11/02/2023
আসসালামু আলাইকুম
আজকে আমরা পাইলস, ফেস্টুলা, অরিশ বা অর্শ -গেজ যাই বলেন মলদ্বারের এই জটিল রোগ কেন হয়, এর থেকে মুক্তির উপায় এবং কার্যকরী ও স্থায়ী আরোগ্যকারী-হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিয়ে কিছু জানতে চেষ্টা করবো।
=====================================
নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ অর্শ হওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখেঃ
১. যদি দীর্ঘমেয়াদী কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া থাকে।
২. শাকসব্জী ও অন্যান্য আঁশযুক্ত খাবার এবং পানি কম খাওয়া হলে।
৩. শরীরের অতিরিক্ত ওজন বেড়ে গেলে।
৪. গর্ভাবস্থাতেও হতে পারে।
৫. লিভার সিরোসিস এর কারনেও।
৬. মল ত্যাগে বেশী চাপ দেওয়া পড়লে।
৭. অতিরিক্ত মাত্রায় লেকজেটিভ (মল নরমকারক ওষুধ)ব্যবহার করা বা এনেমা (শক্ত মল বের করার জন্য বিশেষ
তরল মিশ্রণ ব্যবহার করা) গ্রহণ করালে।
৮. টয়লেটে বেশী সময় ব্যয় করা করলে।
৯. বৃদ্ধ বয়সেও।
১০. পরিবারে কারও পাইলস থাকা হতে পারে।
১১. ভার উত্তোলন, দীর্ঘ সময় বসে থাকা ইত্যাদি।
অর্শের লক্ষণসমূহঃ
১. পায়খানার সময় ব্যথাহীন রক্তপাত হলে।
২. মলদ্বারের ফোলা বাইরে বের হয়ে আসতে পারে।
৩. মলদ্বারে জ্বালাপোড়া, যন্ত্রণা বা চুলকানি হলে।
৪. কোন কোন ক্ষেত্রে মলদ্বারে ব্যথাও হতে পারে।
কি করব (অর্শ বা পাইলস রোগে করণীয়)
১. কোষ্ঠকাঠিন্য যেন না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকা এবং নিয়মিত মলত্যাগ করার চেষ্টা করতে হবে।
২. পর্যাপ্ত পরিমাণে শাকসব্জী ও অন্যান্য আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া এবং পানি(প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস) পান করতে হবে।
৩. সহনীয় মাত্রার অধিক পরিশ্রম না করা।
৪. প্রতিদিন ৬-৮ ঘন্টা ঘুমানো।
৫. শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।
৬. টয়লেটে অধিক সময় ব্যয় না করার চেষ্টা করতে হবে।
৭. সহজে হজম হয় এমন খাবার গ্রহণ করতে হবে।
৮. ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া লেকজেটিভ বেশী গ্রহণ না করা।
৯. মল ত্যাগে বেশী চাপ না দেয়া।
১০. দীর্ঘমেয়াদী ডায়রিয়া আমাশয় থাকলে তার চিকিৎসা করাতে হবে।
অর্শ বা পাইলস রোগে বর্জনীয় কিছু খাবার
খোসাহীন শস্য, গরু, খাসি ফার্মের মুরগ ও অন্যান্য চর্বিযুক্ত খাবার, মসৃণ চাল, কলে ছাঁটা আটা, ময়দা, চা, কফি, চীজ, মাখন, চকোলেট, আইসক্রীম, কোমল পানীয়, সব ধরণের ভাজা খাবার যেমনঃ পরোটা, লুচি, চিপস ইত্যাদি।
চিকিৎসা
======
পাইলসের চিকিৎসার ক্ষেত্রে অপারেশন করা হয়। কিন্তু পাইলসের অপারেশন সেনসেটিব জায়গায় হওয়ায় তা কখনো ক্যান্সারে রুপ নেয় আাবার পুনরায় তৈরি হয়। তবে শত বছর ধরে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় পাইলস এর চিকিৎসা পরিক্ষিত।
এই সমস্যার জন্য খুবই কার্যকরী এবং নিশ্চিত ও আরোগ্যকারী-হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা আছে।এখানে চিকিৎসা খরচ খুবই কম এবং ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে।ভয়, সংকুচ, লজ্জা না করে চিকিৎসা নিন। সম্পুর্ণ সুস্থ হয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে আমাদের রোগীরা তাদের সমস্যা থেকে দ্রুত আরোগ্য লাভ করতেছে।
আপনারা আপনাদের যেকোনো সমস্যার কথা আমাদের ইনবক্সে অথবা হোয়াটসঅ্যাপে জানাতে পারেন। আপনি যেখানেই থাকেন না কেন ঘরে বসেই এই চিকিৎসা নিতে পারেন। আমরা সারা দেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ঔষধ পাঠিয়ে রোগীদের সেবা দিয়ে থাকি।
📝বিঃ দ্রঃ অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কখনো কোন ঔষধ সেবন করবেন না।
হোয়াটসঅ্যাপ ঃ ০১৮২৭২৪৬৬৪৬
(মেসেজ করার অনুরোধ রইল, অযথা কল করবেন না)
হোমিওপ্যাথিস্ট মোঃ কবীর
(ডি.এইচ.এম.এস)
আল হিকমাহ্ হোমিও ফার্মা
সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন নিরাপদে থাকুন।
ধন্যবাদ।