ইউনানী স্বাস্থ্য সেবা

ইউনানী স্বাস্থ্য সেবা হাকীম শেখ নুরইসলাম
বিএ,ডিইউএমএস (ঢাকা)
পরিচালক,
ইউনানী স্বাস্থ্য সেবা।
রেজি নংঃ এ-৩৬২৫

আইবিএসের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণসমূহ:এ রোগের লক্ষণসমূহ সব মানুষের ক্ষেত্রে একই হয় না। লক্ষণসমূহ ব্যক্তিভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থ...
16/07/2025

আইবিএসের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণসমূহ:
এ রোগের লক্ষণসমূহ সব মানুষের ক্ষেত্রে একই হয় না। লক্ষণসমূহ ব্যক্তিভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। কখনো হালকা আবার কখনো কঠিনভাবে প্রকাশ পায়। তবে অধিকাংশ মানুষের মধ্যে লক্ষণসমূহ খুবই হালকাভাবে প্রকাশিত হয়।
নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো যদি তিন মাস সময়ের মধ্যে প্রতি মাসে কমপক্ষে তিন দিন দেখা যায়, তাহলে চিকিৎসকরা আইবিএস বলে থাকেন।
উল্লেখযোগ্য লক্ষণসমূহ নিম্নরূপ:
১. পেটে ব্যথা হওয়া ও টয়লেট সেরে নেওয়ার পর ব্যথা হ্রাস পাওয়া
২. প্রতিনিয়ত গ্যাস হওয়া এবং পেটের মধ্যে কলকল শব্দ হওয়া
৩. হজমের গোলোযোগ, কোষ্টবদ্ধতা ও পর্যায়ক্রমে উদরাময়
৪. পেট ফাঁপা, গলায় জ্বালা অনুভব ও বমি বমি ভাব
৫. ঘন ঘন মলদ্বার দিয়ে গ্যাস বের হওয়া কিংবা ঢেকুর তোলা
৬. ঘন ঘন পাতলা মল কিংবা পানির মতো তরল উদরাময়
৭. পায়খানায় যাওয়ার বেগ সামলাতে না পারা এবং মলদ্বারে ব্যথা
৮. কোষ্টবদ্ধ অবস্থায় মলের বেগ না আসা কিংবা খুবই শক্তমল কষ্টে অল্প অল্প বের হওয়া
৯. ক্ষুধা মন্দা হওয়া বা মোটেই না থাকা। আবার কখনো অতিরিক্ত ক্ষুধা থাকা
১০. প্রতিবার মলত্যাগের আগে বা পরে এবং মলের সঙ্গে মিউকাস ক্ষরণ
১১. ওজন হ্রাস পাওয়া
১২. মানসিক বিশৃঙ্খলা (যেমন- খিটখিটে মেজাজ, উত্তেজনা, অবসাদ ও উদ্বিগ্নতা)
১৩. কখনো কখনো যৌন ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া
১৪. প্রচণ্ড শারীরিক দুর্বলতা, মস্তিষ্ক ক্লান্তি ও কাজের প্রতি অমনোযোগিতা
প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা:
সত্যিকার অর্থে চিকিৎসা বিজ্ঞানে এখনো পর্যন্ত আইবিএসের নির্দিষ্ট কোনো প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা নেই। তবে উপরোক্ত লক্ষণসমূহ বিচার বিশ্লেষণ করে চিকিৎসক আইবিএস নির্ধারণ করেন।
তাছাড়া পারিবারিক ইতিহাস, রোগীর বয়স ও উপরোক্ত লক্ষণগুলো বিবেচনার ভিত্তিতে নিম্নোক্ত পরীক্ষাসমূহের প্রয়োজন হয়ে থাকে:
১. ব্লাড টেস্ট (সিবিসি অর্থাৎ রক্ত কণিকা পরীক্ষা)
২. ফুড এলার্জি টেস্ট
৩. স্টুল ব্লাড ও কালচার টেস্ট (ইনফেকসান পরীক্ষা)
৪. কোলোনোস্কোপি (কোলন বা মলাশয়ের অবস্থা পরীক্ষা)
৫. অ্যান্ডোসকপি (পাকস্থলীর অবস্থা পরীক্ষা) ক্ষেত্র বিশেষে প্রয়োজন হতে পারে
৬. এসজিওটি এবং এসজিপিটি (লিভার এনজাইম পরীক্ষা)
৭. থাইরয়েড টেস্ট (ক্ষেত্র বিশেষে প্রয়োজন হতে পারে)
চিকিৎসক আইবিএস নির্ণয়ের পর যা বর্জনীয়:
১. মশলা ও ঝালযুক্ত খাবার
২. ফ্যাট বা চর্বিযুক্ত খাবার
৩. দুধ ও দুধ জাতীয় খাদ্য (টক দই ব্যতিত)
৪. গম ও গমের তৈরি খাদ্য (সাদা আটা, ময়দা)
৫. সাদা চিনি ও চিনি দিয়ে তৈরি খাদ্য
৬. সোডা ও সোডা দিয়ে তৈরি খাদ্য
৭. দুধ চা ও কফি
৮. অনিয়মিত খাবার এবং একসঙ্গে বেশি খাবার
৯. অনিদ্রা বা অনিয়মিত নিদ্রা
১০. জাঙ্ক ফুড/প্রক্রিয়াজাত খাবার
১১. ঘন ঘন অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ও সরবিটল গ্রহণ
১২. অতিরিক্ত তেল বা তেলে ভাজা খাবার
১৩. অ্যালকোহল/মদ্যপান
১৪. কার্বোনেটেড ব্যাভারেজ ড্রিংকিং
১৫. শাক-সবজি (সবুজ পাতা শাক)
১৬. কিছু কিছু ফল যা হজম হয় না/এলার্জি (ব্যক্তিভেদে ভিন্ন ভিন্ন ফল)
#ইউনানী_স্বাস্থ্য_সেবা

14/07/2025
গোসল করবেন না!... আপনার ছোট শিশুদের একা রাখবেন না, প্রয়োজনে আপনার সাথে বাথরুমে নিয়ে যান কিন্তু একা ছেড়ে দেবেন না।"তুমি...
12/07/2025

গোসল করবেন না!... আপনার ছোট শিশুদের একা রাখবেন না, প্রয়োজনে আপনার সাথে বাথরুমে নিয়ে যান কিন্তু একা ছেড়ে দেবেন না।

"তুমি কি আছো, ছোট্ট মেয়ে?"

ঘটনাটি মাত্র এক মাস আগের, কিন্তু ব্যথাটা এখনও এতটাই তাজা মনে হচ্ছে যেন গতকালই ঘটেছে।

সেদিন আমার স্বামী কাজের জন্য তাড়াতাড়ি বেরিয়ে গিয়েছিলেন। আমি আমাদের তিন বছরের মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে একা ছিলাম। সে তার প্রিয় পুতুল আর খেলনা নিয়ে বসার ঘরে আনন্দে খেলছিল। আমি সারা সকাল গোসল করা থেকে বিরত ছিলাম, সঠিক মুহূর্তের অপেক্ষায়। অবশেষে, আমি ভাবলাম, "ও ঠিক আছে... মাত্র কয়েক মিনিট লাগবে।"

আমি তাকে আলতো করে বললাম, "মাম্মা তাড়াতাড়ি গোসল করে আসবে, সোনা। এখানেই থেকো আর খেলো, কেমন?" পুতুল সাজানোয় মগ্ন থাকায় সে তেমন মনোযোগ না দিয়েই মাথা নাড়ল।

আমি বাথরুমের দরজা খোলা রেখে জল ছেড়ে দিলাম। যখন আমার চারপাশে বাষ্প উঠতে লাগল, আমি ডেকে উঠলাম, "তুমি কি আছো, বেবি গার্ল?"

সে হাসিমুখে উত্তর দিল, "এখানে, খেলনা মাম্মা!"

আমি হাসলাম। ওর ছোট্ট কণ্ঠস্বর সবসময় আমার হৃদয়কে উষ্ণ করত। কয়েক মিনিট কেটে গেল এবং আমি আবার ডাকলাম, শুধু নিশ্চিত হওয়ার জন্য।

"তুমি কি এখনও আছো, বেবি গার্ল?"

আবারও সে কিচিরমিচির করে বলল, "এখানে, খেলনা মাম্মা!"

আমি জল আরও কিছুক্ষণ চলতে দিলাম, শান্তির এক বিরল মুহূর্ত উপভোগ করছিলাম। হয়তো আরও পাঁচ মিনিট কেটে গেল। তারপর আমি আবার ডাকলাম।

"তুমি কি আছো, বেবি গার্ল?"

কোনো উত্তর এলো না।

প্রথমদিকে, আমি ভাবলাম সে হয়তো খেলায় মগ্ন হয়ে গেছে। কিন্তু কিছু একটা আমাকে টেনে ধরল—এক মায়ের সহজাত প্রবৃত্তি। আমি দ্রুত জল বন্ধ করে, গায়ে তোয়ালে জড়িয়ে বাথরুম থেকে বেরিয়ে এলাম।

যা দেখলাম তা আমাকে চিরকাল তাড়া করে ফিরবে।

সে মেঝেতে শুয়ে ছিল, চোখ দুটি বড় বড় করে খোলা, সম্পূর্ণ স্থির। আমি বারবার তার নাম ধরে ডাকলাম, তাকে তুলে নিলাম, কাঁপতে কাঁপতে, চিৎকার করে, তাকে ঘুম থেকে ওঠার জন্য অনুনয় করতে লাগলাম। কিন্তু সে শ্বাস নিচ্ছিল না।

আতঙ্কিত হয়ে আমি ৯১১-এ ফোন করলাম। প্যারামেডিকরা দ্রুত চলে এলেন, কিন্তু তাদের কিছুই করার ছিল না। যখন তারা আমাকে বলল যে সে আর নেই, আমার পৃথিবী ভেঙে পড়ল।

পরের দিন, ময়নাতদন্তের সময়, তারা কারণটি খুঁজে পেল — সে দুর্ঘটনাবশত তার একটি পুতুলের ছোট স্যান্ডেল গিলে ফেলেছিল। এটি তার শ্বাসনালী বন্ধ করে দিয়েছিল। সে হয়তো পুতুলকে খাওয়ানোর ভান করছিল বা তার সাথে খেলছিল যেমনটা সে সবসময় করত।

আমার স্বামী এবং আমি বিধ্বস্ত হয়ে গেলাম। শোক ভালোবাসার উপর অদ্ভুত প্রভাব ফেলে। আমাদের মাঝে নীরবতা ভারী হয়ে উঠল, এবং অবশেষে, দোষারোপ, অপরাধবোধ আর দুঃখের ভারে আমরা দূরে সরে গেলাম।

এখন আমি একা থাকি। আমার থেরাপিস্ট আমাকে এটা লিখতে বললেন—ব্যথা মুক্তি দিতে, কোনো ধরনের আরোগ্য খুঁজে পেতে। কিন্তু আরোগ্য যেন একটি মিথ। প্রতিবার যখন আমি বাথরুমের দিকে যাই, আমি জমে যাই। জলের কথা, আবার সেই দরজার পিছনে থাকার চিন্তা আমাকে আতঙ্কিত করে তোলে।

তবুও, কখনও কখনও আমি সাহস সঞ্চয় করি, এবং যখন উষ্ণ জল আমার পিঠ বেয়ে নামে, আমার ভেতরের একটি অংশ সাহস করে জিজ্ঞেস করে:

"তুমি কি আছো, বেবি গার্ল?"

আর বাষ্প আর নীরবতার নিস্তব্ধতায়, আমি শপথ করে বলতে পারি, আমি এখনও তার ফিসফিস শুনতে পাই:

"এখানে, খেলনা মাম্মা।"

ছবি এবং লেখা সংগৃহীত

12/07/2025

বাবুর কৃমি সমস্যা এবং প্রতিকার

কৃমি সমস্যা কেন হয়?
বাচ্চাদের কৃমি (Worm infection) সাধারণত পেটে কেঁচো বা অন্য ধরনের পরজীবী কৃমির কারণে হয়। এটি সাধারণত মাটি, অপরিষ্কার খাবার, না ধোয়া হাত, এবং দূষিত পানির মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে।

---

🧒 কৃমির লক্ষণ (Symptoms):

ক্ষুধা কমে যাওয়া বা অতিরিক্ত ক্ষুধা লাগা

পেট ব্যথা বা পেট ফুলে থাকা

বমি বমি ভাব বা বমি

পাতলা পায়খানা বা কোষ্ঠকাঠিন্য

মলদ্বারে চুলকানি (বিশেষ করে রাতে)

ওজন না বাড়া বা হঠাৎ কমে যাওয়া

ঘুম ঠিকমতো না হওয়া

---

🩺 চিকিৎসা ও প্রতিকার:

✅ ১. ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ:

১ বছর বা তার বেশি বয়সী শিশুকে ডিওয়ারমিং সিরাপ বা ট্যাবলেট দেওয়া যায় (যেমন Albendazole)।

সাধারণত প্রতি ৬ মাসে ১ বার কৃমির ওষুধ দেওয়া উচিত।

ওষুধ ব্যবহারের আগে ডাক্তার বা শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ আবশ্যক।

✅ ২. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা:

শিশুর নখ ছোট করে কাটা

নিয়মিত হাত ধোয়া (বিশেষ করে টয়লেটের পরে ও খাবারের আগে)

সবজি ও ফল ভালো করে ধুয়ে খাওয়ানো

ফুটানো পানি খাওয়ানো

✅ ৩. ঘরের পরিবেশ পরিষ্কার রাখা:

শিশুকে মাটি বা ময়লার সাথে বেশি খেলতে না দেওয়া

ঘরের টয়লেট, বিছানা, এবং পোশাক নিয়মিত পরিষ্কার করা

⚠️ যদি সমস্যাগুলো দীর্ঘস্থায়ী হয়:

শিশুর ওজন কমে যেতে থাকলে, ঘন ঘন পেট ব্যথা বা পাতলা পায়খানা হলে, বা ঘুমে সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

#শিশুরযত্ন #শিশুস্বাস্থ্য #মাওশিশুরযত্ন

পাড়া মহল্লা থেকে রাজধানী পর্যন্ত সকল চাঁদাবাজদের জন্য সরকারিভাবে  মাসিক ভাতার ব্যবস্থা করা হোক। সকল পণ্যের উপর ট্যাক্স ...
11/07/2025

পাড়া মহল্লা থেকে রাজধানী পর্যন্ত সকল চাঁদাবাজদের জন্য সরকারিভাবে মাসিক ভাতার ব্যবস্থা করা হোক। সকল পণ্যের উপর ট্যাক্স দ্বিগুণ করা হোক। চান্দা নেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হোক।

বর্তমান পারিবারিক দ্বন্দের ৮০% ঘটনা ঘটতেছে পরকীয়ার জন্য। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সকলে সঠিক বুঝ দান করুক।
10/07/2025

বর্তমান পারিবারিক দ্বন্দের ৮০% ঘটনা ঘটতেছে পরকীয়ার জন্য।
সৃষ্টিকর্তা আমাদের সকলে সঠিক বুঝ দান করুক।

ঢাকার রাস্তায় পর্দা ঘেরা রিক্সা ১৯৫৫ সাল, ঐ সময়ে  বাংলাদেশের মহিলারা এভাবেই চলাচল করতো
08/07/2025

ঢাকার রাস্তায় পর্দা ঘেরা রিক্সা ১৯৫৫ সাল,

ঐ সময়ে বাংলাদেশের মহিলারা

এভাবেই চলাচল করতো

আঁধার ঘরে জোনাকি শেখ নুরইসলাম রাত সাড়ে দশটা।গ্রামের এক প্রান্তে ছোট্ট এক টিনের ঘরে হঠাৎ আলো নিভে গেল। দূর থেকে কুকুরের ড...
08/07/2025

আঁধার ঘরে জোনাকি
শেখ নুরইসলাম

রাত সাড়ে দশটা।
গ্রামের এক প্রান্তে ছোট্ট এক টিনের ঘরে হঠাৎ আলো নিভে গেল। দূর থেকে কুকুরের ডাক, মাঝে মাঝে শেয়ালের হুংকার—সব মিলিয়ে একটা অজানা ভয়ের বাতাস বইছিল।

রাশেদ দেশে ফিরেছে আজ সকালেই।
দুবাইয়ে পাঁচ বছর রক্ত পানি করে টাকা কামিয়ে বাড়ি ফিরেছে বউ ফারজানাকে নিয়ে সুখের সংসার গড়বে বলে। কিন্তু তার চোখের নিচের কালো দাগ আর কাঁপা কণ্ঠে যেন কোনো সুখের রঙ ছিল না।

রাশেদ যখন বাড়ি পৌঁছায়, বউয়ের আচরণে কিছু একটা অদ্ভুত লেগেছিল।
ফারজানার মুখ শুকনো, চোখে আতঙ্ক। অথচ স্বামী ফিরে এসেছে—এমন দিনে সাধারণত স্ত্রীর চোখে আনন্দের ঝিলিক থাকার কথা।
অথচ ফারজানার চোখ যেন কিছু লুকাচ্ছিল।

রাতের খাবার শেষে, রাশেদ বারান্দায় বসে বিড়ি টানছিল।
তখনই পাশের ঘর থেকে কান পাততেই ভেসে এল চেনা গলায় ফিসফাস—
“ও ফিরে এসেছে... এখন আমাদের সাবধানে থাকতে হবে।”

আরও কয়েকটি কথা কানে এল।
আরেকজন পুরুষের কণ্ঠ—চেনা কণ্ঠ। বুক কাঁপিয়ে উঠল। এ কণ্ঠ তার ছোট ভাই রিয়াদের!

রাশেদের দুনিয়া কেঁপে উঠল।
সে জানত, বিদেশে থাকাকালীন রিয়াদই তার স্ত্রীর পাশে ছিল, সাহায্য করেছিল। কিন্তু এখন যদি সে-ই তার জায়গা দখল করে নেয়, তাহলে?

রাত বাড়ে।
রাশেদ কিছু না বলেই ঘুমানোর ভান করে।
কিন্তু তার মন ঘুমায় না। সে বুঝে গেছে, বাড়ির মধ্যে কিছু একটা গভীর ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে।

দুই বছর আগে...
ফারজানার বয়স তখন মাত্র ২২। রাশেদের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল আত্মীয়দের পছন্দে।
বিয়ের এক মাসের মাথায় রাশেদ চলে যায় দুবাই।
বাকি পড়ে ফারজানা—একটা একলা ঘর, কিছু শূন্যতা, আর মাঝে মাঝে রিয়াদের হাসিমুখ।

রিয়াদ বয়সে ছোট, কিন্তু ফারজানার চোখে সে একমাত্র আশ্রয় হয়ে উঠেছিল।
এক সময়ের আদরের দেবর হয়ে উঠেছিল রাতের নীরব সহচর।
প্রথমে ছোটখাটো সহানুভূতি, তারপর হাত ধরা, তারপর...

অবৈধ সম্পর্কটা গোপনে চলতে থাকে।
গ্রামের কেউ জানে না, এমনকি রাশেদের মা-ও না, যে তাদের ঘরের ভিতরে নোংরা এক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।

বর্তমান...
রাশেদ পরদিন সকালে উঠে গ্রামের বাজারে যায়।
কিন্তু তার মাথায় চলছে ষড়যন্ত্রের খেলা।
সে সিদ্ধান্ত নেয়, স্ত্রীর মোবাইল ঘেঁটে দেখতে হবে কিছু।

রাতে ফারজানা গোসল করতে গেলে, সে মোবাইল খোলে।
একটার পর একটা মেসেজ—
"আজ রাতে ঠিক আগের ঘরে আসিস। রাশেদ কিছু টের পায়নি।"

"তুই না থাকলে আমি বাঁচতাম না। তোর স্পর্শ ছাড়া আমি অসম্পূর্ণ…"

রাশেদ থমকে যায়। বুকের মধ্যে আগুন জ্বলে ওঠে।
সে বুঝে যায়, এসব কিছু প্রমাণ ছাড়া কোনো মানে রাখে না।
সে সব স্ক্রিনশট নেয়।

পরদিন রাত...
রাশেদ আজ ভান করে ঘুমাচ্ছে।
হঠাৎ মাঝরাতে দরজা খোলে—পায়ের শব্দ।

সে চুপচাপ চোখ খুলে দেখে, ফারজানা সাদা ওড়না গায়ে চাপিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে।
কিছুক্ষণ পর রিয়াদও ঘর থেকে বের হয়।
দুজনকে অনুসরণ করে সে।
পুরনো পুকুরপাড়ের পাশে এক পরিত্যক্ত ঘর—সেখানেই শুরু হয় রাতের আসল খেলা।

ফাঁক দিয়ে সে দেখে দুজনের কুৎসিত আলিঙ্গন।
রাশেদের মাথা ঘুরে যায়।
হাতের মোবাইলে সে ভিডিও নেয়—তাদের সমস্ত কুকর্মের।

অভিযোগ নয়, প্রতিশোধ...
রাশেদ থানায় যাবে, বিচার চাইবে—প্রথমে এমন ভাবলেও পরে থেমে যায়।
সে ভাবে, এসব বলে সমাজে নিজের অপমান বাড়িয়ে লাভ নেই।
বরং নিজেই শেষ করবে এ খেলাটা।
নিজের হাতে সাজাবে প্রতিশোধের ছক।

সে বাড়ি ফিরে আসে—ভান করে কিছু জানে না।
পরদিন বিকেলে ফারজানাকে ডাকে—

“চলো, পুকুর পাড়ে হাঁটতে যাই।”

ফারজানা দ্বিধায় পড়ে, কিন্তু যায়।
পেছনে পেছনে রিয়াদকেও সে ডেকে নেয়—

“মাকে আনতে হবে তোকে, আমাদের কিছু কথা বলার আছে।”

সন্ধ্যার পর ঘন অন্ধকারে, রাশেদ পুকুরপাড়ের নির্জন জায়গায় দাঁড়িয়ে বলে—

“তোমাদের সম্পর্কের খবর আমি জানি। তোমাদের ভিডিও আছে আমার কাছে।”

দুজনেই স্তব্ধ।

ফারজানা কান্নাকাটি করে, রিয়াদ রেগে ওঠে।
“তুই কিছুই করতে পারবি না!”

কিন্তু রাশেদ তখন বলে—

“তোমাদের জন্য একটা উপহার রেখেছি—যেটা তোমরা চিরদিন মনে রাখবে।”

হঠাৎ পকেট থেকে সে ছুরি বের করে রিয়াদের দিকে তেড়ে যায়।
কিন্তু ঠিক তখনই ঘটে অপ্রত্যাশিত ঘটনা।

পুকুরপাড়ের ঘন অন্ধকারে, কুয়াশায় ভেজা বাতাসে তিনটি মানুষের শ্বাস মিলেমিশে গেছে।

রাশেদ ছুরি বের করতেই রিয়াদ চমকে উঠে—
“তুই মারবি আমাকে?”
তার ঠোঁটে তবুও একটু বিদ্রূপের হাসি—
“তুই ভাবিস আমি ভয় পাই? আগে প্রমাণ কর তো, তুই কিছু করতেও পারিস!”

রাশেদ কিছু বলে না।
তার চোখে ছিল মৃত্যুপ্রতিজ্ঞা।

কিন্তু ঠিক তখনই, পেছন থেকে ফারজানা ঝাঁপিয়ে পড়ে রাশেদের ওপর।
তার চুলের খোঁপা খুলে যায়, মুখে এক পশুর মতো হিংস্রতা।

“তুই ভাবিস তুই বিদেশ গিয়ে কিছু হইছিস? আমি তোর ছায়া হয়ে বেঁচেছি ৫ বছর। এখন তুই সব নষ্ট করবি? মর!”

রাশেদ ছুরিটা ফেলে দিতে গিয়েও পারল না।
হাত কাঁপছিল। মুখে ঘাম।

রিয়াদ পেছন থেকে লাঠি দিয়ে এক আঘাত করল তার মাথায়।
রাশেদ ছিটকে পড়ে গেল মাটিতে।

তার চোখের কোণে ঝাপসা হয়ে গেল সবকিছু।

ঘণ্টাখানেক পরে...
রাত তখন গভীর।
পুকুরঘাটে গাঢ় অন্ধকার।

ফারজানা আর রিয়াদ দাঁড়িয়ে আছে, রাশেদের নিথর দেহের সামনে।

“মরে গেছে তো?”—রিয়াদ জিজ্ঞেস করল।

ফারজানা গায়ে থাকা শাড়ির আঁচল দিয়ে রাশেদের মুখ পরীক্ষা করল।
না, এখনো নিঃশ্বাস চলছে... হালকা, কিন্তু চলছে।

“মারতে হবে এখনই। না হলে ও আমাদের শেষ করে দেবে,” ফারজানার কণ্ঠে ছিল দানবীয় শীতলতা।

রিয়াদ ছুরিটা তুলে নিল।
একবার হাত কাঁপল।
তবে এক মুহূর্ত পরই সে ছুরিটা বসিয়ে দিল রাশেদের বুকের বাঁ দিকটায়।

একবার...
দুইবার...
তিনবার...

শেষবার রাশেদের নিঃশ্বাস থেমে গেল।

পুকুরঘাটে একেবারে নীরবতা নেমে এল।

দেহ গায়েব করার খেলা
দুজন মিলে রাশেদের মৃতদেহ গাছে পুঁতে ফেলল।
মাটি সরিয়ে একটা ৩-৪ ফুট গভীর গর্ত তৈরি করে তাতে ফেলে দিল।

সঙ্গে পুড়িয়ে ফেলল রাশেদের ফোন—যেখানে ভিডিও প্রমাণ ছিল।
সাবধানতার সঙ্গে ছুরি মুছে ফেলা হল, পুকুরে ছুড়ে দেওয়া হল রক্তমাখা কাপড়।

সব কিছু এমনভাবে করা হল, যেন রাশেদ হারিয়ে গেছে—কোনো প্রমাণ নেই, কোনো চিৎকার নেই, কিছুই না।

পরদিন সকাল
“রাশেদ ভাই সকালে ঘরেই ছিল, কিন্তু এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না”—ফারজানার কণ্ঠে আতঙ্কের অভিনয়।

রিয়াদ নাটক করল, “আমরা থানায় রিপোর্ট করি, হয়তো কাউকে না জানিয়ে কোথাও গেছে…”

তবে একমাত্র একজন সন্দেহ করল—
রাশেদের মা, রওশন আরা বেগম।

তিনি জানতেন ছেলেটা এমন করে যায় না।
তার মনের ভিতরে অজানা ভয় ঢুকে পড়েছিল।
বহুদিন ধরে তিনি ফারজানার আচরণ লক্ষ্য করছিলেন।
আজ সেটা যেন তলোয়ার হয়ে সামনে এলো।

তদন্ত শুরু
দুই দিন পর থানায় জিডি করা হল—“রাশেদ নিখোঁজ”।
গ্রামে কানাঘুষো—“না জানি কী হল, রাশেদ তো ভালো মানুষ ছিল।”

পুলিশ আসে।
তদন্ত শুরু হয়।

কিন্তু কিছুই মেলে না।
মাটি এত নিখুঁতভাবে চাপা দেওয়া, যেন কবর ছিল বহুদিন আগের।

রিয়াদ আর ফারজানা স্বাভাবিক আচরণ করে।
তবে পুলিশের একজন সাব-ইন্সপেক্টর, ইকবাল হোসেন, একদিন চা খেতে খেতে রওশন আরাকে প্রশ্ন করেন—

“আপনি কি ভাবেন, আপনার ছেলের অনুপস্থিতির পেছনে কারো হাত থাকতে পারে?”

রওশন আরার উত্তর ছিল একটাই:
“আমার ছেলের স্ত্রী আর ছোট ছেলে, এই দুজনকে আলাদা করে জিজ্ঞেস করুন।”

একটা ভুল, যা শেষ করে দিল সব...
রিয়াদ নতুন ফোন কিনে একদিন পুরনো মেমোরি কার্ড ঢুকিয়ে কিছু ছবি দেখতে চাচ্ছিল।

আর তখনই ঘটে দুর্ঘটনা।

পুরনো মেমোরি কার্ডে এক অটো-ব্যাকআপ ভিডিও উঠে আসে—যা রাশেদ আগের মোবাইল দিয়ে রেকর্ড করেছিল।

রিয়াদ সেটা মুছতে না মুছতেই—তার ছোটভাই সালমান মোবাইলটা হাতে নিয়ে নেয়।

বাচ্চা ছেলে, সে ভিডিওটা দেখে চমকে যায়—
“এইটা ফারজানা আপু আর ভাইয়া...!!”

সে ভিডিওটা এক বন্ধুর কাছে শেয়ার করে, সেখান থেকে পৌঁছে যায় থানায়।

শেষ অধ্যায়: ধরা পড়ে যাওয়া
পুলিশ ভিডিও দেখে চমকে ওঠে।
রিয়াদ আর ফারজানাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রথমে অস্বীকার করলেও, পরে কড়া জিজ্ঞাসাবাদে ফারজানা ভেঙে পড়ে।

সে কাঁদতে কাঁদতে বলে—

“সে শুধু আমার স্বামী ছিল, কিন্তু আমি তো ছিলাম একটা বন্দি! আমি ভালবাসতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সমাজ আমাকে সুযোগ দেয়নি। তাই... তাই আমি ভুল করেছিলাম, কিন্তু আমি একা না... রিয়াদও সমান অপরাধী।”

রিয়াদ চিৎকার করে ওঠে—
“ওই মাগি নিজেই সব করেছে, আমিও ফাঁসে গেছি!”

দুজনেই একে অপরকে দোষ দিতে থাকে।

অবশেষে পুকুরপাড় থেকে উত্তোলন করা হয় রাশেদের মৃতদেহ।
ডিএনএ রিপোর্ট, ফরেনসিক প্রমাণ, ভিডিও—সব মিলিয়ে দুইজনকেই আদালত আজীবন কারাদণ্ড দেয়।

শেষ দৃশ্য
রওশন আরা বেগম ছেলের কবরের পাশে বসে চুপচাপ কাঁদছেন।

তার পাশে ছোট নাতি সালমান দাঁড়িয়ে।

তার হাতে ছিল সেই পুরনো মোবাইলটা—যা একসময় রাশেদ দিয়ে গিয়েছিল।

একটা ভিডিও চালু ছিল—
রাশেদ বলছে,

“এই ফোনে যা আছে, যদি কোনোদিন আমার কিছু হয়, এটা দেখে বুঝবি কারা আমার সর্বনাশ করেছে...”

বছরখানেক পরে...
নাটোর জেলা কারাগার।
ফারজানা আর রিয়াদ এখন কয়েদি। কিন্তু জেলের ভেতরে এসে জীবন থেমে থাকেনি—বরং শুরু হয়েছে এক নতুন রকমের খেলা।

রিয়াদ এখনো ভাবে—একদিন না একদিন সে বেরিয়ে আসবে।
তার মনটা কুটিল, চতুর।
সে জেলের ভেতরেই "ভাই ভাই" সম্পর্ক গড়ে তুলেছে কিছু অপরাধীর সঙ্গে।
কারো সঙ্গে দালালি করে, কারো জন্য জোগাড় করে মাদক, কারো কানে ফিসফিস করে একদিন "বড় প্ল্যান" করার কথা বলে।

এদিকে ফারজানা...
সে ভেঙে পড়েছে।
দিনে দিনে শুকিয়ে গেছে মুখ।
খাবার খায় না ঠিকমতো।
জেলের ভেতর তার জীবনের সমস্ত অর্থ যেন মুছে গেছে।

রাতের মধ্যে এক অন্ধকার চিঠি
এক রাতে ফারজানার কাছে এক কয়েদি গোপনে একটা চিঠি দিয়ে যায়।

চিঠিতে লেখা:

"তোকে বাঁচাতে পারি আমি। একটা পথ আছে। কিন্তু তার জন্য তুই আমাকে সাহায্য করবি।"
– রিয়াদ

ফারজানার গা কাঁপে।
সে বুঝে যায়—রিয়াদ থেমে নেই।
তার ভেতরে এখনো খেলা চলছে।

পরদিন কারাগারের কাজের সময় রিয়াদ তাকে কাছে ডাকে।

“তুই চুপচাপ থাকলে, আমার পেছনে লাগবি না, তাহলে আমি এক নতুন লোকের সাহায্যে কেস ঘুরিয়ে দেব। তোকে মুক্ত করিয়ে দেব।”
সে ফিসফিস করে।

ফারজানা জবাব দেয় না।
শুধু তাকিয়ে থাকে, যেন এক বিষাক্ত সাপকে দেখছে।

আদালতের নতুন ঘটনা
বিচারপতি বদলানো হয়েছে।
নতুন বিচারপতি মামলা পুনরায় খোলেন, কারণ ডিফেন্স পক্ষ দাবি করে—রাশেদের মরদেহের ডিএনএ পরীক্ষা যথাযথ ছিল না।

এটা ছিল রিয়াদের ছড়ানো গুজবের ফল।
সে একসময় নিজের আত্মীয়ের মাধ্যমে প্রভাব ফেলতে পেরেছিল।

কিন্তু এই ঘটনাই খোলে আরও বড়ো সত্য।

এক অজানা নাম—'আজাদ'
নতুন তদন্তে উঠে আসে এক নাম—আজাদ।
সে একজন ডাকাত দলের সাবেক সদস্য, বর্তমানে পলাতক।
ভিডিও ফুটেজের প্রমাণ ঘাঁটতে গিয়ে দেখা যায়—রিয়াদ এক সময় আজাদের সঙ্গে দেখা করেছিল।

পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, রাশেদের হত্যার পর রাতেই রিয়াদ আরেকজন লোককে বাড়ির পেছনে ডেকে এনে কিছু "মুছে" ফেলেছিল।

সেই লোকই ছিল আজাদ।
সে ছুরির হাতল থেকে রাশেদের আঙুলের ছাপ মুছে দিয়েছিল, গর্তের চিহ্ন মুছে ফেলেছিল।

অর্থাৎ, ফারজানা সত্যিই জানত না যে রিয়াদ অন্যকেও জড়িয়েছিল।

ফারজানার সিদ্ধান্ত
ফারজানা বুঝতে পারে, সে শুধু প্রেমিক নয়, এক বিকৃত অপরাধীর হাতের পুতুল ছিল।

সে পুলিশকে গোপনে জানায়—
“আমাকে বাইরে নিয়ে যান। আমি সাক্ষ্য দেব। সব বলব।”

আবারও আদালত
ফারজানার সাক্ষ্যে ভেঙে পড়ে গোটা কোর্ট।

সে খোলাখুলি বলে—

“আমার ভুল ছিল, আমি গন্ধ মাখা আবেগে ভুল পথে গিয়েছিলাম। কিন্তু রিয়াদ পরিকল্পিত খুনি। ও শুধু রাশেদকে মেরে থেমে থাকেনি, আজাদ নামের একজন খুনিকে এনেছে প্রমাণ গায়েব করতে।”

সাক্ষ্য মেনে আদালত রিয়াদের ফাঁসির আদেশ দেয়।

ফারজানার শাস্তি কমে গিয়ে ১০ বছর সাজা নির্ধারণ হয়, কারণ সে অপরাধ স্বীকার করেছে এবং তদন্তে সাহায্য করেছে।

জেল ফেরার রাতে...
রিয়াদ রেগে যায়।

সে রাতে তার সেলের ভেতর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।

শেষ চিঠিতে সে লিখে যায়—

“আমার বিচার আমি নিজেই করেছি। কিন্তু ও (ফারজানা) বিশ্বাসঘাতক। তার শেষ আমি দেখে যাব।”

ফারজানার ভয়
কারাগারের প্রহরীরা তাকে সুরক্ষা দেয়।
তবে তার চোখে এখনো ভয়।

রিয়াদ হয়তো মরেছে, কিন্তু রিয়াদের হাত ছিল বড়ো।

আজাদ এখনো বাইরে।

৩ বছর পর...
ফারজানা এখন সাতক্ষীরা মহিলা কারাগারে।
দিন যায়, রাত যায়—জীবন চলে বিষণ্ণ গতিতে।
তার সাজা কমে এখন আর ২ বছর বাকি।

সে এখন ধর্ম-কর্ম করে, জেলের মেয়েদের সেলাই শেখায়।
কিন্তু তার মাথায় একটাই কথা—

“আজাদ বেঁচে আছে।”

রিয়াদ মরার আগে বলে গিয়েছিল,

“আজাদ জানে সবকিছু। সে একদিন ফিরবে।”

এক অজানা চিঠি
এক সন্ধ্যায় ফারজানার কাছে চিঠি আসে।
ভিতরে লেখা ছিল:

“মাফ করে দিলাম না। অপেক্ষা কর।”
— A

ফারজানার মুখ সাদা হয়ে যায়।

সে জানে—এটা আজাদ।

সালমান এখন বড় হয়েছে
রাশেদ আর ফারজানার ছেলে সালমান এখন ১৪ বছর বয়সী।
সে থাকে দাদির সাথে।
চোখে ঘৃণা ফারজানার প্রতি, কারণ সে জানে মাকে সে হারায়নি—মা-ই বাবাকে খুন করেছিল।

কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সে বুঝে যায়, মা শুধু খুনি নয়, একজন প্রতারিত নারীও ছিল।

সে ঠিক করে, মায়ের নতুন শুরু হবে।

কারাগার থেকে মুক্তি
ফারজানা ৫ বছর সাজা ভোগের পর ভালো আচরণের জন্য মুক্তি পায়।

সে বাড়ি ফিরে না গিয়ে ঢাকায় একটা মহিলা সেফ হাউজে থাকতে শুরু করে।
নতুন জীবন শুরু করতে চায়।
কিন্তু...

আজাদের ফিরে আসা
ঢাকার উত্তরা।
এক সন্ধ্যায়, সেফ হাউজ থেকে বেরিয়ে রাস্তার মোড়ে দাঁড়াতেই, এক পুরুষ গলা নিচু করে বলে—
“তুই ভাবলি, তোকে ছেড়ে দিব?”

ফারজানা ঘুরে দাঁড়ায়।

আজাদ।
চোখে আগুন।
হাতে একটা ছোট ব্লেড।
তার চোখে রিয়াদের প্রেতাত্মা।

“তুই আমাকে ফাঁসানোর কথা বলেছিলি রিয়াদকে? তুই রিয়াদরে মাইরা এখন শান্তিতে থাকবি?”

আজাদ ঝাঁপিয়ে পড়ে।

শেষ মুহূর্তে সালমান
ঠিক তখনই একটা বাইকের শব্দ হয়।
একজন ছেলে ঝাঁপিয়ে পড়ে আজাদের ওপর।

সালমান।

সে পুলিশে খবর দিয়েছিল আগেই, কারণ সে মায়ের গতিবিধি লক্ষ করছিল অনেকদিন।

আজাদ ছুরিকাঘাত করে সালমানের হাতে, কিন্তু পালাতে পারে না।
স্থানীয়রা ধরে ফেলে।
পুলিশ এসে গ্রেফতার করে।

শেষ দৃশ্য: কবরের পাশে মা-ছেলে
ফারজানা রাশেদের কবরের পাশে বসে।
তার পাশে দাঁড়িয়ে সালমান, হাতে মোবাইলে রাশেদের সেই পুরনো ভিডিও।
যেখানে রাশেদ বলেছিল—

“আমি জানি, ফারজানা আমার মতো করে ভালোবাসে না। কিন্তু আমি চাই, সে একটা নতুন জীবন পাক।”

ফারজানা কাঁদে।
সালমান তার হাত ধরে।
বলল—

“বাবার হত্যার বিচার হয়েছে।
এখন সময়, তুমি নিজেকে ক্ষমা করো, মা।”

#নষ্টের_ফেরিওয়ালা

🧠 বুদ্ধিমান সন্তান চাই? সব শুরু হয় আপনার খাওয়া থেকে! 👶✨আপনার শিশুর মস্তিষ্ক গঠন শুরু হয় গর্ভেই — আর সঠিক খাবারই দিতে পার...
08/07/2025

🧠 বুদ্ধিমান সন্তান চাই? সব শুরু হয় আপনার খাওয়া থেকে! 👶✨
আপনার শিশুর মস্তিষ্ক গঠন শুরু হয় গর্ভেই — আর সঠিক খাবারই দিতে পারে তাদের এক শক্তিশালী সূচনা! 💪
আপনি যদি গর্ভবতী হন, বুকের দুধ খাওয়ান বা আপনার শিশু এখন সলিড খাবার শুরু করেছে — তাহলে খেয়াল রাখুন এই খাবারগুলো যেন প্লেটে থাকে (আপনার ও শিশুর):

🌸 গর্ভাবস্থায়:
🥚 ডিম = স্মৃতিশক্তি বাড়ায় (চোলিন আছে!)
🐟 চর্বিযুক্ত মাছ = ডিএইচএ যা মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে
🥬 পাতাযুক্ত সবজি = ফলেট যা মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডের গঠনে জরুরি
🥑 অ্যাভোকাডো = মস্তিষ্কের বৃদ্ধির জন্য স্বাস্থ্যকর চর্বি
🍓 বেরি ফল = ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক কোষকে রক্ষা করতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
🧠 বাদাম ও বীজ = ভিটামিন ই + ওমেগা-৩

🤱 বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়:
নিজেকে পুষ্ট রাখুন ডিএইচএ সমৃদ্ধ খাবার (যেমন সালমন), আয়রন সমৃদ্ধ সবজি, এবং প্রচুর পানি খেয়ে। এভাবেই আপনার দুধ শিশুর মস্তিষ্ক গঠনে সহায়ক হবে।

🍽️ শিশু যখন সলিড খাবার খাওয়া শুরু করে (প্রায় ৬ মাসে):
🥑 ম্যাশ করা অ্যাভোকাডো
🐟 নরম মাছ (যেমন সালমন)
🥚 ডিমের কুসুম
🍠 মিষ্টি আলু
🥣 আয়রনযুক্ত সিরিয়াল
🍌 কলা + পিনাট বাটার (অ্যালার্জি পরীক্ষা করার পর!)

#বুদ্ধিমানশিশু
#মস্তিষ্কেরবিকাশ
#গর্ভকালীনপুষ্টি
#শিশুরপুষ্টি
#মা‌য়েরজন্যজ্ঞান
#বেবিহেলথ
#নিউমা‌মটিপস
#মাতৃত্বকালীনখাবার
#শিশুরমস্তিষ্ক
#মাতৃত্বেরযত্ন
#শিশুরসঠিকখাবার
#বাংলামা




#ইউনানী_স্বাস্থ্য_সেবা

শরীর পিঠ তো সবকিছুই হিট
07/07/2025

শরীর পিঠ তো সবকিছুই হিট

হ'স্ত'মৈ'থু'নে'র শেষ পরিণতিএকটি গ্রামের যুবক ছিল, নাম তার কাসিম। দেখতেসুদর্শন, মায়ের আদরের একমাত্র ছেলে। পাঁচ ওয়াক্তনা...
07/07/2025

হ'স্ত'মৈ'থু'নে'র শেষ পরিণতি
একটি গ্রামের যুবক ছিল, নাম তার কাসিম। দেখতে
সুদর্শন, মায়ের আদরের একমাত্র ছেলে। পাঁচ ওয়াক্ত
নামাজ পড়ত না, তবে মাঝে মাঝে জুমার দিনে
মসজিদে যেত। বন্ধুদের সাথে আড্ডা, হাসি-ঠাট্টা আর
মোবাইল-ইন্টারনেটে অ'শ্লী'ল ভিডিও দেখা ছিলো তার
নে'শা।
শয়'তান আস্তে আস্তে তার মনকে দুর্বল করে দেয়।
হস্ত'মৈ'থু'নে'র আসক্তি এমনভাবে গ্রাস করে নেয় যে, দিনে
২-৩ বারও করতে ছাড়ত না। নিজের জানের ক্ষ'তি করছে

• এটা বুঝত, কিন্তু নফসের দাসত্ব আর শ'য়'তা'নে'র
ধোঁকায় আটকে গিয়েছিল।
এক রাতে, যখন সবার ঘুম, কাসিম নিজের ঘরে দরজা বন্ধ
করে মোবাইলে অ'শ্লী'ল ছবি দেখে নিজের নাপাক কাজ
করছিল। হঠাৎ সে বুকে ব্যথা অনুভব করে। দম বন্ধ হয়ে
আসে। তখন সে হাত মুখ ধুয়ে নামাজের নিয়ত করে, কিন্তু
ততক্ষণে মৃত্যু তার ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে গেছে।
কেউ জানলো না, সে রাতে তার জান কবজ হয়ে গেছে।
সকালে তার লা'শ পাওয়া গেলো বিছানার উপর, মুখ বিকৃত
হয়ে গেছে, চোখ উপরের দিকে উঠে আছে, আর তার ডান
হাতটি নিজের শরীরে এমনভাবে পড়েছিল যা দেখে সবাই
আঁ'ত'কে উঠে।

-
হুজুর ডেকে এনে গোসল করানোর সময় দেখা গেল -
তার শরীর থেকে অদ্ভুত গন্ধ বের হচ্ছে। কাফন পরানোর
সময় তার মুখ শক্ত করে আটকে ছিল, চোখ বন্ধ করা
যাচ্ছিল না। একজন হুজুর বললেন
-
> "যে ব্যক্তি দিনের পর দিন হা'রা'ম কাজে লিপ্ত হয়, আল্লাহ
তায়ালা তার মৃত্যুকে অপমানজনক করেন। তার কবরে
এমন ভ'য়া'ব'হ আযাব হবে, যা চোখে দেখা সম্ভব নয়।"
কবরে নামানোর পর দেখা গেল মাটি এমনভাবে ডেবে
গেল, যেন সে ভিতর থেকে নিচের দিকে টেনে নিচ্ছে।
অনেকেই বুঝে গেল – সে আল্লাহর গ'জ'বে'র শিকার
হয়েছে।
-
রাসূল বলেছেন: "যে ব্যক্তি নিজের হ'স্ত'মৈ'থু'ন করে,
কি'য়া'ম'তে'র দিন তার হাত গর্হিত অবস্থায় সাক্ষী দেবে এবং
সেই হাতকে আ'গু'নে'র শা'স্তি দে'য়া হবে।
শিক্ষা:
এই দুনিয়া ক্ষ'ণ'স্থা'য়ী। নফসের খেয়াল ও শ'য়'তা'নে'র ধোঁকায়
পড়ে এমন হা'রা'ম কাজ করলে মৃ'ত্যু'র পর ভ'য়া'ন'ক আ'যা'ব
অপেক্ষা করছে। এখনই তওবা করে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ
শুরু করো। হা'রা'ম কাজ থেকে ফিরে আসো।
কবরের ভেতর হাত-পা বাঁ'ধা অবস্থায় আ'গু'নে'র খাঁচায়
পুড়'তে হবে না, যদি এখনই আল্লাহর দিকে ফিরে আসো।

#ইউনানী_স্বাস্থ্য_সেবা

Address

Bagerhat

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ইউনানী স্বাস্থ্য সেবা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to ইউনানী স্বাস্থ্য সেবা:

Share