24/07/2025
যতই এগিয়ে চলছি জীবনের পথে, ততই যেন বাস্তবতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে — জীবন আসলে কতটা কঠিন, কতটা নির্মম হতে পারে।
আমি জানি না, এই অভিজ্ঞতা আপনাদের মনে কতটা দাগ কেটেছে বা আপনারা কতটা অনুভব করতে পেরেছেন।
কিন্তু আমি যা অনুভব করেছি, সেটাই আজ আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই।
গত মাসে আমরা গিয়েছিলাম নিরহাড়া আশ্রয়স্থলে।
সেখানে দেখলাম—কয়েকজন বৃদ্ধ মানুষ, যাদের কোনো খোঁজ নিতে আসে না, যাদের পাশে আজ কেউ নেই।
একদিন তারাও হয়তো নিজেদের সন্তানদের মানুষ করতে দিন-রাত এক করে দিয়েছিল।
কিন্তু আজ তারাই পরিত্যক্ত। পরিবারের লোকজনই যেন ভুলে গেছে তাদের অস্তিত্ব।
ভাবতে কষ্ট হয় — কীভাবে সন্তান হয়ে কেউ তার বাবা-মাকে অবহেলা করতে পারে?
এরা কি সত্যিই সন্তান হবার যোগ্য? নাকি তারা কেবল জন্ম দিয়েছে, মানবতার অনুভূতি ছাড়াই?
অন্যদিকে, আমরা গিয়েছিলাম ভারত সেবা আশ্রমে।
সেখানে দেখলাম — ৩ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিছু শিশু, যাদের কাঁধে এখনো ব্যাগের চেয়েও হালকা দায়িত্ব থাকার কথা, তারাই আজ বাবা-মায়ের স্নেহ থেকে বঞ্চিত।
এই বয়সে যখন ওদের মায়ের কোলে ঘুমোনোর কথা, তখন ওরা পড়ে আছে আশ্রমের বিছানায় — একাকী, নিঃসঙ্গ।
ওরা কী দোষ করেছিল?
ভগবানই জানে। কিন্তু আমাদের সমাজ কি জানে — একটা শিশু কতটা ভেঙে যায়, যখন তার মা-বাবা তাকে ছেড়ে যায়?
সততার ধারার সকল সদস্যদের আমি অনুরোধ করছি...
চলুন, আমরা প্রতিজ্ঞা করি —
আমরা এমন জীবন গড়বো, যেখানে আমাদের বাবা-মা, ভাই-বোন, সন্তান — কেউ কখনো এই অবহেলার শিকার হবে না।
আমরা হবো ভালো সন্তান, ভালো বাবা-মা, ভালো মানুষ।
আমাদের ভালোবাসা আর যত্ন যেন কখনোই কম না হয়।
আমাদের পরিবার যেন না হয়ে ওঠে "নিরহাড়া আশ্রয়স্থলের" মত কোনো আশ্রয় নয়।
আমাদের সন্তানেরা যেন না বড় হয় "ভারত সেবা আশ্রম"-এর শিশুদের মত — ভালোবাসা ছাড়া, স্নেহহীন।
চলুন, আমরা মানবিক হই — পরিবারের প্রতি, সমাজের প্রতি, এবং নিজেদের প্রতি।
এই পৃথিবীটা আমরা চাইলে একটু হলেও বদলাতে পারি।
#সেবাই_ধর্ম #ভালোবাসা_থামে_না #চলো_পাশে_দাঁড়াই #মানবিকতা