
11/05/2025
একেকটি ডাবের দাম নাকি ১৮০-২০০ টাকা করে নিচ্ছে!
ডাবে বেশকিছু পুষ্টিগুণ আছে। সাথে অনেক মিনারেল (যেমন পটাশিয়াম)। তো কোনো রোগীর রক্তে পটাশিয়াম কম থাকলে তাকে ডাবের পানি খেতে উপদেশ দেয়া হতো। কেন? কারণ সস্তায় উপকারী কিছু পুষ্টিগুন ও পানি শুন্যতায় হাইড্রেশন মেইনটেইন এও সাহায্য করে তাই। কিন্তু কথা হচ্ছে যদি প্রতিটা ডাবের দাম ২০০ টাকার মতো নেয়া হয় তাহলে কি আসলেও এই পরিমান টাকা খরচ করে ডাব খাওয়ার দরকার আছে? উত্তর হচ্ছে না।
ডাবে বেশকিছু উপকারী পদার্থ থাকলেও ২০০ টাকা দিয়ে কিনে খেতে হবে এমন আহামরি কিছু নাই।
পানিশুন্যতা রোধে স্যালাইন তৈরি করে খান। ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় ডাবের কোনো অত্যাবশকীয় ভূমিকা নেই। খেতে বলা হতো উপকারী এবং দামে সস্তা ছিলো এজন্য। যখন এটার পিস ২০০ করে কিনতে হচ্ছে তখন এটার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। ডাবের যেসব উপকারী গুন তা অন্যান্য সুষম খাদ্যাভ্যাস দিয়েও পূরণ করা যায়। তাই চাইলে ডাব এড়িয়ে চলতে পারেন।
আর হাইপোক্যালেমিয়ার রোগীদের(যাদের রক্তে পটাশিয়াম কম) তাদের ও যে ডাব খাওয়াই লাগবে বিষয়টা এমন ও নয়। খেলে উপকার আছে কিন্তু খেতেই হবে এমন না। যথেষ্ট ঔষধ এভেইলএবল আছে এধরণের রোগীদের জন্য।
মোট কথা হলো ডাবের উপকারীতা আছে ঠিক, কিন্তু না খেলে যে ক্ষতি হয়ে যাবে এমন না। প্রতি ডাব ২০০ টাকা দিয়ে কিনে খেলে সর্বোচ্চ ৫০ টাকার উপকার পাচ্ছেন( মোটামুটি একটা ধারণা দিলাম)। না খেলে কোনো ক্ষতি নেই। এর চেয়ে সঠিক নিয়মে তৈরি করে স্যালাইন খান, সর্বোচ্চ ৩০ টাকা খরচ হবে। বাকি টাকা দিয়ে অন্যান্য খাবার খান বা প্রয়োজনীয় ঔষধ এর পিছনে ব্যয় করূন।
ডাব বাংলাদেশে এ একটা ওভাররেটেড পন্য