
18/08/2025
📌 হিজামার সংজ্ঞা: হিজামা (حجامة) বা কাপিং থেরাপি হলো নবীজি ﷺ নির্দেশিত একটি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি, যেখানে শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় বা ক্ষতিকর রক্ত, টক্সিন ও জমে থাকা দূষিত পদার্থ বের করে দেয়া হয়। এটি সুন্নাহভিত্তিক চিকিৎসা এবং আজকাল আধুনিক গবেষণাতেও এর অনেক উপকারিতা প্রমাণিত হয়েছে।
📌 কিভাবে হিজামা করা হয়: হিজামা হলো শরীরের নির্দিষ্ট স্থানে কাপ (Cup) বসিয়ে ভ্যাকুয়াম তৈরি করে ত্বকের উপরের স্তর ও রক্তনালীর জমাট রক্ত, টক্সিন ও ক্ষতিকর পদার্থ বের করে আনা হয় । এটি একধরনের ডিটক্স থেরাপি যা রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখে।
📖 হিজামার ইসলামী গুরুত্ব:
✓রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: “তোমাদের চিকিৎসার সর্বোত্তম পদ্ধতি হলো হিজামা।” (সহিহ বুখারি, ৫৬৯৬).
✓তিনি আরও বলেছেন: “যে রাতে আমি মি’রাজে উঠেছিলাম, আমি প্রতিটি ফেরেশতার কাছ থেকে হিজামার উপকারিতা সম্পর্কে নির্দেশ পেয়েছি।” (সহিহ ইবনে মাজাহ, ৩৪৭৭)
🩺 হিজামার শারীরিক উপকারিতা:
🔹 ১. রক্ত পরিশোধন ও টক্সিন বের করা: শরীরে জমে থাকা দূষিত রক্ত ও টক্সিন বের করে দেয়।
রক্ত সঞ্চালন পরিষ্কার হয় → শরীর সতেজ ও শক্তিশালী হয়।
🔹 ২. ব্যথা উপশম: মাথাব্যথা, মাইগ্রেন, কোমর ব্যথা, ঘাড় ব্যথা, বাত ও জয়েন্ট ব্যথা কমায়। শরীরে জমে থাকা ব্যথার রাসায়নিক (Prostaglandins) কমাতে সাহায্য করে।
🔹 ৩. প্রদাহ (Inflammation) কমায়: শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফোলা, গেঁটে বাত, আর্থ্রাইটিসে উপকারী। ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু দ্রুত আরোগ্য লাভ করে।
🔹 ৪. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত রক্তচাপ কমায় এবং রক্তের ঘনত্ব নিয়ন্ত্রণ করে। নিয়মিত হিজামা করলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
🔹 ৫. হজমশক্তি উন্নত করে: লিভার ও পাকস্থলীর কার্যক্ষমতা বাড়ায়। গ্যাস্ট্রিক, অম্লতা, কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে।
🔹 ৬. হরমোনাল ব্যালান্স: পুরুষ ও নারীর হরমোনজনিত সমস্যা সমাধানে সহায়ক। বন্ধ্যত্ব (Infertility) চিকিৎসায় অনেক ক্ষেত্রে কার্যকর।
🔹 ৭. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity) বৃদ্ধি: শরীরে নতুন রক্ত তৈরি উদ্দীপিত করে। রোগ প্রতিরোধক কোষ (WBC) সক্রিয় হয়।
🔹 ৮. ত্বকের সমস্যা দূরীকরণ: ব্রণ, একজিমা, সোরিয়াসিস, অ্যালার্জি কমাতে সাহায্য করে। ত্বক উজ্জ্বল ও সুস্থ রাখে।
🔹 ৯. ডিটক্সিফিকেশন: কিডনি ও লিভারের ওপর চাপ কমায়। শরীর থেকে ইউরিক এসিড, কোলেস্টেরল ইত্যাদি ক্ষতিকর উপাদান বের করে।
🔹 ১০. রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি: মাংসপেশী ও স্নায়ুতে বেশি অক্সিজেন ও পুষ্টি পৌঁছায়। পেশীর টান (Muscle stiffness) দূর হয়।
🧠 হিজামার মানসিক উপকারিতা:
🔹 ১. মানসিক চাপ (Stress) কমানো হিজামার সময় রক্ত থেকে টক্সিন ও অশুদ্ধ রক্ত বের হয় → এতে স্নায়ু শিথিল হয়। শরীরে এন্ডোরফিন (প্রাকৃতিক খুশির হরমোন) নিঃসৃত হয় → ফলে টেনশন ও মানসিক অস্থিরতা কমে।
🔹 ২. অবসাদ (Depression) ও উৎকণ্ঠা (Anxiety) হ্রাস: রক্তসঞ্চালন উন্নত হওয়ায় মস্তিষ্কে বেশি অক্সিজেন পৌঁছে → মন সতেজ হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, হিজামা সেরোটোনিন ও ডোপামিন হরমোনের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে, যা অবসাদ দূর করে।
🔹 ৩. ভালো ঘুম (Insomnia দূরীকরণ): হিজামা করার পর শরীর হালকা লাগে, মাথা ঝিম ধরে না → স্বাভাবিক ঘুম আসে।
যারা দীর্ঘদিন ঘুমের সমস্যা বা দুঃস্বপ্নে ভোগেন, তারা উপকৃত হন।
🔹 ৪. মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি: মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চালন বাড়ে, ব্রেন সেল বেশি সক্রিয় হয়। ফলে পড়াশোনা, নামাজে খুশু, কাজের প্রতি মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি উন্নত হয়।
🔹 ৫. মাথা হালকা ও সতেজ অনুভূতি: অনেকেই হিজামার পর বলেন মাথার ভেতরে চাপ কমে গেছে, চোখের দৃষ্টি পরিষ্কার, মন ফুরফুরে লাগছে।
🔹 ৬. রাগ ও অতিরিক্ত টেনশন নিয়ন্ত্রণ: হিজামা করার পর স্নায়ুর টান কমে যায় → রাগ কমে, ধৈর্য বাড়ে।
📌 হিজামার উপকারিতার সারসংক্ষেপ:
✅ রক্ত পরিশুদ্ধ ও সঞ্চালন বৃদ্ধি।
✅ ব্যথামুক্ত জীবন।
✅ সজীবতা ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি।
✅ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি।
✅ মানসিক প্রশান্তি লাভ।
⚕️ আমাদের সেবা সমূহ:
১. শুকনো হিজামা (Dry Cupping) :শুধু ভ্যাকুয়াম তৈরি করা হয়, রক্ত বের করা হয় না। ব্যথা কমানো, পেশী শিথিল করা, রক্ত সঞ্চালন বাড়ানোর জন্য।
২. ভেজা হিজামা (Wet Cupping): ত্বকে হালকা চিরা করে সামান্য রক্ত বের করা হয়। টক্সিন দূরীকরণ, মাথাব্যথা, বাত, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদিতে উপকারী।
৩. ফায়ার কাপিং (Fire Cupping): কাপে আগুন দিয়ে ভেতরের বাতাস বের করে দ্রুত ত্বকে বসানো হয়। চাইনিজ ট্র্যাডিশনে প্রচলিত, বর্তমানে ভ্যাকুয়াম পাম্প বেশি ব্যবহৃত হয়।
৪. ম্যাসেজ কাপিং (Massage Cupping): কাপ বসিয়ে কিছুক্ষণ সরানো হয়, এতে ডীপ টিস্যু ম্যাসেজের মতো উপকার পাওয়া যায়।
✓✓তাই আজই যোগাযোগ করুন আমাদের সেন্টারে:
#ডাঃ #মাওলানা #শরীফ #আব্দুল #আহাদ
ডিএইচএমএস (রেজিঃ ৩২৪২৫)
হোমিও কনসালটেন্ট ও হিজামা থেরাপিস্ট
বি.এ অনার্স, এম.এ, কামিল (হাদীস)
#প্রতিষ্ঠাতা #পরিচালক: আযীযিয়া হোমিও চিকিৎসালয় ও হিজামা সেন্টার, নেছারাবাদ মহিলা কামিল মাদ্রাসা সংলগ্ন, নেছারাবাদ কমপ্লেক্স, ঝালকাঠি।
#পরিচালক: হিজবুল্লাহ দাওয়াখানা, ঝালকাঠি এন.এস কামিল মাদ্রাসা, নেছারাবাদ কমপ্লেক্স, ঝালকাঠি।
#পরামর্শ #নিতে #হোয়াটসঅ্যাপে কল করুন অথবা #ইনবক্সে যোগাযোগ করুন- 01712-998063 অথবা 01711-114420