পুষ্টি ডাক্তার : স্বাস্থ্য সেবায় নিবেদিত প্রাণ

  • Home
  • Bangladesh
  • Rajshahi
  • পুষ্টি ডাক্তার : স্বাস্থ্য সেবায় নিবেদিত প্রাণ

পুষ্টি ডাক্তার : স্বাস্থ্য সেবায় নিবেদিত প্রাণ পুষ্টিবিদ || জনস্বাস্থ্যবিদ || স্বাস্থ্য ব্যাবস্থাপনাবিদ || চিকিৎসক || পর্যটক
(2)

সুবহানাল্লাহ।
08/08/2025

সুবহানাল্লাহ।

টাইফয়েড জ্বর সালমোনেলা টাইফি (S.Typhi) ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। এই রোগের জীবানু খাবারের মা...
04/08/2025

টাইফয়েড জ্বর সালমোনেলা টাইফি (S.Typhi) ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। এই রোগের জীবানু খাবারের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে, মানুষের শরীর ছাড়া এরা বাঁচতে পারে না।

টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণসমূহ :
১.সাধারণ জ্বর থেকে দীর্ঘস্থায়ী উচ্চ তাপমাত্রা জ্বর (১০৩-১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট)
২.ক্লান্তি, মাথা ব্যাথা, কাঁপুনি
৩.শরীর ব্যথা
৪.ক্ষুধামন্দা, কাশি
৫.পেট ব্যথা (কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া হতে পারে বা নাও হতে পারে)
৬. বমি বমি ভাব বা বমি
৭. অসুখের দ্বিতীয় সপ্তাহে লিভার এবং প্লীহা বড় হয়ে যেতে পারে
৮. কিছু রোগীর ক্ষেত্রে লালচে দানা দেখা যেতে পারে তবে প্রথম সপ্তাহের পর থেকে

টাইফয়েড জ্বর কিভাবে ছড়ায় :
সালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা দূষিত খাবার বা পানির মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়।

টাইফয়েড জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা কাদের বেশি?
১.ঘণবসতিপূর্ণ জনগোষ্ঠী, বস্তি বা নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী
২. এন্ডেমিক এলাকায় ভ্রমণকারী
৩.আউটব্রেক পরিস্থিতির মধ্যে থাকা জনগোষ্ঠী ৪.নিম্নস্বাক্ষরতার হার যেখানে অনিরাপদ পানি ও অস্বাস্থ্যকর স্যানিটেশন রয়েছে।
৫. শিশুর বয়স ৫-১৫ বছর।

টাইফয়েড জ্বরের ঝুঁকির কারণসমূহ :
১. দূষিত ও অনিরাপদ খাবার পানি
২.অপরিকল্পিত পয়:নিষ্কাশন ব্যবস্থা
৩. নিম্নমানের স্বাস্থ্যবিধি

টাইফয়েড জ্বরের ভয়াবহতা :
১.মারাত্মক জটিলতা এমনকি মৃত্যু হতে পারে
২. যে সকল রোগী হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয় এদের ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৫% জটিলতা ঘটতে পারে। যারা দুই সপ্তাহ বেশি সময় ধরে অসুস্থ থাকার পরেও কোন চিকিৎসা গ্রহণ করেনি তাদের মধ্যে এই জটিলতা গুলো আরও প্রকোপ আকার ধারণ করে। সবচেয়ে বেশি জটিলতা গুলো হলো অন্ত্রের রক্তপাত, অন্ত্রের ছিদ্র, শক ও ব্রেনের ইনফেকশন। এদের মধ্যে ১৮-৪৩% রোগী মারা যায়।
৩. কার্যকর এন্টিবায়েটিক চিকিৎসায় ভালো হয়ে যায় তবুও সম্পন্ন সুস্থ হতে সময় লাগে ও কষ্টসাধ্য।
৪. পক্ষান্তরে এন্টিবায়োটিক ছাড়া মৃত্যুহার প্রায় ২০% পর্যন্ত হতে পারে
৫. পরিবারের আর্থিক ক্ষতি সাধন করে, সময় এবং উৎপাদনশীলতা নষ্ট করে বহু দীর্ঘমেয়াদি জলিলতা সৃষ্টি করে।

টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসা এবং প্রতিরোধের উপায় :
১. পর্যাপ্ত নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্যকর স্যানিটেশন ব্যবস্থা, খাদ্য প্রস্তুতকারীদের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধির মেনে চলার প্রবণতা।
২. টাইফয়েড টিকা দেওয়া
৩. Extensive drug Resistance (XDR) ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় সালমোনেলা টাইফির চলমান প্রাদুর্ভাব দিন দিন বেড়েই চলছে। এটা প্রতিরোধে সত্যিকার অর্থে ভ্যাক্সিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
৪. চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক গ্রহণ
৫. শৌচাগার ব্যবহার করার পর সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধৌত করা এবং খাবার প্রস্তুত করার পূর্বে সাবান দিয়ে হাত ধৌত করা
৬. কাঁচা খাবার গ্রহণ না করা, যদি পানি নিয়ে সন্দেহ হয় তা ফুটিয়ে পান করা, ফল ভালো করে ধুঁয়ে খাওয়া।

কার্টেসি: অজানা স্কলার

এলি লোবেলের বয়স ছিলো মাত্র ২৭ বছর, যখন তিনি জঙ্গলে হাঁটতে গিয়ে পোকার কামড় খান। আপাতদৃষ্টিতে খুবই সামান্য একটা কামড়, একট...
28/06/2025

এলি লোবেলের বয়স ছিলো মাত্র ২৭ বছর, যখন তিনি জঙ্গলে হাঁটতে গিয়ে পোকার কামড় খান। আপাতদৃষ্টিতে খুবই সামান্য একটা কামড়, একটু জ্বালাপোড়া ও লাল ত্বক - তাই এলি তেমন পাত্তা দেননি। কিন্তু মাস ঘুরতেই দেখা গেলো এলির সারা শরীর জুড়ে অসহ্য ব্যাথা। ক্রমাগত কাশি ও শ্বাসকষ্ট। এবং সেই সাথে তাঁর স্মৃতিশক্তিও কমে আসতে লাগলো।

এলি ডাক্তারের কাছে গেলেন। কেউ বললেন ফ্লু, কেউ বললেন ভাইরাল ইনফেকশন, কেউ বললেন আর্থ্রাইটিস, আবার কারো মতে এটা ইমিউন সিস্টেমেরই সমস্যা। কিন্ত কেউই সল্যুশন দিতে পারলেননা। ধীরে ধীরে এলির অবস্থা খারাপের দিকে যেতে লাগলো।

একজন উৎসাহী গবেষক ও তিন সন্তানের মমতাময়ী মা, টগবগে চঞ্চল তরুণী এলি লোবেল শেষপর্যন্ত শরণাপন্ন হলেন হুইলচেয়ারের। স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারেননা, শরীরের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকেনা। তার ওপর তেমন কিছু মনেও রাখতে পারেননা। সবসময় থাকেন ঘোরের ওপর। সারা শরীরের জোড়াগুলোতে ব্যাথা তো আছেই, হাত পা নাড়াতে গেলে মনে হয় যন্ত্রণায় এখুনি প্রাণ হারাবেন।

এক বছর আগে যেখানে এলি পুরো সংসার আর বন্ধুমহল মাতিয়ে রাখতেন, কয়েক মাস পর দেখা গেলো তার আর একটা জড়বস্তুর মাঝে বিশেষ কোনো তফাত নেই!

এলি উত্তর পেলেন প্রায় একবছর পরে এসে। বোরেলিয়া গণের একটি ব্যাকটেরিয়া। পোকার কামড়ের মাধ্যমে তাঁর শরীরে ঢুকেছে এই ব্যাকটেরিয়া। আর ছড়িয়ে দিয়েছে লাইম ডিজিজ। রক্তশোষক পোকার কামড়ে এই রোগ ছড়ায়। বোরেলিয়া গণের ব্যাকটেরিয়া শরীরের নার্ভ সিস্টেম আক্রমণ করে। ফলে শরীরের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আর প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস হয়ে যায়। তবে শুরুর দিকে চিকিৎসা করলে সারানো সম্ভব।

কিন্ত এলির এক বছর পার হয়ে গিয়েছিলো।

এলি মোট ১৫ বছর যুদ্ধ করলেন। ২৭ থেকে ৪২। তরুণী থেকে মধ্যবয়স্কা। ছেলেমেয়েও বড় হয়ে গেছে। কিন্তু এলি আগের মতন। একটা কেয়ারটেকার রেখে দিয়েছেন। সে হুইলচেয়ার ধরে ঘোরায়। আর বাসায় থাকলে বেডে শুয়ে থাকেন। স্মৃতিশক্তিও সব ঝাপসা।

এভাবে কতদিন বেঁচে থাকা যায়? এলি লোবেল স্বেচ্ছামৃত্যুর ডিসিশন নিলেন। তিনি জড়বস্তু হয়ে বেঁচে থাকতে চাননা।

ডাক্তার তিন মাস সময় দিয়েছিলেন। আর তিন মাস। এরপরই নিজেকে শেষ করে ফেলবেন এলি। জড়পদার্থ হয়ে অন্যকে কষ্ট দিয়ে বেঁচে থাকার চাইতে সে ই ভালো। জীবনের শেষ কয়েকটা দিন পার করার জন্য এলি পাড়ি জমালেন ক্যালিফোর্নিয়ায়।

ক্যালিফোর্নিয়ার এক সূর্যস্নাত সকাল। এলি কেয়ারটেকারকে বলে হুইলচেয়ার নিয়ে বাইরে বাগানে এসেছেন। আস্তে আস্তে উঠে দাঁড়িয়েছেন একটি দেয়াল ধরে। আর তাকাচ্ছেন সোনালী সূর্যের দিকে, নীল আকাশের দিকে, সবুজ প্রকৃতির দিকে।
কয়েক দিন পর সবাইকে বিদায় জানিয়ে অন্ধকারে পাড়ি জমাতে হবে।

ঠিক এমনসময় একটা দুর্ঘটনা ঘটলো!

হঠাৎই একটা মৌমাছি এসে কামড় বসালো এলির কপালে।

কী হচ্ছে বুঝে উঠার আগেই একঝাঁক মৌমাছি এসে ঘিরে ফেললো এলিকে। আর শুরু করলো দংশন।

কেয়ারটেকার হুইলচেয়ার ফেলেই ভাগলো। এলি যেহেতু একপ্রকার প্যারালাইজড, তাঁর পালানোর সৌভাগ্য হলোনা। দাঁড়ানো থেকে বসে পড়লেন! শয়ে শয়ে মৌমাছি ধেয়ে এলো তাঁর দিকে। কামড়ে কামড়ে কিছুক্ষণের মাঝেই জ্ঞান হারালেন এলি।

এলির মৌমাছির বিষে জন্মগত এলার্জি ছিল। তারওপর অলরেডি ভয়াবহ লাইম ডিজিজে প্রায় মরমর অবস্থা। ফলে এই আক্রমণ এলির জন্য প্রাণঘাতীই বলা চলে! মৌমাছি তাড়িয়ে এলিকে সরিয়ে তাঁর পরিবার দ্রুত যোগাযোগ করলো হাসপাতালে!

কিন্তু জ্ঞান ফিরে এলে এলি জানালেন - এই তার ভবিষ্যৎ। তিনি মরতে চেয়েছেন, সৃষ্টিকর্তা মৃত্যুদূত পাঠিয়েছেন, মৌমাছির ছদ্মবেশে। তিনি অতএব শান্তিতে মরতে চান।

এলি হাসপাতালে গেলেননা। বাসাতেই রয়ে গেলেন এবং প্রতিমুহূর্তে ক্ষণ গুণতে লাগলেন কবে মরণ আসবে আর সব জ্বালাযন্ত্রণা মিটিয়ে দিয়ে তাঁকে নিয়ে যাবে।

কিন্তু সেটা হলোনা। বরং হলো আরো অদ্ভুত কিছু।

যমে মানুষে টানাটানিতে অর্ধমৃত এলি লোবেল ঠিকই বেঁচে রইলেন। অদ্ভুত এক জ্বরে পুড়ে যেতে লাগলো তাঁর শরীর। এই জ্বর মৌমাছির বিষের ব্যাথাও নয়, নয় লাইম ডিজিজের ফলাফল। একসময়কার গবেষক এলি বুঝলেন এই জ্বর শরীরের ভেতর হয়ে চলা এক যুদ্ধের ফলাফল। নিশ্চয়ই এক অজানা বন্ধু এক চেনা শত্রুকে নিষ্ক্রিয় করছে।

তিনদিন পার হলো। এলি তখনও বিছানায়। বিছানায় শুয়েই খুব অদ্ভুত কিছু জিনিস খেয়াল করলেন তিনি।

শরীরের জয়েন্টে জয়েন্টে যে ব্যাথা ছিলো তা অনেকটাই কমে এসেছে।

হাত পা ইচ্ছামত নাড়াতে পারছেন।

আস্তে আস্তে হাঁটতেও পারছেন, কোনো সমস্যা হচ্ছেনা।

মাথা কেমন যেন হালকা হয়ে গেছে। ভাসাভাসা ব্যাপারটা আর নেই। অনেক স্মৃতিই মনে পড়ছে।

কয়েক সপ্তাহের মাথায় এলি লোবেল সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গেলেন। কোথায় লাইম ডিজিজ কিসের কি। হুইলচেয়ার ফেলে এলি তখন পুরোদমে হেঁটে বেড়াচ্ছেন। আর ভেবে চলেছেন কাহিনী কী হলো।

এলি লোবেল তুখোড় গোয়েন্দার মতই কাহিনীর রহস্য উদ্ধার করেছিলেন। বড়ই অদ্ভুত সেই রহস্য।

মৌমাছির বিষে রয়েছে মেলিটিড নামের একটি পেপটাইড উপাদান। বিষে যে ব্যাথাট হয় তার একটা বড় কারণ এই মেলিটিড। এলির শরীরে যখন বিষের সাথে মেলিটিড প্রবেশ করলো তখন তা মুখোমুখি হলো রক্তে ভেসে থাকা মিলিয়ন বিলিয়ন বোরেলিয়া ব্যাকটেরিয়ার। মেলিটিডের সংস্পর্শে আসা মাত্রই ব্যাকটেরিয়া গুলো প্যারালাইজড হয়ে গেলো। কোষের বাইরের পর্দা দ্রুত গলে যেতে লাগলো আর গণহারে মারা পড়তে লাগলো শয়তান বোরেলিয়া।

এভাবেই মৌমাছির বিষ সম্পূর্ণ সুস্থ করে তুললো জীবনের আশা ছেড়ে দেয়া এলি লোবেলকে।

সুস্থ হবার পর এলি লাইম ডিজিজের প্রতিষেধক হিসেবে মৌমাছির বিষ ব্যবহারের ওপর ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করেন। যোগাযোগ করেন বী ফার্ম থেকে লাইম ডিজিজের গবেষকসহ অনেকের সাথে। তাঁর প্রচেষ্টায় এই অদ্ভুত প্রতিষেধক আলোর মুখ দেখে। বিজ্ঞানীরা এখন চেষ্টা চালাচ্ছেন কিভাবে মেলাটিন এক্সট্রাক্ট করে বোরেলিয়া সম্পূর্ণ ধ্বংস করা যায়। পুরো বিষয়টি এখন গবেষণার পর্যায়ে আছে।

প্রকৃতি আমাদের জন্য এখনো অবাক হওয়ার উপাদান জমিয়ে রেখেছে। ক্ষণে ক্ষণে সারপ্রাইজ!

তাই কেউ বেঁচে থাকার আশা নিয়ে প্ল্যানমাফিক দিন শুরু করলেও দিনশেষে দেখা যায় সে মর্গে এককোণায় পড়ে আছে।

আর কেউবা জড় হয়ে বেঁচে থাকতে চায়না বলে মৃত্যুর কাছে ধর্ণা দিলেও দেখা যায় হুট করে একদিন সে হেসেখেলে বেড়াচ্ছে মুক্ত পাখির মতন!

প্রকৃতি সারপ্রাইজে ভরা। জীবনও সারপ্রাইজে ভরা। কখন কী আসে বলা যায়না।

তাই হাল ছাড়া যাবেনা।

কারণ এই দুঃখভরা ব্যাকটেরিয়ার সাগরে আপনাকে উদ্ধার করতে বিষাক্ত মৌমাছি হয়তো চলে আসতেও পারে - কেই বা বলতে পারে?

কার্টেসি : সংগৃহীত

গাড়িতে বই পড়লে মাথা ঘোরে? বমি বমি লাগে? এমন অভিজ্ঞতা কি আপনারও হয়? গাড়িতে উঠলেই যদি মনে হয় পেট গুলিয়ে উঠছে, তাহলে সুখবর—...
11/04/2025

গাড়িতে বই পড়লে মাথা ঘোরে? বমি বমি লাগে? এমন অভিজ্ঞতা কি আপনারও হয়? গাড়িতে উঠলেই যদি মনে হয় পেট গুলিয়ে উঠছে, তাহলে সুখবর—বিজ্ঞানীরা এর দারুণ এক সমাধান বের করেছেন!

জাপানের নাগোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন ১০০ হার্টজের এক বিশেষ শব্দ, যা আমাদের শরীরের ভারসাম্য রক্ষাকারী অংশকে উদ্দীপ্ত করে। এই শব্দ কানে পৌঁছালেই মাত্র ১ মিনিটের মধ্যেই কমে যায় মাথা ঘোরা, বমি ভাব এবং অস্বস্তি। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের গাড়ি, দোলনা কিংবা ড্রাইভিং সিমুলেটরে বসিয়ে পরীক্ষাটি করা হয়। শব্দটি শোনার পর তারা আগের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি অনুভব করেন।

এই 'সাউন্ড স্পাইস' নামের শব্দটি শরীরের ভিতরের ওটোলিথিক অর্গানকে উদ্দীপ্ত করে, যা গতি ও মাধ্যাকর্ষণ বুঝে ভারসাম্য বজায় রাখে। এতে করে আমাদের ভেস্টিবুলার সিস্টেম সক্রিয় হয়, আর সেটাই কমিয়ে দেয় মোশন সিকনেসের উপসর্গ। শব্দটি এতটাই নিরাপদ যে এটি আমাদের দৈনন্দিন পরিবেশের শব্দের চেয়েও কম তীব্র। গবেষকরা বলছেন, এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে।

গবেষণার ফলাফল বলছে—এই প্রযুক্তি শুধু কার্যকর নয়, বরং ভবিষ্যতে প্লেন বা জাহাজ ভ্রমণের সময়ও ব্যবহার করা যাবে। এর মাধ্যমে কোটি কোটি মানুষ উপকৃত হতে পারেন, যাঁরা ভ্রমণের সময় মোশন সিকনেসে ভোগেন। গবেষকরা এখন এই প্রযুক্তি বাস্তবে ব্যবহার উপযোগী করে তুলতে কাজ করছেন।

© নিজ ভাষায় বিজ্ঞান

আপনিও কী ফোন ধরতে কিংবা ফোনে কারো সাথে কথা বলতে ভয় পান?
07/04/2025

আপনিও কী ফোন ধরতে কিংবা ফোনে কারো সাথে কথা বলতে ভয় পান?

02/04/2025
মেয়েদের ব্রেইনের লিম্বিক সিস্টেম বেশি সুগঠিত। মেয়েরা এ কারণেই পুরুষদের চেয়ে বেশি স্নেহপরায়ণ ও আবেগাশ্রয়ী হয়।তো লিম্বিক স...
23/03/2025

মেয়েদের ব্রেইনের লিম্বিক সিস্টেম বেশি সুগঠিত। মেয়েরা এ কারণেই পুরুষদের চেয়ে বেশি স্নেহপরায়ণ ও আবেগাশ্রয়ী হয়।

তো লিম্বিক সিস্টেম কী?
লিম্বিক সিস্টেম হলো ভালবাসার নিয়ন্ত্রক ব্রেইন। এটি ব্রেইনের নতুন কোন শাখা নায় বরং অ্যামিগডালা, থ্যালামাস, হাইপোথ্যালামাস ও হিপ্পোক্যাম্পাসের সমন্বয়ে গঠিত একটা সিস্টেম। এর মধ্যে অ্যামিগডালা অংশটি ভয়, আনন্দ, সামাজিক সম্পর্ক ও প্রজননকর্মের সকল বিষয়াদি নিয়ন্ত্রণ করে। আর হাইপোথ্যালামাস উৎপন্ন করে ভালবাসার হরমোন নামে পরিচিত হরমনগুলো; অক্সিটোসিন ও ডোপামিন। সাথে বিভিন্ন গ্রোথ হরমোনও আছে। তাছাড়াও এ অংশ হার্ট রেট, ব্লাড প্রেশার, ক্ষুধা, তৃষ্ণা ও জৈবিক তাড়না নিয়ন্ত্রণ করে। থ্যালামাস অগ্রমস্তিষ্কে বার্তা পাঠানোর কাজগুলো করে থাকে। আর বাকি থাকে হিপ্পোক্যাম্পাস। এই হিপ্পোক্যাম্পাস মানুষের স্মৃতিশক্তি নিয়ন্ত্রণ করে।

হিপ্পোক্যাম্পাস নিয়ে মজার কথা হলো এ অংশটি পুরুষদের চেয়ে মেয়েদের বড় থাকে যদিও ব্রেইন মেয়েদের তুলনায় পুরুষদের ৮%-১৩% পর্যন্ত বড় হতে পারে।

সোর্স: ব্রেইন বুস্টার বই।

আপনি জানেন কি?
15/03/2025

আপনি জানেন কি?

উচ্চ হিল: ফ্যাশন নাকি স্বাস্থ্যঝুঁকি?উচ্চ হিল দেখতে স্টাইলিশ হলেও, এটি পায়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।পায়ের বিকৃতি: অতিরিক্ত চ...
14/03/2025

উচ্চ হিল: ফ্যাশন নাকি স্বাস্থ্যঝুঁকি?

উচ্চ হিল দেখতে স্টাইলিশ হলেও, এটি পায়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

পায়ের বিকৃতি: অতিরিক্ত চাপের ফলে Bunions, Hammer Toes ও হাড়ের গঠন পরিবর্তন হতে পারে।

হাঁটু ও কোমরের ক্ষতি: শরীরের ভারসাম্য বদলে যাওয়ায় অস্টিওআর্থ্রাইটিস ও কোমর ব্যথার ঝুঁকি বাড়ে।

রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা: টাইট ফিটিংয়ের কারণে Varicose Veins ও পা ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

পায়ের লিগামেন্ট দুর্বল হওয়া: দীর্ঘদিন ব্যবহারে গোড়ালির লিগামেন্ট দুর্বল হয়ে যায়, যা সহজেই পা মচকে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।

©

১৮৭৯ সাল - ল্যাবরেটরিতে কাজ করছিলেন রুশ বিজ্ঞানি কনস্টানটিং ফালবার্গ। এ সময় অজ্ঞাতেই তার হাতে মেখে যায় কিছু রাসায়নিক দ্র...
10/03/2025

১৮৭৯ সাল - ল্যাবরেটরিতে কাজ করছিলেন রুশ বিজ্ঞানি কনস্টানটিং ফালবার্গ। এ সময় অজ্ঞাতেই তার হাতে মেখে যায় কিছু রাসায়নিক দ্রব্য। এগুলো তিনি খেয়ালই করেননি।

কাজ করতে করতে অনেক রাত হয়ে যায়। ডিনারের কথা তার মনেই ছিল না। রাত অনেক গভীর হলে মনে পড়ে ডিনারের কথা। তৎক্ষণাৎ এক টুকরো রুটি নিয়ে তাতে কামড় বসান।

কিন্তু মুখে দিয়েই অবাক তিনি! রুটি বেশ মিষ্টি লাগছিল। কেন...? উত্তর খোঁজার চেষ্টা করলেন। রুটিতে চিনি ছিল না এটা নিশ্চিত। পরে হাত মুখে দিয়ে বুঝতে পারেন মিষ্টির উৎস হলো হাত।অর্থাৎ হাতে লেগে থাকা অজ্ঞাত কেমিক্যাল।

কী কী নিয়ে কাজ করছিলেন,সেগুলো ভালো করে যাচাই করার পর ফালবার্গ অবশেষে আবিষ্কার করে ফেললেন পৃথিবীর কৃত্রিম সুইটনার। পরে এর পেটেন্ট রাইটও নিয়ে নেন নিজের নামে। অচিরেই স্যাকারিন চিনির বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

স্যাকারিন একটি মিষ্টি জৈব পদার্থ। এটি চিনির চেয়ে প্রায় ৫০০ গুন বেশি মিষ্টি। এটি ডায়াবেটিস রোগীকে খেতে দেয়া হয়। স্যাকারিনের খাদ্যগুণ নেই। স্যাকারিন তৈরি হয় আলকাতরার পাতনের পর প্রাপ্ত উলুইন নামক পদার্থ থেকে। স্যাকারিন বিষাক্ত না। তবে এটি খাদ্যে না মিলানোই উত্তম। এটি খেলে তেমন ক্ষতি দেখা যায় না।

স্যাকারিন চিনির চেয়ে ২০০ থেকে ৭০০ গুণ মিষ্টি হলেও এর কোন পুষ্টিগুণ নেই অর্থাৎ স্যাকারিন শরীরে কোন পুষ্টি বা ক্যালরি সরবরাহ করেনা। যেভাবে শরীরে প্রবেশ করে ঠিক অনুরূপ শরীর থেকে বেরিয়ে যায় অর্থাৎ শরীরের ভেতরে কোন রকম রাসায়নিক রূপান্তর বা মেটাবোলিজমে সে অংশগ্রহণ করে না।

FDA "Food and Drug Administration" স্যাকারিনের প্রতিদিনের গ্রহণযোগ্য মাত্রা "Acceptable Daily Intake /ADI" শরীরের প্রতি কেজি ওজনের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছে আর তা হল ৫ মিলি গ্রাম।

সূত্র: ব্রিটানিকা

08/03/2025
Respect & Salute.
05/03/2025

Respect & Salute.

Address

Puran Bogra
Rājshāhi

Opening Hours

Monday 13:00 - 17:00
Tuesday 13:00 - 17:00
Wednesday 13:00 - 17:00
Thursday 13:00 - 17:00
Friday 13:00 - 17:00
Saturday 13:00 - 17:00
Sunday 13:00 - 17:00

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when পুষ্টি ডাক্তার : স্বাস্থ্য সেবায় নিবেদিত প্রাণ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share