Cancer Home BD

Cancer Home BD Cancer Home is the pioneer private cancer treatment center in Bangladesh. We focus equally on two core activities: Cancer treatment and Cancer awareness.

Various form of cancer treatment regimen e.g. Chemotherapy, Radiotherapy, Surgery are available here. Diagnosis, treatment, counselling

স্তন টিউমার, যেকোন সাইজের হোক না কেন,বায়োপসি করে নিশ্চিত হোন ক্যান্সার কিনা স্তন ক্যান্সার (Self-Examination বা "স্ব-পর...
28/07/2025

স্তন টিউমার, যেকোন সাইজের হোক না কেন,
বায়োপসি করে নিশ্চিত হোন ক্যান্সার কিনা

স্তন ক্যান্সার (Self-Examination বা "স্ব-পরীক্ষা)

স্তন ক্যান্সার হয়েছে কিনা সেটা প্রথম ধাপে ঘরে বসেই পরীক্ষা (Self-Examination বা "স্ব-পরীক্ষা") করে প্রাথমিকভাবে বোঝা সম্ভব। তবে মনে রাখবেন, এটি শুধুমাত্র একটি সতর্কতা পদ্ধতি – নিশ্চিতভাবে জানার জন্য ডাক্তার বা স্ক্রিনিং (যেমন: ম্যামোগ্রাম) দরকার হয়।

ঘরে বসে স্তন ক্যান্সার পরীক্ষার ধাপ (Breast Self-Examination – BSE):

📌 ধাপ ১: আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখুন

দুই হাত নিচে রাখুন, আয়নায় স্তনের আকৃতি, রঙ বা গঠনে কোনো পরিবর্তন হয়েছে কিনা দেখুন।

দুই হাত মাথার পেছনে নিয়ে আবার দেখুন।

খেয়াল করুন:

গাঁঠ বা চাকা দেখা যাচ্ছে কি না

কোনো একটি স্তন ফুলে গেছে বা ছোট হয়েছে কি না

ত্বকে ভাঁজ, গর্ত বা টানটান ভাব আছে কি না

বোঁটা ভিতরের দিকে ঢুকে গেছে কি না

বোঁটা থেকে কোনো রস/রক্ত বের হচ্ছে কি না

📌 ধাপ ২: হাত দিয়ে চাপ দিয়ে অনুভব করুন (দাঁড়িয়ে বা বসে)

ডান হাত দিয়ে বাম স্তন এবং বাম হাত দিয়ে ডান স্তন পরীক্ষা করুন।

আঙুলের মাথা দিয়ে বৃত্তাকারে চাপ দিন (ছোট বৃত্ত তৈরি করে স্তনের উপর ঘোরান)।

পুরো স্তনের চারদিকে ও বোঁটার চারপাশে ভালোভাবে স্পর্শ করে দেখুন, কোনো গাঁঠ বা শক্ত অংশ আছে কিনা।

📌 ধাপ ৩: শুয়ে পড়ে পরীক্ষা

শুয়ে পড়ুন, এক হাত মাথার নিচে রাখুন, অন্য হাত দিয়ে উপরের নিয়মে পরীক্ষা করুন।

এতে স্তন সমতল হয় এবং চাকা থাকলে সহজে বোঝা যায়।

---

সতর্কতা লক্ষণ (Warning Signs):

একটি শক্ত গাঁঠ বা চাকা (যা নড়াচড়া করে না)

স্তনের ত্বকে গর্ত, ভাঁজ বা কমলা খোসার মতো গঠন

বোঁটা ভিতরের দিকে ঢুকে যাওয়া

বোঁটা থেকে রক্ত বা রস নিঃসরণ

স্তনের ত্বকে লালচে ভাব বা ব্যথা

এক স্তনের আকৃতি হঠাৎ পরিবর্তন

---

মনে রাখবেন:

স্তন নিজে পরীক্ষা করার সবচেয়ে ভালো সময় হলো মাসিক শেষ হওয়ার ৩-৫ দিন পর।

যদি আপনি মেনোপজে থাকেন, তাহলে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট দিন ঠিক করে পরীক্ষা করুন।

---

যদি কোনো অস্বাভাবিকতা পান:

👉 যত দ্রুত সম্ভব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন
👉 প্রয়োজন হতে পারে:

ম্যামোগ্রাম

আল্ট্রাসনোগ্রাফি

বায়োপসি (গাঁঠ থেকে নমুনা নেওয়া)

--

স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে আমাদের পেজে লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার করে সাথে থাকুন। আপনাদের জন্যই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।

পরামর্শ নিতে
ডাঃ জি এম আব্দুস সালাম
রেজিস্ট্রার এক্স
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল মহাখালী ঢাকা

চেম্বার

রাফা মেডিকেল সার্ভিসেস
৪৬ মহাখালী বটতলা
টিবিগেট পানির ট্যাংকির উওরে
০১৭১৫-০৯০৮০৭,০১৯৭৫-০৯০৮০৭

শনিবার থেকে বুধবার
সকালে ১০-১টা বিকাল ৫-৭টা

জেনে রাখা ভালো, গেটে বাত
28/07/2025

জেনে রাখা ভালো, গেটে বাত

বাংলাদেশের নারীরা যেসব ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে স্তন ক্যান্সার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুয...
28/07/2025

বাংলাদেশের নারীরা যেসব ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে স্তন ক্যান্সার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৫ হাজারের বেশি মানুষ স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। সচেতনতার অভাবে ও সময়মতো চিকিৎসা না নেওয়ার ফলে আক্রান্ত রোগীদের ৫০ শতাংশই মুত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে।

চিকিৎসকরা বলছেন, এ রোগে যে কেউই আক্রান্ত হতে পারে। তবে যাদের
১২ বছরের আগে ঋতুস্রাব হয়
দেরিতে মেনোপজ বা ঋতু বন্ধ হয়
যাদের সন্তান নেই
যারা দেরিতে সন্তান নিয়েছেন কিংবা বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ান না
যারা জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল খান বা হরমোনের ইনজেকশন নেন
যাদের চর্বি ও প্রাণীজ আমিষের প্রতি ঝোঁক বেশি
এবং যাদের ওজন অতিরিক্ত
তাদের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ কী কী?

স্তনে চাকা বা পিণ্ড দেখা দেয়
স্তনের বোঁটার আকারগত পরিবর্তন, যেমন ভেতরে ঢুকে যেতে পারে, স্তনের বোঁটা অসমান বা বাঁকা হয়ে যেতে পারে
স্তনের বোঁটা দিয়ে অস্বাভাবিক রস বের হতে পারে
স্তনের চামড়ার রং বা চেহারায় পরিবর্তন হতে পারে
বাহুমূল বা বগলে পিণ্ড বা চাকা দেখা দিতে পারে।
এরকম এক বা একাধিক কারণ ক্যান্সারের লক্ষণ হিসেবে ধরে নেয়া হয়।

চিকিৎসকরা মনে করেন, প্রাথমিক অবস্থায় স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করা গেলে তা শতভাগ নিরাময় সম্ভব। কিন্তু যেহেতু বাংলাদেশে স্তন ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে, তাই বেশির ভাগ রোগীই চিকিৎসা নিতে আসেন প্রায় শেষ পর্যায়ে। যখন আর কিছুই করার থাকে না। মৃত্যু তখন অবধারিত হয়ে যায়।

পরামর্শ নিতে
ডাঃ জি এম আব্দুস সালাম
রেজিস্ট্রার এক্স
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল মহাখালী ঢাকা

চেম্বার
রাফা মেডিকেল সার্ভিসেস
৪৬ মহাখালী বটতলা
টিবিগেট পানির ট্যাংকির উওরে
০১৭১৫-০৯০৮০৭,০১৯৭৫-০৯০৮০৭
শনিবার থেকে বুধবার
সকালে ১০-১টা বিকাল ৫-৭টা

27/07/2025

কম খরচে দেশেই ক্যান্সারের চিকিৎসা,
ক্যান্সার নির্ণয় fnac, বায়োপসি,কোর বায়োপসি, কেমোথেরাপি, অপারেশন, পেলিয়েটিভ চিকিৎসা
ক্যান্সারে সেকেন্ড অপিনিয়ন ফুসফুস ও পেট থেকে পানি বের করা সহ সকল চিকিৎসা

ডাঃ জি এম আব্দুস সালাম
রেজিস্ট্রার এক্স
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল মহাখালী ঢাকা

চেম্বার
রাফা মেডিকেল সার্ভিসেস
৪৬ মহাখালী বটতলা
টিবিগেট পানির ট্যাংকির উওরে
০১৭১৫-০৯০৮০৭,০১৯৭৫-০৯০৮০৭
শনিবার থেকে বুধবার
সকালে ১০-১টা বিকাল ৫-৭টা

27/07/2025

ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণগুলো সাধারণত স্তনে বা তার চারপাশে কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ দেওয়া হলো:

🔍 সাধারণ লক্ষণসমূহ:

1. স্তনে গাঁঠ বা চাকা – ব্যথাহীন, শক্ত গাঁঠ যেটা ধীরে ধীরে বড় হয়।

2. স্তনের আকার বা আকৃতির পরিবর্তন – এক স্তন হঠাৎ করে ছোট বা বড় হয়ে যেতে পারে।

3. স্তনের চামড়ায় পরিবর্তন – চামড়া কুঁচকে যাওয়া, লালচে হয়ে যাওয়া বা কমলা খোসার মতো দেখানো (Peau d'orange)।

4. স্তনের নিপল (বোঁটা) তে পরিবর্তন – ভিতরের দিকে ঢুকে যাওয়া, ব্যথা অনুভব হওয়া বা রং পরিবর্তন হওয়া।

5. নিপল থেকে অস্বাভাবিক রস নির্গমন – রক্ত মেশানো বা পাতলা তরল।

6. স্তনের বা বগলের অংশে ব্যথা – কখনো কখনো ব্যথাও অনুভূত হতে পারে।

7. বগলের নিচে লিম্ফ নোড বা গাঁঠ অনুভব – যা চেপে ধরলে শক্ত লাগে।

🩺 কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত:

উপরোক্ত যেকোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে ব্রেস্ট ক্যান্সার সফলভাবে চিকিৎসা করা সম্ভব।

প্রয়োজনে আমি স্তন স্বপরীক্ষার (Breast Self-Examination) ধাপগুলো ছবিসহ ব্যাখ্যা করে দিতে পারি। চাইলে বলবেন।

শেয়ার করে সচেতন করুন
27/07/2025

শেয়ার করে সচেতন করুন

27/07/2025
ব্রেস্ট এবসেস (Breast Abscess) হল স্তনের মধ্যে পুঁজভরা একটি সংক্রমিত ফোঁড়া বা স্ফীতি। এটি সাধারণত ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্র...
26/07/2025

ব্রেস্ট এবসেস (Breast Abscess) হল স্তনের মধ্যে পুঁজভরা একটি সংক্রমিত ফোঁড়া বা স্ফীতি। এটি সাধারণত ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে এবং বিশেষ করে স্তন্যদানকারী নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।

ব্রেস্ট এবসেসের সাধারণ লক্ষণগুলো হলো:

1. স্তনের মধ্যে ব্যথাযুক্ত স্ফীতি বা গাঁঠ

স্থানীয়ভাবে লাল, গরম ও শক্ত লাগে।

2. চামড়ার রঙ লালচে হয়ে যাওয়া

সংক্রমণস্থলের ত্বক লাল ও ফুলে যায়।

3. জ্বর ও ঠান্ডা লাগা

ইনফেকশনের ফলে শরীরে জ্বর আসে।

4. স্তনে চাপ দিলে তীব্র ব্যথা

দুধ খাওয়াতে সমস্যা হয় বা ব্যথা বাড়ে।

5. পুঁজ বা তরল নির্গমন

কখনও কখনও চামড়া ফেটে পুঁজ বের হতে পারে।

6. পাশের লসিকা গ্রন্থি (lymph node) ফুলে যাওয়া

যেমন বগলের নিচে লিম্ফ নোড ফুলে যেতে পারে।

কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন:

স্তনে তীব্র ব্যথা বা ফোলা থাকলে

জ্বর ও অসুস্থ বোধ করলে

স্তনে পুঁজ বা তরল বের হলে

চিকিৎসা:

অ্যান্টিবায়োটিক

প্রয়োজনে পুঁজ নিষ্কাশনের জন্য drainage করা হয়

আপনি চাইলে আমি ছবি বা স্কিমেটিক ডায়াগ্রাম দিয়ে ব্যাখ্যা করতেও পারি।

ডাঃ জি এম আব্দুস সালাম
রেজিস্ট্রার এক্স
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল মহাখালী ঢাকা

চেম্বার
রাফা মেডিকেল সার্ভিসেস
৪৬ মহাখালী বটতলা
টিবিগেট পানির ট্যাংকির উওরে
০১৭১৫-০৯০৮০৭,০১৯৭৫-০৯০৮০৭
শনিবার থেকে বুধবার
সকালে ১০-১টা বিকাল ৫-৭টা

26/07/2025

পেলিয়েটিভ চিকিৎসা (Palliative Care) হচ্ছে এমন একধরনের চিকিৎসা, যা গুরুতর অসুস্থ রোগীদের আরাম দেওয়ার জন্য প্রদান করা হয়। এই চিকিৎসার মূল উদ্দেশ্য হলো রোগ উপশম করা নয়, বরং রোগীর ব্যথা, মানসিক চাপ, শারীরিক অস্বস্তি এবং মানসিক যন্ত্রণা কমানো।

---

🔹 পেলিয়েটিভ চিকিৎসার মূল বৈশিষ্ট্য:

1. ব্যথা ও উপসর্গ নিয়ন্ত্রণ: যেমন – ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, বমি, দুর্বলতা, ক্লান্তি ইত্যাদি উপসর্গ কমানো।

2. মানসিক ও সামাজিক সহায়তা: রোগী ও পরিবারের মানসিক চাপ কমানো এবং মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে সাহায্য করা।

3. রোগীর জীবনের গুণগত মান উন্নয়ন: যতটা সম্ভব স্বাভাবিক ও শান্ত জীবন বজায় রাখা।

4. পরিবারকেও সহায়তা প্রদান: আত্মীয়-স্বজন যেন মানসিক ও সামাজিকভাবে সহায়তা পান।

5. যেকোনো বয়সের রোগীর জন্য প্রযোজ্য: শিশু, বয়স্ক, ক্যান্সার, হৃদরোগ, কিডনি ফেইলিউর ইত্যাদিতে প্রয়োগযোগ্য।

---

🔹 কোন কোন রোগে পেলিয়েটিভ কেয়ার দরকার হতে পারে?

ক্যান্সার

হার্ট ফেইলিউর

কিডনি ফেইলিউর

নিউরোলজিক রোগ (যেমন ALS, Parkinson’s)

ডিমেনশিয়া বা Alzheimer’s

দীর্ঘমেয়াদী যন্ত্রণাদায়ক রোগ

---

🔹 কখন শুরু করা যায়?

পেলিয়েটিভ কেয়ার রোগ নির্ণয়ের শুরুতেই দেওয়া যেতে পারে, কেবল শেষ পর্যায়ে নয়। এটি চিকিৎসার পাশাপাশি চলতে পারে।

---

🔹 কোথায় পাওয়া যায়?

হাসপাতালে (বিশেষ ইউনিটে)

বাসায় (হোম কেয়ার)

হসপিস কেয়ার (Hospice) কেন্দ্রে

---

প্রয়োজন হলে আমি বাংলা ভাষায় সহজ করে পেলিয়েটিভ কেয়ার পরিকল্পনার উদাহরণ দিতে পারি। বলুন, আপনি কোন রোগ সম্পর্কে জানতে চান?

ডাঃ জি এম আব্দুস সালাম
রেজিস্ট্রার এক্স
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল মহাখালী ঢাকা

চেম্বার
রাফা মেডিকেল সার্ভিসেস
৪৬ মহাখালী বটতলা
টিবিগেট পানির ট্যাংকির উওরে
০১৭১৫-০৯০৮০৭,০১৯৭৫-০৯০৮০৭
শনিবার থেকে বুধবার
সকালে ১০-১টা বিকাল ৫-৭টা

শ্বাস কষ্টর কারণ কি?শ্বাসকষ্ট (Dyspnea) এমন একটি অস্বস্তিকর অনুভূতি যেখানে মনে হয় পর্যাপ্ত বাতাস পাওয়া যাচ্ছে না অথবা ...
26/07/2025

শ্বাস কষ্টর কারণ কি?

শ্বাসকষ্ট (Dyspnea) এমন একটি অস্বস্তিকর অনুভূতি যেখানে মনে হয় পর্যাপ্ত বাতাস পাওয়া যাচ্ছে না অথবা শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। এটি একটি সাধারণ সমস্যা এবং এর অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। কিছু কারণ হালকা হতে পারে, আবার কিছু কারণ গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।

শ্বাসকষ্টের প্রধান কারণগুলো হলো:

ফুসফুসের সমস্যা
অ্যাজমা (Asthma): এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ যেখানে শ্বাসনালী সরু হয়ে যায় এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।

সিওপিডি (COPD - Chronic Obstructive Pulmonary Disease): এটি ফুসফুসের একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ যা ফুসফুসের বায়ু থলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এর মধ্যে ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস এবং এম্ফিসেমা অন্তর্ভুক্ত।

নিউমোনিয়া (Pneumonia): ফুসফুসের সংক্রমণ যা শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি করতে পারে।

প্লুরাল এফিউশন (Pleural Effusion): ফুসফুসের চারপাশে তরল জমে যাওয়া।

ফুসফুসের রক্ত জমাট বাঁধা (Pulmonary Embolism): ফুসফুসের ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধা, যা খুবই গুরুতর হতে পারে।

ফুসফুসের প্রদাহ বা ফাইব্রোসিস (Pulmonary Fibrosis): ফুসফুসের টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত বা শক্ত হয়ে যাওয়া।

নিউমোথোরাক্স (Pneumothorax): ফুসফুস আংশিক বা সম্পূর্ণ ভেঙে যাওয়া।

ফুসফুসের ক্যান্সার (Lung Cancer): ফুসফুসের ক্যান্সারও শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।

হৃদপিণ্ডের সমস্যা
হার্ট ফেইলিওর (Heart Failure): যখন হৃদপিণ্ড শরীরকে পর্যাপ্ত রক্ত পাম্প করতে পারে না, তখন ফুসফুসে জল জমে শ্বাসকষ্ট হতে পারে।

হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack): হার্ট অ্যাটাকও হঠাৎ শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।

অ্যারিথমিয়া (Arrhythmia): হৃদপিণ্ডের অস্বাভাবিক ছন্দ।

কার্ডিওমায়োপ্যাথি (Cardiomyopathy): হৃদপিণ্ডের পেশীর সমস্যা।

অন্যান্য স্বাস্থ্যগত কারণ
অ্যালার্জি (Allergies): ধুলো, পরাগ, খাবার বা অন্য কোনো কিছুর প্রতি অ্যালার্জির কারণে শ্বাসনালী সংকুচিত হয়ে শ্বাসকষ্ট হতে পারে।

অ্যানিমিয়া (Anemia): রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছায় না, ফলে শ্বাসকষ্ট হয়।

অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা (Obesity): অতিরিক্ত ওজন ফুসফুসের উপর চাপ সৃষ্টি করে শ্বাস নিতে অসুবিধা করতে পারে।

শারীরিক অক্ষমতা (Deconditioning): শারীরিক ব্যায়ামের অভাবের কারণে পেশী দুর্বল হয়ে গেলে সামান্য পরিশ্রমেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে।

উদ্বেগ এবং প্যানিক অ্যাটাক (Anxiety and Panic Attack): মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা প্যানিক অ্যাটাকের কারণেও শ্বাসকষ্টের অনুভূতি হতে পারে, যা হাইপারভেন্টিলেশন সিনড্রোম নামে পরিচিত।

ঠান্ডা বা ফ্লু (Cold or Flu): শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, যেমন ঠান্ডা বা ফ্লু, সাময়িকভাবে শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।

কিছু ঔষধ: কিছু ঔষধ, যেমন স্ট্যাটিন বা বিটা-ব্লকার, শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।

উচ্চতা (High Altitude): উচ্চতা বাড়লে বাতাসে অক্সিজেনের ঘনত্ব কমে যায়, ফলে শ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে।

কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন?
যদি আপনার শ্বাসকষ্ট হঠাৎ শুরু হয়, তীব্র হয়, অথবা এর সাথে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি থাকে, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত:

বুকে ব্যথা বা চাপ অনুভব করা।

চেতনা হারানো বা মাথা ঘোরা।

ঠোঁট বা নখ নীল হয়ে যাওয়া।

দ্রুত শ্বাস বা হৃদস্পন্দন।

তীব্র কাশি।

শ্বাসকষ্টের কারণে দৈনন্দিন কাজ করতে অসুবিধা হওয়া।

শ্বাসকষ্ট দীর্ঘস্থায়ী হলে বা সময়ের সাথে সাথে খারাপ হলে।

শ্বাসকষ্টের সঠিক কারণ নির্ণয় এবং চিকিৎসার জন্য একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া খুবই জরুরি। চিকিৎসক আপনার লক্ষণ, শারীরিক পরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার (যেমন এক্স-রে, ইসিজি, রক্ত পরীক্ষা ইত্যাদি) মাধ্যমে কারণ শনাক্ত করতে পারবেন এবং সঠিক চিকিৎসা দিতে পারবেন।

🍼👶 বাচ্চার মুখে সাদা দাগ? হতে পারে Oral Thrush Oral thrush বা oral candidiasis হলো বাচ্চাদের মুখের ভেতরের একধরনের ছত্রাক...
25/07/2025

🍼👶 বাচ্চার মুখে সাদা দাগ?
হতে পারে Oral Thrush

Oral thrush বা oral candidiasis হলো বাচ্চাদের মুখের ভেতরের একধরনের ছত্রাকজনিত সংক্রমণ, যা Candida albicans ফাঙ্গাসের কারণে হয়। এই ছত্রাক স্বাভাবিক অবস্থায় আমাদের শরীরে কম পরিমাণে থাকে, কিন্তু কখনো কখনো এটি মাত্রাতিরিক্তভাবে বেড়ে গেলে সমস্যা হয়।

👉 কেন হয়?

🔬 Candida বেশি বেড়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে:
✅ নবজাতকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল
✅ মা স্তনে Candida সংক্রমণ বহন করলে
✅ বারবার অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার
✅ ফিডার বা চুষনি অপরিষ্কার থাকলে

👉 লক্ষণসমূহ:

🔍 জিভ, গালের ভেতর বা মাড়িতে সাদা পুরু দাগ
🔍 দাগগুলো তুলো বা কাপড় দিয়ে মুছলে সহজে উঠে না, মুছতে গেলে রক্ত পড়তে পারে
🔍 বাচ্চা দুধ খেতে অস্বস্তি বোধ করে, খাওয়া কমিয়ে দেয়
🔍 অনেক সময় মায়ের স্তনে ব্যথা বা ক্র্যাক দেখা দেয় (মায়ের স্তনেও সংক্রমণ ছড়িয়ে যেতে পারে)

👉 কীভাবে চিকিৎসা করা হয়?

🩺 Oral thrush হলে Antifungal ওষুধ লাগে, যেমন Nystatin Oral Suspension বা Miconazole Oral Gel — তবে বয়স ও ওজন অনুযায়ী শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ প্রেসক্রাইব করবেন।

🤱 যদি মায়ের স্তনেও ছত্রাকের সংক্রমণ থাকে, মাকেও Topical Antifungal Cream ব্যবহার করতে হতে পারে।

👉 করণীয়:

✅ ফিডার, বোতল, চুষনি নিয়মিত ফুটিয়ে জীবাণুমুক্ত করুন।
✅ মায়ের স্তন পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন।
✅ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো এন্টিবায়োটিক বা মুখে ঘষার ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করবেন না।
✅ দুধের দাগ ভেবে জোর করে ঘষবেন না — এতে মুখের ভেতর ক্ষত হতে পারে।

📌 সঠিক চিকিৎসায় এটি সহজেই ভালো হয় — অযথা দেরি নয়! নিজে জানুন, অন্যদেরকেও জানান।

👨‍⚕️ শিশু চিকিৎসক ডাঃ মোঃ মাহফুজার রহমান বাঁধন

25/07/2025

ডায়াবেটিসের "প্রথম আঘাত" এবং "শেষ আঘাত" বলতে সাধারণত এর প্রাথমিক লক্ষণ এবং শেষ পর্যায়ের জটিলতাগুলোকে বোঝানো হয়।
ডায়াবেটিসের প্রথম আঘাত (প্রাথমিক লক্ষণ)
ডায়াবেটিসের প্রাথমিক লক্ষণগুলো প্রায়শই হালকা থাকে এবং অনেকে এগুলোকে গুরুত্ব দেন না, কিন্তু এগুলিই রোগের প্রথম সতর্কবার্তা। এগুলো হঠাৎ করে বা ধীরে ধীরে প্রকাশ পেতে পারে। সাধারণ প্রাথমিক লক্ষণগুলো হলো:
* ঘন ঘন প্রস্রাব: রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে কিডনি অতিরিক্ত গ্লুকোজ শরীর থেকে বের করে দেওয়ার জন্য বেশি কাজ করে, ফলে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়।
* অতিরিক্ত তৃষ্ণা: ঘন ঘন প্রস্রাবের কারণে শরীর থেকে তরল বেরিয়ে যায়, ফলে পানিশূন্যতা দেখা দেয় এবং গলা শুকিয়ে আসে, যার কারণে অতিরিক্ত তৃষ্ণা লাগে।
* অস্বাভাবিক ওজন হ্রাস: শরীর যখন শক্তির জন্য গ্লুকোজ ব্যবহার করতে পারে না, তখন এটি চর্বি এবং পেশী ভেঙে শক্তি উৎপাদন শুরু করে, যার ফলে অপ্রত্যাশিতভাবে ওজন কমে যায়।
* ক্লান্তি বা দুর্বলতা: কোষগুলিতে পর্যাপ্ত গ্লুকোজ না পৌঁছানোর কারণে শরীর পর্যাপ্ত শক্তি পায় না, ফলে খুব বেশি ক্লান্তি বা দুর্বলতা অনুভব হয়।
* ঝাপসা দৃষ্টি: রক্তে শর্করার তারতম্যের কারণে চোখের লেন্সের ভেতরে থাকা তরলের মাত্রার পরিবর্তন হয়, যার ফলে দৃষ্টি ঝাপসা হতে পারে।
* ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়া: উচ্চ রক্তে শর্করার কারণে রক্ত ​​সঞ্চালন এবং স্নায়ুর ক্ষতি হয়, যা ক্ষত শুকাতে বিলম্ব ঘটায়।
* ঘন ঘন সংক্রমণ: ডায়াবেটিস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে তোলে, ফলে ত্বক, মূত্রনালী বা যোনিতে ঘন ঘন সংক্রমণ হতে পারে।
* হাত বা পায়ে অসাড়তা বা ঝিনঝিন করা: এটি ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে, যেখানে স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ডায়াবেটিসের শেষ আঘাত (শেষ পর্যায়ের জটিলতা)
যদি ডায়াবেটিস দীর্ঘ সময় ধরে অনিয়ন্ত্রিত থাকে, তবে এটি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে গুরুতর এবং অপরিবর্তনীয় ক্ষতি সাধন করতে পারে। এগুলোকে ডায়াবেটিসের "শেষ আঘাত" বা জটিলতা হিসেবে ধরা হয়। এই জটিলতাগুলো জীবনের গুণগত মানকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে এবং মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো:
* হৃদরোগ ও স্ট্রোক: ডায়াবেটিস হৃদপিণ্ড ও রক্তনালীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যার ফলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং অন্যান্য কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
* কিডনি ফেইলিউর (নেফ্রোপ্যাথি): কিডনির ক্ষুদ্র রক্তনালীগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে কিডনি রক্ত ​​পরিশোধনে ব্যর্থ হয়, যা শেষ পর্যন্ত কিডনি ফেইলিউরের কারণ হতে পারে এবং ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হতে পারে।
* চোখের সমস্যা ও অন্ধত্ব (রেটিনোপ্যাথি): চোখের রেটিনার রক্তনালীগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা দৃষ্টিশক্তি হ্রাস এবং এমনকি অন্ধত্বের কারণ হতে পারে।
* স্নায়ুর ক্ষতি (নিউরোপ্যাথি): স্নায়ুর ক্ষতির কারণে হাত-পায়ে ব্যথা, অসাড়তা, ঝিনঝিন করা বা সংবেদন হ্রাস পেতে পারে। এটি পা বা পায়ে আলসার সৃষ্টি করতে পারে, যা পরবর্তীতে সংক্রমণের কারণে অঙ্গচ্ছেদের কারণ হতে পারে।
* পায়ে সমস্যা ও অঙ্গচ্ছেদ: রক্তনালীর ক্ষতি এবং স্নায়ুর সংবেদন হারানোর ফলে পায়ে ক্ষত তৈরি হয় যা সহজে সারে না, এবং গুরুতর সংক্রমণের ক্ষেত্রে অঙ্গচ্ছেদের (অ্যাম্পুটেশন) প্রয়োজন হতে পারে।
* পাচনতন্ত্রের সমস্যা: স্নায়ুর ক্ষতির কারণে হজমে সমস্যা হতে পারে, যেমন - বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য।
* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া: ডায়াবেটিস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়, ফলে সাধারণ সংক্রমণও মারাত্মক রূপ নিতে পারে।
ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ যা নিয়ন্ত্রণে রাখলে এই মারাত্মক জটিলতাগুলো এড়ানো সম্ভব। তাই প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া এবং নিয়মিত চিকিৎসা ও জীবনযাত্রার পরিবর্তন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সংগৃহীত :-----

Address

Banani Model Town

Opening Hours

Monday 09:00 - 17:00
Tuesday 09:00 - 17:00
Wednesday 09:00 - 17:00
Saturday 09:00 - 17:00
Sunday 09:00 - 17:00

Telephone

+8801715090807

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Cancer Home BD posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category

Cancer Home BD

Cancer Home is the pioneer private specialist center in Bangladesh. We focus equally on two core activities: cancer treatment and clinical awareness.

Our aim is to provide high quality medical care with a personal touch. Cancer Home presents a warm, personal and caring environment as delivered by friendly staff and dedicated professionals. We understand the needs of our patients, and their family members such that the patient care experience is the result of many individuals working together to ensure the best possible care management.

Our clinics are the famous largest cancer treatment center in Bangladesh. Almost all variants of the disease are treated here. As there are no other forms of people getting to know about our cancer treatment successes, we have found that almost all cancer patients visiting us are doing so because they are personally aware of another patient suffering from cancer or similar life threatening disease.