20/12/2024
শরীরের কোন অঙ্গের জন্য কী খাবেন!
-------------------------------------
ফুসফুস 🫁
ফুসফুস ভালো রাখতে ব্রকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগম বেশ উপকারী। আঙুর ফুসফুস থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। ৫ থেকে ৭ দিন আঙুরের জুস খেলে ফুসফুস পরিষ্কার হয়।
ফুসফুস সতেজ রাখতে, ফুসফুসের সংক্রমণ এড়াতে এবং ক্যানসারের ঝুঁকি এড়াতে এই সবজিগুলো আপনাকে সাহায্য করবে।
পেশি💪
‘মাসল’ বা পেশি শক্তিশালী করতে পাকাকলা, সামুদ্রিক মাছ, ডিম, শস্যবীজ, ডাল, মাংস বেশ কার্যকর। প্রতিটিই প্রোটিনের উৎস। তাই শক্তিশালী পেশি পেতে এই খাবারগুলো গ্রহণ করুন। তবে যাদের শারীরিক অসুস্থতা আছে, তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এসব খাবার গ্রহণ করবেন
চোখ👁️
গাজর চোখের জন্য ভালো। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ বেটা কেরোটিন। বিটা ক্যারোটিন চোখের জ্যোতি বাড়ায় ও ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
এটি লিভারে গিয়ে ভিটামিন ‘এ’-তে রূপান্তরিত হয়। ভিটামিন ‘এ’ রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
মস্তিষ্ক🧠
আখরোটে রয়েছে প্রচুর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাকে বাড়ায়। এটি ডিমেনশিয়া প্রতিরোধক। গবেষণায় দেখা গেছে, আখরোট আ রোগীদের মস্তিষ্কে প্রোটিন বেসড প্লেক অপসারণ করে। এজন্য একে সংক্ষেপে ব্রেইনফুড বলে।
ওয়ালনাট প্রদাহরোধী ওমেগা থ্রি এসেনশিয়াল ফ্যাটি এসিডের একটি চমৎকার উৎস। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ‘ই’, ফোলেট, ওমেগা থ্রি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য বেশ উপকারী।
হাড়🦴
'সেলারি' সিলিকনের ভালো উৎস হওয়ায় এটি হাড়কে মজবুত রাখে। মজার কথা হলো, হাড়ে ২৩ শতাংশ সোডিয়াম থাকে। অন্যদিকে সেলারিতেও থাকে ২৩ শতাংশ সোডিয়াম। যখন আমাদের ডায়েটে যথেষ্ট পরিমাণে সোডিয়াম না থাকে তখন শরীর হাড় থেকে সোডিয়াম ব্যবহার করতে শুরু করে। ফলে হাড় দুর্বল হয়ে যায়।
তাছাড়া জীবনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে বেশির ভাগ মানুষ হাড়ের প্রদাহ, হাড়ক্ষয়সহ নানান জটিলতায় ভোগেন। হাড় মজবুত করতে কমলা, ডিম, ধনেপাতা, দুধ, বাদাম, সয়া বীজ এবং কাঁটাযুক্ত মাছ বেশ উপকারী।
স্তন👩🦰
কমলা স্তনের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক রঙহীন লসিকা চলাচলে সাহায্য করে। অন্যদিকে আঙুরে রয়েছে লিমোনয়েড। যা স্তনে কোষ উন্নয়ন প্রতিরোধ করে।
অগ্ন্যাশয়🪱
মিষ্টি আলুর অগ্ন্যাশয়কে সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে কাজ করে। বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ খাবারটি শরীরের সব টিস্যুকে ক্যানসার ও বয়সজনিত ক্ষতি থেকে রেহাই দেয়। ডায়াবেটিস রোগীদের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ব্যালেন্স করতে সাহায্য করে।
পাকস্থলী☹️
আদার মধ্যে রয়েছে প্রদাহরোধী উপাদান। পেট ফাঁপা, গ্যাস ইত্যাদি সমস্যায় আদা বা আদার চা খেতে পারেন।
ভুঁড়ি🙁
ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়া নিয়ে আমাদের কত দুশ্চিন্তা! কিন্তু ভুঁড়ি ঠিক রাখার জন্যও যে আলাদা খাবার খেতে হয়, সেই বিষয়ে অনেকেই জানি না। টক দই এবং আলুবোখারা ভুঁড়ির আদর্শ খাবার। এই খাবারগুলোতে আছে পেক্টিন এবং সরবিটল নামক উপাদান। অন্ত্রের ভেতর পানি শোষণ করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এই দুই খাবার বেশ কার্যকর।
চুল👦
বরবটি, গাজর, পেঁয়াজ, টমেটো, মিষ্টি আলু, পালংশাক, রসুন, কাঁচা মরিচ, বিটরুট, মুগডাল ইত্যাদি খাবার আমাদের চুলের জন্য বেশ উপকারী। এসব খাবারে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফোলেট, জিংক, সেলেনিয়াম, সিলিকা, আয়রনসহ আরও অনেক উপাদান। এসব উপাদান মাথার ত্বক সুস্থ রাখতে, চুল পড়া রোধ করতে, চুলের গোড়া মজবুত করতে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
ত্বক😕
ত্বকের যত্ন নিতে কতশত প্রসাধনী ব্যবহার করি আমরা। কিন্তু খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমেও আপনার ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ানো সম্ভব। ত্বকের যত্নে গাজর, টমেটো, গ্রিন-টি, বাদাম, কলা, ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ মাছ, ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার, সবুজ শাকসবজি খেতে পারেন। এসব খাবারের ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আপনার ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
হার্ট🫀
টমেটোর মধ্যে রয়েছে ফলিক এসিড, বেটা কেরোটিন, ভিটামিন ‘এ’ ও ভিটামিন ‘সি’। এ ছাড়া এর মধ্যে রয়েছে লাইকোপোপেন। প্রতিদিন একটি টমেটো খাওয়া হার্টের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে।
রক্ত🩸
উন্নত এন্টিঅক্সিডেন্ট ও পলিফেনলযুক্ত 'রেড ওয়াইন' কোষক্ষয় রোধ করে।
রেড ওয়াইন রক্ত থেকে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল অপসারণ করে। যা স্ট্রোক ও হৃদরোগের অন্যতম কারণ।
জরায়ু🔗
অ্যাভোকাডো ফলিক অ্যাসিডের অসাধারণ উৎস। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নারী সপ্তাহে একটি অ্যাভোকাডো খান তাদের প্রি-ক্যানসারাস সার্ভিকাল ডিসপালাসিয়া হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করে। মজার ব্যাপার হলো। অ্যাভোকাডোর ফুল থেকে শুরু করে ফল পাকা পর্যন্ত সময় লাগে দীর্ঘ নয় মাস। যা একটি গর্ভকালের সমান।
কান🪝
খাবারে মাশরুম যোগ করলে শ্রবণশক্তি উন্নত হয়। স্বল্প সংখ্যক ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে মাশরুম একটি যা হাড় গঠনের অন্যতম মূল উপাদান।