Rose Homeo & Physiotherapy

Rose Homeo & Physiotherapy নারী, শিশু এবং জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা করা হয়। মহিলাদের ফিজিওথেরাপি দেওয়া হয়। নারী, শিশু এবং জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা করা হয়

ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার পূর্বে রোগ হয়।যেমন :- জ্বর, সর্দী,কাশি,উদরাময় ইত্যাদি। রুব্রিক : Mind - Anticipation- Examinati...
20/08/2025

ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার পূর্বে রোগ হয়।
যেমন :- জ্বর, সর্দী,কাশি,উদরাময় ইত্যাদি।

রুব্রিক : Mind - Anticipation- Examination before.
মেডিসিন :- Aethusa, Gelsimium, Anacardium, Argentum Nit,Silicea ইত্যাদি।
আমরা যেসব লক্ষণে ব্যবহার করে থাকি :-

*1. AETHUSA CYNAPIUM*
- *পরীক্ষার সময় মাথা কাজ করে না*
- পড়া মনে থাকে না, ভুলে যায়
- *মাথা ভার* লাগে, চোখ বুজে আসে
- অতিরিক্ত ক্লান্তি ও বিষণ্ণতা
- শিশুরা পড়া পড়তে গেলেই *ঘুমিয়ে পড়ে*

*2. GELSEMIUM*
- *পরীক্ষার আগে ঘোরলাগা*, ভয় এবং দুর্বলতা
- মাথা ঘোরে, হাত-পা কাপে
- বারবার প্রস্রাবের বোধ হয় (exam fear)
- *জড়তা ও অবসন্নতা* — মনে হয় কিছুই পারবে না
- চোখ ভারী লাগে, উত্তেজনায় কথা আটকে যায়

*3. ANACARDIUM ORIENTALE*
- *মনের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব*, নিজের ওপর বিশ্বাস থাকে না
- মনে হয় “আমি পারব না”
- মনে হয়, পরীক্ষার হলে সব ভুলে যাবে
- স্মৃতি দুর্বল, পড়া ভুলে যায়
- *ভবিষ্যৎ চিন্তায় আতঙ্ক*

*4. ARGENTUM NITRICUM*
- *পরীক্ষার আগে প্রচণ্ড উৎকণ্ঠা ও তাড়া তাড়া ভাব*
- ভয়: পরীক্ষায় দেরি হয়ে যাবে
- চিন্তা করতে গিয়ে খাওয়া-পানাহারে সমস্যা হয়
- বারবার টয়লেটে যেতে হয়
- *তীব্র নার্ভাসনেস*, গ্যাস/ডায়রিয়ার প্রবণতা

*5. SILICEA*
- *ভয় ও আত্মবিশ্বাসের অভাব*, কিন্তু ভিতরে জেদ
- স্মৃতি দুর্বল, মুখস্থ পড়া মনে করতে সমস্যা
- পরীক্ষার সময় মাথা হালকা, কনফিউজড লাগে
- ঠান্ডা ঘামে ভিজে যায় হাত-পা
- *চাপ সহ্য করতে না পারা*

বিঃ দ্রঃ নিজেরা ওষুধ কিনে খাবেননা, পাওয়ার জানা না থাকলে বিপদ হতে পারে।
একজন হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা।

রোজ হোমিও এন্ড ফিজিওথেরাপি
ডাঃ রাজিয়া সুলতানা
+8801728338344
শীতলাখোলা কালীবাড়ি রোড
ট্রাফিক পুলিশ অফিসের সামনে

Renal artery stenosis (RAS) মানে কিডনিতে রক্ত নেওয়া ধমনীগুলো সরু হয়ে যাওয়া। সাধারণত অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস–এর কারণে হয়; ফল ...
17/08/2025

Renal artery stenosis (RAS) মানে কিডনিতে রক্ত নেওয়া ধমনীগুলো সরু হয়ে যাওয়া। সাধারণত অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস–এর কারণে হয়; ফল হিসেবে উচ্চ রক্তচাপ, ক্রনিক কিডনি রোগ বা কিডনি ফেইলিউর হতে পারে।
Renal artery stenosis তুলনামূলকভাবে একটি অপ্রচলিত অসুখ, যা ক্লিনিক্যালি সাধারণত উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে প্রকাশ পায়।
অনুমান করা হয়—অনির্বাচিত (সব ধরনের) উচ্চ রক্তচাপ রোগীর প্রায় ২%–এ এটি ঘটে; তবে যেসব বয়স্ক রোগীর শরীরের অন্য কোথাও অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস আছে, তাদের মধ্যে হার ৪% পর্যন্ত হতে পারে। অধিকাংশ কেসেই কারণ অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস; তবে অপেক্ষাকৃত তরুণ রোগীদের ক্ষেত্রে ধমনী-দেয়ালের ফাইব্রোমাসকুলার ডিসপ্লাজিয়া (FMD) দায়ী হতে পারে। বিরল কারণের মধ্যে রয়েছে ভাসকুলাইটিস, থ্রম্বোএম্বোলিজম, এবং রেনাল আর্টারির অ্যানিউরিজম।

সাধারণত হয় অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস (ধমনীতে প্লাক জমা) বা ফাইব্রোমাসকুলার
দীর্ঘমেয়াদি মানসিক স্ট্রেস রক্তচাপ বাড়াতে পারে এবং অ্যাথেরোস্ক্লেরোটিক ঝুঁকি– খারাপের দিকে ঠেলে দেয়—এতে হাইপারটেনশন/ভাসকুলার রোগের ঝুঁকি বাড়ে, ফলে আগে থেকে থাকা বা ভবিষ্যতে হওয়া সংকোচনের প্রভাবও বেড়ে যেতে পারে।

যাদের ধমনীতে প্লাকের ঝুঁকি বেশি—ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান, স্থূলতা, বয়স্ক বয়স; পরিবারে কার্ডিওভাসকুলার রোগের ইতিহাস—তাদের RAS হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

লক্ষণ:
অনেক সময় শুরুতে কোনো লক্ষণ থাকে না। রোগ বাড়লে দেখা দিতে পারে—মনোযোগের সমস্যা/বিভ্রান্তি, ঘুমের অসুবিধা, শরীর ফুলে যাওয়া (এডিমা), ক্লান্তি, মাথাব্যথা, খিদে কমে যাওয়া, পেশিতে টান, বমিভাব/বমি, শ্বাসকষ্ট, ত্বক শুষ্ক/চুলকানিময়/গাঢ় হওয়া, অযাচিত ওজন কমা, প্রস্রাব বেশি বা কম হওয়া।

জটিলতা:
ক্রনিক কিডনি রোগ, কিডনি ফেইলিউর, কিডনির আকার ছোট হয়ে যাওয়া (অ্যাট্রফি), রেনাল হাইপারটেনশন, এবং করোনারি/পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ–এর ঝুঁকি বাড়ে।

কীভাবে ধরা হয়:
শারীরিক পরীক্ষা (কিডনির কাছে স্টেথোস্কোপে রক্তপ্রবাহের “whoosh” শব্দ), কিডনি ফাংশন টেস্ট (রক্ত/প্রস্রাব), এবং ইমেজিং—রেনাল স্ক্যান, ডুপলার আল্ট্রাসাউন্ড, CTA বা MRA।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা:
ভালোভাবে নির্বাচিত হোমিওপ্যাথিক রেমেডিকে আর্থেরিওস্ক্লেরোসিস–এ কার্যকর বলা হয়। সঙ্গে কঠোর ডায়েট নিয়ন্ত্রণ মানতে হবে।

•অরাম মেটালিকাম (AURUM METALLICUM)— ক্ষতসহ আর্থেরিওস্ক্লেরোসিসে অন্যতম। হৃদযন্ত্র ২–৩ সেকেন্ড থেমে গেছে—এমন অনুভূতি, তারপর হঠাৎ প্রবল ধড়ফড়; ইপিগাস্ট্রিয়ামে ডুবে যাওয়ার মতো ভাব। উচ্চ রক্তচাপ, পালস দ্রুত, দুর্বল ও অনিয়মিত। রাতে বুকের হাড়ের নিচে ব্যথা, বুকে চাপ ও তীব্র ধুকপুকানি। মানসিকভাবে গভীর অবসাদ; আত্মহত্যার কথা বলে, তবে মৃত্যুভয়ও আছে; শোকে আশা–হতাশায় ডুবে থাকা।

•কোনিয়াম ম্যাকুল্যাটাম (CONIUM MACULATUM) — তীব্র ধুকপুকানিসহ আর্থেরিওস্ক্লেরোসিসে। পরিশ্রমে/পান করলে/স্টুলের সময় পালপিটেশন বাড়ে। পালস অসমান ও অনিয়মিত। মস্তিষ্ক ও দেহে দুর্বলতা, ভার্টিগো, কাঁপুনি, পালপিটেশন।

•কনভালারিয়া মাজালিস (CONVALLARIA MAJALIS Q) — ধূমপায়ীদের আর্থেরিওস্ক্লেরোসিসে উৎকৃষ্ট। মনে হয় হৃদস্পন্দন থেমে গেছে, আবার হঠাৎ শুরু হয়। আরেকটি বৈশিষ্ট্য—অত্যন্ত দ্রুত ও অনিয়মিত পালস। মনে হয় হৃদস্পন্দন পুরো বুকে বাজছে।

•ক্রেটিগাস (CRATAEGUS OXYCANTHA) — হার্ট টনিক হিসেবে বিবেচিত। ধমনী–লুমেনে চুনাসদৃশ/ক্রাস্ট জমা দ্রবীভূত করার মহাশক্তি আছে—এমন দাবি করা হয়। সামান্য পরিশ্রমেই শ্বাসকষ্ট, তীব্র বুকে ব্যথা; পালস অনিয়মিত, দুর্বল, মাঝে মাঝে থেমে যাওয়া।

•ন্যাট্রাম আয়োডেটাম(NATRUM IODATUM) — অ্যাঞ্জাইনা পেক্টোরিস, ভার্টিগো ও শ্বাসকষ্টসহ আর্থেরিওস্ক্লেরোসিসে।

•প্লাম্বাম মেটালিকাম(PLUMBUM METALLICUM) — অ্যানেমিক, দুর্বল, উচ্চ রক্তচাপ–পীড়িত ব্যক্তিদের আর্থেরিওস্ক্লেরোসিসে। পেরিফেরাল আর্টারিতে যন্ত্রণাদায়ক সংকোচন; পালস নরম, ছোট, ডাইক্রোটিক, তারের মতো শক্ত, ধীর—৪০ পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। ক্রনিক নেফ্রাইটিস থাকলে বেশি ইঙ্গিতপূর্ণ।

•সিকেলি কর(SECALE CORNUTUM) — শুরুতেই ধমনীর দ্রুত শক্ত হয়ে যাওয়া–ধাঁচে বেশি মানানসই। বরফ-ঠান্ডা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, বুকে বোরিং ধরনের ব্যথা; ডায়াফ্রামে ক্র্যাম্পসহ শ্বাসকষ্ট ও চাপ; পালপিটেশন সাথে ইন্টারমিটেন্ট পালস।

•স্ট্রন্টিয়াম কার্বনিকাম(STRONTIUM CARBONICUM) — উচ্চ রক্তচাপে মুখ লাল হয়ে ওঠা, পালসেটিং আর্টারি—এমন আর্থেরিওস্ক্লেরোসিসে। ধমনী ও হৃদযন্ত্রের প্রচণ্ড ধুকপুকানি; ভার্টিগো ও বমিবমি–তেও ব্যবহৃত।

•স্ট্রোফ্যান্থাস হিসপিডাস(STROPHANTHUS HISP)— বিশেষত তামাক-সেবীদের আর্থেরিওস্ক্লেরোসিসে। ধমনীগুলো খুব শক্ত/রিজিড; পালস দ্রুত, আবার ধীর/দুর্বল/ছোট/অনিয়মিত–এভাবে বদলাতে থাকে। কার্ডিয়াক পেইন ও ডিসপনিয়া।
•ট্যাবাকাম(TABACUM) — করোনারি আর্টারি কঠিন হয়ে যাওয়া–ধাঁচে। তীব্র পালপিটেশন, বাম দিকে শোওয়ায় বাড়ে; পালস সুতো-সুতো, ইন্টারমিটেন্ট, শক্ত, কর্ডের মতো ও কখনও স্পর্শে ধরা যায় না।

১) খাবার–দাবার (ডায়েট)
লবণ সীমা: দিনে মোট ≤ ১,৫০০–২,০০০ মি.গ্রা. সোডিয়াম (≈ ¾–১ চামচ লবণ) লক্ষ্য রাখুন—ডাক্তার যেটা বলবেন সেটাই ফলো করুন।
(শাক, লাউ, করলা, ক্যাপসিকাম),
(মাছ, মুরগি, ডাল/ছোলা),
(ব্রাউন রাইস/আটা রুটি/ওটস)
ভালো ফ্যাট: সরিষা/ওলিভ/সূর্যমুখী তেল—পরিমিত; ভাজা–ভুজি/ট্রান্স ফ্যাট কমান।
যা কমাবেন: আচার, পাপড়/চিপস, প্রসেসড মাংস, ইনস্ট্যান্ট নুডলস, রেস্টুরেন্ট ফুড (লবণ/তেল বেশি)।
স্বাদ আনুন লবণ ছাড়াই: লেবু, কাঁচামরিচ, আদা–রসুন, ধনে–জিরা ভাজা গুঁড়া।
পানি: সাধারণত পর্যাপ্ত পানি ভালো

২) ব্যায়াম
সপ্তাহে ১৫০–৩০০ মিনিট হাঁটা/সাইক্লিং/সাঁতার (মডারেট ইনটেনসিটি) + সপ্তাহে ২ দিন হালকা রেজিস্ট্যান্স ট্রেনিং।

নতুন করে শুরু করলে ধীরে বাড়ান; বুকে ব্যথা/অস্বস্তি/শ্বাসকষ্ট হলে থামুন

৩) ধূমপান/অ্যালকোহল
ধূমপান সম্পূর্ণ বন্ধ—এটাই ধমনীর জন্য সবচেয়ে বড় উপহার। প্রয়োজন হলে NRT/কাউন্সেলিং নিন।
অ্যালকোহল থাকলে পরিমিত (অথবা বাদ) রাখুন—BP ও ওষুধের সাথে ইন্টারঅ্যাকশন হতে পারে।

নিজে নিজে ওষুধ কমাবেন/বন্ধ করবেন না। নতুন সাপ্লিমেন্ট/হারবাল শুরু করার আগে ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করুন।

৪) মনিটরিং (বাড়িতে)
ব্লাড প্রেসার: প্রতিদিন সকাল–সন্ধ্যা, ৫ মিনিট বিশ্রামের পর মাপুন; নোটবুকে/শিটে লিখে রাখুন।
ওজন: সপ্তাহে ১ বার; হঠাৎ বেড়ে গেলে (ফ্লুইড রিটেনশন) জানান।
ডাক্তার যেভাবে বলবেন, সেই অনুযায়ী কিডনি ও লিপিড প্রোফাইল ফলো-আপ করান।

৫) ঘুম–স্ট্রেস
রাতে ৭–৮ ঘণ্টা ঘুম, নির্দিষ্ট রুটিন।
স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট: শ্বাস–প্রশ্বাস ব্যায়াম, মেডিটেশন/দোয়া, হালকা স্ট্রেচিং, নিয়মিত হাঁটা।
অতিরিক্ত ক্যাফেইন/এনার্জি ড্রিংক এড়িয়ে চলুন—BP বাড়াতে পারে।

৬) “সিক ডে” সতর্কতা (বমি/ডায়রিয়া/জ্বর হলে)
প্রচুর পানি খেতে না পারলে ডিহাইড্রেশন → কিডনি ক্ষতি হতে পারে।
এমন অবস্থায় কোন ওষুধ অস্থায়ীভাবে থামাবেন/চালাবেন—এ নিয়ে আগেই ডাক্তার থেকে “সিক-ডে প্ল্যান” লিখে নিন (বিশেষ করে ডাইইউরেটিক/ACEi/ARB/NSAID বিষয়ে)।

প্রস্রাব খুব কমে গেলে, মাথা ঘোরালে, বা তীব্র দুর্বলতা হলে দ্রুত যোগাযোগ করুন।

৯) কী কী এড়িয়ে চলবেন
NSAID ব্যথানাশক (যেমন ডাইক্লো/ইবুপ্রোফেন) নিজের মতো করে নিয়মিত ব্যবহার—কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

১০) কখন দ্রুত ডাক্তার/হাসপাতাল
বুকে ব্যথা, তীব্র শ্বাসকষ্ট, হঠাৎ বিহ্বলতা/দৃষ্টি–ব কথা জড়ানো
মুখে ধাতব স্বাদ, পেটব্যথা, বিভ্রান্তি/মনোযোগের সমস্যা, প্রস্রাব কমে যাওয়া, বমিভাব/বমি, খিঁচুনি, হাত–পা/মুখ ফুলে ওঠা—এগুলো থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।
BP খুব বেশি (যেমন ≥180/120) এবং মাথাব্যথা/চোখে ঝাপসা/বমি—জরুরি বিভাগে যান।

বিশেষ সতর্কতাঃ উচ্চ রক্তচাপ/কিডনির ঝুঁকি থাকলে ঘুমের ওষুধে যেসব ক্ষতি বা ঝুঁকি বেশি দেখা যায়

১.OTC “স্লিপিং পিল” (ডাইফেনহাইড্রামিন/ডক্সিলামিন) → তীব্র তন্দ্রা, বিভ্রান্তি, স্মৃতিভ্রংশ, প্রস্রাব আটকে যাওয়া, পড়া/আঘাতের ঝুঁকি

২.বেঞ্জোডায়াজেপিন (যেমন diazepam/lorazepam) → আসক্তি/ডিপেনডেন্স, উইথড্রয়াল, স্মৃতি–ভারসাম্যের সমস্যা ও শ্বাসদমন; ওপিয়য়েড/অ্যালকোহলের সঙ্গে নিলে ঝুঁকি আরও বাড়ে।

৩.Z-drugs (zolpidem/eszopiclone/zaleplon) → “স্লিপ-ওয়াকিং/স্লিপ-ড্রাইভিং” টাইপ কমপ্লেক্স স্লিপ বিহেভিয়ার থেকে গুরুতর আঘাত/মৃত্যুর রিপোর্ট—FDA কালো-বক্স সতর্কতা দিয়েছে; পরদিন তন্দ্রা/পড়া–ও বাড়ে।

৪.“PM” কম্বো ওষুধ (যেমন ibuprofen+diphenhydramine) → ভেতরে থাকা NSAID (ibuprofen) কিডনির ক্ষতি/ফাংশন খারাপ করতে পারে এবং BP বাড়াতে পারে—CKD/হাই BP রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

৫.ঠান্ডার ওষুধে থাকা ডিকনজেস্ট্যান্ট (pseudoephedrine/phenylephrine)—অনেক “নাইট-টাইম” পণ্যে মিশে থাকে—রক্তচাপ বাড়ায়; হাই BP থাকলে এড়িয়ে চলা উচিত।

রোজ হোমিও এন্ড ফিজিওথেরাপি
ডাঃ রাজিয়া সুলতানা
+8801728338344
শীতলাখোলা কালীবাড়ি রোড
ট্রাফিক পুলিশ অফিসের সামনে

যদি চর্মরোগ থাকে হোমিওপ্যাথিক ঔষধের তালিকা দেখে নিন~একজিমার হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন 🪴একজিমা_কি?চর্মের বহিঃত্বকের প্রদাহ সহ ...
14/08/2025

যদি চর্মরোগ থাকে হোমিওপ্যাথিক ঔষধের তালিকা দেখে নিন~একজিমার হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন
🪴একজিমা_কি?
চর্মের বহিঃত্বকের প্রদাহ সহ রস নিঃসরণ হতে থাকলে তাকে একজিমা বলা হয় । প্রথমে কতকগুলি জলপূর্ণ ও জ্বালাকর লাল ফুস্কুড়ি জন্মে এবং অত্যন্ত চুলকায়, অত্যাধিক চুলকানোর ফলে সেটা ক্ষতে পরিণত হয় এবং হলুদাভ পুঁজের ন্যায় অথবা জলবৎ বা মধুর ন্যায় চটচটে রস ক্ষরিত হয় ও অধিক চুলকালে সেটা হতে রক্ত বের হয় ও তার উপর সূক্ষ্ম অথবা স্থুল মামড়ী পড়ে । এটা মস্তক, মুখমণ্ডল, লিঙ্গ, অণ্ডকোষ, যোনি-কপাট ( লেবিয়া মেজোরা ) , উরুর ভিতর দিক, নিন্মপদ, হস্ত, পদ সর্বস্থানেই উপজাত হতে পারে । কখন কখন এটা এমন চুলকায় যে রোগী একেবারে অস্থির হয়ে উঠে । সোরাদুষ্ট ধাতু, অথবা সর্বক্ষণ অধিক উত্তাপের নিকট কাজ করা, যেমন রুটিওয়ালা ( বেকার্স ইচ ) অথবা ক্রোটন তৈল বা সোডা, চুন, প্রভৃতি উত্তেজক পদার্থের সংস্পর্শে, শারীরিক রক্তপ্রবাহের ধীরতা, নিন্মপদের একজিমা ( সল্ট-রিউম ), প্রভৃতি কারণে ইহা সংঘটিত হইয়া থাকে।
কেন্ট স্যার বলেছেন "Treat the patient not the disease" রোগের চিকিৎসা নয় রোগের চিকিৎসার করুন। তারপরও প্রাক্টিস অফ মেডিসিনের নিয়ম অনুসারে আমরা যে সকল ঔষধ গুলো নিয়ে আলোচনা করব সেগুলোর ক্রিয়া অনুসারে চর্মের উপর প্রভাব বিস্তার করে বিধায় এদের লক্ষন সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকলে ঔষধ নির্বাচনে অনেক ক্ষেত্রে সুবিধা হয়।
>> এবার আসুন একজিমার ক্ষেত্রে কোন কোন ঔষধগুলো সবচেয়ে বেশি ক্রিয়া করে সেগুলোর লক্ষন গুলো সম্পর্কে একটু জেনে নিই।
# (Anacardium)অ্যানাকার্ডিয়ামঃ হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে, চোখের পাতায়, মুখমণ্ডল, বুক, গলা, অণ্ডকোষ, প্রভৃতি স্থানে অসহনীয় চুলকানি সহ একজিমা ।
#(Antim Crud)অ্যান্টিম ক্রুডঃ অত্যাধিক স্থুল ও কঠিন মধুবর্ণের মামড়ীযুক্ত একজিমা, চতুঃপার্শ্বে অত্যধিক চুলকায় ও জ্বালা করে, রাত্রিকালে, স্নানের পর বা জলে কাজ করার পর বৃদ্ধি ঘটলে এন্টিম ক্রুড উপযোগী।
#( Arsenic alb)আর্সেনিকঃ পুরাতন একজিমা, চামড়া কঠিন ও দৃঢ় হয়ে যায়, মাথা, মুখমণ্ডল, পায়ের তলায়, প্রভৃতি হতে শুষ্ক আইস ও হ্যাজাকর দুর্গন্ধযুক্ত রস ঝরে এবং ভীষণ জ্বালা করে ও চুলকায়, রাত্রিকালে ও ঠাণ্ডায় বৃদ্ধি, উত্তাপ প্রয়োগে উপশম। সুচিবাই, খুঁতখুঁতে রোগীর ক্ষেত্রে উপযোগী এহা।
# (Bayrita Carb)ব্যারাইটা কার্বঃ হাতের পিছনে একজিমা, সর্দিপ্রবণ, টনসিলের বা ঘাড় গলা ফোলা যুক্ত স্থুল থপথপে শিশুগণের মস্তকে একজিমা, ভিজা স্থলে মামড়ী পড়ে ও অত্যধিক চুলকায় ও জ্বালা করে ।
#( Bovista)বভিষ্টাঃ জলে কাজ করার জন্য হাতের পিছনে একজিমা, চুলকালেও চুলকানির নিবৃত্তি হয় না, মুখের চতুর্দিকে ও নাকে একজিমা।
#(Bromium)ব্রোমিয়ামঃ মাথায় একজিমা, সমগ্র মাথাবেষ্টন করে একজিমা। দেখে মনে হয় মাথায় টুপি পরানো এমন একজিমার ক্ষেত্রে ব্রোমিয়াম উপযোগী।
# (Calcaria Carb)ক্যাল্কেরিয়া কার্বঃ
মোটা সোটা বাচ্চা যাদের দাঁত ওঠাকালে মাথায় একজিমা – মাথা হতে মুখমণ্ডল পর্যন্ত বিস্তৃত হয় – রাতে ঘুমানোর পর প্রচুর চুলকানী এবং শিশু প্রবলভাবে মাথা চুলকানোর তাগিদে রক্তপাত করে, নিন্মপদ, নাভিতে, জানুতে ও কনুইতে রক্তস্রাবী একজিমা ( শীর্ণকায় শিশুদিগের – ক্যাল্কেরিয়া ফস, হলুদাভ সবুজ রস-ক্ষরণ হইলে – ক্যাল্কেরিয়া সালফ ) ।
#( Cantharis)ক্যান্থারিসঃ প্রদাহিক স্থানের উপর একজিমা – অত্যধিক জ্বালা ও চুলকানি, ক্রমশঃ বিস্তৃত হয়ে পড়ে, উত্তাপে বৃদ্ধি । মুত্রত্যাগকালে জ্বালা ও কুন্থন।
#(Chelledonium)চেলিডোনিয়ামঃ যকৃৎ পীড়াগ্রস্ত ব্যক্তিদের নিন্মপদে একজিমা ।
#(Cicuta vera)সিকিউটা ভিরোসাঃ মাথায় টুপি পরানোর ন্যায় একজিমা । বিশেষ চুলকায় না, সমগ্র মাথা জুড়ে টুপীর ন্যায় পাতিলেবু বর্ণের মামড়ী পড়ে, মাথার একজিমা চাপা পড়ে মস্তিস্ক বিকার।
#( Conium)কোনিয়ামঃ মুখমণ্ডলে, বাহুতে ও যোনির উপরিস্থ কেশময় স্থানে একজিমা, চটচটে রস ক্ষরণ হয়ে কঠিন মামড়ী পড়ে, প্রায়ই মাথা ঘোরে – শয্যায় শয়নকালে মাথা ঘোরার বৃদ্ধি ।
# (Crotin tig)ক্রোটন টিগঃ মাথা হতে পায়ের তলা পর্যন্ত সর্বশরীরব্যাপী একজিমা, মুখমণ্ডল, চক্ষুপল্লব, অণ্ডকোষ ও জননেন্দ্রিয়ের উপর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ফুস্কুড়ি জন্মে ও ভয়ানক চুলকায় ও জ্বালা করে এবং নিকটস্থ গ্রন্থিসমূহ স্ফীত হয়, ধীরে ধীরে চুলকালে উপশম বোধ।
#( Graphitis)গ্র্যাফাইটিসঃ স্থুল দেহ, স্বল্প ঋতু, শুষ্ক ও ঘর্মবিহীন চর্ম এইরূপ ব্যাক্তিগণের ( পুরুষ বা স্ত্রী ) একজিমা, কর্ণের পশ্চাৎ হইতে সূচিত হইয়া গ্রীবা ও গণ্ডদেশে বিস্তৃত হইয়া পড়ে, কর্ণের পশ্চাতে ও গ্রীবা, প্রভৃতি আক্রান্ত স্থান ফাটিয়া যায়, একজিমা হইতে প্রচুর পরিমাণে চটচটে মধুর ন্যায় রস ক্ষরিত হয় এবং অত্যধিক চুলকায় ও জ্বালা করে । কর্ণ ও মস্তকের পশ্চাৎ, করতল, প্রত্যঙ্গাদির ভাঁজ, মলদ্বারের চতুষ্পার্শ্ব, প্রভৃতি স্থানে একজিমা প্রকাশ পায় এবং উক্ত স্থানসমূহ গভীরভাবে ফাটিয়া যায়, ক্ষতস্থান স্পর্শ করিলে আদৌ যন্ত্রণাবোধ হয় না ।
#(Heper Sulph)হিপারঃ মস্তকে একজিমা অত্যধিক বেদনাযুক্ত, স্পর্শ সহ্য হয় না, জননেন্দ্রিয়ে, উরুতে ও অণ্ডকোষে একজিমা অত্যধিক চুলকায় ও দুর্গন্ধ বাহির হয়, নূতন ফুস্কুড়ি জন্মিয়া ক্রমশঃ বৃদ্ধি পায়, অত্যধিক শীতকাতর এবং ক্ষতস্থান স্পর্শ অসহ্যবোধ করে।
# (Jugluas cinaria)জুগল্যান্স সিনেরিয়াঃ হস্তপৃষ্টে ও হাতের কব্জিতে একজিমা, অসহ্য চুলকানি ও বেদনায় রোগী আদৌ নিদ্রা যাইতে পারে না, আরোগ্য হইতে না হইতেই পুনরায় প্রকাশ পায় ।
#(Kali ars)ক্যালি আর্সঃ পুরাতন শুষ্ক একজিমা, নিন্মবাহুর চর্ম স্বাভাবিক অপেক্ষা স্থুল, শরীর উত্তপ্ত হইলেই অত্যধিক চুলকায়, প্রাতে সন্ধিস্থানে চর্ম ফাটিয়া যায়, রসপূর্ণ উদ্ভেদসহ পুনঃ প্রকাশিত হয় ।
#(Kali Mur)ক্যালি মিউরঃ ঋতুস্রাবের বিপর্যয় অথবা টীকা দিবার কুফলস্বরূপ – ঘন শ্বেতবর্ণের পদার্থপূর্ণ ফুস্কুড়িযুক্ত একজিমা, ক্ষত হইতে অস্বচ্ছ সাদা পুঁজশ্লেষ্মাময় আস্রাব নির্গত হয় এবং চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা ও সর্বস্থানের শ্লৈষ্মিক ঝিল্লী হইতে ঘন সাদা বা হলুদাভ হড়হড়ে শ্লেষ্মা নির্গত হয় ।
#(Lappa mezor)ল্যাপ্পা মেজরঃ মস্তকের একজিমা – সিক্ত দুর্গন্ধযুক্ত, ধুসরাভ মামড়ী পড়ে এবং মুখমণ্ডলে বিস্তৃত হয়, অত্যধিক চুলকায় ও ছিঁড়িয়া ফেলার ন্যায় যন্ত্রণা হয় ।
#(Lycopodium) লাইকোপোডিয়ামঃ মস্তকের পশ্চাৎ হইতে সূচিত হইয়া মুখমণ্ডল পর্যন্ত বিস্তৃত একজিমা হইতে প্রচুর পরিমাণে দুর্গন্ধযুক্ত পুঁজ নিঃসরণ হয় এবং স্থুল মামড়ী পড়ে, সহজেই রক্তপাত হয়, নিন্মপদে ও পায়ের ডিমে গভীর ফাটল ও স্থুল মামড়ীযুক্ত একজিমা, অত্যধিক চুলকায় এবং চুলকাইলে উত্তপ্ত হইলে এবং অপরাহ্ণে ৪ টা হইতে ৮ ঘটিকা মধ্যে যাতনা অত্যধিক বৃদ্ধি পায় ।
#(Manganum)ম্যাঙ্গানামঃ পুরাতন একজিমা, কনুই ও অন্যান্য সন্ধিস্থানে গভীর ফাটল ও অত্যধিক বেদনা হয়, মাসিক ঋতুস্রাবকালে একজিমার বৃদ্ধি ।
#(Marc sol)মার্কসলঃ ক্ষত হইতে ঘন হলুদাভ মামড়ী ঝরে এবং তাহার চতুষ্পার্শ্বে প্রদাহ সংঘটিত হয়, অত্যধিক চুলকায় এবং রাত্রিকালে ও শয্যার উত্তাপে চুলকানি বৃদ্ধি পায় – চুলকাইলে বেদনা ও রক্তপাত হয় । সর্ব শরীরে চটচটে ঘাম হয় । মুখে প্রচুর লালা জন্মে ।
#(Mezerinum)মেজেরিয়ামঃ মস্তক হইতে শরীরের সকল স্থানেই একজিমা প্রকাশ পাইতে পারে এবং ক্ষতের উপর শুষ্ক চামড়ার ন্যায় স্থুল মামড়ী পড়ে ও তাহার নীচে পুঁজ জন্মে, মস্তকে হইলে চুল জুড়িয়া যায়, ভয়ানক চুলকায়, চুলকাইলে তাহা আরও বৃদ্ধি পায় । শিশু মস্তক, মুখমণ্ডল, প্রভৃতি ভীষণভাবে চুলকাইয়া মামড়ী টানিয়া তুলিয়া ফেলে, মস্তক, মুখমণ্ডল প্রভৃতি রক্তাক্ত হয় এবং ক্ষত মধ্যে মেদপূর্ণ ফুস্কুড়ি জন্মে, সমগ্র নিন্ম পদের উপর উচ্চ শ্বেত বর্ণের মামড়ী, উত্তাপে চুলকানি বৃদ্ধি পায় ।
#(Natrum Mur)নেট্রাম মিউরঃ মস্তকের উপর এক কর্ণ হইতে অপর কর্ণ পর্যন্ত বিস্তৃত সাদা মামড়ী ও তাহার নীচ হইতে পুঁজ নিঃসরণ হইয়া চুলকায়, মুখের চতুষ্পার্শ্বে, জানুর খাঁজে, শরীরের সর্বস্থানেই চর্মের ভাঁজে ভাঁজে একজিমার উদ্ভেদ জন্মে ও তন্মধ্য হইতে হ্যাজাকর চটচটে রস ঝরে।
#(Natrum Sulph)নেট্রাম সালফঃএকজিমা হইতে প্রচুর পরিমাণে জলবৎ তরল রস নির্গত হয়, রসপূর্ণ ফুস্কুড়িযুক্ত একজিমা, সমগ্র শরীরে স্থানে স্থানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলপূর্ণ ফুস্কুড়ি জন্মে ।
#(Acid Nit)নাইট্রিক অ্যাসিডঃ মস্তকে, কর্ণকুহরে বা মিয়েটাসের উপর, জননেন্দ্রিয়ে, বাহুতে হস্তে, মলদ্বারের চতুষ্পার্শ্বে একজিমা, একজিমা মধ্যে কণ্টকবিঁধনবৎ বেদনা ও সহজেই রক্তপাত হয় ।
# (Oleander)ওলিয়েণ্ডারঃ শিশুদিগের মস্তকের উপর জলপূর্ণ ফুস্কুড়িযুক্ত একজিমা, মস্তকের ও কর্ণের পশ্চাতে আইসযুক্ত উদ্ভেদ – পিপীলিকাদংশনের ন্যায় কুটকুট করে।
#(Petroleum) পেট্রোলিয়ামঃ মুখমণ্ডলে, গ্রীবায়, মস্তকের পশ্চাতে, অণ্ডকোষে, পেরিনিয়ামে ও উরুতে হলুদাভ সবুজ স্থুল মামড়ী, অত্যধিক চুলকায়, ব্যথা করে ও চর্মে গভীর ফাটল হয় ( গ্র্যাফাই, লাইকো ), হস্ত পৃষ্টে একজিমা, পদাঙ্গুলি মধ্যে একজিমা ও দুর্গন্ধযুক্ত পদ ঘর্ম, শীতকালে একজিমা প্রকাশ পায় গ্রীষ্মকালে অন্তর্হিত হয়।
#(Psorinum)সোরিনামঃ একজিমা গ্রীষ্মকালে অন্তর্হিত হয় ও শীতকালে প্রকাশ পায়, অত্যধিক চুলকায় এবং তাহা রাত্রিকালে শয্যার উত্তাপে বৃদ্ধি পায় ( ক্লিমেটিস, মার্ক, মেজেরি, সালফ ), প্রবলভাবে চুলকাইয়া রক্তাক্ত করিয়া ফেলে, সোরাদুষ্ট, ভগ্নস্বাস্থ্য, দুর্বল, শীতকাতর, চর্মরোগপ্রবণ, গণ্ডমালা ধাতুগ্রস্ত শিশু বা ব্যক্তিগণের, যাহাদের গাত্র হইতে সর্বদাই দুর্গন্ধ বাহির হয়, স্নান করিলেও তাহা দূর হয় না, তাহাদের পক্ষে বিশেষতঃ অন্যান্য সুনির্বাচিত ঔষধ, এমন কি, সালফার বিফল হইলে ইহা উপযোগী।
#(Rhus tox)রাস-টক্সঃমস্তকে একজিমা স্কন্ধ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়, স্থুল মামড়ী পড়ে অত্যধিক চুলকায়, রাত্রিকালে বৃদ্ধি পায়, অণ্ডকোষ ও উরুর ভিতর দিকে একজিমা হইতে প্রচুর রস ক্ষরণ হয়, বর্ষা ও শীতকালে বৃদ্ধি।
#(Sarsaparilla) সার্সাপ্যারিলাঃ কপালে ও মুখমণ্ডলে একজিমা, একজিমার চতুষ্পার্শ্বে প্রদাহাম্বিত হয় এবং মামড়ীগুলি বায়ুস্পর্শে পড়িয়া যায় এবং ক্ষতস্থানে গভীর ফাটল হয় ও জ্বালা করে।
#(Sepia)সিপিয়াঃ অন্তঃসত্ত্বাবস্থায় একজিমা, শরীরে সর্ব স্থানেই হইতে পারে, লাল ফুস্কুড়ি জন্মে, অত্যধিক চুলকায় ও চুলকাইবার পর জ্বালা করে । প্রথমে শুষ্ক থাকে, শীঘ্রই দুর্গন্ধযুক্ত পুঁজের ন্যায় প্রচুর আস্রাব হয় এবং তাহা শুকাইয়া মামড়ী পড়ে ও পরে ফাটিয়া ঝরিয়া যায়।
# (Sillicea) সাইলেসিয়াঃঅধিক পুঁজ-স্রাবী একজিমা, অত্যধিক চুলকায় ও জ্বালা করে, চুলকাইলে বৃদ্ধি, আচ্ছাদিত রাখিলে উপশম।
#(Staphysagria)স্ট্যাফিসেগ্রিয়াঃ শিশুদিগের মস্তকে মুখমণ্ডলে ও কর্ণের নিকটে একজিমা, গণ্ডদেশে, কর্ণের পশ্চাতে ও মস্তকের উপর স্থুল হলুদাভ মামড়ীর নীচে দুর্গন্ধময় পুঁজ জন্মে এবং অত্যধিক চুলকায়, একস্থানে চুলকাইলে তথা হইতে নিবৃত্ত হইয়া অন্যস্থানে চুলকায়, মাথার চুল ঝরিয়া যায়।
#(Sulphur)সালফারঃ যে সকল শিশু অথবা ব্যক্তিগণ নোংরা থাকিতেই ভালবাসে, পরিষ্কার হইবার প্রয়োজন বোধ করে না, স্নান করিতে চায় না, যাহাদের গাত্রচর্ম কর্কশ এবং প্রায়ই নানাপ্রকার উদ্ভেদ জন্মে, গাত্র হইতে দুর্গন্ধ নির্গত হয় তাহাদের সর্বপ্রকার চর্মরোগেই সালফার উপযোগী । ইহাতে চর্মরোগে গাত্র অত্যধিক চুলকায়, চুলকাইলে জ্বালা ও বেদনা হয় এবং রাত্রিকালে ও স্নান করিলে চুলকানি বৃদ্ধি পায়।
#(Thuja)থুজাঃ টীকা দেওয়ার কুফল স্বরূপ একজিমা অথবা টীকা লইবার পর একজিমার বৃদ্ধি, গাত্রচর্মে হস্তস্পর্শ সহ্য হয় না, ভীষণ চুলকায় এবং চুলকাইবার পর দারুণ জ্বালা করে, শরীরের অনাবৃত অংশে ঘর্ম হয় এবং আবৃত অংশে উদ্ভেদাদি জন্মে।
#(Vinca minor) ভিনকা মাইনরঃ মস্তকে, মুখমণ্ডলে ও কর্ণের পশ্চাতে একজিমা, চুলকায়, চুলকাইলে জ্বালা করে, দুর্গন্ধযুক্ত রস ঝরে ও চুল জুড়িয়া যায়।
#(Viola Tricolar)ভায়োলা ট্রাইকলারঃ শিশুদিগের মস্তকে ও মুখমণ্ডলে একজিমা, অতি স্থুল মামড়ী পড়ে ও তাহার তলদেশ হইতে প্রচুর পরিমাণে ঘন হলুদবর্ণের রস নির্গত হইয়া চুল জুড়িয়া ফেলে, অত্যধিক চুলকায় ও জ্বালা করে রাত্রিকালে বৃদ্ধি হয়, একজিমা সহ গ্রীবাগ্রন্থির স্ফীতি, মুত্রে দুর্গন্ধ।

ভুল ত্রুটি মার্জনীয়।

রোজ হোমিও এন্ড ফিজিওথেরাপি
ডাঃ রাজিয়া সুলতানা
শীতলাখোলা কালীবাড়ি রোড
ট্রাফিক পুলিশ অফিসের সামনে

 #  ফ্যাটি লিভার কী? এবং ফ্যাটি লিভার এর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা। ফ্যাটি লিভার একটি সাধারণ রোগ যা লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমা...
25/07/2025

# ফ্যাটি লিভার কী? এবং ফ্যাটি লিভার এর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা।

ফ্যাটি লিভার একটি সাধারণ রোগ যা লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমার কারণে হয়। স্বাস্থ্যকর লিভারে সামান্য চর্বি থাকে, কিন্তু যখন এটি লিভারের ওজনের ৫-১০% হয়ে যায়, তখন সমস্যা শুরু হয়।

# ⚠️ রোগের তিনটি পর্যায়:
১. **প্রদাহ** - লিভার ফুলে যায় ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়
২. **ফাইব্রোসিস** - দাগের টিস্যু তৈরি হয়
৩. **সিরোসিস** - ব্যাপক দাগ টিস্যু সুস্থ টিস্যুকে প্রতিস্থাপন করে

# 🔍 লক্ষণসমূহ:
• পেটের উপরের ডানদিকে ব্যথা বা ভারী লাগা
• বমি বমি ভাব, ক্ষুধামন্দা, ওজন কমা
• জন্ডিস - চোখ ও চামড়া হলুদ হওয়া
• পেট ও পা ফুলে যাওয়া
• অতিরিক্ত ক্লান্তি ও মানসিক বিভ্রান্তি
• দুর্বলতা

# কার্যকর হোমিওপ্যাথিক ঔষধ:
#**সিয়ানোথাস (Ceanothus Q)**
- প্লীহা এবং লিভারের ব্যাধি: এটি প্রায়শই হোমিওপ্যাথিতে প্লীহা এবং লিভারকে প্রভাবিত করে এমন অবস্থার জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমন স্প্লেনোমেগালি (বর্ধিত প্লীহা) এবং লিভারের জমাট বাঁধা।
- ম্যালেরিয়া এবং জ্বর: এটি মাঝে মাঝে জ্বর পরিচালনায় কার্যকর বলে মনে করা হয়, বিশেষ করে ম্যালেরিয়ার অবস্থার সাথে সম্পর্কিত।
- পেটের স্ফীতি এবং ব্যথা: এটি পেটের ফোলাভাব এবং ব্যথা উপশমের জন্য ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে যখন প্লীহা জড়িত থাকে।
- হেপাটাইটিস এবং জন্ডিস: এটি হেপাটাইটিস এবং জন্ডিসের কিছু ক্ষেত্রে সুপারিশ করা যেতে পারে।
- রক্তাল্পতা: কিছু ক্ষেত্রে, এটি রক্তাল্পতার অবস্থার জন্য সহায়ক প্রতিকার হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
- হজমের ব্যাধি: এটি বদহজম এবং ডিসপেপসিয়া সহ হজমের অভিযোগের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়।
- বাম কাঁধ এবং বাহুতে ব্যথা: এটি প্লীহা থেকে বাম কাঁধ এবং বাহুতে ছড়িয়ে পড়া ব্যথার জন্য বিবেচনা করা যেতে পারে।

#**ব্রায়োনিয়া অ্যালবাম (Bryonia Album)**
- লিভার ভারী, ব্যথাযুক্ত, ফোলা
- লিভার অঞ্চলে সূঁচফোটানো ব্যথা
- চাপ দিলে ও শুয়ে থাকলে আরাম
- মুখে তিক্ত স্বাদ, কোষ্ঠকাঠিন্য

#**চেলিডোনিয়াম মেজাস (Chelidonium Majus)**
- ফ্যাটি লিভারের শীর্ষ ঔষধ
- লিভার বড় ও স্পর্শকাতর
- ডান কাঁধের ব্লেডে নির্দিষ্ট ব্যথা
- অতি গরম পানীয় ও খাবার পছন্দ
- ভেড়ার গোবরের মত মল

#**কার্ডুয়াস মেরিয়ানাস (Cardus Marianus)**
- লিভারের বাম অংশ অতি সংবেদনশীল
- পূর্ণতা ও ব্যথা অনুভব
- সোনালি রঙের প্রস্রাব (মূল লক্ষণ)
- সবুজ অ্যাসিড তরল বমি

#**ক্যালকেরিয়া কার্ব (Calcarea Carbonica)**
- মোটা ও স্থূল ব্যক্তিদের জন্য
- নিচু হলে লিভার অঞ্চলে ব্যথা
- দুধ সহ্য হয় না
- সিদ্ধ ডিম ও অখাদ্য বস্তুর প্রতি আকাঙ্ক্ষা
- মাথায় অতিরিক্ত ঘাম

#**লাইকোপোডিয়াম (Lycopodium Clavatum)**
- দুর্বল লিভার ও হজম ক্ষমতা
- অল্প খেলেই পেট ভর্তি লাগা
- পেট ফাঁপা ও অম্লতা
- সন্ধ্যা ৪-৮টায় সমস্যা বৃদ্ধি
- গরম খাবার ও মিষ্টির প্রতি আকাঙ্ক্ষা

#**ফসফরাস (Phosphorus)**
- লিভারে ব্যথা ও চর্বি জমা
- জন্ডিস, চোখ হলুদ
- কুকুরের মলের মত মল
- ঠান্ডা জিনিস পছন্দ (আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয়)

# **নাক্স ভমিকা (Nux Vomica)**
- অ্যালকোহলজনিত ফ্যাটি লিভারের প্রধান ঔষধ
- লিভার বড়, ব্যথাযুক্ত
- খারাপ খাদ্যাভ্যাস ও অ্যালকোহলের কারণে
- কোষ্ঠকাঠিন্য - মল অসম্পূর্ণ ও অসন্তোষজনক

# **মার্কুরিয়াস (Mercurius)**
- লিভার বড়, ডানপাশে শুতে পারে না
- চামড়া ও চোখ হলুদ
- মাটির রঙের মল, প্রচুর লালা
- ধাতব স্বাদ মুখে

# # 🎯 **বিশেষ লক্ষণীয়:**
✅ হোমিওপ্যাথি একটি সামগ্রিক চিকিৎসা পদ্ধতি
✅ রোগীর মানসিক ও শারীরিক লক্ষণ অনুযায়ী ঔষধ নির্বাচন
✅ কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই
✅ মূল কারণ দূর করে স্থায়ী সমাধান

# # ⚡ **গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:**
🔸 কোনো ঔষধ নিজে নিজে সেবন করবেন না
🔸 অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
🔸 নিয়মিত ফলোআপ করুন
🌿 রোজ হোমিও এন্ড ফিজিওথেরাপি
🧪 হোমিওপ্যাথিতে স্বস্তি ও নিরাপদ চিকিৎসার নিশ্চয়তা
📍 বরিশাল, শীতলাখোলা। কালীবাড়ি রোড।
📞 যোগাযোগ: 01728338344
❤️ আমাদের এই পথচলার সাথি হোন, পেজটি ফলো করুন!

#হোমিওপ্যাথি #ফ্যাটিলিভার #প্রাকৃতিকচিকিৎসা #লিভারের_সমস্যা #স্বাস্থ্যকর_জীবন

19/07/2025

**হোমিও কবিতা**
পাতে লবন হলে শিওর
দেখে নাও নেট্রাম মিওর।

সদা ভয় সদা লাজ
সাইলেসিয়া,ককুলাজ।

কৃপন স্বভাব যাহার হয়
লাইকোপডিয়াম নিশ্চয়।

মনে হিংসা দেহে বিষ
প্রথম আসে ল্যাকেসিস।

শিশু করে ঘ্যান ঘ্যান
ক্যামোমিলা আর সিনা নেন।

অলসতায় ভরা মন
সালফার চিনতে কতক্ষণ।

ক্ষোভে রাগে মন যার
নাক্স,হিপার বার বার।

ঘরের লক্ষী বউ হলে
পালসেটিলায় ডেকে বলে।

শ্বাস প্রশ্বাস যতক্ষণ
ক্যাম্ফর থাকে ততক্ষণ।

সোলিয়াস পেশি বা দ্বিতীয় হৃদপিণ্ড:আমাদের দেহের রক্ত সঞ্চালনের মূল চালিকাশক্তি হলো হৃদপিণ্ড, কিন্তু আমরা জানিনা আমাদের পায়...
16/07/2025

সোলিয়াস পেশি বা দ্বিতীয় হৃদপিণ্ড:

আমাদের দেহের রক্ত সঞ্চালনের মূল চালিকাশক্তি হলো হৃদপিণ্ড, কিন্তু আমরা জানিনা আমাদের পায়ের গভীরে একটি বিশেষ পেশি রয়েছে যা অগোচরেই একইরকম গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে চলেছে।

এটি হলো সোলিয়াস পেশি, যাকে প্রায়শই “দ্বিতীয় হৃদপিণ্ড” নামে অভিহিত করা হয়। বৈদ্যুতিক স্পন্দনের মাধ্যমে নয়, বরং গতির মাধ্যমেই এই গভীর ও নীরব পেশি রক্ত সঞ্চালনে অবদান রাখে।

প্রতিবার হাঁটার সময়, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার সময় অথবা পায়ের আঙুলের ওপর ভর করে দাঁড়ানোর সময় সোলিয়াস পেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। সক্রিয় হওয়ার সাথে সাথেই এটি অসাধারণ ভাবে কাজ সম্পূর্ণ করে – অভিকর্ষের বিরুদ্ধে পায়ের শিরা থেকে রক্তকে পুনরায় হৃদপিণ্ডে পাঠায়।

এই অসাধারণ পেশির অবস্থান পায়ের পিছনের অংশে, গ্যাস্ট্রোকনেমিয়াস (পেণ্ডুলাম বা কাফ মাসল) পেশির গভীরে। এই মাসল বিস্ফোরক বা দ্রুতগতির না হলেও, অত্যন্ত দৃঢ় এবং সহনশীল। দেহের ভারসাম্য ও স্থায়িত্ব রক্ষায় এর ভূমিকা অপরিসীম।

কেন সোলিয়াস এত গুরুত্বপূর্ণ?
১. দেহের নিম্নভাগে রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে এবং সুষ্ঠু রক্ত প্রবাহ নিশ্চিত করে।
২. রক্ত জমাট বাঁধা ও শিরায় রক্ত জমাটবদ্ধতা প্রতিরোধ করে।
৩. পায়ের অপ্রয়োজনীয় পানি জমা (এডেমা) প্রতিরোধ করে ফোলাভাব কমায়।
৪. হৃদপিণ্ডের ওপর চাপ কমিয়ে সামগ্রিক কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে।
সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, এই পেশি স্থির অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকলেও কাজ করে।
দীর্ঘক্ষণ বসে বা দাঁড়িয়ে কাজ করার অভ্যাস থাকলে সোলিয়াস পেশিকে সক্রিয় রাখা অত্যন্ত জরুরি। এর জন্য কয়েকটি সহজ উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে:
❥ কয়েক মিনিট হাঁটা।
❥ পায়ের গোড়ালি বারবার ওঠানো-নামানো
(হিল রেইজ)।
❥ গোড়ালি বা অ্যাঙ্কেল ফ্লেক্স করা।
❥ পায়ের পাতা দিয়ে বৃত্তাকার নড়াচড়া করা।

এগুলো ছোট ছোট দৈনন্দিন অঙ্গভঙ্গি মনে হলেও, সোলিয়াস পেশির কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে এবং সামগ্রিক সুস্থতায় এর ফলাফল সুদূরপ্রসারী।

তথ্যসূত্র:
1. Aster Hospitals: The Second Heart – Your Soleus Muscle.
2. ResearchGate: Role of Soleus Muscle in Venous Return.
3. Corporate Wellness Magazine: How the
Soleus Muscle is Your Second Heart.
4. PubMed/NCBI: The muscle pump of the lower leg.
5. Journal of Applied Physiology: The soleus muscle: a key player in human metabolism and blood pressure regulation.

রিংওয়ার্ম (Ringworm) দাদ: একটি পরিচিত চর্মরোগ,এক প্রকার ছত্রাক সংক্রমণ।দাদ মূলত ডার্মাটোফাইট (Dermatophyte) নামক ছত্রাক...
07/07/2025

রিংওয়ার্ম (Ringworm) দাদ: একটি পরিচিত চর্মরোগ,এক প্রকার ছত্রাক সংক্রমণ।
দাদ মূলত ডার্মাটোফাইট (Dermatophyte) নামক ছত্রাকের কারণে হয়। এই ছত্রাকগুলো মাটি, প্রাণী এবং মানুষের ত্বকে বাস করে।
এটি শরীরের যেকোনো স্থানে হতে পারে, যেমন - ত্বক, নখ ও চুল।
এই ছত্রাকগুলো উষ্ণ ও আর্দ্র পরিবেশে দ্রুত বৃদ্ধি পায়, তাই শরীরের ভাঁজযুক্ত স্থান, যেমন - কুঁচকি, বগল এবং পায়ের আঙুলের ফাঁকে এর সংক্রমণ বেশি দেখা যায়।

দাদের প্রধান লক্ষণগুলো হলো:
গোলাকার লালচে ফুসকুড়ি: এটি দেখতে অনেকটা আংটির মতো, যার কিনারা উঁচু ও লালচে হয় এবং মাঝখানটা পরিষ্কার বা হালকা রঙের থাকে।
তীব্র চুলকানি: আক্রান্ত স্থানে প্রচণ্ড চুলকানি হয়, বিশেষ করে রাতে বা উষ্ণ পরিবেশে।
ত্বকের শুষ্কতা ও আঁশ: আক্রান্ত স্থানের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং আঁশের মতো উঠতে পারে।
জ্বালা পোড়া: অনেক সময় আক্রান্ত স্থানে জ্বালাপোড়ার অনুভূতি হয়।
নখে দাদ: নখ মোটা ও বিবর্ণ হয়ে যেতে পারে।
মাথার ত্বকে দাদ: মাথার ত্বকে হলে চুল পড়তে পারে এবং টাক পড়ে যেতে পারে।

দাদ সংক্রমণের কিছু সাধারণ কারণ:
সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শ: দাদ আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শে এলে।
সংক্রমিত পোষা প্রাণী: দাদ আক্রান্ত পোষা প্রাণী (যেমন - কুকুর, বিড়াল) থেকে সংক্রমণ হতে পারে।
নোংরা পরিবেশ: অপরিষ্কার বা স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে বসবাস করলে।
ভেজা পোশাক: দীর্ঘক্ষণ ভেজা বা স্যাঁতসেঁতে পোশাক পরলে।
দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তাদের দাদ হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে।
আর্দ্রতা ও উষ্ণতা: উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায় ছত্রাকের বৃদ্ধি সহজ হয়।

দাদ রোগের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথিক ঔষধ
হোমিওপ্যাথি দাদ রোগের চিকিৎসায় একটি সুপরিচিত পদ্ধতি। এটি রোগের মূল কারণকে লক্ষ্য করে কাজ করে এবং শরীরের নিজস্ব নিরাময় ক্ষমতাকে উদ্দীপিত করে। দাদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত কিছু গুরুত্বপূর্ণ হোমিওপ্যাথিক ঔষধ নিচে উল্লেখ করা হলো:
১. আর্সেনিকাম অ্যালবাম (Arsenicum Album)
যদি দাদ শুষ্ক, আঁশযুক্ত হয় এবং চুলকানি, জ্বালাপোড়া থাকে যা রাতে বা ঠান্ডা আবহাওয়ায় বাড়ে। রোগী অস্থির এবং দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকে।
বৈশিষ্ট্য: চুলকানি এবং জ্বালাপোড়ার পর জ্বালা অনুভূত হয়। উষ্ণ প্রয়োগে উপশম হয়।
২. টেলুরিয়াম (Tellurium)
দাদ যদি গোলাকার হয়, বিশেষত কানের পিছনে বা মাথার ত্বকে দেখা যায়। এতে তীব্র চুলকানি থাকে এবং আক্রান্ত স্থান থেকে দুর্গন্ধযুক্ত রস নিঃসৃত হতে পারে।
বৈশিষ্ট্য: চুলকানি সন্ধ্যায় এবং রাতে বৃদ্ধি পায়। আক্রান্ত স্থানে ফোলা ও লালচে ভাব দেখা যায়।
৩. গ্রাফাইটিস (Graphites)
দাদ যদি ত্বকের ভাঁজে, যেমন - কুঁচকি বা আঙুলের ফাঁকে হয়। আক্রান্ত স্থান থেকে আঠালো, মধু রঙের রস নিঃসৃত হয় এবং শুকালে শক্ত আঁশ তৈরি হয়। ত্বক শুষ্ক ও ফন্ডলযুক্ত হয়।
বৈশিষ্ট্য: শীতকাতর রোগীদের জন্য বেশি কার্যকর। চুলকানি রাতে বাড়ে।
৪. সেপিয়া (Sepia)
বাদামী বা কালো রঙের দাদ, যা ঋতুস্রাবের সময় বাড়ে। এটি শরীর ও হাত-পায়ে বেশি দেখা যায়।
বৈশিষ্ট্য: রোগীর মধ্যে বিরক্তি ও উদাসীনতা দেখা যায়। ঠান্ডা আবহাওয়ায় বাড়ে এবং উষ্ণ প্রয়োগে উপশম হয়।
৫. থুজা অক্সিডেন্টালিস (Thuja Occidentalis)
দাদ যদি আর্দ্র এবং ওয়ার্টস বা আঁচিলের মতো হয়। এটি বিশেষত যৌনাঙ্গের আশেপাশে বা শরীরের অন্যান্য গোপন অংশে হতে পারে।
বৈশিষ্ট্য: ত্বক তৈলাক্ত এবং সংবেদনশীল হয়। টিকা বা ভ্যাকসিনেশনের পরে সমস্যা দেখা দিলে এটি কার্যকর।
৬. রাস টক্স (Rhus Tox)
দাদ যদি ভেজা বা আর্দ্র হয় এবং ছোট ছোট জলযুক্ত ফুসকুড়ি থাকে। চুলকানি, জ্বালাপোড়া এবং অস্থিরতা থাকে।
বৈশিষ্ট্য: ঠান্ডায় বাড়ে এবং উষ্ণতায় আরাম লাগে। নড়াচড়ায় উপশম হয়।
৭. নেট্রাম মিউর (Natrum Mur)
দাদ যদি চুলকানিযুক্ত হয়, বিশেষত চুলের গোড়ায় বা শরীরের অন্যান্য স্থানে। আক্রান্ত স্থানে শুকনো আঁশ থাকে।
বৈশিষ্ট্য: মানসিক চাপ বা দুঃখের কারণে দাদ বৃদ্ধি পেতে পারে। লবণাক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।
৮. সালফার (Sulphur)
যেকোনো ধরনের দীর্ঘস্থায়ী দাদ, যেখানে তীব্র চুলকানি থাকে এবং চুলকানোর পর জ্বালা হয়। ত্বক শুষ্ক, রুক্ষ এবং নোংরা দেখায়।
বৈশিষ্ট্য: রাতে বা গরমে চুলকানি বাড়ে। স্নানের পর চুলকানি বাড়ে।

গুরুত্বপূর্ণ দ্রষ্টব্য: হোমিওপ্যাথিক ঔষধ নির্বাচনের জন্য রোগীর শারীরিক ও মানসিক লক্ষণ, জীবনযাপন পদ্ধতি এবং রোগের বিস্তারিত ইতিহাস বিবেচনা করা অত্যন্ত জরুরি। তাই নিজে নিজে ঔষধ সেবন না করে একজন অভিজ্ঞ রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক। সঠিক ঔষধ নির্বাচনের মাধ্যমে দাদ রোগের কার্যকর ও স্থায়ী নিরাময় সম্ভব।

ডাঃ রাজিয়া সুলতানা।

19/06/2025

ঔষধ মাত্রই বিষ। ঔষধ এবং বিষের মধ্যে পার্থক্য হলো মাত্রা। মাত্রার মধ্যে থাকলেই ঔষধ আর মাত্রার চাইতে বেশী হলেই সেটি হয়ে যায় বিষ। আবার মাত্রা নিয়েও আছে মানুষ ভেদে পার্থক্য। একই মাত্রার ঔষধে একজন মানুষের রোগ সারাতে পারে আরেকজনের উল্টো ক্ষতি করতে পারে। এটা হয়ে থাকে ঔষধের প্রতি মানুষের সেনসিটিভিটির তারতম্য অনুযায়ী। একটি ঔষধের প্রতি কোন একজন মানুষ কম সেনসেটিভ হতে পারে আবার অন্য একজন বেশী সেনসিটিভ হতে পারে। এক্ষেত্রে যে ঔষধের প্রতি একজন মানুষ বেশী সেনসেটিভ, সেই ঔষধ সঠিক মাত্রায় খেলেও সেই ব্যক্তির বড় ধরণের সর্বনাশ হতে পারে ; এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। অধিকাংশ মানুষের ঔষধ খাওয়ার বদভ্যাস দেখলে মনে হয়, এ যেন ঔষধ নয় বরং পহেলা বৈশাখের পান্তা ভাত। এমনভাবে তারা ঔষধ খায় যেন, মনে হয় ঔষধ কেবল উপকারই করে ; কস্মিনকালেও ক্ষতি করে না। ঔষধ যে ক্ষতি করতে পারে, এ যেন তাদের কল্পনার বাইরে। আর বিশেষ করে মাগনা পেলে তো কথাই নাই।
এলোপ্যাথিক কৃমির ঔষধগুলি কিভাবে কৃমি হত্যা করে ? এসব ঔষধকে বলা হয় বলা হয় স্পিন্ডল বিষ (spindle poison) । এগুলো কৃমির শরীরকে অবশ বা প্যারালাইজড করে দেয়। ফলে কৃমিরা নড়াচড়া করতে পারে না। এমনকি তারা কিছু খেতে পারে না এবং যা খেয়েছে তাও হজম করতে পারে না। ফলে কৃমিগুলো মরে পায়খানার সাথে বেরিয়ে যায়। একইভাবে এই ঔষধগুলো শিশুদের হৃৎপিন্ড এবং মস্তিষ্ককে প্যারালাইজড করে হত্যা করতে পারে। এজন্য ডাক্তাররা গর্ভবতী মহিলাদেরকে কৃমির ঔষধ খেতে নিষেধ করেন। কেননা এগুলো গর্ভস্থ শিশুকে হত্যা করতে পারে।
বর্তমান সময়ে এলোপ্যাথিক কৃমির ঔষধ খেয়ে আমাদের দেশের অনেকগুলি নিষপাপ শিশুর করুণ মৃত্যু হয়েছে। এলোপ্যাথিক কৃমির ঔষধ খেলে কেনো প্রায়ই শিশুদের মৃত্যু ঘটতে দেখা যায়, তার কারণ আমাদের অনেকেই জানি না। প্রথম কথা হলো কৃমিও একটি প্রাণী, আবার শিশুরাও প্রাণী। কাজেই যে ঔষধের কৃমি হত্যা করার ক্ষমতা আছে, সে ঔষধ শিশুদেরকেও হত্যা করার ক্ষমতা রাখে। সুস্থ-সবল শিশুকে না পারলেও অসুস্থ-দুর্বল শিশুকে খুন করার ক্ষমতা তার আছে। এই সহজ সত্যটি আমাদের বুঝতে হবে।
Worm earthworm, flatworm, roundworm, invertebrate, creepy-crawly (informal), glow-worm, glowworm, grub , larva.(কৃমি, চিড়) : সুস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ক্রিমি একটি বড় বাধা। ক্রিমির কারণে এলার্জি বা চুলকানি, রক্তশূণ্যতা, কোষ্টকাঠিন্য বা শক্ত পায়খানা, পেট ব্যথা, দুর্বলতা, পেট ফাঁপা, বদমেজাজ প্রভৃতি রোগ হয়ে থাকে। শিশুরা যখন পায়খানার রাস্তায় আঙুল দিয়ে খোচাতে থাকে, তখন তাকে ক্রিমির ঔষধ খাওয়ানো উচিত। ক্রিমি থাক বা না থাক, শিশুদের প্রতি ছয়মাস পরপর অবশ্যই ক্রিমির ঔষধ খাওয়ানো উচিত। ক্রিমির ঔষধ এক বা দুই মাত্রা খাওয়ানোই যথেষ্ট, তবে প্রয়োজনে আরো কয়েক মাত্রা খাওয়ানো যেতে পারে।
পরিশেষে সকলের প্রতি আমার পরামর্শ থাকবে, কৃমির হাত থেকে নিজেকে এবং আপনার সন্তানকে বাঁচানোর জন্য হোমিও ঔষধ খান।

টিউক্রিয়াম (teucrium), স্যাবাডিলা (Sabadilla), নেট্রাম ফস (Natrum phos) প্রভৃতি হোমিও ঔষধগুলো কৃমি দূর করতে খুবই কার্যকরী এবং নিরাপদ ঔষধ। এমনকি এগুলো গর্ভবতীদেরকেও খাওয়ানো যায় ; কোনো বিপদের সম্ভাবনা নাই। হোমিও ঔষধগুলো কৃমিকে প্যারালাইজড করে না, তাই আপনার শিশুকেও প্যারালাইজড করে মেরে ফেলার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা নাই। হোমিও ঔষধে সম্ভবত কৃমিদের শরীরে জ্বালা-পোড়ার সৃষ্টি হয়ে থাকে ; ফলে কৃমিরা মারা পড়ে না বরং জীবিতই পায়খানার সাথে বেরিয়ে যায়। এই ঔষধগুলোর যে-কোন একটিকে ৩০ (ত্রিশ) শক্তিতে খেতে পারেন এবং প্রতিবার এক ফোটা করে অথবা বড়িতে খেলে ১০ (দশ) টি বড়ি করে খাওয়া উচিত। প্রয়োজনে রোজ দুইবেলা করে দুই-তিন দিন খেতে পারেন। সাধারণত একমাত্রাই যথেষ্ট। হ্যাঁ, এই হোমিও ঔষধগুলোর তেমন কোন ক্ষতিকর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নাই ; কারণ এগুলোতে ঔষধের পরিমাণ থাকে খুবই কম। এমনটি ভুলবশত যদি নির্দিষ্ট মাত্রার চাইতে দশ গুণ বেশীও কেউ খেয়ে ফেলেন, তাতেও কোন ক্ষতির আশঙ্কা নাই।
আবার অনেকে এমন আছেন যে, তাদের সারাজীবনই কৃমির সমস্যা লেগে থাকে এবং কিছুদিন পরপরই তাদের কৃমির ঔষধ খেতে হয়। এসব ক্ষেত্রে একজন হোমিও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কেননা কিছু হোমিও ঔষধ আছে, যেগুলো রোগীর শারীরিক-মানসিক গঠন বুঝে প্রয়োগ করলে বেশী বেশী কৃমি হওয়ার টেনডেন্সী সারাজীবনের জন্য চলে যায়।

Teucrium Marum verum : গুড়া ক্রিমি বা সুতা ক্রিমির সবচেয়ে ভালো এবং নিরাপদ ঔষধ হলো টিউক্রিয়াম। পায়খানার রাস্তায় ভীষণ চুলকানি থাকে।

Spigelia anthelmia : এটি সব ধরনের কৃমি, এমনকি ফিতাকৃমি পযর্ন্ত নিমূর্ল করতে পারে। অবশ্য কৃমির সমস্যা ছাড়াও হোমিওপ্যাথিতে এটি আরও অনেক রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। তার মধ্যে একটি বড় রোগ হলো মাইগ্রেন বা অর্ধেক মাথা ব্যথা।

Sabadilla officinarum : স্যাবাডিলাকে বলা যায় ক্রিমির সবচেয়ে উৎকৃষ্ট একটি ঔষধ। স্যাবাডিলা ঔষধটি ছোট মেয়ে শিশুদের খাওয়ানো উচিত নয়; কেননা সেবাডিলা ঔষধটি খাওয়ার পরে কৃমিরা পাগলের মতো দৌঁড়াতে শুরু করে এবং এসময় তারা মেয়েদের যোনী এবং জরায়ুতে ঢুকে পড়ে মারাত্মক বিপদের সৃষ্টি করতে পারে।

Natrum Phosphoricum : নেট্রাম ফস শিশুদের কৃমির জন্য সেরা ঔষধগুলোর অন্যতম। পাশাপাশি এটি শিশুদের অজীর্ণ, বদহজম, এলার্জি, চুলকানি, পেটে ব্যথা, সর্দি, চোখ ওঠা ইত্যাদি সমস্যার জন্যও একটি সেরা ঔষধ। এটি শিশুদের জন্য একটি ভিটামিন হিসেবেও কাজ করে থাকে। (এই ঔষধটিও ছোট মেয়ে শিশুদের খাওয়ানো উচিত নয়।)

Cina : বদমেজাজী শিশুদের ক্রিমির সমস্যায় সিনা একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। শিশুরা আঙুল দিয়ে নাক খোচাতে থাকে এবং ঘুমের মধ্যে দাঁত কটমট করে।

Santoninum : সেন্টোনিনাম গুড়া ক্রিমি এবং সুতা ক্রিমির সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত ঔষধ।

Caladium seguinum : গুড়া ক্রিমি ছোট মেয়েদের যৌনাঙ্গে ঢুকে উৎপাত সৃষ্টি করলে ক্যালাডিয়াম খাওয়াতে ভুলবেন না।

Indigo : ইন্ডিগো কৃমির উৎপাতের ক্ষেত্রে একটি ভালো ঔষধ। কৃমির কারণে মৃগীর আক্রমণ, খিচুঁনি অথবা জ্বর হলে ইন্ডিগো ব্যবহার করতে পারেন।

Carcinosinum : যাদের ঘনঘন কৃমি হয় অর্থাৎ যাদের কৃমির সমস্যা খুব বেশী, তাদের কৃমি প্রবনতা দূর করার জন্য কার্সিনোসিন (শক্তি ২০০) পনের দিনে একমাত্রা করে চার বার খান। ক্যান্সারের ঔষধ কার্সিনোসিনে যেহেতু কৃমি নিরাময় হয়, সেহেতু বলা যায় মাত্রাতিরিক্ত কৃমির উৎপাত ক্যান্সারের একটি পূর্ব লক্ষণ।

Calcarea Carbonica : মোটা থলথলে শারীরিক গঠন, পা সব সময় ঠান্ডা থাকে, শিশুকালে দাঁত উঠতে বা হাঁটা শিখতে দেরী হয় থাকে, শরীরের চাইতে পেট বেশী মোটা, খুব সহজে মোটা হয়ে যায়, প্রস্রাব-পায়খানা-ঘাম সব কিছু থেকে টক গন্ধ আসে, হাতের তালু মেয়েদের হাতের মতো নরম (মনে হবে হাতে কোন হাড়ই নেই), মাথার ঘামে বালিশ ভিজে যায়, মুখমন্ডল ফোলাফোলা, ডিম খেতে খুব পছন্দ করে ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে ক্যালকেরিয়া কাব হবে তার সবচেয়ে উত্তম ক্রিমির ঔষধ।

Sulphur : সালফার একটি বহুমুখী ক্ষমতা সম্পন্ন ঔষধ। গোসল করা অপছন্দ করে, গরম লাগে বেশী, শরীরে চুলকানী বেশী, সকাল ১১টার দিকে ভীষণ খিদে পাওয়া, পায়ের তালু-মাথার তালুতে জ্বালাপোড়া, মাথা গরম কিন্তু পা ঠান্ডা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে কোন খেয়াল নাই ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে রোগীকে সালফার খাওয়াতে পারেন।

Terebinthina : টেরিবিনথিনা ক্রিমির একটি সেরা ঔষধ। পাশাপাশি এটি সর্দি, গ্যাসট্রিক আলসার এবং লো প্রেসারেরও চিকিৎসায় সফলতার সাথে ব্যবহৃত হয়।
সু চিকিৎসা নিন , সুস্থ থাকুন। শুভকামনা।
ডাঃ রাজিয়া সুলতানা
01728338344

Address

Kawnia Branch Road, Section Road
Dhaka
8200

Opening Hours

Monday 17:00 - 21:00
Tuesday 17:00 - 21:00
Wednesday 17:00 - 21:00
Thursday 17:00 - 21:00
Friday 17:00 - 19:00
Saturday 17:00 - 21:00
Sunday 17:00 - 21:00

Telephone

01977024868

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Rose Homeo & Physiotherapy posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Rose Homeo & Physiotherapy:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram