24/07/2025
আমি জানি, এই মুহূর্তে এই পোস্ট টা অনেক বেশি স্বার্থপর মনে হবে কিন্তু একজন সচেতন মনোবিজ্ঞানী হিসেবে বলছি, আমাদের নিউজফীড এ এমন কোন আতঙ্ক আমরা ছড়াচ্ছি নাতো, যাতে অন্য আরেকজন অসুস্থ হয়ে যায়। মাইলস্টোন স্কুলে যে অনভীপ্রেত দুর্ঘটনা ঘটেছে এটা আমাদের কারো পক্ষেই সহ্য করা সহজ না। বাচ্চারা আমাদের বেশিরভাগ মানুষের একটা দুর্বল জায়গা। সেখানে তাঁদের sufferings সহ্য করা মুশকিল! বিশেষ করে দগ্ধ দেহের ছবি, হতাহতের সংখ্যা দিয়ে অনেকেই নিউজ ফিড ভরিয়ে ফেলছি, যা আমাদের মাঝে অনেকেরই সহ্যসীমার বাইরে। এমন অনেকে আছেন, যাদের এই দগ্ধ নিয়ে হয়তো ট্রমা আছে, কিংবা হয়তো অনেকজন আছে যাদের সরাসরি এই ট্রমা নেই কিন্তু এই বিভীষিকাপূর্ণ তথ্য চিত্র সহ্য করার ক্ষমতা কম, কিংবা অনেকের মধ্যে এমনিতেই দুর্ঘটনা আতঙ্ক রয়েছে এগুলো বেড়ে গিয়ে তাঁদের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে। তাই সবার প্রতি সবিনয় অনুরোধ দয়া করে সোশ্যাল মিডিয়া তে এই অপ্রয়োজনীয় ছবি, হতাহতের সংখ্যা শেয়ার না করে, হাসপাতালে বা ঘটনাস্থলে ভীড় না করে আমাদের বাচ্চা গুলোর জন্য দোয়া করি, সেবাপ্রদানকারী ব্যক্তিদের তাঁদের কাজ যথাযথভাবে করার জন্য সহায়তা করি এবং সোশ্যাল মিডিয়া তে প্রয়োজনীয় তথ্য যা উপকারে আসবে সেটাই শেয়ার করি। আর আমাদের কারো যদি খুব বেশি অস্থিরতা বা আতঙ্ক দেখা দেয়, অতিমাত্রায় পেলপিটিশন হয় বা অতিমাত্রায় নেতিবাচক চিন্তা বিক্ষিপ্ত করে ফেলে তবে অবশ্যই মানসিক পেশাজীবীদের সাথে যোগাযোগ করি বা অন্যদের ও করতে বলি। এজন্য প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন নিম্নলিখিত প্রতিষ্ঠান গুলোতে-
*জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
* মনোরোগ বিদ্যা বিভাগ, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
* মনোরোগ বিদ্যা বিভাগ,ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
* বারডেম জেনারেল হাসপাতাল
* ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর
* রিজোনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টার, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
* সকল সরকারি এবং বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
লেখক - সাইকোলজিস্ট ইসমত জাহান।