20/11/2024
#প্রোডাক্টসম্পর্কিতবিস্তারিত ♣ Magnessa Nutrigreens♣
♦ম্যাগনেসা নিউট্রিগ্রীন একটি ইউনিক এবং মিরাকেল পন্য।
মানব দেহের জন্যে অনেক বেশী উপকারী এইরকম বহু ভেষজ উপাদানের সমন্বয়ে ম্যাগনেসা তৈরী করেছে এই সেরা পণ্যটি।
ম্যাগনেসা নিউট্রিগ্রীন এর কিছু উপাদানের উপকারিতা নিম্নে দেয়া হলো:
♦ স্পিরুলিনা:
স্পিরুলিনাকে বলা হয় পৃথিবীর সুপার ফুড, যা প্রোটিনের এক বিরাট উৎস হিসেবে কাজ করে।
জাপানিরা বেশিদিন বেঁচে থাকার একমাত্র জাদুকাঠি হলো এই স্পিরুলিনা।
> ৬০-৬৫% উদ্ভিজ্জ আামিষ স্পিরুলিনায় আছে যা কিনা মাংসের চাইতে ৪-৫ গুণ বেশি।
> স্পিরুলিনায় অধিক পরিমানে প্রোটিন, ভিটামিন, লৌহ ও একাধিক খণিজ পদার্থ থাকে।
> স্পিরুলিনা দেহের শক্তি যোগায় প্রচুর পরিমাণে।
> স্পিরুলিনা একটি শক্তিবর্ধক সম্পূরক খাদ্য।
> ওজন হ্রাসে স্পিরুলিনা সহায়ক।
> স্পিরুলিনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
> রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার হ্রাস করতে সাহায্য করে।
> স্পিরুলিনা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।
> স্পিরুলিনা নিয়মিত খেলে দৈনন্দিন পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে পুষ্টিহীনতা, রক্তশূন্যতা, রাতকানা, উচ্চ রক্তচাপ, আলসার, বাত, হেপাটাইটিস ও ক্লান্তি দূর হবে।
> দিনে মাত্র ১০ গ্রাম স্পিরুলিনা খেয়ে দৈনিক আমিষ চাহিদার ৭০% মেটানো সম্ভব।
> ক্ষতিকর সব টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।
@গুণধর স্পিরুলিনায় আছে-
> আয়রন – পালং শাকের থেকে ২৩ গুণ বেশী।
> বিটা ক্যরোটিন – গাঁজর থেকে ৩৯ গুণ বেশী।
> ক্যালশিয়াম – দুধের থেকে ২৬ গুণ বেশী।
> প্রোটিন – সয়াবিন থেকে ৩.৭০ গুণ বেশী।
> স্প্রিরুলিনায় ওমেগা ৩. ৬ ও ৯ আছে।
> গর্ভবতী মহিলাদের জন্য এটা বেশ কার্যকরী।
> স্পিরুলিনায় রয়েছে উচ্চ মাত্রায় বি ক্যারোটিন এবং আরও ১০টি ক্যারোটিনওয়েড যা বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার ও টিউমারের বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করে।
> আর্সেনিক জনিত চর্মরোগ সম্পূর্ণরূপে উপশম করে স্পিরুলিনা।
এছাড়াও স্পিরুলিনার আরো শত গুণাবলী রয়েছে।
♦ মেথি:
> মেথি ওজন কমাতে বেশ কার্যকর।
> নিয়মিত মেথি খেলে সর্দিকাশি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
> জ্বর, গলাব্যথা সারাতে পারে মেথি উপকারী।
> চুল পড়া ঠেকাতে মেথি খেলে উপকার পাওয়া যায়।
> পেট জ্বালা বা হজমে সমস্যায় কার্যকর, এতে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে, যা শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদান দূর করে। মেথি পেপটিক আলসার সারিয়ে তুলতেও সাহায্য করে।
> ডায়াবেটিস রোগের জন্য খুব ভালো এই মেথি।
> নিয়মিত মেথি খেলে পেটে কৃমি হয় না। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে।
> রক্তস্বল্পতা ও অ্যানিমিয়া রোগের পথ্য হিসেবে কাজ করতে পারে মেথি।
> মাতৃদুগ্ধ বাড়াতে ওষুধের বিকল্প হলো মেথি। সদ্য মা হওয়া নারীর জন্য মেথি উপকারী।
> ক্যানসার প্রতিরোধে কাজ করে মেথি, বিশেষ করে স্তন ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধের জন্য মেথি কার্যকর। মেনোপজ হলে নারীর শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন আসে। হরমোনের এই পরিবর্তনের কালে মেথি ভালো একটি পথ্য।
> মেথি পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে সক্ষম।
♦অশ্বগন্ধা:
> সর্দি-কাশি; গ্যাস, পেট ফাঁপা, আলসার, গ্যাস্ট্রিক এবং পেটের ব্যথা কমাতে অশ্বগন্ধা ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
> অশ্বগন্ধা গাছের রস শক্তিবর্ধক, শুক্রাণু বাড়াতে অশ্বগন্ধার ভূমিকা অপরসীম।
> মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় অশ্বগন্ধা
> ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।
> রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
> ক্ষত নিরাময়ে সহায়ক।
> নিদ্রা গাঢ় করে।
> যৌন ক্ষমতা বাড়াতে অশ্বগন্ধা সাহায্য করে।
> থাইরয়েড সমস্যায় ভূমিকা রাখে।
> হৃদযন্ত্রের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
> অ্যাড্রিনাল ফেটিগ প্রতিরোধ করে।
>বত্বকের জন্য উপকারী অশ্বগন্ধা।
♦আমলকী :
পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকিতে পেয়ারার চেয়ে ১০ গুণ ও কাগজি লেবুর চেয়ে ৩ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। এছাড়া আমলকিতে কমলার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। একজন বয়স্ক লোকের প্রতিদিন ৩০ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ দরকার। এই পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ দিনে দুটো আমলকি খেলেই এসে যায়।
এছাড়াও আরো বহুবিদ উপকার আছে এই আমলকীতে।
♦তুলসী :
তুলসী গাছের পাতা, বীজ, বাকল ও শেকড় সবকিছুই অতি প্রয়োজনীয়। ঔষধিগুণের এই তুলসী বিভিন্ন রোগ সারাতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
ফুসফুসের দুর্বলতা, কাশি, কুষ্ঠ, শ্বাসকষ্ট, সর্দিজ্বর, চর্মরোগ, বক্ষবেদনা ও হাঁপানি, হাম, বসন্ত, কৃমি, ঘামাচি, রক্তে চিনির পরিমাণ হ্রাস, কীটের দংশন, কানব্যথা, ব্রংকাইটিস, আমাশয় ও অজীর্ণে তুলসী দিয়ে তৈরি ওষুধ বিশেষভাবে কার্যকরী।
মুখের রুচি বাড়াতে ; মাথা ব্যথা ও শরীর ব্যথা কমাতে; শারীরিক ও মানসিক অবসাদ দূর করে এবং মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়ানো সহ বহুবিদ উপকারে তুলসী অন্যন্য।
♦ হলুদ:
>হৃদ্যন্ত্রকে রক্ষা করে হলুদ।
> ক্যানসার ঠেকাতে সাহায্য করে।
> হলুদের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান রক্তকণিকাকে নিরাপদ রাখে। ফলে স্তন ক্যানসার, পাকস্থলী, কোলন ও ত্বকের ক্যানসার তৈরি হতে পারে না।
> মস্তিষ্কের ক্ষয়জনিত সমস্যা রোধ করে।
> যকৃৎ সুরক্ষিত রাখে হলুদ।
> শ্বাসক্রিয়াকে শক্তিশালী করে।
> গবেষণায় দেখা গেছে, রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম হলুদের কারকিউমিন। অ্যালার্জি, হাঁপানি, ব্রংকাইটিস বা কাশি, ঠান্ডা ও কফের সমস্যায় হলুদ কার্যকরী।
> নিয়মিত পিরিয়ড নিশ্চিত করে; অনিয়মিত মাসিক রোধ, হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ–বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে হলুদের কারকিউমিন। এই উপাদান পিরিয়ডের আগে ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে থাকে।
এছাড়াও আরো নানা প্রকার ভেষজ উপাদান রয়েছে ম্যাগনেসা নিউট্রিগ্রীনে যেমন-
বার্লি ঘাস ; তীল বীজ ; শন বীজ ; সূর্যমুখী বীজ;
গমগাছ; পিপ্পালী এবং আজওয়াইনের মতো ভেষজ।
যেখানে প্রতিটি Ingredients এর আলাদা আলাদা বহুবিদ উপকার রয়েছে।
তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় ম্যাগনেসা নিউট্রিগ্রীন একটি অদ্বিতীয় পণ্য।
ম্যাগনেসা নিউট্রিগ্রীন এর মাধ্যমে আপনি পেতে পারেন একটি সুস্থ্য স্বাস্থ্য-সম্মত জীবন-ধারা।
MAGNESSA NUTRIGREEN
M.R.P: 1475