শিশু ও নবজাতকের স্বাস্থ্য পরামর্শ

  • Home
  • Bangladesh
  • Ramna
  • শিশু ও নবজাতকের স্বাস্থ্য পরামর্শ

শিশু ও নবজাতকের স্বাস্থ্য পরামর্শ A page about your child's health and well-being from a child physician.

15/08/2025

ডাক্তার রোগীর সম্পর্ক হওয়া উচিত ছিল আস্থা, সম্মান আর ভালোবাসার, কিন্তু প্রায় সময়ই এখানে এসে বাসা বাঁধে বিতৃষ্ণা, বিদ্বেষ আর ঘৃণা! এই পেশা নিয়ে মানুষের এক অদ্ভুত দ্বৈত মনোভাব দেখি, যুগপৎ ভাবে ভালোবাসা আর ঘৃণার সম্পর্ক। কিছু ভুল ধারণাও থাকে অনেকের মনেই। তাই, এসব নিয়ে দুটো কথা।

প্রথমত, আমরা ডাক্তার কেন দেখাই? সবসময়ই কি রোগী ভালো করার জন্য দেখাই? রোগ ধরতে না পারলে কি বিফলে মূল্য ফেরত? রোগী রোগ নিয়ে আসেন বটে, কিন্তু রোগ ধরার নিশ্চয়তা দেয়া যায়না কখনোই। কারণ, অনেক ক্ষেত্রেই সকল সুযোগ সুবিধা সত্ত্বেও রোগ ধরা নাও পড়তে পারে। আবারও অনেক সময় রোগ জানাই থাকে, যেমন প্রেশার, ডায়াবেটিস ইত্যাদি। এক্ষেত্রে রোগী সাধারণ তদারকির জন্যই যেতে পারেন, ফলো আপ যাকে বলা হয়। তাহলে, ডাক্তার প্রেসক্রিপশনে ঔষধ লিখার জন্য টাকা নেননা, রোগ ভালো করার পারিশ্রমিক হিসেবেও নয়। তিনি টাকা নেন তাঁর দেয়া সময়ের জন্য। অনেক সময়ই একটা ঔষধও না লিখে শুধু কথা বলে বা রিপোর্ট দেখে প্রয়োজনে পারিশ্রমিক পেতে পারেন তিনি।

দ্বিতীয়ত, ডাক্তার রোগী দেখে রোগ ধরতে ব্যার্থ হয়ে ইনভেস্টিগেশন করান, এটা খুব অদ্ভুত কথা। রোগ ধরতে তিনটি বিষয় লাগে, রোগীর ইতিহাস, ডাক্তার কতৃক রোগীর শারীরিক পরীক্ষা এবং ইনভেস্টিগেশন। রোগীর সাথে দুই ঘন্টা ভ্যাজর ভ্যাজর করলেও তার ব্লাড গ্লুকোজ বলুন, রক্তের চর্বির পরিমাণ বলুন বা হিমোগ্লোবিন থেকে হরমোন, এসব রক্তের পরীক্ষা ছাড়া কোনভাবেই বোঝা সম্ভব নয়। এটা ডাক্তারের ব্যর্থতা নয়, এটা বাধ্যবাধকতা। ডাক্তার নিজের দরকারে পরীক্ষা দেন না, পরীক্ষা রোগীর প্রয়োজনেই দেয়া হয়।আবার রোগ ধরা ছাড়াও ঔষধের পরিমাণ নির্ধারণ, রোগের জটিলতা দেখা বা ঔষধের সাইড ইফেক্ট দেখার জন্যও প্রচুর পরীক্ষা নিরীক্ষা লাগতে পারে এবং এখন অসংখ্য ডাক্তার আছেন যারা এইসব পরীক্ষা কোন কমিশন গ্রহণ করেন না।

তৃতীয়ত, ডাক্তার তার প্রাথমিক সাক্ষাৎকার এবং রিপোর্ট দেখা, এসব মিলিয়ে কেমন ভিজিট নেবেন এই ব্যাপারে কোন নির্দেশনা নাই, তাই অনেকেই নিজের যুক্তি অনুযায়ী তা নেন। যেমন কেউ হয়তো প্রথম ভিজিট ১২০০ রেখে রিপোর্ট ফ্রী করেন, কেউ আবার ভিজিট ৮০০ রেখে রিপোর্ট ২০০ রাখেন। উভয়ের যুক্তি আছে। অনেকেই ভাবেন, বিনি পয়সায় কিছু পেলে তার মূল্য থাকেনা, অনেকেই ভাবেন, রিপোর্টের সময় যেহেতু বিস্তারিত আলোচনা করতে হয়, তাই তিনি রিপোর্টের জন্য একটা নির্দিষ্ট ফি নিতে চান।

চতুর্থত, আমাদের যেহেতু কোন ভিজিট নির্ধারনী নীতিমালা নাই, সকলে নিজ নিজ ইচ্ছেতে তা নির্ধারণ করেন। এটি অবশ্য সব সার্ভিসের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। একটি নামকরা ডিজাইনার স্টুডিওর একটা সিংগেল ব্লক প্রিন্টের কামিজের দাম আমি দেখেছি পাঁচ ছয় হাজার রাখতে, গুলিস্তানের পাঁচশো টাকার শার্টের মতোই শার্ট পাঁচ হাজারে বেচা হয়, এক কাপ কফি বা একটা বার্গারের দাম হাজার টাকা হয়। এতো দাম নেয়া হয় আসলে ব্র‍্যান্ড ভ্যালু হিসেবে। তাহলে যে ডাক্তার নিজেকে সেভাবে ব্র‍্যান্ড হিসেবে দেখেন, তাঁর ভিজিট তিনি অতি উচ্চমূল্যে নির্ধারণ করলে আমি রাগ করতে পারি, তাকে বয়কট করতে পারি, কিন্তু গালি দেয়া বা প্রতিবাদ করার তেমন ভিত্তি নেই। আপনার যা সামর্থ, আপনি সেখানেই যাবেন। যেমন কেউ ব্রেকফাস্ট করে সোনারগাঁওয়ে, কেউ বা হোটেল সালাদিয়াতে!

পঞ্চমত, ডাক্তার কথা বলেন না, সময় দেন না, মেজাজ গরম করেন, এসব অভিযোগ তো আছেই। এসব ক্ষেত্রে কিছু কিছু আছে, আচরণগত, যিনি জন্ম থেকে স্বল্পভাষী বা মেজাজি, তিনি ডাক্তার হোন বা মোক্তার, এরকমই থাকবেন। কিন্তু আপনার তো বেছে নেয়ার অপশন আছে। এখন আমাদের দেশে অগনিত বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, আমি বরং দেখেছি, সময় নিয়ে দেখা ডাক্তারদের ব্যাপারে মানুষের আগ্রহ কম। অথচ আপনি চাইলেই বেছে নিতে পারেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সে সুযোগ আছে, সুযোগ আছে খারাপ ডাক্তার বয়কট করার।

সবচেয়ে বড়ো কথা, খুব দুঃখজনক হলেও এটা ঠিক যে, আমাদের দেশের একটা বিশাল অংশ মানুষ খারাপ, অসৎ এবং দুর্নীতিবাজ। সুতরাং ডাক্তারদের ভেতরও খারাপ মানুষ থাকতেই পারে, ডাক্তার মানে কোন অবোধ নিষ্পাপ অপাপবিদ্ধ প্রাণী নয়, তাঁরা এই সমাজেরই অংশ। কিন্তু এর পাশাপাশি অসংখ্য মানবিক ডাক্তার এমনকি নিজের পকেট থেকে অর্থ সাহায্য করে, বিনা ভিজিটে বা স্বল্প ভিজিটে, আরও অনেক রকম ভাবে সাহায্য করে রোগী দেখেন। তাই যখন সামগ্রিক ভাবে ডাক্তারদেরকে গালি দেয়া হয়, বাকীরা খুবই আশাহত হন।

এদেশে মানুষ কতোখানে যে বেহুদা টাকা ঢালে! একটা সাইনের জন্য, একটা ফাইল এক টেবিল থেকে আরেক টেবিলে নেয়ার জন্য অবলিলায় লক্ষ( এখন নাকি কোটিতেও হয়) টাকা ঢালেন। নাকের ডগা দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ে, ঔষধ পাতিও কেনেন চড়া দামে, কিন্তু আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতায় জানি, ডাক্তারের ভিজিট দিতে অনেকেরই খুব গায়ে লাগে। এক সিগনেচারে যারা লক্ষ টাকা ঢালেন, তারাই আবার একটা কাগজে কয়টা মাত্র ঔষধ লিখা দেখে হাজার টাকা দিতে মরমে মরে যান। অথচ চিকিৎসা দেয়া সেবা নয় সবসময়, এটা ডাক্তারের পেশাও বটে। জীবনের হাসি আনন্দ, আরাম আয়েশ বাদ দিয়ে রোগী ঘাঁটাঘাঁটি করেন তারা জীবিকার তাগিদেই।

অনেক কিছুই লিখলাম, জানি কিছুই হবেনা, তাও লিখলাম। আমি রোগীদের কষ্টও জানি, বুঝি, এসব শুধু ডাক্তারদের দায় নয়, আমাদের সিস্টেমও বড়োই অদ্ভুত! তবুও নিজে ডাক্তার সমাজের অংশ বলে, খুব গালাগালি শুনি বলেই এতো কথার অবতারণা। ভালো থাকবেন সবাই।
* কারও রোগ না হোক, ডাক্তারের কাছে আসা না লাগুক।অন্য পেশায় না হয় চলে যাবো, যদি দরকার হয়।*
( লেখকের নাম ইচ্ছে করেই উল্লেখ করলাম না।কারণ, আমাদের বক্তব্য একই)

রোগীর বয়স ৫ মাস। আমার কাছে আসছে ১৫ দিনের কাশি নিয়ে।বাচ্চাকে শারীরিক পরীক্ষা করে রক্ত শূন্যতা পাই,তাই CBC করতে দেই। ফলাফল...
14/08/2025

রোগীর বয়স ৫ মাস।

আমার কাছে আসছে ১৫ দিনের কাশি নিয়ে।

বাচ্চাকে শারীরিক পরীক্ষা করে রক্ত শূন্যতা পাই,তাই CBC করতে দেই। ফলাফল আসে হিমোগ্লোবিন লেভেল ৭.৪ অর্থাৎ শিশুটি মারাত্মক রক্তশূন্যতায় ভুগছে।

হিমোগ্লোবিন ৭ এর নিচে গেলেই রক্ত দিতে হত।

এতো কম বয়সে কেন রক্ত শূন্যতা তার কারণ বাহির করতে বাচ্চার খাবারের হিস্ট্রি নিলাম।

জিজ্ঞেস করার পর,বাচ্চার মা বলল,স্যার বাবু হওয়া পর আমার বুকের দুধ পাইনা। অনেক কান্না- কাটি করে, তাই বাবুকে ফর্মুলা দুধ খাওয়ায় ১০ দিন বয়স হতেই।😭😭

কিভাবে দুধ তৈরি করেন জিজ্ঞেস করায় উত্তরে বলল,

আমি ৩০ মিলি পানিতে ১ চামচ দুধ দেই ফিডারের লিখা মত,কিন্তু বাচ্চার দাদি বলে এটাতে নাকি দুধ অনেক ঘন হয়ে যায়,তাই শাশুড়ী ৬০ মিলি পানিতে ১ চামচ দুধ মিশিয়ে সাথে তাল মিছরি দেয়। আমি বাধা দেওয়ায় অনেক কথা শুনাইছে। উনারা নাকি এভাবেই বাচ্চা বড় করছে। বলেই মা কান্না করে দেয়।😭😭

আমাদের দেশের বউরা যতই শিক্ষিত হোক না কেন, শাশুড়ীর কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গাধা, অবুঝ এবং মূর্খ।

যদি বাচ্চা মায়ের দুধ না পাই করণীয় কি???

** অন্য মায়ের দুধ এনে খাওয়াবেন। তাও সম্ভব না হলে ফর্মুলা দুধ সঠিক নিয়মে খাওয়ানো যাবে।

সঠিক নিয়ম: ৬ চামচ বা ৩০ মিলি পানিতে ১ চামচ দুধ মিশিয়ে খাওয়াবেন। একটুও কম বেশি দেওয়া যাবে না। এর সাথে অন্য কোন কিছু দেওয়া যাবে না।

* পৃথিবীতে মায়ের দুধের বিকল্প নাই। এটা আল্লাহর নিয়ামত।

* ৬ মাস অর্থাৎ ১৮০ দিন পর্যন্ত শুধু মাত্র মায়ের দুধ খাওয়াবেন। অন্য কোন কিছু দেওয়া যাবে না এমনকি একফোঁটা পানিও নয়।
Courtesy:
Dr.Ashraful Amin Chowdhury
নবজাতক ও শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ
এবং শিশু বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ

শিশু স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যেকোনো পরামর্শ পেতে পোস্টটি শেয়ার করে সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

09/08/2025

আমার নতুন ফলোয়ারদের স্বাগত জানাই! আপনাদের ফলোয়ার হিসাবে পেয়ে আমি খুবই খুশি! Faiz Muhammad, Jahangir Badol, Ram Prasad Chakraborty, Manjurul Islam, Aparna Chakma, Sohag Bd, Kazi Atiqr Rahman, Rowshan Rita, Jahangir Alom, Mazibur Rahman, BP Rimon Ahmed, Badsha Mahamud, Mohammad Salim Uddin, Jahirul Islam, Jahid Hasan, Md Abdullah Zaman, Romio Rashel, শিরিন সামাদ, MD Sohidul Islam, Surove Reza, Sintia Rahman Sneha, Al Haram, Asma Islam, Samiul Islam Sami, Kajol Haque Rose, Asma A***n, Adv Saiful Islam Tuku, Sumi Proshi, Rx Sazzad, Shar Min, MD Al-amin Hossain Anik, Md Sarwar Alam Sohel, Afshin Neha, Bangla Desh, Nasir Uddin Mahmud, Allal Khan, Umme Salma, Dipak Kumar Saha, Najah Neela, Nahida Ahassn, Achia Tabassum, Yesmin Akter, SK Saju Ahmed, Bani Biswas, Iftekhar Mollah, Fariha Shinha, Oishi Karapiat, Z E RI N, Shabnaz Aktar, Shamsunnahar Luna

22/07/2025

যখন মিটফোর্ডে ইন্টার্ন ছিলাম, সার্জারির সেলাই দেওয়ার সুতা, ইভেন গ্লাভস পর্যন্ত সাপ্লাই থাকতো না। ওটি ইন্সট্রুমেন্ট স্টেরিলাইজ করার কেমিক্যাল সাপ্লাই থাকতো না। সেগুলা রোগীকে দিয়ে কেনানো হতো। দেশের সেকেন্ড বেস্ট মেডিকেল কলেজ এটা। অর্ডার শিটের জন্য দিত নিউজপেপার টাইপ কাগজ, তাও এত বাজে কাগজ যে হাতের সামান্য ঘাম লেগেই ছিড়ে যেতো। অউ আচ্ছা এত ঘামতাম কেন? হাসপাতালের ভেন্টিলেশন তো ভাই একদম একের ভেন্টিলেশন। ফ্যান চললেও বোঝার উপায় নাই। এসি তো বিলাসিতার প্রশ্ন।

হাসপাতালে ম্যাক্সিমাম দরকারি ঔষধ এর সাপ্লাই থাকে না। যা থাকে সেগুলা খুবই সস্তা নিম্নমানের কিছু ঔষধ।

একবার খেয়াল করে দেখলাম যে কোনো পোস্ট অপারেটিভ রোগীর পেইন কমে না। সবাইকে কিটোরোলাক দেওয়া হয়। কোনো ইফেক্ট নাই। সাপ্লাই বাদ দিয়ে বাইরে থেকে ঔষধ আনালে দেখি কাজ করে। এই হলো কোয়ালিটি। আল্লাহর দুনিয়ার সবচেয়ে বাজে ঔষধ হলো সাপ্লাই ঔষধ।

সাপ্লাই নাই, বাইরে থেকে আনা লাগে এমন একটা ঔষধ হলো এলবুমিন। এই ঔষধ টা টাকা দিয়ে কিনবেন? লল। আসল কোনটা নকল কোনটা বোঝার উপায় নাই আমাদের। আসলের দামে কেনার পর দেখা যেতো আসলে ঔষধ টা নকল। কাজ করে না। ইভেন নকল ঔষধের রিয়েকশনে রোগী মারা যাওয়ার খবরও দেখেছি আমি।

এসবের সমাধানের খোঁজ নাই

কিছু হইলেই- যাই ইন্ডিয়া সিংগাপুর থেকে ডাক্তার নিয়ে আসি
Credit: মোর্ত্তজা শাহরিয়ার

22/07/2025

Welcome to Bangladesh
হঠাৎ করে মরে যাওয়ার হাজারো উপায়

আপনি ফুটপাত দিয়ে হাঁটছেন, অপরিকল্পিত নির্মাণাধীন ভবন থেকে আপনার মাথায় ইট পড়ে আপনি প্রাণ হা'রাবেন।

রেস্টুরেন্টে পরিবারের সঙ্গে এক খুশির উপলক্ষ্য নিয়ে খেতে গেছেন, অননুমোদিত গ্যাস লাইনের বি'স্ফো'রণে আপনি প্রাণ হা'রাবেন৷

নিয়ম মেনে ড্রাইভিং বা রাইডিং করছেন, ধনীর নেশাগ্রস্ত আদুরে দুলাল গাড়িচা'পা দিয়ে আপনার প্রাণ'না'শ করবে৷

প্রভাবশালীদের সাথে দ্ব'ন্দ্বে জড়াবেন, পাথর দিয়ে পি'ষে আপনার প্রাণ'না'শ করা হবে, আপনার লা'শের উপর উঠে নৃত্য করা হবে।

মানুষের অধিকার নিয়ে সোচ্চার হবেন, আয়না ঘর আপনাকে বলবে, "আহো ভাতিজা, আহো!"

গ্রাম থেকে ঢাকা এসে একটা ফ্যাক্টরিতে কাজ করে ঘষেমেজে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করার চেষ্টা করবেন, ভবন ধ্ব'সে প্রাণ হা'রাবেন।

নারী হয়ে নির্বিঘ্নে লেখাপড়া, চাকরি-বাকরি করতে যাবেন, যৌ'ন হয়'রানির শিকার হবেন একশোতে একশো৷ ধ'র্ষি'তা হওয়ার সুযোগও কম না৷

শাসনযন্ত্রের অপ'শাসনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলবেন, আপনার পরিবার আপনার মৃ'তদেহটাও খুঁজে পাবে না৷

আপনার সন্তান বাহিরে খেলছে, সিটি কর্পোরেশনের অবহেলিত উন্মুক্ত ম্যানহোলে পড়ে প্রাণ হা'রাবে।

সন্তানকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাবেন, তার মৃ'তদেহ পাবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরে।

সর্বশেষ, আপনার সন্তানকে স্কুলে পাঠাবেন, প্রশিক্ষণ বি'মান বি'ধ্ব'স্ত হয়ে আরো দুয়েকশো সন্তানের সাথে আপনার সন্তানেরও প্রাণ নিবে৷

আর হ্যাঁ, এগুলোর ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করেন? তাহলে বলবো আপনারা বড্ড বোকা৷

জি, এটাই এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে অবস্থিত ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ুর মাছে ভাতে বাঙালির বাংলাদেশ।

© মূল লেখকের নাম পাওয়া যায়নি

21/07/2025
21/07/2025

বিমান বাহিনী কুর্মিটোলা দখল করে রেখেছে। ঢাকার বিশাল এলাকা জুড়ে একাধিক ক্যান্টনমেন্ট। এতগুলো DOHS এই জনবহুল শহরে। অথচ সামরিক স্থাপনা হওয়ার কথা যেখানে জনবসতি কম। এই যে শিশুগুলো পুড়ে গিয়ে হেটে হেটে যাচ্ছে এর দায় কি বিমানবাহিনী নিবে?

প্রায় ৯০% পুড়ে যাওয়া শিশুটাকে হেটে যেতে দেখে আমি চিকিৎসক হয়েও ট্রমাটাইজড৷ আহা কত সাধের সন্তান। স্কুলে পাঠিয়ে বাবা মা নিশ্চিন্তে ছিল ওদিকে কি ভয়াবহ মৃত্যু।

অনেকেই দেখলাম পাইলটকে নিয়ে মহাকাব্য লিখছেন। দয়া করে বালছাল লিখবেন না। আমাদের সামরিক বাহিনীর কোন জবাবদিহিতা নেই কোন কালেই। পাইলট বিমানটিকে কোথাও ডাম্প করতে পারতেন। তার দেহ ঘটনাস্থল থেকে অনেক দূরে পাওয়া গেছে। মানে তিনি আগেই ইজেক্ট করে নিজের জীবন বাচাতে গিয়েছেন। ফলাফল বিমান স্কুলে পড়ে এতগুলো জীবনের যন্ত্রণাময় সমাপ্তি। অবশ্য তাকে একা দোষও দেয়া যায় না। এর আগেও দুইজন পাইলট সিভিলিয়ান লাইফ বাচাতে নিজেদের জীবন দিয়েছিলেন। কিন্তু মহান বিমান বাহিনীর টনক নড়েনি। লক্কর ঝক্কর ভাংগারি দিয়ে লোকাল বাসের মত লোকাল প্লেন অপারেশন চালু রেখেছে তারা।

আর যেই শুয়োরের বাচ্চারা এইসব ভাঙারি বিমান কিনে এনে ওদের সন্তান নাতি নাতনীদের বিদেশে মদ জুয়া আর মৌজমাস্তির ব্যবস্থা করেছে তাদের যেন এরচেয়ে করুণ মৃত্যু হয়।
Credit: আসিফ ইশতিয়াক

পুড়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য, প্রথমে পোড়া স্থানটি ঠান্ডা (ঠান্ডা নয় এমন) পানির নিচে ১০-১৫ মিনিটের জন্য রাখুন বা ঠান...
21/07/2025

পুড়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য, প্রথমে পোড়া স্থানটি ঠান্ডা (ঠান্ডা নয় এমন) পানির নিচে ১০-১৫ মিনিটের জন্য রাখুন বা ঠান্ডা সেঁক দিন। এরপর, পোড়া স্থানে পরিষ্কার গজ ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢেকে দিন। পোড়া স্থানটি পরিষ্কার করার জন্য সাবান এবং পানি ব্যবহার করুন, তবে ফোসকা গলানো বা কোনো মলম লাগানোর চেষ্টা করবেন না। যদি পোড়া গুরুতর হয়, তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
বিস্তারিত:
ঠান্ডা করুন:
পোড়া স্থানটিকে ঠান্ডা (ঠান্ডা নয় এমন) পানির নিচে ১০-১৫ মিনিটের জন্য রাখুন বা ঠান্ডা সেঁক দিন। এটি পোড়ার তীব্রতা কমাতে এবং ফোলা কমাতে সাহায্য করে।
পরিষ্কার করুন:
পোড়া স্থানটি পরিষ্কার করার জন্য হালকা সাবান এবং পানি ব্যবহার করুন। তবে, কোনোভাবেই ফোসকা গলানোর চেষ্টা করবেন না।
ব্যান্ডেজ করুন:
পোড়া স্থানটি পরিষ্কার করার পর, একটি জীবাণুমুক্ত গজ ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢেকে দিন। এটি সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে।
মলম ব্যবহার করবেন না:
টুথপেস্ট, গাছের ছাল বা অন্য কোনো ঘরোয়া উপাদান পোড়া স্থানে লাগাবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
ডাক্তারের পরামর্শ নিন:
পোড়া গুরুতর হলে, দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। বিশেষ করে, যদি পোড়া শরীরের বড় অংশ জুড়ে হয় বা ফোসকা পড়ে, তাহলে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যাওয়াই ভালো।
করণীয় নয়:
পোড়া স্থানে বরফ লাগাবেন না, কারণ এটি ত্বককে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
ফোসকা গলানোর চেষ্টা করবেন না, কারণ এটি সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।
পোড়া স্থানে কোনো মলম বা তেল লাগানোর আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

🛡️ টাইফয়েড টিকা এখন সরকারি ব্যবস্থাপনায়! 🛡️১লা সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে শুরু হচ্ছে EPI-এর অধীনে টাইফয়েড ভ্যাকসিন কার্যক্র...
21/07/2025

🛡️ টাইফয়েড টিকা এখন সরকারি ব্যবস্থাপনায়! 🛡️

১লা সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে শুরু হচ্ছে EPI-এর অধীনে টাইফয়েড ভ্যাকসিন কার্যক্রম।
৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের ১ ডোজ করে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে — একদম বিনামূল্যে!

👧👦 অন্তর্ভুক্ত থাকছে –
প্লে গ্রুপ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা।

💉 টাইফয়েড টিকা কেন জরুরি?
টাইফয়েড একটি মারাত্মক ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ। এই টিকা আপনার শিশুকে টাইফয়েড জ্বর থেকে নিরাপদ রাখে।

📌 টিকা নিতে যা দরকার:
✔️ ১৭-ডিজিটের ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন সনদ
(না থাকলে এখনই করে ফেলুন)
✔️ EPI ক্যাম্পেইনের সময় ঘোষণার পর আপনার এলাকার EPI (Expanded Programme on Immunization) সেন্টারে যান
✔️ সঙ্গে নিন শিশুকে ও জন্মনিবন্ধনের সনদ

🌐 রেজিস্ট্রেশন করতে ভিজিট করুন:
👉 https://vaxepi.gov.bd

🔄 আগে যারা HPV টিকার সময় নিবন্ধন করেছেন, তাদের নতুনভাবে রেজিস্ট্রেশন করার দরকার নেই।
➤ শুধু লগইন করে টাইফয়েড টিকার জন্য রেজিস্টার করলেই হবে।
➤ মোবাইল নম্বর ভুলে গেলে “Forget Mobile Number” অপশন ব্যবহার করুন।

🚨 যারা এখনো রেজিস্ট্রেশন করেননি –
১️. প্রথমে অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন
২️. এরপর টাইফয়েড টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করুন

সঠিক তথ্য জেনে, সময়মতো প্রস্তুতি নিন।
আমাদের শিশুদের সুস্থ ভবিষ্যতের জন্য একসাথে এগিয়ে আসুন। ❤️

https://www.facebook.com/share/19jbF8gE92/আহারে মুখে দাড়ি, মাথায় টুপি, নামাজ পড়ে কপালে দাগ পড়ে গেছে, তবুও জেনে বুঝে ...
20/07/2025

https://www.facebook.com/share/19jbF8gE92/

আহারে মুখে দাড়ি, মাথায় টুপি, নামাজ পড়ে কপালে দাগ পড়ে গেছে, তবুও জেনে বুঝে অন্যায় করেই যাচ্ছে।

মানুষ এত বোকা হয় কি করে, যে দালালের খপ্পরে পড়ে বাচ্চার জীবনটা শেষ করে দিলো।

ভোলার বোরহানউদ্দিনের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) শফিকুল ইসলামের ব্যক্তিগত চেম্বারে চিকিৎসা নিয়ে ৮ বছর বয়সী মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র তানভীর হাত-পা হারিয়েছেন। জ্বর নিয়ে এসে ভুল চিকিৎসায় পঙ্গু হয়ে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় ওই শিশুর মা মিতু বেগম স্যাকমোর বিরুদ্ধে ভোলার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। ঘটনার সত্যতা পেয়ে শনিবার (১৯ জুলাই) সংশ্লিষ্ট স্যাকমোকে গ্রেফতার করেন স্থানীয় থানা পুলিশ। তানভীর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ফুলকাচিয়া ৬নং ওয়ার্ড বাসিন্দা মোসলেম মেয়ার সন্তান। বিষয়টি মেডিভয়েসকে নিশ্চিত করেছেন বোরহানউদ্দিন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান।

তানভীরের বাবা মো. মোছলেম, মা মিতু ও এজহার সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২২ এপ্রিল রাতে তানভীর জ্বরে আক্রান্ত হয়। পরদিন উন্নত চিকিৎসার জন্য উপজেলা হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালের সামনে অবস্থিত আকিব মেডিকেল হলের মালিক দালাল আকিবের সাথে দেখা হয়। ভালো ডাক্তার দেখানোর কথা বলে তার ফার্মেসিতে নিয়ে যান। আকিব, স্যাকমো শফিকুলকে দেখান। সফিক টেস্ট লিখে দেন। টেস্টের জন্য আকিব তাদেরকে নিয়ে যান আহসানিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।

টেস্ট শেষে রিপোর্ট দেখে শফিকুল ইসলাম জানায়, ছেলের ডেঙ্গু হয়েছে। শফিক তাকে অ্যান্টিবায়োটিক দিতে বলেন। এরপর আকিব ৪টি ইনজেকশন পুশ করেন। সাথে সাথে তানভীরের শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। বিষয়টি শফিকুল ইসলামকে জানায় তারা। তিনি অ্যালার্জির সমস্যার কথা বলেন। ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে ভোলা সদর হাসপাতাল এরপর বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ এবং পরে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়।

মিতু বেগম ঢাকা মেডিকেল কলেজের ডাক্তারদের উদ্ধৃতি দিলে বলেন, বোরহানউদ্দিনে ভুল চিকিৎসার কারণে তার সন্তানের এ অবস্থা। চলতি মাসের (১৫ জুলাই) অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তানভীরের দুটি হাতের কবজি ও একটি পা কেটে ফেলা হয়েছে। শিশুটি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শফিকুল ইসলাম বোরহানউদ্দিনের ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে স্যাকমো হিসেবে কর্মরত। এছাড়া হাসপাতাল সড়কে আকিব মেডিকেল হল ও দেউলা মেডিকেল হল নামে দুটি ঔষধ বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ব্যক্তিগত চেম্বার করেন।

স্যাকমো শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তিন মাস আগে তানভীর নামে রোগীকে নিয়ে তার স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাফেরা করছিল। কেউ তাকে চিকিৎসা দেয়নি। পরে তাকে আমি দেখেছি। তার সারা গায়ে অ্যালার্জি, ক্রাশ, ফোড়ার মতো এবং প্রচণ্ড জ্বর ও খিঁচুনি ছিল। আমি তাকে জ্বরের সিরাপ, জ্বরের সাপোজিটর ও খিঁচুনি কমার জন্য সেডিল ইঞ্জেকশন হাপ এম্পুল দিয়েছি। যাতে তাঁর খিঁচুনি না হয়। আমি তাকে শুধু জ্বরের ট্রিটমেন্ট দিয়েছি। আপনার ব্যবস্থাপত্রে ডেঙ্গু লিখছেন এবং অ্যান্টিবায়োটিক লিখছেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি নীরব থাকেন, এ সময় কোন উত্তর দিতে পারেন নি।

20/07/2025

॥জরুরী চিকিৎসা সচেতনতা॥

বক্তৃতার সময় বক্তার অসুস্থ হয়ে পড়ার কিংবা অচেতন হয়ে পড়ে যাওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। (মোবাইলে ভিডিও ধারণের সুবাদে) এমনকি বক্তব্যের মধ্যেই অজ্ঞান হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ার দৃশ্যও আজকাল দেখা যায়।

এর অনেক কারণ রয়েছে। যেমনঃ বক্তা যদি বক্তব্যের কোনো পর্যায়ে অতিরিক্ত উত্তেজিত হয়ে পড়েন, তাহলে যাদের হৃদরোগ আছে, তাদের হার্ট অ্যাটাক হতে পারে কিংবা হার্টের স্পন্দনের ছন্দ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। দ্রুত চিকিৎসা করাতে না পারলে, এমন ঘটনায় বক্তার মৃত্যু হয়। এমনও দেখা যায় যে, বক্তা আগে জানতেনই না তার হার্টের সমস্যা রয়েছে।

তবে হৃদরোগ ছাড়াও অন্যান্য অনেক কারণে বক্তব্যের মধ্যে বক্তা অচেতন হয়ে পড়ে যেতে পারেন।

গরমে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করলে কিংবা দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকলে রক্ত চলাচল ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তখন মস্তিষ্কের রক্তপ্রবাহ সাময়িক কমে যায়। বয়স্ক এবং ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে এটি বেশি দেখা যায়।

এইসময় উপস্থিত শ্রোতা-দর্শক কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন এবং তড়িঘড়ি করে কিছু ভুল পদক্ষেপ নেন। যেমনঃ রোগীকে বসিয়ে দেওয়া, মাথায় পানি ঢালা, বা পাখা দিয়ে বাতাস করা। এই কাজগুলো মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ আরও কমিয়ে রোগীর ক্ষতি বাড়ায়। জনসম্মুখে (যেমনঃ রাজনৈতিক সমাবেশ, নামাজের জামাত) এই ভুলগুলো প্রায়ই ঘটে। অজ্ঞতাবশত সাহায্য করতে গিয়ে এমনটি ঘটে।

প্রাথমিকভাবে কি করা উচিত?

১) মাথা নিচে, পা উপরেঃ রোগীকে মাটিতে সোজা চিৎ করে শুইয়ে পা উঁচুতে তুলে ধরে রাখুন (চেয়ার, বালিশ, বা কাপড়ে জড়িয়ে)। এরফলে মাধ্যাকর্ষণের কারণে মস্তিষ্ক ও হৃদপিণ্ডে রক্তপ্রবাহ বাড়বে।

২) পায়ের পেশী ম্যাসাজঃ পায়ের পিছনের সোলিয়াস পেশী (গোড়ালির ওপরে) চেপে ম্যাসাজ করুন। এই পেশীতে অতিরিক্ত রক্ত সঞ্চালন হয়। এটা ম‍্যাসাজ করলে জমা রক্ত হৃদপিণ্ডে ফিরবে, রক্তচাপ স্বাভাবিক হবে।

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ

- পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশনের ফলে পড়ে গিয়ে থাকলে রোগী সচেতন থাকলে অল্প অল্প করে স্যালাইন দিন (বসে বা অর্ধশোয়া অবস্থায়)।

- অসচেতন রোগীকে মুখে খাবার বা পানীয় দেবেন না। এক্ষেত্রে ফুসফুসে খাবার চলে গিয়ে মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়।

অন‍্য দুটি জরুরি অবস্থাঃ

- হৃদরোগে অচেতনঃ হার্ট অ্যাটাক কিংবা হার্টের স্পন্দনের ছন্দ নষ্ট হয়ে গেলে রোগী সহসা অচেতন হয়ে পড়ে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে বুকে দ্রুত CPR শুরু করতে হবে। সিপিআর একটি প্রাথমিক চিকিৎসা পদ্ধতি যা সকল সচেতন নাগরিকের জানা এবং শেখা জরুরি।

- ডায়াবেটিস রোগীঃ রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে গেলে বা হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলে রোগী অজ্ঞান হয়ে পড়ে যেতে পারেন। সচেতন থাকলে মিষ্টি খাবার (গ্লুকোজ, চিনি, জুস) দিন।অসচেতন হলে কিছুই খাওয়াবেন না। এরজন‍্য দ্রুত শিরাপথে গ্লুকোজ দিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। অতএব দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতাল বা ক্লিনিকে যেতে হবে।

মনে রাখুনঃ

- পা উপরে, মাথা নিচে – এই নিয়মটি অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

- CPR শিখে রাখুন (হৃদরোগে জরুরি)। সিপিআর একটি জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসা। দেশের সকল সচেতন নাগরিকের এটা শেখা জরুরি।

- ঘটনাস্থলে উপস্থিত একজন দ্রুত জাতীয় জরুরী সেবা এবং নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।

[এই পোস্টটি সাধারণ সচেতনতার জন্য, চিকিৎসকের পরামর্শ বিকল্প নয়]

20/07/2025

ডিভাইস খতনা : একটি অতিরঞ্জিত প্রচারের শিকার অভিভাবক ও তাদের আদরের ছেলেরা।

হাজামরা ও এতোটা ক্ষতি করেনি বাচ্চাদের।
গত এক মাসের মধ্যে ২ টা বাচ্চার চিকিৎসা চলছে যারা ডিভাইস দিয়ে খতনা করানোর কারনে পেনিসের মুল স্কিন এর ৭০% এর মতো ডিভাইস দিয়ে রিমোভ হয়ে গেছে। ফেলে পুরো পেনিসটি চামছোলা হয়ে দিনের পর দিন আমার কাছে চিকিৎসাধীন আছে।
মেজর রিকন্সট্রাক্টিভ প্লাস্টিক সার্জারি করে ঠিক করতে হবে।
অথচ ওর বাবা উচ্চশিক্ষিত এবং ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষক।
তিনি বললেন, প্রচারের প্ররোচনায় প্রলুব্ধ হয়ে তিনি ডাক্তারের কোয়ালিটি না দেখে শুধু বিজ্ঞাপন দেখে একমাত্র ছেলের ভবিষ্যৎ নষ্ট করলেন।
এই ছেলের মতো আরও অনেক ছেলে আজকে এই অতিরঞ্জিত প্রচারের শিকার।
হাজামরা ও এতোটা খারাপ ছিলেন না কারন তারা বংশ পরম্পরায় এটা প্র্যাক্টিস করেছিলেন কিন্তু তারা স্কিন কম কাটেন।অনেক সময় চামড়া আবার আগের জায়গায় চলে আসে।
কিন্তু ডিভাইস দিয়ে খতনা করানোর জটিলতার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাচ্ছি অতিরিক্ত চামড়া কর্তন।অথচ লিঙ্গের এই চামড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রপার ইরেকশন বা উত্থানের জন্য।
তাই খুব এক্সপার্ট না হলে কারো মাধ্যমে এই ডিভাইস লাগানো মানে ছেলের পেনিস নিয়ে ভয়বহ রিস্ক নেওয়া।
হয়তো যারা এই পদ্ধতি প্রমোট করেন তারা যুক্তি দিবেন কিন্তু আমি দিবো ভয়াবহ প্রমান, ছবি, ভিডিও, অভিভাবকের কান্না আর আফসোসের উদাহরণ।
তাই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনাকেই, আপনার ছেলের জন্য পরিক্ষিত ও নিরাপদ খতনা পদ্ধতি কোনটা তা যাচাই করতে হবে।
Source: মোর্শেদ আলী https://www.facebook.com/morshed.ali.77

Address

Ramna

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when শিশু ও নবজাতকের স্বাস্থ্য পরামর্শ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram