Healthy Living with Sabila

Healthy Living with Sabila 3rd year BDS student Shopping &service

16/11/2025

দাঁতের যত্নে প্রতিদিন যে জিনিসগুলো ব্যবহার করা প্রয়োজন, সেগুলো নিচে সহজভাবে তালিকা আকারে দেওয়া হলো:

✅ দৈনন্দিন দাঁতের যত্নের প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি

১. টুথব্রাশ (Toothbrush)

নরম ব্রিসলযুক্ত

৩ মাস পরপর বদলানো উচিত

ইলেকট্রিক টুথব্রাশ হলে আরও ভালো পরিষ্কার হয়

২. টুথপেস্ট (Toothpaste)

ফ্লোরাইডসমৃদ্ধ টুথপেস্ট

সংবেদনশীল দাঁতের জন্য "sensitivity toothpaste"

ক্যাভিটি প্রতিরোধের জন্য ফ্লোরাইডযুক্ত পেস্ট জরুরি

৩. ডেন্টাল ফ্লস (Dental Floss)

দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাবার ও প্লাক পরিষ্কার করতে

প্রতিদিন রাতে ব্যবহার করা উত্তম

৪. মাউথওয়াশ (Mouthwash)

অ্যালকোহল-ফ্রি হলে ভালো

ব্যাকটেরিয়া কমাতে সহায়তা করে

দুর্গন্ধ কমায়

৫. টাং স্ক্র্যাপার (Tongue Scraper)

জিহ্বার উপর জমাট ব্যাকটেরিয়া পরিষ্কার করতে

মুখের দুর্গন্ধ কমাতে কার্যকর

৬. ইন্টারডেন্টাল ব্রাশ (Interdental Brush)

যাদের দাঁতের ফাঁক বেশি, ব্রেসেস আছে বা ইমপ্লান্ট আছে তাদের জন্য

ফ্লসের সাথে ব্যবহার করলে সবচেয়ে কার্যকর

৭. অয়েল পুলিং অয়েল (ইচ্ছানুযায়ী)

নারকেল বা তিলের তেল

মুখের দুর্গন্ধ ও ব্যাকটেরিয়া কমাতে সাহায্য করতে পারে

৮. অর্থোডন্টিক ওয়াক্স (যাদের ব্রেসেস আছে)

ব্রেসের তার বা ব্র্যাকেটের ঘর্ষণ কমাতে

মুখের ভেতরে ক্ষত হওয়া প্রতিরোধ করে

৯. ডেন্টাল কটন বা গজ (Dental Gauze)

ছোটখাটো রক্তপাত হলে চাপে ধরে রাখতে

দাঁতের চিকিৎসার পর দরকার হতে পারে

১০. ক্লিন পানি (Clean Water)

ব্রাশের পরে মুখ ধোয়া

খাবারের পর মুখ কুলকুচি

---

16/11/2025

নিচে ল্যাবরেটরিতে তৈরিকৃত ডেন্টাল প্রস্থেসিসগুলোর নাম এবং সংক্ষেপে তাদের প্রস্তুত প্রণালী দেওয়া হলো। এগুলো দন্ত প্রযুক্তিবিদ (Dental Technician) ডেন্টাল ল্যাবে তৈরি করে থাকেন।

---

🦷 ল্যাবরেটরিতে তৈরিকৃত ডেন্টাল প্রস্থেসিস

1️⃣ Complete Denture (পুরো দাঁতের ডেন্টার)

✔ প্রস্তুত প্রণালী

1. প্রাথমিক ইমপ্রেশন নেওয়া

2. Custom tray তৈরি

3. Final impression নেওয়া

4. Jaw relation রেকর্ড

5. Wax try-in (দাঁতের সেটআপ যাচাই)

6. Flasking → Boil out → Packing with acrylic

7. Curing, finishing & polishing

8. Patient mouth-এ insertion

---

2️⃣ Removable Partial Denture (RPD)

✔ প্রস্তুত প্রণালী

1. প্রাথমিক ইমপ্রেশন

2. Study cast তৈরি

3. Custom tray → Final impression

4. RPD design (major connector, minor connector, clasps)

5. Metal framework fabrication

6. Wax teeth setup → Try-in

7. Acrylic packing, curing

8. Finishing ও polishing

---

3️⃣ Cast Partial Denture (CPD)

✔ প্রস্তুত প্রণালী

1. Final impression → Master cast

2. Framework design

3. Wax pattern তৈরি

4. Casting (Cr-Co alloy)

5. Framework fit checking

6. Teeth setup on wax

7. Acrylic processing

8. Finishing, polishing

---

4️⃣ Crown (ক্রাউন)

✔ প্রস্তুত প্রণালী

1. Tooth preparation

2. Impression → Die preparation

3. Wax pattern

4. Metal casting / zirconia milling

5. Ceramic layering (PFM হলে)

6. Glazing ও finishing

7. Cementation

---

5️⃣ Bridge (ব্রিজ)

✔ প্রস্তুত প্রণালী

1. Abutment tooth preparation

2. Impression → Working cast

3. Wax pattern of bridge

4. Casting / CAD-CAM milling

5. Ceramic build-up ও glazing

6. Try-in ও cementation

---

6️⃣ Veneer (ভিনিয়ার)

✔ প্রস্তুত প্রণালী

1. Minimal tooth preparation

2. Impression

3. Die preparation

4. Porcelain layering / CAD-CAM milling

5. Staining ও glazing

6. Bonding

---

7️⃣ Inlay / Onlay

✔ প্রস্তুত প্রণালী

1. Cavity preparation

2. Impression ও working model প্রস্তুত

3. Wax pattern

4. Casting / ceramic pressing

5. Finishing ও cementation

---

8️⃣ Orthodontic Appliance (Removable)

যেমন: Hawley retainer, Habit breaker ইত্যাদি

✔ প্রস্তুত প্রণালী

1. Dental impression

2. Cast তৈরি

3. Wire bending

4. Acrylic base তৈরি

5. Finishing ও polishing

---

9️⃣ Night Guard / Bite Splint

✔ প্রস্তুত প্রণালী

1. Impression / Digital scan

2. Thermoplastic sheet heating

3. Vacuum forming

4. Trimming ও finishing

---

🔟 Implant Prosthesis (Crown on implant)

✔ প্রস্তুত প্রণালী

1. Implant impression (open/closed tray)

2. Analog + working cast

3. Abutment selection

4. Crown design (CAD-CAM)

5. Zirconia / ceramic fabrication

6. Screwing or cementation

---

16/11/2025

দাঁতের যত্নে কিছু সহজ কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম আছে, যেগুলো মেনে চললে দীর্ঘদিন দাঁত এবং মাড়ি সুস্থ থাকে। নিচে সবচেয়ে কার্যকর কিছু নিয়ম তুলে ধরা হলো—

✅ দৈনন্দিন দাঁত পরিচর্যা

1. দিনে অন্তত ২ বার ব্রাশ করুন — সকালে নাশতার পর ও রাতে ঘুমানোর আগে।

2. ২ মিনিট সময় নিয়ে ব্রাশ করুন — খুব দ্রুত ব্রাশ করলে সঠিক পরিষ্কার হয় না।

3. নরম ব্রাশ (Soft Bristle Toothbrush) ব্যবহার করুন, কারণ শক্ত ব্রাশ মাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

4. ৩–৪ মাস পর পর ব্রাশ পরিবর্তন করুন — ব্রাশের ব্রিসল বাঁকা হয়ে গেলে পরিষ্কার করার ক্ষমতা কমে যায়।

5. সঠিক পদ্ধতিতে ব্রাশ করুন — দাঁতের ওপর-নিচ, সামনে-পেছনে এবং গোল করে ব্রাশ করতে হবে।

🦷 ফ্লস ব্যবহার

6. প্রতিদিন অন্তত ১বার ফ্লস করুন — দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাবারের কণা ব্রাশে পরিষ্কার হয় না।

7. ফ্লস করার সময় মাড়িতে আঘাত না লাগে তা খেয়াল রাখুন।

🧴 মাউথওয়াশ

8. অ্যালকোহল-ফ্রি মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন — এতে ব্যাকটেরিয়া কমে এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।

🍽️ খাদ্যাভ্যাস

9. চিনি, চকলেট, জুস, কোমল পানীয় কম খান — এগুলো দাঁতের ক্ষয় দ্রুত বাড়ায়।

10. খাবার খাওয়ার পর মুখ কুলকুচি করুন — বিশেষ করে মিষ্টি বা স্টিকি খাবার খেলে।

11. ফল, সবজি, দুধ, দই, ডিম— ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার দাঁতকে মজবুত করে।

🚫 যে অভ্যাসগুলো এড়ানো উচিত

12. দাঁত দিয়ে বাদাম ভাঙ্গা, বোতল খোলা, প্যাকেট ছেঁড়া— এসব একেবারে না।

13. অতিরিক্ত সিগারেট, জর্দা, গুল, পানের সুপারি— দাঁত ও মাড়ির জন্য খুব ক্ষতিকর।

14. নখ কামড়ানো বা দাঁত ঘষাঘষির অভ্যাস থাকলে তা কমানোর চেষ্টা করুন।

👨‍⚕️ দাঁতের ডাক্তার দেখানো

15. ৬ মাসে একবার ডেন্টাল চেকআপ করা ভালো।

16. দাঁতে ব্যথা, রক্ত পড়া, দুর্গন্ধ বা মাড়ি ফোলা দেখলে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যান।

---

16/11/2025

দন্ত চিকিৎসার পটভূমি (Background of Dentistry)

দন্ত চিকিৎসা বা ডেন্টিস্ট্রি হলো মানুষের দাঁত, মাড়ি, মুখগহ্বর ও চোয়ালের রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ নিয়ে কাজ করা একটি প্রাচীন ও বিশেষায়িত শাখা। এর পটভূমি অত্যন্ত সমৃদ্ধ এবং হাজার বছরের বিবর্তনের মধ্য দিয়ে আজকের আধুনিক রূপ পেয়েছে।

---

প্রাচীন যুগ

প্রায় ৩০০০–২৫০০ খ্রিষ্টপূর্বে মিশরে দাঁতের সমস্যা ও চিকিৎসার লিখিত প্রমাণ পাওয়া যায়।

এডউইন স্মিথ প্যাপিরাস-এ দাঁতের রোগের উল্লেখ আছে।

প্রাচীন ভারত, চীন ও মেসোপটেমিয়াতেও দাঁত উপড়ানো, ভেষজ ব্যবহার ও মৌখিক স্বাস্থ্যবিধির বর্ণনা পাওয়া যায়।

প্রাচীন ভারতে আয়ুর্বেদিক গ্রন্থে দাঁত পরিষ্কার করা, ডাটন কাষ্ঠ (টুথস্টিক) ব্যবহারের তথ্য পাওয়া যায়।

---

মধ্যযুগ

মধ্যযুগে ইউরোপে “বারবার-সার্জন”রা দাঁত তোলা, ব্লাড লেটিং ইত্যাদি কাজ করতেন।

তখনও ডেন্টিস্ট্রি আলাদা বিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

---

আধুনিক দন্ত চিকিৎসার সূচনা (১৭–১৮ শতক)

আধুনিক ডেন্টিস্ট্রির জনক বলে পরিচিত পিয়ের ফশার (Pierre Fauchard)।

তিনি ১৭২৮ সালে “The Surgeon Dentist” নামে বই প্রকাশ করেন, যা প্রথম আধুনিক দন্ত চিকিৎসা গ্রন্থ।

এখান থেকেই ডেন্টিস্ট্রি সার্জারি, রেস্টোরেশন, প্রস্থডন্টিক্স ইত্যাদির বৈজ্ঞানিক ভিত্তি তৈরি হয়।

---

১৯–২০ শতকে অগ্রগতি

ডেন্টাল অ্যানেস্থেশিয়া, ডেন্টাল ফিলিং, ক্রাউন, ডেনচার, এক্স-রে ব্যবহারে ডেন্টিস্ট্রি দ্রুত উন্নত হয়।

বিশ্বব্যাপী ডেন্টাল কলেজ স্থাপিত হতে থাকে এবং বিশেষায়িত শাখা তৈরি হয়:

Oral & Maxillofacial Surgery

Orthodontics

Periodontology

Endodontics

Prosthodontics

---

বাংলাদেশে দন্ত চিকিৎসার পটভূমি

ব্রিটিশ আমলে উপমহাদেশে ডেন্টাল সার্ভিস ছিল সীমিত।

পাকিস্তান আমলে কয়েকজন ট্রেইনড ডেন্টিস্ট চিকিৎসা দিতেন।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে ডেন্টিস্ট্রির আনুষ্ঠানিক বিকাশ শুরু হয়।

ঢাকা ডেন্টাল কলেজ (স্থাপিত ১৯৬১, পূর্ণাঙ্গ রূপ ১৯৮৭) দেশের প্রথম ও বৃহত্তম ডেন্টাল প্রতিষ্ঠান।

পরবর্তীতে সরকারি-বেসরকারি অনেক ডেন্টাল কলেজ, হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়।

বর্তমানে বাংলাদেশে ডেন্টিস্ট্রি একটি স্বতন্ত্র, বৈজ্ঞানিক ও আধুনিক চিকিৎসা শাখা হিসেবে বিকশিত।

---

২১ শতকে আধুনিক দন্ত চিকিৎসা

আজকের দন্ত চিকিৎসা অত্যন্ত উন্নত ও প্রযুক্তিনির্ভর:

ডেন্টাল লেজার

ডিজিটাল এক্স-রে / CBCT

CAD/CAM ভিত্তিক ক্রাউন–ব্রিজ

ইমপ্লান্ট

মিনিমালি ইনভেসিভ এন্ডোডন্টিক্স

AI-based স্মাইল ডিজাইন ও ডায়াগনস্টিক

---

16/11/2025

বাংলাদেশে দাঁতের চিকিৎসার অগ্রগতি

1. শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বৃদ্ধি

“Digital dentistry” বা ডিজিটাল ডেন্টিস্ট্রি ধীরে ধীরে প্রবেশ করছে: যেমন 3D স্ক্যানিং, CAD/CAM প্রস্থেটিকস, লেজার অ্যাসিস্টেড পদ্ধতি।

ইমপ্লান্টোলজি (দাঁত বসানো) বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে; কিছু প্রতিষ্ঠান “ওন-গাইড” ডিজিটাল সার্জারি সিস্টেম ব্যবহার করছে, যা আরও সঠিক ও নিরাপদ সার্জারি নিশ্চিত করে।

স্থানীয় ডেন্টিস্টদের দক্ষতা বাড়াতে Osstem (দাঁত ইমপ্লান্ট কোম্পানি) তাদের “OIC কোর্স” পরিচালনা করছে, যেখানে থিওরিটিক্যাল জ্ঞান ও প্র্যাকটিক্যাল ক্লিনিক্যাল অভিজ্ঞতা দুইই দেওয়া হয়।

2. প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন

“Precision dentistry” বা পার্সোনালাইজড ডেন্টাল কেয়ার চালু হচ্ছে, যেখানে জিনোমিক্স (ব্যক্তির জিন তথ্য) ব্যবহৃত হচ্ছে রোগের ঝুঁকি ও থেরাপি পরিকল্পনায়।

মারকারি-ফ্রি দন্তচিকিৎসার প্রচলন বাড়ছে — বাংলাদেশে বেশ কয়েকজন ডেন্টিস্ট মারকারি (পঁচানু মিশ্রণ) ব্যবহার কমিয়ে দিচ্ছেন, যা স্বাস্থ্য ও পরিবেশ উভয় দৃষ্টিকোণ থেকে ভালো।

3. সামাজিক সচেতনতায় উন্নতি এবং সেবা সম্প্রসারণ

কিছু জায়গায় বিনামূল্যে দন্ত ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, লুথ্যারেন হেলথ কেয়ার বাংলাদেশ এবং ঢাকা ডেন্টাল কলেজ যৌথভাবে ক্যাম্প করে 500+ রোগীকে সেবা দিয়েছে।

দন্ত প্রযুক্তিবিদরা (ডেন্টাল টেকনোলজিস্ট) সংগঠিত হয়ে বাংলাদেশ ডেন্টাল হেলথ সোসাইটি (BDHS) গঠন করেছেন, যা শিক্ষাগত উন্নয়ন, গবেষণা ও মানসম্পন্ন সেবা বৃদ্ধিতে কাজ করছে।

4. গভীরতা ও বিশেষায়িত ক্ষেত্র

বাংলাদেশে ইমপ্লান্ট, কসমেটিক ডেন্টিস্ট্রি, ফরেনসিক ওডোন্টোলজি-র মতো সাবফিল্ড গড়ে উঠছে।

জিনোমিক তথ্যের ভিত্তিতে রোগ নির্ধারণ ও থেরাপি পরিকল্পনা (পার্সোনালাইজড ডেন্টাল কেয়ার) ভবিষ্যতের দৃষ্টিতে একটি বড় সম্ভাবনা।

---

চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতা

চিকিৎসক সংকট: সরকারি দন্ত কলেজে বা হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা অনেক, এবং চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের অভাব চ্যালেঞ্জ।

সাশ্রয়ী সেবা: উন্নত প্রযুক্তি (যেমন ডিজিটাল গাইড, ইমপ্লান্ট) ব্যয়বহুল হতে পারে, ফলে অনেক সাধারণ রোগীর ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী সেবা নিশ্চিত করা কঠিন।

সচেতনতার অভাব: অনেক মানুষের মধ্যে মুখ স্বাস্থ্যের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা এখনও সীমিত — নিয়মিত চেক-আপ করার প্রবণতা খুব বেশি নেই।

গবেষণা ও উন্নয়ন: যদিও পার্সোনালাইজড ডেন্টিস্ট্রি শুরু হচ্ছে, তবুও গবেষণা, ইনোভেশন এবং স্থানীয় প্রযোজ্য প্রযুক্তি গড়ে ওঠার দিক থেকে আরও কাজ করার প্রয়োজন আছে।

ইনফ্রাস্ট্রাকচার: প্রত্যন্ত অঞ্চলে আধুনিক দন্তসেবা (যেমন ল্যাব, ইমেজিং, ইমপ্লান্ট সার্জারি) সহজলভ্যতা সীমিত থাকতে পারে।

---

ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

ডিজিটাল ডেন্টিস্ট্রির প্রসার: ভবিষ্যতে 3D প্রিন্টিং, কম্পিউটার-গাইডেড সার্জারি, ডিজিটাল স্ক্যানিং আরও বেশি প্রাধান্য পাবে।

পার্সোনালাইজড বা প্রিসিশন ডেন্টাল কেয়ার: জিনোমিক্স ও ওমিক্স (omics)-ভিত্তিক চিকিৎসা আরও গঠনমূলকভাবে বোঝা ও প্রয়োগ করা যেতে পারে, যা রোগ প্রতিরোধ ও থেরাপিতে নতুন দৃষ্টিকোণ আনতে পারে।

জনসাধারণে সচেতনতা বৃদ্ধি: স্কুল, কমিউনিটি ক্যাম্প, জনস্বাস্থ্য প্রোগ্রামগুলোর মাধ্যমে মুখ স্বাস্থ্যের গুরুত্ব তুলে ধরা হবে; যাতে নিয়মিত চেক-আপ ও প্রিভেন্টিভ কেয়ার বাড়ে।

সরকার ও বেসরকারি অংশীদারিত্ব: স্বাস্থ্য সরকারের সাথে বেসরকারি ডেন্টাল ক্লিনিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আন্তর্জাতিক সংস্থা সহযোগিতা বাড়িয়ে উন্নত সেবা দেশে আরও প্রসারিত করা যেতে পারে।

প্রযুক্তি ও ইনোভেশন: স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত দন্ত প্রযুক্তি, কম-খরচ মডেল ও টেলিডেন্টিস্ট্রি (দূরচিকিৎসা দন্ত সেবা) বাড়তে পারে, যা গ্রামীণ ও দূরবর্তী এলাকায় সক্ষমতা বাড়াবে।

29/10/2025

বাংলাদেশে দাঁতের বহুল প্রচলিত বা সাধারণ রোগগুলো মূলত মুখের স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব, অপুষ্টি, এবং দাঁত পরিষ্কারের ভুল অভ্যাসের কারণে হয়ে থাকে। নিচে বাংলাদেশের সবচেয়ে সাধারণ দাঁতের রোগগুলোর তালিকা ও সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হলো

🦷 ১. দাঁতের ক্ষয় (Dental Caries / Tooth Decay)

কারণ: খাবারের কণা ও চিনি দাঁতে লেগে থেকে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা অ্যাসিড তৈরি হয়, যা দাঁতের এনামেল নষ্ট করে।

লক্ষণ: দাঁতে কালচে দাগ, ব্যথা, ঠান্ডা বা গরমে সংবেদনশীলতা।

প্রতিরোধ: নিয়মিত ব্রাশ ও ফ্লস, মিষ্টিজাত খাবার কম খাওয়া, নিয়মিত ডেন্টাল চেকআপ।

🪥 ২. মাড়ির রোগ (Gingivitis / Periodontitis)

কারণ: দাঁতের গোড়ায় প্লাক জমে মাড়িতে প্রদাহ হয়।

লক্ষণ: মাড়ি লাল হওয়া, ফোলা, ব্রাশ করার সময় রক্ত পড়া, মুখে দুর্গন্ধ।

প্রতিরোধ: সঠিকভাবে ব্রাশ ও ফ্লস করা, পেশাদার ডেন্টাল ক্লিনিং করা।

😬 ৩. দাঁতের পাথর (Calculus / Tartar)

কারণ: সময়মতো প্লাক পরিষ্কার না করলে তা শক্ত হয়ে পাথরের মতো জমে যায়।

লক্ষণ: মাড়ির রঙ বদলে যাওয়া, মুখে দুর্গন্ধ, দাঁত ঢিলা লাগা।

প্রতিরোধ: প্রতি ৬ মাসে একবার স্কেলিং (ডেন্টাল ক্লিনিং)।

🧊 ৪. দাঁতের সংবেদনশীলতা (Tooth Sensitivity)

কারণ: এনামেল ক্ষয়, মাড়ি সরে যাওয়া বা দাঁতের ফাটল।

লক্ষণ: ঠান্ডা, গরম বা মিষ্টি খাবারে ব্যথা বা ঝাঁকুনি অনুভব।

প্রতিরোধ: সেনসিটিভ টুথপেস্ট ব্যবহার, খুব শক্ত ব্রাশ না করা।

😷 ৫. মুখের দুর্গন্ধ (Halitosis)

কারণ: দাঁতের ফাঁকে পচা খাবার, মাড়ির রোগ, শুকনো মুখ, ধূমপান।

লক্ষণ: মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়া।

প্রতিরোধ: নিয়মিত ব্রাশ ও জিহ্বা পরিষ্কার, পর্যাপ্ত পানি পান।

🧒 ৬. শিশুদের দাঁতের ক্ষয় (Nursing Caries)

কারণ: দুধ বা মিষ্টি পানীয় খাওয়ার পর শিশুর মুখ পরিষ্কার না করা।

লক্ষণ: সামনের দাঁত কালচে হয়ে যাওয়া, ব্যথা।

প্রতিরোধ: খাওয়ানোর পর মুখ মুছে দেওয়া, নিয়মিত ব্রাশ অভ্যাস করা।

🚭 ৭. মুখের ক্যান্সার (Oral Cancer)

কারণ: ধূমপান, জর্দা, পান, সাদাপাতা ইত্যাদি।

লক্ষণ: মুখে ঘা না শুকানো, লাল বা সাদা দাগ, গিলতে কষ্ট।

প্রতিরোধ: তামাকজাত দ্রব্য পরিহার, নিয়মিত মুখ পরীক্ষা।

29/10/2025

Topic #1

দাঁতের সুরক্ষায় ফ্লস (Dental Floss) এর ভূমিকা

দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাবারের কণা ও প্লাক শুধু ব্রাশ দিয়ে সব সময় পরিষ্কার করা যায় না। এই জায়গাগুলো পরিষ্কার রাখতে ফ্লস ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

✅ ফ্লস কী?

ফ্লস হলো এক ধরনের পাতলা সুতো (সাধারণত নাইলন বা টেফলন), যা দাঁতের ফাঁকে ঢুকিয়ে জমে থাকা খাবারের কণা ও প্লাক পরিষ্কার করতে ব্যবহৃত হয়।

🌟 ফ্লস ব্যবহারের উপকারিতা:

1. প্লাক ও টারটার জমা কমায় – নিয়মিত ফ্লস করলে দাঁতের ফাঁকে ব্যাকটেরিয়া জমে টারটার হওয়ার ঝুঁকি কমে।

2. দাঁতের ক্ষয় (Caries) প্রতিরোধ করে – ফ্লস দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাবার সরিয়ে ক্যাভিটি থেকে রক্ষা করে।

3. মাড়ির রোগ (Gingivitis) প্রতিরোধ করে – ফ্লস মাড়ির নিচে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া দূর করে মাড়ির প্রদাহ কমায়।

4. দুর্গন্ধ (Bad breath) কমায় – মুখের দুর্গন্ধের অন্যতম কারণ হলো দাঁতের ফাঁকে পচে থাকা খাবার; ফ্লস এটি প্রতিরোধ করে।

5. সুন্দর হাসি বজায় রাখে – ফ্লস ব্যবহার করলে দাঁত পরিষ্কার ও উজ্জ্বল হয়।

🕓 কখন ফ্লস ব্যবহার করবেন:

প্রতিদিন অন্তত একবার, বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর আগে ফ্লস করা উচিত।
ব্রাশ করার আগে ফ্লস করলে ব্রাশের কার্যকারিতা আরও বাড়ে।

✅ সঠিকভাবে ফ্লস ব্যবহারের নিয়ম:

1. প্রায় ১৮ ইঞ্চি (৪৫ সেমি) ফ্লস কেটে নিন।

2. দুই হাতের মধ্যমা আঙুলে পেঁচিয়ে ১–২ ইঞ্চি ফ্লস ফাঁকা রাখুন।

3. ফ্লসটি দাঁতের ফাঁকে আলতোভাবে ঢোকান এবং “C” আকৃতি করে দাঁতের পাশ ঘষে পরিষ্কার করুন।

4. প্রতিটি দাঁতের জন্য আলাদা অংশ ব্যবহার করুন।

⚠️ সতর্কতা:

খুব জোরে ফ্লস করবেন না, এতে মাড়ি কেটে যেতে পারে।
মাড়ি থেকে রক্ত এলে ধীরে ধীরে ফ্লস চালিয়ে যান; কয়েক দিনের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

Follow Eclipse Eats by Sabila  for more recipes
29/05/2025

Follow Eclipse Eats by Sabila for more recipes

Address

Uttarati

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Healthy Living with Sabila posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram