28/07/2025
আমার চেম্বারে সম্প্রতি একজন রোগী এসেছিলেন, যার সমস্য পায়ে রক্তবর্ণ দাগ বা রেশ, জ্বর, গিড়ায় ব্যথা, কালো পায়খানা, লাল প্রস্রাব। যে রোগ টি নির্ণয় করলাম তার নাম হলো HSP.
আসুন ,আজকে HSP নিয়ে একটু আলাপ করা যাক।
HSP (Henoch-Schönlein Purpura) একটি প্রকার অটোইমিউন রোগ, যেখানে ছোট রক্তনালি ফেটে গিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এটি সাধারণত শিশুদের মধ্যে দেখা যায়, তবে বড়দের মধ্যেও হতে পারে। HSP এর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি ভাইরাসজনিত সংক্রমণ বা এলার্জির কারণে হয়।
HSP এর প্রধান উপসর্গ হলো পুরপুরা, অর্থাৎ পায়ে বা শরীরের অন্যান্য অংশে রক্তবর্ণ দাগ তৈরি হওয়া। এ ছাড়া পেটে ব্যথা, জয়েন্টে ব্যথা, এবং কিডনি সমস্যা হতে পারে। HSP এর লক্ষণগুলো সাধারণত নিম্নরূপ:
• পায়ে বা শরীরের অন্যান্য অংশে রক্তবর্ণ দাগ
• পেটের ব্যথা
• জয়েন্টে ব্যথা
• কিডনি সমস্যা
আমার চেম্বারে সম্প্রতি যে রোগী এসেছিলেন, তার মধ্যে পুরপুরা উপসর্গ দেখা গিয়েছিল।
ডায়াগনোসিস (Dx):
• শারীরিক পরীক্ষা: পুরপুরা রক্তবর্ণ দাগ এবং পেটে ব্যথার উপস্থিতি চিহ্নিত করা।
• ল্যাবরেটরি পরীক্ষাসমূহ: রক্তের প্রোফাইল, ইউরিন পরীক্ষার মাধ্যমে কিডনি ফাংশন এবং প্রদাহের মাত্রা নির্ধারণ।
• বায়োপসি: যদি কিডনি বা অন্যান্য অঙ্গের উপর প্রভাব পড়ে, তাহলে বায়োপসি করা হতে পারে।
চিকিৎসা (Rx):
• অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ওষুধ: জয়েন্টে ব্যথা এবং প্রদাহ কমানোর জন্য Nonsteroidal Anti-inflammatory Drugs (NSAIDs) ব্যবহার করা যেতে পারে।
• কর্টিকোস্টেরয়েড (স্টেরয়েড) থেরাপি: প্রদাহ এবং রক্তনালির ফেটে যাওয়ার কারণে স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়।
• কিডনি সমস্যায় চিকিৎসা: যদি কিডনি প্রভাবিত হয়, তবে বিশেষ যত্ন এবং কিডনি ফাংশন নিয়ন্ত্রণের জন্য চিকিৎসা করা হয়।
• অ্যন্টি-হিস্টামিন: এলার্জি বা চুলকানি থাকলে antihistamines দেওয়া হতে পারে।
এই রোগের চিকিৎসা সময়োপযোগী হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে। তবে, এটি দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে, বিশেষ করে যদি কিডনি বা অন্যান্য অঙ্গের সমস্যা দেখা দেয়।
#স্বাস্থ্য #সচেতনতা