো কখনো যৌন মিলনে ব্যথা অনুভব করেন। যদিও রোগীরা বুঝতে পারেন যে কোষ্টকাঠিণ্যের কারণে এ সমস্যাটির উদ্ভব হয়েছে তবু ব্যথার ভয়ে রোগীরা টয়লেটে যেতে চান না। এভাবে কোন কোন রোগী ৫-১০ দিন পর একবার টয়লেটে যান।

★তীব্র ব্যথা সম্পন্ন ঘা বা একিউট এনাল ফিসারঃ
এ অবস্থায় রোগীরা ভীষণ ব্যথায় ভোগেন। কয়েক ঘন্টা থেকে বিছানায় শুয়ে ছটফট করতে থাকেন। এসময় মলদ্বার পরীক্ষা করলে দেখা যায় যে, সেটি খুবই সংকুচিত অবস্থায় আছে। তীব্র ব্যথার কারণে ভিতরের ঘা দেখা দু:সাধ্য। কোন যন্ত্রও প্রবেশ করানো যায় না। অনেক রোগী তীব্র ব্যথার জন্য মলদ্বার স্পর্শ করতে দিতে চান না।দীর্ঘস্থায়ী মলদ্বারের ঘা বা ক্রনিকএনাল ফিসারঃ ক্রনিক ফিসার বলা হয় যখন একটি সঠিক ভাবে চিহ্নিত সীমানার মধ্যে ঘা দেখা যায়। এক্ষেত্রে একটি বাড়ন্ত মাংশপিন্ড বা গেজ দেখা যায়। এটিকে বলা হয় ‘সেন্টিনেল পাইলস’।

★প্রতিরোধঃ
কোষ্ঠকাঠিন্য যাতে না হয় সে ব্যবস্থা করা উচিত এবং বেশী শক্তি প্রয়োগে মলত্যাগ করা উচিত নয়। বারে বারে মলত্যাগের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে এবং ডায়রিয়া হলে দ্রুত চিকিৎ্সা করতে হবে।

★কি কি খাবেন!!!
যারা আঁশযুক্ত খাবার খান তাদের এ রোগ কম হয়। আঁশযুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে শাক-সবজি, কাঁচা ফলমূল, আলুর ছোলা, ইসুপগুলের ভূষি ইত্যাদি। এতে থাকা আঁশ মলে পানি ধরে রেখে মলকে নরম করে। ফলে কোষ্টকাঠিন্য এর সম্ভাবনা থাকেনা।ডাল জাতীয় খাবার খান। এক কাপ ডালে ১৫-১৬ গ্রাম আঁশ থাকে। দিনে অন্তত দুই কাপ ডাল খান।খোসাহীন শস্যের চাইতে খোসা যুক্ত শস্য খান। সাদা চাল বা আটা এর বদলে লাল চাল বা আটা খান। খোসা, প্রচুর পরিমানে আশ ও ভিটামিন সরবরাহ করে।নিয়মিত দই খান। এতে থাকা উপকারী ব্যক্টেরিয়া কোষ্টকাঠিন্য রোধে সহায়তা করে।দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি খান।

★কি কি খাবেন না!!!
পাস্তা, ক্র্যাকার, ভাত, বিস্কিট, রুটি ইত্যাদিতে আঁশ অনেক কম। ধরুন আপনি এক বেলার খাবারে নিয়মিত পাস্তা খান বা এক প্যাকেট বিস্কিট খান বা অল্প পরিমান সব্জী দিয়ে বা সব্জী ছাড়া প্রচুর পরিমাণে রুটি বা ভাত খান- এই ধরণের খাদ্যাভাসে অভ্যস্ত থাকলে কিন্তু আপনার শরীরে আঁশ গ্রহণ কম হচ্ছে। ফলে দেখা দিতে পারে কোষ্টকাঠিন্য। মোটকথা কোষ্টকাঠিন্য নিরোধে কার্বোহাইড্রেটে
র সঙ্গে আঁশ এর অনুপাত ঠিক থাকতে হবে।ফ্যাটি ও উচ্চ সুগার যুক্ত খাবার নিয়মিত গ্রহণের অভ্যাস ও কোষ্টকাঠিন্য ঘটাতে পারে। যেমন, গরুর মাংস, চীজ, মাখন, ফ্রাইড খাবার, চকোলেট, আইস্ক্রীম, কোমল পানীয় ইত্যাদি।

★ব্যায়ামঃ
যাদের কোষ্টকাঠিন্য আছে তারা ব্যায়ামের মাধ্যমে কোষ্টকাঠিন্য কমাতে পারেন। ফলে পাইলস হওয়ার সম্ভাবনাও কমে। মাটিতে সোজা শুয়ে পরুন, পা মাটিতে মেশানো থাকবে, পায়েরপাতা ছাদমুখী থাকবে। এবার পেটের পেষী ভিতরে দিকে টেনে ধরে আস্তে আস্তে শ্বাস নিন ও ডান পা টা আস্তে আস্তে দূরে নিন। যতদূর পারেন করুন, এরপর শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পা আগের জায়গায় আনুন। এরপর বাম পা ব্যবহার করে একি ব্যায়াম করুন।

★মলদ্বার এর যত্নঃ
মলদ্বার ও প্বার্শবর্তী অঞ্চল যথাসম্ভব পরিষ্কার রাখুন। সুতী ও ঢিলেঢালা অন্তর্বাস পরিধান করুন। অন্তর্বাসের ভিতরে নরম কোন প্যাড ব্যবহার আপনাকে স্বস্তি দেবে। মাঝে মাঝেই সিজ বাথ (Sitz Bath) নিন, এটির নিয়ম হচ্ছে আধ গামলা লবণ মিশ্রিত গরম পানিতে নিতম্ব ১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে।

★সার্জিক্যাল চিকিৎসাঃ
এ রোগের জন্য অপারেশন করতে হতে পারে একথা শুনলেই রোগীদের আত্মা শুকিয়ে যায়। এমনকি বায়ু বের করতেও কষ্ট হয়। ওষুধে না সারলে অপারেশনই এই ঘা শুকাবার একমাত্র পথ মনে করলেও তা কিন্তু নয়। এটা বারবার ফিরে আসে।

★হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাঃ
মলদ্বারের রোগ সমূহ বিভিন্ন কারনে হয়ে থাকে বিশেষ করে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য প্রধান কারন।
এনাল ফিসার, পাইলস, ফিস্টুলা সহ মলদ্বারের সকল রোগই এ্যালোপ্যাথিক র্সাজারি ছাড়া হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সর্ম্পূন র্নিমূল করা সম্ভব হয়। সার্জারি চিকিৎসায় এক.দুই বছর পর পুনরায় এ রোগ দেখা দেয় কিন্তু হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সম্পূর্ন নির্মূল হয়ে যায় তবে চিকিৎসা নিতে হয় দীর্ঘ দিন যাবত।

অর্শ (Piles or Haemorrhoids) কি, কেনই বা হয়, কত প্রকার এবং এলোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি ও ঔষধবিহীন থেরাপিতে এর চিকিৎসা পদ্ধতি।...
31/05/2024

অর্শ (Piles or Haemorrhoids) কি, কেনই বা হয়, কত প্রকার এবং এলোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি ও ঔষধবিহীন থেরাপিতে এর চিকিৎসা পদ্ধতি।

আমাদের পায়ুপথ তথা মলদ্বারের বাইরে কিংবা ভেতরে অথবা উভয়দিকে ঐ স্থানের শিরা ফোলে গিয়ে টিউমার বা অর্বুদ সদৃশ কিছু পদার্থের দেখা মেলে,তাদের অর্শের বলি বলে। আর রোগটির নামকরণ করা হয়েছে অর্শ বা ইংরেজীতে Piles বা Haemorrhoids. এটি সারা বিশ্বেই এখন ব্যাপকভাবে দৃশ্যমান।

অর্শ হবার কারণ -
* অলস জীবনযাপন
* খাবারের দোষ
* বংশগত
* কোষ্ঠকাঠিন্য
* কোন পীড়াবশত: পায়খানা বা প্রস্রাবের সময় অতিরিক্ত কোঁথ দেয়া
* লিভার বা হার্টের কোন পীড়া বশত:
* দীর্ঘদিন ধরে চলা পেটের পীড়া
* ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
* অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে কাজ করা
* অতিরিক্ত ওজন
* মানসিক কারণ ইত্যাদি।

অর্শের প্রকারভেদ :
এটি 3 প্রকারের হয়ে থাকে-

1. বহির্বলী বা External
2. অন্তর্বলী বা Internal
3. উভয়বলী বা Both sided

1. বহির্বলী অর্শ মলদ্বারের বাইরে দৃশ্যমান হয়। এতে জ্বালা,চুলকানি, সুড়সুড় করা, প্রদাহজনিত যন্ত্রনা হয়।চলাফেরা ও পায়খানা করতে খুব কষ্ট হয়। তবে এতে রক্ত পড়ে না, এটি পাকেও না, কোনরকম ক্ষতও হয় না।
2. অন্তর্বলী অর্শ্ব মলদ্বারের ভেতরে অবস্থান করে। এতে যন্ত্রনা হয়, রক্ত পড়ে, মাঝেমধ্যে অর্শের বলী বের হয়ে পড়ে। কখনো নিজে থেকেই ভেতরে ঢুকে যায়, কখনো আঙুল দিয়ে ঠেলে ভেতরে ঢুকাতে হয়। তবে রক্তস্রাব পায়খানার আগে কিংবা পরে হয়।
3. উভয়বলী অর্শ্ব মলদ্বারের বাহির ও ভেতর, দুদিকেই দেখা যায়। এতে রক্তপাত, জ্বালা, চুলকানি, যন্ত্রনা, বলী বের হয়ে পড়া সবই দেখা যেতে পারে।

অর্শ্বের এলোপ্যাথিক চিকিৎসা -
* টপিক্যাল ক্রিম ও মলম - যেমন Corticosteroids এবং Vascoconstrictors জাতীয় ঔষধ।
* খাবার ঔষধ - ব্যথানাশক Ibuprofen জাতীয় ঔষধ, পায়খানা নরম করার ঔষধ এবং আশ জাতীয় সাপ্লিমেন্ট।
* অপারেশন - Hemorroidectomy
* Sitz bath ও Sclerotherapy

নিউট্রিশনাল থেরাপি -
* প্রতিদিন 6-8 গ্লাস জল পান করা বিশেষত খালি পেটে।
* শুকনো ডুমুর ভালো করে ধুয়ে রাতে ভিজিয়ে সকাল -বিকেল খাওয়া।
* গ্রীষ্মকালে কালো জাম খাওয়া। আমের বীজ পাউডার বানিয়ে খাওয়া।
* শীতকালে মূলা খাওয়া
* বেশী করে ফল খাওয়া
* শাক-সবজি ও আশ জাতীয় খাদ্য বেশী খাওয়া
* মাছ, মাংস খুবই কম খাওয়া,না খেলেই ভালো
* পায়খানা যাতে পরিষ্কার হয় তাতে নজর দেয়া

  প্রাইমারি বিলিয়ারি কোলানজাইটিস কি?প্রাইমারি বিলিয়ারি কোলানজাইটিস একধরনের দীর্ঘস্থায়ী লিভারের বা যকৃতের রোগ যা সময়ের সা...
30/04/2024



প্রাইমারি বিলিয়ারি কোলানজাইটিস কি?

প্রাইমারি বিলিয়ারি কোলানজাইটিস একধরনের দীর্ঘস্থায়ী লিভারের বা যকৃতের রোগ যা সময়ের সাথে সাথে আরও খারাপ হয়। এটার অগ্রগতি শেষ পর্যায়ে লিভার বিকল করে। এটা সবচেয়ে সাধারণভাবে প্রাইমারি বিলিয়ারি সিরোসিস নামে পরিচিত, এবং অটোইমিউন রোগ বলে মনে করা হয়। এটি বেশিরভাগই মহিলাদের আক্রান্ত করে, এবং সাধারণত তাদের জীবনের 40-60 বছর বয়সের মধ্যে হতে দেখা যায়।

এর প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কি কি?

এই রোগ পুরোপুরিভাবেই উপসর্গহীন। প্রায় এক চতুর্থাংশ রোগীর রক্ত পরীক্ষার মধ্যমে রোগ নির্ণয় করা হয়। রোগীরা তলপেটের অস্বস্তি এবং ক্লান্তির একটি ইতিহাসের সাথে উপস্থিত হতে পারেন। ক্লান্তি এতোটাই প্রখর হয় যে, যার ফলে মানসিক অবসাদ এবং অবসেসিভ-কম্পালসিভ বিহেভিয়ার দেখা যায়। পিত্ত সঞ্চয়ের ফলে জন্ডিস সাধারণভাবেই হয়।

ক্লিনিক্যাল পরীক্ষাগুলিতে নিচে আলোচিত লক্ষণগুলি দেখা যেতে পারে:

বর্ধিত লিভার এবং প্লীহা।
গর্ভাবস্থায় নাকের উপর, চোখের তলায় এবং গালের উপরের চামড়া কালো হয়ে যাওয়া।
জন্ডিস- চোখের সাদা অংশ হলুদ দেখায় এবং চামড়ার রঙ হলুদ হয়ে যায়।
পরবর্তী পর্যায়ে, এই রোগ বৃদ্ধি পেয়ে লিভার সিরোসিস হয় এবং লিভার কোষের (হেপাটোসাইটিস) ক্ষতিসাধন করে। এই পর্যায়ে পরিলক্ষিত উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে কম খিদে পাওয়া, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, জন্ডিস, চামড়ার তলায় মাকড়সার মত শিরার আবির্ভাব, ওজন কমে যাওয়া, অ্যানোরেক্সিয়া বা ক্ষুধাহীনতা, চুলকানি, এবং দুর্বলতা।

এর প্রধান কারণগুলি কি কি?

এর সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি; তবে, এই রোগটিকে অটোইমিউন বলে মনে করা হয়।
এই রোগে ছোট পিত্তনালীগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয় যায়। এইভাবে, লিভার কোষ থেকে পিত্তথলির ভিতর পিত্ত প্রবাহিত হতে দীর্ঘস্থায়ী বাধা পায়। পিত্তনালী সঠিকভাবে কাজ না করতে পারায় পিত্ত জমা হয়ে প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং কোষের মৃত্যু ঘটায়। এটি পরবর্তী কালে লিভার কোষকে ধ্বংস করতে পারে। একটি সম্ভাব্য জিনগত উৎস ছাড়াও, এটি সেই সমস্ত রোগীদের মধ্যে দেখা গেছে যারা ইউরিনারি ট্র‍্যাক্ট ইনফেকশনে ভুগছেন।
Diagnosis:
এই রোগ নির্ণয় আমরা যে সকল টেস্ট গুলো করে থাকি সেগুলো হচ্ছে-
# X-ray
# USG
# Biopsy
# CT scan
আপনার অথবা আপনার পরিবারের মধ্যে কোলানজাইটিস রোগটির কোন লক্ষণ বা উপসর্গ উপস্থিত থাকলে অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

  কারপাল টানেল সিন্ড্রোম এমন একটি অবস্থা যেখানে হাতের একটি প্রধান স্নায়ু অর্থাৎ মধ্যম স্নায়ু কব্জির মধ্য দিয়ে যাওয়ার...
27/04/2024


কারপাল টানেল সিন্ড্রোম এমন একটি অবস্থা যেখানে হাতের একটি প্রধান স্নায়ু অর্থাৎ মধ্যম স্নায়ু কব্জির মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় সংকুচিত হয় এবং চেপে যায়। এটি বাহু এবং হাতে অসাড়তা, ব্যথা, ঝনঝন সংবেদন সৃষ্টি করে।
কারপাল টানেল সিন্ড্রোম এমন একটি অবস্থা যেখানে হাতের একটি প্রধান স্নায়ু অর্থাৎ মধ্যম স্নায়ু কব্জির মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় সংকুচিত হয় এবং চেপে যায়। এটি বাহু এবং হাতে অসাড়তা, ব্যথা, ঝনঝন সংবেদন সৃষ্টি করে।
আঙ্গুল এবং কব্জির নড়াচড়ার সময়, আঙুলের ফ্লেক্সর টেন্ডনগুলি কার্পাল টানেলের দেয়ালে এবং মধ্য স্নায়ুতে ঘষে। যদিও টেন্ডনগুলি একটি বিশেষ টেন্ডন আস্তরণের দ্বারা এবং সাইনোভিয়াল তরল দ্বারা লুব্রিকেটেড হয়, কিছু পুনরাবৃত্তিমূলক নড়াচড়া, বিশেষ করে জোর করে আঁকড়ে ধরার সাথে, টেন্ডনগুলি বা তাদের চারপাশের আবরণগুলি ফুলে যেতে পারে। যেহেতু কার্পাল টানেলের আঁটসাঁট আবদ্ধতার মধ্যে সম্প্রসারণের জন্য খুব কম জায়গা থাকে, তাই ফুলে যাওয়ার ফলে সবচেয়ে নরম টিস্যু - মধ্যম স্নায়ু এবং রক্তনালীগুলি সংকুচিত হয়ে যায়। এই চাপের কারণে কব্জি ও হাতে অসাড়তা, ঝিঁঝিঁ ধরা এবং ব্যথা হয় যা CTS-এর প্রাথমিক লক্ষণ । যদি মধ্যম স্নায়ুর উপর চাপ বেড়ে যায়, আক্রান্ত ব্যক্তিরা সাময়িকভাবে হাতের কিছু পেশীর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলতে পারে এবং বস্তু তুলতে বা ধরে রাখতে অসুবিধা হতে পারে। হাতে ব্যথায়ও তারা রাত জেগে থাকতে পারে।

CTS এমন ব্যক্তিদের মধ্যে ঘটতে পারে যারা বারবার হাতের উপর চাপ পড়ে এমন কাজ করেন। অথবা হাতের তালু দিয়ে খুব জোরে আঁকড়ে ধরতে হয়, যেমন ক্লিপার, প্লায়ার বা পাওয়ার ড্রিল ব্যবহার করে- তালুর গোড়ায় চাপের ফলে, যেখানে মিডিয়ান স্নায়ু শুধুমাত্র সুরক্ষিত থাকে 3-মিমি- (0.1-ইঞ্চি-) পুরু ট্রান্সভার্স কার্পাল লিগামেন্ট। এইভাবে, ছুতার, চিত্রকর, মেকানিক্স, নিটার এবং বাদ্যযন্ত্র বাদক এর মতো ব্যক্তিরা CTS-এর ঝুঁকিতে থাকে। কম্পিউটার চালানোর সময় একটি ডেস্ক বা টেবিলের উপর কব্জি হেলান দিয়ে মধ্যস্থ স্নায়ুর উপর অতিরিক্ত চাপ পড়তে পারে এবং এর ফলে স্নায়ুর পার্শ্ববর্তী টেন্ডন এবং টিস্যুতে প্রদাহ হতে পারে। যাইহোক, CTS-এর সব ক্ষেত্রেই কাজ-সম্পর্কিত নয়। যেসব অসুস্থতা টিস্যুর প্রদাহ সৃষ্টি করে—উদাহরণস্বরূপ, আর্থ্রাইটিস, গাউট, হাইপোথাইরয়েডিজম বা ডায়াবেটিস মেলিটাস—কার্পাল টানেলের মধ্যবর্তী স্নায়ুকে প্রভাবিত করতে পারে।
উপসর্গ:
সাধারণত কব্জিসন্ধিতে ব্যাথা বা অস্বস্তী লাগা ।
বেশি সময় কাজ করতে না পারা ।
হাতের পেশীতে ব্যাথা হওয়া এবং হাত অসাড় মনে হওয়া।
রাতে ব্যাথা হওয়া, শক্ত হয়ে যাওয়া।
হাতে শক্তি না পাওয়া ইত্যাদি৷

এই অবস্থার লক্ষণগুলি ধীরে ধীরে শুরু হয় এবং এতে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে:

অসাড়তা বা ঝাঁঝালো: সাধারণত বুড়ো আঙুল নয়, বুড়ো আঙুল, তর্জনী, মধ্যমা বা অনামিকা আক্রান্ত হয়। এই সংবেদন হাতের কব্জি থেকে বাহু পর্যন্ত যেতে পারে।
আক্রান্ত হাতে জ্বলন বা দুর্বলতা অনুভব করা যেতে পারে।
হাতে ব্যথা, শক-সদৃশ sensitivity
হাত থেকে অনিচ্ছাকৃতভাবে বারবার জিনিসপত্র পড়ে যাওয়া।
আপনার মধ্যে লক্ষণ গুলি প্রকাশ পেলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকুন ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

25/04/2024

💥💥এই তীব্র গরম কিভাবে আপনাকে হসপিটাল এ নিয়ে আসবে?💥💥

১.Heat stroke
এই শব্দের সাথে আমরা তুলনামুলক এখন সবাই পরিচিত।যখন আপনার শরীর বেশিক্ষন ধরে বেশি তাপমাত্রায় থাকে একসময় সে তার শরীরের ঠান্ডা করার কারযক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
❌ প্রতিকার-প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে যাওয়া থেকে বিরত থাকি।

২.Viral Hepatitis / লিভার এ প্রদাহ / জন্ডিস
- গরমে অবশ্যই বেশি পানি খাওয়া জরুরী তবে সেটা বিশুদ্ধ হতে হবে।আমরা এখন যা করতেছি
বাইরে থেকে আখের রস খাচ্ছি, লেবুর শরবত খাচ্ছি।
একবার ভেবে দেখেন তো লেবুর শরবত এর ওই বরফ টা কই থেকে আসতেছে?
একেকজন দেখা যাচ্ছে ৪/৫ গ্লাস একবারেই খেয়ে ফেলতেছে।
যার জন্য এখন হসপিটালে Viral hepatitis এর রোগী বাড়তেছে।
❌ প্রতিকার-যারা বাইরে কাজ করি বাসা থেকে একটা বোতল এ বিশুদ্ধ পানি নিয়ে বের হবো।এই গরমে হসপিটাল এ ভতি থাকার চেয়ে একটা বোতল ক্যারি করা অনেক সহজ কাজ।

৩.Diarrhea/ বদহজম /পেট খারাপ
-গরমে যতো টা সম্ভব বাইরের খাবার গুলা এভয়েড করি।গরমে সহজেই হোটেল এর খাবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।যার জন্য ডাইরিয়া র কম্পলেইন আগের থেকে বেড়েছে।
❌ প্রতিকার-বাইরের খাবার যতো টা সম্ভব এভয়েড করেন।
দোকান থেকে স্পিড,আইসক্রিম এসব জিনিস থেকেও বিরত থাকুন

৪.Constipation/কোষ্টকাঠিন্য
-আমরা যেহেতু কাজে ব্যস্ত থাকি যেটা খুব বেশি হচ্ছে কাজের ফাকে পানি খাওয়া হচ্ছে না।অনেক ক্ষন পর গিয়ে দেখা যাচ্ছে এক গাদা পানি খাচ্ছি।এতে করে যে টা হচ্ছে পানির ঘাটতি টা থেকেই যাচ্ছে।
❌প্রতিকার- একটা নিদিষ্ট সময় পর পর পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলি

৫.UTI / প্রস্রাবে ইনফেকশন / কিডনিতে পাথর
-গরমে পানি পরযাপ্ত পরিমান এ না খাওয়ার কারনে সহজেই প্রস্রাবে ইনফেকশন হচ্ছে।
❌প্রতিকার-পর‍যাপ্ত পরিমান পানি গ্রহন করুন,পানি র পাশাপাশি তরল জাতীয় খাবার রাখুন।

৬. Common Cold/Tonsillitis /সদি লাগা / গলা ব্যথা / আয়াজমা
- গরমএ পানির পিপাষা মিটাতে গিয়ে আমরা ফ্রিজের বেশি ঠান্ডা পানি খাচ্ছি,যেটা সাময়িক শান্তি দিলেও
এর পর দেখা যাচ্ছে গলা ব্যাথা,সদি লেগে যাচ্ছে
❌প্রতিকার-হঠাত করে ফ্রিজের বেশি ঠান্ডা পানি পান করবেন না।

✅সবার শেষ এ একটা ই কথা বলবো এই তীব্র গরমে ফেসবুকে এসে গাছ না লাগিয়ে,গরম নিয়ে বিভিন্ন মিমস শেয়ার না দিয়ে একবার ভাবুন এই হালকা গরম এই বাইরে বের হতে এতো কষ্ট হচ্ছে,জাহান্নাম এর আগুন এর গরম কেমনে সহ্য করবেন।তাই মনে মনে হলেও আল্লাহ র কাছ থেকে মাফ চেয়ে নিন

20/04/2024
এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পযন্ত বাংলাদেশে কমন একটি ভাইরাস এর তিনটি ভেরিয়েন্ট প্রভাব বিস্তার করে সেটি হলো ইনফুলেঞ্জা, মূলত এ...
18/04/2024

এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পযন্ত বাংলাদেশে কমন একটি ভাইরাস এর তিনটি ভেরিয়েন্ট প্রভাব বিস্তার করে সেটি হলো ইনফুলেঞ্জা,
মূলত এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পযন্ত এর ব্যপকতা অনেক বেশি থাকে।
Influnza তিনটি ভেরিয়েন্ট এই সময় সরব থাকে ভেরিয়েন্ট তিনটি হলো
influenza A viruses, influenza A (H1N1pdm09) and A (H3N2).

এই ভাইরাসগুলোর সুপ্তকাল ১-২ দিন অর্থাৎ আপনি আক্রান্ত হবার সর্বোচ্চ দুইদিন এর মধ্যে লক্ষন প্রকাশ করবে।
এবং মোটামুটি ৫-৭ দিনের মধ্যে সেলফ কিউর হয়ে যাবে, ( সেলফ কিউর অর্থ হলো নিজে নিজেই ভালো হয়ে যাওয়া)

লক্ষন সমূহ হলো:
১) জ্বর ( ১০১-১০৩)
২) হঠাৎ শরীর ঠান্ডা হওয়া যাওয়া
৩) কাশি
৪) গলা ব্যথা
৫) সার্দি হওয়া
৬) মাথা ব্যথা
৭) সারা শরীরে ব্যথা
৮) বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বমি ও ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে

IEDCR ( Institute of Epidemic disease control and research) এর মতে কিছু কিছু ডিজিজ কন্ডিশনে ইনফুলেঞ্জা মারাক্তক ভয়াবহ হতে পারে তা হল
১) কারো যদি এজমা থাকে
২) ডায়াবেটিস থাকলে
৩)ক্রনিক হার্ট অথবা কিডনী রোগ থাকলে
৪) প্রেগ্ন্যাসির সময়
৫) বয়স্কদের ক্ষেত্রে।

💪💪 যেহেতু Influenza একটি সেলফ কিউর ডিজিজ সেক্ষেত্রে এটির স্পেসেফিক কোন চিকিৎসা নেই।
তবে সিম্পটম অনুযায়ি চিকিৎসা করলে কষ্ট কমিয়ে আনা সম্ভব। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা যেহেতু সম্পূর্ন লক্ষন ভিত্তিক সুতরাং এটি আপনার প্রিভেনশন এবং কিউর দুই ক্ষেত্রেই অবদান রাখতে পারে

পার্সোনাল ইমিউনিটি বুষ্ট করার জন্য প্রোটিন যুক্ত খাবার এবং ভিটামিন সি গ্রহন এর পরিমান বাড়িয়ে দিতে হবে সাথে বেশি করে ভিটামিন এইচ গ্রহন করতে পারেন
ভিটামিন এইচ প্রোটিন মেটাবলিজম করতে সাহায্য করে।

😡😡😡 অহেতুক এন্টিবায়োটিক খাবেন না কারন ভাইরাল ডিজিজ কিন্তু এন্টিবায়োটিক এ কিউর হয় না, বরং ক্ষতির মাত্রা বাডবে

শরীর মুছিয়ে দিয়ে জ্বর আসলে হাইড্রথেরাপি বা পানি দিবেন, লিকুইড বেশি খাবে, ঠান্ডা খাবার পরিহার করবেন

প্রোফাইলেক্সিস হিসেবে হোমিওপ্যাথি মেডিসিন
Influenzinum চিকিৎসক এর পরামর্শ নিয়ে সেবন করতে পারেন, এতে ইনফুলেঞ্জা হবার ঝুকি কিছুটা কমে আসবে।

আজকে আমরা আলোচনা করবো খুবই কমন একটি স্বাস্থ্য সমস্যা টনসিলাইটিস ও এর চিকিৎসা নিয়ে। চলুন শুরু করা যাক।টনসিল কি???টনসিল এ...
11/02/2024

আজকে আমরা আলোচনা করবো খুবই কমন একটি স্বাস্থ্য সমস্যা টনসিলাইটিস ও এর চিকিৎসা নিয়ে। চলুন শুরু করা যাক।

টনসিল কি???
টনসিল এক ধরনের লিমফয়েড টিস্যু।
কাজ : এরা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার একটি অংশবিশেষ।
টনসিলাইটিস:
মানুষের মুখের ভিতর ৪টি গ্রুপে টনসিল অবস্থান করে, লিঙ্গুয়াল, প্যালাটাইন, টিউবাল ও এডেনয়েড। ৪টি গ্রুপের কোন একটির প্রদাহ বা ইনফেকশন হলে এটি টনসিলাইটিস বা টনসিলের প্রদাহ। টনসিলাইটিস একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। প্যালাটাইন টনসিল বেশি আক্রান্ত হয় ফলে গলা ব্যথা হয়।
কারণ : টনসিল প্রদাহের অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভাইরাসই দায়ী। তবে ব্যাকটেরিয়াল প্রদাহের জন্যও হতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে হেমোলাইটিক স্ট্রেপটোকক্কাস নামক ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে টনসিল প্রদাহ হয়ে থাকে।

একিউট টনসিলাইটিস একিউট মায়াজমেটিক ডিসঅর্ডার।

অন্যদিকে আইসক্রিম, ফ্রিজের ঠা-া খাবার, শীতল পানিও ক্ষতির কারণ হতে পারে।
অধিকন্তু দীর্ঘদিন ধরে ঠা-া, কাশি, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, দূষণ, অপুষ্টিজনিত সমস্যা হতেও প্রদাহ হয়ে থাকে।
ক্রনিক টনসিলাইটিস সাইকোটিক মায়াজমের প্রাধান্যের কারণে হয়ে থাকে।

প্রকার: টনসিলাইটিস সাধারণত ২ প্রকারের হয়। একটি একিউট বা তরুণ প্রদাহ।
অন্যটি ক্রণিক বা দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহ।

একিউট টনসিলাইটিসে লক্ষণ সমূহ:-
জ্বর, গলা ব্যথা যা কান পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করে, ঢোক গেলার সময় বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়, কণ্ঠস্বর মোটা বা ভাঙ্গা হয়ে যায়, জিব্বা সাদা প্রলেপ যুক্ত হয়, পালস দ্রুততর হয়, টনসিল ফুলে বড় হয়, সারভাইকাল গ্লান্ডগুলো ফুলে উঠে, ব্যথাযুক্ত হয়।

ক্রনিক টনসিলাইটিস এর লক্ষণ সমূহ:-
বারবার দেখা দেয়া একিউট টনসিলাইটিস অথবা টনসিলের প্রদাহ বারবার দেখা দেয়া।
সম্ভাব্য টনসিল ফুলে বৃহৎ আকার ধারণ করে ।
স্যারভাইকেল ল্যিমপ্যাথেটিক গ্ল্যান্ড গুলো ফুলে উঠে।
শরীর, গলা, মাথা-কান ব্যথা হয়। গলা ব্যথায় খাবার গিলতে সমস্যা হয় এবং মুখ হা করতে কষ্ট হয়।
মুখ দিয়ে লালা পড়ে ও দুর্গন্ধ বের হয়।

জটিলতা:
• টনসিলের চারপাশে প্রদাহ ছড়িয়ে পড়তে পারে
• টনসিলের উপর abscessness ফোঁড়া এবং ক্ষত হতে পারে।
• টনসিলাইটিসের ফলে বাতজ্বর বা রিউমেটিক ফিভারও হতে পারে।
• প্রদাহের ফলে শ্বাসনালীতে সংক্রমণের কারণে শ্বাসনালী ফুলে যেতে পারে, ফলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
• জীবাণু রক্তে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এমনকি রক্তের মাধ্যমে জীবাণু কিডনীতে (বৃক্কে) ছড়িয়ে একিউট প্রদাহ হতে পারে।

কখনো কখনো ঔষুধের মাধ্যমে আরোগ্যের পর্যায়ে না থাকলে শৈল্য চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

তবে দীর্ঘমেয়াদী হলেই যে শল্যচিকিৎসা করাতে হবে এমনটা নয়।

টনসিল নিয়ে কিছু ভুল ধারণা:
টনসিল ফেলে দিলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। যা ভুল ধারণা।
কারণ টনসিল হলো মানবদেহের প্রথম পাহারাদার। এছাড়া গলায় ৩০০ বা এর বেশি লালাগ্রন্থি বা স্যালিভারী গ্ল্যান্ড আছে, যেগুলো রোগ প্রতিরোধ করে।

সাধারণ ব্যবস্থাপনা:-
জ্বরের সময় বেড রেস্ট ।
বার বার উষ্ণ গরম পানি বা স্যালাইন দিয়ে কুলি/গারগেল করা।
মুক্ত নির্মল বায়ু এবং সূর্যতাপ গ্রহণ করা।
সুষম খাদ্য গ্রহণ করা।
গলায় ঠান্ডা লাগানো থেকে বিরত থাকা।
লেবু বা আদা চাও খাওয়া খেতে পারে।

চিকিৎসা/ব্যবস্থাপনা:

হোমিওপ্যাথি লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি। তাই সঠিক লক্ষণগুলো সংগ্রহ করে সঠিক পদ্ধতি অনুসারে চিকিৎসা করালে টনসিল প্রদাহ হতে রেহাই পেয়ে রোগী সুস্থ হয়ে উঠবেন ইনশাআল্লাহ।
তবে বার বার টনসিলাইটিস বা এর অন্য কোন জটিলতা সৃষ্টি হলে অস্ত্রোপচার করাই উত্তম।

Hirschsprung's Disease  (হার্শপ্রাং'স ডিজিজ)  হল এমন একটি অবস্থা যা বৃহৎ অন্ত্রকে প্রভাবিত করে, যার ফলে মলত্যাগের সময় স...
07/02/2024

Hirschsprung's Disease (হার্শপ্রাং'স ডিজিজ) হল এমন একটি অবস্থা যা বৃহৎ অন্ত্রকে প্রভাবিত করে, যার ফলে মলত্যাগের সময় সমস্যা হয়।
Hirschsprung’s Disease হল যখন শিশু বা শিশুরা তাদের অন্ত্র একেবারেই খালি করতে পারে না। ভ্রূণের বিকাশের সময় কোলন বা অন্ত্রে অনুপস্থিত বা ভুলভাবে গঠিত স্নায়ু কোষের কারণে জন্মগত ত্রুটি থাকলে এই অবস্থাটি ঘটে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে, মলত্যাগের সমস্যা জন্মের সাথে সাথে শুরু হয়, কিন্তু যদি এটি একটি মৃদু ক্ষেত্রে হয়, সমস্যাগুলি কয়েক মাস বা কখনও কখনও কয়েক বছরের মধ্যে উপস্থিত হতে পারে।

হজম প্রক্রিয়ার সময়, খাদ্য অন্ত্রে পৌঁছায়, এই সময়ে পেরিস্টালসিস নামে পরিচিত দ্বারা বাইরে ঠেলে দেওয়া হয়। এই ধাপের জন্য গ্যাংলিয়ন নামক নির্দিষ্ট কোষের প্রয়োজন হয়, যা উল্লেখযোগ্যভাবে অনুপস্থিত হলে, ব্যাকআপের কারণ হয়, যার ফলে Hirschsprung's Disease হয়।

লক্ষণ এবং ঝুঁকির কারণ
Hirschsprung এর রোগের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

লক্ষণীয়ভাবে, পেট ফুলে যাওয়া
প্রচুর গ্যাস
মলগুলিতে রক্ত
বমি, প্রায়ই সবুজ বা বাদামী রঙের
RBC এর ঘাটতির কারণে রক্তাল্পতা
ক্ষুধা হ্রাস এবং ফলস্বরূপ বৃদ্ধি বিলম্বিত
এই রোগটি প্রায়শই মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, প্রায় প্রায় চারবার। অন্যান্য ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে পরিবারের একজন সদস্য যার রোগের ইতিহাস রয়েছে বা এমনকি একটি ভাইবোন থাকা। ডাউনস সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশুরাও Hirschsprung's রোগের ঝুঁকিতে বেশি থাকে।

টেস্ট
Hirschsprung রোগের নির্ণয় বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে করা হয়, যার মধ্যে বৃহৎ অন্ত্রের কোথায় বাধা রয়েছে তা নির্ধারণের জন্য এক্স-রে অন্তর্ভুক্ত কিন্তু সীমাবদ্ধ নয়, এবং এটি সাধারণত একটি ভাল ছবির জন্য বেরিয়াম ঢোকানো হয়।

একটি ম্যানোমেট্রিও করা যেতে পারে, যেখানে মলদ্বারের একটি প্রতিফলন পরিমাপ করা হয়। এটি প্রধানত বয়স্ক শিশুদের উপর করা হয়। একটি বেলুন মলদ্বারে স্থাপন করা হয় এবং তারা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় তা দেখতে ফুলিয়ে দেওয়া হয়। একবার ডিফ্ল্যাট হয়ে গেলে, পেশীগুলি শিথিল না হলে, Hirschsprung's Disease সমস্যা হতে পারে। আক্রান্ত কোষগুলির একটি বায়োপসিও একটি সাধারণ পরীক্ষা যা করা হয়, যেখানে অন্ত্রের একটি ছোট টুকরো সরানো হয় এবং অনুপস্থিত স্নায়ু কোষের জন্য পরীক্ষা করা হয়। শিশুর মলত্যাগের ফ্রিকোয়েন্সি সম্পর্কে কথোপকথনের পরেও ডাক্তার রোগ নির্ণয় করতে পারেন।

Address

59 Modhumita Road
Tongi
1710

Opening Hours

Monday 09:00 - 13:00
17:00 - 22:00
Tuesday 09:00 - 13:00
17:00 - 22:00
Wednesday 09:00 - 13:00
17:00 - 22:00
Thursday 09:00 - 13:00
17:00 - 22:00
Friday 09:00 - 13:00
17:00 - 22:00
Saturday 09:00 - 13:00
17:00 - 22:00
Sunday 09:00 - 13:00
17:00 - 22:00

Telephone

+8801752818541

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Lovely Homeo Hall posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Lovely Homeo Hall:

Share