Baby's Therapy Center

Baby's Therapy Center বাচ্চাদের কথা বলতে সাহায্য করে,,,আর চঞ্চলতা কমায়

13/05/2025

জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
"এরিন" ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান । আমাদের টিমে নতুন সদস্য সংযুক্ত করার লক্ষ্যে নিম্নোক্ত পদে নিয়োগ প্রদান করা হবে:
🔹 পদের নাম: ভিডিও / লাইভ প্রেজেন্টার ( মেয়ে )
🔹 অফিস : বনশ্রী এম ব্লক ।
( বনশ্রী বা আশে পাশে থাকে এমন কাউকে চাচ্ছি )
🔹বেতন আলোচনা সাপেক্ষে ।
যোগ্যতা ও শর্তাবলী:
✔️ মিনিমাম ১ বছর প্রাসঙ্গিক কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে
✔️ স্মার্ট, আত্মবিশ্বাসী এবং উপস্থাপনায় দক্ষ হতে হবে
✔️ স্পষ্ট ও সুন্দর উচ্চারণ এবং ক্যামেরার সামনে সাবলীলভাবে কথা বলার দক্ষতা থাকতে হবে
✔️ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম (Facebook Live, YouTube ইত্যাদি) সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে
আপনি যদি নিজেকে এই পদের জন্য যোগ্য মনে করেন, তাহলে এখনই আবেদন করুন!
📧 আবেদন পাঠানঃ smfaisal26@gmail.com / inbox
🕒 আবেদন গ্রহণের শেষ তারিখ: 20-5-25

01/08/2023

শিশুর দেরিতে কথা বলার বড় কারণ
আজকাল শহুরে শিশুরা দেরি কথা বলছেন বলে বিভিন্ন জরিপে উঠে এসেছে। এজন্য খেলার পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকা ও পারিবারিক একাকিত্বসহ নানা বিষয়কে দায়ী মনে করা হয়। তবে গবেষণা বলছে, শিশুর দেরিতে কথা বলার বড় কারণ হচ্ছে ‘স্ক্রিন’ ব্যবহার।
বিষয়টি নিয়ে গত দুই বছর ধরে কানাডায় একটি গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, শিশুদের খাওয়ানোর কাজটা সহজ করতে অনেক পিতা-মাতা এসব স্ক্রিনের সাহায্য নিয়ে থাকেন। বাচ্চাদের হাতে তুলে দেন মোবাইল, ট্যাব বা স্ক্রিনযুক্ত ডিভাইস। এতে শিশুরা ওই ডিভাইসের স্কিনে বুধ হয়ে থাকে।

কিন্তু এর পরিণতি যে মারাত্মক ক্ষতিকর তা হয়তো তারা জানেনই না। ফলে শিশুদের দক্ষতার বিকাশে বিলম্ব ঘটে। এর মধ্যে কথা বলতে এবং অন্যান্যদের সাথে মেলামেশা শিখতে দেরি হয়।

কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাচ্চার বয়স দেড় বছর হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদেরকে স্ক্রিন ব্যবহার করতে দেওয়া ঠিক নয়। তবে এজন্যে সুনির্দিষ্টভাবে কোন বয়সসীমা বেঁধে দেওয়া খুব কঠিন বলে মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।

গবেষণায় দেখা গেছে, দুই বছর বয়সী বাচ্চারা প্রতি সপ্তাহে গড়ে ১৭ ঘণ্টা করে স্ক্রিনের সামনে কাটায়। কিন্তু তাদের বয়স যখন তিনে পৌঁছায় তখন তাদের স্ক্রিন টাইমও বেড়ে দাঁড়ায় সপ্তাহে ২৫ ঘণ্টা। আবার যখন পাঁচ বছর হয় তখন সেটা কমে হয় ১১ ঘণ্টা। সাধারণত শিশুরা এই সময়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়া শুরু করে।

গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে, স্ক্রিন টাইম বেড়ে যাওয়ার কারণে শিশুদের বিকাশে যে দেরি হয় সেটা খুব সহজেই চোখে পড়ে। দেখা গেছে, ঠিক তখনই স্ক্রিন টাইম আরো বেড়ে গেছে।

গবেষকরা বলছেন, বাচ্চারা স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে যে সময়টা পার করছে, এই সময়ে তারা গুরুত্বপূর্ণ আরো অনেক কিছু শিখতে পারতো। এই সময়ে আরেকজনের সাথে কথা বলা ও শোনার দক্ষতা তৈরি হতে পারে। দৌড়ানো, কোন কিছু বেয়ে উপরে ওঠার মতো শারীরিক দক্ষতাও সে অর্জন করতে পারতো।

21/07/2023

শিশুর দেরিতে কথা বলা, অতিচঞ্চলতা, অস্বাভাবিক আচরণ, চোখে চোখ রেখে না তাকানো কিংবা ডাকলে সাড়া না দেওয়া। এমন কোন লক্ষন দেখা দিলে দ্রুত শিশু বিকাশ কেন্দ্রে যোগাযোগ করুন।

17/07/2023

► আজকাল অনেক ক্ষেত্রেই অটিজম ব্যাবস্থাপনায় থেরাপির ভুমিকা নিয়ে নেতিবাচক কথা শোনা যায়। এই বিষয় নিয়ে কিছু কথা লিখব আজ।

► প্রথমত জানতে হবে থেরাপি বিষয়টি আসলে কি? থেরাপি কি আমরা কি তা বুঝতেই পারছি না?

► শিশুদের জন্যে স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি নিয়ে যদি বলি তাহলে বলতে হবে কোন শিশু ভাষা বিকাশে যদি পিছিয়ে থাকে তাহলে সেখান থেকে শিশুটিকে যতটা সম্ভব স্বাভাবিক ভাষা বিকাশের দিকে নিয়ে আসার একটা চিকিৎসা।

► বাচ্চাদের থেরাপি মূলত প্লে (খেলা) বেইজড, যেমন খেলার মাধ্যমে সঠিক ভাষার ব্যাবহার, সঠিক উচ্চারন এবং সঠিক স্ট্র‍্যাটেজি ব্যাবহার করে ভাষা বিকাশের উন্নতি করা যায়। থেরাপি যে শুধু মাত্র কথা বলাতেই সাহায্য করবে তা নয় বরং এর প্রথম গোল/ টার্গেট হচ্ছে আপনার শিশুটি আগে যেন বুঝতে শিখে। সে যদি বুঝতে না পারে তাহলে বলবে কি করে ?

► থেরাপি মূলত দুই ভাবে চলবে

(১) ইন্ডিভিজুয়াল /গ্রুপ সেশন

(২) হোম প্রোগ্রাম

► হোম প্রোগ্রামে পরিবারের সদস্যদের সকল স্ট্র‍্যাটেজি গুছিয়ে বলে দেয়া হয় কিভাবে পরিবারে সদস্যরা শিশুর সাথে কথা বলবে, কি ধরনের শব্দ ব্যাবহার করবে, কি ধরনের ভিজুয়াল সাপোর্ট ব্যাবহার করবে, কিভাবে খাবার খাওয়াবে, কিভাবে বিহেভিয়ার মডিফাই করবে ইত্যাদি। মূলত টোটাল লাইফ স্টাইলকে পরিবর্তন করে ভাষা বিকাশের উন্নতি সাধন করার একটা কম্প্রিহেন্সিভ পদ্ধতি বলা যায়।

► সেখানে আপনাকে অনেক খেলনা বা দামি খেলনাই ব্যবহার করতে হবে তা নয় বরং আপনার ঘরে যা আছে তাই আপনি থেরাপি সহায়ক উপকরণ হিসেবে ব্যাবহার করবেন।

► অনেকেই বলেন, 'আমি তো বাচ্চার সাথে অনেক কথা বলি কিন্তু কোন উন্নতি হচ্ছেনা', অনেক কথা বলতে হবে এই বিষয়টিই তো সঠিক নয়। এক্ষেত্রে বলে নেয়া ভালো যে থেরাপির উদ্দেশ্য: সহজ ও ছোট বাক্য ব্যাবহার করে নির্দিষ্ট সময়ে বাচ্চার সাথে কথা বলা এবং শিশুকে কোয়ালিটি টাইম দেয়া।

► বাবা-মা সবচেয়ে বেশি সময় শিশুর সাথে থাকে। তাই তাদের ট্রেইন আপ করাটা জরুরি কিন্তু সেটি অবশ্যই আপনাকে একজন প্রফেশনাল থেরাপিস্টের তত্বাবধানে থেকে করতে হবে। সেই সাথে এটাও মাথায় রাখতে হবে প্রফেশনাল এর সাথে আপনার বাচ্চার র‍্যাপো বিল্ড আপ ও উনার দেয়া পরামর্শ ফলো করা গুরুত্বপূর্ণ।

► তাহলে এই যে উনি এত এত কিছু করলেন এটা আসলে শিশুর গুণগত জীবনমান উন্নয়ন করার জন্যে। যার যার যায়গা থেকে সুন্দর সুন্দর স্ট্র‍্যাটেজি প্রদান করে থাকেন যা আপনার বাচ্চার উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

► পৃথিবীতে যেমন অনেক অনেক রোগ -ব্যাধি, সমস্যা রয়েছে, ঠিক তেমনি উন্নত চিকিৎসাও আছে। কিন্তু তাই বলে কি সকল রোগের ক্ষেত্রেই চিকিৎসার কারণে সম্পূর্ণ উন্নতি বা আরোগ্য লাভ করা সম্ভব হয়েছে?? অনেক উন্নত সার্জারী কি একদম আগের মত আপনাকে স্বাভাবিক করে দিতে পারবে??

কিন্তু পরিবর্তনটা আমূল। ঠিক সেই রকম থেরাপিও সমস্যাগুলোকে বাড়তে না দিয়ে বরং কমিয়ে এনে স্বাভাবিক ও স্বাধীন জীবনযাপন করতে সাহায্য করে থাকে, অবশ্যই তা সমস্যার ধরন ও প্রকৃতি অনুযায়ী।

17/07/2023

বিশেষ শিশুদের থেরাপি গ্রহণ একটি নিয়মিত ও দীর্ঘ মেয়াদি প্রক্রিয়া। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে এই থেরাপি চালু রাখতে হয় বছরের পর বছর। কিন্তু থেরাপি সেবার অপ্রতুলতা এবং অধিক খরচের কারনে অনেক বিশেষ শিশুই থেরাপি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কেউ আবার শুরু করেও ঝরে পড়ছে খরচ বহন করতে না পেরে।

এই সকল বিশেষ শিশুদের জন্য কম খরচে মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে baby's theraphy centre 😊

17/07/2023

আমরা আজ আলোচনা করবো, কিভাবে একজন নন ভার্বাল অটিস্টিক শিশুর ভাষা ও যোগাযোগ করার দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করতে পারি।

আমেরিকার একটি জরিপের তথ্যমতে, প্রতি ৪৪ জন অটিজমে আক্রান্ত শিশুর ১ জন নন ভার্বাল হয়ে থাকে। ৪/৫ বছর হয়ে গেলেও সাধারণত নন ভার্বাল অটিস্টিক শিশুরা অর্থপূর্ণ শব্দ বলে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিশু Babbling করে থাকে।

আমাদের প্রথমেই জেনে নিতে হবে, নন ভার্বাল অটিস্টিক শিশুর সাথে Communication করতে কোন বিষয় গুলোর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।

১. শিশুর ভাষা বিকাশ বা অন্যের সাথে যোগাযোগ করার দক্ষতা অর্জন সবসময় যে কথা দিয়েই হতে হবে বিষয়টা এরকম না। একজন স্বাভাবিক মানুষ তার যোগাযোগের ৭০% কার্যক্রম করে থাকে অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে বা নন ভার্বালি।
২. হয়তো আপনার শিশু কথা বলতে পারছে না কিন্তু তার প্রয়োজন বা ডিমান্ড বিভিন্ন ভাবে প্রকাশ করার চেষ্টা করছে। যেমনঃ কান্না, এগ্রেসিভ বিহ্যাভিয়র, মিনিংলেস শব্দ করা বা হাত ধরে টেনে নিয়ে যাওয়া।
৩. অটিজমে আক্রান্ত প্রতিটি শিশু আলাদা। বাবা-মা হিসেবে আপনাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে হবে আপনার শিশু কোন প্রক্রিয়ায় যোগাযোগ করার চেষ্টা করে।
৪. আপনার খুঁজে বের করা যোগাযোগ মাধ্যম সম্পর্কে থেরাপিস্ট কিংবা স্পেশাল এডুকেটরদের অবহিত করুন। তাহলে তাদের জন্য কাজ করা সহজ হবে।

চলুন এখন কিছু থেরাপিউটিক এপ্রোচ নিয়ে আলোচনা করিঃ

১. প্রথমেই আলোচনা করতে হবে সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ বা ঈশারা ভাষা নিয়ে। নন ভার্বাল অটিস্টিক শিশুর যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ভাল ভূমিকা রাখতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আমি যদি শিশুকে খাওয়ার সাইন শেখাতে চাই তাহলে প্রতিবার খাওয়ার আগে মুখের কাছে খাওয়ার মতো হাত নিয়ে শেখাতে হবে “খাবো” সাইন। যাতে করে শিশুর যখন খুধা লাগবে তখন সে “খাবো” সাইন দেখিয়ে তার চাহিদার বিষয়টি জানাতে পারে। এরকম দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত সহজ সহজ সাইন দিয়ে শেখানো শুরু করতে হবে। মনে রাখতে হবে, সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ কখনোই শিশুর স্বাভাবিক কথা বলার দক্ষতাকে বাধাগ্রস্থ করবে না।
২. শিশুর প্রতি মনযোগঃ
নন ভার্বাল শিশুর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মনযোগ দিতে হবে। খুঁজে বের করতে চেষ্টা করতে হবে শিশু কিভাবে যোগাযোগ করতে চাচ্ছে। রিইনফোর্সমেন্ট দিয়ে পজিটিভ বিহ্যাভিয়র গুলোকে উৎসাহিত করতে হবে।
৩. কথা বলতেই থাকুনঃ
হয়ত নির্ধারণ হয়ে গেছে আপনার শিশু নন ভার্বাল। কিন্তু আপনি কথা বলা থামাবেন না। সবসময় শিশুর নাম ধরে ডাকুন। বিভিন্ন গ্রিটিংস যেমনঃ সালাম, হ্যালো, বাই ইত্যাদি শেখাতে থাকুন। আপনি তার সাথে যে কাজগুলো করছেন সেগুলো সুরে সুরে ধীরে ধীরে বর্ণ্না করুন। সে যে কথা বলতে পারছে না বা যোগাযোগ দক্ষতায় পিছিয়ে আছে সেজন্য কখনোই তার সামনে ব্লেইম করবেন না। আগের চেয়ে আরও বেশি উৎসাহ দিবেন। তাতে করে শিশুর যোগাযোগ করার আগ্রহ তৈরি হবে।
৪. শিশুর মতো করে বলাঃ
প্রতিটি শিশুই আদুরে সুরে কথা শুনতে পছন্দ করে। আগ্রহ বাড়ে। আপনার শিশহুর সাথে আদুরে গলায় সুরে সুরে কথা বলার চেষ্টা করুন। যখনই সে কোনো কাজে সামন্য অংশগ্রহণ করবে তখনই ভার্বাল রিইনফোর্সমেন্ট দিবেন বা আদর করে দিবেন। ছোট ছোট শব্দে কমান্ড দিন। একক কমান্ড ফলো করলে পরবর্তী ধাপ নিয়ে পরিকল্পনা করুন।

16/07/2023

আপনার বাচ্চা কথা বলছে না তার সহজ সমাধান অকুপেশনাল থেরাপি😊

শিশু প্রতিবন্ধিতায় অকুপেশনাল থেরাপি

অকুপেশনাল থেরাপি হলো এমন একটি চিকিৎসা ও সেবা, যার মাধ্যমে একজন শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিকভাবে অসুস্থ বা প্রতিবন্ধীকেও স্বাবলম্বী করে তোলা যায়। অকুপেশনাল থেরাপিস্টরা প্রতিবন্ধী শিশুদের যেমন—অটিজম, অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার-অ্যাকটিভ ডিস-অর্ডার বা এডিএইচডি, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রাল পালসি, স্পাইনা বাইফিডা, বাঁকানো পা বা ক্ল্যাব ফিট, গুলেন বারি সিনড্রোম বা জিবিএস, মেনিনজাইটিস, এনসেফালাইটিস ইত্যাদির চিকিৎসাসেবা প্রদান করে থাকেন।

একজন অকুপেশনাল থেরাপিস্ট প্রথমে পর্যবেক্ষণ করে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেন। এর মধ্যে রয়েছে রোগ শনাক্তকরণ, শিশুর মেডিক্যাল ইতিহাস বা জন্ম নেওয়ার আগে গর্ভাবস্থায় মায়ের শারীরিক অবস্থা এবং জন্মের পর থেকে শিশুর বিকাশজনিত বিভিন্ন সমস্যার বিস্তারিত ইতিহাস, শারীরিক বিকাশ, বুদ্ধিগত বিকাশ, শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টের মুভমেন্ট, হাতের ছোট ছোট মাংশপেশির শক্তি, শরীরের বড় বড় মাংসপেশির শক্তি, শরীরের বিভিন্ন অনুভূতি যেমন—দেখা, শোনা, ধরা, ঘ্রাণ, স্বাদ ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করা।
এ ছাড়া খাবার খাওয়ার দক্ষতা, যোগাযোগের দক্ষতা ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করে সে অনুযায়ী চিকিৎসার পরিকল্পনা করেন।
থেরাপিস্টরা চিকিৎসার মাধ্যম হিসেবে খেলাকে ব্যবহার করে থাকেন। খেলার মাধ্যমেই থেরাপিগুলো দেওয়া হয়। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ স্বাভাবিক করার জন্য অকুপেশনাল থেরাপিস্টরা বিভিন্ন ধরনের টেকনিক অবলম্বন করেন।
তাদের হাতের সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম মাংসপেশির শক্তি বাড়ানোর জন্যও চিকিৎসা দেওয়া হয়। ফলে শিশু সঠিকভাবে খেলনা ধরতে ও ছাড়তে শেখে।
এই থেরাপিতে লেখার দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রাক-লেখার দক্ষতার ধাপগুলো আয়ত্ত করা হয়, যার মাধ্যমে শিশু হাত দিয়ে লিখতে শেখে।

শিশুকে দৈনন্দিন কাজগুলো যেমন—খাওয়া, গোসল করা, টয়লেট করা, জুতা পরা, জামা পরা ইত্যাদি কাজ অ্যাকটিভিটি অ্যানালিসিসের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

শিশুকে খারাপ আচরণের পরিবর্তে বিভিন্ন ধরনের পজিটিভ আচরণ শেখানো হয়। ফলে খারাপ আচরণগুলোর পরিবর্তন হয়। যেমন—যে শিশু অন্যকে আঘাত করে, সেই শিশু যদি বাসায় ছোট ছোট কাজে অংশগ্রহণ ও উৎসাহ দেওয়া হয়, তাহলে তার খারাপ আচরণগুলো পরিবর্তন হবে ধীরে ধীরে। অকুপেশনাল থেরাপিস্ট শিশুকে নিজের হাত দিয়ে খাবার খাওয়া, লেখা ইত্যাদি শিখিয়ে দেন। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি যেমন—চামচ, গ্লাস, চিরুনি ইত্যাদির মাধ্যমে নিজে নিজে কাজ করার দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকেন।

16/07/2023

অকুপেশনাল থেরাপী

অকুপেশনাল থেরাপি কি?

অকুপেশনাল থেরাপি একটি বিজ্ঞান সম্মত চিকিৎসা যা একজন ব্যক্তির শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং পরিবেশগত সমস্যা দূর করার মাধ্যমে তাকে দৈনন্দিন কাজে যথাসম্ভব স্বর্নিভর করার লক্ষ্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকে।
অকুপেশনাল থেরাপি চিকিৎসা সেবা সেই সকল রোগীদের জন্য প্রয়োজন যাদের দৈনন্দিন জীবনের কাজ কর্ম কোন না কোন ধরণের প্রতিবন্ধকতার কারণে যেমন শারীরিক অক্ষমতা বা বুদ্ধি বৃত্তির বিকাশজনিত নসমস্যার কারণে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। অকুপেশনাল থেরাপি সেবা দেয়া হয় বিভিন্ন ধরণের বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে যেমনঃ
উদ্দেশ্যমূলখ কাজ (পারপাসফুল এ্যাকটিভিটিস)
থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ
বিশেষ সহায়ক উপকরণ
দক্ষতার উন্নয়ন
প্রবেশ গম্যতা নিশ্চিতকরণ
প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবেশের পরিবতন করার মাধ্যমে দৈনন্দিন জীবনের সকল কাজকর্মে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে একজন ব্যক্তির স্বর্নিভরতা অজন করার জন্য অকুপেশনাল থেরাপি চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়।
যে সকল রোগের চিকিৎসা দেয়া হয়ঃ

স্নায়ুরোগ(মেরুরজ্জুতে আঘাত, প্যারালাইসিস)
অটিজম
সেরিব্রাল পালসি
মানসিক রোগ
বিষন্নতা
সিজোফ্রেনিয়া
বান
হাড়ভাঙ্গা
আর্থ্রাইসিস
নার্ভ্ ইনজুরি
ডাউন সিনড্রেমা
বুদ্ধি প্রতিবন্ধী
অকুপেশনাল থেরাপি চিকিৎসার সুফলঃ

দৈনন্দিন জীবনের কাজকম যেমন-জনজ হাতে ভাত খাওয়া,তজামা-কাপড় পরিধান করা, গোসল করা, চুল আচড়ানো ইত্যাদি করতে পারা।
হাতের দক্ষতা বৃদ্ধি যেমন-হাতের লেখা, হাত দিয়ে কোন জিনিষ ধরতে পারা।
গ্রসমোটর যেমন-হাঁটা চালা, দৌড়ানো ইত্যাদি।
ভারসাম্যতা রক্ষা
বুদ্ধি বৃত্তির বিকাশ
অনুভূতির সমন্বয় সাধন করা
সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধি
খেলা-ধূলায় অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, যোগাযোগের দক্ষতা বৃদ্ধি ইত্যাদি।

16/07/2023

প্রঃ ডেভেলপমেন্টাল ডিলে বা বিলম্বিত বিকাশ কি?

উঃ যখন কোন নবজাতক তার স্বাভাবিক বয়সের সমানুপাতে শারীরিক, মানসিক বা সামাজিক এবং কথা বলার সক্ষমতা অর্জন করতে না পারে তখন আমরা তাকে বিলম্বিত বিকাশ বা ডেভেলপমেন্টাল ডিলে বলি।

প্রঃ কি কি কারনে ডেভেলপমেন্টাল ডিলে হতে পারে?
ঊঃ ক. জন্মের আগেঃ জন্মের আগে যদি মায়ের কোন সমস্যা থাকে যেমন- মানসিক সমস্যা, অপুষ্টি জনিত সমস্যা, রক্তের প্রদাহ জনিত কোন সমস্যা, দীর্ঘদিন কিছু ওষুধ (যেমনঃ সিডেটিব, স্টেরয়েড ইত্যাদি) সেবন ইত্যাদি কারনে।খ. জন্মের সময়ঃ ডেলিভারির পরে বাচ্চা কান্না না করলে, ফরসেপ ডেলিভারি, ব্রিচ ডেলিভারি, স্বাভাবিক ওজনের চাইতে কম ওজন, অবস্থাঙ্গত কোন সমস্যা, ৩৭ সপ্তাহের আগে ডেলিভারি ইত্যাদি কারনে।
গ. জন্মের পরবর্তী সময়ঃ খিঁচুনি, জন্ডিস, মাথায় আঘাত পাওয়া, ছোত বা বড় মাথা (মাইক্রো এবং হাইড্রোসেফালাস) নিউমোনিয়া ইত্যাদি নানা কারনে।
ঘ. জিনগত সমস্যাঃ ডাউন সিন্ড্রোম, এঞ্জেলমেন্স সিন্ড্রোম ইত্যাদি জিনগত কারনেও সমস্যা হতে পারে।

প্রঃ কিভাবে বুঝব আমার শিশু এই সমস্যায় আক্রান্ত কিনা?
উঃ ক.) ঠিকমত ঘাড় ঠিক সময়ে শক্ত না হুওয়া, বসতে ও দাঁড়াতে না পারা খ.)ঠিক সময়ে কথা বলতে না পারা, গ.) মাথা বড় হওয়া, ঘ.) হাত-পা ছোট ছোট হওয়া, ঙ.) অত্যাধিক চঞ্চলতা, এক জায়গায় স্থির না হয়ে বসা ইত্যাদি। এছাড়াও আরও বিভিন্ন লক্ষন থাকতে পারে। এগুলোকে বলে ওয়ার্নিং সাইন।

ওয়ার্নিং সাইন গুলি নিচে দেয়া হল-
ক. শারীরিকঃ খুব শক্ত হাত পা, পায়ের আর্চ (পায়ের তলায় যে বাঁকের মত থাকে) ডেভেলপ না হওয়া, যার ফলে হাঁটতে গিয়ে পরে যায়, সবসময় শরীরের একপাশ ব্যাবহার করা, , খুব নরম হা পা, ঠিক সময়ে বসতে ও দাঁড়াতে না পারা ইত্যাদি।

খ. ব্যবহারিকঃ ভালভাবে মনযোগ না দেয়া, একই বস্তুর দিকে দীর্ঘক্ষন তাকিয়ে থাকা, আই কন্ট্যাক না রাখা, ব্যাবহারগত সমস্যা,নিজের সাথে কথা বলা, অত্যাধিক জেদ ধরা, বসে বসে দোল খেতে পছন্দ করা ইত্যাদি।
গ. দৃষ্টিগতঃ চোখে এলার্জি, সবসময় চোখ চুলকানো, ঠিকমত দেখতে না পারা, ১২ মাস হওয়ার পরেও কোন বস্তু ঠিকমত ধরতে না পারা।

ঘ. শ্রবণগতঃ খুব জোরে বা অনেক আস্তে আস্তে কথা বলা, নাম ধরে ডাকার পরেও সাড়া না দেয়া, কান খুব ছোট, কোন কিছু বলা হলে বুঝতে না পারা এবং তাকিয়ে থাকা ইত্যাদি।

ঙ. দৈনন্দিন কাজকর্মজনিতঃ দাঁত ব্রাশ করতে না পারা, জামা কাপড় পরতে না শেখা, নিজে নিজে খেতে না পারা, বোতাম লাগাতে ও খুলতে না পারা, জুতার ফিতা বাঁধতে না পারা, চেইন বন্ধ খুলতে না পারা, চুল আচঁড়াতে না পারা, গোসল করতে না পারা ইত্যাদি।

চ. পড়াশোনা সংক্রান্তঃ লিখতে না পারা, লিখার সময় অনেক বেশি চাপ দেয়া যাতে খাতা ছিঁড়ে যায়, পড়তে না পারা, বাক্য গঠন করতে না পারা, বানান করে পড়তে না পারা, ৬ কে ৯ পড়া, ন কে ফ পড়া ইত্যাদি।
ছ. কথা বলা সংক্রান্তঃ তোতলামো, শব্দ পুরো উচ্চারন করতে না পারা, ঠিক সময়ে কথা বলতে না শেখা ইত্যাদি।

প্রঃ বাচ্চাদের শেখার পর্যায় সারণী কি?
উঃ পাশ ফিরতে শেখা ৩-৪ মাস, সাহায্য নিয়ে বসা ৪-৫ মাস, হামাগুড়ি দেয়া ৬-৭ মাস, সাহায্য নিয়ে দাঁড়ানো ৮-৯ মাস, একা একা দাঁড়ানো ১১-১২ মাস, সাহায্য নিয়ে হাঁটতে শেখা ১২-১৩ মাস, একা একা হাঁটতে শেখা ১৩-১৪ মাস।

প্রঃ ডেভেলপমেন্টাল ডিলে (বিলম্বিত বিকাশ) এবং অকুপেশনাল থেরাপীর ভূমিকা কি?
উঃ কোন শিশুই শিখতে শিখতে খেলে না, ওরা খেলতে খেলতে শিখে। এটাই শিশুর কাজ। শিশুদের একমাত্র কাজ হল খেলা করা। এই খেলা করার মাধ্যমেই শিশু তার প্রয়োজনীয় কাজ গুলি শিখে থাকে। এই মূলনীতির উপর ভিত্তি করেই অকুপেশনাল থেরাপীষ্ট এইসব শিশুদের সাহায্য করে থাকেন। তাই যখন কোন শিশু বিলম্বিত বিকাশের জন্য তার কাজ গুলি করতে অসুবিধায় পরে তখন অকুপেশনাল থেরাপীষ্ট কাজ শুরু করেন। শিশুর হাঁতের লেখার সমস্যা, শারীরিক গঠনের সমস্যা ইত্যাদি নিয়ে কাজ করে থাকেন। শিশুদের বিভিন্ন ডেভেলপমেন্টাল থেরাপী প্রদান করে থাকেন একজন অকুপেশনাল থেরাপীষ্ট। যাতে করে শিশুর সঠিক শারীরিক বিকাশ ঘটে।

বিভিন্ন ট্রিটমেন্ট প্রটোকল যেমন- এনডিটি (নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল থেরাপী), রুডস এপ্র্চো পিএনএফ ইত্যাদি। এছাড়াও দৈনন্দিন কাজের নানা সমস্যার জন্য খেলাকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে নানাবিধ থেরাপী প্রদান করে থাকেন।
এছাড়া বিভিন্ন ডিভাইস যেমন- স্পেশাল সিটিং, স্প্লিন্ট, রাইটিং স্প্লিন্ট, গ্রাস্প এক্সারসাইজ প্রোগ্রাম, রাইটিং ট্রেইনিং, প্রোপিওসেপটিভ ফ্যাসিলিটেশন, বিভিন্ন থেরাপী প্রদান করে থাকেন যাতে করে শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ ত্বরান্বিত হয় এবং শিশু স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে।

শিশুর সঠিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা, পোশ্চারাল এবনর্মালিটি থাকলে তা ঠিক করা, শিশুর আশেপাশের পরিবেশ শিশুর উপযোগী করে গড়ে তোলা ইত্যাদি কাজ একজন অকুপেশনাল থেরাপীষ্ট করে থাকেন।

16/07/2023

Address

আগরপুর রোড
Barishal

Telephone

+8801707186095

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Baby's Therapy Center posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram