21/07/2025
আমি যখন হোমিওপ্যাথি ২য় বর্ষের ছাত্র, হঠাৎ আমি বাড়িতে টয়লেটে গিয়ে এদিকে আমাকে ডাকছে এমন কন্ঠ শুনে দ্রুত বের হয়ে আসলাম এমার্জেন্সি রোগিনী। তিনি আবার আমার পাশের বাড়ির বন্ধুর মা। কোন ডাক্তার এমার্জেন্সি না পাওয়ায় আমাকে ডাকা হল, কারন আমি তখন প্রেশার এবং ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতাম বাড়িতে এবং বাজারে।গিয়ে শুনলাম কি হয়েছে?- হঠাৎ অসুস্থ মাথা ঘুরছে, গা হাত পা কাঁপছে।আমি গিয়ে দেখলাম প্রথমে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করলাম নরমাল ছিল। প্রেশার পরীক্ষা করে দেখি খুবি কম। বললাম স্যালাইন খাওয়ান। ঠিক হয়ে যাবে, আর একজন এলোপেথিক ডাক্তারকে ডাকেন। কারন আমাকে প্রথম দেখেই রোগী কালেমা তৈয়বা পড়ছে, সবার কাছে মাফ চাচ্ছে, এবং পরিবারে যারা বাইরে আছেন তাদের ডাকতে বলছেন। সাথে অনুরোধ করছেন আমাকে ডাক্তার দেখানো লাগবে না পশ্চিম।দিকে মুখ দিয়ে শুয়ানো হক। এই কথাগুলো শুনে আমি এলোপ্যাথি ডাক্তার ডাকতে বলি। যাক ডাক্তার সাহেব আসলেন আমি তখনো সেখান উপস্থিত, তিনি প্রেশার দেখলেন দুটো ট্যাবলেট দিলেন, তারপর আমি তার কাছে রোগী বুঝিয়ে দিয়ে বাড়ি চলে আসলাম। তিনও আমার গোছাতে গোছাতে রোগির দেখা শেষ করে বললেন এগুলো খেতে থাক ঠিক হয় যাবে পরবর্তীতে সম্যা হলে স্যালাইন শরিরের দিতে হবে। সবাই তার কাজে জানতে চাইলো ভিজিট কত বললো ৩০০/= আমি চলে আসলাম ওনাকে ভিজিট নিয়ে প্রস্থান করলে।আমি।সব গুছিয়ে চলে আসলাম কেউ কিছু জানতে চাইনাই। আমি আমার মত চলে আসলাম। পড়ে রোগীর আরো খোজ নিলাম প্রতিবেশী হিসেবে। এলোপ্যাথি ডাক্তার পরে আরএকজন এসেছিলেন চিকিৎসা দিয়েছেন। তিনি সুস্থ আছেন। আসলে হোমিওপ্যাথি ডাক্তরদের মূল্যায়ন এদেশে কম। তাই আমার বাবা বলেন, " ইমতিয়াজ শোন তুমি ডাক্তার হয়ে যেদিন চিকিৎসা দিবা সেদিন কোন লোক যদি তোমাকে চিকিৎসা দিতে না বলে, নিজে গিয়ে এমার্জেন্সি চিকিৎসা দিবানা, কারন এলোপ্যাথি ডাক্তার রোগী মের ফেললেও কেউ কিছু বলবেনা, তোমার কাছে কিছু হলে সবাই বলবে তুমি মেরে ফেলেছ। এটা আমার স্যার বলেছে।" তিনি পাবনা হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল থেকে ১৯৮৭ সালে পাশ করে এসেছন, তার শিক্ষক তাকে এই উপদেশ দিয়েছেন। হোমিওপ্যাথি ডাক্তারদের উচিৎ নিজের মূল্যায়ন করা।। সেধে এবং কম ভিজিটে কউকে চিকিৎসা দেয়া যাবেনা।
বিদ্রঃ একজন হোমিওপ্যাথি ডাক্তার সবাইকে ক্যন্থারিজ,হিপার নিয়ে দিয়া বাড়ি বিমান বিদ্ধস্ত এলাকাই গিয়ে চিকিৎসা দিতে বলাই আমার অভিজ্ঞতা তুলে ধরলাম।