16/10/2024
অনেক তান্ত্রিক-কবিরাজ আছে যারা পেশেন্টকে দেখেই বা পেশেন্টের নাম শুনেই তার অতীত-ভবিষ্যতের সমস্যা বলে দেয়। এমনকি তাদের কিছু কথা সত্যি হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে একেক কবিরাজ একেক ধরনের কৌশল অবলম্বন করে থাকে। তবে এসব কৌশল বুঝতে না পারায় অনেকেই এদের এসব গায়েবী সংবাদ শুনে আশ্চর্যবোধ করেন। তারা মনে করেন এই কবিরাজ যেহেতু পেশেন্টের নাম দেখেই এত কিছু বলে দিতে পেরেছে, তাহলে নিশ্চয় এই কবিরাজ অনেক কিছু জানেন; এবং একে দিয়েই আমার কাজটি করাতে হবে।
তবে বাস্তবতা হলো, এসব কবিরাজরা মূলত গণক-জ্যোতিষীর অন্তর্ভুক্ত। এদের কিছু কথা বাস্তবের সঙ্গে মিলে যাওয়ার রহস্য নিয়ে রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামেকে প্রশ্ন করা হলে তিনি তাদের মূল কারসাজি সাহাবীগণের সামনে স্পষ্ট করে দেন। আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত,
"একদল লোক রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট জ্যোতিষীদের ব্যাপারে জানতে চাইল। সে সময় রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বললেন, ওরা (বাস্তব) কোনো কিছুর ওপরে (প্রতিষ্ঠিত) নয়। তারা বলল, হে আল্লাহর রাসুল! তারা তো প্রায় সময় এমন কিছু বিষয়ে কথা বলে, যা বাস্তব হয়ে যায়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ওই (একটি) কথা বাস্তব সত্যের অন্তর্ভুক্ত, যা জিনেরা চুরি করে নিয়ে আসে এবং মুরগির মতো কুট কুট করে তা তার দোসরের শ্রবণশক্তিতে ঢুকিয়ে দেয়। পরবর্তীতে তারা তার সঙ্গে শতাধিক মিথ্যা জুড়ে দেয়।" (মুসলিম, হাদিস : ৫৭১০)
এসব লোকদের কাছে যারা যায় তাদের ব্যাপারে হাদিসে এসেছে–
"যে লোক ‘আররাফ’ (গণকের) এর কাছে গেল এবং তাকে কোনো ব্যাপারে প্রশ্ন করল চল্লিশ রাত্রি তার কোনো নামাজ গ্রহণযোগ্য হবে না। (মুসলিম, হাদিস : ৫৭১৪)
সুতরাং এসব কবিরাজ নামধারি জ্যোতিষীদের কাছে গিয়ে আমরা আমাদের ঈমান আমল নষ্ট করে দিচ্ছি কি না সে দিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।