শিশু চিকিৎসক ডাঃ আলমগীর হোসেন শিমুল

  • Home
  • শিশু চিকিৎসক ডাঃ আলমগীর হোসেন শিমুল

শিশু চিকিৎসক ডাঃ আলমগীর হোসেন শিমুল A page about your child's health and well-being from a child physician.

26/11/2025

নেসলের নিম্নমানের কিটক্যাট চকলেট এবং মেঘনা গ্রুপের "ফ্রেশ" ব্র‍্যান্ডের চিনিতে ক্ষতিকর সালফার ডাই অক্সাইড পাওয়া গেছে বলে আদালতে মামলা হয়েছে। জারি হয়েছে গ্রেফতারী পরোয়ানা। হতবাক হবার কিছু নেই। আমাদের সোনার বাংলায় আমদানি করে আনা অন্যসব চকলেট পরীক্ষা করলেও একই রেজাল্ট আসবে। এই জাতির কাছে ভাল মানের জিনিস দেয়ার তো প্রয়োজন নেই।

শুধু ফ্রেশ এর চিনি কেন, অন্যসব কোম্পানির সাদা চিনি পরীক্ষা করলেও নিশ্চিত সালফার ডাই অক্সাইড পাওয়া যাবে। এগুলো তো শুধু মান পরীক্ষা। সেইফটি বা নিরপদতা পরীক্ষা করলে যে কী ধরা পড়বে সেটা আল্লাহ ভাল জানেন।

সেদিন এক ভ্যানগাড়ির শাক দেখলাম নালার পানি দিয়ে ধুয়ে তুলছে।

শীত এসে গেছে। গুড় তৈরি হচ্ছে পুরো কেমিক্যাল দিয়ে। এক ফোটা রস নেই সেখানে। গরুর দুধ বানানো হচ্ছে কেমিক্যাল দিয়ে। পুরো কেমিক্যালময় এক জাতি!

চমৎকার! এক সাথে এত ভাল প্যাকেজ কোন দেশে পাবেন? কোন দেশের জনগণকে খাওয়ানো যাবে এসব? কোন দেশের সরকার তা সহ্য করে নির্বিকার থাকবে?

আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি। আহ! কোথায় পাবেন এমন চেতনা!!

ঢাকা ওয়াসার পানিতে PFAS, কীট**নাশক রেসিডিউ এবং ফার্মাসিউটিক্যালস পাওয়া গেছে। সমানে সবাই কমপক্ষে দুই লিটার করে পানি খেয়ে যাচ্ছি। সেদিন রেজাল্ট প্রকাশের দিন ঢাকা ওয়াশার কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনের পর তারা মাইক নিয়ে অনুরোধ জানালেন এটা যেন প্রকাশ করা না হয়। চমৎকার ভালবাসার আবদার।

এরপর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আর ওয়াশার কেউ যোগাযোগ করেনি। রিপোর্ট নেয়া তো দূরের কথা। আছে কারো কোনো নড়াচড়া!! কোনো রিসার্চ, কোনো চিন্তাভাবনা কারো। মরুক সবাই।

চা পাতায় রেডিও এক্টিভ এলিমেন্টস রেডিয়াম থোরিয়াম ইউরেনিয়াম এন্টিমনি পাওয়া গেল। আছে কারো মাথা ব্যাথা? কোনো নড়াচড়া? না সরকার, না কোম্পানি!!

সয়াবিন তেলে মাত্রাতিরিক্ত হেভি*.মেটাল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় তা প্রকাশ পেয়েছে। জার্নালও পাবলিশ হয়েছে। আছে কারো মাথা ব্যাথা? কোনো নড়াচড়া?

মুরগী ডিম মাছ শাকসবজি'র কথা বহুবার বলেছি। অসংখ্য রিসার্চ হয়েছে তা নিয়ে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সরকার।

আমাদের ফুড সেইফটি অথোরিটি ভয়ানক ব্যস্ত খাবার তেলে ভিটামিন-এ এবং লবণের আয়োডিন নিয়ে। এটা নিয়ে সেমিনার সিম্পোজিয়ামে বছর কাটে তাদের।

আমার সোনার বাংলা। এখানে যা ইচ্ছা, যা খুশি তাই করা যায়। ২০০% স্বাধীন সবাই।

** শেয়ার বা কপি পেস্ট করলে বাধিত হব। আমার জন্য নয়, আপনার পরিবারের জন্যও দরকার।
@মাহবুব কবির মিলন

একটা রিকুয়েষ্ট করলে রাখবেন? প্লিজ আপনারা বাহিরের খাবার বেশি খাবেন না। পারলে একদম বাদ দিবেন। বাচ্চাদেরকে বাহিরের জুশ/কেক/...
25/11/2025

একটা রিকুয়েষ্ট করলে রাখবেন? প্লিজ আপনারা বাহিরের খাবার বেশি খাবেন না। পারলে একদম বাদ দিবেন। বাচ্চাদেরকে বাহিরের জুশ/কেক/বিস্কুট/কোক/চকলেট/জেলি/সস দিবেন না।
নিজেরাও খাবেন না প্লিজ। বাংলাদেশের খাবারে কি পরিমাণ ভেজাল সেটা আপনারা অনেকেই জানেন। খবর গুলো নিয়মিত দেখবেন, ছোটবেলা থেকেই নিউজ পেপার আর খবর দেখার শখ আমার। প্রতিদিন কম হলেও ১ ঘন্টা আমি নিউজ দেখি, দেশের খবর+আন্তর্জাতিক খবর। আপনারা প্লিজ খাবার নিয়ে সতর্ক থাকবেন। আমাদের দেশে কোনো উন্নত চিকিৎসা নেই। বড়লোকেরা চিকিৎসা করাতে বিদেশ চলে যায় আর আমরা যারা গরিব তাদের জীবন সরকারি হাসপাতালেই চলে যায়৷ আপনি যে ডাক্তার দেখাবেন, ক্লিনিকে যাবেন, সেখানেও দুর্নীতি, ভুয়া ডাক্তার, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ, মেশিন নস্ট, মানে কোনোকিছুরই ঠিক নাই। হসপিটাল /ক্লিনিক সব রমরমা বিজনেস!
আপনার কিডনি/লিভার নস্ট হলে এই দেশে আপনি সুচিকিৎসা পাবেন তার কোনো গ্যারান্টি নেই। খাবারের ভিতর আইস্ক্রিম, প্যাকেটের দুধ সবকিছুতেই ভেজাল। বাহিরের কাচ্চি/বিরিয়ানি/রোস্টে টেক্সটাইল ক্যামিকেল মেশানো।
চাল/ডাউল/হলুদগুড়া/মরিচগুড়া সবকিছুতেই রঙ মেশানো। ফিড খাওয়া মাছ/মুরগি।

খাবার নিয়ে আপনারা সচেতন থাকুন। যেহেতু আমাদের দেশে তেমন উন্নত চিকিৎসা নেই।
আপনি একটু খাবার নিয়ে সচেতন থাকলে অনেক রোগ থেকে বেঁচে যাবেন। সংক্ষেপে এতোটুকুই বলতে চাই, সুন্দরভাবে বাঁচতে হলে সুস্বাস্থ্যের প্রয়োজন। আর সুস্থতা আল্লাহ তা'আলার বড় নেয়ামত। চেস্টা করবেন কোনো ১টা খাবার খাওয়ার আগে তা ভালোভাবে ডিটেইলসে জানার।

@জোহরা বিনতে মারইয়াম

25/11/2025

আমাদের অনেকেরই ধারণা, আমরা যখন এন্টিবায়োটিক এর ডোজ অসম্পূর্ণ রাখি (মানে ধরেন, ১০ দিনের কোর্স শেষ না করে ৫ দিন খেয়ে বাদ দেই) তখন, শরীরে বেঁচে যাওয়া প্যাথোজেনিক ব্যাকটেরিয়াগুলো এই এন্টিবায়োটিক-কে চিনে রাখে। এবং এই এন্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে ডিফেন্স মেকানিজম ডেভেলপ করে। ফলে রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়। একই এন্টিবায়োটিকে আর পরবর্তীতে কাজ হয় না।

❌ না, এটা ঠিক এভাবে হয় না।

⭕ তাহলে, আসলে একটা অরগানিজম কিভাবে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্ট হয়?

(আলোচনার সুবিধার্থে শুধু 'ব্যাকটেরিয়া' এবং 'এন্টিবায়োটিক' নিয়ে কথা বলবো)

☘️ ব্যাকটেরিয়া খুব কম সময়ে reproduce করে। মানে, তাদের cell division খুব দ্রুত হয়। অনেক অনেক পরিমাণে হয়। খুব সামান্য সময়ের মধ্যে মিলিয়ন, বিলিয়ন পরিমাণ হয়ে যায়। এখন এই যে এত পরিমাণ সেল ডিভিশন, এত এত DNA replication হয়, তাতে তো কিছু ভুল হয়েই যায়। মানে, কিছু Mutation হয়ে যায়।

এটা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। প্রাকৃতিক, স্বতঃস্ফূর্ত ঘটনা। (এই যে আমি, আপনি আমরা মানুষ, আমাদেরও সেল ডিভিশন এর সময় কিছু মিউটেশন হয়, যার রেট খুব কম। কিন্তু হয়)।

এখন এই ন্যাচারাল, স্পনটেনাস মিউটেশন- অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হয় হার্মলেস। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এই মিউটেশন এর ফলে ব্যাকটেরিয়া এমন কোনো বৈশিষ্ট্য অর্জন করে, যেটা তাকে কোনো নির্দিষ্ট এন্টিবায়োটিক এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ক্ষমতা দেয়।

ধরা যাক, আপনার শরীরে একটা infection এর সময় ১টা নির্দিষ্ট ব্যাকটেরিয়া আছে ১০ মিলিয়ন।
এই ব্যাকটেরিয়াগুলোর মধ্যে ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯০ টা ব্যাকটেরিয়া মোটামুটি একইরকম।

বাকি ১০ টা ব্যাকটেরিয়াতে এমন কিছু মিউটেশন হইছে, যেগুলোর ফলে সে একটা নতুন এনজাইম তৈরি করতে পারতেছে। যে এনজাইম penicillin antibiotic কে ডেস্ট্রয় করার ক্ষমতা রাখে।

[এখানে উল্লেখ্য যে, আপনি হয়তো জীবনে কোনোদিন পেনিসিলিন ছুঁয়েও দেখেন নি, খাওয়া তো দূরের কথা!]

এখন, এই মাত্র দশটা আলাদা ব্যাকটেরিয়ার এমনিতে আপনার তেমন কোনো ক্ষতি করার সক্ষমতা নাই।

এখন, আপনি যদি পেনিসিলিন খাওয়া শুরু করেন, ধরেন আপনি তিন দিন খাইলেন। সেক্ষেত্রে যারা সবচেয়ে বেশি সেনসিটিভ সেই ব্যাকটেরিয়াগুলো আগে মারা যাবে। যারা আরেকটু টাফ, তারা হয়তো ৫ দিন এন্টিবায়োটিক খেলে মারা যাবে, যারা আরো টাফ তাদেরকে মারতে হয়তো ৭ দিন লাগবে!

আপনি ৫ দিন ওষুধ খেয়ে সিম্পটম কমে গেল (কারণ, মোস্ট সেনসিটিভ ব্যাকটেরিয়াগুলো মারা গেছে)। তাই ওষুধ ছেড়ে দিলেন। এরফলে এখন ধরেন ওই ১০ টা ব্যাকটেরিয়া, যারা নতুন এনজাইম পেয়েছে। তাদের ওপর তো পেনিসিলিন কাজ করবে না।

এতদিন ওই ১০ টা ব্যাকটেরিয়ার কম্পিটিটর ছিল মাঠে। তাদেরকে আরো অনেকের সাথে নিউট্রিশন এর জন্য যুদ্ধ করতে হতো।

কিন্তু এখন মাঠ ফাঁকা। এই রেজিস্ট্যান্ট ১০ টা ব্যাকটেরিয়া এখন সমানে বংশবিস্তার করবে। তখন আপনার শরীরে যা থাকবে, সব পেনিসিলিন রেজিস্ট্যান্ট ভ্যারিয়েন্ট!

এইটাকে ব্যাখ্যা করা যায়, ডারউইন এর ন্যাচারাল সিলেকশন এবং সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট দিয়ে।

এই যে ব্যাকটেরিয়া গুলো, যারা এখন বেঁচে আছে ( মিউটেশন এর কারণে), তারা ন্যাচারালি সিলেক্ট হইছে [লটারির মতো অনেকটা]। এটাই হচ্ছে ন্যাচারাল সিলেকশন।
এবং এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে (এন্টিবায়োটিক দ্বারা সৃষ্ট প্রতিকূল পরিবেশে) এরাই বেঁচে থাকবে, কারণ এরা এই পরিবেশের জন্য ফিট!

⭕ তাহলে ব্যাপারটা দাঁড়াল এই-
এন্টিবায়োটিক খাওয়ার আগেই রেজিস্ট্যান্স ডেভেলপ করে। এটা পুরাটাই একটা ন্যাচারাল জিনিস।

🏵️ এখন সম্পূরক প্রশ্ন হতে পারে, যদি এন্টিবায়োটিক না খেলেও রেজিস্ট্যান্স হয়, তাহলে এই যে এন্টিবায়োটিক এর ফুল কোর্স খাওয়া নিয়ে, বা র‍্যাশনাল ইউজ নিয়ে এত কথা হয়, এগুলোর দরকার কী?
না খাইলেও যদি হয়, সেক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক খাওয়া না খাওয়ার সাথে তো রেজিস্ট্যান্সের সম্পর্ক নাই।

🍁 উঁহু! সম্পর্ক আছে।

এই যে আপনি ৭ দিনের জায়গায় ৪ দিন এন্টিবায়োটিক খেয়ে সেন্সিটিভ, দুর্বল ব্যাকটেরিয়াগুলো মেরে ফেলে একটু টাফ ব্যাকটেরিয়ার জন্য মাঠ ফাঁকা করে দিলেন, এটাই আপনার দোষ।

এটাকে বলে selection pressure.

মানে, রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া ছিল ১০ টা। তারা বাকি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯০ টার ভিড়ে কিছু করে উঠতে পারছিল না। আপনি এন্টিবায়োটিক খেয়ে ওই ১০ টার কাজ সহজ করে দিলেন। এখন তারা পুরো জায়গাটা দখল করে নেবে।

⭕ আর ফুল ডোজ এন্টিবায়োটিক শরীরে এমন এক কনসেন্ট্রেশন তৈরি করে যা অনেক সময় ওই অল্প মিউটেটেড 'টাফ' ব্যাকটেরিয়াকেও মেরে ফেলতে পারে, কিন্তু ডোজ মিস দিলে সেই সুযোগটা থাকে না।

☘️ আপনি যদি ভাইরাল ফিভারে হুদাই এন্টিবায়োটিক খান, সেক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। এতে আপনার ভাইরাস তো মরেই না, উল্টো শরীরের ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলো মরে গিয়ে কিছু মিউটেটেড খারাপ ব্যাকটেরিয়ার জন্য জায়গা করে দেয়।

🌼🌼 আরেকটা বড় সমস্যা হলো, ব্যাকটেরিয়া horizontal gene transfer করতে পারে। মানে, নিজের অস্ত্র সে অন্য ব্যাকটেরিয়াকে দিয়ে দিতে পারে।
conjugation, transduction, transformation নামে কিছু প্রক্রিয়া থাকলেও, মোস্টলি Conjugation (প্লাজমিড দিয়ে pili এর মাধ্যমে) এর মাধ্যমেই এই ঘটনা ঘটে।

অর্থাৎ একটা রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া তার রেজিস্ট্যান্সির জন্য যে জিন সে অর্জন করেছে, সেটা পাশের ব্যাকটেরিয়াকে কোনো মূল্য ছাড়াই গিফট করতে পারে! ফলে সেও রেজিস্ট্যান্ট হয়ে যায়।

যাহোক, এইটা আরেকটা বড় আলোচনা। সেসব আজ থাক।

💮 আরেকটা ব্যাপার নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝতে পারছি যে, রেজিস্ট্যান্ট হয় ব্যাকটেরিয়া, মানুষ নয়।

এইটাও অনেকের মধ্যে ভুল ধারণা আছে। ১ বছর বয়সী বাচ্চার যখন কালচার সেনসিটিভিটি রিপোর্টে দেখি সব এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট! তখন আমরা অনেক সময় আঁতকে উঠি! হায় হায় এই বাচ্চা তো জীবনে এন্টিবায়োটিকই খায় নাই, ওর এমন রেজিস্ট্যান্স হলো কেমনে!?

না ; বাচ্চা নয়, মানুষ নয়। রেজিস্ট্যান্স হয় ব্যাকটেরিয়া, ফাংগাস, ভাইরাস...।

💐সুতরাং Natural selection আর spontaneous mutation-ই antimicrobial resistance develop করায়, bacteria কোনো antibiotic কে "চিনে নিয়ে" purposefully resistance genes বানায় না।

🍁 এটা মোটামুটি সংক্ষেপে বলা। যারা জানতে চান তারা আরো পড়তে পারেন এটা নিয়ে।

Courtesy
Dr Harun Or Rashid Xewel
MBBS ( Jahurul Islam Medical College), 2007-08
BCS, 36th
MD, Pathology (DMC)
Lecturer, SMMAMC, Sirajganj

22/11/2025

ভূমিকম্প? দৌড়াবেন না—বাঁচার চেষ্টা করুন!
ঢাকার অধিকাংশ আবাসনই ৫–৭ তলার অ্যাপার্টমেন্ট। এ ধরনের ভবনে ভূমিকম্পে বাঁচা বা মারা যাওয়ার সবচেয়ে বড় পার্থক্য তৈরি করে—আপনার প্রথম ১০–২০ সেকেন্ডে নেওয়া সিদ্ধান্ত।
ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে দৌড়ে সিঁড়ির দিকে যাওয়াই সবচেয়ে সাধারণ ভুল—এবং এটিই সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর কারণ।

❌ কম্পন শুরু হলে যে ভুলগুলো প্রাণঘাতী হতে পারে
১. সিঁড়ির দিকে দৌড়ানো
বিশ্বের বিভিন্ন স্ট্রাকচারাল রিসার্চ অনুযায়ী—
নিচের তলা ধসে পড়লে ওপরের তলা সরাসরি সিঁড়ির উপর ভেঙে পড়ে।

ধাক্কাধাক্কি, ভিড়, আলো নিভে যাওয়া—
৯০% মৃত্যু বা গুরুতর আঘাত সিঁড়িতেই ঘটে।

২. বারান্দায় যাওয়া
বারান্দার রেলিং ভূমিকম্পে একাধিক দিক থেকে চাপ পায়, যা সহজেই ভেঙে নিচে পড়ে যেতে পারে।
৩. লিফট ব্যবহার
কম্পনে লিফট জ্যাম, দড়ি ছিঁড়ে যাওয়া, মাঝপথে আটকে পড়া—সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি করে।

✔️ বাঁচার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায়: Drop – Cover – Hold On
১. বেডরুমে থাকলে
খাটের নিচে ঢুকে মাথা–ঘাড় ঢেকে রাখুন। খাট ভেঙে পড়লেও ভেতরে “লাইফ ট্রায়াঙ্গেল” তৈরি হয়, যা নিরাপদ।
২. ড্রয়িং/ডাইনিং
মজবুত টেবিলের নিচে আশ্রয় নিন।
কাঁচ, জানালা, বড় ফ্রেম, শোকেস থেকে দূরে থাকুন।
৩. কিছুই না পেলে
দেয়ালের কোণে বসে মাথা ও ঘাড় ঢেকে রাখুন।
একে বলা হয় “সেফ কর্নার পজিশন”—ভবন ধসে পড়লেও সাধারণত কোণার অংশ সম্পূর্ণ চাপে ভাঙে না।
৪. বাথরুম
অনেক সময় সবচেয়ে শক্ত অংশ। বালতি/হেলমেট মাথায় দিলে আঘাত কমে।
৫. মাথা রক্ষার ব্যবস্থা
হেলমেট, বালতি, ঝুড়ি, ব্যাগ—যা পাবেন তাই মাথার ওপর চেপে ধরুন।
ভূমিকম্পে যেকোনো ভাঙা বস্তু মাথা লক্ষ্য করে পড়ে।

🏠 ১ম বা ২য় তলায় থাকলে আপনি সবচেয়ে ভাগ্যবান
এই দুই তলায় থাকা মানুষদেরই নিরাপদে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকে।
✔️ কম্পন শুরু হওয়ার সাথে সাথেই দরজা খুলে রাখুন, জ্যাম হয়ে গেলে বের হতে পারবেন না।
✔️ প্রথম ১৫–২০ সেকেন্ডে দ্রুত সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামুন।
✔️ বাইরে এসে ভবন থেকে অন্তত ১০০ ফুট দূরে দাঁড়ান।
✔️ বিদ্যুতের খুঁটি, তার, গাছের নিচে দাঁড়ানো ❌
✔️ সম্ভব হলে খোলা মাঠে অবস্থান নিন।

🆘 ধ্বংসস্তূপে আটকে গেলে কী করবেন? (ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ প্রোটোকল)
✔️ চিৎকার করবেন না → ধুলো ফুসফুসে ঢুকে শ্বাসনালী বন্ধ করে দিতে পারে
✔️ হুইসেল থাকলে বাজান → দূর থেকে সহজে শোনা যায়
✔️ না থাকলে, দেয়াল বা পাইপে ৩ বার করে টোকা দিন → এটি আন্তর্জাতিক “SOS Rescue Signal”
✔️ মোবাইলের টর্চ অন রাখুন, কিন্তু কথা বলবেন না → ব্যাটারি বাঁচাতে হবে
✔️ মুখে কাপড় চেপে রাখুন → ধুলো কম ঢুকবে, শ্বাস নেওয়া সহজ হবে

আজ থেকেই ন্যূনতম কিছু প্রস্তুতি নিন
🔸 বিছানার পাশে জুতা, হেলমেট, হুইসেল রাখুন
🔸 ভারী আলমারি, ফ্রিজ, টিভি—দেয়ালে স্ক্রু দিয়ে ফিক্স করে রাখুন
🔸 গ্যাস সিলিন্ডার চেইন বা স্ট্যান্ড দিয়ে বেঁধে রাখুন
🔸 ঘরের দরজা যেন অটো-লক না হয়
🔸 চাবি সবসময় হাতের কাছে রাখুন
🔸 জরুরি নম্বর পরিবারে সবার ফোনে সেভ করুন

একটি লাইন মনে রাখুন:
🔸 ৪র্থ তলা বা তার উপরে থাকলে — দৌড়ানো মানে মৃত্যুর ঝুঁকি। আশ্রয় নিন।
🔸 ১ম–২য় তলায় থাকলে — প্রথম ২০ সেকেন্ডই আপনার জীবন। দ্রুত বের হন।

শেষ কথা
প্রস্তুতি ছাড়া বাঁচা ভাগ্যের উপর।
প্রস্তুতি থাকলে বাঁচা আমাদের হাতে।
প্রকৃতি আমাদের বারবার মনে করিয়ে দেয়—
মানুষ ভঙ্গুর, কিন্তু সচেতনতা আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।
একটু প্রস্তুতি, একটু জ্ঞান— অনিশ্চিত এক মুহূর্তেও জীবন বাঁচাতে পারে।

শহর থেকে একটু বাইরে আপনি যদি সনোলজিষ্ট(আল্ট্রাসাউন্ড) হিসাবে কাজ করতে যান আপনাকে বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে...
08/11/2025

শহর থেকে একটু বাইরে আপনি যদি সনোলজিষ্ট(আল্ট্রাসাউন্ড) হিসাবে কাজ করতে যান আপনাকে বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। প্রথম প্রথম খুব খারাপ লাগত।কিন্তু এখন অভ্যাস হয়ে গেছে। কত আজগুবি কথা যে আপনাকে শুনতে হবে তার কোনো লাইসেন্স নাই।সেই আজগুবি কথার দিকে না গিয়ে একটা অদ্ভুত কিন্তু মজার ঘটনা শেয়ার করি–

দুই বান্ধবী আসছে আমার চেম্বারে।দুজনেরই বয়স ২০ বা ২১ বছরের মধ্যে।ধরা যাক, একজনের নাম "X"
আরেক জনের নাম "Y"!
X হচ্ছে আমার রোগী। Y তাকে নিয়ে এসেছে। দুজনেই আানম্যারিড।

কমপ্লেইন হল–তলপেটে ব্যথা..জ্বর জ্বর লাগে..রুচি নাই..শরীর দুর্বল..! মাথাও চক্কর দেয় মাঝে মাঝে।

পিরিয়ডের হিস্ট্রি নিলাম। সে ঠিকমত বলতেই পারলো না।

যেহেতু অবিবাহিতা সেহেতু সরাসরি কিছু জিজ্ঞেস করাও অশোভন।একটা আল্ট্রাসাউন্ড আর একটা প্রসাব পরীক্ষা দিলাম।
আল্ট্রাসাউন্ডে দেখি ৩ মাসের প্রেগন্যান্ট। অবাক হইনি।কারণ এটা আমাদের জন্য নতুন কিছু না। সব সনোলজিষ্টই এমন ঘটনা অহরহ ফেস করেন।
মেয়েটি যতটুকু নাটক করা দরকার সব করল । কিভাবে কি হলো সে জানেই না ।

এতেও অবাক হইনি । অনেকের বাতাসেই পেটে বাচ্চা আসে এ ঘটনাও আমরা জানি । এসব ক্ষেত্রে আমি একদম নিশ্চুপ থাকি।আমার ডায়াগনোসিস বলে আমি চুপ । যত বড় পূর্ণদৈর্ঘ‍্য বাংলা ছায়াছবিই হোক আমি চুপ তো চুপ ।

যাহোক, একটা আানম্যারিড মেয়ে প্রেগন্যান্ট এটা কিন্তু মূল বিষয় না ।

মূল বিষয়ে আসি এবার -
বাচ্চা যেভাবেই আসুক(বাতাসে,স্বপ্নে,আগুনে, অথবা পানিতে ভেসে ভেসে) যেহেতু মেয়েটি আনম্যারিড সেহেতু সে বাচ্চা রাখবে না ।
আমি যেহেতু টারমিনেশন করি না এবং এ রিলেটেড অ্যাডভাইসও দেই না সেজন্য আমি পেশেন্টকে ছেড়ে দিছি ।
কিন্তু পেশেন্ট এম আর (বাচ্চা নষ্ট করার পদ্ধতি )এখানেই করবে । রীতিমত হাতে পায়ে ধরাধরি । কান্নাকাটি । ম্যাডাম কি হবে আমার ? আমাকে বাচাঁন ।
পরে পেশেন্টকে বুঝিয়ে কাউন্টারে পাঠাইছি ।
কাউন্টার আর আমার চেম্বার পাশাপাশি। উপরে খোলা। মাঝখানে থাইগ্লাস দিয়ে পার্টিশন করা। কথা বার্তা সব শোনা যায়।
যেহেতু কৃমিনাল অ্যাবরশন,হসপিটাল কর্তৃপক্ষও মুখিয়ে থাকে। টাকার পরিমাণ নিয়ে দর কষাকষি হচ্ছিলো।
টাকার পরিমাণ শুনে রোগীর বান্ধবী উত্তেজিত হয়ে উচ্চস্বরে বলে উঠল–"এখানে এত বেশি চান কেন ? আমি গতমাসে করাইছি ৩০০০ টাকা দিয়ে !

© ফাহমিদা মাহবুবা
সনোলজিষ্ট, তায়রুন্নেসা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল।

🦠 ডেঙ্গু জ্বর কি?ডেঙ্গু জ্বর একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা Dengue Virus দ্বারা হয়। এটি Aedes aegypti ও Aedes albopictus প্রজাত...
08/11/2025

🦠 ডেঙ্গু জ্বর কি?

ডেঙ্গু জ্বর একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা Dengue Virus দ্বারা হয়। এটি Aedes aegypti ও Aedes albopictus প্রজাতির মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এই মশা সাধারণত দিনের বেলায় কামড়ায় এবং স্থির পানিতে বংশবিস্তার করে।

👶 শিশুর ডেঙ্গু জ্বর কেন হয়?

• শিশুরা সাধারণত ডেঙ্গু ভাইরাস আক্রান্ত মশার কামড়ে আক্রান্ত হয়।

• একবার ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হলে পরবর্তীতে অন্য ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত হলে রোগটি আরও গুরুতর রূপ নিতে পারে (যেমন Dengue Hemorrhagic Fever)।

🔍 শিশুর ডেঙ্গু জ্বরের কারণ :

১. Dengue Virus (Flavivirus group) — মোট চারটি serotype আছে:
• DEN-1
• DEN-2
• DEN-3
• DEN-4
২. Aedes mosquito bite — মূল বাহক।
৩. Poor sanitation ও standing water — মশার প্রজনন বৃদ্ধি করে।
৪. Seasonal factors — বর্ষাকাল ও পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে বেশি হয়।

⚠️ শিশুর ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ (Symptoms & Signs)

প্রাথমিক লক্ষণসমূহ:

• হঠাৎ উচ্চ জ্বর (104°F বা তার বেশি)
• মাথা ও চোখের পিছনে ব্যথা
• মাংসপেশি, হাড় ও জয়েন্টে ব্যথা ("breakbone fever")
• ক্ষুধামন্দা, বমি বা বমি বমি ভাব
• ত্বকে লালচে র‍্যাশ (maculopapular rash)
• ক্লান্তি, দুর্বলতা
তাহলে অবশ্যই শিশুকে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে হবে।

গুরুতর অবস্থার লক্ষণ (Dengue Hemorrhagic Fever / Dengue Shock Syndrome):

• পেট ব্যথা
• অবিরাম বমি
• রক্তক্ষরণ (নাক, মাড়ি বা শরীরে দাগ)
• ফোলা পেট (ascites), লিভার বড় হওয়া
• রক্তচাপ কমে যাওয়া / শকে চলে যাওয়া
তাহলে অবশ্যই শিশুকে জরুরী ভিত্তিতে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে হবে।

👩‍👩‍👧 বাবা-মা কিভাবে বুঝবেন শিশুর ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে?

যদি শিশুতে নিচের বিষয়গুলো দেখা যায়—
• টানা উচ্চ জ্বর ২–৭ দিন
• চোখে ব্যথা ও শরীর ব্যথা
• ক্ষুধা কমে যাওয়া
• ত্বকে লাল ফুসকুড়ি বা পেট ব্যথা
—তাহলে অবশ্যই শিশুকে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে হবে।

🧪 ডেঙ্গু জ্বরের ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা

১. CBC (Complete Blood Count):
• Platelet count ↓ (কমে যায়)
• WBC ↓ (Leukopenia)
• Hematocrit ↑ (Hemoconcentration)

২. NS1 Antigen Test:
• জ্বরের ১ম থেকে ৫ম দিন পর্যন্ত পজিটিভ হয়।
• ডেঙ্গু ভাইরাসের উপস্থিতি নির্দেশ করে।

৩. IgM & IgG Antibody Test (ELISA):
• IgM: জ্বরের ৫ম দিন থেকে দেখা যায় — recent infection।
• IgG: পুরনো বা পুনরায় সংক্রমণ নির্দেশ করে।

৪. Liver Function Test (LFT):
• SGPT বৃদ্ধি পায়
• SGOT বৃদ্ধি পায়।

৫. Ultrasound (abdomen):
• Ascites, pleural effusion দেখা যেতে পারে।

📊 CBC ও অন্যান্য প্যারামিটারের ব্যাখ্যা

Parameter, Normal Range, Dengue Findings

• Platelet Count : 150,000–450,000 /µL ↓ 20% rise indicates plasma leakage
• SGPT/SGOT :

07/11/2025

✅ নবজাতক বেবির (০–৩ মাস) প্রয়োজনীয় Activity

১) Skin to Skin
• বেবিকে বুকের উপর রেখে skin to skin contact করানো
• এতে ও তোমার গায়ের গন্ধ, heartbeat অনুভব করে
• বেবির মনে নিরাপত্তা তৈরি হয়
• মা ও বেবির bonding অনেক strong হয়
• breastfeeding flow ভালো হয়



২) Tummy Time
• জন্মের দিন থেকেই ছোট ছোট সময় tummy time দেওয়া যায়
• দিনে ২–৩ বার ১–২ মিনিট করে শুরু করো
• এতে বেবির ঘাড়, পিঠ ও হাতের পেশি শক্ত হয়
• ভবিষ্যতে rolling, sitting, crawling এ সাহায্য করে



৩) মায়ের কথা শোনা ও মুখ দেখানো
• বাচ্চার সাথে মুখোমুখি softly কথা বলো
• eye contact করো
• facial expression দেখালে বাচ্চা শিখে
• language understanding এর base তৈরি হয়



৪) Black & White / High Contrast Cards
• newborn এর vision খুব কম
• black-white বেশি clear দেখতে পারে
• তাই high contrast picture card ৩০–৪০ সেকেন্ড করে দেখালে
• চোখের tracking ও vision development ভালো হয়



৫) Gentle Baby Massage
• দিনে ১ বার হালকা baby massage
• পা, হাত, পিঠ, বুক — খুব আলতো হাতে
• এতে muscle relaxation হয়
• sleep better হয়
• gas / colic কিছুটা কমে



৬) Soft Music / লোরি / কোরআন তেলাওয়াত
• সুরেলা শান্ত সাউন্ড মস্তিষ্কে শান্তি দেয়
• baby calm হয়
• emotional bonding grow করে



৭) Simple Movement

(২–৩ মাসের পর সামান্য করে)
• হাত খোলা-বন্ধ
• পায়ের cycling motion
• এতে flexibility বাড়ে
• digestive system আর gas relief এ সাহায্য করে



গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
• স্ক্রিন একদম না
• বেশি stimulus না (অতিরিক্ত আলো, বেশি শব্দ avoid)
• বেবি বিরক্ত বা কাঁদলে সাথে সাথে activity বন্ধ করে দাও
• সবকিছু short & gentle



এই ছোট ছোট activity newborn এর প্রথম তিন মাসে
brain development + physical strength + emotional bonding খুব সুন্দরভাবে গড়ে তোলে।
Courtesy Life with Azans Mom

আমি বিভ্রান্তসম্প্রতি জাতীয় দৈনিক— কালের কণ্ঠ— “১০ হাজার ডাক্তারের কর ফাঁকি ৬,২৫০ কোটি টাকা” শিরোনামে একটি রিপোর্ট প্রকা...
02/11/2025

আমি বিভ্রান্ত

সম্প্রতি জাতীয় দৈনিক— কালের কণ্ঠ— “১০ হাজার ডাক্তারের কর ফাঁকি ৬,২৫০ কোটি টাকা” শিরোনামে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।

কিন্তু, এই দাবিটি কি তথ্যনির্ভর?
গাণিতিকভাবে কি এটি সম্ভব?
একটু থামুন, চলুন বিশ্লেষণ করি।

গাণিতিক বাস্তবতা বনাম প্রচারিত সংখ্যা

যদি ১০,০০০ ডাক্তারের মোট কর ফাঁকি ৬,২৫০ কোটি টাকা হয়,
তাহলে প্রতি ডাক্তারের কর ফাঁকি দাঁড়ায়—
৬,২৫০ কোটি ÷ ১০,০০০ = ৬২.৫ লক্ষ টাকা (৬২,৫০,০০০) ।

এখন, বর্তমান করহারে একজন ব্যক্তির কর যদি হয় ৬২.৫ লক্ষ টাকা,
তাহলে তার করযোগ্য আয় হতে হবে প্রায় ২.২২ কোটি টাকার বেশি ।
অর্থাৎ, সংবাদটি সত্য হলে, বাংলাদেশের ১০ হাজার ডাক্তারের প্রতিজনের বার্ষিক নীট করযোগ্য আয় ২.২২ কোটি টাকার উপরে!

তাহলে ১০,০০০ ডাক্তারের মোট আয় হবে—
২.২২ কোটি × ১০,০০০ = ২২,২০০ কোটি টাকা।

আর যদি এই আয় তাদের মোট প্রাপ্তির ২৫% হয়,
তাহলে মোট টার্নওভার দাঁড়ায় প্রায় ৮৮,৮০০ কোটি টাকা।


বাস্তব চিত্র কী বলে

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (BMDC) অনুযায়ী দেশে নিবন্ধিত ডাক্তার সংখ্যা প্রায় ১,১০,০০০,
যার মধ্যে সক্রিয় চিকিৎসক ৬০–৭০ হাজার জন।
এর অধিকাংশই সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত,
যাদের বার্ষিক আয় ১০–২০ লক্ষ টাকার মধ্যে।

প্রাইভেট প্র্যাকটিশনারদের গড় আয় কিছুটা বেশি—
বছরে ৩০–৫০ লক্ষ টাকার মধ্যে।
মাত্র অল্প কয়েকজন স্পেশালিস্ট বা হাসপাতাল-মালিক শ্রেণির চিকিৎসকই কোটি টাকার ওপরে আয় করেন।

অতএব, ১০,০০০ চিকিৎসক মিলে ৬,২৫০ কোটি টাকার কর ফাঁকি—
এটি কেবল গণিতের ভুল নয়, বরং একটি অতিরঞ্জিত ও বিভ্রান্তিকর দাবি।

বিভ্রান্তিকর সংবাদে সমাজে যে ক্ষতি হয়

১। কর সংস্কৃতির প্রতি আস্থা নষ্ট হয়

এমন সংবাদ সাধারণ করদাতার মনে প্রশ্ন জাগায়—
“যখন ডাক্তাররাই হাজার কোটি টাকার কর ফাঁকি দেয়, আমি কেন কর দেব?”
ফলে কর পরিশোধে অনীহা ও নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়,
যা রাষ্ট্রের রাজস্ব বৃদ্ধিতে দীর্ঘমেয়াদে বাধা সৃষ্টি করে।

২। একটি সম্মানিত পেশার মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়

চিকিৎসক সমাজ বাংলাদেশের মানবসেবার অন্যতম স্তম্ভ।
তাদের প্রতি এমন অবাস্তব অভিযোগ সমাজে বিভ্রান্তি ও অবিশ্বাস তৈরি করে।

৩। কর প্রশাসনে ভুল বার্তা যায়

এই ধরনের প্রচারণা কর প্রশাসনকেও বিভ্রান্ত করতে পারে,
ফলে নিরীহ চিকিৎসকদের হয়রানি বা অতিরিক্ত নজরদারির শিকার হতে হয়—
যা পেশাগতভাবে অন্যায্য ও নীতিগতভাবে অগ্রহণযোগ্য।

৪। গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়

সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতা জনআস্থা গড়ে তোলে।
কিন্তু তথ্য-অযাচিত বা অতিরঞ্জিত প্রতিবেদন গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করে,
এবং পাঠকের মনে সন্দেহ তৈরি করে— কোন সংবাদই বা সত্য?

আমাদের উচিৎ মানুষকে কর সচেতন করা , অসত্য বা অতিরঞ্জিত সংবাদ মানুষকে কর ফাঁকির যুক্তি খোঁজার প্ররোচনা দেয়।
Courtesy Aman Ullah Sarkar

যেসব লক্ষণ ক্যানসারের ইঙ্গিত দেয়ক্যানসারের সাধারণ কিছু লক্ষণ যা নারী-পুরুষ উভয়ের মধ্যেই দেখা যায়। এর মধ্যে রয়েছে ত্বকে...
01/11/2025

যেসব লক্ষণ ক্যানসারের ইঙ্গিত দেয়

ক্যানসারের সাধারণ কিছু লক্ষণ যা নারী-পুরুষ উভয়ের মধ্যেই দেখা যায়। এর মধ্যে রয়েছে ত্বকের পরিবর্তন। যেমন পিণ্ড বা ফোঁড়া যা সহজে রক্তপাত হয়, ক্ষত যা নিরাময় হয় না এবং তিলের আকার বা রঙে পরিবর্তন। এ ছাড়া অস্বাভাবিক ক্লান্তি, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, ওজন হ্রাস এবং খাবার বা পান চিবাতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আর মরণব্যাধি ক্যানসার শরীরের এক কোষ থেকে অন্য কোষে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিক অবস্থায় ক্যানসার শনাক্ত করা না গেলেও তা মৃত্যুঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। আর শরীরে ক্যানসার বাসা বাঁধলে নারী-পুরুষ সবার মধ্যেই সাধারণ কিছু পরিবর্তন দেখা যায়।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, শরীরে ক্যানসারের বাসা বাঁধলে যে লক্ষণ দেখা যায়—

১. ওজন কম

ক্যানসারে আক্রান্তদের প্রধান লক্ষণ হচ্ছে— প্রাথমিক অবস্থায় ওজন কমতে শুরু করবে। তাই কায়িক পরিশ্রম বা শরীরচর্চা কিংবা ডায়েট না করেও যদি আপনার ক্রমাগত ওজন কমতে থাকে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

আর আপনার শরীরে ক্লান্তি ভর করবে। বিভিন্ন কাজের পর ক্লান্তি আসতেই পারে। কিন্তু কাজ না করেও সবসময় ক্লান্তি অনুভব করেন, তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনার জটিল সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। সে জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। কারণ কোলন বা পেটের ক্যানসার থেকে রক্তক্ষয় হতে পারে। এর ফলে শরীর আরও দুর্বল হয়ে যায়।

২. শরীর ব্যথা

যদি হাড়ের ক্যানসার হয়, তাহলে প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে জয়েন্টে ব্যথা অনুভূত হতে থাকে। মস্তিষ্কে টিউমার হলে মাথাব্যথার কারণ হয়, যা কয়েক দিন ধরে স্থায়ী হতে থাকে এবং চিকিৎসার মাধ্যমেও মাথাব্যথা ভালো হয় না। তাই একই স্থানে দীর্ঘদিন ধরে পালাক্রমে ব্যথা অনুভব করলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। হাড়ের ব্যথার সঙ্গে আপনার জ্বরও দেখা দেয়। তিন দিনের বেশি জ্বর স্থায়ী হলে বড় বিপদ। লিম্ফোমার মতো কিছু রক্তের ক্যানসারের কারণে কয়েক দিন কিংবা সপ্তাহ পর্যন্ত জ্বর থাকতে পারে। এ জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

৩. কাশি

ফুসফুস ক্যানসারের একটি বড় লক্ষণ হলো কাশি। দীর্ঘদিন ধরে কাশি থাকা মানে (ভয়েস বক্স বা থাইরয়েড গ্রন্থি) ক্যানসারেরও লক্ষণ হতে পারে ।

৪. রক্তক্ষরণ

যদি দেখেন, পায়খানার সঙ্গে আপনার নিয়মিত রক্ত পড়ছে, তাহলে কোলন বা মলদ্বার ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। এতে মূত্রনালিতে টিউমার হলে প্রস্রাবের সঙ্গেও রক্ত পড়তে পারে। এ ছাড়া যখন আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্তকণিকা থাকে না, তখনই রক্তশূন্যতা হয়। অস্থিমজ্জাতে তৈরি হয় রক্তকণিকা। লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা এবং একাধিক মেলোমার মতো ক্যানসারগুলো আপনার মজ্জার ক্ষতি করে থাকে।

আর পুরুষের মধ্যে সর্বাধিক সাধারণ ক্যানসার হলো প্রোস্টেট, ফুসফুস এবং কলোরেক্টাল। প্রস্টেট ক্যানসারের ক্ষেত্রে প্রস্রাব করতে অসুবিধা হতে পারে। নিয়মিত যদি প্রস্রাবে অসুবিধা কিংবা মূত্রের সঙ্গে রক্ত দেখা যায় এবং ব্যথা অনুভব করলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

৫. শরীরের ত্বকে ক্যানসার

আপনার চেহারা এমনকি ত্বকেও ক্যানসারের লক্ষণ প্রকাশ পায়। বিশেষ করে ত্বকের ক্যানসারে আক্রান্তদের শরীরে অস্বাভাবিকতা বা নতুন তিল, মোলস বা বাদামি, কালচে স্পট দেখা দিতে পারে। হলুদ বা লাল স্পটসহ চুলকানি দেখা দিলে বা ফুসকুড়ি থাকলে তা লিভার, ডিম্বাশয় বা কিডনি ক্যানসার বা লিম্ফোমার লক্ষণ হতে পারে। আর মুখে দীর্ঘদিন ধরে ঘা থাকলে তা ওরাল ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। ধূমপান, তামাক চিবানো বা প্রচুর পরিমাণে অ্যালকোহল পান করলেও ওরাল ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।
pedimedicine.com
এ ছাড়া অণ্ডকোষে ব্যথা হওয়ার লক্ষণ হতে পারে টেস্টিকুলার ক্যানসার। অন্যদিকে নারীরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন স্তন, ফুসফুস এবং কোলোরেক্টাল ক্যানসারে। জরায়ু, এন্ডোমেট্রিয়াম, যোনি বা ভলভা ক্যানসারেও আক্রান্ত হয়ে থাকেন। যোনি দিয়ে রক্তপাত বা স্রাব বের হওয়া, ক্ষুধামন্দা, পেটে ব্যথা বা ফোলাভাব, স্তনের পরিবর্তন বা ব্যথা ইত্যাদি লক্ষণ প্রকাশ পেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

অনেকেই জানতে চান সরকারি টিকার বাইরে আর কি কি বেসরকারি ভাবে টিকা কিনে দেওয়া যায় তাদের জন্য এই পোস্ট।🌸 শিশুর টিকার তালিক...
01/11/2025

অনেকেই জানতে চান সরকারি টিকার বাইরে আর কি কি বেসরকারি ভাবে টিকা কিনে দেওয়া যায়
তাদের জন্য এই পোস্ট।
🌸 শিশুর টিকার তালিকা (বেসরকারি) 🌸

সরকারি প্রোগ্রামের (EPI) ১০টি টিকার পাশাপাশি নিচের টিকাগুলোও শিশুর সুস্থতা ও সুরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
👉 অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী টিকা দিন।

🍼 ১️, ROTATEQ (আমেরিকা)

ডায়রিয়ার টিকা
🕐 ২ মাস বয়স থেকে (৬ মাসের মধ্যে)
💉 মোট ৩ ডোজ

২️, VAXIGRIP (আমেরিকা)

ফ্লু ও ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা
🕐 ৬ মাস থেকে ২ বছর – ১ ডোজ
🕐 ২ বছর পর থেকে প্রতি বছর – ১ ডোজ

৩, PRIORIX (বেলজিয়াম)

মাম্পসের টিকা
🕐 ১২ মাস বয়স থেকে
💉 ১ ডোজ

৪️, HAVRIX (গ্ল্যাক্সো)

হেপাটাইটিস A টিকা
🕐 ৬ মাস বয়স থেকে
💉 ২ ডোজ

৫️,TYPHIM (গ্ল্যাক্সো)

টাইফয়েড টিকা
🕐 ২ বছর বয়স থেকে
💉 ১ ডোজ
🔁 প্রতি ৩ বছর পর পুনরায় ১ ডোজ

৬️, VARIVAX (USA)

চিকেনপক্স টিকা
🕐 ১২ মাস বয়স থেকে
💉 ১ ডোজ
🔁 ২ বছর পর পুনরায় ১ ডোজ

৭️, MENCEVAX (USA)

মেনিনজাইটিস টিকা
🕐 ২ বছর বয়স থেকে
💉 সারাজীবনে ১ ডোজ

৮️, DUKORAL (সুইডেন)

কলেরার টিকা
🕐 ২–৬ বছর বয়সে ২ ডোজ
🔁 ২ বছর পর পুনরায় ১ ডোজ

৯️, INFANRIX HEXA (বেলজিয়াম)

ডিফথেরিয়া, হুপিং কাশি, পোলিও, হেপাটাইটিস B, Hib, টিটেনাস একত্রে
🕐 ৬ সপ্তাহ থেকে ১৪ সপ্তাহের মধ্যে ৩ ডোজ
🔁 ১৫ মাস পর ১ বুস্টার ডোজ

১০ ENGERIX-B (বেলজিয়াম)

হেপাটাইটিস B টিকা
🕐 জন্মের পর বা ১২ বছর বয়স থেকে
💉 ৩ ডোজ

১১️⃣ IMO JEVত

জাপানিজ এনসেফালাইটিস (মস্তিষ্কের ভাইরাসজনিত টিকা)
🕐 ৯ মাস বয়স থেকে
💉 ১ ডোজ
🔁 ২ বছর পর পুনরায় ১ ডোজ

💖 ১২️⃣ CERVARIX (বেলজিয়াম)

জরায়ু মুখের ক্যান্সারের টিকা (মেয়ে শিশুদের জন্য)
🕐 ৯–১৪ বছর বয়সে ২ ডোজ
🕐 ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সে ৩ ডোজ

📌 স্মরণ রাখুন:
👉 সব টিকা দেওয়ার আগে শিশু বিশেষজ্ঞ বা টিকা কেন্দ্রের পরামর্শ নিন।
👉 সময়মতো টিকা দিলে শিশু থাকবে সুস্থ ও নিরাপদ।

Address

Shahbag

1000

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when শিশু চিকিৎসক ডাঃ আলমগীর হোসেন শিমুল posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to শিশু চিকিৎসক ডাঃ আলমগীর হোসেন শিমুল:

  • Want your practice to be the top-listed Clinic?

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram