23/10/2022
@
#পটকা_ফাটানোর_সময়_বিশেষ_সতর্রকতা_নিন_সাথে_চশমা_পরুন।
#পুজোয়_পটকা_ফাটানোর_সতর্কতা_অবশ্যই_নিন@ #একটি_চোখ_অতি_মল্যবান*
#কালীপুজো বা দিওয়ালিতে ‘ফায়ার ক্রেকার্স’ বা বাজি ফাটানো খুবই স্বাভাবিক।
কোনওভাবে আগুনের ফুলকি বা বাজির টুকরো চোখে ঢুকে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিন ভালোভাবে। চাপ দিয়ে চোখ রগড়াবেন না। নিকটবর্তী চোখের ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।আমাদের চোখ অতি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তাই যদি কিছু প্রকার আঘাত লাগে তাহলে বিন্দুমাত্র বিলম্ব না করে নিকটবর্তী কোনও চোখের হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করবেন।
বাজি থেকে নানান দুর্ঘটনা হতে পারে। তুবড়ি, রংমশাল ইত্যাদি জাতীয় বাজি হঠাৎ ফেটে গিয়ে চোখের নানান ক্ষতি করতে পারে। চোখের চারপাশ আইল্যশ, আইলিড পুড়ে যেতে পারে। চোখের ভেতরে কর্নিয়া ইনজুরি, চোখ ফেটে যাওয়া বা গ্লোব র্যাপচার, চোখের ভেতরে রক্তক্ষরণ হতে পারে, যাকে ‘হাইফিমা’ বলে। এমনকী সিরিয়াস হেমারেজ হতে পারে, চোখের পর্দা ছিঁড়ে যেতে পারে যাকে রেটিনাল ডিটাচমেন্ট বলা হয়। এমনকী চোখের প্রেশার বেড়ে গিয়ে গ্লকোমাও হতে পারে। এই সকল আঘাত ছোট থেকে বড় যে কোনও বয়সে হতে পারে, তাতে স্থায়ী দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি হয়।
তাই আমাদের যথেষ্ট সচেতনতা বজায় রেখে বাজি ফাটানো উচিত। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে বাজি ব্যবহার করতে হবে।
সবচেয়ে বেশি আঘাত ছোট বাচ্চাদের। সুতরাং কোনও বাচ্চাই যেন বাবা-মা অথবা অভিভাবকের অনুপস্থিতিতে বাজি ব্যবহার না করে। রকেট, তুবড়ি ইত্যাদি যদি একবারে না ফাটে সেটাকে নিয়ে বেশি নাড়াচাড়া যেন না করে, বিশেষ করে না ফাটা বাজী কাছে গিয়ে তুলতে যাওয়া একেবারেই উচিত না এতে বেশি ঝুঁকি। আধপোড়া বাজি জল দিয়ে নিভিয়ে দিন। যাঁদের সর্দিকাশি বা অ্যালার্জির প্রবণতা আছে তাঁদের জন্য শব্দবাজির ধোঁয়া অত্যন্ত ক্ষতিকারক। ধোঁয়ায় থাকা বিভিন্ন রাসায়নিক থেকে চোখের লিপিড লেয়ার নষ্ট হয় এবং চোখ জ্বালা করে ও চোখ দিয়ে অনবরত জল পড়ে। এই সময়ে ড্রাই আইয়ের জন্য কৃত্রিম tear drops ব্যবহার করা উচিত।
সিন্থেটিকের ঢিলেঢালা পোশাক পরে বাজি পোড়াবেন না। সুতির এমন পোশাক পরুন যা প্রয়োজনে তাড়াতাড়ি খোলা যায়। আমাদের দেহে চোখ অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তাই যদি কিছু পরে বা কোন প্রকার আঘাত লাগে তাহলে বিন্দুমাত্র বিলম্ব না করে নিকটবর্তী কোনও চক্ষু চিকিৎসক এর পরামর্শ নিন অথবা হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করবেন। মনে রাখবেন এ ক্ষেত্রে চক্ষু চিকিৎসক এর পরামর্শ ছাড়া কোনও ড্রপ দেওয়া যাবে না। চোখের ড্রপ মানে যেকোন কারনেই ব্যবহার নয়। উপকারের থেকে ঝুঁকি অনেক বেশি হতে পারে। এই ব্যাপারে আগামীতে বিস্তারিত বিবরণ থাকবে।।
ধন্যবাদ
@ ( ).