28/09/2025
পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম(PCOS) এক ধরণের মাল্টিফ্যাক্টরিয়াল ডিজিজ যার মধ্যে হরমোনের সমস্যা প্রধান। পিসিওএসে যারা ভুগে তাদের দেহে হরমোনের অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয়। পিসিওএস সমস্যায় ভুগছেন এমন নারীর সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে, তাছাড়া অনেকে নারীই এই রোগের সাধারণ লক্ষণগুলোকে গুরুত্ব দেন না, অবহেলা করেন। বিশ্বে প্রতি ১০ জন নারীর অন্তত ১ জন পিসিওএসে আক্রান্ত। সেপ্টেম্বর মাসকে সারা বিশ্বে পিসিওএস সচেতনতা মাস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। পিসিওএস-কে অবহেলা না করে সবার সচেতন হওয়া উচিত।
✅ খাদ্যাভ্যাস এবং বাজে লাইফস্টাইলের কারণে নারীদের মধ্যে পলিসিস্টিক ওভারি
সিনড্রোম (পিসিওএস) আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মেয়েদের বয়সের সাথে সাথে বিশেষ করে বয়ঃসন্ধিকালে হরমোনের তারতম্যের কারণে মেয়েরা এই সমস্যার সম্মুখীন হন। তবে পিসিওএস বয়ঃসন্ধি থেকে মেনোপজ যে কোন বয়সেই হতে পারে। পিসিওসের ক্ষেত্রে সাধারণত ডিম্বাশয় থেকে অতিরিক্ত অ্যান্ড্রোজেন হরমোন নিঃসরিত হয়, যার ফলে ডিম্বাশয়ের ধার ঘেঁষে সিস্ট জন্ম নেয়। এসব ক্ষেত্রে নারীদের শরীরে পুরুষালি বৈশিষ্ট্যও চোখে পড়ে।
✅ লক্ষণ
* অনিয়মিত অথবা দীর্ঘকালীন পিরিয়ড
* মুখে অবাঞ্ছিত লোম
* মুড সুইং
* ঘুমের সমস্যা
* বন্ধ্যাত্ব সমস্যা
* ব্লাড সুগার বেড়ে যাওয়া
* অতিরিক্ত ওজন, হঠাৎ ওজন বৃদ্ধি
* ত্বকের বিভিন্ন অংশে কালচে ভাব
* অতিরিক্ত ব্রণ, আঁচিল
* বেশি চুল পড়া ও চুল পাতলা হয়ে যাওয়া
* উচ্চ মাত্রায় পুরুষালি হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া
✅ কারণ
পিসিওএসের সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি, তবে সাধারণত এটি বংশগত হয়। পরিবারে মা-বোনের পিসিওএসের সমস্যা থাকলে সেই নারীর পিসিওএস হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। নারীর শরীরে অ্যান্ড্রোজেন হরমোন স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেলেও এ রোগ হতে পারে। পিসিওএস হলে বন্ধ্যাত্ব সমস্যাও দেখা দেয়। অলস জীবনযাপন, অতিরিক্ত ওজনসহ নারা কারণে পিসিওএস হতে পারে।
✅ নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধের উপায়
নিয়মিত সঠিক চিকিৎসা ও লাইফস্টাইলের মান পরিবর্তনের মাধ্যমে পিসিওএস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। পিসিওএস নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে দীর্ঘকালীন নানা জটিলতা দেখা দেয়। নিয়মিত হাঁটা, প্রচুর পরিমাণে ফল ও শাকসবজি খাওয়া, বেশি করে পানি পান করা, অস্বাস্থ্যকর খাবার বাদ দেয়া, পুষ্টিকর ও সুষম খাদ্য গ্রহণ, রাতের খাবার ঘুমানোর ৩ ঘন্টা আগে খাওয়া এসব মেনে চলা উচিত।
✅ পিসিওএসের লক্ষণ দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং নিয়মিত চিকিৎসা করতে হবে। পাশাপাশি আমাদের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনাটা সবচেয়ে জরুরি।
ডাঃ চেীধুরী তাসলিমা নাসরীন
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এফসিপিএস ( গাইনী এন্ড অবস্)
জরায়ু ও স্তন ক্যান্সার নির্ণয়ে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত ও কলপোস্কপি বিশেষজ্ঞ
প্রসূতি, স্ত্রীরোগ ও বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ ও ল্যাপারোস্কপিক সার্জন
সিনিয়ির কনসালটেন্ট
প্রাক্তন আবাসিক সার্জন ( গাইনী )
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ।
Hotline: 01331-036667
ওয়েবসাইটঃ www.gynaedoctoruttara.com
চেম্বারঃ ১
লুবানা জেনারেল হাসপাতাল এন্ড কার্ডিয়াক সেন্টার
০৯, গরীব-ই-নেওয়াজ এভিনিউ, সেক্টর # ১৩, উওরা, ঢাকা-১২৩০
ফোন : ০২-৪৮৯৫৪৫৬৮, ৫৫০৮৫৯৭২, ৫৫০৮৫৯৭৩
০১৯২২০০০০৪৪, ০১৯৭৭৭৭৬৭৭৮
সাক্ষাতের সময় : বিকাল ৫ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত
মঙ্গল ও শুক্রবার বন্ধ
চেম্বারঃ ২
ল্যাবএইড লিঃ ডায়াগনস্টিক উওরা ইউনিট ২
বাড়ি-৪১, গরিব-এ নেওয়াজ এভিনিউ, সেক্টর-১৩ উওরা, ঢাকা ।
ফোনঃ ৪৮৯৫৪৫০২-৫
সিরিয়ালের_জন্যঃ ০১৭৬৬-৬৬২০৫০
রোগী_দেখার_সময়ঃ সন্ধ্যা ৭:৩০ টা - রাত ৯:৩০ টা
মঙ্গল ও শুক্রবার বন্ধ