শিশু স্বাস্থ্য - Child Health By Dr Sambhunath Das

  • Home
  • India
  • Arambagh
  • শিশু স্বাস্থ্য - Child Health By Dr Sambhunath Das

শিশু স্বাস্থ্য - Child Health By Dr Sambhunath Das MBBS,MD
Ex-Senior Resident Doctor
Kolkata Medical College
Specialist Medical Officer

প্যারাসিটামল হল জ্বরের প্রধান ও সব থেকে নিরাপদ ওষুধ।  যে কোন জ্বরের ক্ষেত্রেই আমরা প্যারাসিটামলই দিয়ে থাকি। কিন্তু কিছু...
05/02/2024

প্যারাসিটামল হল জ্বরের প্রধান ও সব থেকে নিরাপদ ওষুধ। যে কোন জ্বরের ক্ষেত্রেই আমরা প্যারাসিটামলই দিয়ে থাকি। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় ওষুধ দেওয়ার পরও জ্বর কমছে না। সে ক্ষেত্রে কি করণীয়ঃ

১) সবথেকে প্রথমে দেখুন যে প্যারাসিটামল সঠিক পরিমাপে দিচ্ছেন কিনা। বাচ্চাদের সব ওষুধই বাচ্চার ওজন অনুযায়ী হিসাব করে দেওয়া হয়। তাই সঠিক ডোজ হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, নাহলে জ্বর কমবে না।

২) সব সময় থার্মোমিটার ব্যবহার করুন। হাত দিয়ে মাপলে জ্বর কমছে কি কমছে না, বা কতটা কমলো বুঝতে পারবেন না। ওষুধ দেওয়ার আগে তাপমাত্রা মেপে রাখুন এবং ওষুধ দেওয়ার পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। তারপর আবার মাপুন। ধরা যাক প্রথমে তাপমাত্রা ছিল ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট, পরে দেখা গেল ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। হয়তো পুরোটা কমেনি কিন্তু জ্বর অনেকটাই নেমেছে এবং তার সাথে যদি বাচ্চার জ্বরের জন্য অস্বস্তি ভাব বা ঘ্যানঘ্যানে ভাব কমে আসে তাহলে ধরে নিতে হবে প্যারাসিটামলের কাজ সার্থক হয়েছে। পুরোটা নামেনি কেন সেজন্য ছটফট করবেন না।

৩)ধরুন সেরকম ভাবে জ্বর কমেনি। তাহলে আর প্যারাসিটামল দেবেন না (চার থেকে ছয় ঘন্টার মধ্যে)। যেকোন ওষুধেরই ওভারডোস এর খারাপ প্রভাব আছে। জলপট্টি করুন। এবং জলপট্টি করার জন্য নরমাল তাপমাত্রার জল ব্যবহার করুন, ঠান্ডা জল বা বরফ জল নয়। আর জলপট্টি শুধু কপালেই নয়, গলা,বগল, কুঁচকি এইসব জায়গা গুলি মোছান ভালো ভাবে। জ্বরের সময় আলগা জামা কাপড় পরান, মোটা জামা কাপড় চাপাচুপি দিলে জ্বর কমবে না।

৪)মনে রাখবেন জ্বর কোন রোগ নয়।রোগটা অন্য কিছু,জ্বর তার উপসর্গ মাত্র। তাই রোগ নির্ণয়ের চেষ্টা এবং রোগের চিকিৎসা সমান্তরাল ভাবে না করলে জ্বর কমবে না।

৫)অনেকেই জ্বরের জন্য আইবুপ্রফেন এবং প্যারাসিটামলের কম্বিনেশন ওষুধ দিয়ে থাকেন। কিন্তু মনে রাখবেন আইবুপ্রফেনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক বেশি (গ্যাস্ট্রাইটিস, কিডনির উপর খারাপ প্রভাব, রক্তক্ষরণের ঝুঁকি)। তাই খুব প্রয়োজন ছাড়া এবং ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত এই ওষুধ দেবেন না। এই ওষুধ কিছু কিছু জ্বরের ক্ষেত্রে (যেমন ডেঙ্গি) খুব খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। আর "১০০ এর বেশি জ্বর হলে শুধু প্যারাসিটামল, ১০২ এর বেশি জ্বর হলে আইবুপ্রফেন" এরকম কোথাও কোন গাইডলাইন নেই।

©Sambhunath Das.


বাচ্চাদের পায়খানা নিয়ে মায়েদের অভিযোগ তো লেগেই থাকে। 'ডাক্তারবাবু বাচ্চার পায়খানাটা কেমন ছানাকাটা ছানাকাটা হচ্ছে' বা...
02/02/2024

বাচ্চাদের পায়খানা নিয়ে মায়েদের অভিযোগ তো লেগেই থাকে। 'ডাক্তারবাবু বাচ্চার পায়খানাটা কেমন ছানাকাটা ছানাকাটা হচ্ছে' বা 'সবুজ সবুজ পটি করছে' অথবা 'কাদা কাদা মতো' নয়তো 'ডাক্তারবাবু বাচ্চার পটিতে খুব টকটক গন্ধ' এরকম আরো অনেক বৈচিত্র্যপূর্ণ বিবরণ প্রতিদিন শুনে থাকি। তারপর বাচ্চা যদি দুবারের জায়গায় তিনবার পটি করে তাহলে মায়ের কপালে চিন্তার ভাঁজ। চিন্তা না করে বাচ্চা পাতলা পটি করলে কি করবেন আর কি করবেন না ভালো করে জেনে রাখুন-
বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা হল প্রধানত ভাইরাস ঘটিত এবং প্রধান যে ভাইরাসটি পাতলা পায়খানা করে থাকে তা হল রোটা ভাইরাস। এছাড়াও আরো অনেক ভাইরাস আছে, তারপর আছে ব্যাকটেরিয়া এবং পরজীবী।

মনে রাখবেন পাতলা পায়খানার প্রধান চিকিৎসা হল জল শূন্যতা রোধ করা, পায়খানা একবারে বন্ধ করে দেওয়া নয়। মা যতই চায় না কেন যে আজই পায়খানাটা যাতে বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু আমরা ভাবি অন্যরকম ভাবে। জানি পায়খানা ঠিক বন্ধ হয়ে যাবে, কিন্তু যাতে শরীরে অত্যাধিক পায়খানার কারণে জল শূন্যতা না হয়, প্রধানত সেই দিকটা নজর রাখা।

জলশূন্যতা বোঝার উপায় হল পেচ্ছাব কমে যায়, চোখ ভিতরে ঢুকে যায়, জিভ শুকিয়ে যায়, বারবার তেষ্টা পাওয়া অথবা একদম ঝিমিয়ে পড়া এবং হৃদস্পন্দন দ্রুতগতি হয়ে যাওয়া।

এই জলশূন্যতা যাতে না হয় তার জন্য আমরা বলি ওআরএস খাওয়াতে। এই ওআরএস একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার। শুধুমাত্র ওআরএস খাইয়েই বেশিরভাগ পাতলা পায়খানা কে চিকিৎসা করা সম্ভব।

সব সময় প্যাকেটের গুঁড়ো ওআরএস এক লিটার জলে পুরোটা মিশিয়ে দেবেন। অনেক মা যেরকম করে থাকেন একটু জল নিয়ে তার সাথে একটু ওআরএস মিশিয়ে দিয়ে গুলে খাইয়ে দেন। কিন্তু এতে লাভ তো হয়ই না বরঞ্চ ক্ষতিও হতে পারে। একদম ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ২০০ এমএল জলে গোলার জন্য ছোট প্যাকেট পাওয়া যায়। আর একবার গুলে ফেললে আপনি ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত রাখতে পারেন। বাজারে অনেক লিকুইড ওআরএস বলে বিক্রি হয়, তার মধ্যে অনেক আছে যেগুলো ওআরএসের কম্পোজিশন মতো থাকেনা সুতরাং সেসব না খাওয়ানোই ভালো।

এছাড়া বাচ্চাদের পাতলা পায়খানায় আরেকটি ওষুধ আমরা দিয়ে থাকি যা হলো জিংক সিরাপ।

অনেক মা বাবাই যেটা করে থাকেন বাচ্চার পাতলা পায়খানা হচ্ছে দেখে ওষুধ দোকান থেকে একটা কম্বিনেশন অ্যান্টিবায়োটিক এনে দু'ডোজ খাইয়ে দেন। কিন্তু প্রথমেই যেরকম বললাম বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার প্রধান কারণ হলো ভাইরাস। তাই সব সময় এরকম এন্টিবায়োটিক দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই, কারণ এন্টিবায়োটিক শুধু ব্যাকটেরিয়া ও পরজীবীর উপরেই কাজ করে ভাইরাসের উপর নয়।

পায়খানার সাথে যদি বমিও হয় তাহলে সমস্যাটা একটু বেড়ে যায়। কারণ তখন ওআরএস ঠিকমতো খাওয়ানো যায় না। তাই তখন বমির ওষুধ দিন। বমি কমলে ওআরএস খাওয়ান। যদি বমি না কমে বা বাচ্চার মধ্যে জল শূন্যতার লক্ষণ গুলি দেখা যায় এবং বাচ্চা ঝিমিয়ে পড়ছে তাহলে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করুন স্যালাইন দেওয়ার প্রয়োজন আছে।

©Dr Sambhunath Das


--  ডাক্তারবাবু একটা ভালো ভিটামিন লিখে দিন।--  কেন?--  বাচ্চাকে খাওয়াবো।--  ভিটামিন খাওয়াবেন কেন?--  না মানে যাতে একটু...
31/01/2024

-- ডাক্তারবাবু একটা ভালো ভিটামিন লিখে দিন।
-- কেন?
-- বাচ্চাকে খাওয়াবো।
-- ভিটামিন খাওয়াবেন কেন?
-- না মানে যাতে একটু মোটাসোটা হয়।

এরকম কথোপকথন প্রায়ই দিন হয়ে থাকে। অনেক মানুষকেই এটা বলে বোঝানো যায় না যে মোটাসোটা মানেই সুস্থ এরকম নয় আর সুস্থ থাকার জন্য ভিটামিন খাওয়াতে হয় না, প্রয়োজন হয় সুষম খাবারের। ভিটামিন কখনও সুষম খাবারের বিকল্প হতে পারে না। তাই কোন্ ভিটামিন ভালো তার পিছনে না দৌড়ে সেই পয়সা দিয়ে ভালো খাবার খাওয়ান।
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা বাচ্চাদের ভিটামিন এবং সাপ্লিমেণ্ট সিরাপ দিয়ে থাকি। যেমন জন্মের পর থেকে এক বছর বয়স পর্যন্ত সব বাচ্চাকে ভিটামিন ডি খাওয়াতে বলা হয়, বাচ্চা প্রিম্যাচিওর হলে ভিটামিন ডি এর সাথে ক্যালসিয়াম, আয়রন ইত্যাদি এবং কোনো ভিটামিনের অভাবজনিত উপসর্গ দেখা দিলে সেই ভিটামিন সংযুক্ত সিরাপ দেওয়া হয়।

©Dr Sambhunath Das

আপনারা অনেকেই সদ্যোজাত বাচ্চার জন্ডিস হলে প্রশ্ন করে থাকেন ভয়ের কিছু আছে কিনা, কি করলে কমবে, কত দিন লাগবে,কি ওষুধখাওয়া...
30/01/2024

আপনারা অনেকেই সদ্যোজাত বাচ্চার জন্ডিস হলে প্রশ্ন করে থাকেন ভয়ের কিছু আছে কিনা, কি করলে কমবে, কত দিন লাগবে,কি ওষুধ
খাওয়াতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। তাই একটা সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়ার চেষ্টা করলাম।

কেন এই জন্ডিস হয়?
প্রায় 70-80% সদ্যোজাত বাচ্চারই জন্ডিস দেখা যায়, কারো কম কারো বেশি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যে জন্ডিস দেখা যায় তা হল ফিজিওলজিক্যাল মানে সেটা কোন রোগ নয়। খুব তাড়াতাড়ি লোহিত রক্তকণিকা ভেঙ্গে যাওয়া এবং লিভারের অপরিণততার জন্য। সাধারণত বাচ্চার জন্মের দু থেকে তিন দিনের মাথায় জন্ডিস দেখা যায় এবং তা পাঁচ থেকে ছয় দিনের মধ্যে আস্তে আস্তে কমে আসে।

কিভাবে বুঝব জন্ডিস হয়েছে?
জন্ডিস হলে বাচ্চার চোখ মুখ প্রথমে হলুদ হতে দেখা যায়। জন্ডিস যত বাড়তে থাকে সেই মাত্রায় উপর থেকে নিচের দিক মানে বুক পেট তারপর হাত পা হলুদ হতে থাকে। আর বাচ্চার হাতের তালু এবং পায়ের পাতা হলুদ মানে সিরিয়াস জন্ডিস। প্রথম ২৪ ঘন্টার মধ্যেও যদি জন্ডিস দেখা যায় তাহলে ধরে নিতে হবে সেটি সিরিয়াস জন্ডিস।

কোন বাচ্চাদের জন্ডিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি?
বাচ্চা যদি প্রিম্যাচিউর হয়, মায়ের রক্তের গ্রুপ যদি নেগেটিভ হয়, বা মায়ের রক্তের ব্লাড গ্রুপ যদি O পজিটিভ হয়, বাচ্চা যদি ভালো করে দুধ না খায় বা অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চার মাথায় একটা উঁচু মত রক্ত জমাট বাঁধা থাকে চামড়ার তলায় (Cephal-hematoma) এরকম থাকলেও কিন্তু জন্ডিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

জন্ডিস দেখা দিলে কি করব?
আপনার যদি মনে হয় বাচ্চার জন্ডিস দেখা দিয়েছে তাহলে অবশ্যই একজন শিশু বিশেষজ্ঞ কে পরামর্শ করুন। তিনি দেখে বাচ্চার রক্ত পরীক্ষা করতে হবে কিনা তা উপদেশ দেবেন এবং সেই রক্ত পরীক্ষায় জন্ডিসের মাত্রা অনুযায়ী কি চিকিৎসা প্রয়োজন তা বলে দেবেন।

এই জন্ডিসের চিকিৎসা কি?
জন্ডিসের একটাই চিকিৎসা তা হলো ফটোথেরাপি বা নীল আলোর তলায় রাখা। যদিও জন্ডিস হলেই যে এই চিকিৎসা দিতে হবে এরকম নয়। একটা নির্দিষ্ট লেভেলের উপরে জন্ডিসের মাত্রা পৌঁছালে তখন সাধারণত লাগে। এছাড়াও খুব সিরিয়াস জন্ডিসের ক্ষেত্রে বাচ্চার রক্ত পরিবর্তনও করতে হয়। যদি ঠিক সময়ে রক্ত পরীক্ষা করে চিকিৎসা শুরু করা না হয় তাহলে এই জন্ডিস মাথায় অব্দি পৌঁছে যেতে পারে এবং সে ক্ষেত্রে ব্রেন ড্যামেজ এর সম্ভাবনা থাকে। তাই কখনোই জন্ডিসকে উপেক্ষা করবেন না।

কিছু ভুল ধারণাঃ
যেমন বাচ্চাকে রোদে রাখলে অনেকে মনে করেন যে জন্ডিস সেরে যাবে। কিন্তু মনে রাখবেন চিকিৎসার জন্য যে নীল আলো দেওয়া হয় তার তরঙ্গ দৈর্ঘ্য আলাদা হয়। এবং সূর্যের আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য আলাদা। তাই সূর্যের আলোতে এই জন্ডিস কমে না।আবার দেখি অনেক মায়েরা কোথা থেকে কিছু লিভার টনিক নিয়ে এসে দেখান।কিন্তু মনে রাখবেন এই জন্ডিসে লিভার টনিক দিয়ে কোন লাভ নেই।

©Sambhunath Das

  1      ঘুমাতে তো আমরা কমবেশি সবাই ভালোবাসি। ঘুম যেমন সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে দেয়, সেই সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম পরে...
02/05/2023

1
ঘুমাতে তো আমরা কমবেশি সবাই ভালোবাসি। ঘুম যেমন সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে দেয়, সেই সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম পরের দিনের জন্য শরীরকে রিচার্জও করে রাখে। যদি একজন মানুষ 75 বছর বাঁচে তাহলে সে প্রায় তার জীবনের 26 বছর শুধুমাত্র ঘুমিয়েই কাটায়। হ্যাঁ, ঘুম এতটাই গুরুত্বপূর্ণ অংশ জীবনের।
বাচ্চা যখন একদম ছোট থাকে, জন্মের পরপর, তখন সে দিনের বেশিরভাগ অংশ ঘুমিয়েই কাটায়।তারপর বড় হওয়ার সাথে সাথে ঘুমের পরিমাণ কমতে থাকে।
জন্মের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বয়স অনুযায়ী কতক্ষণ ঘুমের প্রয়োজন তা হল :
0-3 মাস : 14-17 ঘণ্টা,
4-11 মাস : 12-15 ঘণ্টা,
1-2 বছর : 11-14 ঘণ্টা,
3-5 বছর : 10-13 ঘণ্টা,
6-13 বছর : 9-11 ঘণ্টা,
14-17 বছর : 8-10 ঘণ্টা।

● পর্যাপ্ত পরিমাণ না ঘুমালে কী ক্ষতি?
বাচ্চা অনেক বেশি ঘ্যানঘ্যানে হবে, দিনের বেলায় ঘুমাবে, পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারবে না, মেজাজি হবে এবং পরবর্তী কালে আরও অনেক ব্যবহারজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

● কী করলে বাচ্চা ভালো ঘুমাবে ?
1) একটা অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে যেখানে বাচ্চা প্রতিদিন একই সময়ে বিছানায় শোবে।
2) আরামদায়ক বিছানা, শান্ত পরিবেশ ও মৃদু আলো।
3) বিছানায় শোবার অন্তত একঘণ্টা আগে থেকে টিভি, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন এসব ব্যবহার বন্ধ করা
4) বিছানায় কোন মোবাইল বা অন্য কোনও ইলেকট্রনিক গ্যাজেট না রাখা
5) ঘুমানোর আগে চকোলেট, কফি এসব না খাওয়া
6) বেডটাইম স্টোরি।

■ Safe Sleeping কী?

Safe sleeping হল বাচ্চার ঘুমের বিষয়ে কিছু নিয়ম অনুসরণ করা যাতে বাচ্চা সুস্থ ও নিরাপদ থাকে। দেখা গেছে যে এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে SUDI এর ঝুঁকি অনেক কম থাকে। ( SUDI হল Sudden Unexplained Death in Infancy, যেখানে একটি বাচ্চা যে আপাতভাবে একদম সুস্থ, হঠাত করেই মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়, কোনও কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।)
নিয়মগুলি হল :
1) বাচ্চাকে সবসময় সোজাভাবেই শোয়ান, (পিঠের উপর), কখনও পাশে কেউ না থাকা অবস্থায় উল্টো করে শোয়াবেন না।
2) প্রথম 6-12 মাস বাচ্চাকে সবসময় বাবা-মায়ের সাথে একই রুমে রাখা উচিত, কিন্তু একই বেড এ নয়। বাচ্চার জন্য সবসময় একটা আলাদা বিছানা বা কট থাকা উচিত।
3) বাচ্চার বিছানা যাতে খুব গদি না হয়, একটু firm থাকবে আর বেডশীট যাতে টাইট করে ফিট করা থাকে।
4) বাচ্চাকে ঢেকে রাখার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখুন যাতে মুখ/মাথা ঢাকা না পড়ে যায়
5) বাচ্চার বিছানায় কোন নরম বালিশ বা তুলো ভর্তি কোন খেলনা/পুতুল বা ব্ল্যাঙ্কেট রাখবেন না।
6) বেডরুমে কখনো ধূমপান করবেন না।

©Sambhunath Das

I have reached 300 followers! Thank you for your continued support. I could not have done it without each of you. 🙏🤗🎉
25/04/2023

I have reached 300 followers! Thank you for your continued support. I could not have done it without each of you. 🙏🤗🎉

19/02/2023

PICA (পাইকা) হল এমন একটি সমস্যা যখন একজন মানুষ মাটি, ময়লা, চক, বরফ বা কাগজের মতো পদার্থ খায়। এই সমস্যাটি সাধারণত ছোট বাচ্চাদের মধ্যে দেখা যায়, যদিও এটি যেকোনো বয়সের ব্যক্তিদের মধ্যে ঘটতে পারে।
পাইকা'র কারণটি এখনও ভালভাবে জানা নাই, তবে এটি অপুষ্টি, রক্তাল্পতা বা অন্যান্য পুষ্টির ঘাটতির সাথে সম্পর্কিত বলে মনে করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে, পাইকা একটি অন্তর্নিহিত মনস্তাত্ত্বিক বা বিকাশজনিত ব্যাধির লক্ষণও হতে পারে।
আপনি যদি সন্দেহ করেন যে আপনার সন্তানের পাইকা আছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসার সাহায্য নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। অ-খাদ্য পদার্থ খাওয়া ক্ষতিকারক হতে পারে এবং গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে, যেমন সীসার বিষক্রিয়া, অন্ত্রে বাধা বা সংক্রমণ।
এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে পাইকা একটি জটিল অবস্থা যার জন্য একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ মূল্যায়ন এবং চিকিত্সার জন্য একটি ব্যক্তিগত পদ্ধতির প্রয়োজন। আপনার ডাক্তার আপনাকে সর্বোত্তম পদক্ষেপ নির্ধারণ করতে সাহায্য করতে পারে।

 #দুয়ারে_ডাক্তার মেডিক্যাল ক্যাম্প- Day 2আনুড়, গোঘাট ২
18/02/2023

#দুয়ারে_ডাক্তার মেডিক্যাল ক্যাম্প- Day 2

আনুড়, গোঘাট ২

'দুয়ারে ডাক্তার' - মেডিকেল কলেজ থেকে, গোঘাট হুগলিতে।
16/02/2023

'দুয়ারে ডাক্তার' - মেডিকেল কলেজ থেকে, গোঘাট হুগলিতে।

আউটডোরে প্রায়ই এরকম প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় - "ডাক্তারবাবু, আমার বাচ্চার বয়স এত মাস আর ওজন এত কেজি, এটা কি ঠিক আছে?"...
05/02/2023

আউটডোরে প্রায়ই এরকম প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় - "ডাক্তারবাবু, আমার বাচ্চার বয়স এত মাস আর ওজন এত কেজি, এটা কি ঠিক আছে?"
◇ এরকম প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য একটি বাচ্চা জন্ম থেকে সাধারণত কিরকম ভাবে বাড়ে তা জানা জরুরী। আজকে এই নিয়েই আমি একটু সহজ ভাবে একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।
◇ মানুষের বৃদ্ধি কিছু নিয়ম মেনে চলে যেমন গর্ভাবস্থায় বাচ্চা প্রথমদিকে তাড়াতাড়ি বাড়ে আবার পরের দিকে একটু ধীরে ধীরে বাড়ে। সে রকমই বাচ্চা জন্মানোর পর প্রথম কয়েক মাস খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি হয় কিন্তু আস্তে আস্তে বৃদ্ধির হার কমে যায়। আবার যখন বয়ঃসন্ধি কাল আসে তখন আবার তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি হয়। আর প্রত্যেক বাচ্চার বৃদ্ধির ধরন কিন্তু তার জন্য unique , পাশের বাড়ির বাচ্চার সাথে নাও মিলতে পারে।
◇ আমাদের দেশে একটি বাচ্চার গড় জন্মের ওজন হল আড়াই থেকে তিন কেজি। জন্মের পর থেকেই কিন্তু ওজন বাড়তে শুরু করে না। বরঞ্চ বাচ্চা জন্মানোর প্রথম এক সপ্তাহ ওজন কমতে থাকে এবং সর্বাধিক ১০% পর্যন্ত কমতে পারে। হ্যাঁ, এটাই স্বাভাবিক। ওজন কমে গেছে বলে ভয় পাবেন না।জন্মের ওজন আবার ১০ থেকে ১৪ দিনের মাথায় ফিরে পাবে। বাচ্চা যদি প্রিম্যাচিওর হয় মানে ৩৭ সপ্তাহের আগে জন্মায় সে ক্ষেত্রে ওজন হ্রাস ১৫% অব্দি হতে পারে এবং জন্মের ওজন ফিরে পেতেও একটু বেশি সময় লাগে।
◇ তারপর বাচ্চা প্রথম তিন মাস প্রতিদিন গড়ে ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম করে বাড়তে থাকে । তিন থেকে ছয় মাস বয়সে গড়ে 20 গ্রাম করে বাড়ে প্রতিদিন। এরকম ভাবে বাচ্চার ওজন পাঁচ মাস বয়সে মোটামুটি ভাবে তার জন্মের ওজনের দ্বিগুণ হয়ে যায়। ছয় মাসের পর থেকে ওজন বৃদ্ধির হার কিছুটা কমে যায়। ছয় থেকে বারো মাস, এই সময় প্রতি মাসে গড়ে ৫০০ গ্রাম করে ওজন বাড়ে এবং এক বছর বয়সে বাচ্চার ওজন তার জন্মের ওজনের তিনগুণ হয়ে যায়। প্রথম বছরের পর বৃদ্ধির হার আরো কমে আসে। এই সময় এক থেকে তিন বছর বয়সে প্রতিবছর ২ থেকে ৩ কেজি করে বাড়ে, বাচ্চার ওজন তার জন্মের ওজনের ৪ গুণ পৌঁছাতে দুই থেকে আড়াই বছর সময় লেগে যায়।
◇ দৈর্ঘ্য বা উচ্চতার কথা যদি বলেন : জন্মের সময় মোটামুটি ভাবে বাচ্চার দৈর্ঘ্য থাকে পঞ্চাশ সেন্টিমিটার। তিন মাসের শেষে ৬০ , ছয় মাসে ৬৫, এবং ১ বছরের শেষে ৭৫ সেন্টিমিটার মানে জন্মের দৈর্ঘ্যের দেড়গুণ হয়। দু বছরের শেষে ৯০ সেন্টিমিটার এবং ৪ বছরে জন্মের দৈর্ঘ্যের দ্বিগুণ মানে ১০০ সেন্টিমিটারে পৌঁছায়। তারপর থেকে প্রতি বছর মোটামুটি পাঁচ সেন্টিমিটার করে বাড়তে থাকে।
◇ মস্তিষ্কের বৃদ্ধি ও খুব গুরুত্বপূর্ণ বিশেষত প্রথম দুই বছরে কারণ এই প্রথম দুই বছরই মানুষের মস্তিষ্কের বৃদ্ধির প্রায় ৯০% সম্পূর্ণ হয়ে যায়।
◇ সময়ের আগে যেসব বাচ্চারা জন্মগ্রহণ করে স্বভাবতই তারা একটু পিছিয়ে থাকে। তাই সেইসব বাচ্চাদের জন্য তারা যত সপ্তাহ আগে জন্মগ্রহণ করেছে তা তাদের বর্তমান বয়স থেকে বিয়োগ করে সব সময় হিসাব করা হয়। প্রথম দুই বছর বয়সে এরকমই করা উচিত।
◇ উপরের যে এত কিছু হিসাব পত্র দিলাম তা আপনার বাচ্চার সাথে যে অক্ষরে অক্ষরে মিলবে তা নাও হতে পারে। কারণ আগেই বলেছি প্রত্যেক বাচ্চার বৃদ্ধির ধরন তার জন্য unique। তবে অবশ্যই তা গ্রহণযোগ্য সীমার মধ্যে থাকবে। তাই আমরা গ্রোথ চার্ট এর ব্যবহার করে থাকি। এই চার্টে একবার ওজন উচ্চতা প্লট করার চেয়ে serially করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তাতে আপনার বাচ্চা তার গ্রোথ লাইন বরাবর যাচ্ছে কিনা এবং কখনো যদি তার লাইন থেকে নিচের দিকে নেমে যেতে থাকে তাহলে কোন সমস্যা অনেক আগেই ধরে ফেলা যায়। (গ্রোথ চার্ট গুগলে পেয়ে যাবেন । তাছাড়া এখন অনেক অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ও আছে বাচ্চার গ্রোথ ট্র্যাক করার জন্য।)

© Sambhunath Das

বিগত কয়েক দশকে মানুষ সব ক্ষেত্রেই অনেক উন্নতি করেছে। তাতে যেমন মানুষের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন এসেছে, বদল হয়েছে খাদ্...
28/12/2022

বিগত কয়েক দশকে মানুষ সব ক্ষেত্রেই অনেক উন্নতি করেছে। তাতে যেমন মানুষের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন এসেছে, বদল হয়েছে খাদ্যাভ্যাসও। এখন মানুষের হাতে সময় অনেক কম। তাই খাবার বানিয়ে খাওয়ার থেকে বিভিন্ন ধরনের প্যাকেটজাত প্রসেসড খাবার আমরা সহজেই বেছে নিচ্ছি। রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে দু'পা ছাড়া ছাড়া ঝাঁ চকচকে দোকানের ভেতরে দেখা যাচ্ছে থরে থরে সাজানো প্লাস্টিকে মোড়া নানা ধরনের খাবার। টাকা দিলেই মিলছে হাতেনাতে গরমা গরম। স্বাদেও বেশ মুখরোচক।
তাছাড়াও আজকালকার দিনে দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ ফ্যামিলিতে বাবা-মা দুজনেই ওয়ার্কিং। সুতরাং বাচ্চার জন্য খাবারের অপশনেও এসেছে নতুনত্ব। অন্তত আমরা ছোটবেলায় যেসব খাবার খেয়ে বড় হয়েছি তার থেকে তো অনেকটাই আলাদা। চলুন দেখে নেওয়া যাক আমরা এখন কি খাচ্ছি, বাচ্চাদেরই বা কি খাওয়াচ্ছি, কতটা স্বাস্থ্যসম্মত সেসব খাবার।
■ জাঙ্ক ফুড কী? এর ক্ষতিই বা কী?
যেসব খাবারে ফ্যাট, সুগার বা লবণের পরিমাণ অনেক বেশি পরিমাণে থাকে এবং পুষ্টিগতভাবে অসম্পূর্ণ ও অনুপযুক্ত, তাকেই সাধারণভাবে আমরা জাঙ্ক ফুড বলে থাকি। বেশিরভাগ প্রসেসড ফুড যেখানে অত্যাধিক পরিমাণে মেশানো থাকে ফ্লেভার, কালার বা অন্য কোন অ্যাডিটিভ তা জাঙ্ক ফুডের মধ্যে পড়ে। ক্যালরির দিক থেকে দেখতে গেলে এসব খাবার সবসময়ই ক্যালরিতে ভরপুর। কিন্তু পুষ্টিগতভাবে এগুলি অসম্পূর্ণ এবং অনুপযুক্ত ও স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাই খাবার খাওয়ার সাথে সাথে ওজন বাড়তে থাকবে এবং নিঃশব্দে বাড়তে থাকবে অনেক রোগের ঝুঁকি যেমন ওবেসিটি,ডায়াবেটিস,হার্টের রোগ,উচ্চ রক্তচাপ,কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি ইত্যাদি। খাবারে মেশানো অ্যাডিটিভ অনেক সময় ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। অনেক সময় আপনি যেটা কিনে খাচ্ছেন, জানেনও না সেটা কতদিন আগে তৈরি, ফলে ব্যাকটেরিয়া কনটামিনেশন হয়ে থাকলে ডায়রিয়া, টাইফয়েড, হেপাটাইটিস ইত্যাদি রোগের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। নিয়মিত ক্যাফেইন যুক্ত ড্রিঙ্কস ঘুমের সমস্যা ডেকে আনে।
■আজকালকার দিনে ব্রেকফাস্টে ব্রেড এর চল অনেক বেশি দেখা যায়। প্যাকেট থেকে বের করে সেঁকে খেয়ে নিলাম। কিন্তু পুষ্টিগতভাবে দেখলে দেখা যায় ব্রেড এ থাকে অনেক বেশি পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট এবং ক্যালরি কিন্তু খুব কম প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেল এবং অত্যাবশ্যক নিউট্রিয়েন্টস। তাই ব্রেড খাওয়ার থেকে বাড়িতে বানানো রুটি খাওয়া অনেক বেশি স্বাস্থ্যসম্মত।
■ বাড়িতে যদি আমি ফাস্টফুড বানিয়ে খাই তাহলে কি কোন ক্ষতি আছে? তখনও কি এটাকে জাঙ্ক ফুড বলা হবে?
আপনি যদি ফাস্টফুড যেমন পিজ্জা বার্গার এসব বলেন যে বাড়িতে বানিয়ে খাবো তাহলে হ্যাঁ সেটা বাজার থেকে কেনা খাবারের থেকে অনেকাংশেই ভালো হবে। কারণ তাতে থাকছে না কোন প্রিজারভেটিভ, কোন আর্টিফিশিয়াল কালার, কোন টেস্ট বাড়ানোর কেমিক্যাল। যদি বাচ্চারা একান্তই বায়না করে তাহলে সপ্তাহে একদিন খাওয়ানো যেতেই পারে। তবে পরিমাণ অবশ্যই খুব বেশি হবে না। আর বাড়িতে বানানো খাবারকে আরও স্বাস্থ্যকর করে তুলতে কিছু জিনিস মাথায় রাখুন- যেমন সব সময়ই ফ্রেশ তেল ব্যবহার করা উচিত, আগের থেকে পোড়ানো কোন তেল নয়। কালার বা ফ্লেভার না দেওয়াই ভালো, চিনির ব্যবহার কম করুন, গুড় ব্যবহার করা যেতে পারে, লবণ খুব বেশি নয়। হাইজিন মেন্টেন করুন আর তৈরি করা খাবার পরে খাওয়ার জন্য তুলে না রেখে ফ্রেশ খাওয়াই ভালো।
■ ফ্রুট জুস এবং ড্রিংকস?
অনেক বাচ্চাই ফ্রুট জুস, নানা ধরনের ড্রিংকস খেতে খুব পছন্দ করে। কিন্তু প্যাকেজড ফ্রুট জুস বা ড্রিংকস কখনোই স্বাস্থ্যকর নয়। স্বাদ বাড়াতে এতে অনেক সময় বেশি পরিমাণে সুগার যুক্ত করা থাকে। ফ্রুট জুস থেকে সব সময় গোটা ফল খাওয়ানো অনেক বেশি ভালো। কারণ তাতে থাকছে অনেক বেশি পরিমাণে ফাইবার, বেশি নিউট্রিয়েন্টস। যদি বাচ্চা একান্তই জুস খেতে চাই, তাহলে ফ্রেশ ফল থেকে ফ্রেস জুস বানিয়ে খাওয়ান। তবে সেক্ষেত্রে কিভাবে তৈরি করা হচ্ছে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ হাইজিন খারাপ হলে মাইক্রোবিয়াল কনটামিনেশন এর অনেক ঝুঁকি থাকে, তাহলে হিতে বিপরীত হবে।
■ বাচ্চাদের খাবার বানাতে কোন তেল ব্যবহার করব?
ফ্যামিলিতে যে তেল ব্যবহার করা হয় সেটাই ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এটা জেনে রাখা দরকার যে কোন তেলই আইডিয়াল নয়। তাই কোন একটি পরিবারে বারবার এক প্রকার তেল ব্যবহার না করে বিভিন্ন ধরনের তেল ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করা উচিত। যেমন একবার সয়াবিন অয়েল, পরেরবার সান ফ্লাওয়ার, অলিভ অয়েল ইত্যাদি। আর একবার তেল কোন ভাজার কাজে ব্যবহার হওয়ার পরে সেই পোড়া তেল বারবার ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ তেল একবার পোড়ানো হলে তাতে ট্রান্স ফ্যাটের পরিমাণ বাড়তে থাকে যা অত্যন্ত ক্ষতিকারক শরীরের পক্ষে।
■ বাচ্চাকে কি চা বা কফি খাওয়াতে পারব?
পাঁচ বছরের নিচের বাচ্চাকে কোন চা বা কফি দেওয়া যাবে না। পাঁচ থেকে দশ বছর অব্দি প্রতিদিন হাফ কাপ (১০০ মিলি) দেওয়া যেতে পারে। 10 থেকে 18 বছর অব্দি প্রতিদিন এক কাপ(২০০ মিলি) দেওয়া যেতে পারে। তবে এটা খেয়াল রাখা দরকার যে ওই দিন বাচ্চা যাতে আর কোন ক্যাফিন যুক্ত খাবার না খায় (যেমন কোল্ড ড্রিংকস, চকলেট ইত্যাদি)।
■ তাহলে বাচ্চাকে খাওয়াবো কি?
খাওয়াবার অনেক অপশন আছে। যেমন ধরুন খিচুড়ি, বিভিন্ন ধরনের সবজি সিদ্ধ, ভাত, ডাল, আলু সেদ্ধ, রুটি, সুজি, ডালিয়া, বিভিন্ন ধরনের ফল, ডিম, মাছ, মাংস এবং বাড়িতে তৈরি ফ্রেশ যে কোন খাবার যাতে নুন ও চিনির পরিমাণ কম এবং প্রোটিন বেশি।

দমদমের ফ্ল্যাটে থাকাকালীন আমাদের পাশের ফ্ল্যাটেই একটি ফ্যামিলি থাকতো। ওই ফ্যামিলিতে একটি বাচ্চা জন্মগ্রহণ করে। অবশ্যই খু...
29/11/2022

দমদমের ফ্ল্যাটে থাকাকালীন আমাদের পাশের ফ্ল্যাটেই একটি ফ্যামিলি থাকতো। ওই ফ্যামিলিতে একটি বাচ্চা জন্মগ্রহণ করে। অবশ্যই খুশির খবর। কিন্তু এই খুশির আড়ালে অনেকসময় থাকে অনেকটা অজানা আর কিছু চিন্তাও (বিশেষত 'নতুন' মায়েদের ক্ষেত্রে)। আর এই চিন্তার ভাঁজ আরও ঘন হয় যখন বাচ্চা কাঁদতে শুরু করে এবং কোনভাবেই তাকে শান্ত করা যায় না। এরকম পরিস্থিতিতে নতুন মায়েদের বাচ্চার সাথে সাথে নিজেদেরও কাঁদো কাঁদো অবস্থা হয়।
রাত বারোটা। ঘুমিয়ে পড়েছি। কলিং বেল বাজছে। এত রাতে কে ডাকছে, বিরক্ত হয়ে দরজা খুললাম। একটু চলুন না, বাচ্চা কেঁদেই চলেছে, কি হয়েছে বুঝতে পারছি না। বললাম আসছি।
বাচ্চা হাত পা ছুড়ে কেঁদেই চলেছে। মা পাশে বসে, হতাশ ও ক্লান্ত। অনেক চেষ্টাই করা হয়েছে মনে হয় শান্ত করার। কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করলাম কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে করতে। এই যেমন কখন থেকে কাঁদছে, ফিড কেমন করছে, জ্বর আছে কিনা,পটি করেছে কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি। তারপর জিজ্ঞেস করলাম ডাইপারটা কখন পরিয়েছেন। বলল বিকালে। বললাম ডাইপার টা একবার খুলে দিন তো। ব্যাস, কান্না চুপ।এক মিনিটেই আমি হিরো হয়ে গেলাম।
Crying is the Language of Communication for the baby - অর্থাৎ কান্নাটাই ওর বোঝানোর ভাষা। বাচ্চাদের কান্নার প্রধান কারণ কি কি এবং কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন তা সব বাবা মায়েরই জেনে রাখা প্রয়োজন। আমি কিছু প্রধান কারণ গুলো নিয়ে এখানে আলোচনা করার চেষ্টা করলাম।

বাচ্চার কান্নার মূলত প্রধান কারণ গুলি হল:
1) বাচ্চার যখন খিদে পায় তখন কাঁদে,
2) আবার বাচ্চা যখন বেশি খেয়ে নেয় তখনও কাঁদতে পারে ।অবশ্যই প্রতিবার খাওয়ানোর পরে burping করুন (মানে ঢেকুর তোলান),
3) বাচ্চার ঘুম পেলেও অনেক সময় কাঁদে, শান্ত পরিবেশে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করুন,
4) অস্বস্তিকর পরিবেশ হলে বাচ্চা কাঁদে, যেমন ধরুন বাচ্চার হয়তো গরম লাগছে অথবা ঠান্ডা লাগছে। এসব দিকে খেয়াল করুন।
5) বাচ্চার ডাইপার হয়তো ভিজে আছে। একবার চেক করে নিন।
6) বাচ্চার কোথাও কোন ব্যথা হচ্ছে বা কোন ঘা হয়েছে কিনা খেয়াল করুন। মুখের ভেতর ঘা হয়েছে (ulcer/thrush) কিনা বা শরীরের কোথাও কোন লাল হয়েছে বা কোন ঘা হয়েছে কিনা, Diaper Rash হয়েছে কিনা।
7) ইনফ্যাণ্ট কলিক (Infant Colic) : এক্ষেত্রে প্রধানত এক মাস থেকে চার মাস বয়সের বাচ্চারা খুব জোরে জোরে কাঁদতে থাকে, বিশেষত সন্ধ্যার দিকে।অনেক সময় কাঁদতে কাঁদতে পা দুটো ভাঁজ করে পেটের কাছে নিয়ে আসে,দেখে মনে হবে যেন পেট ব্যথা করছে। তবে বাচ্চাকে দেখে অসুস্থ মনে হবে না। বাচ্চা ফিড ও ভালো করবে এবং কান্নার মাঝে চুপ করলে দেখবেন একদম নরমাল এবং হ্যাপি। বাচ্চাকে কোলে নিয়ে রকিং মোশন এ দোলাতে থাকলে অনেক সময় চুপ করে যায়। ইনফ্যাণ্ট কলিক কোন সিরিয়াস ব্যাপার নয়। (Infant Colic এর সংজ্ঞা অনুযায়ী বাচ্চা প্রতিদিন অন্তত তিন ঘন্টা এবং সপ্তাহে অন্তত তিন দিন কাঁদে)।
তবে অনেক সিরিয়াস রোগের একমাত্র উপসর্গ হতে পারে এই কান্না।যেমন যে কোন ইনফেকশন (মেনিনজাইটিস, হাড় ও জয়েন্টের ইনফেকশন, কানের ইনফেকশন, সেপসিস) বা পেটের নাড়ী জড়িয়ে যাওয়া (intussusception/malrotation/volvulus)।
সুতরাং কখন বুঝবেন কারণটা সিরিয়াস এবং ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন? যখন বাচ্চা কেঁদেই চলেছে এবং কোন ভাবেই শান্ত করা যাচ্ছে না, বাচ্চার জ্বর আছে, বাচ্চা ভালো খাচ্ছে না অথবা বাচ্চার activity কমে গেছে বা বাচ্চা ঝিমিয়ে পড়ছে, বাচ্চার পায়খানার সাথে রক্ত আসছে ইত্যাদি ইত্যাদি।

তারপর যখনই আমার রুম থেকে শুনতে পেতাম বাচ্চাটা কাঁদছে, ভাবতাম এই আবার ডাকে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতাম, দেখতাম চুপ করে গেছে। বুঝলাম মা অনেক এক্সপার্ট হয়েছে। আমার আর চিন্তা নেই।

©Sambhunath Das

(শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন)

Address

Arambagh
712601

Telephone

+917908374294

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when শিশু স্বাস্থ্য - Child Health By Dr Sambhunath Das posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to শিশু স্বাস্থ্য - Child Health By Dr Sambhunath Das:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category