17/08/2025
চিকুনগুনিয়া একটি মশাবাহিত রোগ, যা তীব্র জ্বর, জয়েন্টে ব্যথা, মাথাব্যথা, এবং ফুসকুড়ি সহ বিভিন্ন উপসর্গ সৃষ্টি করে। এর চিকিৎসা মূলত উপসর্গভিত্তিক, যার মধ্যে বিশ্রাম, পর্যাপ্ত তরল গ্রহণ, এবং ব্যথানাশক ওষুধ অন্তর্ভুক্ত। গুরুতর ক্ষেত্রে, চিকিৎসকের পরামর্শে অন্যান্য ওষুধও ব্যবহার করা হতে পারে।
চিকুনগুনিয়ার লক্ষণ:
• তীব্র জ্বর: সাধারণত ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি জ্বর হয়।
• জয়েন্টে ব্যথা: এটি চিকুনগুনিয়ার সবচেয়ে সাধারণ এবং দীর্ঘস্থায়ী লক্ষণ। জয়েন্টগুলোতে তীব্র ব্যথা, বিশেষ করে হাত ও পায়ের ছোট ছোট জয়েন্টগুলোতে এই ব্যথা দেখা যায়।
• মাথাব্যথা: চিকুনগুনিয়ার কারণে মাথাব্যথা হতে পারে।
• ফুসকুড়ি: শরীরে লালচে বা গোলাপি রঙের ফুসকুড়ি দেখা যেতে পারে।
• বমি বমি ভাব এবং বমি: কিছু রোগীর ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে।
• ক্লান্তি এবং দুর্বলতা: চিকুনগুনিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিরা ক্লান্তি এবং দুর্বলতা অনুভব করতে পারেন।
• অন্যান্য উপসর্গ: কিছু ক্ষেত্রে চোখের প্রদাহ, মাংসপেশিতে ব্যথা এবং পেটে ব্যথাও হতে পারে।
চিকিৎসা:
চিকুনগুনিয়ার জন্য কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। তবে, উপসর্গগুলির উপশমের জন্য নিম্নলিখিত ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে:
• বিশ্রাম:
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিলে শরীর দ্রুত সেরে উঠতে পারে।
• তরল গ্রহণ:
প্রচুর পরিমাণে জল, ফলের রস এবং অন্যান্য তরল পান করে শরীরকে সতেজ রাখা প্রয়োজন।
• ব্যথানাশক ওষুধ:
প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন জাতীয় ওষুধ ব্যথা এবং জ্বর কমাতে সাহায্য করতে পারে। তবে, অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ চিকুনগুনিয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা উচিত নয়।
• চিকিৎসকের পরামর্শ:
উপসর্গ গুরুতর হলে বা দীর্ঘস্থায়ী হলে, চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চিকিৎসক প্রয়োজন অনুযায়ী অন্যান্য ওষুধ, যেমন - কর্টিকোস্টেরয়েড বা ফিজিওথেরাপি দিতে পারেন।
চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে মশা নিয়ন্ত্রণ করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মশার কামড় এড়াতে মশার Spay ব্যবহার করা, লম্বা হাতাযুক্ত জামাকাপড় পরা এবং ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করা উচিত।