Masnoon Ruqyah & Hijama Center, Barishal

Masnoon Ruqyah & Hijama Center, Barishal প্রচলিত কুফরি শিরকি তদবিরের বিপরীতে শরীয়ত সম্মত উপায়ে বদনজর জিন যাদু ও ওয়াসওয়াসার চিকিৎসা

15/08/2025
11/08/2025

প্রচন্ড উদ্যম ও আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও লেখাপড়া, চাকরি, ব্যবসা, ফ্রিল্যান্সিং বা নিজের পেশাগত কাজ করতে গেলেই যাদের অলসতা লাগে, শরীরটা (বিশেষত কাধের অংশ) ভার ও দুর্বল হয়ে আসে, প্রচন্ড ঘুম ও বারবার হাই আসে— তাঁরা আপন আপন বিষয়ে হিংসা ও বদনজরে আক্রান্ত থাকার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এরকমটা বারবার ঘটতে থাকলে বিষয়টিকে সিরিয়াসলি নেয়া উচিত এবং অভিজ্ঞ কারো তত্বাবধানে যথাদ্রুত রুক‌ইয়াহ করা উচিত।

প্রাথমিক করণীয়—

প্রতি ফরজ নামাজের পরে এবং নিজ নিজ পেশাগত কাজ শুরু করার আগে— একবার আয়াতুল কুরসি এবং তিনবার করে তিন কুল পড়ে উভয় হাতে ফুঁ দিবেন । অতঃপর নিম্নোক্ত দোয়াটি বারবার পড়তে পড়তে পুরো শরীর মুছবেন ।‌

اللَّهُمَّ أَذْهِبْ عَنِّى حَرَّالْعَيْنِ وَبَرْدَهَا وَوَصَبَهَا

বাংলা উচ্চারণ— আল্লাহুম্মা আযহিব আন্নি হার্রাল আইনি, ওয়া বারদাহা ওয়া ওয়াসাবাহা।

মনে মনে নিয়ত রাখবেন— ইয়া আল্লাহ! আমার শরীর থেকে জিন এবং মানুষের সকল প্রকার হিংসা ও বদ নজরের প্রভাবকে নষ্ট করে দিন ।
© Muhammad al amin

10/06/2025

ইমাম শাহ ইসমাইল শহিদ (رحمه الله) বলেন—

❝কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করাই শুধু শিরক নয়, বরং যেসব বিষয়কে আল্লাহ তাআলা নিজের সত্তার গুণ হিসেবে নির্দিষ্ট করেছেন এবং বান্দার জন্য বন্দেগির নির্দশন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন,
অন্যদের সামনে যদি তা-ই করা হয়, যেমন সিজদা, আল্লাহর নামে কুরবানি, মানত, বিপদের সময় সাহায্যের জন্য ডাকা, আল্লাহ তাআলার মতো(ইল্ম-কতৃত্বে) সব জায়গায় হাজির মনে করা, ক্ষমতা ও এখতিয়ারে অন্যদেরও কিছু অংশ আছে মনে করাও শিরক এবং শিরকেরই বিভিন্ন রূপ।❞

[সূত্রঃ তাকবিয়াতুল ইমান]

শুরুতে সবাইকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ঈদ মুবারাক।----কোরবানির সময় মুশরিক জিন-জাদুকরের দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তিদের এ...
06/06/2025

শুরুতে সবাইকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ঈদ মুবারাক।

----

কোরবানির সময় মুশরিক জিন-জাদুকরের দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তিদের একটা সমস্যা দেখা যায়। গরুর গোশত খেলে অসুস্থ হয়ে পড়ে বা খেতে কষ্ট হয়। কিংবা গরুর গোশত রান্না হলে মুশরিক জিনগুলো শরীরে ভর করে জুলুম অত্যাচার করে। বাড়িতে বিশৃঙ্খলা করে। গ্রুপে অনেক ভুক্তভুগি আছেন, তাদের বিষয়টা জানা থাকাবে হয়ত।

এই অঞ্চলটায় মানুষদের মাঝে যেমন মুশরিকদের আধিক্য আছে, জিন-শয়তানদের মাঝেও এরকমই। এজন্য এরা সুযোগ পেলেই মুসলিমদের ওপর জুলুম অত্যাচার করে।

যাহোক, যাদের সমস্যা হয় আপনারা দুইটা জিনিস মাথায় রাখবেন।

১.

গরুর গোশত খাওয়া বাদ দিবেন না। বরং রুকইয়ার আয়াত পড়ে ফু দিয়ে বেশি করে খাবেন। (আয়াতুল কুরসি, তিনকুল পড়তে পারেন। ছোট কিছু দোয়াও পড়া যায়। এছাড়াও সিহরের আয়াত বা সুরা তাওবার শুরুর কিছু আয়াত পড়তে পারেন চাইলে।)

এতে উপকার পাবেন ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ চাইলে এভাবে শয়তান দুর্বল হয়ে যাবে বা শিরকি জাদু নষ্ট হয়ে যাবে। এছাড়াও গরু কাটাকুটি করা, রান্না করা সব কাজেই সাধ্যমত অংশ নিবেন।

২.

ঈদের ছুটিতেও হিফাজতের আমল গুরুত্ব দিয়ে করবেন। বিশেষতঃ সকালসন্ধ্যায় ১০বার পড়ার যে দোয়াটা আছে, (লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকালাহু...) এটা মনোযোগ ও গুরুত্ব দিয়ে পড়বেন। আর তাকবীরে তাশরিক তো আবশ্যক, এটাও নিয়মিত পড়বেন।

মূলত এইটুকুই কথা। এরপরেও যাদের সমস্যা আছে, তাদেরকে দেয়া পরামর্শ মোতাবেক রুকইয়াহ করতে থাকবেন। বাদ দিবেন না।

সবাইকে শুকরিয়া। আল্লাহ আমাদেরকে নিরাপদ রাখুক। ভালো রাখুক। ঈমানের সাথে রাখুক। আমিন। ঈদ মোবারক।


© আব্দুল্লাহ আলমাহমুদ

20/04/2025

❝ শিরোনাম : একটি আয়াত, যা হৃদয়ের গভীরে নাড়া দেয় ❞

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ

আল্লাহর কিতাবের একটি আয়াত আমার স্নায়ুকে জড়িয়ে ধরে, আমার ভেতরে গিয়ে ঢুকে পড়ে, আমার অন্তরে প্রবাহিত হয় ঠিক যেমন শুকনো পাতার মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে, আমার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেঁপে ওঠে এবং আমার কঠিন হৃদয় নরম হয়ে যায়। যখনই আমি এই আয়াত পড়ি, কিংবা তা আমার কানে আসে, বা মনে উদয় হয়— তখনই আমার হৃদয় ছিটকে পড়ে, আমার অস্তিত্ব কেঁপে ওঠে। যেন আসমান থেকে এক আহ্বান আমার ভিতরে বাজে, যখনই আমি আল্লাহ যে অবস্থানে আমাকে স্থাপন করেছেন, তা থেকে পালানোর ইচ্ছা করি।

"فَظَنَّ أَن لَّن نَّقْدِرَ عَلَيْهِ"

“সে মনে করল, আমি তার উপর ক্ষমতা লাভ করতে পারব না।”
(সূরা আল-আম্বিয়া: ৮৭)

কি ভয়ংকর এর প্রভাব!
একজন সম্মানিত নবী, মনোনীত রাসূল মনে করলেন যে, তাঁর জাতি তাঁর দাওয়াতে সাড়া দেবে না, তারা তাদের গাফেলতায় ডুবে থাকবে, অহংকারে মত্ত থাকবে। তিনি ভাবলেন, তারা কখনোই ঈমান আনবে না, যতই তিনি উপদেশ দিন না কেন। তাই সময় নষ্ট না করে বিদায় নেয়াই শ্রেয়, আর অন্য কোনো জায়গায় দাওয়াতের পথ খোঁজা উত্তম।
তিনি তাঁদের ছেড়ে গেলেন, রাগ করে ত্যাগ করলেন, আর মনে করলেন— এখন যাওয়ার সময়। তিনি ভুলে গেলেন, আল্লাহর কোনো কিছুর জন্য অক্ষম নন, আর যিনি আল্লাহর অনুমতি ছাড়া বের হন, তিনি একাকী বের হন— বিপদের সম্মুখীন হতে। এমনকি তিনি যদি আল্লাহর মনোনীত নবী হন, তবুও।
তিনি ভুলে গেলেন, আল্লাহ চাইলে তাঁকে আরও বড় পরীক্ষা ও বিপদে ফেলতে পারেন।

আর সেটাই ঘটল। ইউনুস (আ.)-কে এক ভয়ংকর বিপদে ফেলা হলো। তিনি তিমির পেটে গিয়ে পড়লেন, আর তখনই তিনি উপলব্ধি করলেন বাস্তবতা।
তিনি পড়লেন তিনটি অন্ধকারে:
যেখানে নেই কোনো দৃষ্টি, নেই কোনো শব্দ, না ছিল কোনো সঙ্গী কিংবা আপনজন, ছিল না কোনো পথ এবং না ছিল কোনো আশ্রয়।
নেই কোনো পথ, নেই কোনো পলায়ন।
তিনি তখন সমস্ত শক্তি ও সামর্থ্য ত্যাগ করে তাঁর প্রতিপালকের দরবারে নিজেকে সঁপে দিলেন, ভেঙে পড়লেন, বিনীত হলেন, ফিরে এলেন তাঁর প্রভুর দিকে।
আর তখন তিনি উচ্চারণ করলেন এক অমর বাক্য—

“لَا إِلَٰهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ”
“আপনি ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই, আপনি পবিত্র, আমি ছিলাম সীমালঙ্ঘনকারীদের একজন।”

যখনই কোনো পরিস্থিতি আমার মুখোমুখি হয় যা আমি মেনে নিতে পারি না, যখনই আমি ভাবি কোনো দায়িত্ব থেকে পালিয়ে যাই, বা এমন কোনো অবস্থান ছেড়ে দেই যেখানে আমার বুকে কষ্ট লাগে—
এই আয়াত আমার সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়ায়।
এটি আমাকে মনে করিয়ে দেয়— যেটিকে আমি সংকীর্ণ ভাবছি, তা হয়তো আসলে প্রশস্ত;
যেখান থেকে আমি পালাতে চাই, তা হয়তো এমন এক জায়গা, যেখান থেকে বেরিয়ে পড়লে আমি আরও বড় পরীক্ষায় পড়ে যাব যদি না তা আমার প্রভুর অনুমতিসহ হয়।
এটি আমাকে শেখায়— ধৈর্য ধরে থাকা অনেক উত্তম, সেই পলায়নের চেয়ে যা আল্লাহর অনুমোদিত নয়।

তারপর আমি নিজের সঙ্গে কথা বলি, নিজেকে ধমক দিই…
তুমি তো বলো, "সতর্কতা বিশ্বাসের বিপরীত নয়"?
হ্যাঁ, সতর্কতা হচ্ছে প্রজ্ঞা, পরিকল্পনা হচ্ছে সুন্নাহ।
কিন্তু সতর্কতা আর পলায়নের মাঝে একটুকু সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে।
এই পার্থক্যটি শুধু সেই হৃদয় বোঝে— যে আল্লাহর সাথে সংযুক্ত।
সে জানে— প্রতিটি অবস্থানই এক একটি পরীক্ষা, প্রতিটি মুহূর্তই এক একটি দায়িত্ব।
আর তুমি যেখানে আছো, সেখানে যদি আল্লাহ তোমাকে স্থাপন করে থাকেন, তবে তাতেই সন্তুষ্ট থাকা — এটাই প্রকৃত বিশ্বাস, বরং এটাই হচ্ছে দৃঢ় ঈমান।

সব আরামদায়ক পথই বরকতপূর্ণ নয়।
যে অবস্থানে কষ্ট হয়, সেখান থেকে সবাইকে বিদায় নেওয়ার অনুমতি নেই।
হতে পারে এমন এক সংকীর্ণ বসার স্থান— যেখানে আকাশের দরজা খুলে যায়।
হতে পারে এমন কোনো দীর্ঘস্থায়ী কষ্ট— যা হৃদয়ে আলো জাগিয়ে তোলে।
হতে পারে এমন এক ধৈর্য— যার ওপর গড়ে ওঠে চিরস্থায়ী জান্নাতের প্রাসাদ।

হে প্রভু…
আমাকে শিক্ষা দাও— কিভাবে সহ্য করবো যেটা তুমি আমার ওপর নির্ধারণ করেছো।
আমাকে দান করো— যেখানে তুমি চাও, সেখানে থাকার প্রতি সন্তুষ্টি।
আমাকে অনুপ্রেরণা দাও— ইউনুস (আ.)-এর সেই প্রজ্ঞার, যখন তিনি ছিলেন মাছের পেটে।
আর আমাকে এমন লোকদের অন্তর্ভুক্ত কোরো না— যারা তোমার সম্পর্কে ভুল ধারণা পোষণ করে…
তাদের মতো করে যেন আমি এমন কোনো স্থান থেকে পলায়ন না করি— যেখান থেকে পালিয়ে আমি পড়ে যাই আরও ভয়াবহ এক পরীক্ষায়।
হে প্রভু! তুমি যেটুকু কল্যাণ আমার জন্য নাজিল করো, আমি তারই মুখাপেক্ষী।

------------------

ক্যাটাগরি : তাজকিয়াহ / কোরআন
✍ মূল : ড. আকরাম নদভী, অক্সফোর্ড, ইউকে।

13/03/2025

বেতন (টাকা) কে মাসের শেষ পর্যন্ত অবশিষ্ট রাখার পরামর্শপত্র

ঘটনাটি এক সৌদি-যুবকের। সে তার জীবনের প্রতি মোটেও সন্তুষ্ট ছিল না। তার বেতন ছিল মাত্র চার হাজার রিয়াল। বিবাহিত হওয়ায় তার সাংসারিক খরচ বেতনের চেয়ে অনেক বেশি ছিল। মাস শেষ হওয়ার আগেই তার বেতনের টাকা শেষ হয়ে যেত, তাই প্রয়োজনের তাগিদে তাকে ঋণ নিতে হত। এভাবে সে আস্তে আস্তে ঋণের কাদায় ডুবে যাচ্ছিল। আর তার বেতনে এমন বিশ্বাস জন্ম নিচ্ছিল যে, তার জীবন এই অভাবেই কাটবে। অবশ্য তার স্ত্রী তার এ-অবস্থার প্রতি খেয়াল রাখত। কিন্তু ঋণের বোঝা এত ভারী হযেছিল, যেন নিশ্বাস নেওয়াও দুষ্কর।

একদিন সে তার বন্ধুদের এক মজলিসে গেল। সেদিন এমন একজন বন্ধু সেখানে উপস্থিত ছিল, যে অত্যন্ত বুদ্ধিমান এবং বিচক্ষণ ব্যক্তি। যুবকের বক্তব্য এমন ছিল যে, আমার ওই বন্ধুর সকল পরামর্শকে আমি খুব গুরুত্ব দিতাম।

কথায় কথায় যুবক তার সকল অবস্থা বন্ধুকে বলল। বিশেষত আর্থিক সমস্যাটা তার সামনে তুলে ধরল। তার বন্ধু মনোযোগ সহকারে কথাগুলো শুনল এবং বলল, আমার পরামর্শ হল- তুমি তোমার বেতন থেকে কিছু টাকা ছদকার জন্য নির্ধারণ কর। যুবক আশ্চর্য হয়ে বলল, জনাব! সাংসারিক প্রয়োজন পুরনেই ঋণ নিতে হয়; আর আপনি আমাকে ছদকার জন্য টাকা নির্ধারণ করতে বলেছেন?

যাইহোক, যুবক বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি স্ত্রীকে জানাল। তার স্ত্রী বলল, পরিক্ষা করতে সমস্যা কী? হতে পারে আল্লাহ্ তা’আলা তোমার জন্য রিযিকের দরজা খুলে দিবেন। যুবক বেতনের চার হাজার রিয়াল থেকে ত্রিশ রিয়াল ছদকার জন্য নির্ধারণের ইচ্ছা করল এবং মাসশেষে তা আদায় করতে শুরু করল।

সুবহানাল্লাহ! কসম করে বললে মোটেও ভুল হবে না, তার (আর্থিক) অবস্থা সম্পূর্ণ বদলে গেল। সে তো সবসময় টাকা-পয়সার চিন্তা টেনশনেই পড়ে থাকত; আর এখন তার জীবন যেন ফুলের মতো হয়ে গেছে। এত ঋণ থাকা সত্ত্বেও নিজেকে স্বাধীন মনে হত। মনের মধ্যে এমন এক অনাবিল শান্তি হচ্ছিল, যা বলে বুঝানো সম্ভব নয়।

কয়েক মাস পর থেকে সে নিজের জীবনকে সাজাতে শুরু করল। নিজের আয়কৃত টাকা কয়েক ভাগে ভাগ করল, আর তাতে এমন বরকত হল, যা পূর্বে কখনও হয়নি। সে হিসাব করে একটা আন্দাজ করল, কত দিনে ঋণের বোঝাটা মাথা থেকে নামাতে পারবে ইনশাআল্লাহ।

কিছুদিন পর আল্লাহ তা’লা তার সামনে আরও একটি পথ খুলে দিলেন। সে তার এক বন্ধুর সাথে প্রপাটি-ডিলিং এর কাজে অংশ নিতে শুরু করে। সে বন্ধুকে গ্রাহক/ক্রেতা এনে দিত, তাতে ন্যায্য প্রফিট পেত।

আলহামদুলিল্লাহ! সে যখনই কোনো গ্রাহকের কাছে যেত, গ্রাহক অবশ্যই তাকে অন্য গ্রাহক পর্যন্ত পৌঁছনোর রাস্তা দেখিয়ে দিত। এখানেও সে ঐ আমলের পুনরাবৃত্তি করত। অর্থাৎ প্রফিটের টাকা হাতে আসলে (আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য) অবশ্যই তা থেকে ছদকা নির্ধারণ করত।

আল্লাহর কসম! ‘ছদকা কী’ তা কেউ জানে না; ঐ ব্যক্তি ব্যতিত যে তা পরিক্ষা করেছে। ছদকা কর এবং ছবরের সাথে চল- আল্লাহর ফযলে খায়ের বরকত নাযিল হবে, যা নিজ চোখে দেখতে পাবে।

◾নোট:- যদি আপনি কোনো মুসলমানকে তার উপার্জনের একটি অংশ ছদকার জন্য নির্ধারণ করতে বলেন এবং এর উপর আমল করে, আপনিও ঐ পরিমাণ ছওয়াব পাবেন যে পরিমাণ ছদকাকারী পেয়েছে। আর ছদকাকারীর ছওয়াবে কোনো কমতি আসবে না।

আপনি দুনিয়া থেকে চলে যাবেন আর আপনার অবর্তমানে কেউ আপনার কারণে ছদকা করতে থাকবে। আপনি ছওয়াব পেতে থাকবেন।

যদি আপনি তালিবে ইলমও হন এবং আপনার আয় একেবারে সীমিত ও নির্ধরিতও হয়। তবুও কম-বেশি, যতদূর সম্ভব (সামান্য কিছু হলেও) ছদকার জন্য নির্ধারণ করুন।

যদি ছদকাকারী জানতে ও বুঝতে পারে যে, তার ছদকা ফকিরের হাতে যাওয়ার আগে আল্লাহর হাতে যায়। তাহলে অবশ্যই ছদকা গ্রহণকারীর তুলনায় ছদকাদানকারী অনেক গুণ বেশি আত্মিক প্রশান্তি লাভ করবে।

◾ছদকা দানের উপকারিতা:-

ছদকা দানকারী এবং যে তার কারণ হবে সেও এ সকল ফায়েদার অন্তর্ভুক্ত।

▪️১. ছদকা জান্নাতের দরজাসমূহের একটি।
▪️২. সদকা আমলের মধ্যে উত্তম আমল।
▪️৩. ছদকা কেয়ামতের দিন ছাঁয়া হবে এবং ছদকা-আদায়কারীকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করবে।
▪️৪. ছদকা আল্লাহ তা‘লার ক্রোধকে ঠান্ডা করে এবং কবরের উত্তপ্ততায় শীতলতার উপকরণ হবে।
▪️৫. মৃতব্যক্তির জন্য উত্তম বদলা এবং সবচে’ উপকারী বস্তু হল সদকা। আর ছদকার ছওয়াবকে আল্লাহ তা‘আলা ক্রমাগত বৃদ্ধি করতে থাকেন।
▪️৬. ছদকা পবিত্রতার আসবাব, আত্মশুদ্ধির মাধ্যম ও সৎকাজের প্রবর্ধক।
▪️৭. ছদকা কেয়ামতের দিন ছদকাকারীর চেহারার আনন্দ ও প্রফুল্লতার কারণ হবে।
▪️৮. ছদকা কেয়ামতের ভয়াবহ অবস্থায় নিরাপত্তা হবে। অতীতের জন্য আফসোস করা থেকে বিরত রাখে।
▪️৯. ছদকা গুনাহের ক্ষমা এবং খারাপ কাজের কাফফারা।
▪️১০. ছদকা উত্তম মৃত্যুর সুসংবাদ এবং ফেরেস্তাদের দোয়ার কারণ।
▪️১১. ছদকা দানকারী সর্বোত্তম বান্দাগণের অন্তর্ভুক্ত এবং ছদকার ছওয়াব প্রত্যেক ঐ ব্যক্তি পায় যে কোনো না কোনোভাবে অংশিদার হয়।
▪️১২. ছদকা দানকারীর সঙ্গে সীমাহীন কল্যাণ ও বিরাট প্রতিদানের ওয়াদা রয়েছে।
▪️১৩. খরচ করা মানুষকে মুত্তাকীদের কাতারে শামিল করে। ছদকাকারীকে সৃষ্টিকূল মুহাব্বত করে।
▪️১৪. ছদকা দয়া-মায়া ও দানশীলতার আলামত।
▪️১৫. ছদকা দোয়া কবুল এবং জটিল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার মাধ্যম।
▪️১৬. ছদকা বালা মসিবত দূর করে দুনিয়াতে সততরটা খারাপির দরজা বন্ধ করে।
▪️১৭. ছদকা হায়াত ও মাল বৃদ্ধির মাধ্যম। সফলতা এবং রিজিকের প্রশস্ততার মাধ্যম।
▪️১৮. ছদকা চিকিৎসা, ঔষধ ও সুস্থতা।
▪️১৯. ছদকা আগুনে পোড়া, পানিতে ডোবা ও অপহরণসহ (সকল) অপমৃত্যুর প্রতিবন্ধক।
▪️২০. ছদকার প্রতিদান পাওয়া যায় চাই তা পশু-পাখিকেই দেওয়া হোক না কেন।

◾শেষকথা: এই মুহূর্তে আপনার জন্য সর্বোত্তম ছদকা হল, কথাগুলো ছদকার নিয়তে প্রচার করা।

©

17/02/2025

চট্টগ্রাম সেমিনারের রুকইয়া শারঈয়্যা বিষয়ক আলোচনা
পার্ট ২
ওস্তাদ ফখরুজ্জামান ইমরান Fz Imran হাফিজাহুল্লাহ

11/02/2025

চট্টগ্রাম সেমিনারের রুকইয়া শারঈয়্যা বিষয়ক আলোচনা
পার্ট ১
ওস্তাদ ফখরুজ্জামান ইমরান Fz Imran হাফিজাহুল্লাহ

10/02/2025

সেমিনারের এই অভূতপূর্ব মৌসুমে আলিম, দাঈ, ডাক্তার, রাকি, হিজামা থেরাপিস্ট প্রমুখ দেশ বরেণ‍্য ব‍্যক্তিবর্গের হাত ধরে আমরা এমন বিষয়ে অসাধারণ সব আলোচনা নিয়ে আসছি, যার প্রয়োজনীয়তা বর্তমান সময়ে অপরিসীম। আলহামদুলিল্লাহ আগামী ২১ শে ফেব্রুয়ারি, চট্টগ্রামে আয়োজিত হতে যাচ্ছে তিব্বুন নববি সেমিনার। উক্ত প্রোগ্রামে আলোচনা রাখবেন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ ও সুপরিচিত ব্যক্তিগণ। বাদ জুমুআ থেকে ইশা পর্যন্ত অর্ধদিনব্যাপী এই প্রোগ্রামে কুর'আন-হাদিস কে সামনে রেখে আমরা জানতে পারব, আমাদের প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দেখানো চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে; যা শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক রোগের নিরাময়। এছাড়া, আধুনিক মেডিক্যাল সাইন্স কে ইসলামী নীতিমালার আলোকে দেখার সুযোগও তৈরি হবে ইনশা আল্লাহ। উক্ত প্রোগ্রামে, আগত বোনদের জন্য থাকবে পর্দার সহিত সম্পূর্ণ আলাদা ব্যবস্থা (সাথে মাহরাম থাকা আবশ্যক)। এছাড়া যেসব বোনেরা মজলিশে আসতে পারবেন না, তাদের জন‍্য অনলাইনে অংশগ্রহণের ব‍্যবস্থা রয়েছে। আমাদের ইলমের খোরাক হবে নববি চিকিৎসা বিষয়ক এই সেমিনারটি। শিরক, কুফর, বিদআতের বিরুদ্ধে নববি চিকিৎসাই হয়ে উঠুক আমাদের সুস্থতার মাধ্যম! আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আমাদের নিয়তে ইখলাস দান করুন আমিন।

রেজিস্ট্রেশনের জন্য নিম্নের কমেন্টে গুগল ফর্মটি পূরণ করুন অথবা উক্ত নাম্বারে কল করুন।
নং: +8801336319628 (মহিলা)
+880 1796-774528 (পুরুষ)

🎙️ আলোচকবৃন্দ:
* মুফতি ফরিদ উদ্দিন শাহেদ
* ডাঃ মুফতি মাসিহ উল্লাহ্
* উস্তায হাফিজ আল মুনাদি
* উস্তায এফ জেড ইমরান
* উস্তায আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ
* মঈনুল আনোয়ার
* ফারহাত হুসাইন
* ডাঃ শাফায়াত হোসাইন লিমন
(আল্লাহ তা’আলা উনাদের ইলম ও খিদমাহ তে বারকাহ দিক)

⏳ তারিখ ও সময় : দুপুর ২:৪০ ঘটিকা, ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫।
📍লোকেশন (পুরুষ গেস্ট): আল হাসানাইন মেইল ক্যাম্পাস, কসমোপলিটান, রোড ০৩, চট্টগ্রাম।
📍 লোকেশন (মহিলা গেস্ট): আল হাসানাইন ফিমেইল ক্যাম্পাস, কসমোপলিটান, রোড ০৬, চট্টগ্রাম

💲রেজিস্ট্রেশন ফি: ৩৫০/-
( অনলাইনে অংশগ্রহণকারী বোনদের জন‍্য : ১০০/- )
নগদ, রকেট ও বিকাশ একাউন্ট নাম্বার: 01796774528
( #ব্র্যাক #বিকাশ #বয়কট করুন)
অপারগতায় বিকাশ ব্যবহার করতে পারেন, একই নাম্বারে বিকাশ সচল আছে।

🎁 আরো যা যা থাকছে :
বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর পর্ব, কুইজ কম্পিটিশন, আকর্ষণীয় পুরষ্কার বিতরণ, বিকেলের নাস্তা এবং রাতের খাবার।

কেউ স্পনসরশিপ নিতে চাইলে একই নাম্বারে যোগাযোগ করুন।

GOOGLE FORM -

https://docs.google.com/forms/d/e/1FAIpQLSfnW5FVDQ6SIEYuX0A9AZupZWQbPvZLNbypM-J53pyclyt1Fg/viewform

জাযাকুমুল্লহু খইরন
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহু।

Address

BM College Road Barishal
Barishal
8200

Opening Hours

Monday 09:00 - 21:00
Tuesday 09:00 - 21:00
Wednesday 09:00 - 21:00
Thursday 09:00 - 21:00
Friday 09:00 - 21:00
Saturday 09:00 - 21:00
Sunday 09:00 - 21:00

Telephone

+8801818423901

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Masnoon Ruqyah & Hijama Center, Barishal posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Masnoon Ruqyah & Hijama Center, Barishal:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram