Mass Ruqyah Foundation

20/06/2025

যারা মিস করেছেন, তাদের জন্য এক ঝুড়ি সমবেদনা । কারণ আমরা দিতে পারছি দেশের সবচেয়ে স্বল্প খরচে সুন্নাহ সম্মত, কোয়ালিটি ফুল রুকইয়াহ্ চিকিৎসা ।
তবে চাইলে সামনের সেশন বুক করতে চোখ রাখুন, কয়েকদিনের মধ্যেই ঘোষণা আসবে ইনশাআল্লাহ।

আজকের অংশগ্রহণকারীরা যেন প্রত্যেকে সুস্থ হয়ে ওঠে সে প্রত্যাশায় ...

Raqi Masud Bin Shahid
নিকুঞ্জ, খিলক্ষেত, থাকা ।

17/06/2025

বাচ্চা না হওয়ার ক্ষেত্রে জিন জাদুর প্রতিবন্ধকতা আছে কিনা চেক করতে এই অডিওটি শুনুন

https://youtu.be/Z54jTTM4yhw?si=OZH7jIMC2gEVmZ7q
🎧 অডিও শোনার নিয়মঃ

– অডিও প্রতিদিন মিনিমাম "টানা" (১-২) ঘন্টা করে শোনা। সম্ভব হলে এর চেয়ে বেশি শোনা উচিৎ।
– দুই কানে হেডফোন দিয়ে শোনা।
– একদম হাই ভলিউমে শোনা যেন বাইরের কোনো সাউন্ড কানে না আসে।
– কুরআন তিলাওয়াত করে ফুঁ দেওয়া হয়েছে এমন পড়া পানি খেয়ে নেয়া।
– চোখ বন্ধ করে, শরীর একদম ছেড়ে দিয়ে শোনা।
– বসে অডিও শোনা। চেয়ারে হেলান দিয়ে শুনতে পারেন তবে ঘুম যেন না আসে সেদিকে খেয়াল রাখা।
– যে সমস্যা সমাধানের জন্য রুকইয়ার অডিও শুনবেন সেটা উল্লেখ করে নিয়্যাত করে নেওয়া।
– অডিও-তে যেসব দু'আ করা হয়েছে সেগুলো সব যেন কবুল হয় তা দু'আ করে নেওয়া।
– অডিও চলার সময় এমন অনুভূতি আনা যে অডিও সরাসরি আপনার সাথে থাকা খবিশের উপর আপতিত হচ্ছে। বাঁচার কোনো স্কোপ নেই!
– অডিও চলার সময় "সেন্টারে সরাসরি রুকইয়াহ" হচ্ছে এমন চিন্তা করলে অনেকের ক্ষেত্রে ইফেক্ট বেশি হয়।
– সেন্টারে সরাসরি রুকইয়াহ-তে যেই রিয়েকশন হয়, সেই রিয়েকশন জোর করে এক্টিভ করে এরপর অডিও শোনা ঐ রিয়্যাকশন ফিল করে।
– রিয়্যাকশন যা আসে তা রিলিজ করা। যেমনঃ হাত-পা ছোঁড়াছুড়ি, মাথা ঝাঁকানো, মুখ দিয়ে সাউন্ড ইত্যাদি যা আসে তা রিলিজ করা।
– অডিও শুনতে গিয়ে বমি/ কফ আসলে সেটা বের করা।
– সেই সাথে তিলাওয়াত এর দিকে পূর্ণ মনোযোগ রাখা, যেন তিলাওয়াত দিয়ে জ্বীনের শক্তি নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে।
– সোশ্যাল মিডিয়া, ফেসবুক ইত্যাদি অডিও চলাকালীন সময়ে পরিপূর্ণভাবে বর্জন করুন।
অডিও সেভ করে নেট অফ করে শুনুন। যাতে তেলাওয়াতের মাঝে কোন প্রকার এড না আসে।

Raqi Masud Bin Shahid

#রুকইয়াহ
#বিচ্ছেদ #রুকইয়াহ

11/06/2025

তানিন সুবহার বিষয়টি এখন আলোচনায় । এ ব্যাপারে পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন রকম লেখালেখি হবে ।
আমি সেদিকে যাব না, উনার মত এদেশে আরো শত শত ভুক্তভোগী হয়েছেন এবং হবেন, তাদের জন্য সতর্কতামূলক আবারো লক্ষণগুলো জানিয়ে দিচ্ছি। মনে রাখবেন এটা করোনার থেকে কোন অংশেই কম না।

বাংলায় এ জাদুর বিভিন্ন নাম রয়েছে । একেক ধারার প্র্যাকটিস অনুযায়ী জাদুকররা বিভিন্ন মেয়াদের বাণ দিয়ে থাকে ।
যাই হোক, سحر القتل বা হত্যার জাদুর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ধীরে ধীরে শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বলতা তৈরি করে ব্যক্তিকে মৃত্যু বা পঙ্গুত্বের দিকে ঠেলে দেওয়া।
ন্যূনতম হলেও শরীরিক মানসিকভাবে অকার্যকর, অক্ষম, অসুস্থ করে ফেলে রাখা।
🩸 #হত্যার_জাদুর_যাদুর_আলামতগুলো সংক্ষেপে নিম্নরূপ:

১)অকারণে স্বাস্থ্য হ্রাস পাওয়া। ধীরে ধীরে অথবা দ্রুত শরীর ক্ষয়ে যাওয়া ।

২)অসুস্থ অথচ রোগ ধরা পরেনা ।

৩)চিকিৎসা-বিষয়ক কোনো কারণ ছাড়াই স্বাস্থ্যগত জটিলতা সৃষ্টি হওয়া।

৪)চেহারা হলুদ বা মলিন হয়ে যাওয়া।

৫)ভয়, একাকিত্ব, আত্মহত্যার চিন্তা আসা।

৬)প্রচন্ড জিদ, হুটহাট কান্নাকাটি, হাসাহাসি ।

৭)যে কোন প্রকারের ক্যান্সার, স্ট্রোক, প্যারালাইসিস ।

৮)খাবারের প্রতি আগ্রহ না থাকা।

৯)ভুলে যাওয়া, অস্থিরতা, শ্বাসকষ্ট, পেট ও বুকের অজানা ব্যথা।

১০)প্রায়শই দুঃস্বপ্ন, হত্যা চেষ্টা, মৃত মানুষ, কবর ইত্যাদি দেখা।

১১) কোনো চিকিৎসায় স্থায়ী উপশম না হওয়া।

অতএব সতর্ক হোন সতর্ক করুন।

Raqi Masud Bin Shahid
নিকুঞ্জ, খিলক্ষেত, ঢাকা ।
01972-136080


#সুবহা
#তানিনরহমানসুবহা

06/06/2025

05/06/2025

🌙 ঈদের পর শুরু হচ্ছে দিনব্যাপী ম্যাস রুকইয়াহ সেশন!
📆 তারিখ: ২০ জুন
🕘 সময়: সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত
📍 স্থান: ম্যাস রুকইয়াহ ফাউন্ডেশন, নিকুঞ্জ, খিলক্ষেত, ঢাকা।

💚 যারা নিচের সমস্যাগুলোতে ভুগছেন, তাদের জন্যই এই আয়োজনঃ
✅ বর্তমানে রুকইয়াহ বা জিন-জাদুর চিকিৎসা করে উপকার পাচ্ছেন না।
✅ বহু চিকিৎসা নিয়েও উপকার পাচ্ছেন না।
✅ চিকিৎসা নিচ্ছেন কিন্তু কোনো স্থায়ী রিলিফ মিলছে না।
✅ চিকিৎসকরা বলেছেন – “ইমারজেন্সি নয়”, কিন্তু আপনি শারীরিক-মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।
✅ দীর্ঘদিনের পুরাতন রোগ বা সমস্যা, যা সুস্থতায় বাঁধা সৃষ্টি করছে।
✅ বিভিন্ন কারনে সেলফ রুকইয়াহ্ করতে পারছেন না ।
✅ দূরত্বের কারনে অফলাইন ঘন ঘন সেশন নিতে পারছেন না ।
✅ অভিজ্ঞ কারো গাইডলাইন মেনে চলছেন না ।
✅ পরিবার থেকে ভালো কোনো মেন্টাল সাপোর্ট পাচ্ছেন না ।

📢 রেজিস্ট্রেশন করতে এখনই
ইনবক্সে MRS লিখুন।

📱 যোগাযোগ: 01910-084349
📘 ফেসবুক পেজ: Massruqyah

🕌 আমাদের অন্যান্য সেবা:
🔹 সাশ্রয়ী টানা সেশন প্যাকেজ।
🔹 ফুল ফ্যামিলি সেশন।
🔹 ফুল ডে ম্যাস সেশন।
🔹 শর্ট / লং সেশন।
🔹 ডায়াগনোসিস সেশন।
🔹 আমাদের রয়েছে সারা দেশের ৬৪ জেলায় হোম সার্ভিস সুবিধা।

✨ ম্যাস রুকইয়াহ চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থতা অর্জনের একটি নতুন অধ্যায় শুরু করুন ঈদের পরপরই।
বন্ধুরা, পরিবার বা পরিচিত কারো এমন সমস্যা থাকলে, আজই এই পোস্টটি শেয়ার করুন এবং তাকে রেজিস্ট্রেশন করতে উৎসাহিত করুন।

20/05/2025

নিরব ঘাতক: শরীরে পানি কম খাওয়ার ক্ষতিকর প্রভাব

পানি হলো জীবনের মূল শিরা। আমাদের শরীরের প্রায় ৭০% অংশ পানি দিয়ে গঠিত। অথচ অনেকেই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করতে ভুলে যান, যার ফলে শরীরে ধীরে ধীরে দেখা দেয় কিছু গুরুতর সমস্যা। শুরুতে এগুলো সাধারণ মনে হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বড় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পরিণত হতে পারে।

চলুন জেনে নিই, পর্যাপ্ত পানি না খাওয়ার কারণে কী কী সমস্যা হতে পারে:

১. কোষ্ঠকাঠিন্য
যথেষ্ট পানি না খেলে অন্ত্রের গতি ধীর হয়ে যায়, ফলে মলত্যাগে অসুবিধা হয় এবং দীর্ঘমেয়াদে হজমজনিত সমস্যা দেখা দেয়।

২. মাথাব্যথা
ডিহাইড্রেশনের ফলে মস্তিষ্কের রক্তনালীগুলো সঙ্কুচিত হয়, যা বিশেষ করে কপাল ও চোখের চারপাশে মাথাব্যথার কারণ হয়।

৩. ক্লান্তি ও অলসভাব
শরীরে পানির পরিমাণ কমে গেলে শক্তির অভাব হয়, মনোযোগ কমে যায় এবং সারাদিন ক্লান্তি অনুভব হয়।

৪. মাথা ঘোরা
শরীরে পানির অভাবে রক্তচাপ কমে যায়, যার ফলে হঠাৎ দাঁড়ালে মাথা ঘোরার অনুভূতি হয়।

৫. মনোযোগের অভাব ও স্মৃতিভ্রংশ
মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটে, ফলে মানসিক স্থিরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা হ্রাস পায়।

৬. চোখ শুকিয়ে যাওয়া
পর্যাপ্ত পানি না খাওয়ার কারণে চোখের স্বাভাবিক আর্দ্রতা কমে যায়, ফলে চোখে জ্বালা ও শুষ্কতা অনুভূত হয়, বিশেষ করে দীর্ঘ সময় মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহারের সময়।

৭. ত্বকের শুষ্কতা
পানি ত্বককে সতেজ ও নমনীয় রাখে। এর অভাবে ত্বক মলিন হয়ে পড়ে এবং সহজেই ফেটে যেতে পারে।

৮. ঠোঁট ফাটা
শরীরে পানির অভাবের একটি স্পষ্ট লক্ষণ হলো ঠোঁট ফেটে যাওয়া, যা অনেক সময় যন্ত্রণাদায়ক হয়ে ওঠে।

শেষ কথা:
তৃষ্ণা পাওয়ার অপেক্ষা না করে প্রতিদিন নিয়ম করে অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করুন। গরমের দিনে বা শারীরিক পরিশ্রমের সময় পানির পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দিন। সুস্থ শরীরের জন্য এটি একটি সহজ কিন্তু সবচেয়ে কার্যকর অভ্যাস।

20/05/2025

আপনি যদি জাদুগ্রস্থ হন তাহলে আপনার ক্ষতি করতে চাওয়া সেই খাদেম জ্বীনেরও আপনার খাবারে শরিক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ।

তাই—
আপনি যদি জাদুগ্রস্ত হন, অথবা আত্মিক দুর্বলতা অনুভব করেন,
তাহলে “বিসমিল্লাহ” বলার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ভুলে গেলে, খাবারের মাঝপথে বা শেষে যখনই মনে পড়বে, বলুন:
بِسْمِ اللَّهِ أَوَّلَهُ وَآخِرَهُ
(আল্লাহর নামে—শুরুর জন্য এবং শেষের জন্য।)

Raqi Masud Bin Shahid

13/05/2025

IBS পেটের সমস্যা নাকি পেটের জাদু?

পেটের সমস্যা আজকাল অনেকের কাছেই একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো IBS বা Irritable Bowel Syndrome—যা একধরনের ফাংশনাল অন্ত্রের সমস্যা, যেখানে অন্ত্রে কোনো দৃশ্যমান ক্ষত বা প্রদাহ না থাকলেও রোগী নানাবিধ উপসর্গে ভোগেন।

অনেকে এটিকে মনোদৈহিক রোগ (Psychosomatic) বলে — এর কারণ হলো,

১. এটি স্পষ্ট কোনো শারীরিক প্যাথলজি বা টিস্যু ক্ষতির মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা যায় না।

২. মস্তিষ্ক এবং তন্ত্রের মাঝে বিশেষ সম্পর্ক থাকার ফলে স্ট্রেস, উদ্বেগ, হতাশা ইত্যাদি IBS-এর উপসর্গকে বাড়িয়ে দেয়। বিশেষত
অনেক IBS রোগীর মধ্যে anxiety, depression, বা panic disorder-এর ইতিহাস থাকে।

🌿 যাইহোক, IBS-এর সাধারণ উপসর্গসমূহ নিম্নরূপ । 🔻

পেট ব্যথা বা ক্র্যাম্প, যা সাধারণত মলত্যাগের পর হালকা হয়

মলের স্বাভাবিক গঠনে পরিবর্তন—কখনো শক্ত, কখনো পাতলা।

পেটে গ্যাস বা ফাঁপা অনুভব।

ঘন ঘন মলত্যাগের বেগ।

মলত্যাগের পরও অপূর্ণতার অনুভূতি।

🌿 বর্তমান গবেষণা অনুযায়ী IBS- মূলত ৪ ধরনের।
1. IBS-C: কোষ্ঠকাঠিন্য বেশি হয়।
2. IBS-D: পাতলা পায়খানা বেশি হয়।
3. IBS-M: কখনো কোষ্ঠকাঠিন্য, কখনো। পাতলা পায়খানা।
4. IBS-U: কোনো নির্দিষ্ট শ্রেণিতে পড়ে না।
এছাড়াও কিছু আধুনিক মেডিকেল জার্নালে IBS-PI (Post-Infectious IBS) নামক একটি ক্যাটাগরি উল্লেখ করা হয় — এটা কোনো ইনফেকশন (বিশেষত গ্যাস্ট্রোএনটেরাইটিস) হয়ে যাওয়ার পরে শুরু হয়।

🖐️ এখন প্রশ্ন হল, কোনো ক্ষত বা প্রদাহ ছাড়াই কেন দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা পাতলা পায়খানার মত সমস্যায় রোগীরা ভুগছে?

এর উত্তরে আমরা বলি, এ ধরনের রোগীরা পেটের জাদুতে আক্রান্ত অর্থাৎ এদের পেটে জাদুর বস্তু রয়েছে। যাকে আধুনিক বিজ্ঞান IBS (Irritable Bowel Syndrome) নামে নামকরণ করেছে।

জাদুকরদের নিয়ম অনুযায়ী যাদুর বস্তু শরীরের যত কাছাকাছি থাকবে, জাদুর প্রভাব তত দ্রুত ও প্রবলভাবে কাজ করবে। তাই অধিকাংশ তান্ত্রিক খাবার বা পানীয়ের মাধ্যমে যাদু করা বস্তু শরীরের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে থাকেন।
পেট শরীরের কেন্দ্রস্থল হওয়ায়, এখানেই সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে—এবং এখান থেকেই শরীরের অন্যান্য অংশে যাদুর প্রভাব বিস্তার করে।

🌿পেটে জাদু থাকলে‌ কেন পেটে সমস্যা হবে?

কারণ:
১. যেমন IBS-D (পাতলা পায়খানা) হওয়ার কারণ হলো:
নোংরা বা অপবিত্র বস্তু খাওয়ানো। তান্ত্রিকরা যাদু করে, এমন কিছু খাওয়ায় বা পাঠায় যা পেটে গিয়ে পচে যায় এবং পেট নরম করে দেয়।

২. জ্বিন দ্বারা প্রভাবিত হওয়া। যাদুর মাধ্যমে জ্বিন পেটের ভেতরে প্রবেশ করে অন্ত্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে—এতে পেট নরম হয়ে যায় এবং ঘন ঘন মলত্যাগ হয়।

৩. পেটে সমস্যার মধ্যমে শক্তি ভেঙে দেওয়ার উদ্দেশ্যে, শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতা তৈরি করা। যাতে ব্যক্তি কর্মশক্তিহীন হয়ে পড়ে।

আবার, IBS-C (কোষ্ঠকাঠিন্য) হওয়ার কিছু কারণ।
৪.পেট বেঁধে দেওয়া (পুতুল যাদু) কিছু যাদুতে পুতুলের পেটে তাবিজ বা সুতা দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়। এটি যাকে যাদু করা হচ্ছে তার অন্ত্রকেও বাঁধা দেয়, ফলে হজম বন্ধ হয়ে যায় এবং মল আটকে পড়ে।

৫. জ্বিনের বাঁধন: জ্বিন মলদ্বার বা অন্ত্রে অদৃশ্য বাঁধন তৈরি করে।

৬. ভিতরের প্রবাহ বন্ধ হওয়া: কিছু যাদু শরীরের ভিতরের শক্তি বা রক্তপ্রবাহ আটকে দেয়, ফলে স্বাভাবিক হজমপ্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। ইত্যাদি।

সুতরাং কারো পেটে যদি জাদু করা হয় তাহলে জাদুর ধরন অনুযায়ী তার পাতলা পায়খানা অথবা কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
তাই কেউ যদি দীর্ঘদিন যাবৎ প্রচুর গ্যাস, পাতলা পায়খানা , কোষ্ঠকাঠিন্য , বারবার মলের বেগ অথচ টয়লেট না হওয়া, পেট ফাঁপা ইত্যাদিতে ভুগে থাকেন তাহলে অতি দ্রুতই রুকইয়াহ ডায়াগনোসিস করে নিশ্চিত হোন, যে আপনার পেটে কোন জাদু রয়েছে কিনা।

অন্যথায় আপনি (আমাদের জানা ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী) সারা জীবন এই কষ্ট বয়ে বেড়াবেন। এমনকি পরবর্তী উত্তর-শরীদেরও কেউ কেউ এই সমস্যায় আজীবনের জন্য ভুগে থাকে । আর ডাক্তারের কাছে গিয়ে নিজেকে তাদের দেওয়া কিছু নামে নিজেকে সংজ্ঞায়িত করতে পারবেন। তবে ঔষধে সম্পূর্ণ সুস্থ হবেননা।

যাইহোক ভয় নয়, সচেতন হন। সবকিছু বিজ্ঞান দিয়ে মাপতে যাবেন না । সমস্যা থাকলে দ্রুত রুকইয়াহ ডায়াগনোসিস করে নিশ্চিত হোন, যে আপনার পেটে কোন জাদু রয়েছে কিনা।

আল্লাহ সঠিক বুঝ দান করুক । সকলকে সুস্থতা দান করুক ।

10/05/2025

প্রথমে শাস্ত্রীয় আলাপ, শেষে মূল বক্তব্য।

মৃগী রোগ (Epilepsy) একটি স্নায়বিক রোগ, যার কারণে রোগীর মস্তিষ্কে হঠাৎ করে বৈদ্যুতিক সংকেতের অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়। এতে রোগীর চেতনা হারানো, শরীর কাঁপা, হঠাৎ পড়ে যাওয়া, চোখ উলটে যাওয়া, শরীর শক্ত হয়ে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়।

মৃগী রোগ কেন হয়? (কারণসমূহ)
১. জন্মগত বা জেনেটিক কারণ:
অর্থাৎ পরিবারে কারো মৃগী থাকলে জেনেটিক কারণে হতে পারে।

২.মাথায় বা মস্তিষ্কে আঘাত লাগা (দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া ইত্যাদি) মৃগীর কারণ হতে পারে।

৩. ব্রেইন টিউমার, স্ট্রোক বা রক্তক্ষরণ মৃগী সৃষ্টি করতে পারে।

৪. শিশুদের জন্মকালীন অক্সিজেনের অভাব, মাথায় চোট বা ইনফেকশন।

৫. শিশুরা উচ্চ জ্বরে খিঁচুনি খেতে পারে। এবং বারবার হয়ে তা মৃগীতে রূপ নিতে পারে।

৬. মস্তিষ্কে ইনফেকশন:
মেনিনজাইটিস, এনসেফালাইটিস, নিউরোসিস্টিসারকোসিস (প্যারাসাইটিক সংক্রমণ) ইত্যাদি।


মৃগী রোগ কি ভালো হয়?
১. অনেক রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যায়:
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৭০% মৃগী রোগী সঠিক চিকিৎসা ও নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদে খিঁচুনি থেকে মুক্ত থাকেন।

২. কিছু রোগী দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসায় নিয়ন্ত্রণে থাকে:
কিছু রোগীদের ক্ষেত্রে খিঁচুনি একেবারে বন্ধ না ‌করা গেলেও চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ওষুধ চলতে থাকলে, তা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৩. কিছু ক্ষেত্রে মৃগী নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়,এই অবস্থাকে বলা হয় "রিফ্র্যাক্টরি এপিলেপসি" বা "ওষুধ প্রতিরোধী মৃগী"।

______________________
আমাদের আজকের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে মৃগী রোগীর এই অবস্থা। যেখানে মৃগী রোগীকে ভালো করা তো সম্ভব নয়। এমনকি তাকে নিয়ন্ত্রণ করাও অসম্ভব ।

এখন অবশ্যই প্রশ্ন আসবে কেন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় এর উত্তরে আমরা বলব:

ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ) এর মতে:
"মৃগী দুই ধরনের — একটি শারীরিক, অন্যটি জিন দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ।"

শারীরিক কারনে যে সকল মৃগী রোগ হয় সেগুলো আল্লাহর ইচ্ছায় সঠিক চিকিৎসা এবং নিয়ম তান্ত্রিক জীবনযাপন করলে রোগী একেবারে সুস্থ হয়ে যায়।

কিন্তু জিন জাদু ইত্যাদির কারণে যে মৃগী রোগ হয় সেটা শুধু শারীরিক চিকিৎসা করলে কখনোই ভালো হবে না। এই প্রকারকেই চিকিৎসা বিজ্ঞানে রিফ্র্যাক্টরি এপিলেপসিনাম দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে রোগীর মৃগী সৃষ্টিকারী উপাদান MRI বা EEG-করলেও ঠিকভাবে শনাক্ত করা যায় না ।

সুতরাং মৃগী রোগীর যদি,
👉সাধারণ চিকিৎসায় কোনো উন্নতি না হয়।
👉কুরআন শুনলে অস্বাভাবিক আচরণ করে।
👉অজ্ঞান হওয়ার সময় অদ্ভুত আওয়াজ বা কণ্ঠ করে ।
👉স্বপ্নে বারবার জীন বা অশুভ জিনিস দেখে।
👉হঠাৎ করে ভয় পায়, কাঁপুনি, শরীরের একপাশ অবশ হয়ে যায়।

এ সকল ক্ষেত্রে বুঝতে হবে ব্যক্তি শারীরিক কোনো মৃগী রোগে আক্রান্ত নয়।
জিন বা জাদুর প্রভাবে ব্যক্তি এমন আচরণ করছে।

Raqi Masud Bin Shahid

08/05/2025

অহেতুক ভয় বা আতঙ্ক (ওয়াসওয়াসাতুল খওফ বা ফোবিয়া)

ফোবিয়া বা ওয়াসওয়াসাতুল খওফ হলো এমন একধরনের তীব্র ভয় বা আতঙ্ক, যা কোনো নির্দিষ্ট বস্তু, প্রাণী, স্থান বা পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়। বাস্তবে সেই জিনিস বা অবস্থা খুব একটা বিপজ্জনক না হলেও, আক্রান্ত ব্যক্তি সেটিকে অতিরিক্ত ভয় পায়। এই ভয় এতটাই প্রবল হয় যে, তা তার স্বাভাবিক জীবনযাপনেও মারাত্মক প্রভাব ফেলে।

তবে হ্যাঁ,কখনো কখনো শুধু চিন্তা করলেও—শরীর কাঁপে, ঘাম হয়, বুক ধড়ফড় করে, নিঃশ্বাস বেড়ে যায়, এমনকি কেউ কেউ অজ্ঞানও হয়ে যায়।

বিভিন্ন মানুষের ভয়ের ধরন ভিন্নঃ
কেউ অন্ধকারকে ভয় পায়,
কেউ একা থাকতে পারে না,
কেউ মৃত্যুর কথা শুনলে আতঙ্কিত হয়,
আবার কেউ মনে করে, কেউ তাকে অনুসরণ করছে বা ক্ষতি করতে যাচ্ছে।
এগুলো ছাড়াও অনেক ধরনের আতঙ্ক বা ভয় রয়েছে এগুলো ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে।

আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেও জানেন, এই ভয়টি অস্বাভাবিক।
তার জ্ঞান ও যুক্তিবোধ বলে, এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
তবুও সে নিজের এই অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।

_________________
এই ভয়ের মূল কারণসমূহ:

১। শয়তানের আছর ও ওয়াসওয়াসা:
পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে:
"من شر الوسواس الخناس"
“আমি আশ্রয় চাই কুমন্ত্রণা দানকারী কৌশলী শয়তানের অনিষ্ট থেকে।”
(সূরা নাস: ৪)

শয়তান মানুষের মনে সন্দেহ, আতঙ্ক ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। এটি ওয়াসওয়াসা নামে পরিচিত।

ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ) বলেন:
“ওয়াসওয়াসা শয়তানের সবচেয়ে পছন্দের অস্ত্র, যার দ্বারা সে মুমিনের অন্তরে সন্দেহ ও ভয় ঢুকিয়ে দেয়।”

২। ক্বারিন জিনের প্রভাব:
প্রতিটি মানুষের সঙ্গে একজন ক্বারিন নামক জিন থাকে, যে শয়তানের অন্তর্গত।

হাদীসে এসেছে:
"প্রত্যেক মানুষের সাথেই একটি জিন থাকে।"
সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন: "হে রাসূলুল্লাহ! আপনার সাথেও?"
তিনি বললেন: "হ্যাঁ, তবে আল্লাহ তাকে আমার অনুগত করে দিয়েছেন, সে কেবল কল্যাণের নির্দেশই দেয়।"
(মুসলিম: ২৮১৪)

শাইখ ইবনে বায (রহঃ) বলেন:
“যে সকল ভয় মানুষকে অকারণে কাঁপিয়ে তোলে, তার পেছনে অধিকাংশ সময়ই শয়তানের প্রভাব কাজ করে। এসব ভয় থেকে বাঁচতে চাইলে, নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত, যিকর এবং দুআ পড়া আবশ্যক।”

৩.🔥এছাড়াও কেউ যদি জাদুর শিকার হয় বা কারো মাঝে জাদুর খাদিম (বাস্তবায়নকারী) জিন শরীরে প্রবেশ করে । তাহলে সে অহেতুক ভয়, দুশ্চিন্তা, অবসাদ, মৃত্যুভয় ইত্যাদিতে ভোগে। ফলে যতই সাইকিয়াট্রিস্ট, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দেখায় এতে কোন লাভ হয় না সুস্থ হয় না ।

যতক্ষণ না তার জাদু নষ্ট করা না হয় ।

Raqi Masud Bin Shahid

05/05/2025

কিছু শক্তিশালী আমল দেয়া হল ।
এগুলো জিন, যাদু, হিংসা ও খারাপ নজর থেকে আল্লাহর ইচ্ছায় রক্ষা করে:
তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আল্লাহর উপর দৃঢ় বিশ্বাস (ইয়াকীন) এবং তাঁর প্রতি ভালো ধারণা রাখা। 💖

✅ কার্যকরী আমলসমূহ:
1. অনেক বেশি ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করা:
দিন-রাতে কমপক্ষে ১০০০ বার বা তার বেশি আস্তাগফিরুল্লাহ পড়ুন।

2. অনেক বেশি দরুদ পাঠ করা:
রাসুলুল্লাহ ﷺ-এর উপর কমপক্ষে ১০০০ বার বা তার বেশি দরুদ পড়ুন (যেমন: সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)।

3. সুরা ফালাক ও নাস পড়া ও শোনা:
প্রতিদিন ১৫ মিনিট ধরে এই সুরাগুলো বারবার পড়ুন **এবং** শুনুন (হেডফোনে বা জোরে)।

4. গুনাহ ও পাপ থেকে দূরে থাকা:
বড় গুনাহ (যেমন: গিবত, ঝগড়া, হারাম খাওয়া) দারিদ্র্য ও রিজিক কমে যাওয়ার মূল কারণ।

5. নিয়মিত ইবাদত ও ভালো কাজ:
নামাজ, জিকির, সাদাকা, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা এবং পিতা-মাতার সাথে সদাচরণ রিজিক ও বরকত বাড়ায়।

⚡ বিশেষ নোট:
এই আমলগুলো নিয়মিত ও ইখলাসসহ (আন্তরিকতা) করা জরুরি।
- আল্লাহর রহমতের উপর ভরসা রাখুন, ফল অবশ্যই পাবেন ইনশাআল্লাহ!

🌹 "আল্লাহর উপর ভরসা করো, তিনি তোমার জন্য যথেষ্ট।" (কুরআন ৩৩:৩)

Raqi Masud Bin Shahid

05/05/2025

স্বাভাবিক ও অস্বাভাবিক অসুস্থতার পার্থক্য।

আপনার অসুস্থতার কারণ কি সত্যিই শরীরগত, নাকি এর পেছনে আছে জিন, জাদু, হাসাদ বা বদনজর?

অসুস্থতা মানবজীবনের একটি বাস্তব ও স্বাভাবিক অংশ। জীবনের পথে চলতে গিয়েই মানুষ কখনো না কখনো অসুস্থ হয়—এটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু কখনো কখনো এই অসুস্থতার পেছনে থাকে কিছু অদৃশ্য ও অস্বাভাবিক কারণ।

চিকিৎসা চলছে, ওষুধে সাময়িক উপশমও হয়—তবুও রোগ পুরোপুরি সারে না।
সব রিপোর্ট ভালো, কিন্তু শরীর ভেঙে পড়ছে, শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা, ঝিরঝির, শিরশির বা জ্বালাপোড়া—সবকিছু যেন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়ায়।

আমাদের অভিজ্ঞতা বলে, এই ধরণের অসামান্য ও রহস্যজনক অসুস্থতার পেছনে দায়ী হতে পারে—
জিন, জাদু, হিংসা (হাসাদ), কিংবা নজর লাগা।

এখন,
কোনটা স্বাভাবিক কোনটা অস্বাভাবিক অসুস্থতা?

নিজের অবস্থার সাথে মিলিয়ে নিতে নিচে দেওয়া কিছু লক্ষণ দেখুন। যদি এর কোনোটি আপনার সাথে মিলে যায়, তবে দেরি না করে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিন।

জাদু বা জিনের প্রভাবে সৃষ্ট অস্বাভাবিক অসুস্থতার কিছু শরীরিক লক্ষণ:

✅ সব শারীরিক রিপোর্ট ভালো, তবুও মনে হয় শরীর ভেঙে পড়ছে

✅ ঘন ঘন মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, শরীরে ম্যাজম্যাজে ভাব

✅ খাওয়া দাওয়া কমে যাওয়া, কিছুই খেতে না পারা, খেলেও ওজন হ্রাস

✅ বুক ধড়ফড় করা, হঠাৎ শ্বাসকষ্ট, গ্যাসের সমস্যা—নিয়মিত নির্দিষ্ট সময়ে

✅ শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা হয়, ওষুধ খেয়েও আরাম মেলে না

মানসিক ও আধ্যাত্মিক কিছু লক্ষণ:

❗মনের মধ্যে অকারণ ভয়, সন্দেহ, অস্থিরতা

❗ দুঃস্বপ্ন দেখা, ঘুমে বিঘ্ন, মনে হওয়া কেউ পাশে আছে

❗ নামাজে মন না বসা, কুরআনের তিলাওয়াতে বিরক্তি বা অস্বস্তি

❗ হঠাৎ কান্না আসা, বিষণ্নতা, আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলা

🗣️আপনি কি এই লক্ষণগুলোর মাঝে নিজেকে খুঁজে পাচ্ছেন?

আপনার অসুস্থতার পেছনে যদি সন্দেহ থাকে জিন, জাদু, নজর লাগা বা হাসাদের।
তবে আর সময় নষ্ট নয়।
সঠিক পথ অনুসরণ করুন।
একজন অভিজ্ঞ রাকির শরণাপন্ন হন।
দোয়া জিকির ও কুরআনের আলোতে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে নিজেকে প্রটেক্ট রাখুন।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে জিন-শয়তানের কুমন্ত্রণা, হিংসা এবং জাদুর প্রভাব থেকে হেফাজত করুন।
আমিন।

Raqi Masud Bin Shahid