Dr. Md. Ferdous Rayhan

Dr. Md. Ferdous Rayhan MBBS(DHAKA),BCS(HEALTH)
D-ORTHO(NITOR),MS-ORTHO(NITOR)
ORTHOPEDIC TRAUMA & SPINE SURGEON
(2)

নিয়মিত প্রোটিন খাওয়ার পরেও যাদের প্রোটিনের ঘাটতি থেকে যায় তাদের জন্য প্রোটিন খাওয়ার সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কতটা প্রোটি...
30/11/2025

নিয়মিত প্রোটিন খাওয়ার পরেও যাদের প্রোটিনের ঘাটতি থেকে যায় তাদের জন্য প্রোটিন খাওয়ার সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কতটা প্রোটিন খাচ্ছেন তার থেকেও কখন খাচ্ছেন সেটা জরুরী। সঠিক সময়ে প্রোটিন গ্রহন হরমোন ভারসাম্য, মাংসপেশি গঠন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। চলুন জেনে নেই কখন প্রোটিন খাওয়া সবচেয়ে বেশি উপকারীঃ-

✅ সকালের নাস্তায়: রাতে ঘুমের সময় আমরা দীর্ঘক্ষন না খেয়ে থাকি, ফলে শরীর একটা catabolic state এ থাকে। সকালে ঘুম ভাঙ্গার পরে আমরা যদি প্রোটিন খাই তবে মাসল ব্রেকডাউন কমবে, রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে, মেটাবলিজম এক্টিভ হয়, সারাদিনে ক্ষুধা কম অনুভব হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, সকালে পর্যাপ্ত প্রোটিন খেলে দিনের পরবর্তী খাবারগুলো থেকে অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহনের প্রবণতা কমে।

✅ রাতে ঘুমানোর আগে প্রোটিন: আগে মনে করা হতো রাতে প্রোটিন খেলে ওজন বাড়ে। কিন্তু আধুনিক গবেষণা বলছে, রাতে সঠিক প্রোটিন খেতে পারলে সেটা শরীরের জন্য উপকারী। রাতে ঘুমের আগে প্রোটিন খেলে মাসল লস কমে, শরীরের রিকভারি সিস্টেম উন্নত হয়।

✅ ব্যায়ামের পরে প্রোটিন: এই সময়টা মাংসপেশি সবচেয়ে বেশি পুষ্টি গ্রহনে সক্ষম থাকে। ব্যায়ামের পরে আধা ঘন্টা থেকে ১ঘন্টার মধ্যে প্রোটিন খেলে মাসল দ্রুত রিপেয়ার হয়, স্ট্রেন্থ বাড়ে, মাসল গ্রোথ বাড়ে।

একবারে বেশিমাত্রায় প্রোটিন গ্রহনের চেয়ে দিনের বিভিন্ন সময়ে সমানভাবে ভাগ করে খাওয়া বেশি কার্যকর। কারণ শরীর একবারে সীমিত পরিমান প্রোটিনই কাজে লাগাতে পারে। প্রতি ৪ ঘন্টা পর পর প্রোটিন গ্রহন সবচেয়ে বেশি ভালো। বেশিরভাগ গবেষনায় দেখা গেছে, দিনে ৩-৫ বার প্রোটিনযুক্ত খাবার গ্রহন সর্বোচ্চ উপকারী।

ডা. মোঃ ফেরদৌস রায়হান
সহকারী অধ্যাপক,( অর্থোপেডিক সার্জারী)।
শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল।

এমন অনেক মানুষ আমাদের আশেপাশে আছেন যারা শরীরের উপসর্গ গুলোকে খুব হালকাভাবে নিয়ে অবহেলা করেন। এই প্রবণতাটা যে সময়ের সাথে ...
27/11/2025

এমন অনেক মানুষ আমাদের আশেপাশে আছেন যারা শরীরের উপসর্গ গুলোকে খুব হালকাভাবে নিয়ে অবহেলা করেন। এই প্রবণতাটা যে সময়ের সাথে সাথে রোগীর কষ্ট বাড়ায় শুধু তা-ই নয়, রোগকে আরো বেশি জটিল করে তোলে। চিকিৎসাগত দিক থেকেও এটা অত্যন্ত ক্ষতিকর।

কেন এটা বিপজ্জনক?

✔️ অনেক জটিল রোগেরই শুরুর দিনে খুব হালকা কিছু উপসর্গ থাকে যেমন: ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায়, ডায়াবেটিস, হাই ব্লাড প্রেশার, হার্ট ডিজিজ, থাইরয়েড সমস্যা। শুরুতেই এয়াওব রোগের চিকিৎসা না করালে রোগ নীরবে বাড়তে থাকে। জটিলতা যখন শুরু হয়ে যায় রোগ তখন গিয়ে ধরা পড়ে।

✔️ ডিপ্রেশন, এংজাইটি, প্যানিক ডিসঅর্ডার জাতীয় মানসিক রোগে চিকিৎসা যত দেড়িতে শুরু হয় ট্রিগার ততোই বাড়তে থাকে। এমনকি লাস্ট স্টেজে গিয়ে আত্মহানির ঝুঁকি পর্যন্ত বেড়ে যায়।

✔️ পৃথিবীর সব মানুষের ব্যথার অনুভুতি মাত্রা এক নয়। অনেকে কষ্ট সহ্য করে করে পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক ধরে নেয়। এই কারনে রোগের severity বোঝা না গেলেও শরীর ভেতরে ভেতরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে।

চিকিৎসা নেওয়া কোনো দুর্বলতার লক্ষন নয় বরং নিজেকে গুরুত্ব দেওয়া, নিজেকে সুস্থ রাখার দায়িত্ব নেওয়া। এই মানসিকতাই দীর্ঘদিন সুস্থ থাকার ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

অনেকেরই দাঁড়ানো বা হাঁটার সময় ফিল করেন এক পা যেনো ছোট বা বড়। বাস্তবে পায়ের হাড় ছোট বড় না হলেও হিপ জয়েন্টের সমস্যা এই অনু...
25/11/2025

অনেকেরই দাঁড়ানো বা হাঁটার সময় ফিল করেন এক পা যেনো ছোট বা বড়। বাস্তবে পায়ের হাড় ছোট বড় না হলেও হিপ জয়েন্টের সমস্যা এই অনুভূতি তৈরি করতে পারে। এই অবস্থাকে আমরা চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলে থাকি ফাংশনাল লেগ লেন্থ ডিসক্রিপেন্সি (Functional Leg Length Discrepancy)

মানবদেহে হিপ জয়েন্ট শরীরের ওজন বহন ও চলাচলের মূল কেন্দ্র। এখানে গঠনগত বা কার্যগত যেকোনো সমস্যা শরীরের পুরো ভারসাম্য বদলে দিতে পারে। যার ফলে হিপ জয়েন্টের এলাইনমেন্ট নষ্ট হলে পেলভিস কাত হয়ে যায়, এতে করে দুই পায়ের দৈর্ঘ্য সমান হলেও এক পা ছোট মনে হতে পারে। হিপ আর্থ্রাইটিস বা কার্টিলেজ ক্ষয় হওয়ার ফলে ব্যথা অনুভব হয়, ব্যথা এড়াতে মানুষ হাঁটার সময় শরীরের এক পাশে বেশি ভর দেয় যাতে করে পায়ের দৈর্ঘ্য অসম মনে হয়। বিশেষ করে যদি জন্মগতভাবে হিপ ডিসলোকেশন হয়ে থাকে তবে এক পা আসলেই ছোট হতে পারে।

Functional Leg Length Discrepancy এর লক্ষনঃ-

▪️ সিঁড়ি দিয়ে উঠতে সমস্যা হওয়া
▪️ হাঁটলে, দৌঁড়ালে হিপে টান লাগা বা ব্যথা
▪️ পায়ের পাতায় একদিকে বেশি চাপ পড়া
▪️ পিঠের নিচের দিকে চক্রাকার ব্যথা
▪️ সামান্য ভার তুললেই শরীরের একপাশে ব্যথা
▪️ হাঁটার সময় খুঁড়িয়ে হাঁটা
▪️ দীর্ঘসময় দাঁড়ালে একদিকে ভার হয়ে আসা

যদি সময়ের সাথে সাথে হাঁটার সময় খোঁড়ানো বাড়তে থাকে, পায়ের লম্বায় দৃশ্যমান পার্থক্য দেখা দেয়, পায়ে ঝিনঝিন অনুভূতি, হিপ বা পেলভিসে তীব্র ব্যথার মতো কোনো লক্ষন দেখা দেয় তবে অবহেলা না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

আমাদের বাঙালিদের প্রধান খাদ্যই হলো ভাত। কিন্তু লাল চাল নাকি সাদা চাল কোনটার স্বাস্থ্যগুন বেশি এ নিয়ে আমরা বেশ কনফিউজড থা...
23/11/2025

আমাদের বাঙালিদের প্রধান খাদ্যই হলো ভাত। কিন্তু লাল চাল নাকি সাদা চাল কোনটার স্বাস্থ্যগুন বেশি এ নিয়ে আমরা বেশ কনফিউজড থাকি। তাই আজ আপনাদের সহজ ভাষায় এই দুই চালের মূল পার্থক্য, গুনাগুন, উপকারিতা সম্পর্কে বলবো।

একটি চালের দানায় ব্র‍্যান (খোসা), ভ্রুন, স্টার্চ বা শ্বেতসার এই তিনটি অংশ থাকে। লালা চালের দানায় ব্র‍্যান ও ভ্রুন অক্ষত থাকে। অন্যদিকে সাদা চাল মিলিং ও পালিশের সময় ব্র‍্যান ও ভ্রুন সরিয়ে শুধু স্টার্চ অংশ রেখে দেওয়া হয়। এরফলে সাদা চালে লাল চালের তুলনায় পুষ্টিগুন কম থাকে। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, লাল চালে সাদা চালের তুলনায় ৩-৪ গুন বেশি ফাইবার, ভিটামিন-বি ১, বি ৩, বি ৬, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়, রক্তে শর্করার ব্যালেন্স ঠিক রাখে, দীর্ঘক্ষন পেট ভরা রাখে ফলে ওজন কমাতে সহায়তা করে।

অন্যদিকে সাদা চালে ফাইবারের পরিমান কম থাকায় খুব তারাতাড়ি হজম হয়ে যায়, অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়ে, নিয়মিত বেশি মাত্রায় খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। তবে কি সাদা চালে কোনো গুনাগুন নেই? অবশ্যই আছে, সাদা চালের সুবিধা হলোঃ-
▪️ সহজে হজম হয়
▪️ গ্যাস্ট্রিক, ডায়রিয়া ও অসুস্থ অবস্থায় শক্তির উৎস
▪️ যারা অনেক পরিশ্রম করেন তাদের খুব দ্রুত শক্তি জোগাতে সহায়তা করে

তাই আপনার লক্ষ্যের উপর নির্ভর করে চাল নির্ধারণ করুন। যদি ডায়াবেটিস থেকে থাকে বা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থাকে তবে, ওজন কমাতে চান, কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা থাকে তবে লাল চাল বেছে নিন। আর যদি অসুস্থ থাকেন, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভোগেন বা দ্রুত শক্তি পেতে চান তবে সাদা চাল বেছে নিন।

ডা. মোঃ ফেরদৌস রায়হান
সহকারী অধ্যাপক,( অর্থোপেডিক সার্জারী)।
শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল।

22/11/2025

হাড় ভালো রাখতে যা করবেন না

21/11/2025

যাদের দুধ খেলে গ্যাস হয় তারা দুধের সাথে আটার রুটি বা মুড়ি মিশিয়ে খান। তাহলে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে।

কাঁধে ব্যথা হলে অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না এটা ফ্রোজেন শোল্ডার নাকি রোটেটর কাফ ইনজুরি। দুটিতেই একই রকম ব্যথা হওয়ার কারনে ...
20/11/2025

কাঁধে ব্যথা হলে অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না এটা ফ্রোজেন শোল্ডার নাকি রোটেটর কাফ ইনজুরি। দুটিতেই একই রকম ব্যথা হওয়ার কারনে রোগীর মাঝে কনফিউশান তৈরি হয়। তবে এর লক্ষন, কারন, চিকিৎসা সবকিছুতেই পার্থক্য রয়েছে। চলুন সহজ ভাষায় আপনাদের একটু ধারণা দেই।

✅ ফ্রোজেন শোল্ডার (Frozen Shoulder)
এই সমস্যায় কাঁধের জয়েন্ট ক্যাপসুল ঘন হয়ে শক্ত হয়ে যায়। এতে শোল্ডারের নড়াচড়া কমে যায়।

লক্ষন:
▪️ ব্যথা শুরুতে অল্প থাকলেও ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে
▪️ কাঁধ পেছনে নেওয়া, উঁচু করা, ঘোরানো সবকিছুই সীমিত হয়ে যায়
▪️ নিজে নিজে নাড়ানো যায়না, চিকিৎসক চেষ্টা করেও নাড়াতে পারেন না
▪️ সাধারনত ৪০-৬০ বছর বয়সী, বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়

✅ রোটেটর কাফ ইনজুরি (Rotator Cuff Injury)
এই সমস্যায় কাঁধের ৪টি গুরুত্বপূর্ণ টেন্ডনের যেকোনো একটি আংশিক বা সম্পূর্ণ ছিড়ে যায়, ইনফ্লামেশন হয় বা চাপ পড়ে।

লক্ষন:
▪️ হাত উঁচু করতে গেলে তীব্র ব্যথা হয়
▪️ রাতে ব্যথা বাড়ে
▪️ নিজে নাড়ানো যায়না চিকিৎসক চেষ্টা করে নাড়াতে পারেন
▪️ বয়সজনিত ক্ষতি, হঠাৎ পড়ে যাওয়া, ভারী কিছু তোলা, বয়সজনিত ক্ষয় এই রোগের মূল কারন

ডা. মোঃ ফেরদৌস রায়হান
সহকারী অধ্যাপক,( অর্থোপেডিক সার্জারী)।
শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল।

19/11/2025

হাড়ের শক্তি বাড়াতে প্রতিদিন যা করবেন

শীতকাল আসলে আমি অনেক এক্সাইটেড থাকি কারন বছরের এইসময়টায় নানান সুস্বাদু সবজি খেতে পারবো। যার মধ্যে একটা হলো ফুলকপি। আমার ...
18/11/2025

শীতকাল আসলে আমি অনেক এক্সাইটেড থাকি কারন বছরের এইসময়টায় নানান সুস্বাদু সবজি খেতে পারবো। যার মধ্যে একটা হলো ফুলকপি। আমার পছন্দের খাবারের তালিকায় শোলমাছ দিয়ে ফুলকপি এক নাম্বারে থাকবে। ফুলকপি যে শুধু সুস্বাদু তাই-ই নয়, এটি একধরনের Nutrient-dense cruciferous vegetable, যাতে আছে এমন সব পুষ্টি উপাদান যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ থেকে শুরু করে হজম, হৃদরোগ, হরমোন ব্যালেন্স সবকিছুর জন্য খুবই উপকারি।

প্রতি ১০০ গ্রাম ফুলকপিতে থাকে ২-৩ গ্রাম ফাইবার, দৈনিক প্রয়োজনের ৭০-৭৭% ভিটামিন-সি, ফোলেট, ভিটামিন-কে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। এই উপাদান গুলোই ফুলকপিকে একটি লো ক্যালরি, হাই নিউট্রিয়েন্ট খাবারে পরিণত করেছে।

ফুলকপির কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ-

✅ ফুলকপিতে থাকা ভিটামিন-কে ও ক্যালসিয়াম হাড়ের মিনারালাইজেশনে ভূমিকা রাখে ও হাড় শক্ত করে। গবেষণায় দেখা গেছে ফুলকপি অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে কার্যকর।

✅ ফুলকপি শরীরের অস্বাভাবিক কোষ বৃদ্ধি কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ফুলকপিতে থাকা sulforaphane, glucosinolates ব্রেস্ট, কোলোন প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কার্যকর

✅ এতে থাকা উচ্চ ফাইবার কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এবং দীর্ঘক্ষন পেট ভরা রাখে।

✅ ফুলকপি একটি লো গ্লাইসেমিক খাবার। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরগতিতে বাড়ায়, ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ায় যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিরাপদ।

✅ ফুলকপিতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক কমে।

✅ ফুলকপি কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়, গাটে থাকা মাইক্রোবায়োম ভালো রাখে, হজম এনজাইমের কার্যকারিতা বাড়ায়। এছাড়াও এতে থাকা পানি ও প্রাকৃতিক সল্ট মিনারেল হজমে সহায়তা করে।

ডা. মোঃ ফেরদৌস রায়হান

17/11/2025

ফুলকপির উপকারিতাগুলো জেনে নিন।

রাগ, ভয়, দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ শুধুমাত্র মনের উপরই প্রভাব ফেলে এমনটা নয়, এগুলো শরীরের ব্যথার অনুভূতিকেও বদলে দেয়। খে...
16/11/2025

রাগ, ভয়, দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ শুধুমাত্র মনের উপরই প্রভাব ফেলে এমনটা নয়, এগুলো শরীরের ব্যথার অনুভূতিকেও বদলে দেয়। খেয়াল করলে দেখবেন অনেক সময় মন খারাপ, রাগ বা দুশ্চিন্তার দিনে শরীরের পুরনো ব্যথাটাও যেনো বেড়ে যায়। একই ভাবে মন ভালো থাকার দিনে সেই একই ব্যথা কম বা নাই মনে হয়। এই পরিবর্তনগুলো কি কাকতালীয় ঘটনা? এই খেলার মূল খেলোয়ার হলো হরমোন ও নিউরোকেমিক্যালস।

আপনি যখন স্ট্রেসে থাকেন তখন ফাইট অর ফ্লাইট প্রতক্রিয়া এবং ব্যথা বাড়ে। হঠাৎ রাগ বা মানসিক চাপে শরীর সাথে সাথে সিম্প্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম (SNS) এক্টিভ হয়। এই সময়ে অ্যাড্রেনালিন, নোরঅ্যাড্রেনালিন, কর্টিসল এই ৩টি হরমোন খুন দ্রুত বেড়ে যায়। এই হরমোনগুলো হার্টবিট বাড়িয়ে দেয়, পেশিকে টাইট করে, ব্লাড প্রেশার বাড়ায় যার কারনে মাসল স্টিফেনস ও ইনফ্লামেশন বাড়ে। এই স্টিফনেস নিজেই ব্যথা বাড়িয়ে দেওয়ার কারন বিশেষ করে পিঠ, ঘাড়, জয়েন্ট এবং কোমর ব্যথা বাড়িয়ে দেয়।

রাগ, স্ট্রেস মস্তিষ্কে ব্যথা নিয়ন্ত্রণের পথে বাধা দেয়। ব্যথা কমাতে আমাদের মস্তিষ্ক এন্ডোরফিন ও সেরোটোনিন ব্যবহার করে। কিন্তু মানসিক চাপ এন্ডোরফিন নিঃসরণ কমিয়ে দেয়, সেরোটোনিন ও ডোপামিনের ব্যালেন্স নষ্ট করে যার ফলে মস্তিষ্কের যে প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা ফিল্টার করার ক্ষমতা তা দুর্বল হয়ে যায়, একই ব্যথা তখন অনেক বেশি অনুভূত হয়।

এই সমস্যার সমাধানে নিয়মিত স্ট্রেচিং ও হালকা এক্সারসাইজ করুন, ক্যাফেইন ও ধূমপানের মাত্রা কমান, ৬-৮ ঘন্টা গভীর ঘুম নিশ্চিত করুন।

ডা. মোঃ ফেরদৌস রায়হান
সহকারী অধ্যাপক,( অর্থোপেডিক সার্জারী)।
শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল।

15/11/2025

রান্না করা খাবার ফ্রিজে রাখার আগে যা জানতে হবে।

Address

Popular Diagnostic Center
Barisal
8200

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Md. Ferdous Rayhan posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Md. Ferdous Rayhan:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category