23/06/2025
Dear members of MMC Club UK,
recently a legendary Surgeon Professor Ali Ashraf passed away in Bangladesh at the age of 103. Inna lillahi wa inna ilaihi rajeun. I never had the honour of meeting Professor Ali Ashraf personally but he was the teacher of our teachers. Since his death, I’ve seen an overwhelming number of tributes in various doctors' groups, and it has made me realise just how qualified, efficient, and deeply beloved surgeon he was. Actually, there is no greater achievement for a teacher than to be remembered with such respect and affection from his students.
I’m sure many of our senior MMCians knew him well. Our Kitchlu Bhai from the M10 batch had the privilege of working closely with him as his Assistant Registrar. He has written a heartfelt message in his memory. As Kitchlu Bhai doesn't use Facebook, he has requested me to share his message with you all here on his behalf.
আমি নিজেকে অত্যন্ত ভাগ্যবান মনে করি এই জন্য যে কিংবদন্তি অধ্যাপক আলী আশরাফ Sir এর অধীনে DMCH এ অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার হিসাবে এক বছর কাজ করার সৌভাগ্য এবং পরবর্তী কালে তাকে আরও জানার সুযোগ পাবার জন্য। আমি একেবারে অপরিচিত হয়েও, কাজের মাধ্যমে Sir এর আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলাম। তিনি আমার সার্জারি শিক্ষার অভিভাবক ছিলেন। তার সম্পর্কে এখানে বিস্তারিত লেখার সামর্থ্য আমার নেই তবে Sir ছিলেন অত্যন্ত আধুনিক চিন্তা ধারার মানুষ এক জীবন্ত encyclopaedia যেটা শতবর্ষ পূর্তির পরেও তার মধ্যে লক্ষ্য করেছি।
অপারেশন করার সময় থিয়েটারে Sir ছিলেন সবার কাছে এক প্রকার আতঙ্ক কিন্তু ঠিক পরের মুহূর্তেই তিনি সম্পূর্ণ ভিন্ন এক পরম দয়ালু ও আন্তরিক মানুষ হয়ে যেতেন। রোগ নির্ণয়ের তার ক্ষমতা ছিল অসাধারণ এবং বিভিন্ন প্রকার অপারেশন করার দক্ষতা সব সময় শেখার মতো। বাংলাদেশে মেডিকালের শিক্ষার সর্ব ক্ষেত্রে বিশেষ কোরে সার্জারির উন্নয়নে Sir এর ভূমিকা ছিল সর্বাগ্রে।
সার্জারির প্রশিক্ষণ ছাড়াও, Sir, আমাকে সর্ব প্রথম চাইনিজ খাবারের সাথে পরিচয় করিয়েছিলেন। তিনি মাঝে মধ্যে আমাদেরকে (অধীনস্থ ডাক্তারদের) চাইনিজ রেস্তোরায় আপ্যায়ন করতেন। এই ভিনদেশী খাবার সম্পর্কে তার খুব ভালো ধারণা ছিল। ব্যাক্তিগত জীবনে Sir অবিশ্বাস্যরকম সাধারণ জীবন যাপন করতেন এবং তিনি অত্যন্ত ধর্মপরায়ণ ছিলেন। শারীরিক গঠনে ছোটখাটো হলেও, Sir ছিলেন আত্মবিশ্বাসী এবং কর্মজীবনে প্রচণ্ড ক্ষমতাবান ব্যাক্তি। সকলে তাকে অত্যন্ত সমীহ করে চলতেন।
ষাটের দশকের শেষে Sir, লন্ডনে কার্ডিয়াক সার্জারিতে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন এবং তিনি আমাদের দেশের প্রথম কার্ডিয়াক সার্জন ছিলেন।
তার শতবর্ষ পূর্তির পরেও, Sir এর সাথে আমাদের দেখা হয়েছিলো। কথা শুনতে তার একটু অসুবিধা হোলেও, মানসিক ভাবে তিনি সম্পূর্ণ সজাগ ছিলেন। লন্ডনের স্মৃতি, সেই সময়কার রাস্তাঘাট তার মনে ছিলো। জীবনের শেষ বয়সেও তিনি সংসারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতেন, এমনকি তার নাতনীদের লেখাপড়া ও অন্যান্য বিষয়ে পরামর্শ দিতেন।
মহান আল্লাহ তাআলার কাছে দোওয়া করি আমার পরম শ্রদ্ধেয় গুরু অধ্যাপক আলী আশরাফ Sir কে বেহেস্তে নাযিল করুন।
সাইফুদ্দিন কিচলু।
এমঃ ১০