এক্সপার্ট ফিজিও

এক্সপার্ট ফিজিও এক্সপার্ট ফিজিও আপনাকে দিচ্ছে সবচেয়ে

07/05/2023

সুস্থতা
ভালো থাকুন
হাঁটুর ব্যথা ও অস্টিওআর্থ্রাইটিস

আঘাত, ক্ষয় ও বাতজনিত—এ তিন কারণে হতে পারে হাঁটুর জয়েন্ট বা সন্ধিতে ব্যথা। আঘাত ও বাতজনিত ব্যথা যেকোনো বয়সে হতে পারে। তবে ক্ষয়জনিত ব্যথা ৪০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। একে বলে অস্টিওআর্থ্রাইটিস।

অস্টিওআর্থ্রাইটিস প্রতিরোধের জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। হাঁটুর সন্ধির মধ্যে যে কার্টিলেজ বা তরুণাস্থি থাকে, সেখানে ক্ষয় দেখা দিলে এটি হয়। এ ধরনের সমস্যায় হাঁটুতে ব্যথা থাকার পাশাপাশি হাঁটু ফুলতে পারে। ভাঁজ করতে সমস্যা হয়। কখনো হাঁটুর তাপমাত্রা বেড়ে যায়। হাঁটুর আকৃতির পরিবর্তন হতে পারে, হাঁটু ভাঁজ করতে গেলে শব্দ হয়। অনেকক্ষণ বসে থাকার পর উঠে দাঁড়ালে, সিঁড়ি দিয়ে ওপরে ওঠার সময়, অনেকক্ষণ হাঁটা-চলার পর ব্যথা বাড়ে। এরপর ধীরে ধীরে তীব্রতা বেড়ে এমন পর্যায়ে যায় যে রোগীর বিশ্রামের সময়ও ব্যথা হতে থাকে।

এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। চিকিৎসক প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে রোগ শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।

অস্টিওআর্থ্রাইটিস শরীরের অন্যান্য সন্ধিতেও হতে পারে, কিন্তু হাঁটুর সন্ধিতে বেশি হয়ে থাকে। কারণ, আমাদের শরীরে ওজনের সবচেয়ে বেশি ভার পড়ে হাঁটুতে।

সতর্কতা
অস্টিওআর্থ্রাইটিসে অনেক রকমের জটিলতা হওয়ার আশঙ্কা আছে। যেমন প্রচলিত ওষুধে কাজ না হওয়া, জয়েন্ট স্টিফ বা সন্ধি শক্ত হয়ে যাওয়া, হাঁটুতে ফ্লুইড জমে যাওয়া বা ফুলে যাওয়া, হাঁটুর আকৃতির পরিবর্তন হয়ে যাওয়া।

অস্টিওআর্থ্রাইটিস প্রতিরোধের জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসক রোগীকে জীবনাচরণ পরিবর্তন, ব্যায়াম ও খাদ্যাভ্যাসের গাইডলাইন দেন, সেগুলো অবশ্যই মেনে চলা উচিত। এতে রোগ আর বাড়বে না।

ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-যুক্ত খাবার খাওয়া, হাঁটু ভাঁজ করে কোনো কাজ না করা, সিঁড়ি ওঠা-নামার সময় সতর্ক থাকা।

ADVERTISEMENT
হাঁটুর অস্টিওআর্থ্রাইটিসে প্রয়োজনে অস্ত্রোপচারও করা লাগতে পারে। এর মধ্যে হাঁটুর রিপ্লেসমেন্ট বা প্রতিস্থাপন অন্যতম। তবে এ অস্ত্রোপচার বেশ ব্যয়বহুল।

ব্যথা কমানোর জন্য ব্যথানাশক ব্যবহার করা হয়, কিন্তু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা বিবেচনা করতে হবে। যেমন রোগীর কিডনির সমস্যা, অ্যাজমা বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে কি না, তা জেনে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থাপত্র দিতে হবে।

হাঁটুর সন্ধিতে ব্যথার চিকিৎসায় স্টেরয়েড ইনজেকশন অহরহ দেওয়া হয়। এটি একটু জেনেবুঝে দেওয়া উচিত। প্রয়োজনে ফিজিওথেরাপি দিতে হবে।

অস্টিওআর্থ্রাইটিস সমস্যায় ফিজিওথেরাপি খুব ভালো কাজ করে থাকে।এবং এটি একটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বিহীন চিকিৎসা পদ্ধতি।

ফিজিওথেরাপির সেবা নিতে আমাদের সাথে যোগাযোগ :০১৮৩৩-৩৮০৪০৯।

07/05/2023

সুস্থতা
স্নায়ুর যেসব সমস্যায় হাত-পা জ্বালাপোড়া করে

হাত জ্বালাপোড়ার অনুভূতি ভীষণ অস্বস্তির

হাত-পা জ্বালাপোড়া বা ঝিনঝিন করা পরিচিত একটি সমস্যা। তবে এটা কোনো রোগ নয়, বরং কিছু রোগের লক্ষণ। সাধারণত প্রান্তীয় স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলে অনুভূতির সমস্যা দেখা দেয়। রোগের শুরুতে পা ঝিনঝিন বা জ্বালাপোড়া হলেও ধীরে ধীরে অনুভূতিশক্তি কমে যায়। কেউ কেউ বলে থাকেন, ইলেকট্রিক শকের মতো লাগছে বা পিনের খোঁচা মনে হচ্ছে বা পিঁপড়া হেঁটে যাচ্ছে বলে মনে হয়। অনেক সময় সামান্য স্পর্শেই ভিন্ন এবং অস্বাভাবিক ধরনের অনুভূতি হয়। প্রান্তীয় স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলে মস্তিষ্কে বারবার ব্যথার অনুভূতি পাঠাতে থাকে। এ কারণে কোনো ক্ষত না থাকলেও অনুভূত হতে থাকে জ্বালা বা ব্যথার। পায়ের ওপর কেউ কেউ কাঁথা বা কাপড় পর্যন্ত রাখতে পারেন না। রাতে ঘুমানোর সময় পা উদোম রাখতে হয়। কেউ একটু আরামের আশায় খালি পায়ে মেঝেতে হাঁটতে থাকেন।

এই রোগের প্রকোপ হাতের চেয়ে পায়ে বেশি হতে দেখা যায়। পায়ের তালু থেকে শুরু হয়ে ধীরে ধীরে ওপরে উঠতে থাকে। সমস্যা বেশি হলে অনেক সময় পায়ের অনুভূতি কমে যায়, পা থেকে স্যান্ডেল খুলে গেলেও রোগী টের পায় না। কখনো আঘাত পেলেও বোঝে না। এ রকম নীরব আঘাত থেকে ক্ষত তৈরি হয় এবং পরে গ্যাংগ্রিন হতে পারে।

স্নায়ুর এসব সমস্যা কেন হয়
পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি অনেক কারণেই হতে পারে। এর অন্যতম কারণ হলো ডায়াবেটিস। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে রক্তে উচ্চমাত্রার শর্করা থাকার কারণে এ জটিলতায় আক্রান্ত হতে পারেন শতকরা ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ডায়াবেটিসের রোগী।

ভিটামিন বি-এর উপাদান, যেমন থায়ামিন (বি-১), পাইরোডক্সিন (বি-৬), সায়ানোকোবালামিন (বি-১২), নিকোটানিক অ্যাসিড ও রাইবোফ্ল্যাভিনের, ক্যালসিয়াম বা ভিটামিন-ডি-এর অভাবে পা জ্বালা ও ব্যথা করে।

পরিবর্তিত বিপাকীয় ও হরমোনের সমস্যা, যেমন হাইপোথাইরডিজম, বাত-ব্যথা, যেমন রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ক্যানসার, এইডসের কারণে এ সমস্যা হতে পারে।

কিডনি অকার্যকর এবং যকৃতের সমস্যায় এ সমস্যা হতে পারে। অনেক সময় কেমোথেরাপি বা বিশেষ কিছু ওষুধ সেবনে, যেমন টিউবারকিউলোসিসের ওষুধ, দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধসহ আরও কিছু ওষুধ সেবনের ক্ষেত্রে পা জ্বালাপোড়া হতে পারে।

দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত মদ্যপান বা ধূমপান করলে বা ভারী ধাতু দূষণসহ আরও কিছু কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্নায়ু।

অ্যালার্জিজনিত কাপড় ও মোজা ব্যবহার করা এবং ত্রুটিপূর্ণ জুতা পরলে।

পায়ের স্নায়ু বা নার্ভ আহত হলে, অবরুদ্ধ (ইনট্রাপমেন্ট) ও চাপ (কমপ্রেশন) হলেও এই সমস্যা হতে পারে।

এ ছাড়া মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তির বা বংশানুক্রমিক অসংগত স্নায়ুপদ্ধতির কারণেও অনেক সময় পায়ে জ্বালাপোড়া হয়।

নারীদের মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ইস্ট্রোজেনের অভাবেও এ সমস্যা হয়।

কী করবেন
রোগ প্রতিরোধে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সেবন করতে হবে এবং চিকিৎসায় ভিটামিন ইনজেকশন পুশ করতে হবে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রিত রাখতে হবে।

মদ্যপান ও ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে।

স্নায়ু আঘাত, অবরুদ্ধ (ইনট্রাপমেন্ট) ও সংকোচন (কমপ্রেশন) হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

সঠিক পরিমাপের খোলা ও আরামদায়ক জুতা ও মোজা পরতে হবে। পায়ের আর্চ সাপোর্ট, ইনসোল ও হিল প্যাড ব্যবহারে উপসর্গ অনেকটাই কমবে।

পায়ের পেশির ব্যায়াম ও ঠান্ডা পানির (বরফ নয়) সেঁক নেওয়া যেতে পারে।

লক্ষ রাখতে হবে, রোগী এমন কোনো ওষুধ সেবন করছে কি না, যে কারণে রোগীর পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি হচ্ছে। যদি এ ধরনের কোনো ওষুধ রোগী সেবন করে থাকে, তাহলে তা সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ করতে হবে। পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথির রোগীর এসব ওষুধ সাধারণত দীর্ঘ সময়ের জন্য খেতে হয়।

হাত-পা ঝিনঝিন করার অনুভূতি অস্বস্তিকর হলেও সঠিক কারণ নির্ণয় করার জন্য রক্তের শর্করা, ভিটামিন বি১২-এর মাত্রা, থাইরয়েড ও অন্যান্য পরীক্ষা লাগতে পারে। নার্ভ কনডাকশন টেস্ট করতে হতে পারে। কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করা গেলে, তা নিরাময়যোগ্য হতে পারে। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

07/05/2023

সুস্থতা
ভালো থাকুন
হাড় ক্ষয় বিষয়ে সচেতনতা

অস্টিওপরোসিস বা হাড় ক্ষয় মানে শরীরের হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া। এতে হাড় অনেকটা মৌচাকের মতো ছিদ্র ছিদ্র বা ফুলকো হয়ে যায়। অতি অল্প আঘাতে এই দুর্বল হাড়ের দ্রুত ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি। এমনকি তেমন কোনো আঘাত ছাড়াও মারাত্মক হাড় ক্ষয়ে হাঁচি–কাশি দিলেও তা ভেঙে যেতে পারে।

৫০ বছর পেরোনোর পর হাড় ক্ষয় দ্রুতলয়ে হতে থাকে। যাঁদের হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি আগে থেকে বিদ্যমান, তাঁদের ৫০–এর আগেও শুরু হয়ে যায় এই প্রক্রিয়া। যেমন নারীদের মেনোপজের পর হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

যাঁদের হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি বেশি
বয়স বৃদ্ধি, স্ত্রী লিঙ্গ, জিনগত ত্রুটি, অস্ত্রোপচারের কারণে ডিম্বাশয় না থাকা বা সময়ের আগেই মেনোপজ হয়ে যাওয়া, পুরুষ বা নারীর যৌন হরমোনের অভাব বা হাইপোগোনাডিজম, অতি খর্বাকৃতি, ভিটামিন ডির ঘাটতি, ধূমপান, অপুষ্টি, অতিরিক্ত চা, কফি, চকলেট গ্রহণের অভ্যাস, খাদ্যে বা বাতাসে ভারী ধাতুদূষণ, কোমল পানীয় ও মদ্যপান, দীর্ঘদিনের অচলাবস্থা বা শয্যাশায়ী রোগী, যাঁরা দীর্ঘদিন স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ সেবন করেন, তাঁদের অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি বেশি। অন্যান্য হরমোনজনিত রোগ যেমন হাইপারথাইরয়িডিজম, হাইপারপ্যারাথাইরয়িডিজম, কুসিং সিনড্রোম, ডায়াবেটিস, অ্যাডিসন রোগ, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, এসএলই ও কিডনি অকার্যকারিতা ইত্যাদি থাকলে হাড় ক্ষয় বেশি হয়।

উপসর্গ
প্রথমত, হাড় ক্ষয়ের তেমন কোনো শারীরিক লক্ষণ না-ও থাকতে পারে। সাধারণত হঠাৎ হাড় ভেঙে যাওয়াই এর প্রধান উপসর্গ। কারও কারও দৈহিক উচ্চতা কমে যায়, কুঁজো হয়ে যাওয়া বা সামনে ঝুঁকে থাকার সমস্যা দেখা দেয়। সংগোপনে মেরুদণ্ডে ফাটল বা চিড় ধরার কারণে কারও তীব্র কোমরব্যথা হতে পারে।

চিকিৎসা
প্রধান ও প্রথম পদক্ষেপ হলো ঝুঁকি শনাক্তকরণ, আর সম্ভব হলে তা রোধ করা। কিছু ওষুধ আছে যেগুলো চিকিৎসকের পরামর্শে গ্রহণ করা যেতে পারে। আগেভাগেই রোধ করার জন্য সচেতন হতে হবে। কারা কতটুকু ঝুঁকিতে আছেন বা কারা ইতিমধ্যেই হাড় ক্ষয়ে ভুগছেন, তা নির্ধারণ করতে হবে ও উপযোগী চিকিৎসা নির্বাচন ও প্রয়োগ করতে হবে।

চাই সচেতনতা
নিয়মিত ব্যায়াম করুন, এতে হাড়ের শক্তি বাড়ে। নিয়মিত পরিমাণমতো ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-জাতীয় খাবার খান। হাড়ের প্রধান উপাদান হচ্ছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি। ক্যালসিয়ামের জন্য নিয়মিত মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ও দুধজাতীয় খাবার খান। ভিটামিন ডির ৯০ ভাগ উৎস হচ্ছে সূর্যের আলো।

তাই প্রতিদিন ১৫ থেকে ৩০ মিনিট সূর্যের আলোতে থাকুন, পাশাপাশি সামুদ্রিক মাছ খান। এতে হাড় ভালো থাকবে। ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করুন। ডায়াবেটিস, লিভার, কিডনি রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। অতিরিক্ত ওজন বহন করবেন না। বহন করলেও দুই হাতের ভারসাম্য যেন থাকে।

26/04/2023
12/04/2023

সুস্থতা
ভালো থাকুন
গর্ভাবস্থায় কোমরব্যথায় করণীয়

গর্ভকালে প্রতি চার নারীর মধ্যে তিনজনই কোমরব্যথায় ভোগেন। বিশেষ করে শেষ তিন মাসে ব্যথাটা বেশ তীব্র হয়ে থাকে। তবে গর্ভাবস্থার প্রথম দিকেও ব্যথা হতে পারে। গর্ভস্থ শিশু যেদিকে অবস্থান নেয়, সেদিকেই সচরাচর ব্যথা বেশি হতে দেখা যায়।

কারণ
প্রজেস্টেরন ও রিলাক্সেশন হরমোন অন্তঃসত্ত্বা নারীর অস্থিসন্ধির হাড়গুলোকে নরম ও ঢিলে করে দেয়। এর কারণ সন্তান জন্মদানের জন্য মায়ের শরীরকে প্রস্তুত করা। অস্থিসন্ধির এই পরিবর্তনের কারণে কোমরব্যথা হয়।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জরায়ু বড় হতে থাকে। জরায়ুর এই পরিবর্তন পেটের পেশিকে দুর্বল করে। এর ফলেও কোমরব্যথা অনুভূত হয়।

গর্ভকালে নারীর ওজন বৃদ্ধি পায়। এই বাড়তি ওজন বহন করতে গিয়ে কোমরের হাড়ে ব্যথা হয়।

আমাদের পেলভিসে রাউন্ড লিগামেন্ট থাকে। জরায়ু বড় হওয়ার সঙ্গে এটি রাবাবের মতো বড় হতে থাকে এবং ক্রমশ পাতলা হয়ে যায়। যার ফলে হালকা নড়াচড়াতেও অন্তঃসত্ত্বা লিগামেন্টে ব্যথা পান।

করণীয়
নিয়মিত ব্যায়াম করলে বিভিন্ন পেশি শক্ত ও মজবুত থাকবে। যাঁরা ব্যায়াম করেন, তাঁরা কোমরব্যথার সঙ্গে সহজেই মানিয়ে নিতে পারেন।

শারীরিক পরিবর্তন ও অতিরিক্ত ওজনের কারণে কোমরের হাড়ে সব সময় একটা চাপ থাকে। তাই যদি দীর্ঘক্ষণ বসে কোনো কাজ না করে নির্দিষ্ট সময় পর পর একটু হাঁটাহাটি করুন।

টানা বসে থাকলে কোমরব্যথা আরও বাড়বে।

সতর্কতা
নড়াচড়া বা চলাচলে তাড়াহুড়া করবেন না। বসা থেকে ওঠা বা ওঠা থেকে বসা ধীরস্থিরভাবে করুন। এ সময় ভারী জিনিস তোলা নিষেধ। এরপরও যদি করতেই হয়, সে ক্ষেত্রে হাঁটু ভেঙে বসে পড়ুন। এবার ধীরে ধীরে জিনিসটা ওপরে তুলুন। দাঁড়িয়ে কোমর বাঁকা করে কিছু তুলতে যাবেন না।

ঘুমানোর সময় অতিরিক্ত বালিশ দিয়ে পিঠে সাপোর্ট দিন। পেটের নিচেও বালিশ রাখতে পারেন। চেষ্টা করুন যেকোনো পাশ ফিরে ঘুমাতে; সোজা হয়ে নয়।

চিকিৎসা
ব্যথার স্থানে ঠান্ডা সেঁক দিন কিছুক্ষণ। এতে ব্যথা অনেকটা কমবে। আইসব্যাগ না থাকলে বরফ তোয়ালে দিয়ে মুড়ে সেঁক দিন। এ ছাড়া গরম কাপড় দিয়ে সেঁক দিলেও ভালো ফল পাবেন। প্রতিদিন ২০ মিনিটের মতো এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে দেখতে পারেন। তবে পেটে ঠান্ডা বা গরম সেঁক দেবেন না।

পেটের বৃদ্ধির কারণে এ সময় সোজা হয়ে হাঁটা কঠিন হয়ে পড়ে। চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব সোজা হয়ে হাটঁতে। এতে কোমরে চাপ কিছুটা কমবে।

কোমরব্যথা দূর করতে মাসাজও উপকারী। যখন ব্যথা বেশি হবে, তখন খালি হাতে কোমরে হালকা মাসাজ করতে পারেন। বিশেষ করে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে।

গর্ভকালে কোমরব্যথা একটি পরিচিত সমস্যা। পুরোপুরি কোমর ব্যথা হয়তো নিরাময় হবে না। তবে উল্লেখিত নিয়মগুলো মেনে চললে ব্যথার তীব্রতা কমবে।

12/04/2023

সুস্থতা

ডায়াবেটিস রোগীর কাঁধব্যথা

ডায়াবেটিস রোগী ও বয়স্ক ব্যক্তিরা প্রায়ই কাঁধের ব্যথায় ভোগেন। ডায়াবেটিসের রোগীদের কাঁধে ব্যথার মূল কারণ অ্যাডহেসিভ ক্যাপসুলাইটিস, যা পরে কাঁধের জয়েন্টকে ক্রমে শক্ত করে ফেলে। এতে রোগী একপর্যায়ে হাত ওপরে ওঠাতে পারেন না, পিঠের দিকে নিতে পারেন না, জামাকাপড় পরতে পারেন না, এমনকি তাঁর মাথা আঁচড়াতেও কষ্ট হয়।

কখনো কোনো আঘাতের কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন হাত দিয়ে ভারী কিছু ওঠাতে গিয়ে আগে ব্যথা পেয়েছিলেন, যা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, রোগীর সারভাইক্যাল স্পন্ডাইলোসিস বা ঘাড়ের ক্ষয়রোগ আছে, ঘাড় থেকে ব্যথা হাতে চলে আসে। ব্যথার কারণে রোগী হাতের নড়াচড়া কমিয়ে দেন ও ক্রমে জয়েন্ট শক্ত হয়ে যায়।

ভ্রমণের সময় বাসে কিংবা গাড়িতে কড়া ব্রেক করা হলে যাত্রী তাঁর সুরক্ষার জন্য হাত দিয়ে শক্ত করে গাড়ির হাতল ধরেন। এতে যাত্রী অনেক সময় ব্যথা পান, যা পরে কাঁধব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অনেক সময় ভারী স্যুটকেস বা জিনিস হাত দিয়ে টেনে তুলতে গিয়ে আঘাত লাগে।

এসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে, বিশেষ করে ডায়াবেটিস থাকলে। এ ছাড়া বয়স চল্লিশের ওপর হলে ডিজেনারেটিভ বা ক্ষয়জনিত সমস্যা শুরু হয়। জয়েন্টের অভ্যন্তরীণ সাইনোভিয়াল ফ্লুইড কমে যেতে থাকে। এটিও ডায়াবেটিস আক্রান্তদের বেশি হয়ে থাকে।

চিকিৎসা
চিকিৎসা নির্ভর করে কী কারণে ব্যথা হচ্ছে তার ওপর। যদি সমস্যা কাঁধের হয়, তাহলে চিকিৎসা একধরনের। যদি ঘাড়ের কারণে হয়ে থাকে, তাহলে চিকিৎসা ভিন্ন। ব্যথা কমাতে ও মাংসপেশি রিলাক্স করতে ওষুধের প্রয়োজন পড়ে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাইনোভিয়াল ফ্লুইড বাড়ানোর জন্য ইনজেকশন দেওয়ারও প্রয়োজন হতে পারে।

পাশাপাশি প্রয়োজন সঠিক ও সময়োপযোগী ফিজিওথেরাপি। এ রোগের চিকিৎসায় কিছু ইলেকট্রোথেরাপিউটিক এজেন্ট খুব উপকারী। পাশাপাশি রোগীকে কিছু ব্যায়াম করতে হয়। ফিজিওথেরাপির ক্ষেত্রে একজন ফিজিওথেরাপি-বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে।

ফিজিওথেরাপি সেবা পেতে আমাদের সাথে যোগাযোগ :০১৭৩৩-৩৮০৪০৯।

12/04/2023

সুস্থতা
পিঠব্যথা দূরে রাখার উপায়
অনেকেই বয়ে বেড়াচ্ছেন পিঠের ব্যথা। তার প্রভাব পড়ছে তাঁদের চলাফেরায়, এমনকি চিন্তা-ভাবনাতেও। কিন্তু সামান্য কিছু অভ্যাস করলেই পাওয়া যেতে পারে ভালো ফল। কমতে পারে ব্যথার প্রকোপ।

প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণ চলাফেরা না করলে আমাদের মাংসপেশিতে রক্ত চলাচল ঠিকমতো হয় না। কমে যায় হাড়ের সংযোগের নমনীয়তা। ফলে সেগুলো শক্ত হতে থাকে। তা থেকে হয় ব্যথা। বিশেষ করে মেরুদণ্ডের হাড় ও পিঠের মাংসপেশিতে। তাই যত বেশি সম্ভব চলাফেরা করুন। আপনি যদি বাসে চলাচল করে থাকেন, এক স্টপেজ আগে নেমে যান। বাকি পথ হাঁটুন। তাড়া না থাকলে রিকশার দূরত্ব হেঁটে যান। দুই-তিনতলা পর্যন্ত লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। টানা বসে থাকতে হলে এক ঘণ্টা পরপর বিরতি নিন। কয়েক মিনিট হাঁটাহাঁটি করুন। সম্ভব হলে প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাস করুন।

সব্যসাচী হোন

সবারই শরীরের কোনো এক পাশ বেশি সক্রিয় হয়। ডানহাতিদের ডান পাশ, বাঁহাতিদের বাঁ পাশ। আপনি যখন শরীরের সক্রিয় পাশ দিয়েই সব কাজ করবেন, অন্যদিকের মাংসপেশি দুর্বল হতে থাকবে। এতে বাড়ে পিঠে ব্যথার ঝুঁকি। দীর্ঘস্থায়ী জখমেরও আশঙ্কা তৈরি হয়।

জিমে যে ৭টি ভুল আমরা নিয়মিতই করি
শরীরচর্চার শুরুতে অবশ্যই স্ট্রেচিং করে নিন।

যে কারণে প্রায়ই দেখা যায়, অন্য খেলার খেলোয়াড়রা দুর্বল হাতে গলফ খেলেন। মানে, ডানহাতিরা বাঁ হাতে আর বাঁহাতিরা ডান হাতে। প্রতিদিনের জীবনে আপনিও তেমন চেষ্টা করুন। ব্যাগ নেওয়া, দরজা খোলার মতো কাজগুলো দুর্বল হাতে করার অভ্যাস করুন।

ভারসাম্য ঠিক রাখুন

পুরো শরীর ব্যবহৃত হয়, এমন কাজগুলোতে ভারসাম্য ঠিক রাখা বেশ জরুরি। যেমন হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার, সাইকেল চালানো ইত্যাদি। আমাদের শারীরিক গঠন এমন যে এই কাজগুলো আপনাকে শরীরের দুই পাশের ভারসাম্য সমান রেখে করতে হবে। না করলে যে পাশে বেশি জোর বা ভর দেবেন, সে পাশের পিঠের মাংসপেশি বেশি ব্যবহৃত হবে। চাপ পড়বে মেরুদণ্ডে।

শরীর এলিয়ে দেবেন না

ক্লান্তি বা আলস্য যে কারণেই হোক, যখনই আপনার কাঁধ ঝুলে পড়বে, সচেতন হোন। নিজেকে নিজেই সোজা করে নিন। সময়ে সময়ে শরীর এলিয়ে যেতে চাইবে।

এটা স্বাভাবিক। তবে আপনি তা নিয়ে সচেতন কি না, নিজেকে থামাচ্ছেন কি না, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। এর সঙ্গে আপনার শ্বাস-প্রশ্বাসের সরাসরি যোগ আছে। এমনটা হলেই পিঠ সোজা করে লম্বা করে দম নিন। সে জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারেন।

দূরে রাখুন অবসাদ

মানসিক অবসাদও আপনার পিঠব্যথার কারণ হতে পারে। অবসাদ দূর করতে মনোযোগ দিতে পারেন আপনার বর্তমানে। কারণ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অবসাদ সৃষ্টি হয় অতীতের কিছু মনে করে বা ভবিষ্যতের কিছু ভেবে। প্রতিদিন কিছু সময়ের জন্য করতে পারেন প্রফুল্লতার চর্চা। পাশাপাশি করতে পারেন নিশ্বাসের ব্যায়াম।

এসবের পাশাপাশি নিয়মিত স্ট্রেচিং ও পিঠে ব্যথা চিরতরে নির্মল করার জন্য নিতে পারেন ফিজিওথেরাপি সেবা।

ফিজিওথেরাপি সেবা পেতে আমাদের সাথে যোগাযোগ :০১৮৩৩-৩৮০৪০৯।

30/03/2023

ফিজিওথেরাপি হোম কল সার্ভিস

এক্সপার্ট ফিজিও -ফিজিওথেরাপি হোম কল সার্ভিস বাংলাদেশের একমাত্র এরিয়া ভিত্তিক নির্ভরযোগ্য হোম বেসড ফিজিওথেরাপি সেবা মাধ্যম। যেখানে বাসায় বসে কল করে সেবা গ্রহীতা পাবেন নিজ এরিয়ার মধ্যে বিশেষজ্ঞ এবং অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টদের নিরাপদ ও আন্তরিক সেবা।

ঢাকা শহর সহ বাংলাদেশের সব এলাকায় অভিজ্ঞ এবং বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট এখন আপনার পাশে। রোগীর সর্বোচ্চ সেবাই আমাদের উদ্দেশ্য।ফিজিওথেরাপির প্রকৃত সেবা পেতে কল করুন আমাদের অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট পৌছে যাবে আপনার ঠিকানায়।

আমাদের সাথে যোগাযোগ :০১৮৩৩-৩৮০৪০৯।

25/03/2023

রমজান মাসে পরিমিত আহার করুন,
শরীর সুস্থ রাখুন।

23/03/2023

সুস্থতা
ঘাড়ে ব্যথা? নিজেই করুন প্রতিকার
ঘাড় ও কাঁধে ব্যথা খুবই সাধারণ ঘটনা। এই ডিজিটাল যুগে ঘাড়ব্যথার রোগী অনেক বেড়েছে। এক সপ্তাহের বেশি ঘাড়ে ব্যথা থাকলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

মানসিক অবসাদ ও দুশ্চিন্তা থেকেও ঘাড়ের ব্যথা হতে পারে

কেন হয় ঘাড়ব্যথা
বয়স হলে ঘাড়ের টিস্যু ক্ষয় হয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে ল্যাপটপের সামনে বসে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের এ সমস্যা বেশি হয়। এর কারণে ঘাড়ের মধ্যকার হাড়ে ফাঁক থেকে যায়। যাঁদের সারভাইকাল স্পন্ডেলাইটিস (ঘাড়ে মেরুদণ্ডের অংশে হাড়ক্ষয়) রয়েছে, তাঁদেরও ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে।

কোনো কারণে স্পাইনাল কর্ডের কোনো টিস্যু ফুলে গেলে স্লিপ ডিস্ক হতে পারে। সেখান থেকেও ঘাড়ে ব্যথা হয়।

কোনো দুর্ঘটনায় ঘাড়ে আঘাত পেলে সেই ব্যথা বহুদিন স্থায়ী হয়। পেশিতে টান লাগলে মাঝেমধ্যেই তখন ব্যথা বাড়ে।

বসার ভঙ্গিতে ত্রুটি থাকলে ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। বাঁকাভাবে শুয়ে থাকলে ঘাড়ে চাপ পড়ে, সেখান থেকেও ঘাড়ব্যথা হতে পারে। এ ধরনের সমস্যা হলে অন্যদিকে ঘাড় ঘোরানো অসম্ভব হয়ে পড়ে।

মানসিক অবসাদ ও দুশ্চিন্তা থেকেও ঘাড়ের ব্যথা হতে পারে।

অনেক সময় বিছানায় শুয়ে বই পড়া, টিভি দেখা বা উপুড় হয়ে ল্যাপটপে কাজ করা থেকেও ঘাড়ের পেশিতে টান লেগে ব্যথা হয়।

সামনে ঘাড় ঝুঁকিয়ে কাজ করতে হয়, এমন সব পেশার মানুষদের এ রোগ বেশি দেখা যায়
সামনে ঘাড় ঝুঁকিয়ে কাজ করতে হয়, এমন সব পেশার মানুষদের এ রোগ বেশি দেখা যায়ছবি: প্রথম আলো
কারা ঝুঁকিতে
বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই রোগের ঝুঁকি বাড়ে। সাধারণত ৪০ বছর বয়সের পর থেকে স্পন্ডাইলোসিসের পরিবর্তন শুরু হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর আগেও হাড়ের ক্ষয় শুরু হয়ে যায়। সামনে ঘাড় ঝুঁকিয়ে কাজ করতে হয়, এমন সব পেশার মানুষদের এ রোগ বেশি দেখা যায়। শুধু চেয়ার–টেবিলে বসে কাজ করেন, যেমন ব্যাংকার, নির্বাহী; কম্পিউটারে একনাগাড়ে কাজ, ঘাড়ে ঝাঁকুনি লাগে, এমন পেশা, যেমন মোটরসাইকেল বা সাইকেলচালকদেরও এ রোগ হতে পারে।

লক্ষণ
ঘাড়ের ব্যথা অনেক সময় কাঁধ থেকে ওপরের পিঠ, বুক, মাথার পেছনে বা বাহু হয়ে হাত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে। ঘাড় থেকে হাতে নেমে আসা স্নায়ু বা নার্ভের ওপর চাপ পড়লে পুরো হাতেই ব্যথা হতে পারে। সার্ভিক্যাল স্পন্ডোলাইসিসের সমস্যা সবচেয়ে গুরুতর হয়ে দেখা দেয় যখন স্পাইনাল কর্ডের ওপর চাপ পড়ে। হাত–পায়ে দুর্বলতা, হাঁটতে অসুবিধা হতে পারে। পায়খানা-প্রস্রাব বন্ধ হওয়ার মতো অবস্থাও হতে পারে। ঘাড় নাড়াতে গেলে ব্যথা লাগে। ডানে–বাঁয়ে ঘাড় ঘোরাতে সমস্যা হয়। ঘাড়ে জ্যাম ধরে থাকে।

ব্যথার সঙ্গে হাতে, বাহুতে হতে পারে ঝিনঝিন, শিরশির, অবশ ভাব, সুচ ফোটানোর অনুভূতি। সেই সঙ্গে হাত দিয়ে কোনো কাজ করতে অসুবিধা হয়।

পেশিতে টান পড়ার কারণেও ঘাড়ে ব্যথা হয়। স্নায়ু সংকোচন, অর্থাৎ ঘাড়ের ভার্টিব্রায় হার্নিয়েটেড ডিস্ক বা হাড়ের উৎস মেরুদণ্ডের কর্ড থেকে বেরিয়ে আসা স্নায়ুর ওপর চাপ পড়ার কারণেও ব্যথা হয়। বিভিন্ন সময় আঘাতের কারণে এমনটা হতে পারে। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, মেনিনজাইটিস বা ক্যানসারের মতো কয়েকটি রোগেও হতে পারে ঘাড়ব্যথা।

সাইকেল চালানো কিংবা সাঁতার কাটার মতো পরিশ্রমের কাজ অনেক বেশি সময় ধরে করলে ব্যথা আরও বেড়ে যায়

নিজেই করুন প্রতিকার
প্রতিদিনকার রুটিনে কিছু পরিবর্তন এনে সাধারণ ঘাড়ব্যথার প্রতিকার করা যায়।

শারীরিক ভঙ্গি স্বাস্থ্যকর করুন। বসে থাকার সময় আপনার মেরুদণ্ড যেন সরলরেখায় থাকে এবং কান সরাসরি আপনার কাঁধের ওপরে থাকে।

দীর্ঘ সময় একটানা বসে কাজ না করে এক ঘণ্টা পরপর ১০ মিনিট বিরতি নিন। যদি দীর্ঘ দূরত্বে ভ্রমণ করেন বা দীর্ঘ সময় ধরে কম্পিউটারে কাজ করেন, তবে উঠে পড়ুন, ঘুরে দেখুন এবং ঘাড় ও কাঁধ সামনে–পেছনে প্রসারিত করুন।

কাজের টেবিল–চেয়ার ও কম্পিউটার এমনভাবে সামঞ্জস্য করুন, যাতে মনিটর চোখের স্তরের সমান থাকে। দুই হাঁটু হিপের কিছুটা নিচে থাকবে। চেয়ারে আর্মরেস্ট বা হাতল ব্যবহার করা যেতে পারে। টেবিলে কুঁজো হয়ে বসবেন না।

মুঠোফোনে কথা বলার সময় কান ও কাঁধের মধ্যে ফোনটি ঠেকিয়ে রাখবেন না। প্রয়োজনে হেডফোন বা ফোনের স্পিকার অন করে নিন।

ধূমপায়ীরা ঘাড়ে ব্যথা হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকেন। তাই ঘাড়ব্যথা থেকে মুক্ত থাকতে ধূমপান ছেড়ে দিন।

কাঁধের ওপর স্ট্র্যাপসহ ভারী ব্যাগ বহন এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত ওজন ঘাড়ে চাপ তৈরি করে ব্যথার সৃষ্টি করে।

মাঝারি-শক্ত সমান বিছানায় এক বালিশে চিত হয়ে ঘুমাতে হবে। ঘুমানোর সময় ঘাড়ের নিচে বালিশ দিতে হবে। দরকার হলে বালিশ টেনে নামিয়ে ঘাড়ের নিচে নিন বা কম উচ্চতার বালিশ ব্যবহার করুন, যাতে আপনার মেরুদণ্ডের পেশি সমতল থাকে।

সাইকেল চালানো কিংবা সাঁতার কাটার মতো পরিশ্রমের কাজ অনেক বেশি সময় ধরে করলে ব্যথা আরও বেড়ে যায়। তাই একটানা না করে মাঝেমধ্যে বিরতি নিতে হবে।

কখন যাবেন চিকিৎসকের কাছে
ঘাড়ব্যথা বোঝার জন্য একজন অর্থোপেডিক চিকিৎসক শুরুতেই রোগীর ঘাড়ের সচলতা, অসাড়তা ও পেশির দুর্বলতা যাচাই করবেন।

চিকিৎসা
ঘাড়ব্যথার জন্য সাময়িক ব্যথার ওষুধ সেবন করতে পারেন।

ফিজিওথেরাপি: ব্যথা উপশমের জন্য ফিজিওথেরাপিস্টের কাছে থেরাপিও নিতে পারেন।

নিয়মিত ব্যায়াম: নিয়মিত ঘাড়ের ব্যায়াম করুন। ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ঘাড় ঘোরানোর চেষ্টা করুন। দরকার হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। তবে খুব বেশি ব্যথা থাকা অবস্থায় ব্যায়াম নয়। মনে রাখবেন, নিয়মিত ব্যায়ামে উপকার পাওয়া যায়।

সার্ভিক্যাল কলার: ঘাড়কে সাপোর্ট দিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এমন একটি নরম কলার পরে থাকতে পারেন। এটা ঘাড়ের কাঠামোগত চাপ বন্ধ করে ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে। তবে জেনে রাখা ভালো, একবারে তিন ঘণ্টার বেশি ব্যবহার করা ঠিক নয়। এক থেকে দুই সপ্তাহের বেশি সময় কলার ব্যবহার করা উচিত হবে না। অতিরিক্ত ব্যবহারে ব্যথা ভালো হওয়ার চেয়ে ক্ষতি হতে পারে।

ঘরোয়া প্রতিকার
ব্যথার স্থানে আইসব্যাগ ব্যবহার করা যায়। একটি আইস প্যাক বা বরফে তোয়ালে জড়িয়ে দিনে কয়েকবার দিতে হবে।

ফিজিওথেরাপি সেবা পেতে আমাদের সাথে যোগাযোগ :০১৮৩৩-৩৮০৪০৯।

23/03/2023

সুস্থতা
প্যানিক অ্যাটাক হলে কী করবেন

প্যানিক অ্যাটাকের ক্ষেত্রে শরীরের স্নায়ুব্যবস্থা অত্যধিক সক্রিয় হয়ে যায়

প্রচণ্ড ভয়ে শরীরের মধ্যে যে অস্বাভাবিক অবস্থা তৈরি হয় চিকিৎসাশাস্ত্রের ভাষায় তাকেই বলে প্যানিক অ্যাটাক। প্যানিক অ্যাটাক একধরনের মানসিক সমস্যা। কারও প্যানিক অ্যাটাক হলে তাঁর মনে হতে থাকে যে সে মারা যাচ্ছে কিংবা হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। যে কারণে বাঁচার জন্য সে হাঁসফাঁস করতে থাকে, যার প্রভাব শরীরেও পড়ে। হুট করেই হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়, ঘাম, কাঁপুনি, শ্বাসকষ্ট—প্রতিটি উপসর্গই মনে হয় মাত্রাতিরিক্ত। মনে হয় মৃত্যু অতি সন্নিকটে। প্যানিক অ্যাটাকে যা যা মনে হয়, তার কোনটাই কিন্তু ঠিক নয়, বরং মনের ভুল। প্যানিক অ্যাটাকের ক্ষেত্রে শরীরের স্নায়ুব্যবস্থা অত্যধিক সক্রিয় হয়ে যায়। একত্রে শরীরের প্রতিটি সমস্যার সমাধান খুঁজতে শুরু করেন তাঁরা। আর তা থেকেই বিভিন্ন রোগের উপসর্গ একসঙ্গে শরীরে এসে পড়ে, শুরু হয় প্যানিক অ্যাটাক।

যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গায় আঘাত হানতে পারে প্যানিক অ্যাটাক। সদ্য টিনএজে পা রাখা কিশোর–কিশোরী থেকে বৃদ্ধ, যে কেউ হতে পারে এর শিকার। প্যানিক অ্যাটাক বিরল কোনো অবস্থা নয়। কিন্তু নিয়মিত এই ঘটনাই হয়ে উঠতে পারে প্রাণঘাতী। প্যানিক অ্যাটাক ঠেকানোর কোনো উপায় এখনো বের হয়নি। কিন্তু একটু সাবধান হলেই দ্রুতই প্যানিক অ্যাটাক থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব। চলুন জেনে নেই, হুট করে নিজের কিংবা প্রিয় কারও প্যানিক অ্যাটাক হলে কী করতে হবে।

প্যানিক অ্যাটাক যেহেতু খুব বেশি স্থায়ী হয় না, মনকে শক্ত করাই এই রোগের প্রতিকারের প্রথম ও সর্বশ্রেষ্ঠ উপায়। নিজেকে শান্ত রাখুন ও ধৈর্য ধারণ করুন। সামান্য কয়েকটি টিপস আপনার পরবর্তী প্যানিক অ্যাটাকের তীব্রতা ও সময় দুটিই কমিয়ে আনতে পারে।

লম্বা শ্বাস নিন
প্যানিক অ্যাটাক শুরু হওয়া মাত্র লম্বা করে শ্বাস নিন। এরপর আস্তে করে ছেড়ে দিন। মস্তিষ্ক অক্সিজেন পেতে শুরু করলে আস্তে আস্তে আক্রমণের তীব্রতা কমে আসবে।

পানি খান
পানি শরীরকে শান্ত করে। ঠাণ্ডা পানি স্নায়ুকে শান্ত করতে সাহায্য করে। সম্ভব হলে পানি দিয়ে মুখ ও চোখ পরিষ্কার করে আসুন। এতে শরীর যেমন শান্ত হবে, প্যানিক অ্যাটাকের মাত্রাও আস্তে আস্তে কমে আসবে।

মানসিক প্রস্তুতি নিন
একবার প্যানিক অ্যাটাক দেখা দিলে কিছুক্ষণের মধ্যে পরবর্তী আক্রমণও হতে পারে। প্রথম অ্যাটাকের তুলনায় দ্বিতীয় অ্যাটাক আরও তীব্র হতে পারে। যে কারণে পরবর্তী অ্যাটাকের আগেই নিজের সুবিধাজনক অবস্থানে চলে যান।

পছন্দের মানুষের সঙ্গে কথা বলুন
প্যানিক অ্যাটাকের সময় মন বড্ড বিক্ষিপ্ত থাকে। সম্ভব হলে পছন্দের মানুষের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করুন। এতে করে বিক্ষিপ্ত মন শান্ত হবে, যা প্যানিক অ্যাটাকের সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

পছন্দের কাজ করার চেষ্টা করুন
যে কাজটি করলে মন শান্ত হয়, সেটি করার চেষ্টা করুন। মন বিক্ষিপ্ত থাকা অবস্থায় কাজ করা অনেকটা অসম্ভবই বটে, কিন্তু পছন্দের গান গাওয়া বা কাজ করা প্যানিক অ্যাটাক থেকে দ্রুত প্রশান্তি দেয়।

মাংসপেশি শিথিল পদ্ধতি
প্যানিক অ্যাটাকের সময় মনে হতে থাকে, আপনি আপনার শরীরের ওপর থেকে সব নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছেন। সে সময় মাংসপেশি শিথিল করার পদ্ধতি শরীরের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে। প্যানিক অ্যাটাক হলে শুয়ে পড়ে শরীরের মাংসপেশিকে হালকা করার চেষ্টা করুন। এতে করে প্যানিক অ্যাটাকের তীব্রতা অনেকাংশে কমে আসে।

Address

Badda

Opening Hours

Monday 09:00 - 17:00
Tuesday 09:00 - 17:00
Wednesday 09:00 - 22:00
Thursday 09:00 - 17:00
Friday 09:00 - 22:00
Saturday 09:00 - 17:00
Sunday 09:00 - 22:00

Telephone

+8801833380409

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when এক্সপার্ট ফিজিও posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to এক্সপার্ট ফিজিও:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram