23/06/2025
স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে আবেগঘন কিছু কথা
একটা বিষয় অনেক দিন ধরে পর্যবেক্ষণ করছি
এই সমাজে স্বেচ্ছাসেবীরা পঞ্চম শ্রেণির নাগরিক বলে মনে হয়েছে আমার কাছে,
কিছু উদাহরণ দিলেই বুঝতে পারবেন
অক্সিজেন লাগবে -- অমুক স্বেচ্ছাসেবী কে ফোন
করো
রক্ত লাগবে -- অমুক স্বেচ্ছাসেবীকে ফোন করো
তমুকের বাসায় খাবার নেই ---অমুক স্বেচ্ছাসেবী কে ফোন করো
পাশের গ্রামের অমুক বাড়ির একজনের পোশাক নেই তমুক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে ফোন করুন।
একজন ব্যক্তি হারিয়ে গেছে অমুক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে ফোন করুন সহযোগিতা পাওয়া যাবে।
পঁচা গলা একটা রোগী পড়ে আছে -- অমুক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কে ফোন করো
অমুক ক্যান্সার রোগীর জন্য টাকা উঠাতে হবে ---তমুক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কে ফোন করো
এতকিছু করার পরেও সমাজের একশ্রেণীর মানুষ
স্বেচ্ছাসেবীদেরকে ভীষণ বাঁকা চোখে দেখেন,
মনে করে এটাই আমাদের পেশা আমাদের চাকরি,
কিন্তু দিনশেষে রিকশাভাড়ার অভাবে
আধার রাতে পায়ে হেঁটে ঘরে ফেরা মানুষ গুলোই স্বেচ্ছাসেবী,
তারপরেও রক্তের জন্য পোস্ট করলে সাড়া নেই
রোগীর জন্য পোস্ট করলে কমেন্টস নাই লাইক নাই
আমাদের পোস্ট সামনে যাওয়া মাত্রই বেশিরভাগ মানুষই ইগনোর করে চলে যান
অনেক সময় স্বেচ্ছাসেবীদেরকে অনেক ছোট হতে হয়
কাউকে একটা কর্মসংস্থান করে দেয়ার জন্য, ছাগল কিনে দেয়ার জন্য, সেলাই মেশিন কিনে দেয়ার জন্য,
কোন রোগীকে সহযোগিতা করার জন্য,
কখনোই কিন্তু নিজের জন্য না,
অথচ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খেয়াল করবেন।
tiktoker, ফুড ব্লগার, কন্টেন্ট ক্রিয়েটর,গানের শিল্পী নাচের শিল্পী সবখানেই তাদের জয়জয়কার,
সমাজের কাছে তাদের কোন জবাবদিহিতা নাই,
যেখানে আমাদের একটা রক্তের পোস্টে
আট দশটার বেশি লাইক পড়ে না
সেখানে এসব কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের সামান্য একটা পোস্টে হাজার হাজার লাইক কমেন্টস হাজার হাজার ফলোয়ার,
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বেচ্ছাসেবীদের কপালে জোটে কেবল অপমান অবহেলা,
নিজের পড়াশোনা ক্যরিয়ার সবকিছু একপাশে রেখে
মানুষের সেবা করায়ই যাঁদের নেশা
পদে পদে তাঁরা অপমানিত,
সকাল থেকে কত শত ফোন রক্ত লাগবে
অক্সিজেন লাগবে,
ক্যান্সার রোগী, কিডনি রোগে,
পঁচা গলা রোগীর জন্য টাকা উঠাতে হবে, চিকিৎসা করাতে হবে,বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্সেবা লাগবে,
অবশেষে সব কিছু মিলিয়ে যেটা দেখলাম
স্বেচ্ছাসেবীদের কেউই ভালো চোখে দেখেন না
না পরিবার
না সমাজ
না রাষ্ট্র
কপি পেস্ট
"RMR HUMAN RIGHTS COUNCIL OF INDIA"