14/02/2024
একটি বলদ জীনের বাস্তব গল্প:
বাসায় কোনো কারন ছাড়াই জানালার পর্দা খুলে পড়ে যেত, জানালা আপনাআপনি খুলে যেত, পানির পাত্র হঠাত নিজ থেকেই টেবিল থেকে পড়ে যেত, গোছানো বিছানার চাঁদর কে যেনো এলোমেলো করে ফেলতো চোখের আড়াল হলেই, বাচ্চারা পড়তে বসলেই অদ্ভুত আওয়াজ পেত, ঘুমের মধ্যে ডিস্টার্ব করতো সবাইকে।
এই টাইপের সমস্যা নিয়ে গত বছর একটা ফ্যামিলি এসেছিল সেন্টারে। অনেক কবিরাজ, তাবিজ কবচ নিয়েও কোনো সমস্যার উন্নতি পায়নি। কোনো এক রিলেটিভ এর কাছ থেকে আমাদের নাম্বার পেয়ে আসলো সিরিয়াল নিয়ে।
বল্লাম বাসায় আমল দিয়ে দিচ্ছি আগে একসপ্তাহ ফলো করেন, বাসার তাবিজ কবচ নস্ট করে আসেন। বল্লো এসেছি যখন একটু পানি আর তেল টা রেডি করে দেন আপনাদের রাকিকে দিয়ে।
ভাবলাম যেহেতু পানি তেল পড়িয়েই দিতে হবে তাহলে একটু জোরে তেলাওয়াত করে আপ্নাদেরকেও ৫/১০ মিনিট রুকইয়াহ করে দিক।
বাসার সবাইকে পাশাপাশি বসিয়ে রুকইয়াহ এর কম্ন আয়াত পড়া শুরুর ৩/৪ মিনিটের মাথায় মহিলা কান্নাকাটি শুরু করে দিলো, বল্লাম আপনার নাম কি। দেখি কোনো উত্তর দিতে পারছেনা। বুঝলাম জীন হাজির হয়ে গেছে শরীরে।
আরো ২/৩ মিনিট তেলাওয়াতের পর বলতেছে চলে যাই মাফ করে দিয়েন।
ভাবলাম এতো ভিতু আর বলদ জীনও আছে?
১০ মিনিটের সময় বলে গেলো আর এদের ডিস্টার্ব করবোনা একেবারেই চলে যাচ্ছি, কিন্তু ওনার বাচ্চাদের বইলেন বাসায় গান বাজনা যেনো না বাজায়। তাহ্লে আর আমার বন্ধুরাও ডিস্টার্ব করতে পারবেনা।
১১ মিনিটের মাথায় একদমই চলে গেলো।
পরের মাসে খবর নিলাম বল্লো মাস্নুন আমল গুলো ঠিকঠাক করায় এরপর আর ডিস্টার্ব করেনি কখনো।
বাচ্চাদের গানবাজনা বাজালে ডিস্টার্ব বেশি করতো সেটা ফ্যামিলির সবাই প্রত্যক্ষ করেছিল।
এখন আলহামদুলিল্লাহ সবাই হেফাজতেই আছে।
রুকইয়াহ এর ক্ষেত্রে ঘরে বাজনা এবং ছবি বড় প্রতিবন্ধক। এটা থেকে দূরে থাকা আবশ্যক।
বি:দ্র: ইবাদাহ্ সেন্টারের ৬ বছরে এখন পর্যন্ত এটাই ছিলো সবচেয়ে বলদ প্রকৃতির জীন, যা কিনা ১০ মিনিট রুকইয়াহতেই মাফ চেয়ে চলে গেলো।