
05/09/2025
হঠাৎ যদি একদিন দেখেন আপনার ব্যাংক একাউন্টে কোন টাকা নাই তখন কি করবেন?
কয়েকদিন আগে আমার স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ভিসা কার্ড থেকে হঠাৎ করে ৫০০০০ টাকা গায়েব হয়ে গেল। কিভাবে? আগস্টের ২৬ তারিখ রাত ৭:৪৩ এ দুইটা ওটিপি মেসেজ আসল ফোনে। এরপরেই মেসেজ ৫০০০০ টাকা অ্যাড টু বিকাশ মানি, আমার কার্ড থেকে। ওটিপি আসার সময় থেকে এই ট্রানজেকশন হইতে ম্যাক্সিমাম ২০ সেকেন্ড লেগেছে কিংবা তারও কম। কেউ আমার কাছে ওটিপি চায়নি। আমার ফোন আমার সামনে, কম্পিউটার আমার সামনে। জাস্ট ওটিপি আসল, এরপরই টাকা ট্রান্সফার ডান।
আমি ইমিডিয়েটলি ফোন করে কার্ড ব্লক করলাম। মাশাল্লাহ সার্ভিস তো দিন কে দিন ডাউন হইতেছে সেটার কোনও খোঁজ নাই। এখন এদের হেল্পলাইন এ ঢুকতেও রীতিমত যুদ্ধ করা লাগে। আমি ফোন দিয়ে মিনিটের পর মিনিট ওয়ে করতেছি, কারও এনসার করার টাইম নাই। ৭/৮ মিনিট পরে ইয়াতাসা না কি নাম একজন ধরল, ধরে বলে ট্রানজেকশন হয়ে গেছে এখন আপনাকে কমপ্লেইন করতে হলে স্টেটমেন্ট আশা পর্যন্ত ওয়েইট করা লাগবে, এর আগে কমপ্লেইন রাখা যাবে না। এর মাঝে ওয়েট করতে করতে আমি আমার আরএম মিস্টার আশিক রাব্বানীকে ফোন দিয়েছিলাম ইমেডিয়েট কার্ড ব্লক করতে হেল্প করার জন্য - উনি সাপোর্টের নাম্বার দিয়ে বলল সেখানে ফোন দিতে - মানে কোনও ইমার্জেন্সি সার্ভিস নাই কার্ড ব্লক করার। আচ্ছা ব্যাক টু দ্য কল - সেই মহিলা আমাকে বলল কমপ্লেইন রাখা যাবে না স্টেটমেন্ট এ না আশা পর্যন্ত, দুই তিন দিন ওয়েইট করতে হবে।
এরপরে আমি কেটে দিয়ে আবার কল করলাম, এবার আরেকজন ধরল স্বাক্ষর নামে, হি ওয়াজ হেল্পফুল । সে সাথে সাথে আমার কমপ্লেইন রাখল, সে কিন্তু এবার বলে নাই যে স্টেটমেন্ট এ না আসা পর্যন্ত কমপ্লেইন রাখা যাবে না - ভাবেন একবার কল সেন্টারের সার্ভিসের অবস্থা। আমার কমপ্লেইন কেস নাম্বার 20250826978543
এরপরে পাঁচ দিন পরে নাজনীন নামের একজন ফোন করে জানাল ব্যাংকের কিছু করার নাই কারণ ওটিপি দিয়ে এটা হয়েছে। আমি বললাম যে OTP দিয়ে হয়েছে সেটা তো দেখাই যাচ্ছে কিন্তু আমার ফোন থেকে OTP শেয়ার হয়নাই, কম্পিউটার থেকেও না। এটা ডেফিনিটলি আপনাদের এন্ডের প্রবলেম। হয় আপনাদের কার্ড ডিভিশনের কোন অসৎ এমপ্লয়ি এটার সাথে জড়িত, কিংবা আপনাদের এন্ডের কোনও সিকিউরিটি ইস্যু বা ফল্ট যেটার কারণে আপনাদের সাইড থেকে OTP লিক হয়েছে। অবশই এটা আপনাদের সমস্যা। নাজনীনের এক কথা এখানে ব্যাংকের কিছু করার নাই। ইনভেস্টিগেশন ইজ ডান - সমস্যা আপনারই।
এবার আমার কথা বলি - আমি যথেষ্ট সিকিউরিটি এবং প্রাইভেসি কনসার্ন্ড একজন মানুষ। আমি কার্ড ইউজ করলেও যথেষ্ট ভিজিল্যান্ট এবং সিকিউর ভাবে ইউজ করি, ক্র্যাকড কোনও কিছু ব্যবহার করি না, ফোনে তো প্রশ্নই আসে না। পেমেন্ট করতে গেলেও একদম ট্রাস্টেড সোর্স বা গুগল প্লেস্টোর থেকে করা যায় সেগুলোতেই পে করি। আমার ২০০৯ সাল থেকে ক্রেডিট কার্ড ইউজ করার পরে জীবনে এই প্রথম কোনও ফ্রড ট্রানজেকশন হয়েছে এইটা - আমার জীবনের প্রথম ক্রেডিট কার্ড ফ্রড কেস ইন লাস্ট ১৬/১৭ বছর। আমার আশেপাশের মানুষজনও জানে আমি কি পরিমাণ সিকিউরিটি কনসার্ন্ড একজন মানুষ এবং কিভাবে কার্ড ইউজ করি। আমি জানি এখানে আমার বিন্দুমাত্র কোনও ফল্ট নাই এবং আমি বিশ্বাস করি এটা ১০০% স্ট্যান্ডার্ড চার্টারডের সিকিউরিটি ইস্যু। ওদের সাইড থেকে OTP + Info লিক না হলে এরকম হওয়া অসম্ভব। আর এটা তো ফরেন ট্রানজেকশনও না - লোকাল।
এইবার আসল কাহিনিতে আসি। গত কয়েকদিনে লিংকড-ইন এবং ফেসবুকে দেখবেন আরও মানুষজন সেম কাহিনি শেয়ার করেছে - তাদের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড কার্ডেও ঠিক একই ভাবে টাকা মেরে দেয়া হয়েছে। তারা কেউ OTP শেয়ার করে নাই, এবং সবারই স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড এর কার্ড। এইবার আপনারাই বলেন আপনাদের কি মনে হয়? আমি এই লিংকগুলো কমেন্টে শেয়ার করছি নিচে। একসাথে এতোগুলো মানুষের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড কার্ড থেকে টাকা মেরে দেয়া হলো আর ব্যাংক এইরকম দায়িত্বজ্ঞানহীন ভাবে বলবে এটা আমাদের সমস্যা? সিরিয়াসলি?
আমি বাংলাদেশ ব্যাংক এ রিপোর্ট করেছি। ওয়েট করছি কি রেজাল্ট আসে সেটা দেখার। মিনহোয়াইল আমি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড এর হেডকোয়ার্টারে দায়িত্বশীল মানুষজনকে এটা জানাবো। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড এর নিজের সিকিউরিটি দুর্বলতা বা ইস্যুর কারণে আমার বা আরও মানুষজনের সেম পদ্ধতিতে টাকা মার যাবে আর ব্যাংক থেকে স্ট্রেট মুখের উপরে বলে দেয়া হবে “এখানে ব্যাংকের কিছু করার নাই” এইটা হতে পরে না। দিস ইস ইরেসপন্সিবল। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ, ইউ আর জাস্ট এ লায়ার এন্ড ট্রাইং টু সেভ ইউর মানি বাই ব্লেমিং আস যেখানে এটা ক্লিয়ারলি আমাদের ফল্ট না। শেম অন ইউ স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ, শেম অন ইউ। হাউ ডিসগ্রেসফুল আর প্যাথেটিক সাপোর্ট।
Collected