Nusrat Jahan - Registered Nutritionist UK and Clinical Dietitian BD

Nusrat Jahan - Registered Nutritionist UK and Clinical Dietitian BD Clinical Dietitian | Health & Nutrition Educator | Diabetes Care Expert
✨ 11 Years of Experience in Nutrition & Wellness
(4)

I am an experienced Health and Nutrition Educator, Clinical Dietitian, and Diabetes Care Specialist with over 11 years of expertise in patient counseling, nutrition education, and promoting overall health and well-being. I hold an MSc in Diabetes Care from the University of Salford (UK) and an MSc in Food and Nutrition from the University of Dhaka (Bangladesh), providing a strong academic foundation for my professional work. Throughout my career, I have created more than 7,000 personalized dietary plans designed for a wide range of medical conditions. My work is rooted in evidence-based practices, and I specialize in developing structured education programs for disease management and prevention. As a dedicated educator, I have mentored and guided over 1,000 students in food and nutrition, using interactive teaching methods such as group discussions, role-playing, and real-life case studies. I am passionate about helping future healthcare professionals gain the knowledge and skills they need for meaningful careers. My goal is to continuously advance knowledge in nutrition and to inspire others through education, personalized care, and professional leadership in the field.

16/10/2025

Food is medicine. 🍎🥦🍇🥑🍗🥗
Your healthy choices are the most powerful prescription.

.

14/10/2025

হরমোন আমাদের শরীরের “কন্ট্রোল সিস্টেম” যা ঘুম, মুড, মেটাবলিজম থেকে শুরু করে প্রজনন পর্যন্ত সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করে। PCOS বা থাইরয়েডের মতো সমস্যায় যখন হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়, তখন খাদ্যই হতে পারে সবচেয়ে বড় ওষুধ!

হরমোন ব্যালান্সিং খাবার
১) হেলদি ফ্যাটস (Healthy Fats) সমৃদ্ধ খাবার যেমন :অ্যাভোকাডো, অলিভ অয়েল, বাদাম, চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিড — এসব ভালো ফ্যাট শরীরে ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
২)প্রোটিন (Protein) সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে ডিম, মাছ, চিকেন, ডাল, ছোলা — এগুলো ইনসুলিন ব্যালান্স করে ও মেটাবলিজম ঠিক রাখে।
৩) কমপ্লেক্স কার্ব (Complex Carbs) এর ভালো উৎস হলো কুইনোয়া, ওটস, ব্রাউন রাইস, মিষ্টি আলু — এগুলো রক্তে সুগার স্থিতিশীল রাখে, যা PCOS ও থাইরয়েডের জন্য খুব জরুরি।
৪) অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রিচ ফুডস (Antioxidant-rich Foods) যেমন: বেরি, ডার্ক চকলেট, সবুজ চা — এগুলো হরমোনের প্রদাহ কমায় ও কোষকে রক্ষা করে।
৫) মিনারেল সাপোর্ট: আয়োডিন (সামুদ্রিক শৈবাল), জিঙ্ক (কুমড়ার বীজ), সেলেনিয়াম (ব্রাজিল নাট, ডিম) — এসব খনিজ থাইরয়েড হরমোন ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

ছোট্ট টিপস
• চিনিযুক্ত খাবার, প্রসেসড ফুড, ও অতিরিক্ত ক্যাফেইন থেকে দূরে থাকুন।
• পর্যাপ্ত ঘুম, পানি ও ব্যায়াম— এগুলোও হরমোন ব্যালান্সের গোপন চাবি!

✍️জারিন তাসনিম
ফুড এন্ড নিউট্রিশন

13/10/2025

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো, ১২ অক্টোবর, রবিবার থেকে দেশব্যাপী টাইফয়েড টিকাদান অভিযান শুরু হয়েছে। মাসব্যাপী এই কর্মসূচি ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। BSS এর এক প্রতিবেদন অনুসারে, এই অভিযানের আওতায়, নয় মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় ৫ কোটি শিশু বিনামূল্যে এই টিকার একক ডোজ পাবে।এটি দেশের প্রথম টাইফয়েড টিকাদান অভিযান। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে এই অভিযানের সময়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি (অথবা সমমানের স্তর) পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীকে টিকার এক ডোজ দেওয়া হবে।

টাইফয়েড জ্বর (যাকে এন্টেরিক ফিভারও বলা হয়) হল স্যালমোনেলা এন্টেরিকা সেরোটাইপ টাইফি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে সৃষ্ট একটি গুরুতর রোগ।টাইফয়েড হল সালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট একটি প্রাণঘাতী সংক্রমণ, যা মূলত সংক্রামিত ব্যক্তি বা উপসর্গবিহীন বাহকের মলের সাথে দূষিত খাবার বা জল খাওয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এর কারণগুলির মধ্যে রয়েছে অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস, যেমন টয়লেট ব্যবহারের পরে এবং খাবার তৈরি করার পরে ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত ব্যক্তি হাত না ধোওয়া।। এ রোগ মূলত জীবাণু দ্বারা সংক্রামিত ব্যক্তির মল বা প্রস্রাব দ্বারা দূষিত জল বা খাবারের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আপনি এটি কাঁচা আধোয়া, খোসা ছাড়ানো ফল এবং পাস্তুরিত না করা দুধ বা রসের মতো রান্না না করা খাবার গ্রহণের ফলেও সংক্রামিত হতে পারেন।

✅টাইফয়েড জ্বর হলে কি ধরনের খাবার খাওয়া উচিত তা উল্লেখ করা হলোঃ
👉 হালকা খাবার: ভাত বা নরম খিচুড়ি (কম মসলা দিয়ে রান্না করা), স্যুপ (সবজি, মুরগি বা চিকেন স্যুপ), সিদ্ধ ডিম।

👉ফল এবং রস: আপেল, কলা, পেঁপে, তরমুজ ইত্যাদি, তাজা ফলের রস (কমলার রস বা ডাবের পানি), ফলগুলো ভালো করে ধুয়ে এবং পরিষ্কারভাবে খাওয়া জরুরি।বিভিন্ন ফলের রস এসময় খাওয়াতে হবে। দেশি ফলের শরবত খাওয়াতে পারলে বেশি ভালো। লেবু, কমলা, মাল্টা, ড্রাগন এগুলো জুস করে রোগীকে দিতে পারেন।

👉পর্যাপ্ত পানি: প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে, ডাবের পানি, ওরাল স্যালাইন, গ্লুকোজ পানি।

👉পুষ্টিকর তরল খাবার: দুধ বা দুধের সঙ্গে ওটস, দই বা ঘোল।

👉সবজি: সিদ্ধ বা স্টিম করা সবজি যেমন আলু, গাজর, ফুলকপি।

👉প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার: সেদ্ধ মুরগি বা মাছ (হালকা তেলে রান্না করা)।টাইফয়েড জ্বরে নরম সেদ্ধ ডিম খাওয়া যেতে পারে। এটি শরীরকে শক্তি যোগায় এবং হজমেও সমস্যা করে না।

👉সুজি এবং সাগু: সুজি এবং সাগু খুব হালকা খাবার। এগুলো শরীরে শক্তি যোগায় এবং দ্রুত হজম হয়।দুধ বা পানি দিয়ে সুজি বা সাগু রান্না করে খেতে পারেন। এটি আপনার ক্ষুধা নিবারণ করবে এবং শরীরকে দুর্বল হতে দেবে না।

👉স্যুপ:সবজির স্যুপ বা চিকেন স্যুপ এই সময় খুব উপকারী। এটি শরীরকে পুষ্টি যোগায় এবং গলা ব্যথা কমায়।স্যুপে কম মশলা ব্যবহার করুন এবং সেদ্ধ সবজি বা চিকেন ব্যবহার করুন।এগুলো শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং শক্তি যোগায়।

👉ডাল: পাতলা মুগ ডাল বা মসুর ডাল টাইফয়েড জ্বরে ভালো। এটি প্রোটিনের একটি ভালো উৎস এবং সহজে হজম হয়। ডাল হালকা করে রান্না করুন এবং প্রচুর পানি ব্যবহার করুন।

👉সয়া বিনস: সয়া বিনস ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং দ্রুত নিরাময়ে ভূমিকা রাখে। এছাড়াও, সয়া বিনস প্রোটিন এবং ফাইবারে সমৃদ্ধ যা টাইফয়েডের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।

👉বাদাম: বাদাম স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং প্রোটিনের একটি ভালো উৎস। এই স্বাস্থ্যকর চর্বি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় এবং এটি শরীরকে শক্তি দেয়। বাদামে থাকা প্রোটিন শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলোকে মেরামত করতে সাহায্য করে। টাইফয়েডের সময় বাদাম খেলে শরীর দ্রুত সুস্থ হয় এবং শক্তি পায়।

👉রসুন: রসুন তার প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক এবং ইমিউন বুস্টার বৈশিষ্ট্যের জন্য বিখ্যাত। সালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং আপনার শরীরের প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করতে কাঁচা রসুন বা রসুনের পরিপূরক গ্রহণ করুন।

👉হলুদ: এই সোনালি মশলাটিতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আপনার খাবারে হলুদ যোগ করুন বা উপসর্গগুলি উপশম করতে এবং নিরাময় প্রক্রিয়াকে সমর্থন করতে এটি চা হিসাবে খান।

👉আদা: আদা একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং হজমে সহায়ক। পেটের অস্বস্তি এবং বমি বমি ভাব কমাতে আপনার ডায়েটে আদা চা বা গ্রেট করা আদা অন্তর্ভুক্ত করুন।

👉দই: দই উপকারী অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াগুলির ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করতে পারে, যা টাইফয়েড জ্বরের সময় ব্যাহত হতে পারে। দই এবং কেফিরের মতো প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন বা প্রোবায়োটিক সম্পূরক গ্রহণ করুন।

👉তুলসী পাতা: তুলসী পাতা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। টাইফয়েড ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে আপনার শরীরের লড়াইকে সমর্থন করার জন্য তাজা তুলসী পাতা খান বা চা তৈরি করুন।

👉আপেল সিডার ভিনেগার: ACV এর প্রাকৃতিক অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এক টেবিল চামচ ACV কুসুম গরম পানি এবং মধুর সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন পান করুন।

👉মেথি বীজ: মেথি বীজ তাদের প্রদাহরোধী এবং ডিটক্সিফাইং বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। মেথির বীজ সারারাত ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে পানি পান করলে সুস্থ হয়ে ওঠে।

👉মধু: মধু একটি প্রাকৃতিক প্রদাহরোধী এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট হিসাবে বিখ্যাত। আপনার গলা প্রশমিত করতে এবং আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাঁচা, অপ্রক্রিয়াজাত মধু খান বা হালকা গরম জল এবং লেবুর সাথে মিশিয়ে খান।

👉কলা: পটাসিয়ামের একটি চমৎকার উৎস, কলা জ্বর এবং ডায়রিয়ার সময় হারিয়ে যাওয়া ইলেক্ট্রোলাইটগুলি পূরণ করতে সাহায্য করতে পারে। এগুলি হজম করাও সহজ এবং পুনরুদ্ধারের সময় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করতে পারে।

👉নারকেল জল: প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইট রিপ্লেনিশার হিসাবে, নারকেল জল ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে। এটি প্রয়োজনীয় খনিজ এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে।

👉দারুচিনি: দারুচিনির শক্তিশালী অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আপনার খাবারে এক চিমটি যোগ করুন বা আপনার শরীরের নিরাময় প্রক্রিয়াকে সমর্থন করতে দারুচিনি চা খান।

👉পুদিনা পাতা: পুদিনা পাতা তাদের শীতল এবং হজমের বৈশিষ্ট্যের জন্য স্বীকৃত। টাইফয়েড জ্বরের সাথে যুক্ত বমি বমি ভাব এবং বমি কমাতে পুদিনা চা খান বা তাজা পুদিনা পাতা চিবিয়ে খান।

এসময় সকল প্রকারের ভাজাপোড়া ও অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার, শক্ত এবং তেলযুক্ত খাবার, রাস্তার খাবার এবং অপরিষ্কার পানি ইত্যাদি খাওয়া থেকে একদমই বিরত থাকতে হবে। চা, কফি, সোডা ডিহাইড্রেশন বাড়ায় তাই এগুলো avoid করুন।

✍️নুসরাত পারভীন
ফুড এন্ড নিউট্রিশন

ভিটামিন D ও জিঙ্ক: সংক্রমণের বিরুদ্ধে আপনার প্রাকৃতিক ঢাল হিসেবে কাজ করে !আমরা সবাই জানি,ভালো ইমিউন সিস্টেম মানে কম অসুস...
11/10/2025

ভিটামিন D ও জিঙ্ক: সংক্রমণের বিরুদ্ধে আপনার প্রাকৃতিক ঢাল হিসেবে কাজ করে !

আমরা সবাই জানি,ভালো ইমিউন সিস্টেম মানে কম অসুস্থতা। কিন্তু জানেন কি, ভিটামিন D আর জিঙ্ক একসাথে কাজ করে শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে?

ভিটামিন D:
এটি শুধু হাড়ের জন্য না, বরং আমাদের ইমিউন কোষগুলোকে সক্রিয় রাখে।
👉 এটি শরীরের “ডিফেন্স সেল” গুলোকে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া চিনে আক্রমণ করতে সাহায্য করে।
👉 ভিটামিন D এর অভাব থাকলে সংক্রমণ যেমন সর্দি, কাশি বা ফ্লু বেশি হতে পারে।
👉ভিটামিন D এর ভালো উৎস: সূর্যের আলো , ডিমের কুসুম, মাছ ইত্যাদি।

জিঙ্ক:
জিঙ্ক হলো “ইমিউন বুস্টার” মিনারেল।
👉 এটি শরীরের ক্ষত সারাতে, ভাইরাস-বিরোধী প্রোটিন তৈরি করতে ও কোষ পুনর্গঠনে সাহায্য করে।
👉 গবেষণায় দেখা গেছে, পর্যাপ্ত জিঙ্ক থাকলে ঠান্ডা-কাশির সময় কমে যায় এবং সংক্রমণ দ্রুত সারে।
👉জিঙ্কের ভালো উৎস: ডাল, বাদাম, ডিম, কুমড়ার বীজ ইত্যাদি।

✨ টিপস:
প্রতিদিন সামান্য রোদে হাঁটুন, সুষম খাবার খান আর প্রয়োজন হলে ডাক্তারের পরামর্শে সাপ্লিমেন্টস নিন

নিজের ইমিউন সিস্টেমকে শক্ত রাখুন — কারণ ভালো ইমিউন মানেই নিরাপদ আপনি!



✍️জারিন তাসনিম
ফুড এন্ড নিউট্রিশন

10/10/2025
আজ ১০ অক্টোবর, বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। এই দিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে শারীরিক স্বাস্থ্যের মতোই মানসিক স্বাস্থ্য...
09/10/2025

আজ ১০ অক্টোবর, বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস।
এই দিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে শারীরিক স্বাস্থ্যের মতোই মানসিক স্বাস্থ্যও অপরিহার্য। মানসিক সুস্থতা ছাড়া সুস্থ জীবন সম্ভব নয়।
​অনেক সময় আমরা লোকলজ্জা বা ভয়ে মনের কষ্ট গোপন করি। মনে রাখবেন, মানসিক সমস্যা কোনো দুর্বলতা নয়—এটি জীবনের একটি অংশ।

​সচেতন হোন, যত্ন নিন:
​✅আপনার মন খারাপ বা দুশ্চিন্তার কথা বিশ্বস্ত কারও সাথে খোলামেলাভাবে আলোচনা করুন। নীরবতা ভেঙে ফেলুন।
​✅প্রতিদিন নিজের জন্য একটু সময় বের করুন। যে কাজটি আপনাকে আনন্দ দেয় (যেমন গান শোনা, হাঁটা), সেটি করুন।
​✅অতিরিক্ত চাপ এড়াতে যেখানে প্রয়োজন, সেখানে দৃঢ়তার সাথে 'না' বলতে শিখুন।
​✅যদি দেখেন মানসিক চাপ বা সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলছে, তবে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। সাহায্য চাওয়া সাহসের লক্ষণ।
​মানসিক স্বাস্থ্য একটি সার্বজনীন অধিকার। আসুন, সকলে মিলে একটি সহানুভূতিশীল সমাজ গড়ি, যেখানে প্রতিটি মনকে সম্মান জানানো হয়।

​মনে রাখবেন: আপনি একা নন।

08/10/2025

সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করলে মায়েদের কিছু ছোট ছোট প্রস্তুতি আগে করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে গর্ভধারণ প্রক্রিয়া নিরাপদ হয় এবং জটিলতার ঝুঁকি কমে।

কয়েকটি কাজ যেগুলো করা যেতে পারে:
১) হোল এবডোমেন/লোয়ার এবডোমেন আল্ট্রাসনোগ্রাফি: মায়ের ওভারি, ইউটেরাস বা অন্যান্য অন্ত্রের সমস্যা আছে কি না তা আগে চেক করা জরুরি।
২) ওজন পরীক্ষা: অতিরিক্ত ওজন থাকলে সেটি নিয়ন্ত্রণে আনা দরকার।
৩) ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং (৪-৬ মাস): যদি পেটে বেশি চর্বি থাকে, তবে নিয়মিত ফাস্টিং ও সুষম খাদ্য শরীরের হরমোন ভারসাম্য এবং গর্ভধারণের জন্য সহায়ক।
৪) ঘুমের রুটিন: রাতে ১১টার আগে ঘুমানো অভ্যাস গড়ে তোলা হরমোন ও সাধারণ স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি।

যাদের সামর্থ্য আছে, তারা আরও কিছু পরীক্ষাও করতে পারেন, যেমন:
TSH, Anti TPO, Anti TG/Anti Microsomal, Progesterone (P-4), Vitamin D, CBC। এগুলো গর্ভধারণের আগে শরীরের অবস্থা বোঝাতে সাহায্য করে।

কারণ, অনেক সময় অতিরিক্ত ওজন, পিসিওএস, ফাইব্রয়েডস বা হরমোনাল অমিলের কারণে গর্ভাবস্থায় মিসক্যারেজ, প্রিএক্ল্যাম্পশিয়া বা এক্ল্যাম্পশিয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

ডিম হলো সহজলভ্য ও সম্পূর্ণ প্রোটিন খাদ্য। একটি ডিমেই শরীরের প্রয়োজনীয় সব ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। ডিমে প্রোটিন ছাড়...
07/10/2025

ডিম হলো সহজলভ্য ও সম্পূর্ণ প্রোটিন খাদ্য। একটি ডিমেই শরীরের প্রয়োজনীয় সব ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। ডিমে প্রোটিন ছাড়াও ভিটামিন এ, ডি, ই, বি১২, আয়রন, ক্যালসিয়াম ও স্বাস্থ্যকর চর্বি (ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড) থাকে, যা চোখ, মস্তিষ্ক ও হাড়ের জন্য বিশেষ উপকারী।

মন খারাপের সময় কী খাবেন?আমাদের মুড বা মানসিক অবস্থা অনেক সময় খাবারের সাথেই সম্পর্কিত 🍽️।  যখন মন খারাপ, ক্লান্তি বা স্...
06/10/2025

মন খারাপের সময় কী খাবেন?

আমাদের মুড বা মানসিক অবস্থা অনেক সময় খাবারের সাথেই সম্পর্কিত 🍽️।
যখন মন খারাপ, ক্লান্তি বা স্ট্রেসে থাকি — তখন কিছু খাবার শরীরে “হ্যাপি হরমোন” বাড়িয়ে আমাদের ভালো অনুভব করাতে পারে

চলুন দেখি কোন খাবারগুলো আপনার মুড ভালো রাখতে সাহায্য করবে 👇

১️.ডার্ক চকলেট
👉 এতে আছে ম্যাগনেসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা “সেরোটোনিন” বাড়ায়, ফলে মন ভালো হয়।

২️.বাদাম ও বীজজাতীয় খাবার (Almond, Walnut, Flaxseed, Chia)
👉 এগুলোর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে মুড স্থিতিশীল রাখে।

৩️.কলা (Banana)
👉 কলায় আছে ভিটামিন B6 ও ট্রিপটোফ্যান — যা শরীরে সেরোটোনিন উৎপাদনে সাহায্য করে।

৪️.ফলমূল ও বেরি (Mango, Blueberry, Strawberry)
👉 প্রাকৃতিক সুগার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কে এনার্জি বাড়ায় এবং ক্লান্তি দূর করে।

৫️. মাছ (বিশেষ করে ইলিশ, সার্ডিন, সালমন)
👉 ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কে “ডোপামিন” ও “সেরোটোনিন” নিয়ন্ত্রণে রাখে — ফলে মানসিক শান্তি আসে।

৬️.গ্রীন ভেজিটেবল (Spinach, Broccoli, Lettuce)
👉 এতে আছে ফলেট, আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম — যা হতাশা কমাতে সাহায্য করে।

☕ ৭️⃣ গ্রিন টি বা হারবাল টি
👉 এতে আছে থিয়ানিন (L-theanine), যা মস্তিষ্ককে রিল্যাক্স করে ও মন শান্ত রাখে।

💚 মনে রাখুন:
👉 শুধুমাত্র খাবার নয়, পর্যাপ্ত ঘুম, রোদে থাকা ও নিয়মিত হাঁটা — সবই মুড উন্নত করে।

✍️ জারিন তাসনিম
বিএসসি অনার্স ৩য় বর্ষ
ফুড এন্ড নিউট্রিশন

#পুষ্টি #মনভালো

💊 যে সাপ্লিমেন্টগুলো সত্যিই কাজ করে (আর যেগুলো করে না)আজকাল বাজারে অসংখ্য সাপ্লিমেন্ট—ওজন কমানো থেকে শুরু করে সুন্দর চুল...
05/10/2025

💊 যে সাপ্লিমেন্টগুলো সত্যিই কাজ করে (আর যেগুলো করে না)

আজকাল বাজারে অসংখ্য সাপ্লিমেন্ট—ওজন কমানো থেকে শুরু করে সুন্দর চুল, ত্বক, ঘুম বা এনার্জির জন্য! কিন্তু সব সাপ্লিমেন্টই কি আসলেই কাজ করে? 🤔

চলুন দেখি 👉

✅ যেগুলো সত্যিই কাজ করে:

🌿 ভিটামিন D3
👉 হরমোন ব্যালান্স, হাড়ের স্বাস্থ্য ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

🌿 ওমেগা-৩ (Fish Oil)
👉 হার্ট, মস্তিষ্ক ও ত্বকের জন্য প্রমাণিত উপকারিতা রয়েছে।

🌿 ম্যাগনেসিয়াম
👉 ঘুম, পেশী শিথিলতা ও মানসিক শান্তিতে সাহায্য করে।

🌿 প্রোবায়োটিকস
👉 অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া ভারসাম্য রাখে, হজম ও ত্বক উন্নত করে।

🌿 আয়রন + ভিটামিন C
👉 একসাথে নিলে রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি ও শক্তি বাড়ায়।

❌ যেগুলো কাজ করে না বা খুবই অল্প করে:

⚠️ “Fat burner” পিল বা ডিটক্স চা
👉 এগুলো সাময়িক পানি কমায়, কিন্তু ফ্যাট পোড়ায় না।

⚠️ Hair, Skin & Nails পিল
👉 শুধু বায়োটিন নিলেই কাজ হয় না—পুষ্টি ও হরমোন ঠিক না থাকলে ফল আসে না।

⚠️ Collagen পাউডার
👉 শরীরে অনেক সময় এটি ঠিকভাবে শোষিত হয় না।

⚠️ অতিরিক্ত মাল্টিভিটামিন
👉 যদি খাবারে পর্যাপ্ত পুষ্টি পান, তবে অতিরিক্ত ভিটামিন শরীরে জমে ক্ষতি করতে পারে।

💡 টিপস:
👉 যেকোনো সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার আগে ডাক্তার বা নিউট্রিশনিস্টের পরামর্শ নিন।
👉 পুষ্টিকর খাবারই হলো আসল সাপ্লিমেন্ট! 🍎

✍️ জারিন তাসনিম
বিএসসি অনার্স ৩য় বর্ষ
ফুড এন্ড নিউট্রিশন

#সাপ্লিমেন্ট #পুষ্টি #স্বাস্থ্য

ডায়াবেটিস রোগ নির্ণয় এবং পর্যবেক্ষণ পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ভুল প্রস্তুতি ভুল ফলাফল দিতে পা...
04/10/2025

ডায়াবেটিস রোগ নির্ণয় এবং পর্যবেক্ষণ পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ভুল প্রস্তুতি ভুল ফলাফল দিতে পারে, যা চিকিৎসা ব্যবস্থাপনাকে প্রভাবিত করে ।

ডায়াবেটিস পরীক্ষার সঠিক ফলাফলের জন্য রোগীদের যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়া আবশ্যক। বিশেষ করে যারা ইনসুলিন গ্রহণ করেন, তাদের অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রুটিন বজায় রাখতে হবে।

১. ফাস্টিংয়ের সাধারণ নিয়মাবলী
রোগ নির্ণয় বা চিকিৎসার কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ যে উদ্দেশ্যেই পরীক্ষা করা হোক না কেন, ফাস্টিংয়ের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে:
📌ফাস্টিংয়ের সময় অবশ্যই ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা না খেয়ে থাকতে হবে।
📌ফাস্টিং অবশ্যই সারারাত বিশ্রামরত অবস্থায় সম্পন্ন করতে হবে। দিনের বেলায় কাজের ফাঁকে না খেয়ে থাকা ফাস্টিং হিসেবে গণ্য হবে না।
📌ফাস্টিংয়ের সময় কেবলমাত্র সাধারণ জল (প্লেইন ওয়াটার) পান করা যাবে।
📌রোগীরা যেন ভুলক্রমেও চা, কফি, জুস বা অন্য কোনো প্রকার পানীয় গ্রহণ না করেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। রোগীরা সাধারণত এগুলোকে খাবার হিসেবে গণ্য করেন না, ফলে পরীক্ষার ফল ভুল আসে।

২. OGTT (Oral Glucose Tolerance Test)-এর জন্য নির্দেশনা
📌প্রথমবার রক্ত দেওয়ার পর গ্লুকোজ পান করার পরবর্তী দুই ঘণ্টা অবশ্যই বিশ্রামরত অবস্থায় থাকতে হবে।
📌এই সময়ের মধ্যে কোনো ধরনের হাঁটাচলা, কাজ বা শারীরিক ব্যায়াম করা যাবে না (যেমন, পার্কে হাঁটা বা দ্রুত হাঁটা এড়িয়ে চলতে হবে)।

৩. ইনসুলিন গ্রহণকারী রোগীদের জন্য বিশেষ সতর্কতা
যেসব রোগী ইতোমধ্যে ডায়াবেটিসের চিকিৎসাধীন এবং ইনসুলিন নিচ্ছেন, তাদের জন্য নির্দেশনা ভিন্ন:
📌রোগীকে অবশ্যই পরীক্ষার আগের রাতে প্রেসক্রাইব করা ইনসুলিনের ডোজ পরিবর্তন বা বাদ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
📌কারণ পরীক্ষাটি করা হয় চলমান খাদ্য এবং ওষুধের মাধ্যমে ডায়াবেটিস কতটা নিয়ন্ত্রণে আছে তা পর্যবেক্ষণ করার জন্য। ইনসুলিন বাদ দিলে সকালে ফাস্টিং রক্ত পরীক্ষার ফলাফল ভুল দেখাবে।
📌যদি রোগীকে সকালে ইনসুলিন নিতে হয় এবং তিনি বাড়ি থেকে ইনসুলিন নিয়ে আসেন, তবে তা অবশ্যই সঠিকভাবে (ফ্রিজে) সংরক্ষণ করে আনতে হবে। ভুলভাবে সংরক্ষণ করলে ইনসুলিনের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়, যা পরবর্তী পরীক্ষার ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে।
একই নির্দেশনা ঔষধ গ্রহণকারীদের ক্ষেত্রেও মেনে রক্ত পরীক্ষা করতে হবে।

✍️নিলুফার ইয়াসমিন দিপা
ফুড এন্ড নিউট্রিশন

03/10/2025

অ্যানোরেক্টাল ডিসঅর্ডার হলো এমন একধরনের শারীরিক সমস্যা যা মলদ্বার ও এর আশপাশের অঞ্চলকে প্রভাবিত করে। এ ধরনের রোগের মধ্যে সাধারণত পাইলস (piles), অ্যানাল ফিশার (a**l fissure), হেমোরয়েড (hemorrhoid), ফিস্টুলা (fistula) ইত্যাদি দেখা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এগুলো শুধু শারীরিক ব্যথা ও অস্বস্তির কারণ নয়, মানসিক উদ্বেগ ও বিব্রতকর পরিস্থিতিও তৈরি করে।

আমাদের দেহে খাবার হজম হওয়ার পর তা পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে। শেষ পর্যন্ত অবশিষ্ট বর্জ্য পদার্থ মলের আকারে শরীর থেকে নির্গত হয়। এই প্রক্রিয়ায় মলদ্বার (a**s) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা পরিপাকতন্ত্রের শেষ প্রান্ত এবং শরীরের বাইরের অংশের সাথে সংযুক্ত। মলদ্বারের উপরের অংশে সাময়িকভাবে মল জমা থাকে, এরপর স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় শরীর থেকে বের হয়। কিন্তু অ্যানোরেক্টাল ব্যাধির ক্ষেত্রে এই স্বাভাবিক কার্যপ্রবাহ ব্যাহত হয়, ফলে রোগী শারীরিক ও মানসিক উভয় দিক থেকেই ভোগান্তিতে পড়েন।

অ্যানোরেক্টাল রোগের চিকিৎসা এবং প্রতিরোধে উপকারী খাবার

আপেল
ত্বকের সাথে খাওয়া হলে আপেল ফাইবারের একটি সমৃদ্ধ উৎস, এতে 4.4 গ্রাম ফাইবার থাকে। আপেলের ত্বকে অদ্রবণীয় ফাইবার থাকে। এই ফাইবারগুলি ভেঙ্গে যায় না এবং মলকে বড় করে তুলতে সাহায্য করে, যার ফলে রেচক প্রভাব পড়ে। তাই, আপেলকে পাইলস ম্যানেজ করার জন্য সুপারিশকৃত খাবারের মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

নাশপাতি
নাশপাতি অত্যন্ত ফাইবার সমৃদ্ধ। ত্বকসহ নাশপাতিতে রয়েছে ৬ গ্রাম ফাইবার। নাশপাতিতে রয়েছে ফ্রুক্টোজ যা প্রাকৃতিক রেচক হিসেবে কাজ করে।

বার্লি
β-গ্লুকান হল ফাইবার সামগ্রী যা বার্লিতে পাওয়া যায়। এই ফাইবার ভেঙ্গে কোলনে একটি সান্দ্র জেল তৈরি করে যা মলকে নরম করতে সাহায্য করে। বার্লি খেলে কোলনের স্বাস্থ্য ভালো রাখা যায়।

মসুর ডাল
এক কাপ রান্না করা মসুর ডালে 15.6 গ্রাম ফাইবার থাকে। একইভাবে, ডাল যেমন ছোলা, মটরশুটি, মটর ডাল ফাইবারের সেরা উত্স। সবুজ মসুর ডাল মলের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে, ফলে এটি কোলনে থাকার সময় কমায়।

বেরি
রাস্পবেরি, স্ট্রবেরি এবং ব্ল্যাকবেরিতে চামড়া-মাংসের অনুপাত বেশি। বেরির একটি পরিবেশনে (100 গ্রাম) 6.5 গ্রাম ফাইবার থাকে। বেরিতে পানির পরিমাণ বেশি। সুতরাং, মল নরম হয়। এটি পরিপাকতন্ত্রকে মসৃণভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। বেরিতে থাকা ফ্রুক্টোজ উপাদান একটি প্রাকৃতিক রেচক প্রভাব দেয়।

আলু
চামড়া সহ একটি মাঝারি আকারের মিষ্টি আলুতে 3.8 গ্রাম ফাইবার পাওয়া যায় ।আলুতে সাধারণত দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ধরনের ফাইবার থাকে। একটি শক্তিশালী রেচক প্রভাব অন্যান্য সবজির তুলনায় মিষ্টি আলুতে প্রায়শই পাওয়া যায়।

টমেটো
টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং জল রয়েছে এবং এটি কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে, এটি সহজে মল পাস করে। Naringenin, একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কয়েক ধরনের কোষ্ঠকাঠিন্যের উপর রেচক প্রভাব ফেলে। অতএব, পাইলস পরিচালনার জন্য টমেটো আরেকটি প্রস্তাবিত খাদ্য বিকল্প।

গমের ভুসি
1/3 থেকে ¼ কাপ ফাইবার এবং 9.1 থেকে 14.3 গ্রাম ফাইবারযুক্ত ভুসি সিরিয়াল খাওয়ার ফলে পাইলস প্রতিরোধ করা যায়।ইসবগুলের ভুসি প্রাকৃতিকভাবেই মল নরম করতে, মলের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে ও সহজে মলত্যাগ করতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণ অদ্রবণীয় আঁশ রয়েছে, যা প্রচুর পানি শোষণ করে। সকালে খালি পেটে ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ২ চামচ ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পান করুন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একইভাবে ইসবগুলের ভুসি খেলে সকালে মলত্যাগে কোনো সমস্যা হয় না। তবে ইসবগুলের ভুসি খেলে সারা দিন প্রচুর পানি পান করতে হবে। না হলে ইসবগুলের ভুসি শরীর থেকে পানি শোষণ করে মলত্যাগ আরও কষ্টসাধ্য করে তুলবে।

ব্রোকলি
ব্রোকলি হজমের উন্নতি করতে পারে কারণ এতে সালফোরাফেন রয়েছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন 20 গ্রাম কাঁচা ব্রকলি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণগুলি প্রতিরোধ করা যায়। এটি স্ট্রেন কমায় এবং অন্ত্রের গতিবিধি বন্ধ করে।

সাইট্রাস ফল
লেবু, কমলা এবং আঙ্গুরের ভেতরের ত্বকে ফাইবার থাকে। এই সাইট্রাস ফলের মধ্যে নারিনজেনিনও রয়েছে, যা রেচক প্রভাব সহ একটি যৌগ। এগুলিতে উচ্চ জলের উপাদান রয়েছে যা মলকে নরম করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সহজ করে।

পানি
অনেকেই সারাদিন পর্যাপ্ত পানি পান করতে ভুলে যান, যার ফলে শরীর কোলন থেকে পানি বের করে নেয়, যার ফলে মল শুষ্ক হয়ে যায় এবং মলত্যাগ করা কঠিন হয়ে পড়ে। ফলাফল? কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্লান্তি এবং অর্শ।
রক্ত নিরাময়ের পরামর্শ: প্রতিদিন ২.৫ থেকে ৩ লিটার পানি পান করুন, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে অথবা যদি আপনি খুব সক্রিয় থাকেন।

শসা এবং তরমুজ
শসা এবং তরমুজ আপনার পরিপাকতন্ত্রে ফাইবার, জল এবং উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে।যদি আপনি খোসা সহ খান, তাহলে আপনি সর্বাধিক ফাইবার পাবেন।

কলা
পেকটিন এবং resistant স্টার্চ সমৃদ্ধ কলা piles এর লক্ষণগুলি শান্ত করার জন্য আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আদর্শ খাবার। সবুজ কলাতে resistant স্টার্চের পরিমাণ আরও বেশি।একটি মাঝারি, ৭-৮ ইঞ্চি (১৮-২০ সেমি) পাকা কলা ৩ গ্রাম ফাইবার সরবরাহ করে।যদিও এর পেকটিন আপনার পরিপাকতন্ত্রে একটি জেল তৈরি করে, এর প্রতিরোধী স্টার্চ আপনার অন্ত্রের good ব্যাকটেরিয়াকে খাওয়ায়, যা আপনার piles এর সমস্যার জন্য সাহায্য করতে পারে।

ওল
পাইলসের ক্ষেত্রে ওল খাওয়া খুবই উপকারী। এর পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য, কোলিক, কৃমির উপদ্রব ও হজমের সমস্যাতেও কাজে আসে এই সবজি। ওলে থাকে ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১, রাইবোফ্লাভিন, ফলিক অ্যাসিড, নিয়াসিন, ভিটামিন এ ও বিটা-ক্যারোটিন ছাড়াও কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, পটাসিয়াম ও ফাইবার। এসব উপাদান শরীরের জন্য খুবই উপকারী ও একাধিক রোগ রক্ষা করে।

আমলকি
এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ইমিউনোমোডুলেটর, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট থাকে। এসব উপাদান পাইলসের সমস্যার সমাধানে বিশেষভাবে কাজ করে। তাই খাদ্যতালিকায় রাখুন আমলকিও।

হলুদ
হলুদে থাকে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য। যা সেকেন্ডারি মাইক্রোবিয়াল সংক্রমণের আক্রমণকে প্রতিরোধ করে ও হেমোরয়েডসে রক্তপাত বন্ধ করে।হলুদে থাকা গুণাগুণ মলদ্বারের চুলকানি কমাতেও সাহায্য করে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুসারে, হলুদে একটি ক্ষারীয় ও অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট প্রভাব আছে, যা পাইলসের সমস্যাকে সঙ্কুচিত করতে সহায়তা করে।

তোকমা
তোকমাও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে উপকারী একটি খাবার। তোকমা পানিতে ভিজিয়ে রেখে ঘণ্টাখানেক পর খেতে পারেন। এতে পুষ্টিগুণ বেশি পাওয়া যায়। চাইলে পানির পাশাপাশি ফল বা লেবুর শরবতে ভিজিয়ে রেখেও তোকমা খাওয়া যায়।

টকদই
টকদই প্রোবায়োটিকসম্পন্ন খাবার, যা হজমে সাহায্য করে। এতে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। তাই খাবার খাওয়ার পর দুই থেকে তিন চামচ টকদই খাওয়ার চেষ্টা করুন।

বেল
বেলের পাল্প ফাইবার সমৃদ্ধ, যা অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে এবং নিয়মিত অন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি কাঁচা খাওয়া হয় বা শরবত তৈরী করে খাওয়া হয়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে।

পেঁপে
পেঁপে মূলত কোষ্ঠকাঠিন্য এবং piles এর মতো অ্যানোরেক্টাল সমস্যাগুলির চিকিৎসা এবং প্রতিরোধে সহায়তা করে, মূলত এর উচ্চ ফাইবার উপাদানের মাধ্যমে, যা মলকে নরম করে এবং নিয়মিত মলত্যাগকে উৎসাহিত করে, এবং প্যাপেইন এনজাইম, যা হজমে সহায়তা করে এবং প্রদাহ-বিরোধী প্রভাব ফেলে যা অস্বস্তি কমাতে পারে।

যে ধরনের খাবার পরিহার করতে হবে :

কম ফাইবারযুক্ত খাবার কমাতে বা এড়িয়ে চলতে হবে:

সাদা ময়দা:
এই ময়দার তুষ অপসারণ করা হয়েছে, যার ফলে এটি কম আঁশযুক্ত হয়। এই ধরণের ময়দা দিয়ে তৈরি পণ্যগুলির মধ্যে রয়েছে সাদা রুটি, পাস্তা এবং ব্যাগেল।

লাল মাংস
এই ধরণের মাংস এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি হজম হতে বেশি সময় নেয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়িয়ে তুলতে পারে।

প্রক্রিয়াজাত খাবার
এই খাবারগুলিতে ফাইবার কম এবং সোডিয়াম বেশি থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি বাড়ায়।

ভাজা খাবার
এগুলি আপনার পরিপাকতন্ত্রের উপর কঠিন এবং হজম করা কঠিন হতে পারে।

লবণাক্ত খাবার
এগুলি ফোলাভাব সৃষ্টি করতে পারে এবং আপনার অর্শ্বরোগকে আরও সংবেদনশীল করে তুলতে পারে।

মশলাদার খাবার
যদিও ফাইবারের পরিমাণ কম নয়, মশলাদার খাবার pilse এর সাথে সম্পর্কিত ব্যথা এবং অস্বস্তি বাড়িয়ে তুলতে পারে।

ক্যাফিনযুক্ত পানীয়
এই পানীয়গুলি, বিশেষ করে কফি, আপনার মল শক্ত করে তুলতে পারে এবং টয়লেট ব্যবহার করা আরও বেদনাদায়ক করে তুলতে পারে।

দুগ্ধজাত দ্রব্য
দুগ্ধজাত দ্রব্যে ফাইবার থাকে না, যা নরম মল এবং নিয়মিত মলত্যাগের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ফাইবারের অভাবের কারণে, দুগ্ধজাত দ্রব্য মলত্যাগকে আরও কঠিন এবং কঠিন করে তুলতে পারে, যা অর্শ এবং মলদ্বারে ফাটলের অবনতির একটি মূল কারণ।

✍️নুসরাত পারভীন
ফুড এন্ড নিউট্রিশন

Address

Manchester

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Nusrat Jahan - Registered Nutritionist UK and Clinical Dietitian BD posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Nusrat Jahan - Registered Nutritionist UK and Clinical Dietitian BD:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category