Raqi Mahmud Shihab

Raqi Mahmud Shihab প্রচলিত শিরকি-কুফরির বিরুদ্ধে সুন্নাহ ও শরীয়াহ সম্মত উপায়ে বদনজর জ্বীন যাদু ওয়াসওয়াসার চিকিৎসা করা হয়

16/10/2024

অনেক তান্ত্রিক-কবিরাজ আছে যারা পেশেন্টকে দেখেই বা পেশেন্টের নাম শুনেই তার অতীত-ভবিষ্যতের সমস্যা বলে দেয়। এমনকি তাদের কিছু কথা সত্যি হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে একেক কবিরাজ একেক ধরনের কৌশল অবলম্বন করে থাকে। তবে এসব কৌশল বুঝতে না পারায় অনেকেই এদের এসব গায়েবী সংবাদ শুনে আশ্চর্যবোধ করেন। তারা মনে করেন এই কবিরাজ যেহেতু পেশেন্টের নাম দেখেই এত কিছু বলে দিতে পেরেছে, তাহলে নিশ্চয় এই কবিরাজ অনেক কিছু জানেন; এবং একে দিয়েই আমার কাজটি করাতে হবে।

তবে বাস্তবতা হলো, এসব কবিরাজরা মূলত গণক-জ্যোতিষীর অন্তর্ভুক্ত। এদের কিছু কথা বাস্তবের সঙ্গে মিলে যাওয়ার রহস্য নিয়ে রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামেকে প্রশ্ন করা হলে তিনি তাদের মূল কারসাজি সাহাবীগণের সামনে স্পষ্ট করে দেন। আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত,

"একদল লোক রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট জ্যোতিষীদের ব্যাপারে জানতে চাইল। সে সময় রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বললেন, ওরা (বাস্তব) কোনো কিছুর ওপরে (প্রতিষ্ঠিত) নয়। তারা বলল, হে আল্লাহর রাসুল! তারা তো প্রায় সময় এমন কিছু বিষয়ে কথা বলে, যা বাস্তব হয়ে যায়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ওই (একটি) কথা বাস্তব সত্যের অন্তর্ভুক্ত, যা জিনেরা চুরি করে নিয়ে আসে এবং মুরগির মতো কুট কুট করে তা তার দোসরের শ্রবণশক্তিতে ঢুকিয়ে দেয়। পরবর্তীতে তারা তার সঙ্গে শতাধিক মিথ্যা জুড়ে দেয়।" (মুসলিম, হাদিস : ৫৭১০)

এসব লোকদের কাছে যারা যায় তাদের ব্যাপারে হাদিসে এসেছে–

"যে লোক ‘আররাফ’ (গণকের) এর কাছে গেল এবং তাকে কোনো ব্যাপারে প্রশ্ন করল চল্লিশ রাত্রি তার কোনো নামাজ গ্রহণযোগ্য হবে না। (মুসলিম, হাদিস : ৫৭১৪)

সুতরাং এসব কবিরাজ নামধারি জ্যোতিষীদের কাছে গিয়ে আমরা আমাদের ঈমান আমল নষ্ট করে দিচ্ছি কি না সে দিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।

বিয়ে বন্ধ করার জন্য জিনের সামনে দুটি পথ খোলা থাকে —▫️যদি সে মেয়েটির শরীরে প্রবেশ করতে পারে, তাহলে সে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে...
16/10/2024

বিয়ে বন্ধ করার জন্য জিনের সামনে দুটি পথ খোলা থাকে —
▫️যদি সে মেয়েটির শরীরে প্রবেশ করতে পারে, তাহলে সে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসা প্রতিটি ছেলের ব্যাপারে তাকে বিরক্ত ও রাগান্বিত করে তোলে এবং জাদুগ্রস্ত মেয়ের মাধ্যমেই বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করে দেয়।
▫️আর যদি সে মেয়েটির শরীরে প্রবেশ করতে না পারে, তাহলে সে দূর থেকে অলীক কল্পনার জাদু বাস্তবায়নে কাজ শুরু করে। এতে প্রস্তাবকারী ছেলের চোখে প্রস্তাবিত মেয়েটিকে কুৎসিত করে দেখায় এবং মেয়েটির ব্যাপারে তার মনে (নানা ধরনের) কুমন্ত্রণা দিতে থাকে। অনুরূপ মেয়েটির সাথেও একই কাজ করে।
কোনো মেয়ের বিয়ে বন্ধের জন্য জাদু করা হলে দেখা যায়, তাকে কোনো ছেলে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে প্রথম দিকে (উভয়ে এই) বিয়েতে সম্মতি প্রকাশ করলেও কয়েকদিন পরে (কোনো কারণ ছাড়াই) বিয়ে ভেঙে দেয়। এটি মূলত তার মনে (মেয়েটির ব্যাপারে) শয়তানের ওয়াসওয়াসা বা কুমন্ত্রণা দেওয়ার কারণে হয়ে থাকে।
জাদু যদি খুব কঠিনভাবে করা হয়, তাহলে প্রস্তাবকারী ছেলেটি মেয়ের ঘরে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে (বুকে) খুব সংকীর্ণতা বা কষ্ট অনুভব করে এবং তার সামনে সবকিছু কালো অন্ধকারের মতো লাগে—যেন সে কারাগারে আছে। এমন ভয়ানক অনুভূতির পর ছেলেটি সেখানে দ্বিতীয়বার আর কখনো ফিরে আসে না।
উল্লেখ্য, বিয়ে বন্ধের জাদু চলাকালীন জিন মাঝেমধ্যে মেয়েটির মাথাব্যথা তৈরি করতে পারে।
বই - জিন, জাদু ও বদনজরের চিকিৎসা

পূজার সময় কেন বেশি সচেতন হবেন?  জাদু মুলত শয়তানের সাহায্য নিয়ে করা হয়ে থাকে আর শয়তানকে খুশি করার মাধ্যম হচ্ছে পূজা অর্চন...
09/10/2024

পূজার সময় কেন বেশি সচেতন হবেন?

জাদু মুলত শয়তানের সাহায্য নিয়ে করা হয়ে থাকে আর শয়তানকে খুশি করার মাধ্যম হচ্ছে পূজা অর্চনা।

বছরের সবচেয়ে বেশি পূজা সম্পন্ন হয় আশ্বিন এর শেষ দিকে ও কার্তিক মাসে তথা পুরো অক্টোবর জুড়ে।

এ সময়ে যেসকল পূজা অনুষ্ঠিত হয় তন্মদ্ধ্যে রয়েছে -

• নবরাত্রি

• দুর্গাপূজা

• বিজয়া দশমী

• কোজাগরী লক্ষী পূজা

• কালীপূজা ও দীপাবলি

তান্ত্রিক-জাদুকরেরা জাদু রিনিউ করতে বিভিন্ন তিথি বেছে নেয়। এসকল পূজার তিথি তাদের জন্য মোক্ষম সুযোগ। চৈত্র মাসের শেষ তিনদিন, বৈশাখের প্রথম দিন, শিবরাত্রি, বিভিন্ন অমাবস্যা, পূর্নিমা, আশ্বিন মাসের পূজাসমূহ তাদের কাঙ্খিত সময়। নতুন জাদু করা, পুরাতন জাদু রিনিউ করা এসকল কাজ জাদুর খাদেম জ্বীনের মাধ্যমে সম্পন্ন করে অথবা কালোজাদুর আসবাব বিভিন্ন কবরে পুতে, শবসাধনা করে জাদু চর্চা করে শয়তানি সাধনার মাধ্যমে। এছাড়াও অনেক সময় জ্বীনেরা নিজে থেকে মানুষের শরীরে জাদুর গিট বেঁধে নিজের আবাস তৈরি করে নেয়। এরাও এসমস্ত তিথিতে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করার চেষ্টা চালায়।

এই কারণে অনেক জ্বীন/জাদুগ্রস্থ রোগী দীর্ঘ পরিশ্রমের সাথে রুকইয়াহ্, আমল করার মাধ্যমে শেফার কাছাকাছি পৌঁছেছে তাদের আরও বেশি সতর্ক হওয়া জরুরি। যারা আল্লাহর অশেষ রহমতে পরিপূর্ণ শেফা লাভ করেছে তাদেরকেও আমল এ কঠোর হতে হবে।

সতর্কতা স্বরুপ আপনাদের করনীয়ঃ

🔵 ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত যথাযথভাবে পালন করা।

🔵 সকাল-সন্ধ্যার মাসনুন আমল কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যাবেনা।

🔵 আসরের পর বিসমিল্লাহ বলে দরজা জানালা বন্ধ করে দেওয়া।

🔵 সন্ধ্যার সময় বাসা থেকে বের না হওয়া।

🔵 যথাসম্ভব মন্দির, পূজা মন্ডপ এরিয়ে চলা।

🔵 বাসা থেকে বের হওয়ার সময় চার কুল, আয়তুল কুরসি পড়ে শরীর বন্ধ করে, ঘর থেকে বের হওয়ার দোয়া পড়া।

🔵 মন্দির/পূজা এরিয়া অতিক্রম করার সময় চারকুল পড়তে থাকা ও বিসমিল্লাহিলাজি লা ইয়া দুররু মা আসমিহি শাইউন ফিল আরদ্বী ওয়ালা ফিস সামায়ি ওয়াহুয়াস সামিউল আলিম পড়া। (আরবি দেখে শিখে নেবেন)

🔵 বাসায় সূরা বাকারা তেলাওয়াত করা।

🔵 যাদের রুকইয়াহ্/সেলফ রুকইয়াহ্ চলমান তাদের বিভিন্ন ওয়াসওয়াসা আসলেও রুকইয়াহ্ সঠিকভাবে চালিয়ে যাওয়া।

🔵 বেশি বেশি কার্স মোনাজাত করা। (এটি জাদুকরের জাদু তার দিকে ফিরিয়ে দেওয়া এবং জাদু সহ জাদুকর ধ্বংসের জন্য আল্লাহর কাছে মোনাজাত)

🔵 যারা সদ্য সুস্থতা লাভ করেছে তাদের উচিত কমন রুকইয়াহ্ আয়তগুলো তেলাওয়াত করা।

🔵 পূজার প্রসাদ কোনোভাবেই খাওয়া যাবে না।

এই পুরো অক্টোবর মাস জুড়েই কিন্তু রয়েছে বিভিন্ন পূজো তাই সচেতন থাকবেন, আমলে জিকিরে থাকবেন ইন শা আল্লহ।

নু`মান ইবনু বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃনবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা আসমান-যামীন সৃষ্টির দুই...
13/09/2024

নু`মান ইবনু বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা আসমান-যামীন সৃষ্টির দুই হাজার বছর পূর্বে একটি কিতাব লিখেছেন। সেই কিতাব হতে তিনি দু‘টি আয়াত নাযিল করছেন। সেই দু‘টি আয়াতের মাধ্যমেই সূরা আল-বাক্বারা সমাপ্ত করেছেন। যে ঘরে তিন রাত এ দু‘টি আয়াত তিলাওয়াত করা হয় শাইতান সেই ঘরের নিকট আসতে পারে না।

সহীহঃ রাওযুন নাযীর (৮৮৬), তা’লীকুর রাগীব (২/২১৯), মিশকাত (২১৪৫)।

জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৮৮২

13/05/2024

' অধিকাংশ জ্বীনের পেশেন্টদের সাথে বললে তাদের শরীরে জ্বালাপোড়া শুরু হয়ে যায়, অস্বস্তি লাগে, মিজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, রাকির প্রতি রাগ-ক্ষোভ চলে আসে।
অনেক সময় জ্বীনও এক্টিভ হয়ে যায়।

-
কারন সে বুঝে যায় যে, তার শেষ বিদায়ের পালকি চলে আসছে।
তার আরামগুলো হারাম হয়ে যাবে, এবং তার চক্রান্ত গুলো ব্যর্থ হয়ে যাবে।😊

জাদু এমন এক বিষয়কে বলা হয়, যার উপকরণ নিতান্ত গোপন ও সূক্ষ্ম হয়ে থাকে। জাদু এমন সব গোপনীয় কাজের মাধ্যমে অর্জিত হয়, য...
07/05/2024

জাদু এমন এক বিষয়কে বলা হয়, যার উপকরণ নিতান্ত গোপন ও সূক্ষ্ম হয়ে থাকে। জাদু এমন সব গোপনীয় কাজের মাধ্যমে অর্জিত হয়, যা দৃষ্টির অগোচরে থাকে। জাদুর মধ্যে মন্ত্রপাঠ, ঝাড়ফুঁক, বাণী উচ্চারণ, ঔষধপত্র ও ধুম্ৰজাল - এসব কিছুর সমাহার থাকে। জাদুর বাস্তবতা রয়েছে। ফলে মানুষ কখনো এর মাধ্যমে অসুস্থ হয়ে পড়ে, কখনো নিহতও হয় এবং এর দ্বারা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছিন্নতাও সৃষ্টি করা যায়। তবে এর প্রতিক্রিয়া তাকদীরের নির্ধারিত হুকুম ও আল্লাহর অনুমতিক্রমেই হয়ে থাকে। এটা পুরোপুরি শয়তানী কাজ! এ প্রকার কাজ শির্কের অন্তর্ভুক্ত। দুটি কারণে জাদু শির্কের অন্তর্ভুক্ত।

১. এতে শয়তানদের ব্যবহার করা হয়। তাদের সাথে সম্পর্ক রাখা হয় এবং তাদের পছন্দনীয় কাজের মাধ্যমে তাদের নৈকট্য অর্জন করা হয়।
২. এতে গায়েবী ইলম ও তাতে আল্লাহর সাথে শরীক হবার দাবী করা হয়। আবার কখনো কখনো জাদুকরকে বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী হিসেবে বিশ্বাস করা হয়। এ সবগুলোই মূলতঃ ভ্রষ্টতা ও কুফরী। তাই কুরআনুল করীমে জাদুকে সরাসরি কুফরী-কর্ম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
___________
[ তাফসীরে জাকারিয়া: সূরা বাক্বারাহ, ১০২ ]

04/05/2024

মাথার চুল,চিরুনির দাত বা অংশ বিশেষ। হাত পায়ের নখ, পিরিয়ডের প্যাড বা ব্যবহৃত পুরাতন কাপড় এই সমস্ত বস্তুু গুলো কে। যেখানে সেখানে না ফেলে দিয়ে মাটির নিচে পুঁতে ফেলুন।কেননা এই সমস্ত বস্তুুর দ্বারা যাদু করা যায় খুব সহজে।

ছবিতে থাকা চিহ্ন গুলো হাতে বা বডি মেসেঞ্জার দিয়ে প্রেশার দিলে বুঝতে পারবেন পেটে খাওয়ানো বা পান করানো যাদু আছে কি না।তা ছ...
28/04/2024

ছবিতে থাকা চিহ্ন গুলো হাতে বা বডি মেসেঞ্জার দিয়ে প্রেশার দিলে বুঝতে পারবেন পেটে খাওয়ানো বা পান করানো যাদু আছে কি না।
তা ছাড়াও নাভির চতুর পাশে দেখতে পারেন।

#পেটের_থাকা_যাদুর_লক্ষণ।

পেটের যাদু খুব পীড়াদায়ক এবং যন্ত্রণা দায়ক। এই যাদুতে আক্রান্ত হলে শরীরের অনেক প্রকার সমস্যা সৃষ্টি হয়। আর জ্বিন যে কোন মুহুর্তে আপনার শরীরে প্রবেশ করতে পারে। আর পেটের যাদু নষ্ট নাহলে সমস্যা গুলি লেগেই থাকে আর জ্বিন রুগীকে যন্ত্রণা দিতেই থাকে।
পেটের যাদু সাধারণত দুইভাবে করা হয়।

১/সরাসরি খাদ্যের সাথে মিশিয়ে বা পান করানোর মাধ্যমে ।
২/স্বপ্নের মাধ্যমে খাওয়া বা পান করানো।

ঘুমের মধ্যে যারা সপ্তাহে ২/৩ দিন খাবার খান তাদেরকে অতিমাত্রায় যাদু করা হয়। ঘুমের মধ্যেও যাদু করা হয়। যখন কোন তান্ত্রিক/কবিরাজরা সরাসরি খাদ্য খাওয়াতে পারে না তখন স্বপ্নে জ্বিন শয়তান দ্বারা খাদ্য খাওয়ানোর মাধ্যমে যাদুর বিষ তাদের শরীরে প্রবেশ করায়।

ঘুমের মধ্য খাবার খাওয়া দুটি দিক,যদি কেউ প্রতিনিয়ত খায় তাদের অধিকাংশ যাদুগ্রস্ত, এক্ষেত্রে যদি আসিক জ্বিন দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে জ্বিনে নিজেই যাদু করে কারণ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ভিতরে থাকা জ্বিনটা নিজেই ম্যাজিশিয়ান,হয় জ্বিন নিজেই যাদুকরে বা অন্য ম্যাজিশিয়ান জ্বিনের সাহায্য নিয়ে যাদু করে ভিক্টিমেকে নিজের বশে রাখে।

দ্বিতীয় -কেউ যখন যাদুকরের কাছে যায় সেখানে ভিক্টিম কাছে কিংবা দূরে হলে,যদি খাবারের মাধ্যমে সেটা ভিক্টিমকে খাওয়াতে অসম্ভব হয়,তখন যাদুকর জ্বিনের সাহায্যে খাবার খাওয়ানোর কাজটি করে থাকে।

যারা স্বপ্নের মাধ্যমে খাবার খান তাদেরকে বেশিরভাগ, শনিবার এবং মঙ্গল বার, চান্দের প্রথম তারিখে খাইয়ে থাকে।

#পেটে_যাদু_আছে_কি_না_আপনি_কিভাবে_বুঝবেন?

#পেটে_থাকা_খাওয়ানো_যাদুর_লক্ষণ_সমূহ

(১) পেটের খিদে আস্তে আস্তে কমে যায়,পেটে আর বেশি খিদা লাগেনা,পেট সবসময় ভরা ভরা লাগে,খেতে ইচ্ছে হয় না,খাবার খেলেও অল্প পরিমাণে খাবে।

(২) অল্প কিছু খেলেই মনে হয় অনেক কিছু খেয়ে ফেলেছে, প্রায় সময় বমি-বমি ভাব হয় কিন্তু বমি হয়না,আবার অনেক সময় বমি হয়েও যায়।

(৩) পেটে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গ্যাস হয় ,
এর জন্য ওষুধ খেয়েও তেমন কোন ফল পাওয়া যায় না,গ্যাস কমে না এবং আস্তে-আস্তে বেশি দামি গ্যাসের ট্যাবলেটও কাজে আসে না।

(৪) পেটে জ্বালাপোড়া, পেট গরম থাকে ,গরম খাবার খেলেই পেট গরম হয়ে যায়।

(৫) লিভার দুর্বল হয়ে যায়,এর জন্য দুই তিন দিনেও বাথরুম হয়না,পায়খানা কসের মতো হয়।

(৬) বন্ধ ঘরে একা থাকতে পারবেনা তার প্রচন্ড ভয় লাগবে মনে হবে যেন তার পিছনে কে যেন রয়েছে ।

(৭)তার বুক ধড়ফড় করবে । সবসময় ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায় থাকে।

(৮) কখনো কখনো তার শরীর থেকে পোড়া পোড়া গন্ধ বের হতে থাকে।

(৯) পেটে খাওয়ানো যাদুর রোগিকে রুকইয়াহ (ঝাঁড়ফুক)করতে শুরু করলে বমি-বমি ভাব হয় বা বমির ভাব টা আরো বেড়ে যায়
এবং কখনো কখনো বমি হয়েও যায়।

(১০) মাথা সবসময় ধব ধব করবে , মাথা সবসময় ভারি হয়ে থাকবে আগুনের মতো তাপ বের হতে থাকে , মনে যেন প্রেসার
(১১) প্রায় সময় মাথায় ব্যাথা থাকে, প্রায় সময় পেট ও বুকের ভেতর কাটার মতো ঘা দেয় বিঁধে।
(১২)পেটের মধ্যে বলের মত মনে হওয়া।
এছাড়াও জ্বিনগত সমস্যা অনেক লক্ষণ দেখা যাবে।

এই লক্ষণ গুলো যদি আপনার সাথে মিলে যায় তাহলে বুঝে নিবেন আপনার খাওয়ানো যাদুর রুকইয়াহ প্রয়োজন।

25/04/2024

যাদুতে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষ্মণ

যারা নিজেদেরকে যাদুগ্রস্থ মনে করছেন অথবা বুঝতে পারছেন না কিভাবে যাচাই করবেন আসলেই আপনি যাদুগ্রস্থ কিনা তাদের জন্য এই পোস্ট উপকারী হবে ইনশাআল্লাহ। নিচের লক্ষণগুলো মিলিয়ে দেখুন আপনার সাথে কতগুলো লক্ষণ মিলেঃ

১। চোখের অবস্থা অস্বাভাবিক বা অসুন্দর লাগা।
২। কোন কারণ ছাড়াই শরীর গরম থাকা।
৩। ব্যাকপেইন। বিশেষত মেরুদণ্ডের নিচের দিকে ব্যথা করা।
৪। (মহিলাদের ক্ষেত্রে) অনিয়মিত মাসিক (পুরুষদের ক্ষেত্রে) প্রস্রাবে ইনফেকশন এর সমস্যা।
৫। প্রায়সময় পেট ব্যথা থাকা।
৬। দীর্ঘদিন চিকিৎসা করেও কোন রোগ ভালো না হওয়া।
৭। তীব্র মাথা ব্যথা, ঔষধ খেয়েও তেমন লাভ হয়না।
৮। হঠাৎ করে কারো প্রতি তীব্র ঘৃণা বা তীব্র ভালোলাগা অনুভব হওয়া।
৯। পরিবার, বাসা, সমাজের প্রতি তীব্র বিতৃষ্ণা থাকা।
১০। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত খুব অস্বস্তিতে ভুগা অথবা মেজাজ খারাপ থাকা।
১১। কোন কারণ ছাড়াই বাড়ি থেকে দৌড় দিয়ে বের হয়ে যেতে ইচ্ছা হওয়া।
১২। শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে অতিরিক্ত ব্যথা হওয়া।
১৩। ঠিকমত ঘুমাতে না পারা। ঘুমালেও ভয়ংকর স্বপ্ন দেখা।
১৪। স্বপ্নে কোনো গাড়ি বা প্রাণিকে আক্রমণ করতে বা ধাওয়া করতে দেখা (যেমনঃ কুকুর, বিড়াল, গরু, মহিষ, বাঘ, সিংহ, সাপ)।
১৫। স্বপ্নে কোন ফাঁকা বাড়ি, মরুভূমি বা গোরস্থানে হাঁটাচলা করতে দেখা।
১৬। স্বপ্নে বিভিন্ন যায়গায় পানি দেখা (যেমন সাগর, নদী, পুকুর, ইত্যাদি)।
১৭। স্বপ্নে ঘনঘন কোথাও আগুন জ্বলতে বা কিছু পোড়াতে দেখা।
১৮। স্বপ্নে নিজেকে উড়তে দেখা বা কোন পাখি অথবা বড়বড় গাছ দেখা।

এসব লক্ষণ যদি দুই একটা মিলে যায় তাহলে ইনশাআল্লাহ আপনার রুকইয়াহ করা লাগবেনা। ফরজ কাজগুলোর পাশাপাশি নিয়মিত সকাল-সন্ধ্যা এবং ঘুমানোর আগের মাসনুন আমল এবং বেশি বেশি দোয়া করলেই যথেষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ।
এসব লক্ষণ যদি ৫ টা বা তারও বেশি মিলে যায় তাহলে আপনার উচিত যাদুর রুকইয়াহ করা।

18/04/2024
صلى الله عليه وسلم 💝🥀
19/03/2024

صلى الله عليه وسلم 💝🥀

10/03/2024

জ্বীন যাদুতে আক্রান্ত হওয়ার পর একজন ভিক্টিমের উপর সর্বপ্রথম আঘাত হানে মানসিক শারীরিকের উপর।শারীরিক সমস্যা গুলো কিছুটা প্রকাশ করা গেলো ও, মানসিক যন্ত্রনা গুলো হয় অনেক পিড়াদায়ক।পৃথিবী এতো বিশাল হওয়ার পর ও মানুষটির নিকট অনেক সংকীর্ণ লাগে।পরিবার আপনজন আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব থাকা সত্য ও নিজেকে বড্ড একাকৃত লাগে...

আর এটাই শয়তানের সবচেয়ে বড় একটি টার্নিং পয়েন্ট হয়ে গড়ে উঠে।তখন এই সুযোগে ভিক্টিম কে প্রচুর পরিমানের ওয়াসওয়াসায় কাবু করতে সহজ হয়।যাহার পুরোটি নিয়ন্ত্রিত হয় ব্রেইন ও অন্তরের দ্বারা।

সুতরাং এই অন্তরের ঔষধ হইলো প্রচুর পরিমানে কুরআন তিলাওয়াত ও জিকির আযকার করা।পরিবার আপনজনের সাথে সঙ্গ দেওয়া।নিজেকে সব সময় বৈধ ব্যস্ততায় অতিবাহিত করা। এবং আল্লাহর নিকট শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে মুক্তির জন্য প্রচুর পরিমানে দুআ করা। এবং সাধ্যমতে দাওয়াহ (রুকইয়াহ ) গ্রহন করা।

وَمَا عَلَيْنَا إِلَّا الْبَلَاغُ الْمُبِينُপরিস্কারভাবে আল্লাহর বাণী পৌছে দেয়াই আমাদের দায়িত্ব।(সূরা ইয়াসীন ১৭)
06/03/2024

وَمَا عَلَيْنَا إِلَّا الْبَلَاغُ الْمُبِينُ
পরিস্কারভাবে আল্লাহর বাণী পৌছে দেয়াই আমাদের দায়িত্ব।
(সূরা ইয়াসীন ১৭)

এইযে আমরা ভবিষ্যতের জন্য এত শত প্ল্যান করি, কত স্বপ্ন আঁকি মনে মনে!অথচ আমরা নিজেরাও জানিনা পরক্ষণেই কি ঘটতে চলেছে।গতকাল ...
01/03/2024

এইযে আমরা ভবিষ্যতের জন্য এত শত প্ল্যান করি, কত স্বপ্ন আঁকি মনে মনে!
অথচ আমরা নিজেরাও জানিনা পরক্ষণেই কি ঘটতে চলেছে।
গতকাল লিপ ইয়ার ছিল অনেকেরই অনেক লেখা পরলাম! কেউ চায় আগামী চার বছরের মধ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে, কেউ আশায় বুক বাধে আগামী চার বছরের মধ্যে নিজের জীবন সঙ্গীকে খুঁজে পাবে, কেউ চায় নিজের পিতা-মাতাকে অনেক কিছু উপহার দিবে!
কিন্তু হয়তো কেউ ই চায়না যে আমি মারা যাব। সকলেরই বেঁচে থাকার এক আকাংক্ষা থাকে এবং এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের এত শত প্ল্যান কখনই কাজে আসবেনা যদি না আল্লাহ চান!
বেইলী রোডে যে ঘটনা টা ঘটলো এখানে কিন্তু প্রায় সমাজের সকল অবস্থানের মানুষজনই মা*রা গিয়েছে!
কর্মচারী থেকে শুরু করে বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী, গ্রিন কার্ড পেয়ে বাহিরে ফ্যামিলি সহ স্যাটেল হতে চাওয়া পরিবার! সদ্য এইচ এস সি পাশ করা সন্তান!
আহ! কি করুন পরিস্থিতি!

এটাই তো জীবন! এত শত প্ল্যান করে কি আদৌ তা পূরণ করতে পারবো? না আমি জানি না আমরা জানি! কেউ ই জানেনা!

Address

Barisal

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Raqi Mahmud Shihab posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share