Dr. Joydeb Singha

Dr. Joydeb Singha I am a Hematologist & Hemato-Oncologist, Youtuber and Nature enthusiast! Currently I am attached to Neotia Getwel Multi-speciality Hospital, Siliguri.

রক্তক্ষরণজনিত রোগ: কোন লক্ষণগুলো সতর্ক হওয়ার ইঙ্গিত দেয়?রক্ত আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কোনো আঘাত লাগলে ...
01/12/2025

রক্তক্ষরণজনিত রোগ: কোন লক্ষণগুলো সতর্ক হওয়ার ইঙ্গিত দেয়?

রক্ত আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কোনো আঘাত লাগলে রক্তপাত বন্ধ করার জন্য শরীরে বিশেষ ব্যবস্থা থাকে, যাকে বলা হয় ‘ক্লটিং সিস্টেম’। কিন্তু কোনো কারণে এই ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে গেলে সহজেই রক্তপাত শুরু হয় এবং থামতেও দেরি হয়। এটিকেই সাধারণভাবে ‘ব্লিডিং ডিজঅর্ডার’ বলা হয়। চিকিৎসকদের মতে, এই ধরনের সমস্যার লক্ষণগুলো আগে থেকেই চিনে নিতে পারলে বড় জটিলতা এড়ানো সম্ভব।

১. বারবার নাক থেকে রক্ত পড়া:

আঘাত না লাগলেও নাক দিয়ে ঘনঘন রক্ত পড়া ব্লিডিং ডিজঅর্ডারের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।

২. সামান্য আঘাতেই বড় কালশিটে:

হালকা ধাক্কা, টেবিলে হাত লেগে যাওয়া বা ব্যাগের স্ট্র্যাপ ঘষা—এই ধরনের স্বাভাবিক ঘটনায় শরীরে বড় আকারের নীল বা বেগুনি দাগ (ব্রুইজ) হয়ে গেলে তা অস্বাভাবিক। রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতা কমে গেলে এমন দাগ সহজেই তৈরি হয়।

৩. দাঁত ব্রাশ করার সময় মাড়ি থেকে রক্ত:

মাড়ি থেকে সামান্য রক্ত পড়া সাধারণ সমস্যা হলেও প্রতিদিন বা খুব অল্প চাপেই যদি রক্তক্ষরণ হয়, তাহলে তা শরীরের ক্লটিং সিস্টেমে সমস্যা নির্দেশ করতে পারে।

৪. মেয়েদের অতিরিক্ত বা দীর্ঘ সময়ের মাসিক রক্তপাত:

প্রজননক্ষম নারীদের মধ্যে অত্যধিক মাসিক রক্তপাত (যা সাত দিনের বেশি স্থায়ী হয় বা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি) ব্লিডিং ডিজঅর্ডারের অন্যতম পরিচিত লক্ষণ। অনেকে এটিকে সামান্য সমস্যা বলে এড়িয়ে যান, কিন্তু এটি চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

৫. আঘাত বা অস্ত্রোপচারের পর রক্তপাত থামতে দেরি:

কাটা, সামান্য সার্জারি, দাঁত তোলা বা ইনজেকশন নেওয়ার পর বহুক্ষণ রক্তপাত চলতে থাকলে তা অবশ্যই সতর্ক হওয়ার কারণ। স্বাভাবিক অবস্থায় রক্ত কয়েক মিনিটের মধ্যে জমাট বাঁধা শুরু করে।

৬. প্রস্রাব বা পায়খানায় রক্ত দেখা:

পায়খানায় কালো রঙের মল (ডাইজেস্টেড ব্লাড), উজ্জ্বল লাল রক্ত বা প্রস্রাব লালচে—এসবই শরীরের ভিতরে অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণের লক্ষণ। জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা প্রয়োজন।

৭. জোড়ায় ব্যথা বা ফোলা:

কিছু ব্লিডিং ডিজঅর্ডারে, বিশেষ করে হিমোফিলিয়ায়, শরীরের ভিতরে জোড়া বা পেশীতে রক্তক্ষরণ হয়। এতে আকস্মিক ব্যথা, ফোলা ও নড়াচড়া করতে অসুবিধা দেখা দিতে পারে।

কি করণীয়?

- এই ধরনের লক্ষণ বারবার দেখা দিলে দ্রুত রক্ত পরীক্ষা করানো উচিত।

- পরিবারের কেউ ব্লিডিং ডিজঅর্ডারে ভুগলে অন্য সদস্যদেরও পরীক্ষা করা প্রয়োজন।

রক্তক্ষরণজনিত রোগ অনেকসময় জন্মগত, আবার অনেকসময় ওষুধ, সংক্রমণ বা অন্যান্য অসুখের কারণে দেখা দেয়। তাই লক্ষণগুলো অবহেলা না করে প্রাথমিক অবস্থায়ই চিকিৎসা নিলে জটিলতা কমানো সম্ভব।

Q. লো প্লেটলেট কাউন্টের লক্ষণ: কীভাবে চিনবেন?প্লেটলেট রক্তের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে সা...
30/11/2025

Q. লো প্লেটলেট কাউন্টের লক্ষণ: কীভাবে চিনবেন?

প্লেটলেট রক্তের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরে কোনও আঘাত লাগলে প্লেটলেট দ্রুত সেই স্থানটিতে গিয়ে রক্ত জমাট বাঁধায় এবং রক্তপাত থামাতে সাহায্য করে। তাই প্লেটলেটের সংখ্যা কমে গেলে শরীরে এর স্পষ্ট কিছু সংকেত দেখা দেয়। এই নিবন্ধে আমরা সাধারণ মানুষের জন্য লো প্লেটলেট কাউন্টের প্রধান লক্ষণগুলো সহজ ভাষায় তুলে ধরছি।

১. ত্বকে হঠাৎ বা অকারণে দাগ (পিটেকিয়া ও পুরপুরা):

লো প্লেটলেটের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হলো ত্বকের ওপর ছোট ছোট লাল অথবা বেগুনি দাগ। এগুলোকে পিটেকিয়া বলা হয়। অনেক সময় বড় দাগ বা ক্ষতচিহ্নের মতো দাগও দেখা যেতে পারে, যাকে পুরপুরা বলা হয়। এ ধরনের দাগ সাধারণত চাপ দিলে মিলিয়ে যায় না।

২. সহজে রক্তপাত হওয়া:

প্লেটলেট কমে গেলে খুব ছোট আঘাতেও রক্তপাত অনেক বেশি হয়। রান্নাঘরে ছোট ছুরির কাটে, শেভ করার সময়, বা সাধারণ আঁচড়েও রক্তপাত দীর্ঘক্ষণ চলতে পারে। এমনকি অনেক সময় নাক থেকে হঠাৎ রক্ত পড়া বা মাড়ি থেকে রক্তপাতও দেখা যায়।

৩. বেশি সময় ধরে মাসিক হওয়া (মহিলাদের ক্ষেত্রে):

যেসব মহিলাদের প্লেটলেট কম থাকে, তাদের মাসিকের রক্তপাত স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হতে পারে এবং অনেক সময় এটি কয়েকদিন বেশি স্থায়ী হয়। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্ক সংকেত, যা অবহেলা করা উচিত নয়।

৪. শরীরে সহজে আঘাতের দাগ পড়া (ব্রুইজিং):

খুব সামান্য ধাক্কা লাগলেও শরীরে নীলচে বা বেগুনি রঙের দাগ পড়ে যেতে পারে। অনেক সময় মানুষ বুঝতেই পারে না যে কোথায় আঘাত লাগল, কিন্তু শরীরে দাগ দেখা যায়। এটি প্লেটলেটের ঘাটতির কারণে রক্তনালিগুলো দ্রুত ফেটে যাওয়ার ফল।

৫. দুর্বলতা ও ক্লান্তি:

প্লেটলেট কম থাকার কারণে শরীরের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ বা অতিরিক্ত রক্তপাত হতে পারে, যা ক্লান্তি ও দুর্বলতা সৃষ্টি করে। অনেকেই মাথা ঘোরা বা শক্তি কমে যাওয়ার অনুভূতি পান।

৬. প্রস্রাব বা মলে রক্ত:

প্লেটলেট খুব কমে গেলে প্রস্রাবের সঙ্গে বা মলের সঙ্গে রক্ত যেতে পারে। এটি বিপজ্জনক লক্ষণ এবং দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া জরুরি।

৭. দাঁতের ব্রাশ করার সময় রক্ত পড়া:

স্বাভাবিকভাবে ব্রাশ করার পর যদি প্রতিদিনই মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে, তাহলে সেটিও প্লেটলেট কমে যাওয়ার একটি ইঙ্গিত।

৮. অভ্যন্তরীণ রক্তপাতের লক্ষণ:

প্লেটলেট অত্যন্ত কম হলে পেট ব্যথা, মাথাব্যথা, দৃষ্টিবিভ্রম, বা হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে—যা অভ্যন্তরীণ রক্তপাতের লক্ষণ হতে পারে এবং এটি জরুরি অবস্থা।

কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?

যদি উপরোক্ত লক্ষণগুলোর কোনওটি দেখা যায়—বিশেষ করে পুনঃপুন নাকের রক্তপাত, ত্বকে অকারণে দাগ, বা বেশি সময় ধরে রক্তপাত—তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। রক্ত পরীক্ষা (CBC) করলে প্লেটলেট কাউন্ট জানা যায় এবং প্রয়োজন হলে চিকিৎসা শুরু করা যায়।

অনেকদিন পর যখন দুই বন্ধুর দেখা হয়😊
30/11/2025

অনেকদিন পর যখন দুই বন্ধুর দেখা হয়😊

স্বাভাবিক রক্তগঠনে যে ভিটামিনগুলি জরুরি:মানবদেহে রক্তের কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ— অক্সিজেন পরিবহন, সংক্রমণ প্রতিরোধ, পুষ...
29/11/2025

স্বাভাবিক রক্তগঠনে যে ভিটামিনগুলি জরুরি:
মানবদেহে রক্তের কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ— অক্সিজেন পরিবহন, সংক্রমণ প্রতিরোধ, পুষ্টি সরবরাহ ও বর্জ্য অপসারণ সবকিছুই রক্তের মাধ্যমে হয়। তাই স্বাভাবিক রক্তগঠনের জন্য কিছু নির্দিষ্ট ভিটামিনের উপস্থিতি অপরিহার্য। এই ভিটামিনগুলির অভাবে রক্তশূন্যতা, দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। নিচে রক্তগঠনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রধান ভিটামিন ও তাদের উৎস নিয়ে আলোচনা করা হলো।
১. ভিটামিন বি১২ (Vitamin B12):
ভিটামিন বি১২ লাল রক্তকণিকা তৈরির প্রধান উপাদান। হাড়ের মজ্জায় রক্তকণিকা গঠনের সময় ডিএনএ তৈরি করতে এই ভিটামিন সাহায্য করে। অভাব হলে: মেগালোব্লাস্টিক অ্যানিমিয়া, হাত-পা অবশ হওয়া, দুর্বলতা, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া। যে খাবারে পাওয়া যায়: ডিম, দুধ, দই, মাছ, মাংস, লিভার। যারা সম্পূর্ণ নিরামিষভোজী, তাদের মধ্যে এই ভিটামিনের ঘাটতি বেশি দেখা যায়— তাই প্রয়োজন হলে পরামর্শমতো সাপ্লিমেন্ট নিতে হয়।
২. ফোলেট বা ভিটামিন বি৯ (Folate / Vitamin B9):
ফোলেট নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে, বিশেষ করে লাল রক্তকণিকার ক্ষেত্রে এর ভূমিকা বিশাল। অভাব হলে: ফোলেট-ডিফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়া, ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, জিভ ফুলে যাওয়া। খাদ্য উৎস: পালং শাক, ঢেঁড়স, ব্রকলি, কলা, ডাল, বাদাম, কমলা, অ্যাভোকাডো, পূর্ণ শষ্যজাত খাদ্য। গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে ফোলেট বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি শিশুর মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডের গঠনে সহায়তা করে।
৩. ভিটামিন বি৬ (Vitamin B6):
ভিটামিন বি৬ দেহে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে। হিমোগ্লোবিনের মাধ্যমেই রক্ত অক্সিজেন বহন করে। অভাব হলে: রক্তাল্পতা, ত্বক খসখসে হওয়া, হাত-পায়ে ঝিনঝিন ভাব। উৎস: মাছ, কলা, আলু, ছোলা, বাদাম, সoya খাবার, মুরগির মাংস।
৪. ভিটামিন সি (Vitamin C):
ভিটামিন সি সরাসরি রক্তকণিকা তৈরি করে না, কিন্তু এটি লৌহ (আয়রন) শোষণ বাড়ায়। লৌহ হলো হিমোগ্লোবিন তৈরির মূল উপাদান, তাই ভিটামিন সি-এর উপস্থিতি পরোক্ষভাবে রক্তগঠন বাড়ায়। অভাব হলে: আয়রন শোষণ কমে গিয়ে রক্তশূন্যতা হতে পারে। উৎস: লেবু, কমলা, আমড়া, কিউই, টমেটো, কাঁচা মরিচ, আমলকি— আমলকি হলো ভিটামিন সি-এর অন্যতম সেরা উৎস।
৫. ভিটামিন এ (Vitamin A):
ভিটামিন এ হাড়ের মজ্জার কোষকে স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে এবং প্রতিরোধ ক্ষমতাও উন্নত করে। অভাব হলে: সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে, রক্তকণিকা গঠনে সমস্যা হতে পারে। উৎস: গাজর, মিষ্টি কুমড়ো, লাল শাক, কলিজা, ডিম, দুধ।
কেন এসব ভিটামিন জরুরি?
স্বাভাবিক রক্তগঠনের জন্য দেহে লোহা, প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ একসঙ্গে কাজ করে। ভিটামিনগুলো এই প্রক্রিয়াকে চালু রাখে—
-ডিএনএ তৈরিতে সাহায্য করে,
- হিমোগ্লোবিন তৈরি করে,
- কোষকে সঠিকভাবে বিভাজন করতে শেখায়,
এবং আয়রন শোষণে সহায়তা করে।
দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন রঙের সবজি, ফল, ডাল, মাছ-মাংস, ডিম, দুধ রাখলে এই ভিটামিনগুলোর বেশিরভাগই সহজে পাওয়া যায়। যাদের দীর্ঘদিন রক্তশূন্যতা থাকে বা নিরামিষভোজী, বয়স্ক বা গর্ভবতী, তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শে সাপ্লিমেন্ট প্রয়োজন হতে পারে। সঠিক ভিটামিন গ্রহণ রক্তকে সুস্থ রাখে, শরীরকে শক্তি দেয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

When your OPD is about to end for today!😊
29/11/2025

When your OPD is about to end for today!😊

Address

Siliguri

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Joydeb Singha posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Joydeb Singha:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram