Dr Ima Islam

Dr Ima Islam Head of Medical Content, Shohay Health | Doctor, NHS England She is a licensed physician both in the UK and Bangladesh.

Dr Ima Islam is the head of Medical Content Team at Shohay Health and a Clinical Fellow at the Royal Papworth Hospital, UK’s main heart and lung transplant center. She is also a Clinical Supervisor at the University of Cambridge, teaching undergraduate medical students. Dr Islam has extensive experience in creating evidence-based medical content. Her content has been read more than half a million

times so far and is being used by national and international organizations to train community health workers in low-resource settings. Prior to joining Shohay Health, Dr Islam led a team at Aroggo, a healthcare crowdfunding initiative, to fund the life-saving care of more than 125 patients. She co-founded Dhaka Medical College Internal Medicine Interest Group, the first American College of Physicians (ACP) recognized student body operating in Bangladesh to improve the knowledge of internal medicine among medical students.

05/08/2024

▌🚨 টিয়ার গ্যাস থেকে বাঁচতে প্রস্তুত? 🚨 ▌

টিয়ার গ্যাস থেকে বাঁচার জন্য বিশেষ হেলমেট পাওয়া যায়। তবে সেগুলো সাধারণ মানুষের জন্য সহজলভ্য না। তাই বলছি হাতের নাগালে থাকা জিনিসগুলো দিয়ে যা যা করতে পারেন—

🎯 টিয়ার গ্যাস বাতাসের চেয়ে ভারী। তাই সাধারণত দ্রুত নিচের দিকে বা মাটির কাছে থিতিয়ে পড়ে। তাই মাটির লেভেলে না থেকে সমতল থেকে যথাসম্ভব উঁচু স্থানে থাকার চেষ্টা করবেন।

🎯 শরীর পুরোপুরি ঢাকা থাকে এমন পোশাক পরবেন। পা পুরোপুরি ঢেকে রাখে এমন জুতা (যেমন: কেডস ও স্নিকার্স) পরবেন।

🎯 বাইরে বের হলে ব্যাগে কয়েক বোতল পানি ও সাবান বা শাওয়ার জেল নিয়ে যাবেন। পানির বোতলে হয়তো শাওয়ার জেল ঢুকিয়ে মেশানো সহজ হবে।

🎯 চোখ ও শ্বাসনালী বেশি সেনসিটিভ। তাই গগলস বা চশমা ও মাস্ক পরবেন। হাতের কাছে না পেলে ব্যান্ডানা, স্কার্ফ বা কাপড়ের টুকরা দিয়ে নাক থেকে থুতনি পর্যন্ত যতখানি সম্ভব ঢেকে রাখবেন। টিয়ার গ্যাস ছোড়ার সম্ভাবনা দেখা দিলেই এই প্রস্তুতি নিয়ে রাখবেন।

🎯কোভিড এর সময়ে অনেকে ফেইস শিল্ড ব্যবহার করতেন, সেটা এখন আবার ব্যবহার করতে পারেন। তবে একবার টিয়ার গ্যাসের সংস্পর্শে আসলে কিন্তু এটা ফেলে দিতে হবে।

🎯 ব্যাগে এক সেট কাপড় রাখবেন আলাদা করে। কেমিক্যাল রেজিস্ট্যান্ট পলিথিন ব্যাগ হয়তো হাতের কাছে পাবেন না। তাই ভালো মানের মোটা জিপলক ব্যাগে কিংবা কয়েক পরত মোটা পলিথিন ব্যাগ দিয়ে মুড়ে তারপর রাখতে পারেন। এতে হয়তো ব্যাগের কাপড়ে কেমিক্যাল ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কিছুটা কমতে পারে।

🎯 সম্ভব হলে এসময়ে কনট্যাক্ট লেন্স এড়িয়ে চলবেন। এর পরিবর্তে চশমা পরবেন। এটা কেমিক্যালের সংস্পর্শ কিছুটা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

🎯 জুয়েলারি না পরলেই ভালো। প্রয়োজনে এমনটা পরবেন যেটা সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলা যায়। ভালোমতো ধুয়ে ফেলার পরে আবার ব্যবহার করতে পারবেন।

❤️‍🔥যাত্রা শুভ হোক❤️‍🔥
পর্ব ৪/৪

05/08/2024

📢 টিয়ার গ্যাস লাগা 🚨জামাকাপড়🚨 খোলার বিশেষ নিয়ম

কেমিক্যালের সংস্পর্শ কমাতে এই কথাগুলো অবশ্যই মাথায় রাখবেন—

🟥 কাপড় খোলার সময়ে তা কোনোভাবেই মাথার ওপরে তুলবেন না। প্রয়োজনে গলার কাছ থেকে ছিঁড়ে অথবা কেটে সরিয়ে নিবেন শার্ট খোলার মতো করে।

🟥 কাপড়চোপড় খুলে দিতে গেলে গ্লাভস পরে নিবেন। রাবারের গ্লাভস হলে সবচেয়ে ভালো হয়, তবে সেটা হয়তো মাঠে সবসময় হাতের কাছে পাবেন না।

🟥 হাতের কাছে গ্লাভস না পেলে একটা পলিথিন ব্যাগ দিয়ে কাপড় ধরবেন।

🟥 পলিথিনে কাপড় ভরার জন্য প্রথমে ব্যাগটা উল্টো করে হাত দুইটা ব্যাগের ভেতরে ঢুকিয়ে দিবেন। আর ব্যাগের বাইরের অংশ দিয়ে কাপড়গুলো ধরবেন। এরপর ব্যাগটা আবার উল্টে ফেলবেন। হাতের কাছে লাঠি-কাঠি বা এমন কিছু থাকলে সেটারও সাহায্য নিতে পারেন।

🟥 সবশেষে পলিথিনটা ভালো করে গিঁট দিয়ে সেটাকে আরেকটা পলিথিনে ভরে রাখবেন।

এভাবে নিজের ও আশেপাশে থাকা ভাই-বোনদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমবে।

❤️‍🔥যাত্রা শুভ হোক❤️‍🔥
পর্ব ৩/৪

05/08/2024

▌🚨 টিয়ার গ্যাস থেকে বাঁচতে যা করবেন ❌না❌ ▌

🔴 আমি সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন জায়গায় দেখেছি টিয়ার গ্যাসকে নিউট্রালাইজ করার জন্য টুথপেস্ট ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কাগজে কলমে একটা এসিড আরেকটা ক্ষার—এই যুক্তিতে।

তবে ত্বকে এর ব্যবহারের পক্ষে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। বরং টুথপেস্ট নিজেই ত্বক ও চোখের জন্য ক্ষতিকর। এটা আক্রান্ত অংশগুলোর জ্বালাপোড়া আরও বাড়িয়ে দিতে পারে, নতুন করে কেমিক্যাল বার্ন করতে পারে ত্বক ও চোখে। আবার অনেকের অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশনও হতে পারে।

এমন আরও কিছু টোটকার মধ্যে ভিনেগার ও বেকিং সোডার কথা দেখেছি। সেক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একই রকম। তাই এসময়ে—

❌টুথপেস্ট
❌ভিনেগার
❌বেকিং সোডা

—এসবের পরিবর্তে প্রচুর পরিমাণ সাবান-পানি দিয়ে শরীর ধুয়ে ফেলুন।

🔴 জ্বালাপোড়া করলেও চোখ বা ত্বক চুলকানো থেকে বিরত থাকবেন, কারণ এতে জ্বালাপোড়া আরও বেড়ে যায়। সাথে ক্ষত ও ইনফেকশনের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

🔴 পানি শুকানোর সময়েও এমন কোনো ঘষাঘষি করবেন না, আলতো করে চেপে চেপে শুকাবেন। চোখে-মুখে-ত্বকে যেকোনো ধরনের ঘষাঘষি এড়িয়ে চলবেন।

❤️‍🔥যাত্রা শুভ হোক❤️‍🔥
পর্ব ২/৪

05/08/2024

▌🚨 টিয়ার গ্যাস থেকে কীভাবে বাঁচবেন? 🚨 ▌

টিয়ার গ্যাসের কোনো অ্যান্টিডোট নেই সত্যি, তারপরেও সুরক্ষার অনেক উপায় আছে। আজকে সেই করণীয়গুলো বলবো, আর যেসব ভুল পরামর্শ এড়িয়ে চলা দরকার সেটাও বলে দিব। হয়তো হাতের কাছে সবসময় সবকিছু পাবেন না, যা পাবেন তা দিয়েই নিজেদের সেইফ রাখার চেষ্টা করবেন।

🩺ফার্স্ট এইড

1️⃣ গ্যাসের সংস্পর্শে আসার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই চোখ, মুখ, গলা, শ্বাসনালী ও ত্বকে খুব জ্বালাপোড়া শুরু হবে। সাথে চোখ-নাক থেকে পানি পড়া, চোখে ঘোলা দেখা, ঢোক গিলতে কষ্ট হওয়া, লালা পড়া, শ্বাসকষ্ট, কাশি, ও ত্বক পোড়া শুরু হতে পারে। এজন্য–

🟥প্রথমেই দ্রুত ঐ স্থান থেকে সরে গিয়ে বিশুদ্ধ, খোলা বাতাসে চলে যাবেন। এটা খুবই কার্যকর। বিশেষ করে গ্যাস জমে ধোঁয়াটে হয়ে থাকা জায়গা থেকে যতটা সম্ভব দূরে সরে যাবেন।

🟥মাথা উঁচু করে রাখবেন। যদি খুব কাছ থেকে কিংবা বেশি পরিমাণে টিয়ার গ্যাসের সংস্পর্শে আসেন, তাহলে চোখ যথাসম্ভব বন্ধ রাখবেন।

🟥পরনের সব কাপড়চোপড় ও ব্যাগ খুলে সরিয়ে রাখবেন। অন্তত অন্তর্বাস ছাড়া বাকি সব কাপড় খুলে ফেলবেন। এক্ষেত্রে একটা ব্যাপার অবশ্যই মাথায় রাখবেন—
🚫কাপড় খোলার সময় কখনোই মাথার ওপর দিয়ে তুলবেন না।🚫
দরকার হলে কাপড় গলার কাছ থেকে ছিঁড়ে বা কেটে খুলে ফেলবেন শার্ট খোলার মতো করে। বিষাক্ত কাপড় কিভাবে হ্যান্ডেল করবেন সেটা পর্ব ৩/৪ এ বলেছি।

🟥প্রচুর পানি দিয়ে চোখ ধুবেন। অন্তত ১০–১৫ মিনিট ধরে অথবা কেমিক্যাল পুরোপুরি চলে না যাওয়া পর্যন্ত এভাবে ধুতে হবে।

🟥কন্ট্যাক্ট লেন্স পরলে সেটা চোখ ধোয়ার আগে খুলে ফেলবেন। সম্ভব হলে কন্ট্যাক্ট লেন্স না পরে চশমা পরবেন। এটা কেমিক্যালের সংস্পর্শ কিছুটা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

🟥দ্রুত পুরো শরীর প্রচুর পরিমাণে সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। এটা শরীরে থাকা কেমিক্যাল থেকে সুরক্ষা দিবে। পানির সংস্পর্শে প্রথম প্রথম কিছুক্ষণ জ্ব্বালাপোড়া বেশি হতে পারে সেটা মাথায় রাখবেন। ধোয়ার সময়ে বেশি ঘষাঘষি করা থেকে বিরত থাকবেন, নাহলে নাজুক ত্বক উঠে গিয়ে আরও ক্ষত হতে পারে।

🟥শরীরের কোথাও ক্ষত হলে সেই অংশে সাবান-পানির পরিবর্তে ব্যাগের স্যালাইন (যেমন: 💊Solo বা 💊Normalin) ব্যবহার করবেন।
চশমা পরলে সেটা ভালো করে সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে তারপর ব্যবহার করতে পারবেন।

🟥নতুন কাপড় বা চাদর দিয়ে আক্রান্তের শরীর ঢেকে দিবেন।

আক্রান্ত ব্যক্তিকে যত দ্রুত সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে পুরোপুরি পরিষ্কার করে ফেলা যায়, তত ক্ষয়ক্ষতি কমানো যায়। সাধারণত সব পরিষ্কার করার ১৫–৩০ মিনিটের মধ্যে টিয়ার গ্যাসের প্রভাব কেটে যায়।

2️⃣ শ্বাসকষ্ট হলে অক্সিজেন ব্যবহার করবেন যদি পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি অ্যাজমার চিকিৎসায় যেসব ওষুধ ব্যবহার করি, যেমন: 💊সালটোলিন ইনহেলার ও 💊উইন্ডেল নেবুলাইজার—এগুলো ব্যবহার করতে পারেন। ডাক্তারি ভাষায় এগুলোকে আমরা Bronchodilator বলি, এগুলো শ্বাস নেওয়া সহজ করতে পারে। এ ছাড়া 💊বুডিকর্ট নেবুলাইজার ব্যবহার করতে পারেন।

ফার্মেসিতে সাধারণত ২০-৩০ টাকার বিনিময়ে এক ডোজ নেবুলাইজার নেওয়া যায়, 'গ্যাস' বললে হয়তো তারা সহজে চিনতে পারবেন। তখন এসব ওষুধের নাম দেখাতে পারেন। এই ব্র্যান্ড নামগুলো বেশি পরিচিত, তবে অন্য যেকোনো ভালো ব্র্যান্ডের ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন।

3️⃣ পুড়ে যাওয়া জায়গার চিকিৎসা করবেন এভাবে: https://shohay.health/first-aid/burns-and-scalds

4️⃣ বদ্ধ জায়গায় টিয়ার গ্যাস ছোড়া হলে ঝুঁকি অনেক বেশি––অন্ধ হওয়া থেকে শুরু করে শ্বাস বন্ধ হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই যত দ্রুত সম্ভব এমন জায়গা থেকে দূরে খোলা স্থানে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন, টিয়ার গ্যাসের সংস্পর্শ থেকে সাথে সাথে সরে আসলে এসব গুরুতর সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

এসবের পরও জ্বালাপোড়া না কমলে কিংবা অসুস্থ লাগতে থাকলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। বিশেষ করে চোখ আক্রান্ত হলে ডাক্তারি পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

তবে আশার কথা হলো, বেশিরভাগ আক্রান্ত মানুষেরই ডাক্তারি চিকিৎসা লাগে না।

❤️‍🔥যাত্রা শুভ হোক❤️‍🔥
পর্ব ১/৪

10/02/2023

গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির সহজ ঘরোয়া উপায়

Address

Cambridge

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr Ima Islam posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category