
25/05/2025
কোন পুরুষ কখনোই সার্জারির মাধ্যমে নারী হতে পারেন না। কোন নারী কখনোই সার্জারির মাধ্যমে পুরুষ হতে পারেন না। একজন নারী কখনোই তাঁর বায়োলজিকাল সিস্টেমে স্পার্ম প্রডিউস করতে পারবেন না, যেমনটা একজন পুরুষ ওভারি ডেভেলাপ করে এগ প্রডিউস করতে চিরদিনই অক্ষম।
তাহলে ট্রান্সজেন্ডাররা আসলে করে কী? সোজা বাংলায় একজন পুরুষ তার পেনিস কেটে ফেলেন (অনেকে আবার রেখেও দেন!) এবং টেস্টোস্টেরন-ব্লকার হরমোন নেন। এতে তার শরীরে টেস্টোস্টেরন প্রডাকশন বন্ধ হয়ে যায়। পাশাপাশি তিনি অ্যাস্ট্রোজেন নেন, যা তার শরীরে সেকেন্ডারি সেক্সের (তার ক্ষেত্রে নারী) ক্যারেক্টারিস্টিক্স ডেভেলাপ করে।
মহিলারা ক্ষেত্রে উল্টা। তারা শরীরে টেস্টোস্টেরন নেয়া শুরু করেন যা তার শরীরে সেকেন্ডারি সেক্সের (তার ক্ষেত্রে পুরুষ) ক্যারেক্টারিস্টিক্স ডেভেলাপ করে।
এতে আসলে কী হয়?
মূলত পুরুষের শরীরে নারীর মত কোমলতা আসে। দাড়ি-গোঁফ ওঠা কমে আসে, ব্রেস্ট ডেভলাপ করে। কিন্তু সে কখনই বায়োলজিকাল নারী হতে পারে না। তার সন্তানধারনের ক্ষমতা আসে না। তার মেন্সট্রুয়াল ব্লিডিং হয় না। তার শরীর সারাজীবনই পুরুষের থাকে - দেখতে কেবল নারীর মত হয়।
নারীর ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা তেমনই। সে কখনই স্পার্ম প্রডিউস করতে পারে না। কাউকে ইম্প্রেগনেইট করতে পারে না। শুধুমাত্র তার মূত্রত্যাগের স্থানটিকে পেনিসের মত করে রূপান্তর করা হয় যাতে সে একটা মেইড-আপ পেনিস পায় এবং পুরুষের মত মূত্রত্যাগ করতে পারে। ব্রেস্ট কেটে ফেলে যাতে তার বুকটা ছেলেদের মত দেখায়।
সংক্ষেপে এই হলো ট্রান্সজেন্ডারদের কর্মকান্ড। এখন প্রশ্ন হলো এরা কীসের অধিকারের কথা বলে? এরা বলে সমঅধিকারের কথা। অবশ্যই তারা সমঅধিকার পাবে। কেউ যদি আজকে তার নাক কেটে ফেলে বা কান কেটে ফেলে, তাকে কি ডিসক্রিমিনেট করা হবে? অবশ্যই না।
কিন্তু এরা সমঅধিকারের নামে যা বলে সমস্যা সেখানে। এরা চায় সমাজ এদের তারা যেটা বলে সেটা হিসেবেই ট্রিট করুক। একটা ছেলে পেনিস কেটে মেয়ে হবার ভান করবে, সমাজকে তাকে নাকি মেয়ে হিসেবেই মেনে নিতে হবে। তাকে ছেলের সাথে বিয়ে দিতে হবে, তাকে নারী কোটায় চাকরি দিতে হবে, নারীদের হোস্টেলে থাকতে দিতে হবে, নারীদের স্পোর্টসে তাকেও কম্পিট করতে দিতে হবে। অথচ সে পুরোদস্তুর একজন ছেলে।
বিপরীতে নারীদের দাবিও তাই। সে ব্রেস্ট কেটে ফেলে, ভ্যাজাইনা কেটে ফেইক পেনিস প্রতিস্থাপন করে, তার দাবি হলো সে পুরুষের সাথেই থাকবে। তাকে পুরুষের মতই ট্রিট করা হবে, তাকে মেয়েদের সাথেই বিয়ে দিতে হবে।
এই ধরণের দাবি, ধর্মীয়ভাবে তো বটেই, সামাজিক ভাবেই ভয়ানক। এটা সমাজে নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির প্রয়াস ছাড়া আর কিছুই নয়। মেডিকেলের ভাষায় এটাকে জেন্ডার ডিসফোরিয়া বলা হয়, যা আগে জেন্ডার আইডেন্টিটি ডিসঅর্ডার বলা হতো (কমেন্টে রিসার্চ পেপারের লিঙ্ক আছে)। এই কমিউনিটি এখন প্রথম বিশ্বে বেশ প্রভাবশালী। তাই মেডিকেল টার্মও ডিসঅর্ডার থেকে ডিসফোরিয়া হয়ে গেছে।
একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের নিজেদের প্রশ্ন করা উচিত, সমঅধিকারের ঢাল ব্যবহার করে যে কেউ যা ইচ্ছা তাই করতে চাইলে, সেটাকে প্রশ্রয় দেয়া উচিত কি না। আপনার বোনের, কন্যার, স্ত্রীর বেডরুমে আপনি একজন পেনিস-কাটা, অ্যাস্ট্রোজেন হরমোন গ্রহণকারী পুরুষকে ঢুকতে দেবেন কি না? যদি উত্তর 'হ্যাঁ' হয়, তাহলে আপনার নিজের এথিকাল স্ট্যান্স নিয়ে প্রশ্ন তোলা জরুরি। যদি উত্তর 'না' হয়, তবে এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া আপনার কর্তব্য।
এখানে কোন হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ব্যাপার নেই। নগর পুড়লে দেবালয় এড়ায় না। কেউ যদি ভাবেন এদের বিরুদ্ধে লাগাটা কেবল ধর্মান্ধ মুসলিমদের বাড়াবাড়ি, তবে আপনি এই অসুস্থতা আপনার অন্দরমহলে প্রবেশ করা অব্দি কেবল অপেক্ষা করুন। এই ভাইরাস একবার ছড়ালে আর কোন উপায় নেই সারাবার।
একজন মানুষ যদি নিজেকে কুকুর দাবি করে সার্জারি করে লেজ লাগিয়ে নেয় আর চার-পায়ে হাঁটে, কোনভাবেই আমি তার নাগরিক ও সামাজিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারবো না। তবে শুধু এটাই মাথায় রাখবো সে মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত, আর তার চিকিৎসা প্রয়োজন। কিন্তু তাকে ডগ-ফুড দিয়ে আমার ঘরের গেইটে চোর-খেদানোর জন্য গলায় বেড়ি পরিয়ে বসিয়ে রাখবো না। কারণ সে প্রকৃত কুকুর না।
সমঅধিকারের দাবি আর অন্যায় আবদারের পার্থক্য এইখানেই।
সংগ্রহিত