PAGLA পাগলা Doctors

PAGLA পাগলা Doctors if you mad we always gentle.

কোন পুরুষ কখনোই সার্জারির মাধ্যমে নারী হতে পারেন না। কোন নারী কখনোই সার্জারির মাধ্যমে পুরুষ হতে পারেন না। একজন নারী কখনো...
25/05/2025

কোন পুরুষ কখনোই সার্জারির মাধ্যমে নারী হতে পারেন না। কোন নারী কখনোই সার্জারির মাধ্যমে পুরুষ হতে পারেন না। একজন নারী কখনোই তাঁর বায়োলজিকাল সিস্টেমে স্পার্ম প্রডিউস করতে পারবেন না, যেমনটা একজন পুরুষ ওভারি ডেভেলাপ করে এগ প্রডিউস করতে চিরদিনই অক্ষম।

তাহলে ট্রান্সজেন্ডাররা আসলে করে কী? সোজা বাংলায় একজন পুরুষ তার পেনিস কেটে ফেলেন (অনেকে আবার রেখেও দেন!) এবং টেস্টোস্টেরন-ব্লকার হরমোন নেন। এতে তার শরীরে টেস্টোস্টেরন প্রডাকশন বন্ধ হয়ে যায়। পাশাপাশি তিনি অ্যাস্ট্রোজেন নেন, যা তার শরীরে সেকেন্ডারি সেক্সের (তার ক্ষেত্রে নারী) ক্যারেক্টারিস্টিক্স ডেভেলাপ করে।

মহিলারা ক্ষেত্রে উল্টা। তারা শরীরে টেস্টোস্টেরন নেয়া শুরু করেন যা তার শরীরে সেকেন্ডারি সেক্সের (তার ক্ষেত্রে পুরুষ) ক্যারেক্টারিস্টিক্স ডেভেলাপ করে।

এতে আসলে কী হয়?

মূলত পুরুষের শরীরে নারীর মত কোমলতা আসে। দাড়ি-গোঁফ ওঠা কমে আসে, ব্রেস্ট ডেভলাপ করে। কিন্তু সে কখনই বায়োলজিকাল নারী হতে পারে না। তার সন্তানধারনের ক্ষমতা আসে না। তার মেন্সট্রুয়াল ব্লিডিং হয় না। তার শরীর সারাজীবনই পুরুষের থাকে - দেখতে কেবল নারীর মত হয়।

নারীর ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা তেমনই। সে কখনই স্পার্ম প্রডিউস করতে পারে না। কাউকে ইম্প্রেগনেইট করতে পারে না। শুধুমাত্র তার মূত্রত্যাগের স্থানটিকে পেনিসের মত করে রূপান্তর করা হয় যাতে সে একটা মেইড-আপ পেনিস পায় এবং পুরুষের মত মূত্রত্যাগ করতে পারে। ব্রেস্ট কেটে ফেলে যাতে তার বুকটা ছেলেদের মত দেখায়।

সংক্ষেপে এই হলো ট্রান্সজেন্ডারদের কর্মকান্ড। এখন প্রশ্ন হলো এরা কীসের অধিকারের কথা বলে? এরা বলে সমঅধিকারের কথা। অবশ্যই তারা সমঅধিকার পাবে। কেউ যদি আজকে তার নাক কেটে ফেলে বা কান কেটে ফেলে, তাকে কি ডিসক্রিমিনেট করা হবে? অবশ্যই না।

কিন্তু এরা সমঅধিকারের নামে যা বলে সমস্যা সেখানে। এরা চায় সমাজ এদের তারা যেটা বলে সেটা হিসেবেই ট্রিট করুক। একটা ছেলে পেনিস কেটে মেয়ে হবার ভান করবে, সমাজকে তাকে নাকি মেয়ে হিসেবেই মেনে নিতে হবে। তাকে ছেলের সাথে বিয়ে দিতে হবে, তাকে নারী কোটায় চাকরি দিতে হবে, নারীদের হোস্টেলে থাকতে দিতে হবে, নারীদের স্পোর্টসে তাকেও কম্পিট করতে দিতে হবে। অথচ সে পুরোদস্তুর একজন ছেলে।

বিপরীতে নারীদের দাবিও তাই। সে ব্রেস্ট কেটে ফেলে, ভ্যাজাইনা কেটে ফেইক পেনিস প্রতিস্থাপন করে, তার দাবি হলো সে পুরুষের সাথেই থাকবে। তাকে পুরুষের মতই ট্রিট করা হবে, তাকে মেয়েদের সাথেই বিয়ে দিতে হবে।

এই ধরণের দাবি, ধর্মীয়ভাবে তো বটেই, সামাজিক ভাবেই ভয়ানক। এটা সমাজে নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির প্রয়াস ছাড়া আর কিছুই নয়। মেডিকেলের ভাষায় এটাকে জেন্ডার ডিসফোরিয়া বলা হয়, যা আগে জেন্ডার আইডেন্টিটি ডিসঅর্ডার বলা হতো (কমেন্টে রিসার্চ পেপারের লিঙ্ক আছে)। এই কমিউনিটি এখন প্রথম বিশ্বে বেশ প্রভাবশালী। তাই মেডিকেল টার্মও ডিসঅর্ডার থেকে ডিসফোরিয়া হয়ে গেছে।

একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের নিজেদের প্রশ্ন করা উচিত, সমঅধিকারের ঢাল ব্যবহার করে যে কেউ যা ইচ্ছা তাই করতে চাইলে, সেটাকে প্রশ্রয় দেয়া উচিত কি না। আপনার বোনের, কন্যার, স্ত্রীর বেডরুমে আপনি একজন পেনিস-কাটা, অ্যাস্ট্রোজেন হরমোন গ্রহণকারী পুরুষকে ঢুকতে দেবেন কি না? যদি উত্তর 'হ্যাঁ' হয়, তাহলে আপনার নিজের এথিকাল স্ট্যান্স নিয়ে প্রশ্ন তোলা জরুরি। যদি উত্তর 'না' হয়, তবে এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া আপনার কর্তব্য।

এখানে কোন হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ব্যাপার নেই। নগর পুড়লে দেবালয় এড়ায় না। কেউ যদি ভাবেন এদের বিরুদ্ধে লাগাটা কেবল ধর্মান্ধ মুসলিমদের বাড়াবাড়ি, তবে আপনি এই অসুস্থতা আপনার অন্দরমহলে প্রবেশ করা অব্দি কেবল অপেক্ষা করুন। এই ভাইরাস একবার ছড়ালে আর কোন উপায় নেই সারাবার।

একজন মানুষ যদি নিজেকে কুকুর দাবি করে সার্জারি করে লেজ লাগিয়ে নেয় আর চার-পায়ে হাঁটে, কোনভাবেই আমি তার নাগরিক ও সামাজিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারবো না। তবে শুধু এটাই মাথায় রাখবো সে মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত, আর তার চিকিৎসা প্রয়োজন। কিন্তু তাকে ডগ-ফুড দিয়ে আমার ঘরের গেইটে চোর-খেদানোর জন্য গলায় বেড়ি পরিয়ে বসিয়ে রাখবো না। কারণ সে প্রকৃত কুকুর না।

সমঅধিকারের দাবি আর অন্যায় আবদারের পার্থক্য এইখানেই।

সংগ্রহিত

ডা.স্নিগ্ধা তালুকদারের ওয়াল থেকে!গত এডমিশনে একটি রোগী আসে শায়েস্তাগঞ্জ থেকে পেটে ব্যথা, পেট ফোলা নিয়ে। History নিয়ে জ...
18/05/2025

ডা.স্নিগ্ধা তালুকদারের ওয়াল থেকে!

গত এডমিশনে একটি রোগী আসে শায়েস্তাগঞ্জ থেকে পেটে ব্যথা, পেট ফোলা নিয়ে। History নিয়ে জানতে পারলাম ১৫ দিন আগে বাচ্চা নষ্ট হওয়ার জন্য তার D&c হয়েছে। উৎকট গ/ন্ধে এডমিশন রুমে কেউ রোগীর কাছে যেতে পারছিল না! আমাদের জন্য রুমে থাকাটাই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছিল। পরীক্ষা করার পর দেখা গেল, জরায়ুর মুখ দিয়ে গলগল করে পুঁজ আসছে এবং বাচ্চার একটা ভা ঙ্গা হা ড্ডি পাওয়া গেল। আমরা ধারণা করে নিলাম, D&c করার সময় অবশ্যই জরায়ু ছিদ্র করে ফেলা হয়েছে। এক্সরে করার পর রোগীর সারা পেটে ছড়ানো ছিটানো বাচ্চার গুঁড়া গুঁড়া হাড্ডি পাওয়া গেল। Surgery ডিপার্টমেন্ট যখন সেটা অপারেশন করলো, দেখা গেল ঘটনা আসলেই তাই। জ রায়ু ছিদ্র করে বাচ্চার সবগুলো হাড় রোগীর peritoneal cavity তে (ছবিতে এগুলো বের করে আনা হয়েছে)।

রোগীর লোকদের এত সা হস কিভাবে হয় যে তারা এরকম D&c বাসায় করাতে পারে? মানুষ হয়ে কিভাবে অমানুষের মতো কাজ করে..

ছেলেটা এনাল ওয়ার্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি। বয়স আর কত হবে,এই ২২-২৩ বছর।এনাল ওয়ার্ট কি যারা জানেন না তাদের জন্য বলি,এটা পায়খ...
27/04/2025

ছেলেটা এনাল ওয়ার্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি। বয়স আর কত হবে,এই ২২-২৩ বছর।

এনাল ওয়ার্ট কি যারা জানেন না তাদের জন্য বলি,এটা পায়খানার রাস্তায় ফুলকপির মতো দেখতে একটা গ্রোথ বা টিউমার। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের সংক্রমণে এই রোগ হয়। মেডিকেল সাইন্স বলে,সবার এই রোগ হয় না। পায়ুপথকে যারা মিলনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে, তাদের এই রোগ হয়।

তাই সন্দেহ থেকেই ছেলেটার হিস্ট্রি নেয়া শুরু হয়। কি করে না করে ইত্যাদি! প্রথমে ইতস্তত করলেও চিকিৎসার খাতিরে সে স্বীকার করে যে,সে একজন গে! তাদের চারজনের একটা গ্রুপ আছে। তারা পরস্পর এই পায়ুপথে মিলিত হয়। এই ছেলে গুলোর একজনের পেনিসে একটা গোটা আছে! (সম্ভবত হিউম্যান প্যাপিলোমা থেকেই হবে)। পরবর্তীতে জানা গেল ছেলেটা HIV পজিটিভ। স্বভাবতই তার সকল পার্টনার HIV পজিটিভই হবে।

ছেলেটার বাসা ঢাকার পাশের এক জেলায়। প্রাইভেসির খাতিরেই এলাকার নামটা গোপন রাখলাম। সাময়িক আলাপনে যা দেখলাম, ছেলেটার বাবা একজন দাড়ি-টুপি ওয়ালা সহজ-সরল আধাশিক্ষিত মানুষ,মাও তাই। কিন্তু ছেলের এই বিষয়ে তারা জানতেন না,এখনো জানেন না। রিপোর্ট দেখে শুধু জেনেছেন ছেলে HIV পজিটিভ।

মাঝে একটা পোস্ট ভাইরাল হয়েছিল রমনা পার্ক ও এই এলজিটিভিদের দৌরাত্য নিয়ে। একটা জেলা শহরের যদি এই অবস্থা হয়,তবে ঢাকা বা বিভাগীয় শহর গুলোর কি অবস্থা!!!

এসব এলজিটিভিদের বিষয়ে পোস্ট দেয়ার কারণে আগেও আমার কয়েকজন এলজিটিভিদের সাথে কথা হয়েছে। আমি তাদের কাউন্সেলিং করার চেষ্টা করেছি। তবে দুঃখজনক বিষয়,এদের অধিকাংশ মানুষের মধ্যেই আমি কোনো অনুশোচনা দেখতে পাই নি।

নীরবে নিভৃতে এই এলজিটিভির(সমকামিতা) বিষ আমাদের সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে। কথায়,গানে,নাটকে,সিনেমায় আমরা এদের স্বীকৃতি দিচ্ছি। এসব দেখে বড় হতে থাকা আমাদের আগামী প্রজন্ম ভাবছে, আরে এটা তো স্বাভাবিক ঘটনা,ভূল কিছু নয়!! ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে কওমে লুতের মতো একটা প্রজন্ম।

কেউ এই বিষের বিষাক্ততা থেকে মুক্ত নয়। তাই আজই নিজের পরিবারে খোজ নিন। ছেলের মাঝে মেয়েলিপনা বা এর উল্টোটা দেখতে পেলে খতিয়ে দেখুন। প্রয়োজনে ডাক্তারের শরনাপন্ন হোন। নিজের সন্তানকে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যে গড়ে তুলুন।

মনে রাখবেন- সময় গেলে কিন্তু সাধন হবে না.......।

Dr. Nazmush Shakib Bappi
SSMCMH.

15/03/2025
🇨🇭 পিরিয়ড রেগুলার করার জন্য কিছু প্রাকৃতিক TIPS: 🥀👉1. দারুচিনি: দারুচিনি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং পিরিয়ড সাইকেল নিয়মিত করত...
06/03/2025

🇨🇭 পিরিয়ড রেগুলার করার জন্য কিছু প্রাকৃতিক TIPS: 🥀👉

1. দারুচিনি: দারুচিনি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং পিরিয়ড সাইকেল নিয়মিত করতে সাহায্য করে।
2. আদা: আদা পিরিয়ডের ব্যথা কমায় এবং হরমোনাল ব্যালেন্স ঠিক রাখে।
3. অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরা জুস হরমোনাল ভারসাম্য রক্ষা করে পিরিয়ড নিয়মিত করে।
4. মেথি: মেথি বীজ পিরিয়ড সাইকেল নিয়মিত করতে সাহায্য করে।
5. পুদিনা পাতা: পুদিনা পাতার চা পিরিয়ডের ব্যথা কমায় এবং সাইকেল নিয়মিত করে।
6. কাঁচা হলুদ: হলুদ প্রদাহ কমায় এবং হরমোনাল ভারসাম্য বজায় রাখে।
7. তিল বীজ: তিল বীজ পিরিয়ডের সময় রক্ত প্রবাহ বাড়াতে সাহায্য করে।
8. পেঁপে: কাঁচা পেঁপে পিরিয়ড নিয়মিত করতে এবং হরমোনাল সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
9. যষ্টিমধু: যষ্টিমধু হরমোনাল ভারসাম্য বজায় রাখে এবং পিরিয়ড নিয়মিত করে।
10. অ্যাপল সাইডার ভিনেগার: এটি ইনসুলিন লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে পিরিয়ড সাইকেল নিয়মিত করতে সাহায্য করে। নিয়ম মেনে খেতে হয়। নো মা ন

🇨🇭খাওয়ার নিয়ম:

১. হাফ চা চামচ দারচিনি গুঁড়ো এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে গুলিয়ে খাবেন আহারের ৩০ মিনিট আগে। এক বা দু বেলা।
২. আদা: দু ইঞি আদা চিবিয়ে খাবেন পানি সহ সকালে খালিপেটে বা আহারের পর।
৩. এলোভেরা জুস খাবেন সকালে খালিপেটে ২-৩ চা চামচ
৪. এক চা চামচ মেথি বীজ / গুঁড়ো এক গ্লাস পানিতে ৭-৮ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে পানিটা ছেঁকে নিয়ে পান করবেন। একবেলা।
৫. কয়েকটা পুদিনা পাতা অল্প পানিতে ফুটিয়ে চা এর মত করে পান করতে পারেন খালিপেটে।
৬. এক চা চামচ খাঁটি কাঁচা হলুদ গুঁড়ো এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে গুলিয়ে খাবেন আহারের এক ঘন্টা আগে। এটির সাথে চেষ্টা করবেন হাফ চা চামচ গোলমরিচের গুঁড়া মিশাতে।
৭. দিনে ১-২ চা চামচ তিল বীজ খেতে পারেন যেকোন সময়
৮. কাঁচা পেঁপে খাবেন অল্প দু তিন স্লাইস। খালিপেটে।
৯. যষ্টিমধু: হাফ চা চামচ যষ্টিমধু গুঁড়ো অল্প পানিতে গুলিয়ে খাবেন খালিপেটে। দু বার।
১০. এক চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে গুলিয়ে খাবেন আহারের ১০ মিনিট আগে। দু বেলা করে।

🇨🇭 সঠিক লাইফস্টাইলের কোন বিকল্প নেই 💪

এই পোস্টটি যদি আপনার কাজে লাগে, তাহলে শেয়ার করে অন্যকেও জানার সুযোগ দিন। 🌸

#কালেক্ট

18/08/2024
09/08/2024
13/07/2024
08/07/2024

Food bloggers রা কই???

সন্তান বড় হলে, সন্তানের বিছানা আলাদা করা অবশ্যই কর্তব্য! কেন করবেন?রিবা (ছদ্ম নাম) বয়স সাত। ক্লাস ওয়ানে পড়ে। ধবধবে ফর্সা...
07/07/2024

সন্তান বড় হলে, সন্তানের বিছানা আলাদা করা অবশ্যই কর্তব্য! কেন করবেন?

রিবা (ছদ্ম নাম) বয়স সাত। ক্লাস ওয়ানে পড়ে। ধবধবে ফর্সা, মাথা ভর্তি কোকড়ানো চুল, টলটলে চোখ। মনে হয় একটু ছুঁয়ে দিলেই ব্যস। চোখের মায়া আবীর হয়ে হাতে লেগে যাবে প্রজাপতির রঙের মতো।

ওর মায়ের সাথে সেদিন চেম্বারে এসেছে। প্রসাবে জ্বালা পোড়া, তল পেটে ব্যথা। তার মায়ের ভাষ্য- ম্যাডাম, পিসাব করনের সময় খালি কান্দে আর লাফায়। পেট চেপে খিচ্চা বইসা থাকে।

পরীক্ষা করে দেখতে চাইলে, প্যান্ট খুলে রিবার মা যা দেখালো তার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না, না বললেই ভালো হয়। সরাসরি জিজ্ঞেস করলে মা বলবে- কী যে কন? ছোট মানুষ। মনেমনে দু-একটা গালিও যে দিবে না, বলা যায় না।

ডাক্তারদের এ এক জীবন! কত কী যে দেখতে হয়! ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে জিজ্ঞেস করি, বাড়িতে কে কে আছে?

--ওর বাপ আর আমি। আর কেউ না, না ম্যাডাম। তবে পাশেই ভাসুরের বাসা।

--ও কার সাথে খেলাধুলা করে?

--আমার ভাসুরের পোলার সাথে। বয়স এগারো বারো, সিক্সে পড়ে। সারাদিন দৌড়াদৌড়ি ঝাঁপাঝাপি। ভিডিও গেমস, ইউটিউব নাকি কি কয় এসব নিয়া থাকে। সারা বাড়িতে আর বাচ্চাকাচ্চা নাই তো। অরা অরাই খেলে। আমিও তেমন খেয়াল করি না। আহারে বাচ্চারা! বাড়িতেই তো থাকে সারাদিন। হয় দাদির ঘর, নয় চাচির ঘর। আসলে মাইয়া আমার এই একটাই। মিছা কইয়া লাভ নাই। চাচা চাচিও আদর করে খুব। মিতুল (ছদ্ম নাম) তো বইন বলতে অজ্ঞান।

--কখনো জিজ্ঞেস করেছেন, কি খেলা?

--খেলে না ম্যডাম। কী খেলব আর- চোর পলান্তি, পুতুল খেলা। এই সব আরকি। জিগানোর কী আছে?

--এখন জিজ্ঞেস করেন তো?

--রিবা, মিতুল ভাইয়ার সাথে কি খেলাধুলা করো বলো তো মা? বউ জামাই খেলি। বউ জামাই খেলা কী করে খেলো মেয়ে যা বর্ণনা দিলো, শুনে মা মুর্ছা যান আরকি! ছোট বাচ্চার আর দোষ কি বাচ্চারা তো অনুকরণ প্রিয়। এটা সবাই জানে। বড়রা অবিবেচকের মতো কাজ করবে আর বাচ্চাকাচ্চা দেখে শুনে চুপ করে বসে থাকবে, এটা ভাবার কারণ নেই। আসলেই নেই।

ওহ, ভালো কথা। রিবা, মিতুল কাকে অনুসরণ করল? বাবা মাকে, টিভি সিনেমাকে, নাকি ইউটিউবকে? কাউকে না কাউকে তো অবশ্যই।

--রিবা, এ ধরনের খেলা তো ভালো না মা। এটা পঁচা কাজ। কথা শেষ করতে দেয়না পাকনি বুড়িটা। টাসটাস করে মুখের ওপর বলে ওঠে, বাবা-মা খেলে যে! তাহলে বাবা-মা কি পঁচা?

কী উত্তর দেবে রিবার মা উত্তর দেয়ার কি মুখ থাকে মহিলা হতবিহ্বল হয়ে পড়ে। যেনো পায়ের তলায় কোন মাটি নেই। বেচারা!

রিবার মাকে প্রশ্ন করি, আপনারা কি স্বামী-স্ত্রী রিবাকে নিয়ে এক বিছানায় ঘুমান?

--হ ম্যাডাম, ছোট বাচ্চা। ওর বাপে কয়, কী বুঝব❓ও ঘুমালেই তো কাদা। লোকটার খাই বেশি। বাচ্চা ঘুমালো কি ঘুমালো না। তার আর তর সয় না। আমি আগেই কইছিলাম। হাহাকার থই থই কান্না হয়ে ঝরে পড়ে। আহারে!

দেখুন, আমরা বাচ্চাদের যতটা নির্বোধ মনে করি, আসলে ততটা নির্বোধ ওরা না। বরং একটু বেশিই বুদ্ধি রাখে ওরা। শুধু আমরা বড়রাই এ কথাটা মানতে চাই না। আমাদের দিয়ে ওদের হিসেব করি। কিন্তু ওরা হিসেবে বাবা-মা'দের চেয়ে পাকা। যে কাজটা বাবা মা করে, সে কাজটা খারাপ কিভাবে হয়❓ কাজেই বাবা-মা, বউ-জামাই খেলা তারা খেলতেই পারে। তাদের তো দোষ দেয়া যায় না। একটু ভেবে বলুন তো, যায় কি?

আসলে একটা নির্দিষ্ট সময় পর সন্তানদের বিছানা আলাদা হওয়াই বাঞ্চনীয়। সবার পক্ষে হয়তো, সন্তানদের জন্য আলাদা আলাদা রুম দেয়া সম্ভব না। সে ক্ষেত্রে অন্তত বিছানাটা আলাদা করা যায়। বাবা-মায়ের বিছানাটা কাপড় দিয়ে পার্টিশন দেয়া যায়। মশারির মতো। আর নিতান্তই যদি সম্ভব না হয়, শিশু সম্বলিত সংসারে দম্পতিদের অবশ্যই সর্বোত্তম সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কী সেটা আমি জানিনা। আর সবার ঘরে নিশ্চয় একরকম ফর্মূলা চলবে না। নিজের ঘর অনুযায়ী নিজেদের ফর্মূলা তৈরী করুন প্রিয় অভিভাবক।

আমরা বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে ঘুরতে যাই। মজার মজার খাবার খাই। দামী দামী গেজেট দেই। নতুন নতুন ট্রেন্ডি জামা কাপড় পরাই। কিন্তু সবচেয়ে দামী যে লেসন সেটাই দেই না। হেলথ এডুকেশন, সেক্স এডুকেশন। কত্ত জরুরি যে এসব জীবনমুখী শিক্ষা। কী আজব আমরা! কবে বুঝব এর গুরুত্ব আর কত ভুল বার্তা দেহ মনে নিয়ে বড় হবে আমাদের শিশুর।

বাচ্চাদের কি কি করা উচিৎ আর কি কি না সেটা বলুন। ছোটদের কাজ, বড়দের কাজ কি কি জানান। ধীরে ধীরে নিজের শরীর সম্বন্ধে শিক্ষা দিন। গুড টাচ, ব্যাড টাচ সম্পর্কে জানান। নারী-পুরুষের যৌন জীবন সম্বন্ধে শিক্ষা দিন। ধীরে ধীরে, সহজ করে। কাজের লোক কিংবা ক্যানভাসারের কাছে ভুল জানার চেয়ে, বাবা মার কাছে জানা ভালো নয় কি?

প্রিয় অভিভাবকগন, সন্তানের কথা বিশ্বাস করুন। সন্তানের বন্ধু হোন। ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করুন এবং ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করুন। মনে রাখা ভালো, লালন পালন করাই কিন্তু শেষ কথা না। সন্তানকে সুরক্ষিত রাখাও বাবা-মার পবিত্র দায়িত্ব।

আসুন ঠিকঠাক দায়িত্ব পালন করি। ওদের জীবনটা আরেকটু সহজ করি।

✍️: জনৈক মহিলা ডাক্তার। #বাংলাদেশ Bangladeshi Band Music Fans Community JOY 9850 Bollywood Society Bangla Serial - সকল ভারতীয় সিরিয়াল আজকের পর্ব Coke Studio বাংলা Band Lalon

Dirección

Mad Street
Havana
YVJNNN

Notificaciones

Sé el primero en enterarse y déjanos enviarle un correo electrónico cuando PAGLA পাগলা Doctors publique noticias y promociones. Su dirección de correo electrónico no se utilizará para ningún otro fin, y puede darse de baja en cualquier momento.

Contacto El Consultorio

Enviar un mensaje a PAGLA পাগলা Doctors:

Compartir

Categoría