
29/06/2025
Ankylosing Spondylitis
অনেক সময়েই মানুষের কোমরে ব্যথা হয় অতিরিক্ত খাটাখাটনির কারণে। সাধারণত দিনের শেষে এমন ব্যথা হতে দেখা যায়। এটা সাধারণ কোমরের ব্যথা, ‘অ্যাঙ্কাইলোসিং স্পন্ডিলাইটিস’ নয়। এএস-এর অন্যতম লক্ষণ সারা রাত কোমরে ব্যথা হওয়া, সকালে উঠেও কোমর ধরে থাকা। ব্যায়াম করলে, গরম জলে স্নান কিংবা গরম সেঁক নিলে ব্যথা কমে যায়। কিন্তু বিশ্রাম নিলে সেই ব্যথা বাড়তে পারে। এএস-এর আচরণ হল মাঝেমধ্যে কাঁধে, পিঠে কিংবা কোমরে ব্যথা। ব্যথা কমানোর ওষুধ খেলে প্রথম দিকে স্বস্তি মেলে, কিন্তু পরবর্তীকালে ওষুধের প্রভাব কমতে থাকে। বেশি দিন ব্যথা কমানোর ওষুধ খেলে গ্যাস-অম্বল হয়, কিডনির সমস্যা দেখা দেয়, শরীর ভাল হওয়ার বদলে শারীরিক অবনতি ঘটতে থাকে। ডা. রায় বললেন, ‘‘এএস আরও তিন ভাবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে। তিরিশ শতাংশ কেসে চোখের সমস্যা হতে দেখা যায়। চোখ লাল হয়ে যেতে পারে কিংবা দৃষ্টি কমে যায়। ডাক্তারি পরিভাষায় একে ইউভিয়াইটিস বা আইরাইটিস বলে। এমন চোখের সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে চক্ষু বিশারদের কাছে যেতে হবে। এএস-এর রোগীর ক্ষেত্রে এই ধরনের চোখের সমস্যা ঘন ঘন হতে দেখা যায়। পেটের গন্ডগোলও লেগেই থাকে। রোগী কোলাইটিস কিংবা ইনফ্ল্যামেটারি বাওয়েল ডিজ়িজ়ে ভোগেন। আর সোরিয়াসিস। বিশেষত শীতের দিনে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় (মাথা, কানের পিছন, কনুই ইত্যাদি) লাল চাকা চাকা দাগ দেখা দেয়।’’
কোন বয়সে হতে পারে?
২০ থেকে ৪৫ বছরের পুরুষদের এই রোগ হয়। আবার ১৬ বছরের নীচে কিশোরদের মধ্যেও এই রোগের লক্ষণ দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে কোনও আঘাত ছাড়াই হাঁটু, গোড়ালি কিংবা শরীরের এক বা একাধিক গাঁট ফুলে যায় ও ব্যথা হয়। একে বলা হয়, জুভেনাইল অ্যাঙ্কাইলোসিং স্পন্ডিলাইটিস। মেয়েদের ক্ষেত্রেও এই রোগ হতে পারে, তবে ছেলেদের তুলনায় কম।