09/09/2023
🎯 " ঔষধ কোন খাবার না, যখন তখন নিবেন না"
বিশ্বজুড়ে প্রায় অর্ধেক রোগী অযৌক্তিক ভাবে তাদের ওষুধ গ্রহণ করে। ওষুধের এমন ব্যবহারের কিছু কারণ
• রোগী: ওষুধের ভুল তথ্য, বিভ্রান্তিকর বিশ্বাস, রোগীর চাহিদা / প্রত্যাশা।
• প্রেসক্রাইবার: শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের অভাব, অনুপযুক্ত রোল মডেল, রোগীর চাপ, উদ্দেশ্যমূলক ওষুধের তথ্যের অভাব, কোম্পানির প্রণোদনা, সীমিত অভিজ্ঞতা, ওষুধের কার্যকারিতা সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর বিশ্বাস, প্রতিযোগিতা।
• কর্মক্ষেত্র: রোগীর আধিক্য, প্রেসক্রাইব করার চাপ, পর্যাপ্ত ল্যাব ক্ষমতার অভাব, অপর্যাপ্ত কর্মী।
• ওষুধ সরবরাহ ব্যবস্থা: অবিশ্বস্ত সরবরাহকারী, ওষুধের ঘাটতি, নির্দিষ্ট পছন্দের প্রয়োজনে সীমিত বাজেট, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সরবরাহ করা।
• কেমিস্টের দোকান: রোগীর চাপ, লাভের উদ্দেশ্য, প্রতিযোগিতা।
• ড্রাগ রেগুলেশন: অপ্রয়োজনীয় ওষুধ পাওয়া যায়, অদক্ষ অডিট সিস্টেম, অপর্যাপ্ত আইনি বাস্তবায়ন, এবং অ-আনুষ্ঠানিক পদ্ধতি।
• শিল্প: প্রচারমূলক কার্যক্রম, বিভ্রান্তিকর দাবি, প্রণোদনা।
ওষুধের অযৌক্তিক ব্যবহারের উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে:
রোগীর জন্য অনেক বেশি ওষুধের ব্যবহার ("পলি-ফার্মেসি"); অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালের অনুপযুক্ত ব্যবহার, প্রায়ই অপর্যাপ্ত ডোজে, অ-ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের জন্য; ইনজেকশনের অতিরিক্ত ব্যবহার যখন মৌখিক ফর্মুলেশন আরও উপযুক্ত হবে; ক্লিনিকাল নির্দেশিকা অমান্য করা ; নিজে নিজে ডাক্তারি করা
প্রতিরোধে করণীয়:
🚨 প্রথমে ব্যক্তিগত সচেতনতা
🎯রোগীর সাথে সম্পর্কিত-
১.রোগীকে স্বাস্থ্য সম্পর্কে এবং ওষুধ গ্রহণ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে
২. প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ গ্রহণ বন্ধ করতে হবে
চিকিৎসক ছাড়া অন্য কারো কথায় প্রণোদিত হয়ে ওষুধ গ্রহণ বন্ধ করতে হবে
৩. চিকিৎসক কর্তৃক নির্দেশিত মাত্রায় ওষুধ সেবন করতে হবে। প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী সঠিক ওষুধের সঠিক ডোসেজ ফর্ম, সঠিক সময়ে গ্রহণ করতে হবে।
৪. চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ ওষুধ বন্ধ করে দেওয়া যাবেনা অথবা নতুন ওষুধ যোগ করা যাবে না।
৫. অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স ফিলাপ করতে হবে
🎯ডাক্তারের সাথে সম্পর্কিত-
১. ডাক্তারকে স্পষ্ট ভাষায় প্রেসক্রিপশন লিখতে হবে।
পর্যাপ্ত সময় নিয়ে রোগী দেখতে হবে।
২. রোগীর রোগ ও ওষুধ গ্রহণের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে।
৩. রোগীকে সঠিক সময়ে, সঠিক মাত্রায় ওষুধ গ্রহণের জন্য উৎসাহিত করতে হবে।
৪. রোগীকে সঠিক সময়ে সঠিক মাত্রায় ওষুধ গ্রহণ না করার ভয়াবহতা এবং ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করতে হবে।
আশা রাখি,
এইসব বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখলে, আমাদের দেশেও অযৌক্তিক ঔষধের ব্যবহারের কারণে রোগীর জীবন হুমকি মুখে পড়বে না।