Vedic Astrologer Chandan Sastri

  • Home
  • Vedic Astrologer Chandan Sastri

Vedic Astrologer Chandan Sastri Astrology Consultation

Joy maa
24/05/2025

Joy maa

26/08/2023
বিপত্তারিনি পুজোর বিশেষ দিনে জগৎ জননী তারা মায়ের কাছে পুজো ও দর্শন।"ওম সর্বমঙ্গল মঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থসাধিকে।শরণ্যে ত্...
27/06/2023

বিপত্তারিনি পুজোর বিশেষ দিনে জগৎ জননী তারা মায়ের কাছে পুজো ও দর্শন।
"ওম সর্বমঙ্গল মঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থসাধিকে।
শরণ্যে ত্র্যম্বকে গৌরী নারায়ণি নমোহস্তুতে।।
জয় মা ,,,,
জয় মা তারা

05/06/2023

বালেশ্বর এ রেল দুর্ঘটনায় বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি,,,

06/12/2022

কোন শিবলিঙ্গ পুজোয় কি ফল

শিবলিঙ্গ দু’প্রকার-অকৃত্রিম ও কৃত্রিম। স্বয়ম্ভূলিঙ্গ, বাণলিঙ্গ প্রভৃতিকে অকৃত্রিম লিঙ্গ বলে। ধাতু মাটি পাথর দিয়ে গড়া লিঙ্গকে বলে কৃত্রিম লিঙ্গ। যে লিঙ্গের মূল পাওয়া যায় না বা স্থানান্তরিত করা যায় না তাকে বলে অনাদিলিঙ্গ। এছাড়া আর এক জাতীয় লিঙ্গ কে বলা হয় জ্যোতির্লিঙ্গ।ভারতবর্ষে জ্যোতির্লিঙ্গ আছে মোট বারোটি। মহাকালেশ্বর, সোমনাথ, ওঙ্কারেশ্বর, বৈজনাথ (বৈদ্যনাথ), নাগনাথ, রামেশ্বর, বিশ্বনাথ, ঘৃষ্ণেশ্বর, কেদারনাথ, ভীমাশঙ্কর, ত্র্যম্বকেশ্বর ও মল্লিকার্জুন – শিবপুরাণে উল্লিখিত এই জ্যোতির্লিঙ্গগুলি সমধিক আদৃত ও প্রসিদ্ধ।উক্ত শিবলিঙ্গগুলি স্বয়ম্ভূ ও জ্যোতির্লিঙ্গ। অকৃত্রিম লিঙ্গও বটে। তবে জ্যোতির্লিঙ্গ ঠিক কী বস্তু তা বলা শক্ত। প্রলয় পয়োধিজলে যে লিঙ্গের আবির্ভাব হয় তা জ্যোতির্লিঙ্গ। আমার বিশ্বাস, ওই লিঙ্গের শক্তি যে যে অনাদিলিঙ্গে সন্নিবিষ্ট আছে, সেগুলিই জ্যোতির্লিঙ্গ। পরে আসছি দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের মাহাত্ম্য প্রসঙ্গে।মহানির্বাণতন্ত্রে স্বয়ং শিব পার্বতীকে বলেছেন, ‘দেবী! যে ব্যক্তি আগে আমার লিঙ্গের অর্চনা না করে অন্য দেবতার পুজো করে, তার পুজো কোনও দেবতাই গ্রহণ করেন না।’…

এবার মহানির্বাণতন্ত্রে শিলা ধাতু মাটি প্রভৃতি দিয়ে নির্মিত কৃত্রিম শিবলিঙ্গের কথা বলা হয়েছে। এই ধরণের কৃত্রিম লিঙ্গ আছে অসংখ্য। তার মধ্যে বিশেষ বিশেষ কতগুলি দ্রব্য দিয়ে নির্মিত শিবলিঙ্গের বিবরণ ও ফললাভের কথাই বলি।

পাথরে নির্মিত লিঙ্গ পুজো করলে মোক্ষলাভ ও আনুষঙ্গিক ভোগলাভ হয়ে থাকে। পার্থিব লিঙ্গ পুজো করলেও ভোগলাভ ও আনুষঙ্গিক মুক্তিলাভ হতে পারে। দারুময় লিঙ্গ ও বিল্ব-নির্মিত লিঙ্গ পুজো করলেও ওই একই ফল হয়। সোনায় নির্মিত লিঙ্গ পুজো করলে লক্ষ্মী স্থিরতরা হন ও রাজ্যপ্রাপ্তি হয়। তামার তৈরি লিঙ্গ পুজোয় সন্তান বৃদ্ধি এবং রঙ্গ-নির্মিত (রঞ্জকদ্রব্য অর্থাৎ রাং ধাতু) শিবলিঙ্গ পুজো করলে পরমায়ু বৃদ্ধি হয়ে থাকে।

পদ্মপুরাণের কথায়, পারদের শিবলিঙ্গ পুজোয় অতুল ঐশ্বর্য, মুক্তার লিঙ্গ পুজো করলে সৌভাগ্য, চন্দ্রকান্তমণি (Moon Stone) দিয়ে তৈরি শিবলিঙ্গ পুজো করলে দীর্ঘায়ু লাভ হয়। সমস্ত কাম্য বস্তু লাভ করতে পারা যায় সুবর্ণময় লিঙ্গ পুজো করলে।জাগতিক সমস্ত কামনা পূর্ণ হয় হিরে, স্ফটিক, গুড় অন্ন প্রভৃতি দিয়ে শিবলিঙ্গ নির্মাণ করে পুজো করলে। তবে গুড় বা অন্ন দিয়ে সদ্যনির্মিত লিঙ্গই পুজো করা বিধেয়, পরদিন তা বাসি হবে, পুজো করা যাবে না।

লক্ষ্মণ সমুচ্ছয়ে কথিত আছে, গন্ধলিঙ্গ পুজো করলে মানুষের সৌভাগ্য বৃদ্ধি হয়। গরুড় পুরাণের কথায়, দু-ভাগ কস্তূরী, চারভাগ চন্দন, তিনভাগ কুমকুম (জাফরান), চারভাগ কর্পূর, এগুলো সব একত্র করে শিবলিঙ্গ নির্মাণ করলে তাঁকে গন্ধলিঙ্গ বলে। এই লিঙ্গ পুজো করলে মানুষ বন্ধুদের শিবসাযুজ্য হয় (পরমাত্মার সঙ্গে জীবাত্মার সংযোগ বা অভেদ, একত্ব বুঝায়)।

মুক্তিলাভ হয়ে থাকে পুষ্পময় লিঙ্গ পুজো করলে। পলি মাটি দিয়ে নির্মিত শিবলিঙ্গে বিবিধ কামনা সিদ্ধি, লবণের লিঙ্গে পুজো করলে সুখ ও সৌভাগ্যলাভ হয়। পাশ-নির্মিত (রজ্জু বা দড়ি) লিঙ্গ পুজো করলে উচাটন কার্য হয়ে থাকে। মূল দিয়ে (বৃক্ষাদির গোড়ার নিচের অংশবিশেষ, শিকড়) তৈরি শিবলিঙ্গ পুজো করলে শত্রুক্ষয় হয়।

ধুলো দিয়ে নির্মিত শিবলিঙ্গ ভক্তিপূর্বক কেউ পুজো করলে তিনি বিদ্যাধর পদ (স্বর্গের গায়করূপে দেবযোনিবিশেষ) প্রাপ্ত হয়ে পরে শিবসদৃশ হন। মানুষ লক্ষ্মীলাভ করতে পারে গোময় (গোবর) দিয়ে তৈরি শিবলিঙ্গ পুজো করলে। তবে গোময় স্বচ্ছ অর্থাৎ শূন্যে ধরা (ভূমিতে পতনরহিত) ও কপিলা গাভির হতে হবে। যব, গোধূম (গম), ধান দিয়ে তৈরি শিবলিঙ্গ পুজোয় লক্ষ্মীলাভ, পুষ্টি ও বংশবৃদ্ধি হয়। সিতাখণ্ড (মধুজাত শর্করা) নির্মিত লিঙ্গ পুজো করলে আরোগ্যলাভ, লবণ হরিতাল (পারদযুক্ত পীতবর্ণ বিষাক্ত ধাতব পদার্থ বিশেষ) শুণ্ঠী পিপ্পলী ও মরিচ মিশিয়ে তৈরি লিঙ্গ পুজো করলে বশীকরণ সিদ্ধ হয়।গব্যঘৃতের লিঙ্গে বুদ্ধির তীক্ষ্ণতা, লবণ নির্মিত লিঙ্গ পুজো করলে সৌভাগ্য বৃদ্ধি হয়। তিল পিষে তৈরি শিবলিঙ্গ পুজোয় সমস্ত কামনা সিদ্ধ, তুষের লিঙ্গে মারণ কার্য, ভস্ম দিয়ে তৈরি লিঙ্গ পুজো করলে যাবতীয় অভিপ্রেত সিদ্ধ হয়। গুড়ের শিবলিঙ্গে প্রীতি বৃদ্ধি, গন্ধদ্রব্য (চন্দনাদি যে কোনও গন্ধদ্রব্য) দ্বারা নির্মিত লিঙ্গ পুজো করলে প্রভূত পরিমাণে গুণশালী হতে পারা যায়।শর্করায় তৈরি লিঙ্গ পুজোয় শত্রু সংহার হয়ে থাকে। কাঠের তৈরি শিবলিঙ্গ পুজো করলে দারিদ্র আসে। দই দিয়ে তৈরি করা শিবলিঙ্গ পুজোয় কীর্তি লক্ষ্মী ও সুখসৌভাগ্য বৃদ্ধি হয়। ধানের লিঙ্গ পুজোয় ধানলাভ, ফলের শিবলিঙ্গ পুজোয় ফললাভ, ফুলের শিবলিঙ্গ পুজো করলে দিব্যভোগ ও পরমায়ু লাভ হয়।

ধাত্রীফলে নির্মিত লিঙ্গ পুজো করলে মুক্তিলাভ, ননী দিয়ে তৈরি শিবলিঙ্গ পুজোয় কীর্তি ও সৌভাগ্য বৃদ্ধি, দূর্বাকাণ্ড দিয়ে প্রস্তুত লিঙ্গ পুজো করলে নিবারণ হয় অপমৃত্যুর। কর্পূরের শিবলিঙ্গ তৈরি করে পুজো করলে ভোগ ও মোক্ষলাভ হয়।

নবরত্নের মধ্যে মুক্তা নির্মিত লিঙ্গ পুজোয় সৌভাগ্য, স্ফটিক লিঙ্গে সর্বকামনাসিদ্ধি হয়। সোনার শিবলিঙ্গ তৈরি করে পুজো করলে অতুল ঐশ্বর্যভোগ, কাঁসা ও পিতল মিশ্রিত শিবলিঙ্গে শত্রুবিনাশ, শুধু কাঁসার তৈরি শিবলিঙ্গে কীর্তিলাভ, শুধু পিতলের লিঙ্গে ভোগ ও মোক্ষলাভ, রাং সিসা কিংবা লোহার লিঙ্গে শত্রুনাশ এবং অষ্টধাতু নির্মিত শিবলিঙ্গ পুজো করলে সমস্ত কামনাসিদ্ধি হয়। অষ্টধাতুর লিঙ্গ পুজোয় নিবারণ কুষ্ঠরোগ। সোনা রুপো ও তামা মিশিয়ে তৈরি শিবলিঙ্গ পুজো করলে বিজ্ঞান বিষয়ে সিদ্ধিলাভ হয়ে থাকে।যাদের ধনাকাঙ্ক্ষা আছে, তাদের কর্তব্য গন্ধপুষ্প নির্মিত লিঙ্গ, অন্নাদি দ্বারা নির্মিত অথবা কস্তূরী দ্বারা নির্মিত লিঙ্গ পুজো করা, এ কথা বলা হয়েছে কালোত্তরে।

মাতৃকাভেদ তন্ত্রে দ্বাদশ পটলে আছে, বালুকাময় শিবলিঙ্গ পুজো করলে কামনাসিদ্ধি, গোময় শিবলিঙ্গ পুজো করলে শত্রুবিনাশ হয়। উক্ত শিবলিঙ্গের মাহাত্ম্য এমনই, এতে ধর্ম অর্থ কাম ও মোক্ষলাভ হয়ে থাকে।

‘শিবধর্ম’ নামক ধর্মগ্রন্থে বলা হয়েছে, ব্রহ্মা নিয়মিত শিলাময় লিঙ্গ পুজো করেন। এ জন্যই সর্বশ্রেষ্ঠ ব্রহ্মত্বপদ প্রাপ্ত হয়েছেন তিনি। ভগবান বিষ্ণু নিয়ত পুজো করেন ইন্দ্রনীলময় শিবলিঙ্গ। তার প্রভাবেই তিনি প্রাপ্ত হয়েছেন সর্ব-পালকত্বরূপ বিষ্ণুত্বপদ। নিয়ত নির্মল স্ফটিকময় শিবলিঙ্গ পুজো করে থাকেন বরুণ। এ জন্যই তিনি প্রাপ্ত হয়েছেন তেজোবল সমন্বিত বরুণত্বপদ।

যে সব শিবলিঙ্গের কথা বলা হয়েছে, এর মধ্যে যে কোনও একটি শিবলিঙ্গ পুজো করা সকলেরই কর্তব্য। লিঙ্গার্চনতন্ত্রে প্রথম পটলের কথা, সমস্ত পুজোর মধ্যে লিঙ্গ পুজোই শ্রেষ্ঠ ও মুক্তিদায়ক।দেবাদিদেব সদাশিব পার্বতীকে বলেছেন, ‘দেবী, অচল শিবলিঙ্গ স্থাপনের মাহাত্ম্য তোমার কাছে বেশি আর কী বলব; এই শিবলিঙ্গ স্থাপন করলে মানুষ সমস্ত মহাপাতকাদি থেকে বিমুক্ত হয়ে পরমপদ লাভ করে’।

23/09/2022

জয় মহামায়া...
#প্রসঙ্গ_মহিলা_পুরোহিত ও কিছু অপ্রিয় সত্য:-
প্রাচীন বৈদিক শাস্ত্রে,উপনিষদে শ্রদ্ধার সাথে ব্রহ্মবাদিনী নারীদের কথা উল্লিখিত আছে!
গার্গী-মৈত্রেয়ী-অপালা প্রভৃতি,
মনু বলে গেছেন-"নার্যস্তু যত্র পুজ্যন্তে,রমন্তে তত্র দেবতা"-
আমরা নারীদের পুজা করি কখনো কুমারী রূপে,কখনো সুবাসিনী রূপে!
আমাদের সনাতন হিন্দু ধর্মপরম্পরায় প্রাচীনকাল থেকে আধুনিক কাল পর্যন্ত অসংখ্য মাতৃশক্তি যারা সিদ্ধ সাধিকা এমনকী পুর্ন ব্রহ্মজ্ঞারূপে আত্মপ্রকাশ করেছেন-ভৈরবী যোগেশ্বরী,মা সারদা,গৌরী মা,মা আনন্দময়ী,রাঙামা,শোভা মা এছারাও শতসহস্র নাম না জানা মায়েরা!
আয়ারল্যান্ডের মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল কেও আমরা "ভগিনী নিবেদিতা" রূপে অথবা প্যারিসের মীরা আঁলফাসা কেও পন্ডিচেরীর "শ্রীমা" রূপে শ্রদ্ধার সঙ্গে বরণ করেছি,
আমরা তাদের শ্রীপাদপদ্মে নিজেদের সমর্পণ করেছি, যুগে যুগে আভূমি ভূলুণ্ঠিত হয়ে করেছি তাদের চরণ বন্দন,কিন্তু কখনো তারা অন্যের বাড়িতে ঘন্টা নেড়ে সত্যনারায়ন পুজো,কালীপুজো কিংবা দুর্গাপূজা করতে অথবা আজকের বহুল চর্চিত পৌরোহিত্য করতে যাননি!
পৌরোহিত্য একটা ব্যবস্থা,একটা কর্ম বা সুস্পষ্টরূপে বলতে হয় যাজনিক কর্ম,অর্থাৎ যজমানের মঙ্গলার্থে পুরোহিত রূপে দেবতার কাছে যজমানের মঙ্গল প্রার্থনা পৌঁছে দেওয়া।আমাদের হিন্দু ধর্ম ব্যবস্থায়-ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয়,বৈশ্য এই ত্রি-বর্ণেরই উপনয়ন সংস্কার বিধান রয়েছে,যা অধুনালুপ্ত কিন্তু অসম্ভব নয়।উপনয়ন সংস্কার মানেই যজমানি করার অধিকার প্রাপ্ত হওয়া নয়।অনেকে বলেছেন তন্ত্রোক্ত পূজা পূর্ণাভিষেকাদি সংস্কার থাকলে করা যায়,তাদের উদ্দেশ্যে বলছি-কেবল পূর্ণাভিষেক কেন,ক্রম-সাম্রাজ্য-মহাসাম্রাজ্য এমনকি বিরজা হলেও নিজ শিষ্য ব্যতিরেকে গুরু কিংবা কৌলসাধক অপরের বাড়িতে যজমানি করতে পারেন না,বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যতিরেকে(গুরুগৃহে,গুরুভ্রাতা কিংবা একই গুরুপরম্পরা আশ্রিত গৃহ)!
প্রাচীন ভারতবর্ষের হিন্দু সংস্কৃতি কেবলমাত্র জন্মের ভিত্তিতে নয় কর্মের ভিত্তিতে সংস্কারে বিশ্বাসী ছিল।আমরা জাবালা পুত্র-সত্যকাম কেও ব্রহ্মজ্ঞরূপে গ্রহন করেছি, কিন্তু কোথাও জানা যায়নি সত্যকাম কারোর বাড়িতে গিয়ে বিশ্বকর্মা পুজো কিংবা মনসা পূজো ঘন্টা নেড়ে,করে এসেছেন।
আপনার পূজা করার অধিকার কেউ আপনার থেকে কেড়ে নিতে পারে না।যদি আপনি অধিকারী হন,গুরু নির্দেশিত পথে সাধন পরায়না হন,সে আপনি যে কোন বর্ণেরই হোন না কেন-নিজের পূজা নিজের করার অধিকার আপনার রয়েছে কিন্তু বহুজনের হিতার্থে যাজনিক কর্ম করার অধিকার সকলের নেই,
এটা শাস্ত্রবিরুদ্ধ!
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,যে সমাজে পঞ্চস্বামী থাকা সত্ত্বেও দ্রৌপদীকে মহাসতী বলা হয়,রাবণের মত প্রথম জীবনে বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ জ্ঞানী পন্ডিত ব্যক্তি থেকে সীতা হরণের পর দুরাচারী অত্যাচারী শাসকের স্ত্রী মন্দোদরীকেও মহাসতী বলা হয়,এমনকি স্বামীর শারীরিক দুর্বলতার কারণে দেবগনের দ্বারা ক্ষেত্রজ পুত্র উৎপন্নকারিনী জননী কুন্তীকেও মহাসতীর মর্যাদা দেওয়া হয় সেই সমাজে নারী স্বাধীনতার কথা বললে কোথাও একটা হাস্যকর লাগে!
আমি জানি,স্বাধীনতা আর স্বাধীনতার নামে যথেচ্ছাচার দুটোর পার্থক্য বোঝার ক্ষমতা সকলের নেই!

চন্দন শাস্ত্রী

বিশেষ দ্রষ্টব্য: আমি জানি এই লেখা সকলের জন্য নয়,কিছু বামপন্থী সংস্কার,বামপন্থী মনোভাবাপন্ন আঁতেলরা এই লেখার মূল বক্তব্যকে না বুঝে তাকে বিকৃত করার চেষ্টা করবে,
সে স্বাধীনতাও তাদের আছে।

Joy baba baidyanath
25/07/2022

Joy baba baidyanath

Joy maa tara
24/07/2022

Joy maa tara

11/06/2022

ছোট থেকে অনেকেকেই বলতে শুনেছি , " আমি শ্রাদ্ধ মানি না । আমি তর্পণ করি না । ওগুলো সব রেগ্রেসিভ কুসংস্কার । আমি মরার পরে দেহ দান করব " ইত্যাদি । শহুরে হিন্দু বাঙ্গালির কাছে এটা প্রায় একটা অত্যাবশ্যক কহতব্য হয়ে উঠেছে ! কিন্তু কোনোদিন কি আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি যে শ্রাদ্ধ আসলে কি বস্তু ? মনে তো হয় না !
আসলে আমাদের ভালোবাসাটাও যেমন অন্যের মুখে ঘি খেয়ে উদ্ভূত , ঘৃণা টাও ঠিক তেমনি ! সেই কবে ইউরোপীয় শ্বেতাঙ্গ কর্তারা আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছিলেন – "তোমরা অনুন্নত , তোমরা বর্বর , তোমরা কুসংস্কারাছন্ন" … …… আমরা নিজেদের এখনও সেইরকমই ভাবি ! আজও আমরা “সু”সংস্কার আর “কু”সংস্কারের মধ্যে তফাৎ করতে চাইলাম না ! যে সংস্কার দেশ ও দশের ক্ষতি করে তাই “কু” । যে সংস্কার তা করে না সেটা ”কু” হতে পারে না !

শ্রাদ্ধকাণ্ডে চেয়ে দেখুন , কি অপূর্ব ভাব ব্যাঞ্জনা ! শ্রদ্ধা জানানোর ক্রিয়াই শ্রাদ্ধ । মৃত ব্যাক্তি অর্থাৎ যার নামে শ্রাদ্ধ তার উদ্দেশ্যে ক্রিয়া তো আছেই , তা ছাড়াও আছে সমস্ত মৃত জীবের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন । শ্রাদ্ধের তিনটি পিণ্ডের একটি দেওয়া হচ্ছে এক অপূর্ব কবিতা পাঠ করে – “ যারা যারা আমার কুলে জন্মে মৃত্যুবরণ করে অগ্নিতে দাহ হয়েছেন , যে যে ব্যাক্তি অগ্নি লাভ করেন নি অর্থাৎ দাহ হন নি , তাদের সবাই তৃপ্তি লাভ করুক । যার মাতা নাই , যার পিতা নাই , যার বন্ধুও নাই সেই নির্বান্ধব ব্যাক্তিও আমার এই পিণ্ডে তৃপ্তি লাভ করুন । “

তর্পণ কালে কি অপূর্ব ভাব দেখুন । তর্পণকারী জলে দাঁড়িয়ে সমস্ত বিশ্বচরাচর অখিল ব্রহ্মাণ্ডের প্রতি তার নিদেবন জানাচ্ছেন –

“ ব্রহ্মা যেন তৃপ্ত হন , বিষ্ণু যেন তৃপ্ত হন , রুদ্র যেন তৃপ্ত হন । প্রজাপতি , দেবতাগন , যক্ষ , নাগ , গন্ধর্ব , অপ্সরা , সুর এবং অসুর , যারা নিষ্ঠুর অত্যাচারী ব্যাক্তি , যারা পাপিষ্ঠ এবং যারা পুণ্যবান ধার্মিক , আকাশের জীব কুল , পক্ষীকুল , সর্প সমূহ , সমস্ত উদ্ভিদ তরু লতা , যারা খেতে পায় নি এবং যে সমস্ত জীব জলের অভ্যন্তরে থাকে , তাঁরা সবাই যেন আমার এই নিবেদনে তৃপ্তি লাভ করেন ! “
সনক সনাতন আদি চার কুমার , কপিল মুনি , মরীচি , অত্রি , অঙ্গীরা , ক্রতু , পুলস্ত্য পুলহ , প্রচেতা , বশিষ্ঠ , ভৃগু , নারদ ইত্যাদি ঋষিকুল যেন আমার এই নিবেদনে তৃপ্ত হয়েন ।
যে সমস্ত পূর্বপুরুষগন রাগী প্রকৃতির তাঁরা যেন তৃপ্তি লাভ করেন । যে সমস্ত পূর্বপুরুষগন শান্ত সৌম্য প্রকৃতির তাঁরাও যেন তৃপ্তি লাভ করেন । যম , ধর্মরাজ , চিত্রগুপ্ত এবং অন্তত প্রবাহমান সময়ের প্রতীক এই কাল যেন তৃপ্ত হন ।
শান্তনু পুত্র পিতামহ ভীষ্ম অপুত্রক ছিলেন বলে তাঁর জন্য আমি এই নিবেদন করছি , তিনি যেন তৃপ্তি লাভ করেন ।
আমার পিতামহ , প্রপিতামহ , মাতামহ , প্রমাতামহ , বৃদ্ধপ্রমাতামহ ইত্যাদি ছয় পুরুষ অবধি যেন তৃপ্তি লাভ করেন । যারা আমার জীবনে আমার পিতার ন্যায় তাঁরা যেন তৃপ্ত হন । আমার মামা , পিসি , মাসি , ভাই , বোন , শ্বশুর শাশুড়ি যে যেখানে অতৃপ্ত রয়েছেন তাঁরা সবাই যেন তৃপ্ত হন !

ব্রহ্মলোক থেকে শুরু করে সাত লোকে যেখানে যে জীব অতৃপ্ত অবস্থায় আছেন সবাই যেন তৃপ্ত হন । সমস্ত দেবর্ষি , মানব এবং সপ্ত দ্বীপের অধিবাসি বৃন্দ যেন তৃপ্ত হন । এই তিন ভুবনের তৃণ থেকে কীটানুকীট অবধি প্রতিটি প্রাণী যেন তৃপ্তি লাভ করে ।
যে সমস্ত ব্যাক্তির সন্তানসন্ততি নেই বলে ক্রিয়া করার লোক নেই , তাঁরাও যেন আমার এই নিবেদনে তৃপ্ত হয়ে পরম গতি অর্থাৎ পরম জ্ঞান লাভ করেন । যে সমস্ত ব্যাক্তির গোত্র পরিচয় হারিয়ে গেছে তাঁরাও যেন আমার দ্বারা তৃপ্ত হয়ে পরম গতি লাভ করে । “

পাবেন এইরকম অপূর্ব ভাব পৃথিবীর আর কোথাও ? যেখানে শুধু মৃত ব্যাক্তি নন , মৃতকে উপলক্ষ করে সমস্ত ব্রহ্মাণ্ডের হয়ে প্রার্থনা জানানো হচ্ছে ? শুধু নিজ ধর্ম , নিজ দেশ , নিজ কাল , নিজ প্রজাতির উদ্দেশে নয় ……… সমস্ত জীবের তৃপ্তি কামনা করা হচ্ছে ! শুধু ধার্মিক পুণ্যবান নয় , অধার্মিক পাপিষ্ঠ দের উদ্দেশ্যেও প্রার্থনা জানানো হচ্ছে ! ভাবা যায় ?! ধর্ষণের নায়ক ধনঞ্জয় কিংবা আজমল কাসব মানবতার শত্রু হয়েও , হিন্দুর প্রতি-মানবতার তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছে না ! কারন হিন্দু জানে যে পাপিষ্ঠও একটি জীব ! সে বুঝুক কিংবা সে নাই বুঝুক , সেও “অমৃতস্য পুত্রা” ! রাজা তাকে মৃত্যুদণ্ড দেবে রাজ শাসনের ধর্ম পালন করতে । আমরা তাদের শুভ কামনা করব আমাদের স্বধর্ম পালন করতে ! এইভাবেই ধর্মের চাকা চলবে ।
এই ভাব ভারতীয় সভ্যতার নিজেস্ব সম্পদ ! অপর কোনও দেশে কোনও কালে humanism আর universalism এমন উচ্চ পরাকাষ্ঠা স্পর্শ করতে পারে নি !

আর আমরা সেই সুবর্ণ ভাণ্ডারকে কুসংস্কার বলে পায়ে ঠেলে দিচ্ছি ! বাপ ঠাকুরদার উত্তরাধিকার সুত্রে পাওয়া মানবতাকে হারিয়ে আবার নতুন করে নব্য পাশ্চাত্য শিক্ষার মানবতার পাঠ নিতে যাচ্ছি উচ্ছিষ্টসন্ধানি কুকুরের মতন ! এইভাবে আধুনিক সাজবো আমরা ? এটা আধুনিকীকরণ নাকি পাশ্চাত্যপদলেহন ?! লজ্জা হয় না আমাদের ?!

Address


Telephone

+919733839133

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Vedic Astrologer Chandan Sastri posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Vedic Astrologer Chandan Sastri:

  • Want your practice to be the top-listed Clinic?

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram