08/02/2024
বন্ধ্যাত্ব মানেই স্বামী-স্ত্রীকে বা স্ত্রী-স্বামীকে দোষারোপ করবেন, বন্ধ্যাত্ব মানেই আপনার সন্তান হবে না, বন্ধ্যাত্ব মানেই আপনার জীবন শেষ, সংসার জীবনের ইতি টানার চিন্তা করবেন...!!!
দয়া করে এসব ভ্রান্ত ও ভুল ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে নিজেকে সংশোধন করুন।
বিশেষ করে- বিয়ের পর মহান আল্লাহ পাক আপনাকে সন্তান দান করেছেন কিন্তু আপনি সেই সন্তান নষ্ট করেছেন বা নিজেরা ইচ্ছে করে Abortion করিয়েছেন, দেখা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ওনারাই পরবর্তীতে নিঃসন্তান দম্পতি হিসেবে চিহ্নিত হন।
আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, নারী পুরুষ উভয়ের হরমোন জনিত সমস্যার কারণে বন্ধ্যাত্ব দেখা দিতে পারে, অনেক ক্ষেত্রে গনোরিয়া ও সিফিলিস রোগে আক্রান্ত হলেও আপনি নিঃসন্তান দম্পতির তালিকা থাকেন।
ঘটনা প্রবাহ 01: এক দম্পতির বিয়ের পরপরই গর্ভে সন্তান ধারণ করেছে কিন্তু ওনারা প্রকৃতির বিরুদ্ধে গিয়ে সেই সন্তান এবরশন করে ফেলে দিয়েছেন। জীবনকে উপভোগ করেছেন দুই থেকে তিন বছর..! তারপর থেকে সন্তান নেয়ার জন্য উভয়ই আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন কিন্তু আল্লাহ পাক তাদের দিকে আর মুখ ফিরে তাকায়নি। অনেক বড় বড় গাইনোকলজিস্ট ডাক্তার দেখিয়েছেন তার পরও কোনো কাজ হয়নি। খুলনা ও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সরকারি-বেসরকারিভাবে অনেক ডাক্তার দেখিয়েছেন তাতেও কোন ফলাফল হয়নি। এভাবে চেষ্টা চালিয়ে গেছেন সুদীর্ঘ 12 বছর। এরপর আমার এক উপকৃত রোগীর মাধ্যমে আসে আমাদের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা, উনাদের সকল হিস্ট্রি জেনে উনাদের কিছু কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে বলি এবং পাশাপাশি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেবনের পরামর্শ দেই। দীর্ঘ ১৬_১৭ মাস ঔষধ সেবনের পর মহান আল্লাহ্ ওনাদের সন্তানের অংশীদারিত্ব দেন। আল্লাহর রহমতে এখন উনারা একজন কন্যা সন্তানের মা বাবা। আর সেই রাজকন্যার নাম আয়েশা আক্তার, বয়স: ১৬ মাস। (Documented)
ঘটনা প্রবাহ 02: এক দম্পতির বিয়ের পর একটি ছেলে সন্তান হয়। ছেলে সন্তান হওয়ার পর ওনারা দুজনেই সিদ্ধান্ত নেন পরবর্তী সন্তান দেরি করে নিবেন। এজন্য ওনারা ইনজেকশন মেথড ব্যবহার করেন যার মেয়াদ ছিল 6 মাস। ঐ ইনজেকশন দেয়ার কারণ হলো 6 মাস মিনিমাম বাচ্চা কনসিভ করবেনা। ছয় থেকে সাত মাস পর যখন দেখল ওই মহিলার মাসিক ধীরে ধীরে রেগুলার হচ্ছে ঠিক তখনই উনি আবার আরো একটি 6 মাস মেয়াদী ইনজেকশন নিয়ে নিলেন। এরপর উনারা উনাদের মত উনাদের জীবন উপভোগ করছেন। এভাবেই ছেলের বয়স যখন চার বছরে পৌঁছালো তারপর সিদ্ধান্ত নিলেন আবারো আরেকটি সন্তান নেয়ার। কিন্তু দুঃখের বিষয় এখন ওই মহিলার আর ঠিকমতো মাসিক হচ্ছে না। অর্থাৎ প্রতিমাসে যে নিয়মে মাসিক হওয়ার কথা সেটি আর হচ্ছে না। এখন দেখা যায়- কখনো দুই মাস পর মাসিক হয়, কখনো বা তিন মাস পর মাসিক হয়, কখনো বা 15 দিন পর মাসিক হয়। অর্থাৎ এখন আর ওনার মাসিকটা রেগুলার হচ্ছে না। ঠিক একজন নারীর যখন মাসিক রেগুলার না থাকবে তখন তার বাচ্চা কনসিভ করার কোন অবস্থা থাকে না। এরপর দীর্ঘ ৮ (আট) বছর অনেক গাইনোকলোজিস্ট ডাক্তার দেখিয়েছেন, অনেক চেষ্টা করছেন কিন্তু মহান আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে কোন সন্তান দান করেন নি। এরপর আসে আমাদের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায়, উনাদের সকল হিস্ট্রি জেনে উনাদের কিছু কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে বলি এবং পাশাপাশি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেবনের পরামর্শ দেই। দীর্ঘ ৬-৮ মাস ঔষধ সেবনের পর ওই ভদ্রমহিলার মাসিক রেগুলার হয় এবং মহান আল্লাহ্ ওনাদের সন্তানের অংশীদারিত্ব দেন। আল্লাহর রহমতে এখন উনারা দুই সন্তানের মা-বাবা। (Documented)
বন্ধ্যাত্ব মানে সন্তান না হওয়া। অর্থাৎ বন্ধ্যাত্ব রোগ সাইকোসিস থেকে উদ্ভূত। তাই অ্যান্টিসাইকোটিক ঔষধ দ্বারা চিকিৎসা করলে সুফল লাভের সম্ভাবনা অনেক বেশি।
বন্ধ্যাত্ব রোগের চিকিৎসা:
বন্ধ্যাত্ব রমণীর স্বামীর হরমোনজনিত কোন সমস্যা থাকলে এবং গনোরিয়া রোগের ভোগার ইতিহাস থাকলে প্রথমে সেটির চিকিৎসা করতে হবে।
বন্ধ্যাত্ব রমণীর হরমোন জনিত কোন সমস্যা থাকলে এবং ঋতুস্রাবের অনিয়মের জন্য বন্ধ্যাত্বের দোষ জন্মিলে প্রথমে ঋতুস্রাব স্বাভাবিক করার জন্য চিকিৎসা করতে হবে।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় উন্নত মানের বেশ কিছু ঔষধ রয়েছে যার মাধ্যমে একজন বন্ধ্যাত্ব রমণী বন্ধ্যাত্বের কুফল থেকে মুক্তি পাবেন, ইনশাআল্লাহ।