Sadhanagyan International Meditation Center.

Sadhanagyan International  Meditation Center. "This Is Theravada Vipasana Meditation Center for relip from all kind's of suffering & Depression.

07/10/2025
07/09/2025

ভণ্ড হলে জীবনে কষ্ট পায়।

বীরপুদি চাকমা তাঁর মায়ের সাথে দেখা করতে ভাইয়ের বাড়ীতে বেড়াতে রেইংখ্যা কাংড়াছড়িতে যান সময়ান্তরে। সঙ্গে নেন মাতৃভক্ত পুত্র রথীন্দ্রকে। ভাইয়ের বাড়ী বলতে বড় ভাই বীরবাহুর বাড়ী। কারণ সেখানে মাতা ছরবী চাকমা অবস্থান করেন; অন্যদিকে এ ভাইটি বেশ অবস্থাপন্নও। কয়েকদিন অবস্থান করে তবেই বাড়ী ফিরে আসেন। সে-সময় রথীন্দ্রও মায়ের সাথে অবস্থান করেন মামার বাড়ীতে। রথীন্দ্রের প্রায় সমবয়সী (মাত্র ১০ মাসের ছোট) অপর এক কিশোর তেজেন্দ্র চাকমাও সে বাড়ীতে থাকতেন। তেজেন্দ্র হল বীরবাহুর ছোট ভাই তরণীর ছেলে। অর্থাৎ রথীন্দ্রের মামাতো ভাই। তেজেন্দ্র তাঁর জেটা বীরবাহুর গরুগুলো চড়াতেন। আত্মীয়তার খাতিরে রথীন্দ্রও তাঁর সাথে গরু চরাতে যেতেন। অবশ্য মামা বীরবাহুর কাছ থেকে উৎসাহও পেতেন। তাদের জন্য থাকত বিশেষ ছাড়! গাভীগুলোর দুধ বিক্রি করে যত পাওয়া যাবে, সব টাকা তাদের দুজনের। সেখানে মামা ভাগ বসাবেন না।

বীরবাহু চাকমার বাড়ীর সামনে রেইংখ্যং নদের চড় আর পিছনে কাংড়াছড়ি। এই রেইংখ্যং নদ ও কাংড়াছড়িতে প্রচুর মাছ, চিংড়িমাছ পাওয়া যায়। অনেকেই সন্ধ্যায় এ নদে ও ছড়াতে ‘তুষ-পোড়া’ খাদ্য দিয়ে “ডুবচাঁই” পেতে রেখে মাছ, চিংড়ি ধরে। বীরবাহূর বাড়ী থেকেও সেটা করা হয় প্রতি সন্ধ্যায়। সকালে সেই “ডুবচাঁই” তুলে আনার দায়িত্ব বর্তায় তেজেন্দ্রে ওপর। তবে যখন রথীন্দ্ররা বীরবাহুর বাড়ীতে বেড়াতে যায়, তখন সেই নিয়ম পালটায়। সেসময় ডুবচাঁই তুলে আনার দায়িত্ব বর্তায় একদিন তেজেন্দ্রের তো অন্যদিন রথীন্দ্রের। রথীন্দ্রকে অনিচ্ছাসত্ত্বেও দায়িত্ব পালন করতে হয়। দেখা যায়, যেদিন তেজেন্দ্র “ডুবচাঁই” তুলতে যান, সেদিন প্রচুর মাছ, চিংড়ি ধরা পড়েছে। খুশি হয়ে জেটা তাকে প্রশংসাও করেন। কিন্তু যেদিন রথীন্দ্র “ডুবচাঁই” তুলতে যান, সেদিন অল্পমাত্র মরা মাছ, চিংড়ি নিয়ে ফিরে আসেন। একবার-দুইবার-তিনবার একই ঘটনা ঘটলে সবার মনে প্রশ্ন জাগল। রথীন্দ্র কেন কম মাছ, চিংড়ি পাই, তাও সবগুলো মরা। ফলশ্রুতিতে একদিন তেজেন্দ্র চুপি চুপি রথীন্দ্রের পিছু নেন। আর আড়ালে লুকিয়ে থেকে দেখতে লাগলেন ঘটনা কী। দেখলেন, রথীন্দ্র “ডুবচাঁই” হতে আস্তে আস্তে মাছ, চিংড়িগুলো বের করলেন। তারপর যেই মাছ, চিংড়ি জ্যান্ত সেগুলো সবই পানিতে ছেড়ে দিলেন পরম মমতায়। কেবল মরা মাছ, চিংড়িগুলো নিলেন। তেজেন্দ্র বাড়ীতে ফিরে এসে রথীন্দ্রের জ্যান্ত মাছ, চিংড়ি ছেড়ে দেওয়ার বোমটা ফেটে দিলেন। কিছুক্ষণ পরে রথীন্দ্র আগের মতো অল্পমাত্র মরা মাছ, চিংড়ি নিয়ে ফিরে আসলেন। আর যায় কই! মামা বীরবাহু গম্ভীর স্বরে বলে উঠলেন, “ভণ্ড! ভণ্ড! ভণ্ড হলে জীবনে কষ্ট পায়”। কিন্তু রথীন্দ্র তো জেনে-শুনে প্রাণিহত্যা করেন না।

07/08/2025
07/06/2025

ন হি সো উপক্কমো অত্থি, যেন জাতা ন মিয্যরে,
জরম্পি পত্বা মরণং, এবং ধম্মা হি পাণিনো। ২

অর্থাৎ,____ যাহারা জন্মিয়াছে তাহাদের এমন কোন উপায় নাই যাহা দ্বারা তাহারা মরণ হইতে পরিত্রাণ পাইতে পারে, জরার পর মৃত্যু, ইহাই প্রাণীর ধর্ম্ম।
সুত্ত নিপাত- সল্ল সুত্ত
(সাধনানন্দ মহাথের বনভান্তেকৃত অনুবাদ-1987)

07/05/2025

"পবিত্র বর্ষাবাস কাল"

       লিখেছেনঃ ৰিনয়াচার ভিক্ষু

বর্ষাবাস ঘনিয়ে আসলো। আর মাত্র পাঁচটি বাকি। ভাবছি, এই বর্ষাবাস নিয়ে কিছু লেখা যেতে পারে। কেন এই বর্ষাবাস, কোথা থেকে এর উৎপত্তি, ভিক্ষুদের জীবনে এর গুরুত্বই বা কতটুকু, এসব নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত, অথচ মননস্পর্শী আলোচনা করতে চাই।
১. বর্ষাবাসের উৎপত্তি:
সেই সময় ভগবান বুদ্ধ রাজগৃহে, বেণুবনে কলন্দকনিবাপে অবস্থান করছিলেন। তখনো তিনি ভিক্ষুদের জন্য বর্ষাবাসের কোনো নির্দিষ্ট বিধান দেননি। ফলে ভিক্ষুরা হেমন্ত, গ্রীষ্ম ও বর্ষা, এই তিন ঋতুতেই রাস্তাঘাটে চলাফেরা করছিলেন। অর্থাৎ অনবরত যাত্রা করতেন।
তাদের এই বিচরণ দেখে জনসাধারণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তারা সমালোচনা করতে লাগল এবং প্রকাশ্যে বলতে শুরু করল, “কেন শাক্যপুত্রীয় শ্রমণেরা হেমন্ত, গ্রীষ্ম ও বর্ষায় কর্দমাক্ত পথ দিয়ে চলাফেরা করে, উদ্ভিদ মাড়িয়ে একস্থান থেকে অন্যস্থানে যান? এই আচরণ তো অনুচিত।”
এই জনমতের সংবাদ যখন ভগবান বুদ্ধের শ্রবণে পৌঁছায়, তখন তিনি এ বিষয়ে বিবেচনা করে বর্ষাকালের জন্য একটি অনুশাসন প্রবর্তন করেন। তিনি ভিক্ষুদেরকে বর্ষার তিন মাস (আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত) এক নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করার অনুমতি দেন এবং সেই সময় ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ প্রদান করেন। এইভাবেই বর্ষাবাসের সূচনা হয়, এবং সেই থেকে আজও ভিক্ষুসংঘ এই প্রথা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে আসছে। (ম.ব.১৮৪)
২. বর্ষাবাসের সময় নির্ধারণ:
ভিক্ষুদেরকে বর্ষাবাস পালন করতে হয় দুটি নিয়মের মধ্যে যেকোনো একটির অনুসরণে। এই দুটি সময়কে বলা হয়, প্রথম বর্ষাবাস ও দ্বিতীয় বর্ষাবাস।
১) প্রথম বর্ষাবাস শুরু হয় আষাঢ় (অসাল্হি) মাসের পূর্ণিমার পরদিন থেকে। এটি সাধারণত জুলাই মাসে পড়ে।
২) দ্বিতীয় বর্ষাবাস শুরু হয় পরবর্তী পূর্ণিমার পরদিন থেকে, অর্থাৎ প্রথম পূর্ণিমার এক মাস পর।
বর্তমানে বেশিরভাগ ভিক্ষু প্রথম মেয়াদের বর্ষাবাসই পালন করেন, অর্থাৎ আষাঢ়/জুলাই মাসের প্রথম পূর্ণিমার পরদিন থেকে। তবে যদি ঐ মাসে দুটি পূর্ণিমা পড়ে, তাহলে দ্বিতীয় পূর্ণিমার পরদিন থেকে বর্ষাবাস শুরু করার সুযোগও থাকে। (ম.ব.১৮৪)
৩. বর্ষাবাসের সময়:
ভিক্ষুরা বর্ষাবাস আরম্ভ করেন দু'টি সময়ের যেকোনো একটিতে।
১) প্রথমত, শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণপক্ষের প্রতিপদে,
২) দ্বিতীয়ত, ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের প্রতিপদে। (ম.ব.১৮৪)
৪. বর্ষাবাসে চলাফেরা:
ভিক্ষুরা বর্ষাবাসের সময় বিনা প্রয়োজনে চলাফেরা করতে পারেন না। এক স্থানেই অবস্থান করতে হয়।
১) প্রথম ধাপ: শ্রাবণ, ভাদ্র ও আশ্বিন,
২) শেষ ধাপ: ভাদ্র, আশ্বিন ও কার্তিক।
যদি কেউ অকারণে বর্ষাবাসের সময় এদিক-ওদিক ঘোরাফেরা করেন, তাহলে তার দুক্কট অপরাধ হবে। (ম.ব.১৮৫)
৫. বর্ষাবাসের অনুমোদিত স্থান:
ভিক্ষুরা অতিরিক্ত ৩টি জায়গায় বর্ষাবাস আরম্ভ করতে পারে।
১) রাখালের ছাউনিতে,
২) যাত্রীদলের শকটে (গাড়ী/যানে),
৩) নৌকায়। (ম.ব.২০৩)
৬. নিষিদ্ধ স্থানসমূহ:
ভিক্ষুরা অতিরিক্ত ৭টি জায়গায় বর্ষাবাস আরম্ভ করতে পারে না।
১) গাছের গর্তে (কোটরে),
২) গাছের ডালের ফাঁকে,
৩) সম্পূর্ণ খোলা জায়গায়,
৪) অনাবাস (যেখানে বসবাসের কোনো উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই),
৫) শবাগারে,
৬) কেবল সামিয়ানার নিচে,
৭) বড় কোনো গুদামে (মজুদাগার)।
এই স্থানগুলোর কোনো একটিতে যদি কেউ বর্ষাবাস শুরু করেন, তবে তার জন্য দুক্কট অপরাধ হবে। ম.ব.২০৪)
৭. সংবাদ পেয়ে সাতদিনের জন্য যাত্রা অনুমোদন:
ভিক্ষুরা সাত জনের মধ্যে যে কেউ সংবাদ প্রেরণ করলে সাতদিনের জন্য যেতে পারে। এবং সাতদিনের মধ্যে ফিরে আসতে হবে।
১) ভিক্ষু,
২) ভিক্ষুণী,
৩) শিক্ষামানা,
৪) শ্রামণ,
৫) শ্রামণী,
৬) উপাসক,
৭) উপাসিকা।
এই সাত শ্রেণির লোকজন ভিক্ষুর কাছ থেকে কোনো সাহায্য চায়, সেক্ষেত্রে তারা যদি ভিক্ষুকে যেতে বলে, তখন ভিক্ষু যেতে পারে, কিন্তু যেতে না বললে যেতে পারে না। যদি কাজটি সেই ব্যক্তির পুণ্য করার আকাঙ্ক্ষা, ধর্মশ্রবণের আকাঙ্ক্ষা অথবা ভিক্ষুকে দেখার আকাঙ্ক্ষা-সংশ্লিষ্ট হয়, সেক্ষেত্রে ভিক্ষু যেতে পারে। এখানে যদি ভিক্ষুর ভ্রাতা, ভগ্নী জ্ঞাতি, ভৃতিক (এক বিহারে ভিক্ষুগণের সাথে বাসকারী লোক) পীড়িত হয়ে সংবাদ প্রেরণ করে তাহলে যেতে পারে। কিন্তু সংবাদ প্রেরণ না করলে যেতে পারে না। (ম.ব.১৮৭)
৮. সংবাদ ছাড়াও সাতদিনের গমন অনুমোদন:
ভিক্ষুরা সাত জনের মধ্যে যে কেউ সংবাদ প্রেরণ না করলেও সাতদিনের জন্য যেতে পারে। এবং সাতদিনের মধ্যে ফিরে আসতে হবে।
১) ভিক্ষু,
২) ভিক্ষুণী,
৩) শিক্ষামানা,
৪) শ্রামণ,
৫) শ্রামণী,
৬) মাতা,
৭) পিতা।
এক্ষেত্রে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে সংবাদ ছাড়াও, তবে সাতদিনের মধ্যে ফিরে আসতে হবে। (ম.ব.১৯৩-১৯৮)
৯. কোনো অপরাধ ছাড়াই বর্ষাবাস ত্যাগের অনুমতি:
বর্ষাবাস ভঙ্গ করতে হলে সাধারণত দোষ হয়, তবে নিচের পরিস্থিতিতে তা অপরাধ হয় না-
১) পশু দ্বারা আক্রান্ত হওয়া,
২) সাপ, বিছে ইত্যাদির কামড় বা ভয়,
৩) ডাকাত, চোর দ্বারা লুট/আক্রমণ,
৪) প্রেত বা অদৃশ্য অপশক্তির ভয়,
৫) বসবাসকারী গ্রাম আগুনে পুড়ে যাওয়া বা বন্যায় ভেসে যাওয়া,
৬) শয্যা-আসন পুড়ে যাওয়া বা জলমগ্ন হওয়া,
৭) পিণ্ডচারণের কষ্ট বা খাদ্যাভাবে অসুবিধা হওয়া,
৮) আশ্রয়স্থলের বড় ক্ষতি হওয়া,
৯) গ্রামে চোর-ডাকাতের উপদ্রব বেড়ে যাওয়া।
এইসব ক্ষেত্রে নিরাপদ, ভক্তিসম্পন্ন এলাকায় স্থানান্তর অনুমোদিত। (ম.ব.২০০)
১০. খাদ্য, ওষুধ বা সেবকের অভাবে স্থানান্তর:
যদি কোনো ভিক্ষু যথারুচি আহার, ভৈষজ্য বা সেবক না পান, তাহলে ‘এটি অন্তরায়’ মনে করে তিনি স্থান ত্যাগ করতে পারেন। অর্থাৎ,
১) যথোপযুক্ত আহার নেই, আহার থাকলেও তা অনুকূল নয়,
২) ভৈষজ্য নেই,
৩) সেবক নেই,
৪) এই যেকোনো অসুবিধা হলে স্থানান্তরে দোষ হয় না। (ম.ব.২০১)
১১. প্রলোভনের ডাকেও ভিক্ষু বর্ষাবাস ত্যাগ করতে পারেন:
যদি কোনো ব্যক্তি প্রলোভন দেখিয়ে, যেমন—
“হীরক, স্বর্ণ, জমি, গাভী, দাস, দাসী, কন্যা” ইত্যাদি দিয়ে আহ্বান জানায়, তখন ভিক্ষু ‘অন্তরায়’ মনে করে বর্ষাবাস ত্যাগ করতে পারেন। এই আহ্বানকারী হতে পারে-
১) সাধারণ নারী,
২) ক্লীব (পণ্ডক),
৩) বেশ্যা,
৪) জ্ঞাতি,
৫) রাজা বা রাজপরিবার,
৬) চোর,
৭) ধূর্ত ব্যক্তি,
এই প্রলোভনের মাধ্যমে ধর্মচ্যুতি রোধ করাই বিধানের উদ্দেশ্য। (ম.ব.২০১)

Photo Samma Ditti
১৯ জানুয়ারি, ২০১৯ইং, পরমপূজ্য বনভান্তের শততম জন্মজন্তী উপলক্ষে আর্যপুর বনবিহারে বুদ্ধের সামনে সমবেত প্রার্থনারত পূজনীয় ভিক্ষুসংঘ।

07/02/2025
06/30/2025
06/21/2025
06/21/2025

Address

New York, NY

Opening Hours

Monday 8am - 9pm
Tuesday 4pm - 9pm
Wednesday 3pm - 8pm
Thursday 3am - 8pm
Friday 2am - 7pm
Saturday 8am - 9pm
Sunday 8am - 10pm

Telephone

+19293317884

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sadhanagyan International Meditation Center. posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Sadhanagyan International Meditation Center.:

Featured

Share