What are the opening hours?

Monday 09:00 - 13:00 17:00 - 21:00 Tuesday 09:00 - 13:00 17:00 - 21:00 Wednesday 09:00 - 13:00 17:00 - 21:00 Thursday 09:00 - 13:00 17:00 - 21:00 Friday 09:00 - 13:00 17:00 - 21:00 Sunday 09:00 - 13:00 17:00 - 21:00

https://www.facebook.com/106176458002831/

Dr Ruksana Mohammed, zayed the first Street, Abu Dhabi (2025)

24/10/2025

সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মরত অনেক বাংলাদেশি প্রবাসীর মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগ। কঠোর পরিশ্রম, মানসিক চাপ, অনিয়মিত জীবনযাপন ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস—এই সব মিলেই অনেক সময় অজান্তে হৃদয়কে দুর্বল করে তোলে। তাই আজকের এই পোস্টটি উৎসর্গ করা হলো প্রবাসী ভাইদের উদ্দেশ্যে — সুস্থ হৃদয় রাখুন, দীর্ঘ জীবন উপভোগ করুন। ❤️

💧 ১. সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখুন:
অতিরিক্ত তেল, লবণ ও ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ফল, শাকসবজি, মাছ, ওটস ও বাদাম রাখুন।

🚶‍♂️ ২. নিয়মিত ব্যায়াম করুন:
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা বা হালকা দৌড় হৃদয়ের জন্য অসাধারণ উপকারী। অফিস বা ক্যাম্পের ব্যস্ততার মাঝেও সামান্য সময় বের করুন।

🚭 ৩. ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন:
এগুলো হৃদরোগের সবচেয়ে বড় শত্রু। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এসব অভ্যাস ত্যাগ করুন।

😌 ৪. মানসিক চাপ কমান:
অতিরিক্ত চিন্তা ও মানসিক চাপ হার্টের ক্ষতি করে। নামাজ, দোয়া, মেডিটেশন বা প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলা মানসিক শান্তি আনে।

🩺 ৫. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন:
রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগার নিয়মিত পরীক্ষা করুন। কোনো অস্বাভাবিকতা বুঝলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

❤️ স্মরণ রাখুন: আপনি শুধু একজন কর্মী নন, আপনি আপনার পরিবারের ভরসা। আপনার হৃদয় সুস্থ থাকলেই প্রিয়জনরা থাকবে নিশ্চিন্ত।
হৃদয়ের যত্ন নিন – জীবন বাঁচান। 💖

22/10/2025

সংযুক্ত আরব আমিরাতে গরম আবহাওয়া ও পর্যাপ্ত পানি না খাওয়ার কারণে অনেক প্রবাসী কিডনি স্টোন বা মূত্রপাথর সমস্যায় ভোগেন।

⚠️ লক্ষণসমূহ:

❉ কোমর বা পেটের নিচের অংশে তীব্র ব্যথা
❉ প্রস্রাবের সময় জ্বালা বা ব্যথা
❉ প্রস্রাবে রক্ত দেখা
❉ বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
❉ ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ

💡 কারণ:

◎ কম পানি পান করা
◎ অতিরিক্ত লবণ ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া
◎ দীর্ঘ সময় ধরে প্রস্রাব আটকে রাখা
◎ গরমে শরীরের পানি কমে যাওয়া

✅ প্রতিরোধের উপায়:

◉ প্রতিদিন অন্তত ২.৫ থেকে ৩ লিটার পানি পান করুন 💧
◉ অতিরিক্ত লবণ, সোডা ও ঝাল খাবার কম খান
◉ প্রস্রাব চেপে রাখবেন না
◉ ফলমূল ও শাকসবজি বেশি খান
◉ নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন

✌ প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনি স্টোন সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়, কিন্তু অবহেলা করলে তা কিডনির স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে।

17/10/2025

🩺 মেডিকেল টেস্টে আনফিট হওয়ার কারণ ও প্রতিরোধের উপায়।
সংযুক্ত আরব আমিরাত সহ বিশ্বের অনেক দেশে রেসিডেন্স ভিসা ইস্যু বা নবায়নের জন্য মেডিকেল টেস্ট দিতে হয়। অনেক সময় ছোটখাটো সমস্যার কারণে অনেকেই "Unfit" হয়ে যান। আসুন জেনে নেই সাধারণ কিছু কারণ ও প্রতিরোধের উপায়:
🔹 আনফিট হওয়ার সাধারণ কারণসমূহ:
⚠ রক্তে শর্করা (Blood Sugar) বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকা।
⚠ উচ্চ রক্তচাপ (High Blood Pressure)
⚠ হেপাটাইটিস বি বা সি (Hepatitis B/C) পজিটিভ থাকা।
⚠ যক্ষ্মা (TB) বা ফুসফুসের সমস্যা।
⚠ অতিরিক্ত স্থূলতা (Obesity) বা অস্বাভাবিক BMI।
⚠ চোখ বা কানের গুরুতর সমস্যা।
⚠ কিডনি, লিভার বা হৃদযন্ত্রের দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা।

🔹 প্রতিরোধ ও প্রস্তুতির উপায়:
✅ নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন – ব্লাড টেস্ট, BP, শর্করা পরীক্ষা
✅ ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন ও স্বাস্থ্যকর খাবার খান
✅ ধূমপান, অ্যালকোহল ও ক্ষতিকর অভ্যাস ত্যাগ করুন
✅ যক্ষ্মা, হেপাটাইটিস ইত্যাদির ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা আগে থেকে করুন
✅ পর্যাপ্ত ঘুম ও ব্যায়াম করুন
✅ কোনো রোগ থাকলে সঠিকভাবে চিকিৎসা চালিয়ে যান
👉 মনে রাখবেন, আগেভাগে সচেতনতা ও নিয়মিত স্বাস্থ্য পরিচর্যা আপনাকে মেডিকেল টেস্টে ফিট থাকতে সাহায্য করবে।
#ফিট_থাকুন #সচেতনতা

13/10/2025

☕⚠️ চায়ের সঙ্গে যেসব খাবার খাওয়া বিপজ্জনক! ⚠️☕
আমাদের অনেকেরই অভ্যাস — চায়ের সঙ্গে কিছু না কিছু খাওয়া চাই! কিন্তু জানেন কি, কিছু খাবার চায়ের সঙ্গে খেলে শরীরে বিষক্রিয়া বা মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে? 😨
🔸 ১️⃣ দুধ বা লেবু একসাথে চায়ে দেওয়া
দুধ ও লেবুর সংমিশ্রণ চায়ের অ্যাসিডিক উপাদানের সঙ্গে মিশে হজমে সমস্যা ও গ্যাস সৃষ্টি করে।
🔸 ২️⃣ চায়ের সঙ্গে ডিম বা মাংস
ডিম এবং মাংসের প্রোটিন ও ট্যানিন একসাথে শরীরে প্রতিক্রিয়া করে হজমে বাধা দেয় এবং দীর্ঘমেয়াদে কিডনির ক্ষতি করতে পারে।
🔸 ৩️⃣ চায়ের সঙ্গে পাঁউরুটি বা বিস্কুট (বিশেষ করে ক্রিমযুক্ত)
এগুলোতে থাকা ট্রান্স ফ্যাট ও চায়ের ট্যানিন একসাথে পাকস্থলীতে অ্যাসিডিক প্রতিক্রিয়া তৈরি করে, যার ফলে গ্যাস, বুক জ্বালাপোড়া ও হজমের সমস্যা হয়।
🔸 ৪️⃣ চায়ের সঙ্গে লেবু বা আমলকি জাতীয় টক ফল
চায়ের ট্যানিন অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে আয়রন শোষণ কমিয়ে দেয় — এতে রক্তাল্পতা (অ্যানিমিয়া) হতে পারে।
🚬☕ চা খেতে খেতে ধূমপান? একেবারেই নয়!
চা ও সিগারেট একসাথে খেলে শরীরে নিকোটিন ও ক্যাফেইনের মিশ্র প্রতিক্রিয়া ঘটে, যা হার্টবিট বাড়ায়, রক্তচাপ অস্থিতিশীল করে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।
➡️ এটি শরীরের ভিটামিন C নষ্ট করে, মুখের শুষ্কতা ও দাঁতের ক্ষয়ও ঘটায়।
💡 স্মরণ রাখুন:
চা উপভোগ করুন, কিন্তু সঠিকভাবে।
খালি পেটে বা ঝুঁকিপূর্ণ খাবারের সঙ্গে চা নয়।
চা তখনই স্বাস্থ্যকর, যখন তা পরিমিত ও সচেতনভাবে পান করা হয়। 🌿

12/10/2025

🦠 ইনফ্লুয়েঞ্জা (ফ্লু): সচেতন থাকুন 💪
ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লু একটি ভাইরাসজনিত সংক্রমণ, যা নাক, গলা ও ফুসফুসে প্রভাব ফেলে। সাধারণ সর্দি-কাশির মতো মনে হলেও অনেক সময় এটি গুরুতর হতে পারে।
লক্ষণ:
🤒 জ্বর, মাথাব্যথা
😷 কাশি, গলা ব্যথা
💤 শরীর ব্যথা ও দুর্বলতা
প্রতিরোধ ও যত্ন:
✅ প্রতি বছর ফ্লু ভ্যাকসিন নিন ( আবুধাবির সকল সাহা (seha) হাসপাতালে বিনা মূল্যে এই ভ্যাকসিন দেয়া হয়।)
✅ বারবার হাত ধুয়ে ফেলুন
✅ পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও পানি পান করুন
✅ অসুস্থ হলে অন্যদের কাছ থেকে দূরে থাকুন
🩵 সচেতন থাকুন, নিজে সুস্থ থাকুন, অন্যকেও নিরাপদ রাখুন।
#ফ্লু #ইনফ্লুয়েঞ্জা #স্বাস্থ্যসচেতনতা

09/10/2025

✨ ইনফ্লামেশন বা প্রদাহ: আমাদের শরীরের নীরব শত্রু ✨
আমাদের শরীরে ইনফ্লামেশন বা প্রদাহ মানে হলো শরীরের ভেতরে অগ্নি জ্বালার মতো প্রতিক্রিয়া।
🔹 এটি যখন স্বাভাবিকভাবে হয় (যেমন কেটে গেলে ফুলে ওঠা বা জ্বর আসা) তখন আমাদের শরীরকে রক্ষা করে।
🔹 কিন্তু যখন এটি দীর্ঘমেয়াদী হয়ে যায়, তখন নানা রোগের কারণ হতে পারে—
✔️ জয়েন্টের ব্যথা
✔️ হজমের সমস্যা (IBS, গ্যাস, ফাঁপা)
✔️ থাইরয়েড ও হরমোনের অসামঞ্জস্য
✔️ হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এমনকি অটোইমিউন রোগও
🌿 কি কারণে ইনফ্লামেশন বাড়ে?
❌ প্রসেসড খাবার, অতিরিক্ত চিনি, ভাজাপোড়া
❌ স্ট্রেস ও ঘুমের অভাব
❌ ধূমপান ও অ্যালকোহল
❌ অতিরিক্ত ওজন
✅ সমাধান কি?
খাবার: অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি ডায়েট নিন— ফল, শাকসবজি, মাছ, বাদাম, অলিভ অয়েল।
জীবনধারা: পর্যাপ্ত ঘুম, নিয়মিত ব্যায়াম, ধ্যান ও মানসিক শান্তি বজায় রাখা।
পানি পান: প্রচুর পানি খাওয়া শরীর থেকে টক্সিন বের করে।
পরিমিত সাপ্লিমেন্ট: ওমেগা-৩, ভিটামিন ডি, প্রোবায়োটিকস উপকারি হতে পারে।
ডাক্তারি পরামর্শ: যদি দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহ থাকে, অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে আলোচনা করুন।
💡 মনে রাখবেন, আজকের ছোট্ট যত্নই কালকে আপনাকে বড় রোগ থেকে বাঁচাতে পারে।
👉 #স্বাস্থ্য_পরামর্শ #ইনফ্লামেশন #সুস্থজীবন

14/09/2025

একজন ৪০ বছর বয়সী রোগী আমার কাছে আসেন। তাঁর উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ছিল, কয়েকদিন ওষুধ খাওয়ার পর তিনি সুস্থ অনুভব করেন এবং নিজে থেকেই ওষুধ বন্ধ করে দেন।
বহুদিন পরে হঠাৎ একদিন তিনি অসুস্থ বোধ করেন। আমি তাঁকে পরীক্ষা করে বুঝতে পারি যে তাঁর হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে এবং দ্রুত তাঁকে ইমারজেন্সিতে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিই। তিনি ইমারজেন্সিতে ভর্তি হন, অপারেশন করা হয় এবং প্রাণে বেঁচে যান।
কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো—
👉 তাঁর অবহেলার কারণে এখন সারা জীবন তাঁকে অনেকগুলো ওষুধ খেতে হবে।
👉 অথচ তিনি যদি নিয়মিত ডাক্তারকে দেখাতেন এবং সময়মতো ওষুধ গ্রহণ করতেন, তবে হয়তো এঞ্জিওগ্রাম বা সারাজীবনের জন্য এত ওষুধের প্রয়োজন হতো না।

✅ সতর্ক বার্তা সবার জন্য
* উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের রোগীরা কখনোই নিজের সিদ্ধান্তে ওষুধ বন্ধ করবেন না।
* ডাক্তারকে নিয়মিত দেখান এবং তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা চালিয়ে যান।
* সাময়িকভাবে ভালো লাগা মানেই রোগ সেরে যাওয়া নয়।
* অবহেলা প্রাণঘাতী হতে পারে।

🔔 আপনার সুস্থতাই আপনার সম্পদ। নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, নিয়মিত ওষুধ খান।

25/08/2025

🩸 ইন্সুলিন রেসিস্টেন্স কী?

ইনসুলিন রক্ত থেকে গ্লুকোজকে কোষে নিয়ে যায়, যাতে শরীর এটিকে শক্তি হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। তবে বিভিন্ন কারণে কোষগুলো ইনসুলিনের প্রতি সঠিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় না। এর ফলে কোষগুলো গ্লুকোজকে কার্যকরভাবে শক্তি বা সঞ্চয়ের জন্য ব্যবহার করতে পারে না।
ফলস্বরূপ, রক্তে গ্লুকোজ জমতে থাকে। যা দীর্ঘমেয়াদে ডায়াবেটিস, ওজন বেড়ে যাওয়া ও অন্যান্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়।

সাধারণ লক্ষণগুলো হতে পারে:

✰ বারবার ক্ষুধা লাগা

✰ অস্বাভাবিক ক্লান্তি

✰ ওজন বাড়তে থাকা, বিশেষ করে পেটের আশেপাশে

✰ চামড়ায় কালচে দাগ (ঘাড় বা বগলে)

✅ কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়?

✰নিয়মিত ব্যায়াম

✰চিনি ও প্রসেসড খাবার কমানো

✰পর্যাপ্ত ঘুম

✰স্ট্রেস / টেনশন কমানো

নিজেকে সচেতন রাখুন, সুস্থ থাকুন 🌿

19/07/2025

চুলকানি এমন একটি সমস্যা, যা অনেকের জীবনকে ভীষণভাবে ব্যাহত করে। এই যন্ত্রণাদায়ক সমস্যার জন্য আমরা অনেকেই সহজ সমাধান খুঁজতে গিয়ে নানা ধরনের ক্রিম ব্যবহার করি। বিশেষ করে বাজারে সহজলভ্য অনেক ক্রিমের মধ্যে রয়েছে স্টেরয়েডযুক্ত হরমোনাল ক্রিম।

প্রথম দিকে এসব ক্রিম ব্যবহার করলে চুলকানি, লালচে ভাব বা ফুসকুড়ি থেকে দ্রুত আরাম মেলে। ফলে আমরা অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে এই ক্রিমগুলো ব্যবহার করে যাই। কিন্তু জানেন কি? এই স্টেরয়েড ক্রিমের দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার আপনার ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে।

☢️স্টেরয়েড ক্রিম কী?

স্টেরয়েড ক্রিম হচ্ছে এক ধরনের হরমোনাল ক্রিম, যা ত্বকের প্রদাহ, লালচে ভাব, চুলকানি কমানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। এগুলো চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্যবহারের কথা। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে বা অযথা ব্যবহারে নানা পার্শপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

---

📛 স্টেরয়েড ক্রিমের পার্শপ্রতিক্রিয়া

🔹 ত্বক পাতলা হয়ে যাওয়া (Skin thinning):
দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে ত্বকের স্বাভাবিক পুরুত্ব নষ্ট হয়ে গিয়ে ত্বক খুবই কোমল, ভঙ্গুর ও পাতলা হয়ে পড়ে।

🔹 ত্বকে দাগ বা স্ট্রেচ মার্ক পড়া:
ত্বকের গঠন দুর্বল হয়ে গিয়ে স্থায়ী দাগ বা ফাটার দাগ (stretch marks) তৈরি হয়।

🔹 ত্বকে হালকা দাগ ও রঙের পরিবর্তন:
ত্বকের স্বাভাবিক রঙ পরিবর্তিত হয়ে হালকা সাদা দাগ (hypopigmentation) দেখা দিতে পারে।

🔹 অস্বাভাবিক লোম গজানো (Excess hair growth):
যে জায়গায় ক্রিম লাগানো হয় সেখানে অতিরিক্ত লোম গজাতে পারে।

🔹 ত্বকে ব্রণ বা দানার সৃষ্টি:
দীর্ঘদিন ব্যবহারে ত্বকে ছোট ছোট ব্রণ, পুঁজের ফোড়া বা দানা উঠতে পারে।

🔹 চামড়ায় পাতলা রক্তনালী ফুটে ওঠা (Telangiectasia):
ত্বকের উপরিভাগে লালচে রক্তনালীর মতো দাগ দেখা যায়।

🔹 ত্বকের রোগ আরও বেড়ে যাওয়া:
ফাঙ্গাস বা অন্যান্য সংক্রমণ থাকলে, স্টেরয়েড ক্রিম দিয়ে তা ঢেকে রাখলে প্রথমে উপশম হলেও পরে রোগ আরও বাড়তে পারে, এবং তখন রোগ নিরাময় করা আরও কঠিন হয়ে যায়।

🟢 যা করবেন

✅ চুলকানি বা যেকোনো ত্বকের সমস্যার ক্ষেত্রে নিজে থেকে হরমোনাল ক্রিম ব্যবহার না করে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
✅ স্বল্পমেয়াদি ব্যবহার করলে যেভাবে ডাক্তার বলেছেন সেভাবেই ব্যবহার করুন।
✅ ত্বকের সমস্যা দীর্ঘমেয়াদি হলে মূল কারণ খুঁজে চিকিৎসা নিন।

মনে রাখবেন:
স্টেরয়েড ক্রিম দ্রুত আরাম দিলেও দীর্ঘমেয়াদে ভুলভাবে ব্যবহার করলে ত্বকের অপূরণীয় ক্ষতি হতে পারে। তাই সচেতন থাকুন, নিজের ত্বকের প্রতি দায়িত্বশীল হোন।

04/07/2025

🟡 জন্ডিস: একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সতর্কতা! 🟡

জন্ডিস (Jaundice) মূলত একটি উপসর্গ, কোনো রোগ নয়। এটি শরীরে বিলিরুবিন নামক পদার্থের অতিরিক্ত মাত্রা বৃদ্ধির কারণে হয়, যার ফলে ত্বক, চোখের সাদা অংশ ও মল-মূত্রের রঙ পরিবর্তিত হয়।

🔍 জন্ডিসের প্রধান লক্ষণসমূহঃ

চোখের সাদা অংশ ও ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া

প্রস্রাব গাঢ় হলুদ বা বাদামী রঙের হওয়া

অরুচি ও দুর্বলতা

বমি ভাব ও পেটব্যথা

মল-এর রঙ সাদা বা হালকা হওয়া

⚠️ কারণসমূহ:

লিভার ইনফেকশন (যেমন হেপাটাইটিস A, B, C)

অপরিষ্কার পানি ও খাবার

অতিরিক্ত ওষুধ সেবন

এলকোহল গ্রহণ

পিত্তথলিতে পাথর বা লিভারের অসুখ

✅ প্রতিরোধের উপায়:

সবসময় ফুটানো বা বোতলজাত পানি পান করুন

বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন

হেপাটাইটিস-এর টিকা গ্রহণ করুন

নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন

অতিরিক্ত ওষুধ না খেয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিন

🩺 জন্ডিস হলে করণীয়ঃ

দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

বিশ্রাম নিন ও সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন

প্রচুর পরিমাণে পানি ও তরল খাবার খান

🙏 সচেতন হোন, সুস্থ থাকুন। আপনার একটুকু সতর্কতা আপনাকে ও আপনার পরিবারকে রাখতে পারে নিরাপদ।

#জন্ডিস #স্বাস্থ্যসচেতনতা #হেয়ালথ্যলিভের

22/06/2025

চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন। তবে অতিরিক্ত চুলে পড়ার কারণে ধীরে ধীরে পাতলা হতে শুরু করে মোট চুলের পরিমাণ।

এটি তখনই ঘটে যখন নতুন চুল গজায় না। জীবনযাপনে অনিয়ম, সঠিক খাদ্যাভ্যাস না থাকা, দূষণ কিংবা কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহারের কারণে চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে এমনকি নতুন চুলও গজায় না।

চুল পাতলা হওয়ার প্রধান কারণগুলো কি কি?

স্ট্রেস
যখন আমরা খুব বেশি চিন্তা করি, তখন আমাদের পুরো স্নায়ুতন্ত্র ও পাচনতন্ত্র চাপের মধ্যে পড়ে। ফলে আমরা যা খাই বা ব্যবহার করি না কেন তা প্রয়োজনীয় পুষ্টি দেয় না ও চুল পড়ার সমস্যা কমে না। তাই দুশ্চিন্তা দূর করতে হবে।

ডায়েট
চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে ডায়েটেও পুষ্টিকর সব খাবার রাখতে হবে। যেমন- বায়োটিন, জিংক ও ভিটামিন ডি চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসবের ঘাটতি চুল পাতলা করে।

আসলে ভিটামিন ডি এর অভাব অ্যালোপেসিয়া বাড়ে। তাই সবারই উচিত একটি সুষম খাদ্য ও স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখা।

খুশকি

অনেকেই খুশকির সমস্যায় ভোগেন। যা চুল পড়ার সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। খুশকি কিংবা ফ্লেক্স তৈরি হলে কমবেশি সবাই তা চুলকান কিংবা আঁচড়ান। যা চুলের গোড়া আরও দুর্বল করে দেয়। ফলে চুল পাতলা হয়ে যায় ও চুল পড়ে যায়।

ওজন কমে গেলে

ওজন কমানোর চেষ্টা করেছেন এমন ব্যক্তিদের মধ্যে কমবেশি সবাই জানেন ওজন কমলে চুল পড়ার পরিমাণও বাড়তে থাকে। এর কারণ হলো ওজন কমানোর সময় আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিও হারায়। এর ঘাটতির কারণেই চুল পাতলা হতে শুরু করে।

বয়স

পুরুষ হোক বা নারী বয়সের সঙ্গে সঙ্গে সবার শরীরেই নানা ধরনের পরিবর্তন ঘটে। ক্রমশ চুল পাতলা হতেও শুরু করে।

পাতলা চুল ঘন করার জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে, যা প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। এখানে কিছু কার্যকর উপায় দেয়া হলো:
• পেঁয়াজের রস: পেঁয়াজের রসে সালফার থাকে যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং চুলের ঘনত্ব বাড়ায়। পেঁয়াজের রস মাথার তালুতে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
• ডিমের মাস্ক: ডিম প্রোটিনের একটি সমৃদ্ধ উৎস, যা চুলের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। একটি ডিমের সাদা অংশের সাথে সামান্য পানি মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
• অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরা চুলের ফলিকলকে ময়েশ্চারাইজ করে এবং চুলকে নরম ও উজ্জ্বল করে তোলে। অ্যালোভেরা জেল সরাসরি মাথার তালুতে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
• নারকেল তেল: নারকেল তেল চুলের জন্য একটি চমৎকার ময়েশ্চারাইজার। এটি চুলের গোঁড়ায় লাগিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করে গরম তোয়ালে দিয়ে চুল জড়িয়ে রাখুন, তারপর শ্যাম্পু করে নিন।
• মেথি: মেথি চুলের ঘনত্ব বাড়াতে এবং চুলকে মসৃণ করতে সাহায্য করে। মেথি সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে পেস্ট করে চুলে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।
• গ্রিন টি: গ্রিন টি মাথার ত্বককে পরিষ্কার করে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এটি ঠান্ডা করে চুলে স্প্রে করুন বা শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করুন।
• সুষম খাদ্য: স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ করা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি। ভিটামিন, প্রোটিন, এবং মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
• পর্যাপ্ত ঘুম ও জল পান: প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো এবং জল পান করা চুলের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে।
• মানসিক চাপ কমানো: মানসিক চাপ চুলের স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। তাই মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন।
• রাসায়নিক উপাদান পরিহার করা: চুলের যত্নে ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদানযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত নয়।

16/06/2025

সাম্প্রতি বাংলাদেশে স্ক্যাবিস নামক এক ধরনের চুলকানি রোগ মহামারী আকারে চড়িয়ে পড়েছে, এই রোগটি পানিবাহিত একধরনের জীবানু দ্বারা হয়ে থাকে।

শরিরে ঘামাচির তুলনায় একটু বড় দানা দানা দেখা দেয় এবং ফুটো করলে সেখানথেকে পানি বের হয়।
যার ফলে তীব্র চুলকানি এবং অস্বস্তি হয়। সৌভাগ্যবশত, সঠিক যত্নের মাধ্যমে এটি সম্পূর্ণরূপে নিরাময়যোগ্য। প্রাথমিক এবং সম্পূর্ণ চিকিৎসা আপনাকে দ্রুত আরোগ্য লাভে সহায়তা করে এবং রোগটি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া রোধ করে।

স্ক্যাবিস সংক্রমণ সাধারণত সংক্রামিত ব্যক্তির সাথে দীর্ঘক্ষণ ত্বক থেকে ত্বকের সংস্পর্শের মাধ্যমে সংক্রামিত হয়।
আক্রান্ত ব্যাক্তির বিছানা, তোয়ালে বা পোশাক ভাগাভাগি বা শেয়ার করে ব্যবহার করার মাধ্যমেও এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে।

রোগের তীব্রতার উপর ভিত্তি করে এবং রোগীর অবস্থা বিবেচনা করে নিন্মেউল্লেখিত ঔষধগুলো ব্যাবহার করে যেতে পারে।
• সাময়িক ওষুধ:
• পারমেথ্রিন ক্রিম: মাইট মারার জন্য ঘাড় থেকে পা পর্যন্ত লাগাতে হয় এবং সারা রাত রেখে দেওয়া লাগে।
• সালফার মলম বা বেনজিল বেনজয়েট: যখন পারমেথ্রিন অনুপযুক্ত হয়, বিশেষ করে শিশু বা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য, তখন ব্যবহার করা হয়।
• মৌখিক ওষুধ:
• আইভারমেকটিন: মাঝারি থেকে গুরুতর ক্ষেত্রে বা যখন সাময়িক চিকিৎসা কাজ না করে তখন ব্যবহৃত এক-ডোজ ট্যাবলেট।
• antihistamines:
• তীব্র চুলকানি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে, বিশেষ করে রাতের বেলায়।
• অ্যান্টিবায়োটিক (প্রয়োজনে):
• অতিরিক্ত চুল্কানি ও আঁচড়ের কারণে সংক্রমণের ক্ষেত্রে ব্যাবহারের প্রয়োজন হতে পারে।

চিকিৎসার পরেও ১/২ সপ্তাহ চুলকানি থাকতে পারে তবে সেটা আস্তে আস্তে কমে যাবে। ঘরের সব পোশাক এবং বিছানা ভালোভাবে পরিস্কার করে নিতে হবে এবং আক্রান্ত ব্যাক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে।

Dr Ruksana Mohammed

24/10/2025

22/10/2025

17/10/2025

13/10/2025

12/10/2025

09/10/2025

14/09/2025

25/08/2025

19/07/2025

04/07/2025

22/06/2025

16/06/2025

Address

Opening Hours

Website

Alerts

Contact The Practice

Shortcuts

Share

Category

Monday	09:00 - 13:00
	17:00 - 21:00
Tuesday	09:00 - 13:00
	17:00 - 21:00
Wednesday	09:00 - 13:00
	17:00 - 21:00
Thursday	09:00 - 13:00
	17:00 - 21:00
Friday	09:00 - 13:00
	17:00 - 21:00
Sunday	09:00 - 13:00
	17:00 - 21:00