
07/05/2025
🔳সর্দি কেন হয়? বর্ষা ও শীতকালে বেশি হওয়ার কারণ কী? |
🔹সাধারণ সর্দি (Common Cold) একটি ভাইরাল একিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন, যা মূলত Rhinovirus (প্রায় ৫০-৬০% ক্ষেত্রে), এছাড়াও Coronavirus, Adenovirus, Respiratory Syncytial Virus (RSV) ও Parainfluenza virus ইত্যাদি ভাইরাসের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এটি মূলত Upper Respiratory Tract (নাক, গলা, সাইনাস) কে আক্রান্ত করে।
🔹সর্দি কেন হয়? - রোগের প্যাথোফিজিওলজি:
১. ভাইরাস যখন নাক বা গলার মিউকাস মেমব্রেনে প্রবেশ করে, তখন দেহের ইমিউন সিস্টেম রেসপন্স করে ইনফ্ল্যামেশন ঘটায়।
২. এর ফলে নাক বন্ধ, পানি ঝরা, হাঁচি, গলা ব্যথা, কাশি, জ্বর প্রভৃতি উপসর্গ দেখা দেয়।
৩. Airborne Droplet Transmission ও Contact Transmission এর মাধ্যমে এটি একজন থেকে অন্যজনে ছড়ায়।
🔹বর্ষা ও শীতকালে বেশি হয় কেন?
১. শীতকালীন সর্দি:
▪️ঠান্ডা ও শুকনো বাতাস মিউকাস মেমব্রেন শুকিয়ে দেয়, ভাইরাস সহজে প্রবেশ করে।
▪️ভিটামিন D এর ঘাটতি ও রোদ কম পাওয়া ইমিউনিটি দুর্বল করে।
▪️ঘরের ভিতর বেশি সময় থাকা ও ভিড় – ভাইরাস ছড়ানোর অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে।
২. বর্ষাকালীন সর্দি:
▫️আর্দ্রতা বেশি থাকার কারণে ভাইরাস বাতাসে ও বস্তুর উপর দীর্ঘ সময় টিকে থাকে।
▫️ভেজা কাপড়, ঠান্ডা পানি, বৃষ্টিতে ভিজে শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়ায় ইমিউন প্রতিক্রিয়া দুর্বল হয়।
▫️বর্ষায় অ্যালার্জেন (ধুলাবালি, ফুলের রেণু, ফাঙ্গাল স্পোর) বেড়ে যায়, যা Allergic Rhinitis ও Sinusitis এর ঝুঁকি বাড়ায়।
🩺প্রতিরোধের উপায়:
🔸হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে বারবার হাত ধোয়া
🔸ভিড় এড়িয়ে চলা ও মাস্ক ব্যবহার
🔸পর্যাপ্ত ঘুম ও হাইড্রেশন
🔸ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো
প্রয়োজন হলে হোমিওপ্যাথিক প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা গ্রহণ
🔳বিশেষ পরামর্শ ও চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ করুন:
ডা: মো: রমজান হোসেন জাহিদ
BHMS (DU),
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক | একিউট ও ক্রনিক রোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইল:০১৯৪৮৯১৪৭৩৪
১. মা হোমিও হল – জয়কালী মন্দির, প্রতিদিন বিকেল ৪টা – রাত ৮টা