07/05/2025
মোহিনী একাদশী হল এক বিশেষ ও পবিত্র একাদশী, যা ভগবান বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে পালন করা হয়। বৈশাখ মাস ভগবান বিষ্ণুকে উৎসর্গ করা হয়, তাই এই একাদশীর মাহাত্ম্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৫ সালে মোহিনী একাদশী পড়েছে ৮ই মে। এই দিন শুধুমাত্র উপবাসের নয়, আত্মশুদ্ধি, আধ্যাত্মিক জ্ঞান ও মোক্ষের পথ প্রশস্ত করার এক বিশেষ সুযোগ।
এই একাদশীতে উপবাস ও পূজার গুরুত্ব এতটাই বেশি যে, একে সোনার দান বা বৃহৎ যজ্ঞের থেকেও ফলপ্রদ বলা হয়। মনে করা হয়, মোহিনী একাদশীর উপবাস বহু জন্মের পাপ থেকে মুক্তি দেয় এবং আধ্যাত্মিক জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করে।
পুরাণ অনুসারে কাহিনী
কূর্ম পুরাণে বর্ণিত আছে, কী ভাবে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ মহারাজ যুধিষ্ঠিরকে মোহিনী একাদশীর মাহাত্ম্য বর্ণনা করেন। গল্পটি বলে, কীভাবে বিষ্ণু মোহিনী রূপে অসুরদের ঠকিয়ে দেবতাদের মধ্যে অমৃত বিতরণ করেন। যদিও এই কৌশলকে ঠকানো বলা যেতে পারে, তবে এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিশ্বে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা হয় এবং ভবিষ্যতের মহাবিপদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
“মোহিনী” নামটি এসেছে ভগবান বিষ্ণুর এক অনন্য রূপ থেকে, যা তিনি গ্রহণ করেছিলেন সমুদ্র মন্থনের সময়। হিন্দু পুরাণ অনুসারে, দেবতাদের মধ্যে অমৃত বিতরণ করার সময় ভগবান বিষ্ণু মোহিনী রূপ ধারণ করে অসুরদের বিভ্রান্ত করেন এবং অমৃত কেবল দেবতাদের প্রদান করেন। এই ঘটনা শুধু এক অলৌকিক কাহিনী নয়, এটি ধর্মের জয় ও সত্যের প্রতিষ্ঠার প্রতীক।
মোহিনী একাদশীর তাৎপর্য
“মোহিনী” নামটি এসেছে ভগবান বিষ্ণুর এক অনন্য রূপ থেকে, যা তিনি গ্রহণ করেছিলেন সমুদ্র মন্থনের সময়। হিন্দু পুরাণ অনুসারে, দেবতাদের মধ্যে অমৃত বিতরণ করার সময় ভগবান বিষ্ণু মোহিনী রূপ ধারণ করে অসুরদের বিভ্রান্ত করেন এবং অমৃত কেবল দেবতাদের প্রদান করেন। এই ঘটনা শুধু এক অলৌকিক কাহিনী নয়, এটি ধর্মের জয় ও সত্যের প্রতিষ্ঠার প্রতীক।
এই একাদশীতে উপবাস ও পূজার গুরুত্ব এতটাই বেশি যে, একে সোনার দান বা বৃহৎ যজ্ঞের থেকেও ফলপ্রদ বলা হয়। মনে করা হয়, মোহিনী একাদশীর উপবাস বহু জন্মের পাপ থেকে মুক্তি দেয় এবং আধ্যাত্মিক জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করে।
পুরাণ অনুসারে কাহিনী
কূর্ম পুরাণে বর্ণিত আছে, কী ভাবে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ মহারাজ যুধিষ্ঠিরকে মোহিনী একাদশীর মাহাত্ম্য বর্ণনা করেন। গল্পটি বলে, কীভাবে বিষ্ণু মোহিনী রূপে অসুরদের ঠকিয়ে দেবতাদের মধ্যে অমৃত বিতরণ করেন। যদিও এই কৌশলকে ঠকানো বলা যেতে পারে, তবে এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিশ্বে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা হয় এবং ভবিষ্যতের মহাবিপদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
এই কাহিনী আমাদের শেখায়—বুদ্ধিমত্তা, আত্মত্যাগ ও ঈশ্বরীয় হস্তক্ষেপ কী ভাবে ধর্ম প্রতিষ্ঠা করে।
কী ভাবে পালন করবেন মোহিনী একাদশী
উপবাস: এই দিনে নীরজল (জল ছাড়া), ফলাহার (শুধু ফল) বা সত্ত্বিক আহার নিয়ে উপবাস পালন করা হয়। অনেকেই উপবাস শুরু করেন আগের দিন সন্ধ্যা থেকে।
পুজো ও প্রার্থনা: ভোরে উঠে শুচি হয়ে প্রার্থনা করুন। তুলসীপাতাসহ ভগবান বিষ্ণুকে ভোগ নিবেদন করুন। “ওঁ নমো ভগবতে বাসুদেবায়” মন্ত্র জপ করতে পারেন।
দান ও সেবা: দুঃস্থদের সাহায্য করুন, খাদ্য বা বস্ত্র দান করুন। এতে উপবাসের পূণ্য আরও বৃদ্ধি পায়।
উপবাসের সমাপ্তি: পরের দিন সঠিক মুহূর্তে (পরন) উপবাস ভঙ্গ করা হয়।
মোহিনী একাদশী শুধুই উপবাসের দিন নয়, এটি নিজেকে আত্মসমীক্ষার মাধ্যমে শুদ্ধ করার সুযোগ। এই দিনে নিজের নেতিবাচক চিন্তা, অভিমান, রাগ – সবকিছু থেকে মুক্ত হয়ে, ভগবান বিষ্ণুর মোহিনী রূপের প্রতি ভক্তি ও শ্রদ্ধা নিবেদন করুন। ঈশ্বরের কৃপা, শান্তি ও আশীর্বাদ আপনার জীবনে প্রবাহিত হোক। #একাদশী_বার্তা #মোহিনী_একাদশী_ব্রত_মাহাত্ম্য
https://www.facebook.com/share/r/1DWe7ca8F6/