Sydul's Health Vlog

Sydul's Health Vlog Talk with Dr. Md.

Sydul Islam about any health issue such as diabetic, nutrition and diet, fitness, societal trends affecting health, Healthy lifestyle, analysis about health and health research

12/05/2025

তীব্র এই গরমে শরীরকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে তালশাঁস। রসে টইটম্বুর তালের শাঁস এরই মধ্যে বাজারে চলে এসেছে। শরীরকে আর্দ্র রাখার পাশাপাশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন, ফাইবার এবং খনিজ উপাদানের জোগান দেয় এটি। জেনে নিন তালের শাঁস খেলে কোন কোন উপকার পাওয়া যায়।

তালশাঁসে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি এবং ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্কের মতো খনিজ। আছে ফাইবারও। এসব উপাদান শরীরকে নানাভাবে সুস্থ রাখে।
তালের শাঁস পানি সমৃদ্ধ। গরমে শরীরের বাড়তি পানির চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে এই ফল। তাই পানি ও পানি জাতীয় খাবারের পাশাপাশি সুমিষ্ট এই ফল খান গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে।
যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইছেন। তাদের দু’টি বিষয় খেয়াল রাখতে বলেন পুষ্টিবিদেরা। এক হচ্ছে শরীরকে আর্দ্র রাখা। আর দুই ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া। কারণ তা অনেক ক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। তালশাঁস এই দুটি লক্ষ্যই পূরণ করে।
উচ্চমাত্রায় সোডিয়াম এবং পটাসিয়াম মেলে তালের শাঁসে, যা শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। ফলে গরমের ক্লান্তি দূর হয়।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে তালশাঁস।
কচি তালের শাঁস লিভারের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এটি লিভার থেকে ক্ষতিকর ও দূষিত পদার্থ বের করে দেয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজমের গণ্ডগোল দূর করতে বেশ কার্যকরী তালশাঁস। অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এই ফল।
তালশাঁসে রয়েছে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তিকে প্রখর করতে সাহায্য করে।
শরীরের জন্য উপকারী ভিটামিন সি ও বি কমপ্লেক্স মেলে এতে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয় ফলটি খেলে।
তালশাঁসে আছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এই দুই উপাদান ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোষকে মেরামত করে ত্বককে ভালো রাখে।

25/10/2023
14/10/2023

যে ৭ লক্ষণে বুঝবেন ভিটামিন বি১২ এর অভাব

ভিটামিন বি১২ কোবালামিন নামেও পরিচিত।যেহেতু আমাদের শরীর নিজে ভিটামিন বি-১২ তৈরি করতে পারে না, তাই আমাদের এটি বিভিন্ন খাবারের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হয়। এই ভিটামিনের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেলে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। জেনে নিন কোন কোন লক্ষণে বুঝবেন ভিটামিন বি-১২ কমে গেছে।

১। ভিটামিন বি-১২ এর অভাবের সবচেয়ে সাধারণ এবং প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ক্লান্তি এবং দুর্বলতা। এটি ঘটে কারণ এই ভিটামিন রক্তকণিকা উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা সারা শরীরে অক্সিজেন বহন করে। পর্যাপ্ত রক্তকণিকা ছাড়া টিস্যু এবং অঙ্গগুলো পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না। ফলে ক্লান্ত এবং দুর্বল লাগে।

২। মস্তিষ্কসহ সুস্থ স্নায়ুতন্ত্র বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য ভিটামিন বি-১২। এর মাত্রা কমে গেলে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। মেজাজের ব্যাঘাত ঘটতে পারে যেমন হতাশা এবং বিরক্তি।

৩। শারীরিক অসাড়তা বিশেষ করে হাত ও পায়ে অসাড়তা ভিটামিন বি-১২ কমে যাওয়ার লক্ষণ। পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি নামে পরিচিত এই অবস্থাটি ঘটে কারণ বি-১২ এর ঘাটতি স্নায়ুকে ঘিরে থাকা একটি উপাদানকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ফলস্বরূপ স্নায়ুগুলো সঠিকভাবে সংকেত প্রেরণ করতে পারে না। যার ফল অসাড়তার অনুভূতি হয়। ধীরে ধীরে এই অবস্থা আরও গুরুতর হতে পারে যেমন পেশী দুর্বলতা, ভারসাম্য এবং সমন্বয়ের সাথে অসুবিধা।

৪। কিছু ক্ষেত্রে ভিটামিন বি-১২ এর অভাবে দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা হতে পারে। অপটিক নিউরোপ্যাথি এমন একটি অবস্থা যেখানে অপটিক নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা বা বিঘ্নিত হতে পারে, রঙ চিনতে অসুবিধা হতে পারে এবং গুরুতর ক্ষেত্রে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হতে পারে।

৫। জিহ্বার প্রদাহ, জিহ্বা ফোলা, লাল হয়ে যাওয়া ভিটামিন বি-১২ এর অভাবজনিত লক্ষণ। এমনকি মুখের আলসারো হতে পারে এই ভিটামিনের অভাবে।

৬। ভিটামিন বি-১২ এর ঘাটতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি স্নায়বিক উপসর্গের দিকে ধাবিত হতে পারে। যেমন হাঁটাচলা এবং ভারসাম্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৭। ত্বকের বিবর্ণ হয়ে পড়া ভিটামিন বি-১২ কম এ যাওয়ার লক্ষণ। এটি ঘটে কারণ পর্যাপ্ত ভিটামিন বি-১২ এর অনুপস্থিতিতে উৎপাদিত লোহিত রক্তকণিকা অস্বাভাবিকভাবে বড় এবং ভঙ্গুর হতে পারে। এতে সঞ্চালনে সুস্থ লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা হ্রাস পায়। এতে ত্বক ফ্যাকাশে বা হলুদ বর্ণের হয়ে যেতে পারে, যা ‘মেগালোব্লাস্টিক অ্যানিমিয়া’ নামে পরিচিত।

13/10/2023

জরায়ুর আকৃতি বড়

জরায়ুর আকৃতি বড় হয়ে যাওয়ার নারীর জরায়ু সাধারণত গর্ভধারণের সময় বড় হয়। এই সময় জরায়ুর আকৃতি তরমুজের আকৃতির পরিমাণ বড় হতে পারে। তবে অনেক সময় জরায়ুর এই বৃদ্ধি কোনো কারণ ছাড়াই হয়ে থাকে। আর সেটা যেকোনো বয়সের নারীদের ক্ষেত্রেই হতে পারে। সাধারণত এটি খুব চিন্তা করার মতো কিছু নয়। এর জন্য কোনো ওষুধেরও দরকার পড়ে না। তবে, অনেক সময় এটি ক্যানসারের মতো বড় সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। তাই, জরায়ুর এই বড় হওয়াকে খুব স্বাভাবিক বা সহজ কিছুও বলা যায় না। চলুন, এ ব্যাপারে বিস্তারিত দেখে নেওয়া যাক-

লক্ষণগুলো কী?

সাধারণত জরায়ু বড় হয়ে গেলে তার বেশ কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। বেশিরভাগ সময় জমাটবাঁধা রক্ত এবং পিরিয়ড ছাড়াও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে দেখা যায়। তবে অনেক সময় রোগী চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগ পর্যন্ত নিজের সমস্যার কথা জানতেই পারেন না। যদি লক্ষণ প্রকাশ পেয়ে থাকে তাহলে জরায়ু বড় হওয়ার কিছু সাধারন চিহ্ন দেখা যায়। সেগুলো হলো- অস্বাভাবিক পিরিয়ড :

জরায়ু বড় হয়ে গেলে পিরিয়ডের সময় বেড়ে যায়। পিরিয়ড ছাড়াও রক্তক্ষরণ হয়। এছাড়া, শরীরের রক্তের পরিমাণ কমতে থাকে। মাথা ঘোরা, অবসাদ, হৃদপিণ্ডের গতি বেড়ে যাওয়ার মতো লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়।

ব্যথা :

এক্ষেত্রে একজন নারী নিজের তলপেট, তলপেটের পেছন দিক, পা ইত্যাদি অংশে ব্যথাবোধ করতে পারেন। তবে এই লক্ষণটি যে শুধু জরায়ুর আকৃতি বেড়ে যাওয়ার কারণেই হয়ে থাকে তা নয়।

বমিভাব :

বড় আকৃতির জরায়ু পেটে বেশ বড় প্রভাব রাখে। ফলে রোগীর বমি পেতে পারে। সেই সঙ্গে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

ওজন বেড়ে যাওয়া :

আপনার শরীরে, বিশেষ করে তলপেটে যদি ওজন বেড়ে গিয়েছে বলে মনে হয়, তাহলে এর পেছনে বড় হওয়া জরায়ুর ভূমিকা থাকতে পারে। অবশ্য এটি হরমোনের পরিবর্তনের কারণেও হতে পারে।

সন্তান জন্মে সমস্যা হওয়া :

যদি আপনি সন্তান ধারণ করতে চান, সেক্ষেত্রে বড় হয়ে যাওয়া জরায়ু আপনার জন্য সমস্যার কারণ হতে পারে। সন্তান ধারণ না করতে পারা এবং অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভপাতের পেছনেও বড় হওয়া জরায়ু ভূমিকা রাখতে পারে।

এছাড়াও অন্যান্য কিছু লক্ষণ, এই যেমন-

১। পেট এবং তলপেট ভরা মনে হওয়া ২। যৌনসম্পর্ক স্থাপনের সময় ব্যথাবোধ করা ৩। কোষ্ঠকাঠিন্য ৪। বার বার প্রস্রাবের বেগ চাপা ইত্যাদিও এক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে।

জরায়ু বড় হওয়ার কারণ কী?

জরায়ুর আকৃতি বড় হওয়ার অনেকগুলো সম্ভাব্য কারণ থাকতে পারে। এই যেমন-

ইউটেরাইন ফাইব্রয়েডস :

জরায়ুর গায়ে মাঝেমধ্যে কিছু বাড়তি অংশ জন্ম নিতে পারে। এগুলো সাধারণত ৮০ শতাংশ নারীর মধ্যেই থেকে থাকে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারীরা সেটা বুঝতে পারেন না। এই ফাইব্রয়েডসের পরিমাণ বেড়ে গেলে সেক্ষেত্রে জরায়ু বড় হতে পারে।

অ্যাডেনোমায়োসিস :

এক্ষেত্রে জরায়ুর দেয়াল আক্রান্ত হয় এবং সেখান থেকেই রক্তপাত হতে থাকে। লক্ষণগুলো অনেকটা ইউটেরাইন ফাইব্রয়েডসের মতোই।

জরায়ুর ক্যানসার :

এক্ষেত্রেও একই সমস্যাগুলো দেখা যায়। ব্যথা, রক্তপাত ইত্যাদি থাকলেও, মূলত জরায়ুর ক্যানসার পিরিয়ড হচ্ছে না এমন নারীদের ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। তবে অন্যরাও এক্ষেত্রে পুরোপুরি আশঙ্কামুক্ত নন।

পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম :

হরমোনের কারণে হওয়া এই সমস্যায় শুধু রক্তপাত বা ব্যথা নয়, শরীরের ত্বকেও প্রভাব পড়ে। শরীরে পশমের আধিক্য দেখতে পাওয়া যায়।

জরায়ুর সিস্ট :

পানিতে ভরা জরায়ুর সিস্ট এমনিতে কোনো সমস্যা না করলেও কখনো কখনো জরায়ুর বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

এক্ষেত্রে ব্যথা, অস্বাভাবিক রক্তপাত এবং সন্তান ধারনে সমস্যা ইত্যাদি দেখা যেতে পারে।

সমাধান কী?

সাধারণত ব্যথার জন্য ওষুধ এবং রক্তপাত বন্ধের জন্য গর্ভনিরোধক পিল দিয়ে থাকেন এক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা রোগীকে। তবে সমস্যা বেশি বেড়ে গেলে অপারেশনেরও দরকার পড়তে পারে। তবে এই সমস্যাটি ক্যানসারের কারণে হলে পুরো চিকিৎসা পদ্ধতিই বদলে যাবে। এগুলোর মধ্যে আপনার কোনটি হয়েছে? নিশ্চিত হওয়ার জন্য চিকিৎসকের সাথে দ্রুত দেখা করুন। দেরি করলে সমস্যা আরও বেড়ে যাবে। তাই যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। কি?

24/03/2023

Diabetes &Ramadan

১.মাগরেবের আজানের সাথে সাথে পানি খেয়ে ওষুধ / ইনসুলিন নিয়ে খাবার খেয়ে নিবেন। আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে না। তবে কিছু ইনসুলিন আছে যেগুলো রক্তে তাড়াতাড়ি মিশে যায়, কিন্তু খরচ বেশি। ( Apidra)। রোজার আগে সকাল বেলায় যে ওষুধ গুলো আপনি খেতেন রোজায় তা (ওষুধ, অথবা ইনসুলিন) ইফতারে নিবেন। অনেকে সকালে দুই রকম ইনসুলিন দেখতে ঘোলা অথবা স্বচ্ছ, ( Humulin R , Humulin N ) নিয়ে থাকেন, ইফতারে সময় পুরো ডোজ নিয়ে নিবেন । তার মানে, সকালে নাস্তার আগে ২০ ইউনিট ইনসুলিন নিলে ইফতারে তাই থাকবে। মূল ব্যাপার সকালে যে ওষুধ/ ইনসুলিন নিতাম ইফতারে সে ওষুধ পুরোটা আর রাতে যে ওষুধ / ইনসুলিন নিতাম সেহরির সময় সে ওষুধ / ইনসুলিন অর্ধেক ডোজ হবে।

২. এক টার বেশি খেজুর খাওয়া একেবারেই উচিৎ না। কম মিষ্টির শরবত খাওয়া যাবে। ভাজা পোড়া না খাওয়াই ভালো।
সারা রাত পানি যত বেশি খাওয়া যায়, তা ভালো। বেশি মিষ্টির খাবার খেলে গ্লুকোজ চট করে বেড়ে যায়।

৩.ব্যায়াম করার দরকার নাই, তারাবির লম্বা নামাজই যথেষ্ট। করোনা পরিস্থিতিতে ঘরেই নামাজ পড়বেন। আল্লাহ সব জানেন, বুঝেন।

৪.সন্ধ্যা রাতের খাবার ( যা আমরা তারাবির পর খেয়ে থাকি) না খেলে ইনসুলিন অথবা টেবলেট খাওয়ার দরকার নাই। কম খাবার খেলে ইনসুলিনের ডোজ কম হবে।
৫. সেহরির খাবার কখনই বাদ দিবেন না, শেষ সময়ের দিকে খাবেন। বেশি আগে খাবেন না। অনেকে রাত ১ টায় খেয়ে ঘুমিয়ে যায়, ডায়াবেটিস রোগীদের এরকম করা নিষেধ। ভাত খাওয়া যাবে পরিমান মত। রোজার আগে রাতের বেলা আমরা যে ওষুধ অথবা ইনসুলিন নিতাম, সেহরিতে তার অর্ধেক মাত্রা নিবেন। যেহেতু সারাদিন না খেয়ে থাকবেন, তাই পরিমান কম হবে। অর্থাৎ রোজার আগে রাতে একটা টেবলেট খেলে সেহরিতে তার অর্ধেক খাবেন ইনসুলিনের মাত্রা ২০ ইউনিট ছিলো, এখন সেহরিতে নিবেন ১০ ইউনিট। আর কেউ যদি দুই টা ইনসুলিন নিলে ( Humulin R , Humulin N ) দেখতে ঘোলা অথবা স্বচ্ছ) দুটো থেকেই আগের রাত্রের মাত্রার অর্ধেক কম নিবেন।
অনেকে আছেন খাওয়ার আগে একটা ইনসুলিন তিন বেলা এবং শোয়ার আগে আরেকটা ইনসুলিন মোট ৪ বার ইনসুলিন নিয়ে থাকেন। রোজায় উনি সকালের পুরো ডোজ ইফতারে, দুপুরের ডোজ রাত ১০ টায় যদি খেয়ে থাকেন, না খেলে বাদ, কম খেলে ডোজ কম নিবেন। আর রোজার আগের রাতের খাওয়ার আগে যে পরিমান ইনসুলিন ডোজ নিতেন তার অর্ধেক হয়ে চলে যাবে সেহরির সময়। আর যে ইনসুলিনটা ঘুমানের আগে একটা fixed সময়ে নিতেন সে ইনসুলিন ( Lantus , detemir, ) একই সময়ে নিবেন। গ্লুকোজ কমার ভয় থাকলে আগের চেয়ে ৪ অথবা ৬ ইউনিট কমিয়ে দিবেন।

৬. চেষ্টা করবেন একটা গ্লুকোমিটার কিনে নিতে। রোজায় গ্লুকোজ পরীক্ষা করলে রোজা নষ্ট হয় না বলে দেশে বিদেশে অনেক আলেম বলেছেন।
দিনের বেলা গ্লুকোজ ৪ এর কম হলে অবশ্যই রোজা ভেংগে ফেলবেন। এরপর দিন থেকে, ওষুধ অথবা ইনসুলিনের পরিমান কমিয়ে দিবেন। রক্তে গ্লুকোজ ১৬ এর বেশি হলে, শরীরে পানি কমে গেলে, শরীরের চর্বি ভেঙে রক্তে কিটোন চলে আসে, যা খুবই খারাপ। হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। তাই শরীর খারাপ লাগলেই গ্লুকোমিটারে রক্ত পরীক্ষা করবেন। সেহরি, ইফতারের আগে ও ২ ঘন্টা পর, দিনের ১০টা থেকে ৩ / ৪ টার ভিতরে গ্লুকোজ পরীক্ষা করে ওষুধের মাত্রা ঠিক কমবেশি করতে হবে।

৭. জিলিপী, মিষ্টি, চর্বি জাতীয় খাবার খাবেন না।
৮ রক্তচাপ কমে গেলে ব্লাডপ্রেসারের ওষুধের মাত্রা কমাতে হবে।
৯.দিনের বেলা শারীরিক পরিশ্রম, ব্যায়াম করা যাবে না।
১০.গ্লুকোজ কমে গেলে হাত পা কাপবে, বুক ধড় ফড় করবে, মাথা ঘুড়াবে, ঘাম হবে, চিন্তা করতে অসুবিধা হবে, এমন কি অজ্ঞান হয়ে যাবেন, সাথে সাথে চিনি, মিষ্টি খাবেন। পরদিন যাতে এর কম অবস্থা না হয়, ওষুধের মাত্রা কমিয়ে দিবেন।
১১. ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে গলা শুকিয়ে যাবে, মাথা ঘুরাবে, বার বার পস্রাব হবে।
১২. অনেকেই থাইরয়েডের ওষুধ খেয়ে থাকেন, সেহরির ঘুম ভাংগার সাথে সাথে খালিপেটে ওষুধ খেয়ে নিবেন।

ডায়াবেটিস আপনার শরীরে বাসা বাঁধছে? বুঝে নিন এই লক্ষণগুলি দেখেসকলের শারীরিক সুস্থতা ও সুবিধার জন্য শরীরে ডায়াবেটিসের কিছু...
11/02/2023

ডায়াবেটিস আপনার শরীরে বাসা বাঁধছে? বুঝে নিন এই লক্ষণগুলি দেখে

সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সুবিধার জন্য শরীরে ডায়াবেটিসের কিছু প্রাথমিক লক্ষণ তুলে ধরা হল।

ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের অসুস্থতা বাড়িয়ে তোলে। এই রোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক বিষয়টি হল, অষুধ(ইন্সুলিন) শরীরচর্চা এবং খাওয়া-দাওয়া নিয়ম মেনে করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে বটে, কিন্তু তা কোনও ভাবেই পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব নয়।

সঠিক সময়ে শারীরিক লক্ষণগুলো চিহ্নিত করে ডায়াবেটিসের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারলে দ্রুত চিকিৎসার মাধ্যমে দীর্ঘ স্বাভাবিক জীবন পাওয়া সম্ভব। ডায়াবেটিসের প্রাথমিক উপসর্গগুলি এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।

তেষ্টা ও প্রস্রাবের মাত্রা বৃদ্ধি: পিপাসা বা তেষ্টা বেড়ে যাওয়া বা ঘনঘন প্রস্রাবের বেগ পাওয়ার সমস্যা দুটি ডায়াবেটিস রোগের ক্ষেত্রে খুবই সাধারণ লক্ষণ। সাধারণত, একজন সুস্থ মানুষ সারাদিনে ৬-৭ বার প্রস্রাব করেন। পরিবেশ বা পরিস্থিতি পরিবর্তনে দিনে ৪-১০ বার প্রস্রাবকেও স্বাভাবিক ধরা হয়। তার বেশি হলেই চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।

খিদে (ক্ষুধা) বেড়ে যাওয়া: ডায়াবেটিসের তিনটি প্রধান লক্ষণের মধ্যে অন্যতম হল খিদে (ক্ষুধা) বেড়ে যাওয়া। বারবার খাবার খাওয়ার পরেও একটা খিদে খিদে ভাব থেকেই যায়। এমন হলে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত্।

অবসাদ বা ক্লান্তি বোধ: পর্যাপ্ত ঘুমের পরেও যদি সারাদিন অস্বাভাবিক ক্লান্ত বোধ করেন তাহলে চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। কারণ, ডায়াবেটিসের ফলে শরীর পর্যাপ্ত গ্লুকোজ পায় না। পাশাপাশি অতিরিক্ত প্রস্রাবের ফলে শরীরে জলের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাই শরীর ক্লান্ত ও অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে।

অস্বাভাবিকভাবে ওজন হ্রাস: খাদ্যাভ্যাসে কোনও ধরনের বিশেষ পরিবর্তন বা শরীরচর্চা ছাড়াই অস্বাভাবিকভাবে ওজন কমে যাওয়া ডায়াবেটিসের একটি অন্যতম লক্ষণ। ডায়াবেটিসের ফলে শরীর পর্যাপ্ত গ্লুকোজ পায় না। শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তির ঘাটতি দেখা দেয়। আর সেই ঘাটতি পূরণের জন্য শরীর তার ফ্যাট ব্যবহার করা শুরু করে। ফলে শরীর ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ে, ওজন কমতে থাকে।

ত্বকে কালচে ভাব: অ্যাকান্থসিস নিগ্রিকানস (Acanthosis nigricans) হল ত্বকের এক ধরনের সমস্যা যার ফলে ত্বকের উপরিভাগের কিছু অংশে পিচ্ছিল ভাব তৈরি হয় এবং সেখানে কালো ছোপ পড়তে থাকে। ত্বকের এই সমস্যা সাধারণত ঘাড়, কনুই, বগল, আঙুল, হাঁটুর পেছনের অংশে বেশি দেখা যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ত্বকের এই সমস্যাকে ডায়াবেটিসের প্রাথমিক উপসর্গগুলি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ত্বকে চুলকানি ভাব: ডায়াবেটিসের ফলে শরীরে জলের ভারসাম্য নষ্ট হয়। ফলে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে পড়ে। শুষ্ক ত্বকের উপরিভাগে সংক্রমণ দেখা দেয়। ত্বকে চুলকানি, জ্বালা ভাব অস্বস্তি তৈরি করে। ত্বকের সংক্রমণ বা চুলকানির আর একটি কারণ হল ইস্ট ইনফেকশন। যে সমস্যাটি ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে খুবই স্বাভাবিক সমস্যা।

অস্পষ্ট দৃষ্টিশক্তি: দৃষ্টি হঠাত্ করে যদি অস্পষ্ট বা ঝাপসা হতে থাকে এবং তার জন্য যদি চোখের কোনও সমস্যা না থাকে, তবে বুঝতে হবে ডায়াবেটিসের সমস্যার জন্যই এমনটা হচ্ছে। শরীরের অভ্যন্তরে তরলের মাত্রার তারতম্য হওয়ায় চোখ ফুলে যায়। ফলে দৃষ্টি হঠাত্ করে অস্পষ্ট বা ঝাপসা হতে থাকে। এমন হলে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত্।

ক্ষতস্থান নিরাময় হতে সময় লাগা: শরীরের যে কোনও কাটা-ছেড়া ও ক্ষতস্থান শুকতে বা সেরে উঠতে যদি অনেক বেশি সময় লাগে তবে তা ডায়াবেটিসের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়। এমন হলে দ্রুত চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

এছাড়া অনেকেই মানসিক চাপে পড়লে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। তাই মানসিক চাপ থেকে যতোটা সম্ভব দূরে থাকুন।

ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত থাকার ২০টি উপায় জেনে রাখুনশুধু বুড়ো মানুষই নয়, বহু তরুণও এখন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারে। ডায়াবেটি...
26/01/2023

ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত থাকার ২০টি উপায় জেনে রাখুন

শুধু বুড়ো মানুষই নয়, বহু তরুণও এখন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারে। ডায়াবেটিসের সরাসরি নিরাময় না থাকায় এতে আক্রান্ত হলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। তবে কিছু উপায় রয়েছে যা আগে থেকে পালন করলে ডায়াবেটিস দূরে রাখা যায়। এ লেখায় রয়েছে ডায়াবেটিস সচেতনতার তেমন কিছু উপায়।

১. ডায়াবেটিসকে জানুন
শরীরের ইনসুলিনের ভারসাম্যহীনতায় রক্তে শর্করার মাত্রা অস্বাভাবিক হয়ে ডায়াবেটিসের সৃষ্টি হয়। সময় থাকতেই ডায়াবেটিস সম্পর্কে জেনে রাখা ভালো। এতে আগে থেকেই রোগটি সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলা যায়।

২. খাবারের পরিমাণ কমান
মাত্রাতিরিক্ত খাবার খাওয়া ডায়াবেটিসের অন্যতম কারণ। এ কারণে খাবারের পরিমাণ কমানো উচিত আগেভাগেই। খাবার খাওয়া কমানোর জন্য ছোট ছোট প্লেটে অল্প করে খাবার নিতে পারেন। এছাড়া খাবার খাওয়ার আগে এক গ্লাস পানি খেয়ে নিলেও তাতে খাবারের পরিমাণ কমতে পারে।

৩. শারীরিক অনুশীলন করুন
আপনি যদি নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন করেন তাহলে তা নানাভাবে আপনার স্বাস্থ্যের উপকার করবে। বিশেষ করে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন রোগ দূরে রাখায় এর ভূমিকা রয়েছে। এতে ডায়াবেটিসের মতো রোগও দূরে থাকবে।

৪. ওজন কমান
শরীরের ওজন যদি বেশি বেড়ে যায় তাহলে তা ডায়াবেটিসকে ডেকে আনতে পারে। তাই দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৫. লাল আটার খাবার
ধবধবে সাদা আটা-ময়দা বাদ দিয়ে লাল আটার তৈরি রুটি ও অন্যান্য খাবার খান। এটি আপনার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাবে।

৬. সকালের নাস্তা গুরুত্ব দিন
সকালের নাস্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাবার। এটি কখনোই বাদ দেওয়া ঠিক নয়। সকালের নাস্তায় প্রোটিন যুক্ত করলে তা সারাদিনের ক্ষুধা কমায়। এতে শরীর যেমন সুস্থ থাকে তেমন ডায়াবেটিসও দূরে থাকে।

৭. ফ্যাটযুক্ত খাবার বাদ দিন
ফাস্ট ফুড দোকানের জাংক খাবার ও অন্যান্য অস্বাস্থ্যকর খাবারে উচ্চমাত্রায় স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে, যা আপনার রক্তে ক্ষতিকর কোলস্টেরল বাড়িয়ে দিতে পারে। এটি রক্তের শর্করার মাত্রাও বাড়ায়। তাই এসব খাবার বাদ দিতে হবে।

৮. মিষ্টি পানীয় বাদ দিন
তেষ্টা পেলেই মিষ্টি পানীয় বা কোমল পানীয় পান করার অভ্যাস বাদ দিন। মূলত যে কোনো মিষ্টি পানীয়ই ক্ষতিকর। তাই এসব পানীয় সম্পূর্ণ ত্যাগ করুন।

৯. স্বাস্থ্যকর খাবার খান
আপনি যদি বিকালের ক্ষুধা নিবৃত্ত করার জন্য অস্বাস্থ্যকর পিজা বা ফাস্ট ফুড বাদ দিয়ে তাজা ফলমূল কিংবা সালাদ খেতে পারেন তাহলে তা ডায়াবেটিস থেকে আপনাকে রক্ষায় সহায়তা করবে।

১০. সবজি খান
অনেকেই সবজি খেতে মোটেই আগ্রহী থাকেন না। যদিও সবজি আপনার বহু উপকার করতে পারে। তাই প্রতিদিন আপনার খাদ্যতালিকায় রাখুন পর্যাপ্ত সবজি।

১১. মানসিক চাপমুক্ত থাকুন
মাত্রাতিরিক্ত মানসিক চাপ আপনার রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। এ কারণে মানসিক চাপ থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। প্রয়োজনে ইয়োগা, মেডিটেশন ও শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন করুন।

১২. ভালোভাবে ঘুমান
রাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমান। এতে আপনার দেহের ওপর চাপ কমবে এবং ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগ দূরে থাকবে। ঘুমের অভাবে দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার ক্ষতি হয়।

১৩. আঁশযুক্ত খাবার খান
যেসব শাক-সবজি ও খাবারে প্রচুর আঁশ রয়েছে সেসব খাবার খান। এতে আপনার টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম করে আঁশযুক্ত খাবার রাখুন খাদ্যতালিকায়। এতে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

১৪. প্রচুর পানি পান করুন
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে।পানি দেহের বিভিন্ন অঙ্গের কার্যক্রম চালানো সহজ করে দেবে। পর্যাপ্ত পানির অভাবে দেহের নানা সমস্যা হতে পারে।

১৫. স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো নীরবেই থাকে। এ কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা তা বুঝতে পারেন না। ফলে পরিস্থিতি জটিল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ কারণে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

১৬. সূর্যতাপ গ্রহণ করুন
ভিটামিন ডি দেহের ইনসুলিনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। আর সূর্যতাপ ভিটামিন ডি গ্রহণের অন্যতম উপায়। তাই নিয়সিক সূর্যতাপ গ্রহণে ডায়াবেটিস দূরে থাকে।

১৭. মসলাসমৃদ্ধ খাবার খান
জার্মান গবেষণায় দেখা গেছে, দারুচিনিসমৃদ্ধ খাবার ডায়াবেটিস দূরে রাখতে সহায়তা করে। তাই খাবারে দারুচিনিসহ বিভিন্ন মসলা ব্যবহার করুন।

১৮. সয়ার খাবার খান
সয়া ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে। তাই সয়াযুক্ত খাবার খেয়ে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করুন। এটি রক্তের শর্করার মাত্রা কমাতে ভূমিকা রাখে।

১৯. গ্রিন টি পান করুন
নিয়মিত গ্রিন টি পান করুন। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসহ বিভিন্ন উপাদান রয়েছে, যা রক্তের শর্করা কমাতে ভূমিকা রাখে।

২০. ধূমপান বর্জন করুন
ধূমপানে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এর কারণ হলো দেহের হরমোনজনিত পরিবর্তন। এ কারণে ডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকতে ধূমপান বর্জন করা উচিত।

পরামর্শ :

১। প্রতিদিন ফল ও সবুজ সবজি খাবেন। যে কোনো ধরনের মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলুন।

২। সঠিক সময়ে খাবার খান। অতিরিক্ত খাবার খাবেন না।

৩। সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। এটি আপনার শরীর থেকে টক্সিন জাতীয় উপাদান বের করতে সাহায্য করে।

৪। সর ছাড়া দুধ ও ডিম খান। তেল খেলে তা খুব অল্প পরিমাণে খাবেন।

৫। ফাইবার জাতীয় খাবার তালিকায় রাখুন।

ডায়াবেটিস আক্রান্তরা ‘পায়ের ক্ষত’ হলে যেভাবে সতর্ক----বাংলাদেশ সহ সারাবিশ্বে ক্রমশ বাড়ছে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর সংখ্য...
23/01/2023

ডায়াবেটিস আক্রান্তরা ‘পায়ের ক্ষত’ হলে যেভাবে সতর্ক----

বাংলাদেশ সহ সারাবিশ্বে ক্রমশ বাড়ছে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। শরীরে ডায়াবেটিস বাসা বাঁধলে আনুষঙ্গিক আরও অনেক সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। প্রতিবছর ডায়াবেটিস রোগীদের প্রায় ১০-১৫ শতাংশের পায়ে আলসার হয়। এই কারণে ডায়াবেটিস হলে পায়ের বিশেষ যত্নের দরকার বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ দিন রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে স্নায়ুকোষ ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। চিকিৎসা পরিভাষায় একে বলে ‘নিউরোপ্যাথি’। আর পা ঘেমে যাওয়া, লালচে ভাব, পায়ের চামড়া থেকে তরল পদার্থ বেরিয়ে আসা, দুর্গন্ধ হওয়া— এমন কয়েকটি লক্ষণ দেখা যায় ফুট আলসারের ক্ষেত্রে।

ডায়াবেটিসের সঙ্গে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি থাকলে, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ এবং ধূমপান করলে রক্তবাহী ধমনীর মধ্য চর্বি জমার প্রবণতা বেড়ে যায়। তাই পায়ের বিশেষ যত্ন না নিলে ‘ডায়াবেটিক ফুট আলসার’র সমস্যা বেড়ে যায়।

‘ফুট আলসার’ থাকলে পায়ের যত্নে যা করবেন

১. ডায়াবেটিস থাকলে পায়ের নখ বড় হতে দেবেন না। কেটে ছোট করে রাখতে হবে। প্রতিদিন বাড়ি ফিরে হালকা গরম পানি আর সাবান দিয়ে পা পরিষ্কার করুন। এরপর নারকেল তেল বা ক্রিম লাগিয়ে পা নরম করে রাখতে পারেন।

২. খালি পায়ে হাঁটা একেবারেই ঠিক হবে না। আঁটসাঁট জুতো না পরাই ভালো। হালকা খোলামেলা জুতো পরতে হবে।

৩. রাতে ঘুমানোর আগে পায়ের তলা এবং আঙুলের ফাঁকে অ্যান্টিফাঙ্গাল পাউডার মেখে নিন।

ডায়াবেটিস কি?
ইনসুলিন হল এক ধরনের হরমোন যা অগ্নাশয় বা পেনক্রিয়াস নামক গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়। খাওয়ার পর খাদ্যনালী থেকে আত্মীকরণের মাধ্যমে গ্লুকোজ রক্তে প্রবেশ করে এবং দেহের কোষের অভ্যন্তরে প্রবেশের অপেক্ষা করে। রো ইনসুলিনের সাহায্য ব্যতিরেকে কোষের ভেতর প্রবেশ করতে পারে না।

এই ইনসুলিন যখন সুগারকে কোষাভ্যন্তরে পৌঁছে দেয় তখন সুগার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং প্রয়োজনীয় শক্তি বা ক্যালরি সরবরাহ করে থাকে। কোনো কারণে যদি অগ্নাশয় প্রয়োজনীয় পরিমাণে ইনসুলিন নিঃসৃত করতে ব্যর্থ হয় অথবা নিঃসৃত ইনসুলিন যদি ত্রæটিপূর্ণ হয় অথবা নিঃসৃত ইনসুলিনের তুলনায় শরীরের ওজন বেশি অর্থাৎ ইনসুলিনের আপেক্ষিক ঘাটতি দেখা দেয় তবে রক্তের সুগার কোষে প্রবেশে বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে রক্তে সুগারের পরিমাণ বেড়ে যায়। একটি নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রান্ত হলে সুগার প্রশ্রাবের সাথে বেরিয়ে যায়। ফলে প্রশ্রাবেও সুগারের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এই অবস্থাটিকে বলা হয় ডায়াবেটিস।

পরামর্শ :

১। প্রতিদিন ফল ও সবুজ সবজি খাবেন। যে কোনো ধরনের মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলুন।

২। সঠিক সময়ে খাবার খান। অতিরিক্ত খাবার খাবেন না।

৩। সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। এটি আপনার শরীর থেকে টক্সিন জাতীয় উপাদান বের করতে সাহায্য করে।

৪। সর ছাড়া দুধ ও ডিম খান। তেল খেলে তা খুব অল্প পরিমাণে খাবেন।

৫। ফাইবার জাতীয় খাবার তালিকায় রাখুন।

৬। সম্ভব হলে দিনে দুইবার আপেলের রস খান।

ডায়াবেটিস থেকে রক্ষার জন্য চিকিৎসা নিতে হবে আপনাকে। সেই সাথে সামান্য কিছু পরিবর্তন আনতে হবে আপনার জীবনে। বলা চলে, আপনার দৈনন্দিন কর্মকান্ডের ভেতর। 3 D.
1 D- Diet(সময়মত,নিয়মিত,পরিমিত)
2.D- Discipline (হাটা/বায়াম)
3.D-Drug(Insulin)

Address

Barishal
8200

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sydul's Health Vlog posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Sydul's Health Vlog:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category