20/02/2025
-:থাইরয়েড :-
মানুষের শারীরিক সমস্যাগুলির মধ্যে থাইরয়েডের সমস্যা বর্তমানে একটি অতি পরিচিত একটি রোগ। থাইরয়েড গ্রন্থি অবস্থিত আমাদের গলার মধ্যে। এই গ্রন্থি থেকে বেরিয়ে আসা হরমোন মানুষের শরীরের নানান কাজ করে। থাইরয়েড গ্রন্থি যখন ফুলে যায় তখন গলগন্ড রোগের সৃষ্টি হয়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, থাইরয়েড সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যাগুলি
থাইরয়েড হওয়ার কারণ:-
থাইরয়েডের সমস্যা হওয়ার সবচেয়ে যে বিশেষ কারণে সেটি হল আয়োডিনের অভাব। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়োডিন না গেলে এই রোগের সমস্যাটি দেখা দিতে পারে। লবণ শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর হলেও এটি থাইরয়েড সমস্যার মোকাবিলা করতে সক্ষম যেহেতু এরমধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়োডিন রয়েছে।
থাইরয়েড রোগের লক্ষণগুলি:-
১) থাইরয়েড রোগের সর্বপ্রথম লক্ষণ হলো ঘুম ঘুম ভাব আর সেই সাথে অলসতা। ২) ত্বকের কোমলতা কমে গিয়ে খসখসে হয়ে যাওয়া। ৩) পায়ের অংশ কিছুটা ফুলে যাওয়া। ৪) খাবারে রুচি চলে যাওয়া। ৫) তুলনামূলকভাবে চুল পড়তে শুরু করা। ৬) হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়া। ৭) স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে গিয়ে মন মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া। ৮) কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা শুরু হওয়া। ৯) ব্লাড প্রেসার ধীরে ধীরে বাড়তে থাকা। ১০) শীত শীত ভাব অনুভূত হওয়া। ১১) পিরিয়ডের সমস্যা হওয়া। ১২) হার্টের সমস্যা এবং ১৩) হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা অনুভূত হওয়া।
থাইরয়েড থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়:-
১) যেহেতু থাইরয়েড রোগীদের অভাবজনিত কারণে হয়ে থাকে সেই জন্য আয়োডিনযুক্ত খাবার গুলি অতিরিক্ত পরিমাণে আপনাকে খেতে হবে। যেমন গাজর দুধ সামুদ্রিক মাছ শাকসবজি এবং মৌসুমি ফল গুলিতেও প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে
থাইরয়েড কে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রোটিনের মাত্রা খুব বেশি থাকা দরকার সেই জন্য আপনার পাতে নিয়মিত মুরগির মাংস ডিম পনির ইত্যাদি খেলে থাইরয়েড সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।
৩) থাইরয়েড সমস্যার মোকাবেলা করতে হলে আপনার ঘুমের খুবই প্রয়োজন সেই জন্য রাত জেগে যারা থাকে তাদের এই সমস্যা বেড়ে যাওয়ার বেশি আশঙ্কা দেখা যায়। তবে যাদের রাতে কাজ থাকে তারা দিনের বেলায় ঘুমিয়ে পর্যাপ্ত ঘুমের ঘাটতি মেটাতে পারে।
লক্ষণ সাদৃশ্যে হোমিওপ্যাথিতে'ই ইহার (থাইরয়েড) আরোগ্য লাভ সম্ভব।
থাইরয়েড গ্ল্যান্ড জেনারেল মেডিসিন।
ক্যালকেরিয়া কার্ব, ক্যালকেরিয়া আয়োড, আয়োডিয়াম, ক্যালি আয়োড, ল্যাকেসিস, লাইকোপোডিয়াম, নেট্রাম মিউর, সিপিয়া, স্পঞ্জিয়া, থাইরয়েডিনাম।
ভিতরে সংকোচন- ক্যালকেরিয়া সালফ, ক্রটন টিগ, আয়োডিয়াম।
শক্ত থাইরয়েড- আয়োডিয়াম, স্পঞ্জিয়া।
নরম থাইরয়েড- আয়োডিয়াম।
বাম দিক- চেলিডোনিয়াম, ল্যাকেসিস।
ডান দিক- কষ্টিকাম, লাইকোপোডিয়াম, নেট্রাম কার্ব, ফসফরাস, সিপিয়া।
মাসিকের পূর্বে বৃদ্ধি- সিমিসিফুগা।
মোটা ব্যক্তির- ক্যালকেরিয়া কার্ব।
ব্যথাযুক্ত- আয়োডিয়াম প্লাটিনাম, স্পঞ্জিয়া।
ফোলা ও ব্যথা যুক্ত- স্পঞ্জিয়া।
চাপ দেওয়া ব্যথা- নেট্রাম কার্ব।
রক্তনালীতে-এপিস, ক্যালকেরিয়া কার্ব।