মা কল্যানেশ্বরী শক্তিপীঠ আশ্রম

  • Home
  • India
  • KOLKATA
  • মা কল্যানেশ্বরী শক্তিপীঠ আশ্রম

মা কল্যানেশ্বরী শক্তিপীঠ আশ্রম Official page of Maa Kalyaneswari Shaktipeeth Ashram.

লোকেরা জ্ঞানের কথা কয়,আসলে ভেতরটা ফাঁপা কয়,বই না পড়েই দিচ্ছে জ্ঞান—ফেসবুকে তাদের রাজ্য ভুবনপ্রাণ।বাড়ি ভাঙা, কপালে ঘাম,তব...
12/09/2025

লোকেরা জ্ঞানের কথা কয়,
আসলে ভেতরটা ফাঁপা কয়,
বই না পড়েই দিচ্ছে জ্ঞান—
ফেসবুকে তাদের রাজ্য ভুবনপ্রাণ।

বাড়ি ভাঙা, কপালে ঘাম,
তবু মুখে শুধু গরুর দাম,
নিজের ওকাত বোঝে না কেউ,
অন্যকে ছোটাতে দৌড় দেয় ঢেউ।

ক্রোধ (Krodha) সাধককে ধ্বংস করে, কারণ—🔱 ১. শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যাগীতা (১৬.২১):> “ত্রिविधং নারকস্যেদং দ্বারং নাশনমात्मনঃ।কামঃ...
11/09/2025

ক্রোধ (Krodha) সাধককে ধ্বংস করে, কারণ—

🔱 ১. শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা

গীতা (১৬.২১):

> “ত্রिविधং নারকস্যেদং দ্বারং নাশনমात्मনঃ।
কামঃ ক্রোধস্তথা লোভস্তস্মাদেতৎ ত্রयं ত্যজেত্॥”

অর্থাৎ— কাম, ক্রোধ ও লোভ — এই তিনটিই আত্মাকে ধ্বংসের দিকে টেনে নেয়। তাই সাধকের উচিত এগুলো ত্যাগ করা।

ক্রোধে জ্ঞান ঢেকে যায়, ধ্যান ভঙ্গ হয়, এবং সাধকের ভিতরে “অবিদ্যা” বাড়ে। শাস্ত্রে একে বলা হয়েছে “বিনাশক দ্বার”।

🔱 ২. যোগদর্শনের দৃষ্টিতে

পতঞ্জলি যোগসূত্রে বলেছেন—
ধ্যানের মূল শর্ত হলো চিত্তপ্রশান্তি। ক্রোধ হলে মন অস্থির হয়, শ্বাস-প্রশ্বাস অগোছালো হয়ে যায়, ফলে প্রণায়াম ও ধ্যান ভেঙে যায়।
অস্থির চিত্তে শক্তি ধারণ হয় না, সাধকের সাধনক্ষেত্র শুকিয়ে যায়।

🔱 ৩. তান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি

তন্ত্রে বলা হয়েছে, “সাধনা মানেই শক্তিকে ধারন।”
কিন্তু ক্রোধ হল অগ্নিরূপ তামসিক বিকার—

এটি চেতনা ক্ষয় করে।

সাধকের মধ্যে রক্তচঞ্চলতা বাড়ায়।

কুণ্ডলিনী শক্তি উর্ধ্বমুখী না হয়ে নীচের দিকে নেমে যায়।
ফলে যে শক্তি দিয়ে দেবীর ধ্যান করা সম্ভব, সেই শক্তিই অভিশাপ হয়ে নিজের সাধনক্ষেত্র ভস্ম করে দেয়।

🔱 ৪. দার্শনিক ব্যাখ্যা

ক্রোধ = অহংকারের সন্তান।

সাধনা = অহংকার ভঙ্গের পথ।
অতএব, ক্রোধ যত বাড়বে, অহংকার তত শক্তিশালী হবে; আর অহংকার যত শক্তিশালী হবে, তত দূরে যাবে আত্মসাক্ষাৎকার ও মুক্তি।

🔱 ৫. সহজ উদাহরণ

যেমন—
একজন কৃষক যদি সদ্য বোনা ধানক্ষেতে আগুন ধরায়, তার সব ফসল নষ্ট হয়ে যায়।
ঠিক তেমনি—
সাধকের হৃদয়ক্ষেত্রে ক্রোধের আগুন ধরলে সাধনার বীজ অঙ্কুরিত হওয়ার আগেই ভস্ম হয়ে যায়।

👉 তাই শাস্ত্র বারবার বলছে—
“শান্তিঃ, ধৈর্য, সহনশীলতা” — এটাই সাধকের আসল অলঙ্কার।
ক্রোধ হলে শক্তি ভস্ম হয়ে যায়,
কিন্তু ক্ষমাশীল হলে শক্তি দেবীরূপে প্রকাশিত হয়।

11/09/2025

চুপ করে থাকা মানেই ভীরুতা নয়,
তীক্ষ্ণ নীরবতা ঝড় ডেকে আনে।
অন্যায়ের মাটিতে শেকড় ফেলতে দিলে—
রক্তই একদিন জবাব হয়ে দাঁড়ায়।

তুমি ভেবেছো, শিকলেই মানুষ বেঁধে রাখা যায়?
না!
শিকল ভাঙে অগ্নির মতন,
আশ্রিত হাতেই উঠে আসে বজ্রের বজ্রপাতে।

আমার কলম তলোয়ার, আমার কণ্ঠ গর্জন—
মিথ্যার দুর্গে ছুঁড়ে দিই আগুনের শিখা।
বেঁচে থাকি শুধু বিদ্রোহের নিশ্বাসে,
অন্যায়ের বুক চিরে লিখি স্বাধীনতার গান।

বৈষ্ণব তন্ত্রে পঞ্চমকার (মৎস্য, মদ্য, মাংস, মৈথুন, মুদ্রা) ব্যবহার প্রসঙ্গে—১. পঞ্চমকারের মূল ধারণাতন্ত্রশাস্ত্রে "পঞ্চম...
10/09/2025

বৈষ্ণব তন্ত্রে পঞ্চমকার (মৎস্য, মদ্য, মাংস, মৈথুন, মুদ্রা) ব্যবহার প্রসঙ্গে—

১. পঞ্চমকারের মূল ধারণা

তন্ত্রশাস্ত্রে "পঞ্চমকার" (ম-কার) এক অত্যন্ত গোপন ও গূঢ় অনুশীলন। এগুলো সাধকের চেতনা-দেহ-মনকে ভেদ করে আসক্তি, ভয়, লজ্জা, দ্বন্দ্ব ভাঙার জন্য ব্যবহৃত হয়।

মৎস্য (মাছ) → কামনা ও ভোগবৃত্তির জড় টানকে রূপান্তরিত করা।

মদ্য (মদ) → ইন্দ্রিয়-সংযম ভাঙিয়ে ভেতরের চেতনাকে মুক্ত করা।

মাংস → ভয়ের শৃঙ্খল কাটানো, নিষিদ্ধতার বাঁধন ছিন্ন করা।

মৈথুন → শক্তি-সংযোগের মাধ্যমে আত্মার উৎকর্ষ।

মুদ্রা → অন্তরায় ও দেহ-মন-ব্রহ্মাণ্ডের মেলবন্ধন।

২. বৈষ্ণব তন্ত্রে বিশেষ প্রয়োগ

বৈষ্ণব ধর্ম সাধারনতঃ শুচিতা, সৎ ভোজন, অহিংসা প্রাধান্য দেয়। কিন্তু বৈষ্ণব তন্ত্রের গুপ্ত শাখায় (বিশেষতঃ শাক্ত বৈষ্ণব মিলন ধারা) পঞ্চমকারকে প্রতীকী কিংবা আভ্যন্তরীণভাবে ব্যবহার করা হয়।

মৎস্য (মাছ): মাছকে শক্তির প্রতীক ধরা হয়। শাস্ত্রে "মৎস্যাবতার" ভগবান বিষ্ণুর প্রথম অবতার—তাই বৈষ্ণব তন্ত্রে মৎস্যের সেবন মানে অবতারশক্তি আহ্বান।

মদ্য (মদ): মদ্য বা মদকে ধরা হয় "মোহিনী শক্তি"-র প্রতীক। বিষ্ণুর মোহিনী রূপ যে মায়াময় শক্তি, তাকে উপলব্ধির জন্য সামান্য অর্ঘ্য হিসেবে মদ্য ব্যবহার।

মাংস: এটি অহিংস বৈষ্ণব সমাজে প্রায়শই প্রতীকীভাবে ব্যবহৃত হয়—যেমন ফল, শস্য, বা "মাংস" শব্দের মন্ত্রার্থ। তবে গুপ্ত তান্ত্রিক বৈষ্ণব ধারা (বিশেষত গোপাল-কৃষ্ণভক্ত তন্ত্রে) সীমিতভাবে ব্যবহার হত।

৩. বৈষ্ণব তন্ত্রে কেন ব্যবহৃত হয়?

1. শক্তি জাগরণ: শাস্ত্রবিরুদ্ধ মনে হলেও, নিষিদ্ধ ভঙ্গির মাধ্যমে সাধক ভয় ও সমাজবন্ধন ভেঙে আত্মশক্তি জাগান।

2. অবতারসংযোগ: মৎস্য ও মোহিনী অবতারকে স্মরণ করে দেবশক্তির সঙ্গে একাত্ম হওয়া।

3. ভক্তির উন্মাদনা: মদ্য-মাংসের প্রতীকী প্রয়োগে দেহমনকে কৃষ্ণপ্রেমে সঁপে দেওয়া।

4. গোপন অনুশীলন: প্রকাশ্যে বৈষ্ণবধর্ম অহিংস, নির্মল; কিন্তু গুপ্ততন্ত্রে এর রহস্যদর্শন অন্য রূপে প্রকাশিত।

তাই বলি টিক্কি ও তিলক ধারী ভন্ডদের মিষ্টি মধুর বুলির ফাঁদে না পড়ে বাস্তবটা জানুন।

10/09/2025
আজ খুলতে চলেছে টিক্কি ও তিলকধারী ভন্ডদের মুখোশ।সাথে থাকুন আর দেখতে থাকুন
10/09/2025

আজ খুলতে চলেছে টিক্কি ও তিলকধারী ভন্ডদের মুখোশ।
সাথে থাকুন আর দেখতে থাকুন

https://youtu.be/I1Cs-HLYYkM?si=5m5ywIY6lnJrvV_V
09/09/2025

https://youtu.be/I1Cs-HLYYkM?si=5m5ywIY6lnJrvV_V

সৌজিত ক্রিয়েশন প্রেজেন্ট বেঙ্গল আইকন অ্যাওয়ার্ড #বাংলাতাজাখবর #বাংলাখবর 10 ...

তন্ত্র ও যোগে মনন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এটি শুধুমাত্র চিন্তা নয়, বরং আত্মানুভূতি ও তত্ত্ব উপলব্ধির জন্য মনের শক...
09/09/2025

তন্ত্র ও যোগে মনন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এটি শুধুমাত্র চিন্তা নয়, বরং আত্মানুভূতি ও তত্ত্ব উপলব্ধির জন্য মনের শক্তিকে সঠিকভাবে প্রয়োগ করা। এখন বিস্তারিতভাবে দেখি—

✅ তন্ত্রে মননের ভূমিকা

তন্ত্রশাস্ত্রে মননকে বলা হয় জ্ঞান-সাধনার মূল চাবিকাঠি। তন্ত্রে শুধু মন্ত্র জপ করলেই হয় না, মন্ত্রের অর্থ, শক্তি ও তত্ত্বের গভীর চিন্তন অপরিহার্য।

১. মন্ত্রসাধনায় মনন

মন্ত্র জপের আগে ও পরে মননে স্থিত হওয়া আবশ্যক, যাতে মন্ত্রের স্পন্দন শুধু উচ্চারণে সীমাবদ্ধ না থাকে, বরং চেতনায় প্রবিষ্ট হয়।

শাস্ত্র বলে—
“মন্ত্রার্থবিচারেণ মননং সিদ্ধিদায়কং।”
অর্থাৎ মন্ত্রের অর্থ নিয়ে মনন করলে তবেই সিদ্ধি সম্ভব।

২. দেবতাতত্ত্ব উপলব্ধি

তন্ত্রে প্রত্যেক দেবতা একটি শক্তির প্রতীক। শুধু পূজা করলেই হবে না, সেই শক্তির প্রকৃতি নিয়ে গভীর মনন জরুরি। যেমন—

কালী = কালাতীত তত্ত্ব

ত্রিপুরা = জাগ্রত, স্বপ্ন ও সুপ্ত তিন অবস্থার শক্তি
এইসব বুঝতে মনন অপরিহার্য, নাহলে পূজা বাহ্যিক স্তরে আটকে যাবে।

৩. গুরুবাক্য ও শাস্ত্রীয় জ্ঞান গ্রহণে

তন্ত্রে দীক্ষা নেওয়ার পর গুরু যা শিখান, তা শ্রবণ → মনন → নিদিধ্যাসন প্রক্রিয়ায় আত্মস্থ করতে হয়।

শ্রবণ: গুরু যা বললেন তা শোনা।

মনন: তার অর্থ বিচার করা, প্রশ্নের উত্তর খোঁজা।

নিদিধ্যাসন: সেই জ্ঞান নিয়ে ধ্যানে লীন হওয়া।

✅ যোগে মননের ভূমিকা

যোগে মনন হলো চিন্তার শুদ্ধিকরণ ও একাগ্রতা বৃদ্ধি।

প্রথম ধাপ (প্রত্যাহার): ইন্দ্রিয় সংযম করে মনকে অভ্যন্তরে ফেরানো।

দ্বিতীয় ধাপ (ধারণা): এক বিষয়ের ওপর মন স্থির করা।

মনন এই দুইয়ের মধ্যবর্তী সেতু—যাতে মন অভ্যন্তরমুখী হয়ে তত্ত্ব বিশ্লেষণ করে।

যোগসূত্রে ইঙ্গিত

পতঞ্জলি যোগসূত্রে বলা হয়েছে—
“তদ্ভাবিতঃ সমাধিঃ”
অর্থাৎ, বারবার মনন করলে সেই তত্ত্বই চেতনায় দৃঢ় হয়, এবং শেষে সমাধি লাভ হয়।

✅ মননের ফলাফল তন্ত্র-যোগে

✔ মন্ত্রসিদ্ধি সহজ হয়।
✔ দেবতার তত্ত্ব হৃদয়ে প্রকাশ পায়।
✔ সন্দেহ দূর হয়, দৃঢ় বিশ্বাস জন্মায়।
✔ ধ্যান গভীর ও স্থিতিশীল হয়।
✔ আত্মোপলব্ধি সম্ভব হয়।

09/09/2025
09/09/2025
09/09/2025

Address

Kolkata

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মা কল্যানেশ্বরী শক্তিপীঠ আশ্রম posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram