30/04/2023
আমি যখন ক্লাস নাইনে পড়ি তখন আমার এক সহপাঠী ক্লাসের সবার সাথে একটি আলোচনা শুরু করলো । ওই সময় ক্লাসে কোনো শিক্ষক ছিল না । একটি বিষয়ের ক্লাস শেষ হলে অন্য বিষয়ের শিক্ষক আসতে যে গ্যাপ থাকে সেই সময় । একটি ছেলে আমাকে জিজ্ঞেস করলো, "আচ্ছা, দোকানদাররা সকালবেলা দোকান খুলে ধুপ কাঠি, জল, বাতাসা দিয়ে ভগবানের কাছে কেনো পুজো করে ?" স্বাভাবিকভাবেই আমি উত্তর দিলাম, "যাতে তাদের বেশি খরিদ্দার হয়, যাতে তাদের বেশি বেচা কেনা হয় ।" তৎক্ষণাৎ ছেলেটি আমাকে জিজ্ঞেস করলো, "তাহলে ডাক্তাররা সকালবেলা ক্লিনিক খুলে ধুপ কাঠি জ্বালিয়ে ভগবানের কাছে কি প্রথনা করে ? " আমি তৎক্ষণাৎ উত্তর দিয়ে ফেললাম, "যাতে তাদের বেশি রুগী হয় ।" সে তখন ক্লাসের সবাইকে বললো, "দেখেছো, ডাক্তাররা সকালবেলা দোকান খুলে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করে যাতে তাদের বেশি রুগী হয়, তারমানে ডাক্তাররা চায় যে সমাজের লোকেদের যেনো বেশি করে রোগ হয় যাতে তাদের বেশি ইনকাম হয়, তারমানে ডাক্তাররা হলো সবথেকে খারাপ, তারা আশুভোকাঙ্ক্ষী ।" সাথে সাথে ক্লাসের সবাই তার উত্তরে হাততালি দিলো, তার যুক্তিকে সমর্থন করলো । আমি একটু বিব্রত হয়ে পরলাম । আসলে আমাকে জিজ্ঞেস করার পিছনে কারণ ছিলো । আমি পড়াশুনো য় খুব ভালো ছিলাম তাই ক্লাসের অন্য ছাত্র ছাত্রীরা ভাবতো যে আমার বাবা আমাকে ডাক্তার বানাবে আর আমি ডাক্তার হলে অনেক টাকা আয় করবো । কিন্তু তারা জানতো না যে ডাক্তার হওয়ার কোনো ইচ্ছেই আমার ছিলো না । আমি তো সরকারি চাকরি করার ইচ্ছে রাখতাম । আর শেষ পর্যন্ত সরকারি চাকরি পেয়ে এসি র মধ্যে বসে বসে অফিসিয়াল কাজ করে আসছি । আমি খুশি যে আমাকে প্রতিদিন কোনো মুরগি বা খাসী কাটতে হয় নি । মুরগী এবং খাসীর অপারেশন করার সময় আমার হাত রক্তে রঞ্জিত হয় নি । আমি তো সারাজীবন ভারতের সমগ্র লোককে, একশো বিয়াল্লিশ কোটি লোককে আমার ধোনের একটি বালের সমান মনে করেছি । শুধু 142 কোটি লোক নয় আমি 800 কোটি লোককে আমার ধোনের একটি বালের সমান ভাবী । লোকে চায় তাদের যখন কোনো রোগ হবে তখন তারা কাউকে ডাক্তারি পড়ানো শুরু করবে । তারা যখন সুখে থাকবে তখন ডাক্তার, হসপিটালের কোনো প্রয়োজন নেই । তারা যখন সুখে থাকবে তখন তারা সরকারের কাছে আর্জি জানাবে যে ডাক্তারদের কোনো বেতন দেওয়ার প্রয়োজন নেই কারণ তখন তাদের কোনো রোগ হয় নি তাই তাদের যুক্তিতে ডাক্তারের কোনো প্রয়োজনই নেই । মানুষ যখন সুখে থাকে তখন তারা ডাক্তারকে নিয়ে অনেক হাসি ঠাট্টা করে । তারা ভাবে শুধু আমরা বেঁচে থাকবো, ডাক্তাররা না খেয়ে থাকবে । এই ধরনের মানসিকতা পূর্ণ লোকেদের উপকার করার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে প্রচুর পড়াশুনো করে ডাক্তার হয়ে সারাবছর ওভার টাইম ডিউটি করে এক একটা ঘৃণ্য লোকের শুশ্রূষা করে কোনো লাভ নেই । বরঞ্চ পশুদের লাথি মেরে ফেলে দেওয়া দরকার । এদের সংখ্যা অনেক বেশি, এদের লাথি মারলে এরা উল্টো ডাক্তারদের খুন করে ফেলবে । ডাক্তারদের এরা নিজেদের ক্রীতদাসের মতো মনে করে । সমাজের এই সব লোক মনে করে ডাক্তার হওয়াটা খুব সহজ কাজ এবং ডাক্তাররা এদের নির্দেশ মতো ওঠ বস করবে । মাই ফুট । এদের সোজা করার সহজ উপায় হলো এদের শরীরে ভাইরাস ঢুকিয়ে দেওয়া । যোখুনি কোনো রুগী বলবে যে তার অনেক জমি আছে, সে কৃষিকাজ করে তখুনি বুঝতে হবে এই শালা ডাক্তারদের ক্রীতদাস বলে মনে করে আর এই শালাদের রক্তে ভাইরাস ইনজেক্ট করে দিতে হবে যাতে বাড়ি গিয়ে ওর শ্বাস প্রশ্বাস থেকে ভাইরাস অন্যদের মধ্যে ছড়ায় । ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারলে পশুরা ওদের ঘরের মধ্যে পচে পচে মরবে । ওরা বুঝতে পারবে না কে ওদের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়েছে । এ ছাড়া ওদের মারার অন্য কোনো পথ নেই । ওরা যেমন ভাবে যে ডাক্তাররা বসে বসে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করে যে, "হে ভগবান তুমি লোকেদের মধ্যে রোগ দাও যাতে তারা আমার কাছে আসে এবং আমার যাতে বেশি ইনকাম হয় ।" এই চিন্তা নিয়ে যারা বাঁচে তাদেরকে শেষ করে দেওয়াই ভালো । এদেরকে গুলি করে, পিটিয়ে, বম্ব মেরে কোনোভাবেই শেষ করা সম্ভব নয় । এদের রক্তে ভাইরাস ঢুকিয়ে দিতে হবে যাতে এরা ঘরের মধ্যে পচে পচে মরে । ভাইরাস আক্রান্তরা যখন হসপিটালে ভরে যাবে তখন রাতে চারিদিক পেট্রোল ঢেলে ঢেলে আগুন ধরিয়ে শালাদের পুড়িয়ে মারতে হবে আর নাম দিতে হবে শর্ট সার্কিটের । যারা মনে করে ডাক্তাররা ভগবানের কাছে প্রার্থনা করে যাতে ভগবান তাদের কাছে বেশি রোগী পাঠায় যাতে তাদের বেশি ইনকাম হয় এবং ডাক্তাররা সমাজের আশুভোকাংখি তাদের সেবার জন্য ডাক্তার না হওয়াই ভালো । কেউ কেনো বছরের পর বছর কোনো হসপিটালে স্যালাইন দেবে, ব্যান্ডেজ করবে, কাটা ছেরার কাজ করবে, অপারেশন করবে ? এর থেকে তো শিক্ষক হয়ে সিম সাম মার্জিত জীবন যাপন করা অনেক ভালো, সরকারি বিভাগে অফিসার হয়ে সুন্দর পরিষ্কার অফিসে lekha পড়ার কাজ করা অনেক ভালো । সুতরাং ভাইরাস ছড়িয়ে দাও ।
যদি তুমি নীচের মন্ত্রটি ফাকা জায়গায় দাড়িয়ে রাতের অন্ধকারে তিন বার জপ করো তাহলে লুসিফার জাগ্রত হবে এবং লুসিফার জাগ্রত হলে চারিদিকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে । তুমি তোমার ঘরের মধ্যে বসে রাতের অন্ধকারে এই মন্ত্রটি উচ্চারণ করে দেখবে কয়েক দিনের মধ্যে ভাইরাস মাথা চারা দিয়ে উঠবে । রাস্তায় একা একা চলার সময় এই মন্ত্রটি মৃদু স্বরে উচ্চারণ করতে পারো । করোনা কে জাগ্রত করার মন্ত্র হলো,
****** "ইকো ইমা লাক্সফেরা দামা, ইকো ইমা লুছিফা লুছিফা" ******
এই মন্ত্র টি বার বার জপ করলে করোনা বা অন্য কোনো শক্তিশালী ভাইরাস জাগ্রত হবে এবং তীব্র গতিতে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়বে । Ico Ima Luxfera Dama, Eco Ima Lucifa Lucifa. উচ্চারণ করার সময় টেনে টেনে করতে হবে । ইকো ও ও ও, ইমা অা আ আ, লাক্স ফেরা আ আ আ আ, ডামা আ আ আ ইকো ও ও ও, ইমা আ আ আ, লুসিফা আ আ আ, লুসিফা আ আ আ এই গুলো কাগজে লিখে লিখে লোকের ঘরের দরজার ফাঁক দিয়ে বা জানালার ফাক দিয়ে রাতের বেলা ঢুকিয়ে চলে যেতে হবে যাতে ওরা এই গোপন মন্ত্রটি পায় এবং অন্তত একবার উচ্চারণ করে । একবার উচ্চারণ করলেই লুসিফার জাগ্রত হবে এবং সাথে সাথে ভাইরাস আরো শক্তিশালী হয়ে সবার রক্ত পঁচিয়ে দেবে আর তুমি নিজের ঘরে বসে আরামসে টি, ভি তে খবর শুনবে । এই মন্ত্র তুমি জপ করলে কোনো ভাইরাস তোমার শরীরে প্রবেশ করতে পারবে না কারণ এই মন্ত্র জপ করার সাথে সাথে তুমি লুসিফার এর বন্ধু হয়ে যাবে । ও তোমার কোনো ক্ষতি করবে না । উপরের লেখাগুলো অনেকগুলো সাদা কাগজে লিখে অন্য লোকের ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে চলে যাও । সন্ধ্যাবেলা বা রাতে তোমার পাশের বাড়িগুলোর দরজার ফাক দিয়ে এই মন্ত্র ভিতরে ঢুকিয়ে দাও । এই মন্ত্র লিখে কারো বাড়ির ঠিকানায় পোস্ট করে দাও । ও মন্ত্র জেনে যাবে । যতো লোক এই মন্ত্র পাবে ও উচ্চারণ করবে, করোনা ভাইরাস তত মাথা চারা দিয়ে উঠবে । এগুলো লিখে কারেন্টের পোস্টে, ইস্কুল ঘরের দেওয়ালে, দরজায় আঠা দিয়ে আটকিয়ে চলে যেতে পারো । অনেকেই মন্ত্রটি পাবে ।