Healthy Diet Healthy Lifestyle

Healthy Diet Healthy Lifestyle Experienced Clinical Nutritionist, specially trained in obesity management, onco-diet, autism diet.

মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি বা হ্রাসে খাদ্যের ভূমিকাখাবার আমাদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উপর উল্লেখযোগ্য ...
22/05/2025

মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি বা হ্রাসে খাদ্যের ভূমিকা
খাবার আমাদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। মেজাজ, বুদ্ধিবৃত্তীয় কার্যকারিতা এমনকি মস্তিষ্ক-সম্পর্কিত রোগের ঝুঁকির উপরও প্রভাব ফেলে।
সুষম খাদ্য রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রেখে মন-মেজাজ উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে, দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ এবং বিরক্তির মতো লক্ষণগুলি হ্রাস করতে পারে। একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য নিউরোপ্লাস্টিসিটি, মস্তিষ্কের অভিযোজন এবং পরিবর্তনের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে এবং নতুন মস্তিষ্কের কোষ গঠনে সহায়তা করতে পারে।

মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করার জন্য বেশ কিছু খাবার পরিচিত, যার মধ্যে রয়েছে তৈলাক্ত মাছ, সবুজ শাকসবজি, বেরি, বাদাম, বীজ জাতীয় খাবার এবং অ্যাভোকাডো। এই খাবারগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা বুদ্ধিবৃত্তীয় কার্যকারিতা এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে।

এখানে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধিকারী কিছু শীর্ষ খাবারের আরও বিশদ বিবরণ দেওয়া হল:

১. তৈলাক্ত মাছ:
বড় রুই, কাতলা, চীতল, পাঙ্গাস, ইলিশ, স্যামন, টুনা, ম্যাকেরেল এবং অন্যান্য তৈলাক্ত মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের (DHA এবং EPA) চমৎকার উৎস। মস্তিষ্কের গঠন এবং কার্যকারিতার জন্য ওমেগা-৩ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং উন্নত স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ এবং বুদ্ধিবৃত্তীয় কর্মক্ষমতা তৈরিতে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও মাছে উপস্থিত উন্নতমানের আমিষ মস্তিষ্কের গঠনেও বিশেষ ভুমিকা পালন করে।

২. পাতাযুক্ত সবুজ শাকসবজি:
কলমিশাক, পালং শাক, কলার্ড শাক, এসপারাগাস, লেটুস, ধনেপাতা, পার্সলে এবং অন্যান্য পাতাযুক্ত শাকসবজি ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন কে এবং লিউটেইন। এই পুষ্টি উপাদানগুলি মস্তিষ্কের কোষগুলিকে ফ্রি-র‍্যাডিক্যাল দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতি থেকে রক্ষা করে, যা সামগ্রিক মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ুতে অবদান রেখে সুস্থ মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

৩. বেরিজাতীয় ফল:
জাম, আঙ্গুর, কলা, কিউই, ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি এবং অন্যান্য বেরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা মস্তিষ্ককে ফ্রি-র‍্যাডিক্যালের কারণে ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদাহ কমাতে এবং বুদ্ধিবৃত্তীয় কর্মক্ষমতা উন্নত করে।

৪. বাদাম এবং বীজ:
আখরোট, বাদাম, চিয়া বীজ এবং কুমড়োর বীজ স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস। এই পুষ্টি উপাদানগুলি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে সংরক্ষণ করে এবং বুদ্ধিবৃত্তীয় বা ক্যাল্কুলেটিভ ক্ষমতার ক্ষয় থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

৫. অ্যাভোকাডো:
অ্যাভোকাডোতে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা মস্তিষ্কের সঞ্চালন উন্নত করে এবং বুদ্ধিবৃত্তীয় কার্যকারিতাকে সক্ষম রাখতে সহায়তা করে। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিনও সরবরাহ করে যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যে অবদান রাখে।

৬. ডিম:
ডিম কোলিনের একটি ভালো উৎস, একটি মস্তিষ্ককে অ্যাসিটাইলকোলিন তৈরি করতে সাহায্য করে, যা স্মৃতিশক্তি এবং শেখার সামর্থ তৈরি ও বজায় রাখতে সহায়তাকারী একটি নিউরোট্রান্সমিটার হিসাবে কাজ করে।

৭. ডার্ক চকলেট:
ডার্ক চকলেটে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে, যার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই যৌগগুলি মস্তিষ্ককে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে এবং সুস্থ বুদ্ধিবৃত্তীয় কার্যকারিতা সংরক্ষন করতে সাহায্য করে।

৮. হলুদ:
হলুদে থাকে কারকিউমিন, যা একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য এবং বুদ্ধিবৃত্তীয় কার্যকারিতা উন্নত করতে সহায়তা করে ।এটি মস্তিষ্ককে প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে।

৯. গ্রিন-টি:
গ্রিন-টি তে থাকে এল-থায়ানিন, একটি অ্যামিনো অ্যাসিড যা মস্তিষ্কের সান্তকরণ এবং মনোযোগ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

এটি মস্তিষ্ককের বয়সজনিত বুদ্ধিবৃত্তীয় ও চিন্তাশক্তির ক্ষয় থেকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে।

১০. আস্ত শস্য:
লাল চাল, লাল আটা, রাগী, জোয়ার, বাজরা, কুইনোয়া এবং ওটসের মতো আঁশযুক্ত শস্য গ্লুকোজের স্থির নিঃসরণ নিশিত করে, যা মস্তিষ্কের প্রাথমিক জ্বালানি উৎস।

খাদ্যতালিকায় এই খাবারগুলোর পর্যাপ্ত উপস্থিতি নিশ্চিত করে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে সবল ও কর্মক্ষম রাখতে এবং আপনার বুদ্ধিবৃত্তীয় কার্যকারিতা ও স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে পারেন।

অপরদিকে, প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনিযুক্ত পানীয় এবং অস্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ খাবার আমাদের শরীরের পাশাপাশি মস্তিষ্কেও প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে এবং বুদ্ধিবৃত্তীয় ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

নেতিবাচক প্রভাব সমূহ আরও বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হল:

১। প্রদাহ:
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে এমন খাবার মস্তিষ্কে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে, যা বুদ্ধিবৃত্তীয় কার্যকারিতার ক্ষতি করে এবং আলঝাইমার এবং ডিমেনশিয়ার মতো নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

২। বুদ্ধিবৃত্তীয় কার্যকারিতা হ্রাস:
পর্যাপ্ত পরিমানে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব বিশেষ করে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, ডিএইচএ এর মত উপাদানের অভাব স্মৃতিশক্তি, নতুন কিছু শেখার ক্ষমতা এবং মনোযোগকে ব্যাহত করে।

৩। মেজাজের ব্যাধি বা মনোবৈরাগ্য:
অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের কারণে রক্তে শর্করার অনিয়ন্ত্রিত ওঠানামা মন-মেজাজের অস্বাভাবিক পরিবর্তন, উদ্বেগ এবং বিরক্তির কারণ ঘটাতে পারে।

৪। তৃপ্তি বা সন্তুষ্টির অনুভুতি তৈরিতে বৈরী প্রভাবঃ

উচ্চ চিনি এবং উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার মস্তিষ্কের তৃপ্তি বা সন্তুষ্টির অনুভুতি তৈরির ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করে, ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবনতা বৃদ্ধি পায় এবং চিনি ও চর্বির প্রতি আসক্তির সৃষ্টি হয় ফলে ওজন বৃদ্ধি সহ অন্যান্য অনেক রোগের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়।

৫। স্নায়বিক ক্ষতি:
সামূদ্রিক খাবারগুলোতে পারদ সহ অন্যান্য ভারী ধাতব মৌলের উচ্চ উপস্থিতির কারণে এগুলো বেশি পরিমানে খেলে তা মস্তিষের নিউরনের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। প্রচুর পরিমাণে অ্যালকোহল গ্রহণ মস্তিষ্কের কোষ ধ্বংস করার পাশাপাশি নিউরোট্রান্সমিশনের পরিবর্তন করে, মস্তিষ্কের যোগাযোগ ব্যাবস্থার পরিবর্তন করে মস্তিষ্কের সাভাবিক কার্যক্ষমতায় বিঘ্ন ঘটিয়ে মস্তিষ্কের স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী উভয় ধরনের ক্ষতিসাধন করে।

পরিশেষে টেক-এওয়ে মেসেজ হিসাবে বলতে হয়, খাবার মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। একটি সুষম এবং পুষ্টিকর খাদ্য সর্বোত্তম মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে এবং বুদ্ধিবৃত্তীয় ক্ষয়ের ঝুঁকি কমাতে পারে, অন্যদিকে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেজাজ, বুদ্ধিবৃত্তীয় ক্ষমতা এবং সামগ্রিক মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই খাদ্য নির্বাচনে সতর্ক দৃষ্টি রাখা সকলের জন্য একান্ত আবশ্যকীয়।

সকলের জন্য সুস্থ্য দেহ ও মনের কামনা করে আজকের মত শেষ করছি।

-সানজিদা শারমীন

যেকোন কাজে সাফল্য লাভের জন্য কাজের প্রতি একনিষ্ঠতা, একাগ্রতা থাকা জরুরী। কোনো কাজে একনিষ্ঠভাবে লেগে থাকার জন্য দরকার পজে...
21/05/2025

যেকোন কাজে সাফল্য লাভের জন্য কাজের প্রতি একনিষ্ঠতা, একাগ্রতা থাকা জরুরী।
কোনো কাজে একনিষ্ঠভাবে লেগে থাকার জন্য দরকার পজেটিভ মোটিভেশন।

মোটিভেশন কেন প্রয়োজন:
* আমরা কাজটি কেন করছি, সেটি ভুলে গেলে আগ্রহ হারিয়ে যেতে পারে। মোটিভেশন আমাদের মূল লক্ষ্য মনে করিয়ে দেয়।

* মানসিক শক্তি জোগায় – কাজের চাপে বা ব্যর্থতায় মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়া স্বাভাবিক। মোটিভেশন আমাদের সেই চাপ সামলাতে সাহায্য করে।

* অভ্যাস গড়ে তোলে – প্রতিদিনের একঘেয়ে রুটিনে মোটিভেশন না থাকলে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা কঠিন হয়।

* চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাহায্য করে – কোন কাজ যখন কঠিন লাগে, তখন মোটিভেশনই আমাদের ধৈর্য ধরতে শেখায়।

মোটিভেশন রিনিউ করা বা পুনর্নবীকরণ করা উচিত কতদিন পরপর?
এর নির্দিষ্ট একটা সময়সীমা নেই, তবে নিচের নির্দেশনাগুলো কাজে লাগতে পারে:

* সাপ্তাহিকভাবে রিভিউ: সপ্তাহে একবার নিজের লক্ষ্যগুলো পর্যালোচনা করা উচিত। এটি এক ধরণের "মোটিভেশন চেক"।

* দৈনিক ছোট রিমাইন্ডার: সকালে ৫-১০ মিনিট নিজের লক্ষ্য ও প্রগতি নিয়ে ভাবা বা কিছু মোটিভেশনাল লেখা পড়া বা স্পিচ শোনা কার্যকর হতে পারে।

* যখন মনোবল কমে যায়: লক্ষ্য পূরণে মনোবল হারালে সেটা মোটিভেশন রিনিউ করার প্রয়োজনীয়তা ইঙ্গিত করে।

* নতুন চ্যালেঞ্জ নেয়ার আগে: নতুন ধাপে যাওয়ার আগে নিজেকে আবার অনুপ্রাণিত করা গুরুত্বপূর্ণ।

ডায়েটিশিয়ান সানজিদা

যারা সহজেই রেগে যান, তাদের অসুখের ঝুঁকি বেশি।রাগ, ক্ষোভ, উত্তেজনা, আবেগ—এসবের সাথে দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার একটা লিং...
18/05/2025

যারা সহজেই রেগে যান, তাদের অসুখের ঝুঁকি বেশি।

রাগ, ক্ষোভ, উত্তেজনা, আবেগ—এসবের সাথে দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার একটা লিংক আছে। এটি আগে থেকেই জানা। কিন্তু সম্প্রতি কয়েকটা গবেষণায় নতুন করে জানা যায়—অন্তত ১ মিনিটের রাগের জন্য ৫ ঘন্টা পর্যন্ত রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল থাকতে পারে।

কর্টিসল, অ্যাড্রেনালিন—এগুলোকে বলে স্ট্রেস হরমোন। রাগ, উত্তেজনায় এগুলো অনেক বেশি নিসৃত হয়। এরা অন্য হরমোনের কাজে বাধা দেয়। হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে। ফলে দেহের ইমিউন কোষগুলো ভালোভাবে কাজ করতে পারে না। ১ মিনিট রাগে যতটুকু স্ট্রেস হরমোন রক্তে মেশে, তার প্রভাব ৫ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকতে পারে।

বলা বাহুল্য, যারা ঘন ঘন রেগে যান বা যাদের 'অ্যাংগার ইস্যু' আছে, তাদের বিভিন্ন রোগ-জীবাণুতে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। তথ্য: বিজ্ঞানপ্রিয়।

তথ্য: U.S. National Library of Medicine (NLM)
বিজ্ঞানপ্রিয়

আজ জগতের সকল মা-দেরকে জানাই প্রাণ ঢালা ভালোবাসা। তাদের অপরিসীম আত্তত্যাগ, সহনশীলতা, ভালোবাসায়ই আমদের বেড়ে ওঠা। আজ আমি তা...
11/05/2025

আজ জগতের সকল মা-দেরকে জানাই প্রাণ ঢালা ভালোবাসা। তাদের অপরিসীম আত্তত্যাগ, সহনশীলতা, ভালোবাসায়ই আমদের বেড়ে ওঠা।
আজ আমি তাদেরকেও অত্যন্ত শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে চাই (নানী, দাদী, খালা, কেয়ারগিভার) যারা জন্ম না দিয়েও মায়ের মমতা দিয়ে নিজের সন্তানের মত আগলে রেখে শিশুদেরকে বড় করেন।

#শুভ_মা_দিবস
#মাকে_ভালোবাসি

প্রতিটি সূর্যদয় বয়ে আনে একটি নতুন দিন, নতুন সুযোগ! সুযোগ আমাদের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হওয়ার, সুযোগ আমাদের ভবিষ্যত জী...
05/05/2025

প্রতিটি সূর্যদয় বয়ে আনে একটি নতুন দিন, নতুন সুযোগ! সুযোগ আমাদের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হওয়ার, সুযোগ আমাদের ভবিষ্যত জীবনযাত্রাকে মশৃণ করার। আমরা যে খাবার খাই, যেভাবে চলাফেরা করি, কাজ করি, বিশ্রাম নেই, ঘুমাই - এগুলো কেবল অভ্যাস নয়...! এগুলো আমাদের জীবনযাপনের ভিত্তি যা নির্ধারন করে কি ধরনের জীবনযাত্রা আমরা পেতে যাচ্ছি।

একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস শুধুমাত্র কিছু খাদ্যের পরিমত গ্রহনই নয় - এটি হল চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পুষ্টি সরবরাহ করার উপায়। এটি মুখরোচক খাবার হারাবার নয় - এটি পেশীশক্তি এবং কর্মক্ষমতা অর্জনের ও বজায় রাখার, রোগ-প্রোতিরোধ ক্ষমতা তৈরি ও বজায় রাখার,নিজেকে উদ্দমী রাখার অন্যতম উপায়। প্রাকৃতিক-স্বাস্থ্যকর খাবার দিয়ে শরীরকে পুষ্ট করা গেলে একটি স্বাস্থ্যকর ভবিষ্যত নিশ্চিত করা সম্ভব এবং অদূর ভবিষ্যতে আপনি এটির প্রতিফল দেখতে পাবেন!
সক্রিয় জীবনযাপন কেবল ওজন কমাতে বা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্যই নয়, বরং প্রাত্যহিক শরীর চর্চা আপনার শরীরকে সুস্থ্য রাখতে, হৃদপিন্ড এবং পেশীগুলিকে শক্তিশালী রাখতে, মনকে সজীব রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতেও প্রয়োজন।

তাই, নিজের সুস্থ্য জীবনের দায়িত্ব নিজেই নিতে হবে। তাজা ও পুষ্টিকর খাবার, কায়ীক পরিশ্রম, পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করার মাধ্যমে নিজের সুস্থ্যতা ও সুস্থ্য ভবিষ্যত নিশ্চিত করা সম্ভব। ভবিষ্যতে নিজেই নিজেকে ধন্যবাদ জানাবেন।

কারন, স্বাস্থ্য কেবল জীবনে বছর যোগ করার নয় - এটি বছরগুলিতে জীবন যোগ করার পন্থা...

-ডায়েটিশিয়ান সানজিদা




* 'এতো ডায়েট করে কি হবে, একদিন তো মরেই যাবো'* 'খাবার এতো মেপে খাওয়া যায় নাকি, মেপে খায় কঞ্জুষেরা...আমরা আবার খান্দানি বড়...
23/04/2025

* 'এতো ডায়েট করে কি হবে, একদিন তো মরেই যাবো'
* 'খাবার এতো মেপে খাওয়া যায় নাকি, মেপে খায় কঞ্জুষেরা...আমরা আবার খান্দানি বড়লোক...ওসব মেপেটেপে খেতে পারি না!'
* 'ডায়েট করে কে কবে কি হতে পেরেছে...'
* 'লতা-পাতা-ব্যাঙেরছাতা খেয়ে যদি স্লিমই হওয়া যেতো, তাহলে বেচারা হাতির সাইজ হাতি হল কেন!'

এইসকল উক্তিকারীদের প্রতি আমার একরাশ সমবেদনা...

আসল বিষয়টা হচ্ছে, প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভোজন মানুষের মস্তিষ্কের স্বাভাবিক চিন্তাশক্তির বিনাশ ঘটায়, ফলে সহজ জিনিষ সহজ ভাবে বোঝা তাদের জন্য সম্ভবপর হয় না।

এই গরমে কাঁচা আমের যেকোন আইটেম হতে পারে যেমন সুস্বাদু তেমনি প্রশান্তিদায়ক। আর যদি হয় সেটা কাঁচা আমের শরবত...তাহলে সেটা প...
21/04/2025

এই গরমে কাঁচা আমের যেকোন আইটেম হতে পারে যেমন সুস্বাদু তেমনি প্রশান্তিদায়ক। আর যদি হয় সেটা কাঁচা আমের শরবত...তাহলে সেটা পানিশূন্যতা রোধ সহ ইলেক্ট্রোলাইট ব্যালেন্সেও যথেষ্ট গুরুত্ত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারে।

উপকরণ:

কাঁচা আম – ২টি মাঝারি আকারের

লবণ – আধা চা চামচ
চিনি- সামান্য

বিট লবণ – আধা চা চামচ (ঐচ্ছিক)

পানি – ২-৩ গ্লাস

বরফ কুচি – প্রয়োজনমতো

পুদিনা পাতা – সাজানোর জন্য (ঐচ্ছিক)

প্রস্তুত প্রণালী:
১. কাঁচা আম ধুয়ে নিন।
২. একটি পাতিলে আম অল্প পানি দিয়ে সিদ্ধ করুন যতক্ষণ না তা নরম হয়ে যায়। অথবা সরাসরি আগুনে পুড়িয়ে নিতে পারেন।
৩. ঠান্ডা হয়ে গেলে সিদ্ধ আম খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করুন।
৪. এরপর চিনি, লবণ, বিট লবণ ও পানি দিয়ে আবার ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন।
৫. চাইলে ছেঁকে নিতে পারেন।
৬. গ্লাসে বরফ কুচি দিয়ে শরবত ঢেলে দিন।
৭. উপর থেকে পুদিনা পাতা দিয়ে সাজান।
স্বাদে ভিন্নতা আনতে সামান্য লেবুর রস যোগ করা যেতে পারে।
পরিবেশন করুন ঠান্ডা ঠান্ডা কাঁচা আমের শরবত!

নারীরা তাদের মাসিকের সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। সুষম খাদ্যগ্রহণ এবং সঠিক জীবন ব্যাবস্থাই পারে এই সমস...
20/04/2025

নারীরা তাদের মাসিকের সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। সুষম খাদ্যগ্রহণ এবং সঠিক জীবন ব্যাবস্থাই পারে এই সমস্যাগুলোর সহজ ও প্রাকৃতিক সমাধান দিতে।
একটি সুষম খাদ্য পেট ফাঁপা, খিঁচুনি এবং মেজাজের পরিবর্তনের মতো সাধারণ লক্ষণগুলি কমাতে সাহায্য করতে পারে। পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস সারা মাস জুড়ে সঠিক পরিমাণে শক্তি সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারে। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার রক্তক্ষরণ পূরণে সহায়ক হবে আর এই আয়রন শরীরে সঠিকভাবে এবজর্ব হওয়ার জন্য ভিটামিন সি ও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করাও জরুরী। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো খাবার প্রদাহ এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার স্বাস্থ্যকর হজমপ্রক্রিয়া বজায় রেখে অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে এবং পেট ফাঁপা কমাতে সাহায্য করতে পারে। চিনি এবং ক্যাফেইন এই সময়গুলোতে এড়িয়ে চললে ব্যথা এবং অন্যান্য সাধারন যে লক্ষণগুলোর সম্মুখিন হয় মহিলারা তা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ ব্যথা এবং মাসিকের অন্যান্য লক্ষণগুলিরও সমাধান করতে পারে, যেমন-:

ম্যাগনেসিয়াম: জরায়ুর পেশী শিথিল করতে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: প্রদাহ এবং খিঁচুনি কমাতে পারে।

ভিটামিন ডি: সঠিক মাসিক চক্র নিয়ন্ত্রণ করতে এবং মাসিকের লক্ষণগুলি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

ফাইবার: অতিরিক্ত ইস্ট্রোজেন দূর করতে এবং পেট ফাঁপা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

পানি: সঠিক পরিমাণে পানি পান করলে তা অন্ত্রের সঠিক সঞ্চালন বজায় রেখে পেট ফাঁপা, বমিভাব কমাতে পারে।

সার্বিকভাবে সুষম খাদ্যাভ্যাসের উপর মনোযোগ দেওয়ার পাশাপাশি ভালো ঘুম, নিয়মিত ব্যায়াম, অতিরিক্ত চাপ এড়ানো সহ স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা মেনে চলার মাধ্যমে নারীরা সহজেই তাদের সমস্যাগুল এড়াতে সক্ষম হতে পারে।

13/04/2025

নতুন সূর্য ওঠে গগনে, বাজে পহেলা বৈশাখের গান,
মুছে যাক সব ক্লান্তি, হাসুক এ জীবন জোছনায় ভরায় প্রাণ।
শুভ হোক প্রতিটি দিন, খুশির রঙে রাঙুক মন,
আনন্দে ভরে উঠুক ঘর, শান্তি থাকুক সারা বছর জুড়ে অনবরত অনুক্ষণ।

শুভ নববর্ষ ১৪৩২!

02/04/2025

অতিরিক্ত খাওয়ার ক্ষতি

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন:

"মানুষ তার পেটের চেয়ে খারাপ কোনো পাত্র পূর্ণ করে না। আদম সন্তানের জন্য কয়েক লোকমাই যথেষ্ট, যা তার দেহকে শক্ত রাখবে। তবে যদি খেতেই হয়, তাহলে এক-তৃতীয়াংশ খাবারের জন্য, এক-তৃতীয়াংশ পানীয়ের জন্য, আর এক-তৃতীয়াংশ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য রাখবে।" (তিরমিজি: ২৩৮০, সহিহ আলবানী)

সকলকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা
26/03/2025

সকলকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা

সাস্থ্যকর পরোটার রেসিপি:১ টি ডিম, ১ টেবিল চামচ বেসন বা লাল আটা, কুচি করা সবজি, সামান্য আদা-রসুন বাটা ও জিরার গুড়া অথবা স...
13/03/2025

সাস্থ্যকর পরোটার রেসিপি:
১ টি ডিম, ১ টেবিল চামচ বেসন বা লাল আটা, কুচি করা সবজি, সামান্য আদা-রসুন বাটা ও জিরার গুড়া অথবা স্বাদ অনুযায়ী মসলা একসাথে মিক্স করে ব্যাটার তৈরি করে নিতে হবে। ননস্টিক প্যানে তেল ব্রাশ করে তাতে ব্যাটার দিয়ে ছড়িয়ে দিতে হবে। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়ে উভয় পাশ ৩-৪ মিনিট মিডিয়াম আঁঁচে ভেজে নিতে হবে।
টক দই বা রায়তার সাথে সার্ভ করা যেতে পারে।

Address

Labaid Diagnostic Center
Uttara

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Healthy Diet Healthy Lifestyle posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Healthy Diet Healthy Lifestyle:

Share

Category