08/01/2024
১৫ হাজার টাকায় ১ বছরের ইউরোপের ভিসা:
টানা ষষ্ঠবারের মতোন পেয়ে গেলাম ইউরোপের ভিসা। প্রথম চারবারের প্রতিবার ১ মাসেরও কম ও সিংগেল এন্ট্রি ভিসা পেলেও, ৫ম বারে পেয়েছিলাম ১ বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি ট্যুরিস্ট ভিসা।
টানা সফলতায় আত্মবিশ্বাসী হয়ে এবার ২৮ দিনের ট্যুর প্ল্যান দিয়ে মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা চেয়ে আবেদন করি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের ২১ তারিখে। ভিসা ইস্যু হয়েছে ২রা জানুয়ারি অর্থাৎ ১২ দিন পর। এর মধ্যে ২টা ২দিনের শুক্র-শনি সাপ্তাহিক ছুটির দিন ও বড়দিনের ছুটি ১ দিন মিলিয়ে ৫টি কর্মদিবস পড়েছে। নাহলে হয়তো আরো আগে পেয়ে যেতাম ভিসা। ভিসা ইস্যুর ১দিন পর পাসপোর্ট অর্থাৎ ৩রা জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে পাসপোর্ট সংগ্রহ করলাম।
এই ভিসা পেতে আমার সর্বমোট খরচ হয়েছে কমবেশি ১৫ হাজার টাকা।
খরচের হিসাবটা এমন :
১/ সুইডেন এমবাসি ভিসা ফি ৯,২০০ টাকা,
২/ ভিএফএস গ্লোবাল এর ফি ২,১১৬ টাকা,
৩/ ব্যাংক পে অর্ডার ফি ২৩০ টাকা,
৪/ এসএমএস এলার্ট ফি ০ টাকা, (অহেতুক ৩ টা মেসেজের জন্য ১৫০ টাকা খরচ করতে ইচ্ছা হয় নি)
৫/ বায়োমেট্রিক ফি ০ টাকা, (আগে দেয়া ছিলো তাই নতুন করে লাগে নাই)
৬/ ল্যাবে প্রিন্ট করা ছবি ১৬০ টাকা। (৪ কপি দিসে, ৩ টা এখনো আছে, অন্য যায়গায় কাজে লাগাবো)
৭/ ট্রাভেল হেলথ ইন্স্যুরেন্স ২৩০৭ টাকা (অফিসে পৌছে দিয়েছে)
৮/ ব্যাংক সলভেন্সি ও স্টেটমেন্ট ০ টাকা। (বছরে ২টা ফ্রি পাওয়া যায়)
৯/ ট্রেড লাইসেন্স ট্রান্সলেশন + নোটারি ১৫০ টাকা।
১০/ অন্যান্য ডকুমেন্ট প্রিন্ট + অনুবাদ + নোটারিতে খরচ কমবেশি ৫০০ টাকা।
হোটেল বুকিং করেছি বুকিং ডট কম থেকে, এয়ালাইন বুক করে দিসে এক বন্ধু। ডকুমেন্টেশনে ব্যবহার করেছি কোম্পানির লেটারহেড প্যাড, সিল ও সাইন। সাথে যুক্ত করেছি ট্রেড লাইসেন্স, টিন সার্টিফিকেট, ই-টিন, কোভিড ভ্যাক্সিন সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, আগের ইউরোপ ভিসার কপি, পুরান সব পাসপোর্টের বায়োপেজের কপি ও বর্তমান পাসপোর্টের বায়োপেজের ২ কপি।
আফসোস একটাই, ভিসা দিয়েছে ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৩ থেকে ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৪ সাল পর্যন্ত। ইচ্ছা থাকলেও ২০২৫ এর বর্ষবরণটা সেঙ্গেনভুক্ত ২৯ টা দেশের (বর্তমানে ২৭টা) কোন একটাতে করার সুযোগ টা পাচ্ছি না। আবার সুইডেন এম্বাসিকে ধন্যবাদ না দিয়েও পারছি না। কারন, তারা ৬ বার আমাকে ভিসা দিলো এবং আমার মনে হয় সুইডেন এম্বাসি থেকে খুব সহজে ও কম সময়ে আমি ভিসা পেয়েছি প্রত্যেকবারই। প্রথম দিকে এসেট ভ্যালুয়েশন, ইনভাইটেশন